রাজনীতি
তীব্র সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ: বিএনপি
খাদ্য ঘাটতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,পুরো জাতি গুরুতর উদ্বেগ নিয়ে তাদের দিন পার করছে। এক ভয়াবহ সংকটে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সোমবার বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ ‘দেউলিয়াত্বের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে। এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ নীরবে কান্নাকাটি করে শান্তি পাবে না।
আরও পড়ুন: এরকম কতজন পি কে হালদার আছে, জানতে চাই: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় দেশের মানুষের অবস্থা খুবই দুর্দশাগ্রস্ত ও করুণ।
রিজভী বলেন,বড় দেশগুলো রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় গম আমদানি করা যাচ্ছে না। চালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং সয়াবিন তেলের অদৃশ্য হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে আটা কেনা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এসময় তিনি ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের জঘন্য খেলার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে সরকারের সমালোচনা করেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের ব্যাপক সংকটে রয়েছে। উজান থেকে আসা পানির কারণে বিভিন্ন বাঁধের ক্ষতির কারণে বাংলাদেশের একটি বিশাল এলাকার ধান খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে যা কৃষকদের দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: দেশ এখন দুর্নীতির আখড়া: আবদুল আউয়াল
শ্রীলঙ্কার মতো বিএনপি নেতারা আগেই পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
ড. আব্দুল মঈন খান এভারকেয়ারে ভর্তি
ঢাকা, ১৫ মে (ইউএনবি)-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থ হওয়ায় রবিবার দুপুরের পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, রবিবার ড. মঈন খান তার নিজ এলাকা পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত জিন্দা পার্কে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেন। এসময় তিনি দীর্ঘসময় বক্তব্য দেন। পরে দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। তার শারিরীক অবস্থা কেমন আছে তা পড়ে জানানো হবে।
এরকম কতজন পি কে হালদার আছে, জানতে চাই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশে অর্থ পাচারকারী এবং তাদের মদদদাতাদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রশ্ন এরকম কতজন পি কে হালদার আছে, আর এরকম কতজন মানুষ আছে? আমরা জানতে চাই, এই ধরনের কত টাকা পাচার হয়েছে? কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে পাচার হল? কারা তার সঙ্গে জড়িত ছিল? কারা মদদ দিয়েছে? সেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিএনপি নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়িত্ব দুর্নীতি, চুরি ও অর্থ পাচারের ঘটনা তদন্ত করে ফাঁস করা। কিন্তু দুদক দীর্ঘদিন ধরে শুধু বিএনপি নেতাদের হয়রানি করছে।
বর্তমান সরকারের সঙ্গে জড়িত রাঘব বোয়াল ধরতে এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে দুদককে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সাম্প্রতিক মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেই স্বীকার করেছেন যে তাদের দলের নেতারা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি বলেছেন, যারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেয়া হবে না।’
দেশের বর্তমান দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে কাজ করি এবং এই ভয়ঙ্কর সরকারকে অপসারণ করতে এবং সত্যিকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি।’
কর্মসূচিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার
দেশ এখন দুর্নীতির আখড়া: আবদুল আউয়াল
সরকার দেশকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট ভারী হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি বিদেশে পাচার করছে।’
শনিবার (১৪ মে) চাঁদপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে সবাই আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চায়। কিন্তু আমাদের অপরাধটা কি? আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর অপরাধ সীমাহীন। তিনি দিনের ভোট রাতে করেছেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন। অন্যায়ভাবে আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছেন। দেশটাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা আমাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে আটকে রাখার বিচার চাই। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না এই অবৈধ সরকার। আমরা এর বিচার চাই।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্লাহ সেলিমের পরিচালনায় এনডিপির চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের, বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান, এম এ হান্নান, মাহবুব আনোয়ার বাবলু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো বিএনপি নেতারা আগেই পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
দেশে আওয়ামী দুঃশাসন চলছে: বুলু
এদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী দুঃশাসন চলছে। মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, চলার স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা হয়েছে।
শনিবার ফেনী জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশের দুঃশাসন রাজত্ব কায়েম করে সরকারের মন্ত্রী এমপি ও ক্ষমতাসীন নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচার করছে। কিন্তু দেশের মানুষ খেতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ কষ্টে আছে।
জেলা বিএনপি আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুন, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন প্রমুখ এসময় বক্তব্য দেন।
শ্রীলঙ্কার মতো বিএনপি নেতারা আগেই পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, শ্রীলঙ্কার নেতারা এখন যেভাবে পালাচ্ছে, বিএনপির নেতারা আগেই সেভাবে পালিয়ে গেছেন। তারেক রহমান ‘আমি আর রাজনীতি করবো না’ মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।'
শনিবার (১৪ মে) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য 'শ্রীলঙ্কার চেয়েও আওয়ামী লীগের অবস্থা খারাপ হবে' এর জের ধরে তিনি এ কথা বলেন।
'যারা শ্রীলঙ্কার তুলনা বাংলাদেশে দেয়, তারা অনেক আগেই শ্রীলঙ্কার মতো পালিয়েছেন, কেননা আজকের শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিতে তারাও পড়েছিলেন, তাই তারা এসব কথা বলছেন' উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তারেক জিয়া আর রাজনীতি করবে না বলে বাংলাদেশে মুচলেকা দিয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এখনও রাজনীতি করছে। তাদের যদি লজ্জা থাকে। তাহলে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবে।’
অতীত টেনে তিনি বলেন, 'ঢাকায় তাদের নেতা মাহবুবুর রহমানকে তাদের দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ ধাওয়া করেছিল। ৮০ সালে জিয়াউর রহমান যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তখন তাকেও ধাওয়া করেছিল। এখন নিজেরা কিভাবে পালাবেন সেটির পথ খুঁজুন।'
পড়ুন: আ’লীগ নেতাদের জনগণের টাকা লুটপাট ‘ঐতিহাসিক সত্য’: বিএনপি
ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের সরকার যখন পদ্মা সেতু করছিল, তখন বিএনপি দেশে গুজব ছড়িয়ে ছিল যে পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে। তাদের গুজব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, এতে অনেক নিরীহ মানুষ মারা যায়। এখন বিএনপির মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিবসহ তাদের নেতারা পদ্মা নদীর ওপারে কীভাবে যাবেন-তা দেখার অপেক্ষায় আছি। তারা কি গাড়িতে চড়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাবেন, নাকি আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে ওপারে যাবেন- সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি।’
এসময় তৃণমূল প্রতিনিধিদের প্রশংসা করে হাছান মাহমুদ বলেন, তৃণমূল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ। জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের নেতারাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে নানা সমস্যা নানা প্রতিকূলতা অতিক্রমকালে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ও বিচলিত হয়েছে, অনেক নেতা দল ত্যাগ করেছে, মূল নেতৃত্বের সাথে বেঈমানী করেছে। কিন্তু তৃণমূল কখনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে বেঈমানী করে নাই।'
প্রায় সাড়ে ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের অনেকের আলস্য ও সুবিধাবাদীদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে সতর্কবার্তা দেন ড. হাছান।
তিনি বলেন, সভায় কোনো নেতা এলে বিপুল স্লোগান আর সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা হয় এবং ফেসবুকে শুধু সেই ছবি দেয়া ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কাজ করতে আমি দেখিনা। দেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। কিন্তু সেই প্লাটফর্মে যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিরূপ সমালোচনা হয়, তার প্রতিবাদে আমাদের নেতা-কর্মীদের যেভাবে সরব হওয়া দরকার সেটি দেখিনা।
‘১৩ বছর আগে দেশের অবস্থা কি ছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কারণে কি হয়েছে, সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সংসদের চীপ হুইপ আবু সাঈদ মাহমুদ স্বপন ও সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়েশা খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আ’লীগ নেতাদের জনগণের টাকা লুটপাট ‘ঐতিহাসিক সত্য’: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যাপক সম্পদ লুট করে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন এটা এখন ‘ঐতিহাসিক সত্য’। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেই তা স্বীকার করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল (শুক্রবার) ফরিদপুরে তাদের দলীয় কাউন্সিলে বলেছেন, যেসব নেতা লুটপাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, আওয়ামী লীগে তাদের জায়গা হবে না।
ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকারের মিথ্যা আশ্বাসে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: জয়নুল আবেদীন
শনিবার দিনাজপুর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ফখরুল এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাও প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ তাদরে বিরোধীদের দমন, গুম ও হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত।
ফখরুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে: ফখরুল
তিনি বলেন, তারা মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এবং জনগণের সব অধিকার হরণ করে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদী দেশে পরিণত করার অভিযোগও করেন বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের একটি নতুন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকবে, দমন-পীড়ন নয়।’
তিনি বলেন, তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি তাদের দাবি পূরণে সরকারকে বাধ্য করবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
সরকারের মিথ্যা আশ্বাসে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: জয়নুল আবেদীন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, সরকারের ‘মিথ্যা’ আশ্বাসে তাদের দল আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য অহেতুক চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিএনপিকে আবার নির্বাচনে নিতে পারবেন, কিন্তু তা হবে না।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল।
কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডার’ দের বিরোধী দলের নেতাদের ওপর অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে দলটির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় জয়নুল আবেদীন বলেন, শোনা যাচ্ছে সরকারের নীতি-নির্ধারকেরা নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করছেন। ‘এটা কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপ নয়। অনির্বাচিত সরকার কীভাবে বাংলাদেশ থেকে পালাতে পারবে তার রোডম্যাপ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার লোভে যারা দলের (বিএনপি) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। ‘দেশদ্রোহীরা বাংলাদেশে কোনো স্থান পাবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ তাদের সঙ্গে থাকায় ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের দলকে ভাঙতে ও দুর্বল করতে পারবে না। আপনারা (সরকার) যতই চেষ্টা করুন না কেন, বিএনপিকে বিভক্ত করতে পারবেন না।
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করার জন্য এটা জনগণের আন্দোলন, কোনো ষড়যন্ত্র নয়। ‘বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আপনারদের পতনের আন্দোলনে নেমেছে। ষড়যন্ত্রের কথা বলে এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করতে সিন্ডিকেট তৈরি করে সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
বাংলাদেশ দ্রুত শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে: ফখরুল
বাংলাদেশেও দ্রুত শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেও শ্রীলঙ্কাকার মত পরিস্থিতি হতে বাধ্য। কারণ হচ্ছে একইভাবে এখানকার অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে, এখানে ঋণ এত বেশি গ্রহণ করা হয়েছে যে, ইতোমধ্যে ঋণের বোঝা জনপ্রতি ৪৭২ ডলার। ওখানকার মত পরিস্থিতি এখানেও দেখা দেবে, মুদ্রাস্ফীতি এত বাড়বে যে, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
১৩ মে (শুক্রবার) বিকালে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর খাগড়াবাড়িতে ১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা আমার নির্বাচনী এলাকা। এখানে গত ১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে একদলীয় নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়। আমরা প্রতি বছরই চেষ্টা করি এ সকল পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এ হত্যাযজ্ঞ প্রমাণ করে যে, সরকার সম্পুর্ণ বল প্রয়োগ করে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিজের মত করে নিতে চায়।
ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় একটি কথা গুরুত্বের সঙ্গে বলে আসছি, নির্বাচন হতে হবে জনগণের ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে। তারা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে সুযোগ করে দিতে হবে। এ কারণে অতীতের ঘটনা থেকে আমরা দেখেছি যে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, সে কারণে এবারও দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। যাতে করে প্রকৃতপক্ষে জনগণের প্রতিনিধিরাই নির্বাচিত হন, এটাই হচ্ছে জনগণের দাবি। এটাই হচ্ছে এদেশের গণতন্ত্র উত্তোরণের একমাত্র পথ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আ’লীগের লোকেরা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে, লুট করেছে। এ সকল লোকজনকে তারা বাদ দিতে চান। এই লোকগুলো তাদের দলে আছে এটা স্বীকার করার মাধ্যমে উনি মেনে নিয়েছেন আ’লীগ এ কাজগুলোর সাথে জড়িত। আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি আ’লীগের এ সকল লোকেরা বাংলাদেশকে শেষ করছে, লুট করছে, তারা বাংলাদেশকে একটা ভঙ্গুর অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন , বাণিজ্যমান্ত্রী টিপু মুনসি নিজে একজন বড় ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তার সুনিদিষ্ট ধারণা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করার মানেই হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।
তিনি বলেন, ‘আজকে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির যে চিত্র আমরা দেখতে পাই তাতে স্পষ্ট করে বোঝা যায়, সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদেই এবং তাদের সহযোগিতায় এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তাদের নিজেদের সিন্ডিকেটরাই আজকে এর জন্য দায়ী। আমরা এ কারণে আগেই বলেছি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বানিজ্যমন্ত্রী সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাদের দল শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) আয়োজিত ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সর্ববৃহৎ জোটের প্রধান দল বিএনপি এই ভাবনাকে (জাতীয় ঐক্য) কেন্দ্র করে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সেই প্রচেষ্টা ও ভাবনা চলমান। যেকোনো মুহূর্তে আমরা জাতির সামনে সেটা উপস্থাপন করব।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেবেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘তিনি (তারেক) আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। এই ব্যাপারে (আন্দোলনের রূপরেখা) আমাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য গড়ে উঠলে ষড়যন্ত্রকারীরা দুর্বল হয়ে পড়বে। জাতীয়তাবাদী শক্তি বিভক্ত থাকলে সুবিধাবাদীরা শক্তিশালী হবে এবং লুণ্ঠন ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের ‘ফ্যাসিবাদী’ কর্মকাণ্ড বিরোধী দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যকে দূরে সরিয়ে একত্রিত হতে উৎসাহিত করছে। ‘গত এক মাসে বিরোধী নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে এটি স্পষ্ট’।
তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। ‘আমরা এই সরকারের পতন চাই। বর্তমান সংসদও ভেঙে দিতে হবে।’
দল আন্দোলনের মধ্যেই রয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর জানান, তারা তাদের আন্দোলনের রূপরেখা অনুসারে একটি সঠিক এবং অনুকূল সময়ে এটিকে (আন্দোলন) তীব্র করবে। ‘বর্তমানে আমাদের কৌশল হল আক্রমণ হলে পাল্টা আঘাত করা।’
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যভাবে হতে পারে না। ‘শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা। নির্বাচনের আগে তাকে ক্ষমতা থেকে সরতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল শুধু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন বর্জন করবে না, তার অধীনে কোনো নির্বাচনও হতে দেবে না বিএনপি।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় থাকাকালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে এবং বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কীটতত্ত্ব সমিতির ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, সব গণতান্ত্রিক দেশে- ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সেখানে কোথাও চলতি সরকার পদত্যাগ করে আরেকটি সরকার আসে না। সেভাবেই বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় থাকতেই নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যামনেস্টি,আরএসএফ ও টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
অতীতের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল, পারেনি। গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত ছিল। ২০১৮ সালেও এ ধরনের কথা বলেছিল। পরে নির্বাচনী ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং সব দলের জোট করে নির্বাচন করেছে। ফলাফল মাত্র পাঁচটি আসন। খালি কলশি বাজে বেশি। সুতরাং তাদের বলবো, অনর্থক বাগাড়ম্বর না করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।’
‘বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন করবে’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান বলেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলনের কথা আমরা গত ১৩ বছর ধরেই শুনে আসছি। যে দলের নেতারা পুরুষ হয়েও নারীর বেশে বোরকা পরে আদালতে জামিনের জন্য হাজির হয়, যাদের ওপর তাদের নেতা-কর্মীদের আস্থা নেই, তারা কতটুকু কি করতে পারবে; তাদের শক্তি, সামর্থ, হিম্মত আমরাও জানি, জনগণও জানে। কিন্তু আন্দোলনের নামে তারা যদি বিশৃঙ্খলা, জ্বালাও-পোড়াও বা আগে যেভাবে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করেছে সেটি করার অপচেষ্টা করে; জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।’
আরও পড়ুন: রেদওয়ানের গুলিবর্ষণ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে কিনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সভা-সমাবেশের অনুমতি মিলছে না-এমন অভিযোগ খণ্ডন করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা অনেক সময়ই সভা-সমাবেশের অনুমতি নেয় না। আর সভা-সমাবেশে তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি-ভাঙচুর করে। এতে জনগণ আতঙ্কিত হয়। আর জনগণ আতঙ্কিত হলে সরকার তো বসে থাকতে পারে না।’
পরে সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ কৃষি জমি রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, যত্রতত্র ইমারত নির্মাণের ফলে যেন কৃষি জমি নষ্ট না হয়। কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা আমাদের শস্য উৎপাদনকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। উন্নয়নের পথে এই ধারা অব্যাহত থাকা আবশ্যক।
কীটতত্ত্ব সমিতির সভাপতি ড. সৈয়দ নূরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের পরিচালনায় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী অপশক্তিকে সাথে নিয়ে মিথ্যাচারই বিএনপির রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী