রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি যে মিথ্যাচার করে সেটি খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি কেবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার সংবাদ এসেছে, এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যাতে বাসায় ফিরে যান। তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়াতিনি বলেন, বিএনপি যে তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করেছে, বেগম জিয়ার সুস্থতার মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তারা। ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। বলেছে বেগম জিয়াকে যদি বিদেশে নেয়া না হয় তাহলে তার যেকোনো সময় যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই যে কথাগুলো বলেছিলো, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে অপরাজনীতি করেছে এটিই আজকে প্রমাণিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বেও তারা একই কাজ করেছিলো। আগেও যখন বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন। বিদেশ না নিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না, এবারও একই কথা বলেছিলো। বিএনপি যে মিথ্যাচার করে, এটি প্রমাণিত হলো বেগম জিয়ার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে।এসময় তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো)'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ মঙ্গলবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘চিকিৎসকরা আজ সন্ধ্যায় ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ত্যাগ করবেন খালেদা।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
শায়রুল বলেন, এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত বিএনপি প্রধানের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা বিষয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে বিএনপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: কাদের
১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে তাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে তার দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দেশবিরোধী অপপ্রচার চালাতে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের সাম্প্রতিক প্রমাণের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রের অর্জন ও ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিরোধী দল অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই এই দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করছে। দেশের সব অর্জনের সঙ্গে রয়েছে দলটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা শেখ হাসিনার অর্জনকে বিতর্কিত করতে চায়। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেও বিতর্কিত করতে চায়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
দেশের জনগণের জন্য সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বিএনপি রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে বুঝতে পেরে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব) নিজে দস্তখত দিয়ে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য। সাহায্য মানুষের জন্য, জনগণের জন্য আসে; সাহায্য সরকারের জন্য আসে না। যে রাজনৈতিক দল নিজে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা মহামারি ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেক্ষে প্রতিরোধসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম গতকাল বিএনপির একটি সভা হয়েছে, সেই সভায় পলাতক আসামি তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেছেন। হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে, তারেক রহমানের ব্যাপারে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। কিন্তু আমি গণমাধ্যমে সেই সংবাদ দেখলাম। এটি হাইকোর্টের নির্দেশনার বরখেলাপ।’
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করতে হয়েছে।
বিএনপি করোনার টিকা নিয়ে যত অপপ্রচার চালিয়েছে সে জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদেরও আমরা করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছি। বিএনপির যে নেতারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, আসুন আমরা আপনাদের বুস্টার ডোজ দেব। যেন আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। কিন্তু দয়া করে অহেতুক সমালোচনা করবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন পাস করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ‘না’ রোগে পাওয়ায় তারা অহেতুক এ আইনের বিরোধিতা করছে। “আসলে বিএনপিকে ‘না’ রোগে পেয়ে বসেছে। সব কিছুতেই না বলা। না বলতে বলতে নিজেরাই যে কখন নাই হয়ে যায়, আমি সেই শঙ্কার মধ্যে আছি।”
আরও পড়ুন: বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বিএনপি দেশদ্রোহী কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
নয়া ইসি আইন বাকশাল আইনের মতো: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত সদ্য প্রণীত আইনটি বাকশাল আইনের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে যা সফলভাবে করতে পারেনি তা করতে গত ১৪ বছরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের আবরণ রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই।
সংসদে পাস হওয়া নতুন আইনটি নিয়ে রবিবার বিকালে ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫: বাকশাল’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। দেশ-বিদেশের বিএনপি নেতারা এতে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল গত দুটি নির্বাচনকেও ‘আড়ালে’ সাজিয়ে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা এখন সেই বাকশালের মতো আইন করেছে। বাকশাল আইন ১১ মিনিটে তৈরি করা হয়েছিল এবং এবার তারা সংসদে (ইসি) সাত দিনের মধ্যে একটি আইন পাস করেছে।
ফখরুল বলেন, বাকশাল এখন একটি গালাগালি শব্দে পরিণত হয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়েছিল। তৎকালীন দলীয় শাসন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের গেজেট প্রকাশ
একইভাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সবকিছুকে রাজনীতিকরণ করে জনগণের টাকা লুটপাটের সুযোগ তৈরি করেছে। সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডকে নৃশংসভাবে দমন করা হচ্ছে এবং গণতন্ত্রপন্থী মানুষ ও মুক্তচিন্তাকারীদের হত্যা ও গুম করার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক আইন করে সরকার জনগণের কণ্ঠকে দমন করছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
সরকার বাকশাল পুনরুদ্ধারে নানা পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের অধীনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সম্মতি দেন।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত আইন না থাকায় অতীতে রাষ্ট্রপতি সিইসি ও অন্যান্য ইসি নিয়োগ দিতেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস
ফরিদপুরে রাজাকারপুত্রকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে পদ দেয়ার অভিযোগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তযুদ্ধকালীন পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ছেলেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হারিচুর রহমান সোহানকে সংগঠনের উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হারিচুর রহমান সোহানের বাবা আলফাডাঙ্গা উপজেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মোল্যা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় ২ বন্ধু নিহত
এতে বলা হয়, আবদুর রহমান মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলায় পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত। সরকারের গেজেটে রাজাকার হিসেবে তার নামও রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তিনি।
এছাড়া আবদুর রহমানের বড় ছেলে নুরুল ইসলাম লিটন স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এক সময় উপজেলা যুবদলের সভাপতিও ছিলেন। পদ পাওয়া সোহান ছাত্র জীবনে কোনোদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেননি। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কোনো সভা-সমাবেশেও যোগ দেননি তিনি। ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি এনায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রবিন অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘কোনো স্বাধীনতা বিরোধীরপুত্র স্বেচ্ছাসেবক লীগে আসতে পারবে না। আমরা তদন্ত করব। সত্যতা পেলে যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ বলেন, ‘উপজেলা কমিটি আগে থেকে আমাদের কিছু জানায়নি। আমরাও হারিচুর রহমান সোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন তার বাবা একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বিএনপি দেশদ্রোহী কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সরকারের কর্মকান্ডের সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ধ্বংস করতে বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেয়া, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা দেশদ্রোহী ও দেশবিরোধী কাজ। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মূলত: বিএনপি ও তাদের নেতারা দেশদ্রোহী কাজ করছেন।'শনিবার দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে সেগুলো তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। অবৈধ অর্থ কোত্থেকে কিভাবে গেল, কারা নিলো সেগুলো খুঁজে বের করে সেই তদন্তের প্রক্ষিতে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীও সেদিন সংসদে বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।'
আরও পড়ুন: বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রীসম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'জনগণের উপর আস্থা থাকলে তো বিএনপির বিদেশিদের কাছে চিঠি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এদেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে এবং কারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে। মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে স্বাক্ষর করে ইউএস কংগ্রেসের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে যেভাবে চিঠি দিয়েছেন সেটি কোনভাবেই কাম্য নয়।'ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় লবিস্ট নিয়োগ করে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা এফবিআই এজেন্ট নিয়োগ করেছেন, সেই এজেন্টকে পরে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছেন কয়েক বছর আগে।'মন্ত্রী বলেন, 'এই কাজগুলো তো দেশবিরোধী। দেশোদ্রোহী এ কাজগুলো তারা করেছেন। তারা যে বিভিন্ন জায়গায় লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, সে ডকুমেন্ট আমার আইপ্যাডে সংগৃহীত আছে। এই নিয়ে গণমাধ্যমেও ডকুমেন্টসহ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। নিজের আইপ্যাড থেকে এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে প্রমাণপত্রগুলো দেখান তথ্যমন্ত্রী।এর আগে বক্তব্য দেয়ার সময় বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে একটি জাতীয় স্তরের গণমাধ্যম উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও টেরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশের সত্তর ভাগ অংশে এটি দেখা যায়। আর কেবল কানেকশন দিয়ে সারা দেশে এবং এপসের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষ দেখতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রীএসময় তিনি জানান, শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান নিয়ে বিটিভি’র অধীনে খুব শিগগিরই আরেকটি চ্যানেল চালু করা হবে। এছাড়া দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিটিভির নতুন কেন্দ্র চালুর প্রকল্প চলমান।চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় এখানে নতুন স্টুডিও, অডিটোরিয়াম ও নতুন ভবন হবে। ফলে এ কেন্দ্র থেকে আরও মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিদায়ী মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য ও এই পদে নবনিযুক্ত মাহফুজা আক্তার এবং কেন্দ্রের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার কারণে উত্তরবঙ্গে 'মঙ্গা' শব্দটি নিশ্চিহ্ন: পরশ
কোন এক অজানা কারণে কখনোই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় নি অতীতের কোন সরকার। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারই উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা চিন্তা করেন, তাদের সুখ-শান্তি ও জীবনমান উন্নয়নের কথা ভাবেন। একমাত্র শেখ হাসিনার কারণেই উত্তরবঙ্গে মঙ্গা শব্দটি আজ নিশ্চিহ্ন।
শুক্রবার বনানী মডেল স্কুল মাঠে অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।
এসময় রংপুর বিভাগের ৯টি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের কাছে রংপুর অঞ্চলের শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল হস্তান্তর করা হয়। বনানী মডেল স্কুল মাঠে প্রায় ১০০০ অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে যুবলীগ।
তিনি রংপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা ২০১০ সালে রংপুরকে বাংলাদেশে ৭ম প্রশাসনিক বিভাগ হিসাবে মর্যাদা দিয়েছেন। ৮টি জেলা, মোট ৩৩টি নির্বাচনী আসন নিয়ে আমাদের রংপুর বিভাগ। রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। এই বিভাগীয় সদর দপ্তরে প্রতিবন্দ্বী সাধারণ জনগণ অনন্য সেবা পাচ্ছেন। একেই বলে মানবিকতা।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা সহায়তায় ‘পরশ’
তিনি বলেন, রংপুর বিভাগকে এক সময় মঙ্গা কবলিত ও পশ্চাদপদ ভাবলেও গত ১৩ বছরে সে অবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। রংপুর বিভাগ এখন খাদ্য-শষ্য উদ্বৃত্ত একটি অঞ্চল। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনার ফলে আজ এই বিভাগের অভাব দূর হয়েছে। সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে এবং ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ পাইপলাইন এর কাজ চলছে। এই সকল কাজ রংপুর বিভাগের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
পরশ বলেন, রংপুর বিভাগ বিগত ১৩ বছরে পেয়েছে এক অনন্যরূপ। উন্নয়নের জয়যাত্রায় সমৃদ্ধ হয়েছে রংপুর বিভাগবাসী। আপনাদের এই কথাগুলো জনগণকে বলতে হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এক সময়ের মঙ্গা-পীড়িত উত্তরাঞ্চল এখন সমৃদ্ধ জনপদ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রংপুরে কোন মঙ্গা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে আর মঙ্গা দেখা দেয় নাই, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় নাই, মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে রংপুর। যেখানে এক সময় খাবারের অভাবে মানুষ মারা যেত। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নও হয়েছে।
এসময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উন্নয়ন করলে শত্রু ও চাপ বাড়ে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি সারা দুনিয়ায় দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দেশের রপ্তানি ও উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং দেশের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন হয় সেজন্য বহির্বিশ্বে কাজ করছে তারা।’
শুক্রবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য না দেয়ার জন্য ও সাহায্য পুনর্মূল্যায়নের জন্য। একটি দলের মহাসচিব কিভাবে এটা পারেন; বলেও তিনি প্রশ্ন রাখেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের কারণে দেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি জামায়াত তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। যে কারনে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: টিআইয়ের প্রতিবেদন গতানুগতিক ও একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
দলের তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের ভাগীদার দেশের জনগণ। কিন্তু এই সাফল্য তরুণ নেতাকর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে মাঝে মাঝে ম্লান হয়ে যায়। এসময় তিনি তরুণ নেতাকর্মীদেরকে ক্ষমতায় থাকাকালীন আরও বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ফেসবুকে তুলে ধরার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে যে এত উন্নয়ন হচ্ছে সেটি বেশি বেশি করে প্রচার করতে হবে। শুধু সেলফি তুলে ফেসবুকে দিলে হবে না। দেশের সাড়ে আট কোটি মানুষ এখন ফেসবুক ব্যবহার করে। গাড়িতে, বাসে, ট্রেনে এমনকি বাথরুমে বসেও ফেসবুক দেখে। সুতরাং আমাদের এই মাধ্যমটাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশবিরোধী বা সরকারবিরোধীপক্ষ ফেসবুকে অপপ্রচার চালালে আমাদের উচিত সেগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরা।সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ইসি আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি’র মন্তব্য ‘না বলা বাতিকের' প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী
ইসি গঠন বিল দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়: বিএনপি
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি বলেছে, এটি দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ইসি গঠনের বিল মানি না। এটা শুধু আমাদের কাছে নয় দেশের মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় এ বিল কেউ মানবে না।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাকশাল: গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস’ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় বর্তমান সংসদের এ ধরনের বিল পাস করার কোনো নৈতিক অধিকার ও এখতিয়ার নেই বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস
আগামী নির্বাচনে তাদের দলের অবস্থান সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না। কারণ তারা আবার বাকশালের ষড়যন্ত্রে পড়তে চান না।
এর আগে বৃহস্পতিবার ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে অবশেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে একটি আইনি কাঠামো পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান ও পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনকে আইনি কাঠামো দিতে ২৩ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বুধবার কমিটির সভাপতি এম শহীদুজ্জামান সরকার মূল বিলে কিছু পরিবর্তন এনে কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলে আইনটির মাধ্যমে সার্চ কমিটির সব কার্যক্রমকে আইনি কাঠামো দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের বিলের প্রতিবেদন সংসদে পেশ
নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি