রাজনীতি
আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত নূরে আলম ও আবদুর রহিম হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার শপথ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সকলকে চোখের জল ফেলা বন্ধ করে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতিকে বাঁচাতে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,‘আর কান্নাকাটি নয়, আমাদের এখনই কান্না ভুলে জেগে উঠতে হবে, কারণ এই ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের নিপীড়ন থেকে জাতিকে বাঁচাতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলা জেলা শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের নামাজে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
রবিবার ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ নূরে আলম বুধবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান, তার মৃত্যুতে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুজন হয়েছে। এর আগে রবিবার ভোলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হন।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে এবং তাদের (বিএনপির নেতাকর্মীদের) বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৫ লাখ মামলা থেকে মুক্তির জন্য শোককে শক্তিতে পরিণত করে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
তিনি বলেন, তাদের দল বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সমগ্র জাতিকে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করে শান্তিপূর্ণভাবে শক্তিশালী আন্দোলন করবে। ‘আমরা আমাদের ছেলেদের, আমাদের ভাই নূরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যার প্রতিশোধ নেব গণআন্দোলনের মাধ্যমে।’
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বিএনপি নেতা বলেন, বাবার কাঁধে ছেলের লাশ বহন করার চেয়ে বড় কষ্ট আর কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সামনে আমাদের ছেলে ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের লাশ দেখছি। যিনি এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। আমাদের ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও ১৯ জন ঢাকা ও বরিশালের হাসপাতালে বাঁচার জন্য লড়াই করছে।’
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের হাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা নতুন কিছু নয়। ‘আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে আমাদের এক হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে এবং প্রায় ৬০০ জনকে গুম করেছে স্বৈরাচারী শাসনকে মজবুত করার জন্য।’
সকাল ১১টায় নিহত ছাত্রদলের সভাপতি জানাজা হওয়ার কথা থাকায় সকাল থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীদের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিতে থাকে। সেসময় ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে নূরে আলমের মরদেহ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে মরদেহ আসার পর অনেক ছাত্রদল নেতাকর্মীকে কাঁদতে দেখা যায়।
ফখরুল দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নূরে আলমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এবং দলীয় পতাকা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তার নামাজের জানাজা শেষে লাশ দাফনের জন্য ভোলায় পাঠানো হয়।
বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপি’র দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রবিবার ভোলায় তাদের জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত এবং নূরে আলমসহ দল ও এর সহযোগী সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়।
তিন দিনের শোক
নূরে আলম ও আবদুর রহিমের স্মরণে শুক্রবার থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, শোক পালনকালে সারাদেশে বিএনপির সকল কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। নিহত দুই নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
এছাড়া তাদের হত্যার প্রতিবাদে আগামী ৬, ৭ ও ৮ আগস্ট যথাক্রমে ছাত্রদল,কৃষকদল ও যুবদল সমাবেশ করবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
ভোলায় শুরুর ৬ ঘণ্টা পর হরতাল প্রত্যাহার করল বিএনপি
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। হরতাল শুরুর ছয় ঘণ্টা পর জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের উপরের নির্দেশ না থাকলে পুলিশের বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা বা কোন এ্যাকশন আজ পর্যন্ত আমরা লক্ষ করিনি।’
এসময় তিনি ওই দিনের ঘটনায নিহত ও আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি পুলিশদের বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।
এ ঘোষণার পর জেলা সড়কে দোকানপাট খুলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিএনপির ভোলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির শোপান বলেন, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে।
শহরের মহাজনট্টি সদর রোড, বিএনপির কার্যালয় এলাকায় সকাল থেকে অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
হরতালের কারণে জেলার সড়কে যান চলাচল কম করতে দেখা গেছে। তবে ভোলা-চরফ্যাশন রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে।
এছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের প্রধান কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন।
হুমায়ুন কবির জানান, ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নূরে আলম মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার ভোলায় জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কালীনাথ রায় বাজারে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন এবং দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
পড়ুন: ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় চলছে বিএনপির হরতাল
ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক বিএনপির
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
বিএনপি ও মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একটি অংশ মঙ্গলবার সংলাপে বসে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুগপৎ আন্দোলনে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।
রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কার্যালয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে গণফোরাম নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান দানবীয় শাসনব্যবস্থাকে উৎখাতের জন্য অন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করার জন্য আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি যা আমাদের সকল অর্জনকে ধ্বংস করছে।’
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমতে বিএনপি-জাসদ
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সব দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছেন তারা।
সেই নির্বাচনের পর, তিনি বলেছিলেন যে তাদের দলের রাষ্ট্র সংস্কার এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্টু বলেন, তারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্য তৈরি করে বর্তমান শাসনকে পরাজিত করতে চান এবং এভাবে দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে চান।
বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে হতে পারে না বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তাই আমরা চাই আগামী সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হোক।
২৪ মে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে।
দলটি লেবার পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (জাগপা), ন্যাপ (ভাসানী), মুসলিম লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সাম্যবাদী দল ও ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ পিপলস লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপের সঙ্গেও বৈঠক করে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
আ.লীগ নেতারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না: ফখরুল
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ারও সুযোগ পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) বিএনপি নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়ার কথা বলছে। কিন্তু সময় এসেছে তাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়ার। এমনকি আপনারা হারিকেন ধরার এবং পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না।’
সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় বিএনপির এই নেতা মনে করিয়ে দেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী গোতাবায়া পালাতে যেয়ে মালদ্বীপে আছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষ পালাতে দেয় না। আপনাদের সেটা মাথায় রাখা উচিত।’
ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন।
ফাখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে দমন ও অপশাসনে দেশটিকে শ্মশান বানিয়েছে। তিনি এর সাথে যুক্ত করেন যে, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।
আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে দলটির সকল নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যায়ক্রমে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন বলে ফখরুল জানিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের নেতৃত্বে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।
পড়ুন: জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যার শামিল: শেখ পরশ
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যার শামিল। কারণ সেদিন নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুদূরপ্রসারী এক পরিকল্পিত।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ আয়োজিত কোরআন খতম, দোয়া ও অসহায়-দুঃস্থদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শেখ পরশ এসব কথা বলেন। শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে যুবলীগ ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে পরশ আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা তার নাম বাঙালি জাতির অন্তর থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুই বলেছেন- ‘নেতার মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু আদর্শের মৃত্যু নেই।’ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, খালেদ শওকত আলী, সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মৃনাল কান্তি জোয়াদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, বদিউল আলম, শেখ ফজলে নাঈম, কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, মাইন উদ্দিন রানা, জয়দেব নন্দী, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতরা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সকল যুগেই প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন: শেখ পরশ
শেখ হাসিনার কারণে উত্তরবঙ্গে 'মঙ্গা' শব্দটি নিশ্চিহ্ন: পরশ
জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'যেই দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল, সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।'
সোমবার পয়লা আগস্ট বিকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নতুন রেল স্টেশনে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ভোলার সংঘর্ষের ঘটনাকে বিএনপির আগস্ট ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, 'আগস্ট মাস এলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এবং বেগম জিয়ার জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে পাঁচ’শ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে। আগস্ট মাস এলে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে, এবারও তারা সারা দেশব্যাপী নানামুখী ষড়যন্ত্র-নাশকতা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশকে উত্তপ্ত করার সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে ভোলায় তারা গন্ডগোল করেছে।'
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য 'পুলিশ দিয়ে সরকার আন্দোলন ঠেকানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে' এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, 'তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে তিনি কিভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আগস্ট মাসকে সামনে রেখে বিএনপি সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এটি আমরা জানি। তবে বিএনপিকে সেই সুযোগ দেয়া হবেনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, উনারা তো এখন একা মিটিং মিছিল করছে, আমরা তো এখনো শুরু করি নাই। মোকাবিলা করার মানসিকতা নিয়ে আমরা মাঠে নামলে বিএনপি কোথায় পালায় সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।'
শোকের মাস আগস্ট শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খন্দকার মোস্তাক আহমেদ। এতে কি প্রমাণিত হয় ? এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নয়, সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ এরপরই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের অপচেষ্টাও হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় শক্তি এসবে মদদ দিয়েছিল।'
বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রসিডিংটি রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে যারা জবানবন্দি দিয়েছেন, তারা জিয়াউর রহমান কোন অবস্থায় ছিল, খোন্দকার মোস্তাক কি অবস্থায় ছিল এগুলো বিস্তারিত বলেছেন। পাঁচ’শ বছর পরের প্রজন্মও যাতে ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে পারে সেজন্য একটি কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল তাদের মুখোশ উম্মোচন হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক-উজ-জামান। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমার শঙ্কায় জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।রবিবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তার রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সে কৌশলে তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু রাস্তাঘাট বন্ধ করবে জানমালের ক্ষতি করবে এটা আমরা করতে দেবো না। তারা প্রেসক্লাবে রোজ মিটিং করছে আমরা বাঁধা দিচ্ছি না।তিনি বলেন, ‘তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে সভা বা প্রচার করবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখনই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বা জানমালে আঘাত করবে, সেখানে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চুপ থাকবে না; তাদের কাজ তারা করবে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ আন্দোলনে নামবে কিনা এটা জনগণের ওপর। জনগণ নামলে তো নামবে। তার এটা নিশ্চিত যে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আলোকিত হচ্ছে, সেখানে এদেশের মানুষ আর কখনই অন্ধকারে ফিরে যাবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সভায় ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হবে। ধানমন্ডি লেকেও নৌপুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। ওই এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপির নির্দেশনায় হবে। বিদেশি মিশনের কূটনীতিবিদরা ধানমন্ডি ও বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য যাওয়া আসার জন্য তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শ্রদ্ধা নিবদেনস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোপালগঞ্জে জাতির পিতার সমাধিতে সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা থাকবে। সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সারাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। কেউ যাতে কোনো রকমের নাশকতা না করতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে, যতগুলো নাশকতা হয়েছে এই ১৫ আগস্টের পরে। ২১ আগস্ট নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই বা ১৭ আগস্টের কথাও নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই। সেটা মাথায় রেখে যাতে এ ধরনের নাশকতা না হয় আমাদের গোয়েন্দারা সেই দিকে নজর রাখবে।অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে। কেউ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে এ জন্য আমরা লক্ষ্য রাখবো। এ ব্যাপারে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো যাতে কোনো প্রচেষ্টা ফলপ্রসু না হয়।’তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগ রুলস যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। যারা পতাকা উড়াবেন তাদের নিয়ম মেনে উড়াবেন এবং যথাসময়েই নামাবেন। সব অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে আমরা অনুরোধ করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।’
আরও পড়ুন: মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দেশবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এখন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখন কেন লোডশেডিং হচ্ছে? এর পেছনের কারণ হলো মেগা দুর্নীতি ও চুরি।’
এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি অভিযোগ করেন যে সরকার কুইক-রেন্টাল এবং অন্যান্য পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে এই জাতীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার পর থেকে ১০টি কোম্পানিকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে যদিও তারা কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
ফখরুল বলেন, অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। ‘এটি আরেকটি প্রতারণা ও ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। এটি আরেকটি প্রতারণা এবং ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার দেশের পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দামী স্যুট পরে সুন্দরভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যা করছে, তা অতীতে কখনো হয়নি। কিন্তু আপনি তো পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।’
শনিবার চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ‘আমরা দেখেছি যে গতকাল মাইক্রোবাসে করে ১১ জন শিক্ষার্থী যাচ্ছিল, ট্রেন সবাইকে হত্যা করেছে। এমন অসংখ্য নজির আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি।’
সরকার দেশের জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নকে নস্যাৎ করছে বলে এসময় অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার চুরি, ডাকাতি ও লোভের কারণে গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করেছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন,‘বাংলা সাহিত্যে একটি কথা আছে যে রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট হয়, কিন্তু জনগণ কষ্ট পায়।আমরা যে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী।’
তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের এক দফা দাবিতে ‘দানব’ ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারকে উৎখাতের শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্ব বিএনপির। জনগণের আন্দোলনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে অবশ্যই সকল সমস্যার সমাধান করে এদেশকে সত্যিকারের জনগণের রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
গুজব ছড়ানোই এখন বিএনপি নেতাদের প্রধান কাজ: আ.লীগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছে, ‘গুজব সৃষ্টি করাই এখন বিএনপি নেতাদের প্রধান কাজ!’
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে চলমান সংকট মোকাবিলায় মিতব্যয়ী ব্যবস্থার মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থা নিয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্যটি পোস্ট করা হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘যেন গুজবের অক্সিজেন নিয়েই বেঁচে আছে দলটি!’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ৪০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল, সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলে বসলেন ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি না রিজার্ভ।’
পোস্টে বলা হয়েছে, ‘উনি হয়তো বিএনপি আমলের দুই বিলিয়নের সঙ্গে ৪০ বিলিয়ন ডলারের গ্যাপ কমাতেই এমন বলেছেন। মির্জা ফখরুলরা গুজব আর মিথ্যার ওপর ভর করেই রাজনীতি করেন।’
আওয়ামী লীগ আরও বলেছে, দেশের কোন বিবেকবান নাগরিক কখনোই এসব গুজববাজদের সমর্থন করতে পারে না।
এর আগে শুক্রবার মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে সরকারের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সুতরাং এদেরকে আর কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না, আর কোনো সময় দেয়া যাবে না। যত বেশি সময় এরা থাকবে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: আগুন নিয়ে খেলবেন না, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী