রাজনীতি
বিএনপির মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমার শঙ্কায় জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এখন ইউরোপ-আমেরিকাতেও বিদ্যুৎ রেশনিং হচ্ছে এবং যে বিএনপি বিদ্যুৎ দাবি করায় গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল, সেই বিএনপির ডাকা মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমা বের হয় কি না তা নিয়ে এখন জনগণ শঙ্কিত।
শুক্রবার বিকালে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে 'স্বনন' আয়োজিত আবৃত্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকরা রাজনীতি প্রসঙ্গে বিএনপি লোডশেডিংয়ের সময় হারিকেন নিয়ে মিছিল ডাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের মূল্য দশগুণ বেড়েছে ও তেলের মূল্য রেকর্ড ছাড়িয়েছে ফলে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোও বিদ্যুৎ উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উন্নত দেশগুলোতে নেয়া ব্যবস্থার খতিয়ান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি সংকটের কারণে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কায় জাপানে এবং ফ্রান্সেও জনগণের প্রতি একই আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে কখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। সেখানেও এর সাশ্রয়ের জন্য বলা হয়েছে এবং অনেক শহরে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনিতে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। আর ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত।
দেশে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুৎ পেতো মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ আর এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে এবং গত অর্থ বছরে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা বা ৬ মিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'যেসব দেশে এক সেকেন্ডের জন্যও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হতো না, সেসব দেশেও যখন বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও রেশনিং করা হচ্ছে, বাংলাদেশেও সেই ব্যবস্থা নেয়া ও জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমাদের দেশ তো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। কিন্তু এ নিয়ে বিএনপির হারিকেন নিয়ে মিছিলের ডাকে জনগণ এখন শঙ্কিত যে তাদের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমা বের হয় কি না। আর কানসাটে বিদ্যুৎ দাবিকারী কৃষকদের যারা গুলি করেছিল, বিদ্যুৎ না দিয়ে তারেক রহমানের কোম্পানি বিভিন্ন জায়গায় শুধু খাম্বা বসিয়েছিল, তাই বিদ্যুৎ নিয়ে তাদের কথা বলার নৈতিক অধিকারই নেই।'
সরকারের প্রতি বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য 'চা-টা খাওয়ার দাওয়াত নয়, পদত্যাগ করুন' এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী তার মহানুভবতা দেখিয়ে বলেছিলেন বিএনপির মিছিল-সমাবেশে বাধা না দিতে এবং মিছিল নিয়ে তারা যদি গণভবনেও যায়, তিনি তাদের চা খাওয়াবেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেবরা যারা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বোঝে না, যাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতের অশোভন জবাব দেয়, যারা দাওয়াতের মর্যাদা বোঝে না, তাদের দাওয়াত দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।'
এরপর তথ্যমন্ত্রী একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে কবি শ্যামসুন্দর সিকদারের কবিতার ধ্বনি স্রোতস্বিনী আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যুগে যুগে মানুষের মনন ও সৃষ্টিশীলতাকে সমৃদ্ধ করে আসা কবিতার চর্চাবৃদ্ধি জাতির আত্মিক উন্নয়নের অন্যান্য সোপান।
বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আয়োজকদের প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
ডা. চক্রেশ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন।
পড়ুন: সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশিদের কাছে নয়, জনগণের কাছে যান: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
দেশে রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই: ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের পর আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও শেষ হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের পতনের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিদ্যুতের সংকট ‘তৈরি হয়েছে, এরপর আমরা জ্বালানি তেলের ঘাটতির মুখোমুখি হব। তারপর আপনারা দেখবেন রিজার্ভ ফুরিয়ে যাচ্ছে।’
শুক্রবার ‘নজিরবিহীন’ লোডশেডিং এবং জ্বালানি ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা আয়োজিত এক সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই; দুর্নীতি ও লুটপাট করা। তাই আমাদের এখন এক দফা দাবি সরকারের পদত্যাগ।’
তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা তার দলের নেতাকর্মীদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমাদের হাতে আর সময় নেই, তাই জেগে উঠুন। আমাদের অবশ্যই এই ফ্যাসিবাদী ও দুর্নীতিবাজ শাসকদের উৎখাত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
ফখরুল বলেন, এখন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের কথা স্বীকার করলেও, গত সপ্তাহে তিনি তা অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘এভাবে এই সরকার নির্লজ্জ মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয় এবং মানুষকে ধোঁকা দেয় ও বোকা বানায়। কিন্তু ভিতরে তারা খালি। তারা অর্থ-সম্পদ নষ্ট করে দেশকে দেউলিয়া বানাচ্ছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে ভীতিজনক বর্ণনা করে বলেন, সরকারের কাছে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই। তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর সময় ও সুযোগ দিতে পারি না। তারা যতই ক্ষমতায় থাকবে, ততই দেশের ধ্বংস ত্বরান্বিত হবে।’
দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি নেই এমন মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কটাক্ষ করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বল্পতা না থাকলে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করছেন কেন? আপনি গ্যাস রেশন করছেন কেন? কেনো আজকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এখন অশনি সংকেত?
সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতকে ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন,‘শহরের মানুষ এখন দুই-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষ যেখানে বোরো মৌসুমে সেচের জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তারা সাত-আট ঘণ্টা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু এই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন, শুধু মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার সদ্য প্রকাশিত '৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২'-এ দেশে জনসংখ্যা কম দেখিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য (প্রকৃত চিত্রের চেয়ে) জনসংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। আমরা সাধারণত আমাদের দেশে ১৮ কোটি লোক গণনা করি। কিন্তু জনসংখ্যা ১৬ কোটি গণনা করা হলে মাথাপিছু আয় আরও অনেক বেশি দেখানো সহজ হবে।’
দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুমারির প্রাথমিক ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন আদমশুমারির হিসাব সঠিক না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হয়নি।
এর আগে বুধবার ষষ্ঠ আদমশুমারির অস্থায়ী তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যা হল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬, আগের ১.৩৭ শতাংশের জায়গায় ১.২২ শতাংশ বৃদ্ধির হার।
ফখরুল বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ি থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয় জনগণনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে।
কিন্তু সরকার ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করছে। পুরো সরকারই প্রতারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া সরকার।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, সরকার গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করায় দেশ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রধান পথ বা প্রবেশদ্বার। সারা দেশের মানুষ এখন জোর গলায় বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
ফখরুল বলেন, ‘এমনকি নির্বাচন কমিশন বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, বড় দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে, সরকার জনগণের চাহিদাকে বাইপাস করে বিষয়টিকে অন্য দিকে মোড় নেয়ার কৌশল গ্রহণ শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে আয়ের চেয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে বিএনপি
বিদ্যুৎ বিভ্রাট: ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
২০২১ সালে আয়ের চেয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে বিএনপি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে তাদের ২০২১ ক্যালেন্ডার বছরের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী জমা দিয়েছে। যাতে দেখা যায় দলটি এ বছরে আয়ের চেয়ে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি ব্যয় করেছে।
২০২১ সালে ৮৪ লাখ টাকা (ঠিক ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা) আয়ের বিপরীতে বিএনপির ব্যয় ছিল ১৯৮ লাখ টাকা (ঠিক এক কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা)।
এ নিয়ে গত তিন বছরে দলটি আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার দলের ২০২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন।
আইন অনুসারে, প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ববর্তী ক্যালেন্ডার বছরের আর্থিক বিবরণী জমা দিতে বাধ্য।
বিএনপির আয়ের উৎসের মধ্যে রয়েছে- দলের সদস্যদের চাঁদা, অনুদান ও মনোনয়নপত্র বিক্রি।
ব্যয়ের প্রধান উৎস ছিল- তাদের অফিস কর্মীদের বেতন ও উৎসব বোনাস, ইউটিলিটি বিল, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং নির্যাতিত দলীয় নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বাকি টাকা এসেছে।
২০২০ সালে এক কোটি ২২ লাখ টাকার বিপরীতে বিএনপি খরচ করেছে এক কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভ্রাট: ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
বিদ্যুৎ বিভ্রাট: ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
মঙ্গলবার দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনদিনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট ২৯ জুলাই এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট ৩০ জুলাই বিক্ষোভ করবে। এসময় অন্য সকল মেট্রোপলিটন শহরে এই কর্মসূচি পালন হবে।
এছাড়া বিএনপির সকল জেলা ইউনিট ৩১ জুলাই একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করার আহ্বান জানানো হয়।
ফখরুল বলেন, শহরাঞ্চলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা এবং গ্রামাঞ্চলে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া নিয়ে তাদের বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে আরও বলা হয়, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কারণে সঙ্কট আরও বেড়েছে। ‘শুধুমাত্র দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের টাকা লুণ্ঠনের জন্য সরকার দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ সঙ্কট শিল্প ও কৃষি খাতে প্রভাব ফেলার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ফখরুল আরও জানান, শিগগিরই তারা একটি প্রেস কনফারেন্সে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে হওয়া দুর্নীতি, অসঙ্গতি ও অব্যবস্থাপনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমতে বিএনপি-জাসদ
নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি মেনে নিন নতুবা ক্ষমতা হারাবেন: আওয়ামী লীগের প্রতি ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হায়দার আলী আর নেই
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সচিব হায়দার আলী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
রবিবার রাত ১০টায় রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হায়দারের ছেলে ব্যারিস্টার জিসান হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাবা অনেকদিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থহীনের সাবেক ড্রামার রুমি রহমান আর নেই
জিসান বলেন, ভোটকান্দি ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়ণখোলায় পারিবারিক কবরস্থানে হায়দারকে দাফন করা হবে।
হায়দার আলী কর্ম জীবনে তথ্য, পাট ও বস্ত্র এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৮ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমতে বিএনপি-জাসদ
বিএনপি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একযোগে আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গঠনে সম্মত হয়েছে।
রবিবার জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রবের রাজধানীর উত্তরার বাসায় দল দুটির মধ্যে এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে তাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বৈঠক শেষে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য গড়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি তারা দেশ ও এর শাসন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠবে। আন্দোলন নিজেই তার গতিপথ এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।’
রব বলেন, তাদের আন্দোলনের লক্ষ্য একই সঙ্গে ‘স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা এবং এর নিপীড়নমূলক অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে অপসারণ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা জনগণের সঙ্গে একত্রে মাঠে থাকব, যারা আমাদের গন্তব্য নির্ধারণ করবে। মাঠে আন্দোলনের কৌশল তৈরি করা হবে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন তদারকিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে চা খেতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি প্রথমে বলেন যে আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন। আপনি এই ঘোষণা দিন, তারপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে চা খেতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।’
রবিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার গঠনই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের একমাত্র সমাধান।
তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না হওয়ায় দেশ এখন ব্যাপক দুর্নীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
এই বিএনপি নেতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং, আমরা বলতে চাই, চা খেতে দেয়ার মতো হাস্যকর মন্তব্য করার কোনো মানে হয় না। আমরা একটি কথা বলতে চাই যে আপনি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করুন এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করুন এবং এভাবে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনুন।’
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিএনপি নেতারা তার কার্যালয় (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) ঘেরাও করতে এলে তিনি চা খাওয়াবেন।
আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যা বলতে চায় আমি তাদের কথা শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে ঐক্য গড়তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘ভয়ঙ্কর শাসন থেকে মুক্তি পেতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি দেশবাসীকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে পরাজিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং এভাবেই দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: সিইসির প্রশংসা করলেও বর্তমান ইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেবে না বিএনপি
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি আমার কার্যালয় দখল করতে এলে চা দেবো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই বিএনপির নেতারা তার (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কার্যালয় দখল করতে এলেও তিনি তাদের চা খাওয়াবেন এবং ধৈর্য ধরে তাদের কথা শুনবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের চা দেব, বসার জায়গা দেব। তারা যা বলতে চায় আমি তা শুনব। দেখুন, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
শনিবার আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বোমা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘কিন্তু, যদি তারা বোমা নিক্ষেপ করে এবং ভাংচুর করে তবে তারা উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা,’ তিনি বলেছিলেন।
বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখল করতে চাইলেও পথে ব্যারিকেড না দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বাংলামোটরের ব্যারিকেড পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের (বিএনপি) মিছিলে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তারা যেখানে খুশি সেখানে পায়ে হেঁটে যেতে পারে।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন আ.লীগের প্রধান। তিনি বলেন, ‘এখন কে দল চালাচ্ছে? বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী দলের নেতা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি তা করছে। ‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির একজন নেতা দেশ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে বসবাস করছেন।
সরকার তাদের কথা বলতে দেয় না বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ নাকচ করে দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সারাদিন কথা বলার পরে, তারা অভিযোগ করে যে তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। কিন্তু তারা অভিযোগ করে যে তাদের মিছিলে জনগণকে অংশ নিতে দেয়া হয় না। ‘কেন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লোকেরা অংশগ্রহণ করবে,’ তিনি প্রশ্ন করেন।
নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি মেনে নিন নতুবা ক্ষমতা হারাবেন: আওয়ামী লীগের প্রতি ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে তাদের দলের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় জড়ানোর সুযোগ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার যদি আমাদের দাবি (নির্বাচনকালীন সরকার) মেনে নেয়ার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই সমাধান আসবে।
এবার জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দাবি আদায়ে আগামী দিনে অন্য সব বিরোধী দলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন শুরু করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীতে অনেক আন্দোলন করার অভিজ্ঞতা আছে। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে আমরা ১৯৯০ সালে এমন একটি আন্দোলন করেছি..আমরা এখন সেই মডেল অনুসরণ করে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু করবে। ‘আন্দোলন নিজেই পরে নির্ধারণ করবে এটি কোন পথে যাবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন প্রশাসন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে সরকার রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণভাবে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিইসির প্রশংসা করলেও বর্তমান ইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেবে না বিএনপি
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি