রাজনীতি
বাংলাদেশ দ্রুত শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে: ফখরুল
বাংলাদেশেও দ্রুত শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেও শ্রীলঙ্কাকার মত পরিস্থিতি হতে বাধ্য। কারণ হচ্ছে একইভাবে এখানকার অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে, এখানে ঋণ এত বেশি গ্রহণ করা হয়েছে যে, ইতোমধ্যে ঋণের বোঝা জনপ্রতি ৪৭২ ডলার। ওখানকার মত পরিস্থিতি এখানেও দেখা দেবে, মুদ্রাস্ফীতি এত বাড়বে যে, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
১৩ মে (শুক্রবার) বিকালে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর খাগড়াবাড়িতে ১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা আমার নির্বাচনী এলাকা। এখানে গত ১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে একদলীয় নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়। আমরা প্রতি বছরই চেষ্টা করি এ সকল পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এ হত্যাযজ্ঞ প্রমাণ করে যে, সরকার সম্পুর্ণ বল প্রয়োগ করে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিজের মত করে নিতে চায়।
ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় একটি কথা গুরুত্বের সঙ্গে বলে আসছি, নির্বাচন হতে হবে জনগণের ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে। তারা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে সুযোগ করে দিতে হবে। এ কারণে অতীতের ঘটনা থেকে আমরা দেখেছি যে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, সে কারণে এবারও দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। যাতে করে প্রকৃতপক্ষে জনগণের প্রতিনিধিরাই নির্বাচিত হন, এটাই হচ্ছে জনগণের দাবি। এটাই হচ্ছে এদেশের গণতন্ত্র উত্তোরণের একমাত্র পথ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আ’লীগের লোকেরা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে, লুট করেছে। এ সকল লোকজনকে তারা বাদ দিতে চান। এই লোকগুলো তাদের দলে আছে এটা স্বীকার করার মাধ্যমে উনি মেনে নিয়েছেন আ’লীগ এ কাজগুলোর সাথে জড়িত। আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি আ’লীগের এ সকল লোকেরা বাংলাদেশকে শেষ করছে, লুট করছে, তারা বাংলাদেশকে একটা ভঙ্গুর অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন , বাণিজ্যমান্ত্রী টিপু মুনসি নিজে একজন বড় ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তার সুনিদিষ্ট ধারণা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করার মানেই হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।
তিনি বলেন, ‘আজকে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির যে চিত্র আমরা দেখতে পাই তাতে স্পষ্ট করে বোঝা যায়, সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদেই এবং তাদের সহযোগিতায় এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তাদের নিজেদের সিন্ডিকেটরাই আজকে এর জন্য দায়ী। আমরা এ কারণে আগেই বলেছি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বানিজ্যমন্ত্রী সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাদের দল শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) আয়োজিত ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সর্ববৃহৎ জোটের প্রধান দল বিএনপি এই ভাবনাকে (জাতীয় ঐক্য) কেন্দ্র করে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সেই প্রচেষ্টা ও ভাবনা চলমান। যেকোনো মুহূর্তে আমরা জাতির সামনে সেটা উপস্থাপন করব।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেবেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘তিনি (তারেক) আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। এই ব্যাপারে (আন্দোলনের রূপরেখা) আমাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য গড়ে উঠলে ষড়যন্ত্রকারীরা দুর্বল হয়ে পড়বে। জাতীয়তাবাদী শক্তি বিভক্ত থাকলে সুবিধাবাদীরা শক্তিশালী হবে এবং লুণ্ঠন ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের ‘ফ্যাসিবাদী’ কর্মকাণ্ড বিরোধী দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যকে দূরে সরিয়ে একত্রিত হতে উৎসাহিত করছে। ‘গত এক মাসে বিরোধী নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে এটি স্পষ্ট’।
তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। ‘আমরা এই সরকারের পতন চাই। বর্তমান সংসদও ভেঙে দিতে হবে।’
দল আন্দোলনের মধ্যেই রয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর জানান, তারা তাদের আন্দোলনের রূপরেখা অনুসারে একটি সঠিক এবং অনুকূল সময়ে এটিকে (আন্দোলন) তীব্র করবে। ‘বর্তমানে আমাদের কৌশল হল আক্রমণ হলে পাল্টা আঘাত করা।’
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যভাবে হতে পারে না। ‘শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা। নির্বাচনের আগে তাকে ক্ষমতা থেকে সরতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল শুধু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন বর্জন করবে না, তার অধীনে কোনো নির্বাচনও হতে দেবে না বিএনপি।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় থাকাকালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে এবং বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কীটতত্ত্ব সমিতির ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, সব গণতান্ত্রিক দেশে- ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সেখানে কোথাও চলতি সরকার পদত্যাগ করে আরেকটি সরকার আসে না। সেভাবেই বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় থাকতেই নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যামনেস্টি,আরএসএফ ও টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
অতীতের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল, পারেনি। গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত ছিল। ২০১৮ সালেও এ ধরনের কথা বলেছিল। পরে নির্বাচনী ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং সব দলের জোট করে নির্বাচন করেছে। ফলাফল মাত্র পাঁচটি আসন। খালি কলশি বাজে বেশি। সুতরাং তাদের বলবো, অনর্থক বাগাড়ম্বর না করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।’
‘বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন করবে’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান বলেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলনের কথা আমরা গত ১৩ বছর ধরেই শুনে আসছি। যে দলের নেতারা পুরুষ হয়েও নারীর বেশে বোরকা পরে আদালতে জামিনের জন্য হাজির হয়, যাদের ওপর তাদের নেতা-কর্মীদের আস্থা নেই, তারা কতটুকু কি করতে পারবে; তাদের শক্তি, সামর্থ, হিম্মত আমরাও জানি, জনগণও জানে। কিন্তু আন্দোলনের নামে তারা যদি বিশৃঙ্খলা, জ্বালাও-পোড়াও বা আগে যেভাবে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করেছে সেটি করার অপচেষ্টা করে; জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।’
আরও পড়ুন: রেদওয়ানের গুলিবর্ষণ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে কিনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সভা-সমাবেশের অনুমতি মিলছে না-এমন অভিযোগ খণ্ডন করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা অনেক সময়ই সভা-সমাবেশের অনুমতি নেয় না। আর সভা-সমাবেশে তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি-ভাঙচুর করে। এতে জনগণ আতঙ্কিত হয়। আর জনগণ আতঙ্কিত হলে সরকার তো বসে থাকতে পারে না।’
পরে সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ কৃষি জমি রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, যত্রতত্র ইমারত নির্মাণের ফলে যেন কৃষি জমি নষ্ট না হয়। কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা আমাদের শস্য উৎপাদনকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। উন্নয়নের পথে এই ধারা অব্যাহত থাকা আবশ্যক।
কীটতত্ত্ব সমিতির সভাপতি ড. সৈয়দ নূরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের পরিচালনায় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী অপশক্তিকে সাথে নিয়ে মিথ্যাচারই বিএনপির রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
ফখরুল ও বিএনপি নেতাদের দলত্যাগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
সাধারণ নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দল থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, আপনার দেখানোর মতো কোনো অর্জন নেই। তাই সরকারের পদত্যাগের জন্য চিৎকার না করে আপনার পদত্যাগ করা ভালো।
বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণ মনে করে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সব নেতারই আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগ করা উচিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দলের শাসনামলে দেশে ২৪ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল।এর বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে: কাদের
আ.লীগ নেতা এসময় দলের ‘সুসময়ের বন্ধুদের সতর্ক করেন।
যারা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণতন্ত্র, মুক্তির চেতনা ও বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সফলভাবে মোকাবিলায় দলকে এখন থেকেই সুসংগঠিত হতে হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর জেলা আ’লীগের সম্মেলন বৃহস্পতিবার
আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে, দেশের অর্জনকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। সংগ্রামী, সৎ ও পরীক্ষিতদের নেতৃত্বে আনতে হবে। যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে তাদেরকে কোনোভাবেই নতুন কমিটিতে রাখা যাবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন হবে: কাদের
সরকার দলের এই নেতা বলেন, বিএনপি সরকারের উন্নয়ন দেখে না তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখে।
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ পদ্মা সেতুর জন্য চাতকের মতো চেয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুনের শেষের দিকে বহু প্রতিক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে সেতুমন্ত্রী জানান।
আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
বিরোধী দলগুলোর প্রতি সতর্কবার্তা জারি করে বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের দেশদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালে লালদীঘি ময়দানে বলেছিলেন, তৎকালীন সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তারাই হবে দেশদ্রোহী।কিন্তু তিনি নিজে সেই নির্বাচনে যোগ দিয়ে নিজেকে জাতীয় বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রমাণ করেছেন। সুতরাং, সরকার এবং যারা নিজেদের জাতীয় বিশ্বাসঘাতক হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডার’ কর্তৃক বিরোধী দলের নেতাদের ওপর অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
এসময় মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের দ্বারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হলে তাদের দল যোগ্য জবাব দেবে।
ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে যোগদানের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, তারা এ ধরনের কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেবে না।
তিনি বলেন, ‘আসন ভাগাভাগির কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশে কোনো মঞ্চ-পরিচালিত নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। এটা মনে রাখবেন।’
আরও পড়ুন: ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
আব্বাস দলের সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এলডিপি নেতা ডা. রেদওয়ান আহমেদসহ কয়েকজন নেতার ওপর সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমরা যদি আবার কোনো আক্রমণ ও দমন-পীড়নের শিকার হই, আমরা একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। কাউকেই রেহাই দেয়া হবে না্।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা প্রতিরোধের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করব।
সমাবেশ, মিটিং, মিছিল করা রাজনৈতিক দলগুলোর মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে অনুমতির নামে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি আর চাইবে না।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পরিণতি রাজাপাকসের চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল
নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানসহ সকল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের পর নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় লালমনিরহাট শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাঠে বাইসাইকেল র্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাছাড়া ছয় লাখের বেশি মানুষ খুন ও গুমের শিকার হয়েছে। তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির র্যালি প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, ‘এটাকে আমি সাইকেল র্যালি বলতে চাই না। আমি এটাকে গণতন্ত্রের র্যালি বলে অভিহিত করতে চাই। আজকের এই র্যালির মধ্য দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হলো। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, যে চেতনার জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম, সেই চেতনা, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আজ লালমনিরহাট থেকে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হলো।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুর হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ক্রীড়া কমিটির সদস্য সচিব ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, জেলা বিএনপির সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, সদর বিএনপির আহ্বায়ক একেএম মমিনুল হকসহ রংপুর বিভাগের বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পরিণতি রাজাপাকসের চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল
ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যালট ভর্তি না করে ডিজিটালভাবে ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্তের অংশ হিসেবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে চায়।
বুধবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলটির নবগঠিত চাঁদপুর জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল। তারা (আ. লীগ)এখন ইভিএম ব্যবহার করতে চায়, যাতে রাতে ব্যালট না ভরা লাগে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য টুকু আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন দল নিজেদের মতো করে একটি কর্মসূচি নির্ধারণ করবে এবং ৯০% ভোটের ৮০% ভোট নিজেরা নেবে। এটি এমন এক চক্রান্ত যা দেশের মানুষ ও আমরা বুঝি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি বা অন্য বিরোধী দল কেউই অংশ নেবে না।
টুকু বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো অতীতে আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘আমরা আবার সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করব এবং আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি আদায় করব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পরিণতি রাজাপাকসের চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি বর্জন করলে নির্বাচন যে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না তা আওয়ামী লীগও ভালো করেই জানে।
বিএনপিকে অস্তিত্বের স্বার্থে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরামর্শ দেয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কটাক্ষ করে টুকু বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি পার্টি আছে এবং বেশিরভাগ লোক আমাদের সঙ্গে আছে। ‘তাদের কোনো দল নেই, শুধু পুলিশ ও গুণ্ডারা তাদের সঙ্গে আছে... আমরা এবার তাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না।’
তাদের দল শেষ পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবে এবং ২০১৮ সালের মতো তাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সমস্ত বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে এবং জনগণকে পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করেছে।
তিনি বলেন, ‘এবার নির্বাচন তখনই হবে যখন জনগণ বিজয়ী হবে এবং আমরা সেই নির্বাচনে যাব।’
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ২ দিনব্যাপী বিক্ষোভ
আ’লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস বিএনপিকে ধোঁকা দেয়ার ফাঁদ: রিজভী
ফরিদপুর জেলা আ’লীগের সম্মেলন বৃহস্পতিবার
দীর্ঘ সাত বছর পর আগামী ১২ মে (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। ফলে পদপ্রত্যাশী নেতারা ব্যাপক দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে।
সূত্র বলছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে একডজন পদপ্রত্যাশীর নাম।
জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়ক ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার মহাসড়কগুলোতেও তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও তোড়ণ স্থাপন করে জানান দেয়া হচ্ছে তাদের নাম।
এ পর্যন্ত তৃণমূলে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল হক ভোলা মাস্টার, আরেক সহ-সভাপতি শামীম হক, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য সাইফুল আহাদ সেলিম, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলী গের সভাপতি এমএ এমন মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের এক নং যুগ্ন সম্পাদক বেগম ঝর্ণা হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা উপপরিষদের সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে কামরুজ্জামান কাফি, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস, আওয়ামী লীগ নেতা মো. লিয়াকত হোসেন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু।
এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায় এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদের নামেও বিলবোর্ড ও ফেস্টুন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। ওই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এর এক বছরপর ৭১ সদস্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন
আওয়ামী লীগের পরিণতি রাজাপাকসের চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পরিণতি সংগ্রামরত শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে এই সরকারের শিক্ষা নিয়ে লাভ হবে না। কারণ শিক্ষা নিতে জানে না তারা। তাহলে এই ১০ বছরে শিক্ষা নিতে পারত।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল আরও বলেন, ‘তাদের (বর্তমান সরকারের) অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে। শ্রীলঙ্কার লোকেরা (শাসক দলের লোকেরা) নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে, আর তারা (আ.লীগ নেতারা) বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দেবে।’
সোমবার গভীরতর অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় গণ অসন্তোষের মুখে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেছেন।
ফখরুল বলেন, সোমবার রাতে তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে আসা এবং তাতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
দলের অবস্থান পুনরায় স্পষ্ট করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ২ দিনব্যাপী বিক্ষোভ
এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না। এই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটিও মনে করে জাতীয় নির্বাচনে ভোটের জন্য ইভিএম গ্রহণযোগ্য না।
প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন তা নিয়ে প্রশ্ন করে ফখরুল বলেন, ইভিএম ব্যবহার করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এতেই বোঝা যাচ্ছে সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির জন্য সরকারকে দায়ী করা হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বৈঠকে মনে করা হয় সরাসরি সরকারের মদদপুষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের সুবিধা দিতে (সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটি অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে।
ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বিদেশ সফরে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা প্রমাণ করেছে যে সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস বিএনপিকে ধোঁকা দেয়ার ফাঁদ: রিজভী
সরকার ক্ষমতা না ছাড়লে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় যাবে না বিএনপি: ফখরুল