রাজনীতি
আ.লীগের প্রচারণায় বিদেশে মিশন ব্যবহার করছে সরকার: বিএনপি
আওয়ামী লীগের প্রচারণায় সরকার বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দূতাবাস/মিশনের প্রাথমিক দায়িত্ব। জনগণের করের টাকায় এ সব মিশনের ব্যয় বহন করে রাষ্ট্র।’
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, লজ্জাজনক ও অপেশাদার উপায়ে এসব মিশন জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘এসব সংস্থা মিথ্যা ও জনগণকে প্রতারিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘খালেদাকে সম্মননা দেয়া প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছে। তিনি নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে (র্যাবের ওপর) নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার (মিকস) বক্তব্যকে বিকৃত করে এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ধুম্রজাল তৈরি করে ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিশন শুধু সচেতন মানুষকেই প্রতারিত করেনি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশকে হেয় করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসম্যান মিকস নিজেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, তার নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিকস স্পষ্টভাবে র্যাব ও এর কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছেন। মিকস বলেছেন তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করাসহ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে তিনি কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন: পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রমাণ।’
তিনি বলেন, দুই দূতাবাসের এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে সরকারের ‘অশুভ’ প্রচেষ্টার সর্বশেষ প্রমাণ।
‘খালেদাকে সম্মননা দেয়া প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি উপাধি দেয়া কানাডীয় সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর পিস এন্ড জাস্টিস বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার সচিবালয়ে মঙ্গলবার ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই সংগঠন সম্পর্কে আপনাদের একটু তথ্য দেই। বিএনপি যে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল স্বনামে-বেনামে, আমরা গণমাধ্যমের সামনে এটা বেশ কয়েক বার বলেছি। একটি ফার্মের সঙ্গে বিএনপি নিজের নামে চুক্তি করেছিল। কিছু কিছু লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে আবার বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছিল।
সেখানে একটা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী হচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান থেকে খালেদা জিয়াকে পদক দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, অর্গানাইজেশন ফর পিস এন্ড জাস্টিস। এটা বিএনপির পক্ষে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে। অর্থাৎ এরা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট নিয়েছেন সেটা আবার গণমাধ্যমের সামনে দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
পদক পাওয়ার সাড়ে তিন বছর পর তা গণমাধ্যমের সামনে এনে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে ‘লাফিং স্টকে’ পরিণত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আমরা দেখলাম কানাডার একটি সংগঠন, যার নাম কেউ সহজে জানে না, যার জন্মও খুব বেশি দিন আগে না, তারা তাকে মাদার অব ডেমোক্রেসি বলে সনদ দিয়েছেন। এটি ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন।
সেটি দিয়েছে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে, সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি হঠাৎ জানলো খালেদা জিয়াকে এরকম একটি সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। আসলে পুরো বিষয়টি হলো হাস্যকর। যেভাবে সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি নেতারা এভাবে গণমাধ্যমের সামনে এসে এ কথাগুলো বললো সেটা হাস্যকর। বেগম খালেদা জিয়াকে একদম লাফিং স্টক হিসেবে বানিয়ে দেয়া হয়েছে এখানে।
তিনি বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন। সেখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল বিএনপি যেভাবে জ্বালাও পোড়াও করেছে, তারা ভবিষ্যতেও এরকম করতে পারে।
সেখানে আবার একটি তথাকথিক হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশন থেকে তারা (বিএনপি) আবার একটি সার্টিফিকেট কিনেছেন। বিএনপি একটা পদক কিনেছেন এটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সদস্য সচিব রফিকুল আলমসহ ১০ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে দেয়া অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী মান্নান, মো.মফিকুল ইসলাম, সোহেল শিকদার, জহিরুল ইসলাম, কাজী ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, মিন্টু, ফারহান আলী রছি, মনিরুল ইসলাম সজল ও সাদেকুর রহমান।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
এর আগে রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় রফিকুল আলমসহ ২৩ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
মায়া ও কামরুল আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হয়েছেন মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
সোমবার আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী লিটনকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত করেছেন। তিনি চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে কামরুল ইসলাম ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সোমবার সকাল ৯টায় হলের নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে যান এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তারা একসঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ১৮টি হলের সদ্য মনোনীত শীর্ষস্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা কর্মসূচীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
ঢাবির গেস্টরুমে নির্যাতন: ৩ ছাত্র বহিষ্কার
সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
সরকার সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম, আওয়ামী বাকশালী চেতনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ ‘মুজিবকোট’ পরা লোকেরাই সরকারের সার্চ কমিটিতে থাকবেন। নবগঠিত এই সার্চ কমিটি সেই অনুমানেরই নিরেট বাস্তবতা। এটাকে সার্চ কমিটি না বলে বরং ‘আওয়ামী লীগের খাস কমিটি’ বলাটাই যুক্তিযুক্ত মনে করি।”
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, এই সার্চ কমিটি এবং ইসি গঠন করতে তারা যাদের খুঁজে আনবে তারা সবাই একই নৌকার যাত্রী। তারা একই ঝাঁকের কৈ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সার্চ কমিটি যাদের নাম প্রস্তাব করবে তারা সবাই আওয়ামী পরিবারের সদস্য হবে।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ পরিবার দ্বারা আরেকটি নীলনকশার ভোট ডাকাতির নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে নিখাদ আওয়ামী লীগের চেতনার মানুষদের অনুসন্ধান করাই এই সার্চ কমিটির অভীষ্ট লক্ষ্য।’
এর আগে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান (সভাপতি) করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
সার্চ কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে।
সার্চ কমিটির সদস্যরা কীভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত তা বর্ণনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির বর্তমান প্রধান ওবায়দুল হাসান আগের দুই সার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পরীক্ষিত আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ পদপ্রার্থীও ছিলেন। তিনি বাকশাল ছাত্রলীগের বড় নেতা ছিলেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ছহুল হোসাইন সার্চ কমিটির সদস্য হয়েছেন। ২০১৮ সালে সিলেট-১ আসন থেকে সাংসদ পদের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন।’
তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান রাজবাড়ীর আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম হামিজ উদ্দিন সেখের ছেলে। তাঁর ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আরেক সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক জন্মান্ধ আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের একান্ত অনুরাগী ও দৃঢ় সমর্থক প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী তিনি। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের পুরোটা সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মেডিকেল সেন্টারে চাকরি করেছেন। হাসিনা মার্কা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এরা বিশেষজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
রিজভী বলেন, ‘এই সার্চ কমিটি অথবা নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের জনগণ বা বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ বিশ্বাস করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে আগামী নির্বাচন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সে ব্যবস্থা করুন।
সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না রেখে আগামী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন হবে 'অর্থহীন চর্চা’- এমনটাই মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সার্চ কমিটির কোনো মূল্য নেই। এটা একটি অর্থহীন চর্চা মাত্র।
ইউএনবির সঙ্গে ফোনালাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, সার্চ কমিটি নিয়ে তাদের দলের কোনো আগ্রহ নেই।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা মনে করি, জনগণকে আবারও প্রতারিত করতে সরকার অপকৌশলের অংশ হিসেবে এই কমিটি গঠন করেছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সার্চ কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশন কোনোটি নিয়েই জনগণ আগ্রহী নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নয় নির্বাচনকালীন সরকার জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণ মনে করে আগে একটি নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অতএব নির্বাচন কমিশন এখন কোনো ইস্যু নয়।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেই প্রশাসনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠিত হবে ইসি: আইনমন্ত্রী
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশ করে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সার্চ কমিটি তাদের দলের কথা বলার বিষয় নয়। তারা এ বিষয়ে আগ্রহী নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, তাদের দলের মূল ফোকাস হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি মনে করেন সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা মনে করি, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠ হতে পারে না। ভোটের সময় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমরা নির্বাচনে যাব না। ’
বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। আর ক্ষমতায় যেতে না পেরে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা প্রতিনিয়তই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বিএনপি তখন রীতিমতো টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশরিবোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ও নওপাড়া ইউনিয়নের নদীভাঙন কবলিত ৪০৩টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত পুনর্বাসন সহায়তার নগদ ৪৩ লাখ টাকা বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মূলত এদেশকে মনেপ্রাণে এখনও ধারণ করতে পারে নাই, তাদের ধ্যান-জ্ঞান হলো পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে জনকল্যাণের জন্য। আওয়ামী লীগই পৃথিবীর ইতিহাসে একটি মাত্র দল, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দল বাংলাদেশ নামের জন্ম হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এ অগ্রগতিকে ব্যহত করতে পারবে না।
এনামুল হক শামীম বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই এই দুর্গম চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এসেছে, এলাকা আলোকিত হয়েছে। এ এলাকায় এখন আর নদীভাঙন নেই। এ অঞ্চলের মানুষ সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলী গের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থতায় কর্মীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও নেতারা হতাশ এই ভেবে যে, বেগম জিয়ার সুস্থতা তাদের আন্দোলনে জল ঢেলে দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য 'খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বিদেশেই নিতে হবে' -এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাতে বিএনপি নেতারা হতাশ; কারণ তাকে বিদেশে নেয়ার জন্য তাদের দেশব্যাপী যে সভা-সমাবেশ আন্দোলন করছিল, তাতে পানি ঢেলে দিয়েছে ডাক্তাররা। ডাক্তারেরা বলছেন, তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছেন এবং তার যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আর্থরাইটিসসহ বার্ধক্যজনিত।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
কোনো ডাক্তার কি কখনো কোনো সংকটাপন্ন রোগীকে বাড়িতে পাঠায় -প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, 'রিজভী সাহেব হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল বকছেন। অপরদিকে কর্মীরা চেয়েছিলেন বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন, কিন্তু এতে নেতাদের মনে স্বস্তি নেই।'
সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সম্পাদক ফোরাম অনেকগুলো জনপ্রিয় পত্রিকার একটি বড় ফোরাম। করোনাকালের নানা প্রতিকূলতার এই সময়ে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র বন্টন যেন কয়েকটি পত্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে তাদের বকেয়া বিল সহজে পাওয়ার বিষয়গুলো তারা তুলে ধরেছেন।
ড. হাছান বলেন, 'বাংলাদেশ আজকে অনেক এগিয়ে গেছে, কিন্তু যাদের এই উন্নয়ন- অগ্রগতি পছন্দ নয়, তারা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যসহ সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র ও বিদেশিদের কাছে নানা ভুল তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং জনগণ যেন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয় সেবিষয়ে সম্পাদক ফোরাম তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।'
বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিমা খান মন্টি, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সদস্য দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মফিজুর রহমান খান বাবু ও রিমন মাহফুজ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
১৮ হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
১৩টি ছাত্র হলের নেতৃত্বে যারা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান; কবি জসীমউদ্দীন হলের সভাপতি মো. সুমন খলিফা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান; মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি আজহারুল ইসলাম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শান্ত; বিজয় একাত্তর হলের সভাপতি সাজিদুর রহমান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস; মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সভাপতি মারিয়াম জামান খান সোহান ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান; হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হলের সভাপতি শহীদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন; সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন; স্যার এ এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুন; জগন্নাথ হলের সভাপতি কাজল দাস ও সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মন; সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি তানভীর শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার; ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম; ফজলুল হক মুসলিম হলের সভাপতি আনোয়ার হাসান নাঈম ও সাধারণ সম্পদক আবু হাসিব মুক্ত; অমর একুশে হলের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হাসান সোহাগ।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
পাঁচ ছাত্রী হলের নেতৃত্বে যারা
বেগম রোকেয়ায়া হলের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথা; শামসুন্নাহার হলের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি ও সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রুবাইয়াত; বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইয়াসমিন; বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি হিসেবে পূজা কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রিমা আক্তার ডলি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নতুন হল নেতাদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ