রাজনীতি
মার্কিন প্রতিবেদনে দেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা ফুটে উঠেছে: বিএনপি
বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, তারা মনে করেন প্রতিবেদনে দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা ফুটে উঠেছে।
শুক্রবার এক বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' শাসনের ফলে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ আন্তর্জাতিকভাবে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, র্যাব ও এর সাত (সাবেক ও বর্তমান) কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সেই সত্যকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস এর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বান বিএনপির
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের কারাগারের অবস্থা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনি হস্তক্ষেপ ই্ত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের ফলে হেফাজতে মৃত্যু, আন্দোলনকারীদের বাবা-মা, ভাই-বোনদের গ্রেপ্তার, বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা, বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খালেদা জিয়াকে 'মিথ্যা' মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রকৃত সত্য প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচনকে একটি প্রহসন হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘অনির্বাচিত’ আওয়ামী সরকারের অধীনে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বান বিএনপির
সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারকে সাহায্য না করে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটি।
শুক্রবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ আপিল বিভাগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের করা লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেছেন ‘দুর্ভাগ্যবশত জনসাধারণের মনে ধারণা রয়েছে যে বিচার বিভাগসংবিধানে অর্পিত স্বাধীনতা রক্ষার পরিবর্তে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ, দখলদার ও অনির্বাচিত সরকারকে সংকীর্ণ উদ্দেশ্যে সহযোগিতা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের সভা এ ধরনের ঘৃণ্য প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
তিনি বলেন,আমরা সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে স্বাধীনভাবে বিচার বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন: বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের একটি রায় বহাল রাখে। যা ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য নিম্ন আদালতের পথ পরিষ্কার করে।
ফখরুল বলেন, ডা. জুবাইদার রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এ মামলায় জড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন,‘কোনো ভিত্তি ছাড়াই শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে হয়রানি ও অপমান করার জন্য মামলাটি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছে তা নির্দেশিত (অন্য কারো) বলে মনে হচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার বিচার বিভাগের ওপর ‘নিয়ন্ত্রণ’ ও ‘প্রভাব’ প্রতিষ্ঠা করে ‘মিথ্যা’ মামলা করে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, একইভাবে তারা (সরকার) রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।
সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র বিনষ্ট করে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: নিখিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে নব দিগন্তে, দুর্বার গতিতে, এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে শ্রবন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আগামী জাতীয় নির্বাচনে শ্রবন প্রতিবন্ধীদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস খান রিপনসহ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিরোধীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে: বিএনপি
পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে: জিএম কাদের
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিপীড়ন থেকে মুক্তি পাওয়ায় জনগণের আশা-আকাঙ্খার জায়গা হলো বিচার বিভাগ। দুর্ভাগ্যবশত, তারা (সরকার) বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মামলার রায় জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট আয়োজিত ইফতার পার্টিতে ফখরুল এ অভিযোগ করেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক আদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তবে সুপ্রিম কোর্ট ট্রায়াল কোর্টের দুর্নীতির একটি 'মিথ্যা' মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পথ পরিষ্কার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি এটা বৈধ নয়। আমরাও মনে করি বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে... তাই বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা এখন ন্যায়বিচার পাচ্ছে না।’
এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের একটি রায় বহাল রাখে। যাতে ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পথ পরিষ্কার হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আ.লীগ সরকারের অপকর্ম, চরম দুঃশাসন তুলে ধরা হয়েছে: বিএনপি
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের আড়ালে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তাই তারা একে একে সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগই সেই জায়গা, যাতে তারা প্রথমে হস্তক্ষেপ করেছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘অবৈধ’ ও ‘দখলকারী’ সরকার গণতন্ত্র ও সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বলে সারা দেশে অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিন বছর আগে তাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, আরও ৬০০ জনকে গুম করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারের বেশি জনকে হত্যা করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার বিকল্প নেই।
গুমের শিকার বিএনপি নেতাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে: জিএম কাদের
লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে রবিউল ইসলাম নামক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে পুলিশের হেফাজতে যুবকের মৃত্যুতে ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করেন বিরোধী দলের এই উপনেতা।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের নির্যাতনে রবিউলের মৃত্যু হলে দায়ী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অপরাধীকে কোনোভাবেই রেহাই দেয়া উচিত না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের নববর্ষের শুভেচ্ছা
কাদের বলেন, পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যু হয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
যদিও পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাতীয় পার্টির এই নেতা নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে: জিএম কাদের
বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে আওয়ামী লীগের ইফতার
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে। শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
কমিটির পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, মরক্কো, জার্মান, ভারত, চীন, সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধানরা ইফতারে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকটের বিএনপির আশা পূরণ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবংর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। অতিথিদের স্বাগত জানান আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।
ইফতারে প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মিশন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনৈতিক পদমর্যাদার ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যরাও অংশ নেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমুন্নত রাখুন: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দেশে খাদ্য সংকটের বিএনপির আশা পূরণ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে খাদ্য সংকট হোক’-বিএনপির এই আশা পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে চায় দেশে খাদ্য নিয়ে হাহাকার হোক, দুর্ভিক্ষ হোক। তারা মনে করে-দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, রাস্তাঘাটে মানুষ না খেয়ে মরে পড়ে থাকবে, আর তা নিয়ে আন্দোলন করে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাবে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শুক্রবার রাজধানীর শ্যামপুর মডেল স্কুল মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি ও কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করোনাকালেও দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে আছেন। কাজেই, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশে কখনও খাদ্য সংকট হবে না, কোন দুর্ভিক্ষও হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জোট, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবীরা করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বাংলাদশের ব্যর্থতা দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে তাদের এই চাওয়াকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন। এখন জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল। বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, করোনা মোকাবিলায়ও রোল মডেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
দেশের মানুষের বিপদে আপদে আওয়ামী লীগ সব সময়ই পাঁশে থাকে, বিএনপি কখনও থাকে না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশটাকে লুটপাট করে অর্থবিত্ত উপার্জন করেছেন, নিজেদের ভোগবিলাসে ব্যয় করেছেন আর বিদেশে পাচার করেছেন। প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াননি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীরা সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, মানুষকে সহযোগিতা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আ.লীগ সরকারের অপকর্ম, চরম দুঃশাসন তুলে ধরা হয়েছে: বিএনপি
বিএনপি বাংলাদেশে মানবাধিকার চর্চার ওপর মার্কিন প্রতিবেদনের প্রশংসা করেছে। দলটি বলেছে, এই প্রতিবেদনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্ম এবং 'চরম দুঃশাসন' তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগ সরকারের হাতে থাকা অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেয়া হয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে, বিরোধীদের নির্মূল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘আমি বলতে চাই, এই প্রতিবেদনে আওয়ামী সরকারের অপকর্ম প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রতিবেদনটি আরও পরামর্শ দেয় যে সরকার হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করেও কোনও অপকর্ম এবং চরম দুঃশাসনকে ধামাচাপা দিতে পারেনি,’ বিএনপি নেতা বলেছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন।
এই প্রতিবেদনে অধিকার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কঠোর এবং জীবন-হুমকিপূর্ণ কারাগারের অবস্থা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে গুরুতর সমস্যা এবং গোপনীয়তার সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনি হস্তক্ষেপ।
সরকার অবশ্য বুধবার মার্কিন প্রতিবেদনটিকে প্রত্যাখান করে বলেছে, মার্কিন প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে ‘সরকারবিরোধী প্রচারণা মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা কিছু ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গুম, নিপীড়ন বন্ধে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: ফখরুল
রিজভী বলেন, রাতভর ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে কবর দিতে দেশের আইন আদালতকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করেছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান, যিনি একেবারেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাকেও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারের প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি কাল্পনিক মামলায় জড়ানো হয়েছে।
‘বেগম খালেদা জিয়া সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিভ্রান্ত নয়,’ রিজভী বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার যতই ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করুক না কেন অন্যায়, দুঃশাসন ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমুন্নত রাখুন: ওবায়দুল কাদের
নিজ নিজ ধর্ম পালনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, ধর্মের নামে কোনরূপ বাড়াবাড়ি কোন ধর্মই অনুমোদন করে না। নিজ নিজ ধর্ম পালনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখি।’
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ওবায়দুল কাদের নিয়মিত বিফ্রিংকালে এসব বলে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রত্যাশা ও স্বপ্নের সাথে সঙ্গতি রেখে সকল কার্যক্রম এগিয়ে নেয়াই আজকের দিনের অঙ্গীকার।
তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পড়ুন: উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ
পাশাপাশি পহেলা বৈশাখে আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত, আরও আধুনিক ও স্মার্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে এদেশের গণমানুষের স্বপ্ন পূরণে ইতিবাচক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও করেন ওবায়দুল কাদের।
এবার বৈশাখ এসেছে রমজান মাসে তাই দেশবাসী জনগণ রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার পাশাপাশি আবহমান কাল থেকে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, এমন প্রত্যাশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দলকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথরেখায়, ইতিবাচক ধারাকে আরও বলিষ্ঠ ও বেগবান করা হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে আওয়ামী লীগ বদ্ধ পরিকর।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নানা বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে, তাই আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করি।
পড়ুন: পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কষ্ট হচ্ছে কেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো হচ্ছে না? তাদের মনের চিন্তা বাংলার মানুষ অশিক্ষিত থাকবে, চিকিৎসাসেবা পাবেনা, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এগুলো করতে করতে বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।’
বুধবার মানিকগঞ্জের আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে,তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শাসন আমলে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কোন উন্নয়ন করেনি, উন্নয়নের বিষয়টি উপলব্ধি করেনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ইমাজিং টাইগারে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরিচায় ড্রেজার বেইজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ড্রেজার বেইজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী