রাজনীতি
নয়া ইসি আইন বাকশাল আইনের মতো: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত সদ্য প্রণীত আইনটি বাকশাল আইনের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে যা সফলভাবে করতে পারেনি তা করতে গত ১৪ বছরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের আবরণ রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই।
সংসদে পাস হওয়া নতুন আইনটি নিয়ে রবিবার বিকালে ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫: বাকশাল’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। দেশ-বিদেশের বিএনপি নেতারা এতে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল গত দুটি নির্বাচনকেও ‘আড়ালে’ সাজিয়ে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা এখন সেই বাকশালের মতো আইন করেছে। বাকশাল আইন ১১ মিনিটে তৈরি করা হয়েছিল এবং এবার তারা সংসদে (ইসি) সাত দিনের মধ্যে একটি আইন পাস করেছে।
ফখরুল বলেন, বাকশাল এখন একটি গালাগালি শব্দে পরিণত হয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়েছিল। তৎকালীন দলীয় শাসন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের গেজেট প্রকাশ
একইভাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সবকিছুকে রাজনীতিকরণ করে জনগণের টাকা লুটপাটের সুযোগ তৈরি করেছে। সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডকে নৃশংসভাবে দমন করা হচ্ছে এবং গণতন্ত্রপন্থী মানুষ ও মুক্তচিন্তাকারীদের হত্যা ও গুম করার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক আইন করে সরকার জনগণের কণ্ঠকে দমন করছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
সরকার বাকশাল পুনরুদ্ধারে নানা পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের অধীনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সম্মতি দেন।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত আইন না থাকায় অতীতে রাষ্ট্রপতি সিইসি ও অন্যান্য ইসি নিয়োগ দিতেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস
ফরিদপুরে রাজাকারপুত্রকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে পদ দেয়ার অভিযোগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তযুদ্ধকালীন পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ছেলেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হারিচুর রহমান সোহানকে সংগঠনের উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হারিচুর রহমান সোহানের বাবা আলফাডাঙ্গা উপজেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মোল্যা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় ২ বন্ধু নিহত
এতে বলা হয়, আবদুর রহমান মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলায় পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত। সরকারের গেজেটে রাজাকার হিসেবে তার নামও রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তিনি।
এছাড়া আবদুর রহমানের বড় ছেলে নুরুল ইসলাম লিটন স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এক সময় উপজেলা যুবদলের সভাপতিও ছিলেন। পদ পাওয়া সোহান ছাত্র জীবনে কোনোদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেননি। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কোনো সভা-সমাবেশেও যোগ দেননি তিনি। ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি এনায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রবিন অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘কোনো স্বাধীনতা বিরোধীরপুত্র স্বেচ্ছাসেবক লীগে আসতে পারবে না। আমরা তদন্ত করব। সত্যতা পেলে যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ বলেন, ‘উপজেলা কমিটি আগে থেকে আমাদের কিছু জানায়নি। আমরাও হারিচুর রহমান সোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন তার বাবা একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বিএনপি দেশদ্রোহী কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সরকারের কর্মকান্ডের সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ধ্বংস করতে বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেয়া, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা দেশদ্রোহী ও দেশবিরোধী কাজ। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মূলত: বিএনপি ও তাদের নেতারা দেশদ্রোহী কাজ করছেন।'শনিবার দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে সেগুলো তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। অবৈধ অর্থ কোত্থেকে কিভাবে গেল, কারা নিলো সেগুলো খুঁজে বের করে সেই তদন্তের প্রক্ষিতে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীও সেদিন সংসদে বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।'
আরও পড়ুন: বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রীসম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'জনগণের উপর আস্থা থাকলে তো বিএনপির বিদেশিদের কাছে চিঠি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এদেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে এবং কারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে। মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে স্বাক্ষর করে ইউএস কংগ্রেসের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে যেভাবে চিঠি দিয়েছেন সেটি কোনভাবেই কাম্য নয়।'ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় লবিস্ট নিয়োগ করে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা এফবিআই এজেন্ট নিয়োগ করেছেন, সেই এজেন্টকে পরে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছেন কয়েক বছর আগে।'মন্ত্রী বলেন, 'এই কাজগুলো তো দেশবিরোধী। দেশোদ্রোহী এ কাজগুলো তারা করেছেন। তারা যে বিভিন্ন জায়গায় লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, সে ডকুমেন্ট আমার আইপ্যাডে সংগৃহীত আছে। এই নিয়ে গণমাধ্যমেও ডকুমেন্টসহ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। নিজের আইপ্যাড থেকে এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে প্রমাণপত্রগুলো দেখান তথ্যমন্ত্রী।এর আগে বক্তব্য দেয়ার সময় বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে একটি জাতীয় স্তরের গণমাধ্যম উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও টেরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশের সত্তর ভাগ অংশে এটি দেখা যায়। আর কেবল কানেকশন দিয়ে সারা দেশে এবং এপসের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষ দেখতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রীএসময় তিনি জানান, শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান নিয়ে বিটিভি’র অধীনে খুব শিগগিরই আরেকটি চ্যানেল চালু করা হবে। এছাড়া দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিটিভির নতুন কেন্দ্র চালুর প্রকল্প চলমান।চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় এখানে নতুন স্টুডিও, অডিটোরিয়াম ও নতুন ভবন হবে। ফলে এ কেন্দ্র থেকে আরও মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিদায়ী মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য ও এই পদে নবনিযুক্ত মাহফুজা আক্তার এবং কেন্দ্রের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার কারণে উত্তরবঙ্গে 'মঙ্গা' শব্দটি নিশ্চিহ্ন: পরশ
কোন এক অজানা কারণে কখনোই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় নি অতীতের কোন সরকার। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারই উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা চিন্তা করেন, তাদের সুখ-শান্তি ও জীবনমান উন্নয়নের কথা ভাবেন। একমাত্র শেখ হাসিনার কারণেই উত্তরবঙ্গে মঙ্গা শব্দটি আজ নিশ্চিহ্ন।
শুক্রবার বনানী মডেল স্কুল মাঠে অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।
এসময় রংপুর বিভাগের ৯টি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের কাছে রংপুর অঞ্চলের শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল হস্তান্তর করা হয়। বনানী মডেল স্কুল মাঠে প্রায় ১০০০ অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে যুবলীগ।
তিনি রংপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা ২০১০ সালে রংপুরকে বাংলাদেশে ৭ম প্রশাসনিক বিভাগ হিসাবে মর্যাদা দিয়েছেন। ৮টি জেলা, মোট ৩৩টি নির্বাচনী আসন নিয়ে আমাদের রংপুর বিভাগ। রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। এই বিভাগীয় সদর দপ্তরে প্রতিবন্দ্বী সাধারণ জনগণ অনন্য সেবা পাচ্ছেন। একেই বলে মানবিকতা।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা সহায়তায় ‘পরশ’
তিনি বলেন, রংপুর বিভাগকে এক সময় মঙ্গা কবলিত ও পশ্চাদপদ ভাবলেও গত ১৩ বছরে সে অবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। রংপুর বিভাগ এখন খাদ্য-শষ্য উদ্বৃত্ত একটি অঞ্চল। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনার ফলে আজ এই বিভাগের অভাব দূর হয়েছে। সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে এবং ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ পাইপলাইন এর কাজ চলছে। এই সকল কাজ রংপুর বিভাগের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
পরশ বলেন, রংপুর বিভাগ বিগত ১৩ বছরে পেয়েছে এক অনন্যরূপ। উন্নয়নের জয়যাত্রায় সমৃদ্ধ হয়েছে রংপুর বিভাগবাসী। আপনাদের এই কথাগুলো জনগণকে বলতে হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এক সময়ের মঙ্গা-পীড়িত উত্তরাঞ্চল এখন সমৃদ্ধ জনপদ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রংপুরে কোন মঙ্গা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে আর মঙ্গা দেখা দেয় নাই, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় নাই, মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে রংপুর। যেখানে এক সময় খাবারের অভাবে মানুষ মারা যেত। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নও হয়েছে।
এসময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উন্নয়ন করলে শত্রু ও চাপ বাড়ে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি সারা দুনিয়ায় দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দেশের রপ্তানি ও উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং দেশের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন হয় সেজন্য বহির্বিশ্বে কাজ করছে তারা।’
শুক্রবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য না দেয়ার জন্য ও সাহায্য পুনর্মূল্যায়নের জন্য। একটি দলের মহাসচিব কিভাবে এটা পারেন; বলেও তিনি প্রশ্ন রাখেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের কারণে দেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি জামায়াত তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। যে কারনে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: টিআইয়ের প্রতিবেদন গতানুগতিক ও একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
দলের তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের ভাগীদার দেশের জনগণ। কিন্তু এই সাফল্য তরুণ নেতাকর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে মাঝে মাঝে ম্লান হয়ে যায়। এসময় তিনি তরুণ নেতাকর্মীদেরকে ক্ষমতায় থাকাকালীন আরও বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ফেসবুকে তুলে ধরার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে যে এত উন্নয়ন হচ্ছে সেটি বেশি বেশি করে প্রচার করতে হবে। শুধু সেলফি তুলে ফেসবুকে দিলে হবে না। দেশের সাড়ে আট কোটি মানুষ এখন ফেসবুক ব্যবহার করে। গাড়িতে, বাসে, ট্রেনে এমনকি বাথরুমে বসেও ফেসবুক দেখে। সুতরাং আমাদের এই মাধ্যমটাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশবিরোধী বা সরকারবিরোধীপক্ষ ফেসবুকে অপপ্রচার চালালে আমাদের উচিত সেগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরা।সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ইসি আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি’র মন্তব্য ‘না বলা বাতিকের' প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী
ইসি গঠন বিল দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়: বিএনপি
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি বলেছে, এটি দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ইসি গঠনের বিল মানি না। এটা শুধু আমাদের কাছে নয় দেশের মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় এ বিল কেউ মানবে না।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাকশাল: গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস’ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় বর্তমান সংসদের এ ধরনের বিল পাস করার কোনো নৈতিক অধিকার ও এখতিয়ার নেই বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস
আগামী নির্বাচনে তাদের দলের অবস্থান সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না। কারণ তারা আবার বাকশালের ষড়যন্ত্রে পড়তে চান না।
এর আগে বৃহস্পতিবার ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে অবশেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে একটি আইনি কাঠামো পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান ও পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনকে আইনি কাঠামো দিতে ২৩ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বুধবার কমিটির সভাপতি এম শহীদুজ্জামান সরকার মূল বিলে কিছু পরিবর্তন এনে কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলে আইনটির মাধ্যমে সার্চ কমিটির সব কার্যক্রমকে আইনি কাঠামো দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের বিলের প্রতিবেদন সংসদে পেশ
নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি
ইউপি নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতকানিয়ায় ১৮ জনকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ১৮ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি।
পরে রাতে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ চার শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
বহিষ্কার হওয়া বিদ্রোহীরা হলেন-চরতীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, নলুয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তসলিমা আবছার, উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, কাঞ্চনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ ছালাম, আমিলাইশে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ এম হানিফ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এস এম হারুন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ঢেমশায় সাতকানিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, পশ্চিম ঢেমশায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল মাবুদ সেন্টু ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিদোয়ানুল ইসলাম সুমন, কালিয়াইশে যুবলীগ নেতা ফেরদৌস চৌধুরী সোহেল ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য এডভোকেট আতাউর রহমান, ধর্মপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, বাজালিয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, ছদাহায় কক্সবাজার পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক মাহমুদ, সোনাকানিয়ায় উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সেলিম উদ্দিন চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাষ্টার আবু তাহের।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হবে। এছাড়াও যারা বিদ্রোহীদের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেবে তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য-সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পড়ুন: ঢাবি ছাত্রকে নির্যাতনের দায়ে সিফাতকে হল থেকে বহিষ্কার
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও জ্যৈষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার পালিত হবে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালনের উদ্দ্যেশ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন।
এছাড়া বেলা ১১টার দিকে কিবরিয়ার পরিবার পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানের তার কবর প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
কিবরিয়া হত্যা মামলায় ন্যায় বিচারের দাবিতে সেখানে একটি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করবেন তার পরিবার।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ পাঁচজন এবং আহত হন অন্তত ৪৫ জন।
এ ঘটনায় ওই দিনই রাতে দুটি মামলা করা হয়।
হামলার ১০ বছর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু হয়।
২০১৫ সালে হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়।
বর্বর এ হামলার ঘটনার ১৭ বছর পার হলেও দুই মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ
কিবরিয়া হত্যা: পাঁচ বছরে সাক্ষ্য দিল মাত্র এক-চতুর্থাংশ সাক্ষী
জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৪ বছর বয়স পূর্ণ হলো বুধবার (২৬ জানুয়ারি)। প্রতিবারের মতো এবারও এই বিএনপি নেতা জন্মদিনে তার পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন।
জন্মদিনের সকালে তার ঘুম ভেঙেছে বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ আর বোন আনারকলি ফরহাদ বানু নাগিনা আমিনের ফোন পেয়ে। উভয়ই তাকে ‘শুভ জন্মদিন’ বলে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জন্মদিন উদযাপনের কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিল না; তবে তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং দেশ-বিদেশের দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি সাধারণত আমার জন্মদিন উদযাপন করি না। সকালে ঘুম থেকে উঠে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমার বড় মেয়ের ফোন আসে, সে আমাকে শুভেচ্ছা জানায়। তারপর আমার বোন, ছোট মেয়েও আমাকে ফোন করে ‘শুভ জন্মদিন’ বলে শুভেচ্ছা জানায়।
ফখরুল জানান, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও, তিনি এখনও খুবই দুর্বল।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশকে বাঁচাতে চাইছে, কোনো ক্ষতি করছে না: ফখরুল
তিনি জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের সিনিয়র নেতা, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরাও তাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ফখরুলের ভাষায়, ‘আমার জন্মদিন এভাবেই কেটে যাচ্ছে।’
জন্মদিন উপলক্ষে তার অনুভূতি জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, জন্মদিন মানে আমার জীবন থেকে আরেকটি বছর হারিয়ে গেছে এবং পৃথিবীতে আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। আমার বয়স এখন ৭৪ বছর, আপনি বলতে পারেন এটি আমার একটি দীর্ঘ যাত্রা এবং আমি অনেক কিছু দেখেছি...আমি বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পেয়েছি। জীবন আমার কাছে সুন্দর!
বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ সময় পার করছে বলে আক্ষেপ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং খারাপ দিন শেষ হবে। বাংলাদেশের মানুষ কখনও হেরে যায় না।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল। তার বাবা প্রয়াত মির্জা রুহুল আমিন ছিলেন একজন মুসলিম লীগ নেতা এবং পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী।
ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
পরে তিনি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। আশির দশকে শিক্ষকতা ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন ফখরুল।
২০০১ সালে বিএনপির টিকিটে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বগুড়া-৬ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করায় তিনি শপথ নেননি।
২০১১ সালে দলের তৎকালীন মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ফখরুলকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালে তাকে দলের মহাসচিব পদের পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
বিএনপি দেশকে বাঁচাতে চাইছে, কোনো ক্ষতি করছে না: ফখরুল
দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আনা অভিযোগকে প্রত্যাখান করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা শুধু ‘দুর্বৃত্তদের’ হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে বিএনপি কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। আশা করছি আপনাদের (সাংবাদিক) এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল আরও বলেন, বিএনপির লবিস্টদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
১০ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল এবং তার স্ত্রী করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার বেশ কয়েকদিন পর গণমাধ্যমের সামনে এটি ছিল তার প্রথম উপস্থিতি।
এসময় তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই; আমরা যাই করি না কেন, আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্যই করি। তার মানে এই না যে আমরা দেশকে বাঁচানোর জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছি... আমি আবারও বলছি, আমরা যাই করি না কেন, দেশকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই করি। কিন্তু আমরা লবিস্ট নিয়োগ করেছি এ কথা ঠিক না।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে ছাত্রদলের প্রতীকী অনশনে পুলিশের বাধা
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, তাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এর আগেও স্পষ্টভাবে বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশ থেকে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি।
আগের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ সুশাসন ও বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, আর বিএনপি দেশের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক লবিস্ট নিয়োগ করেছে।
এদিকে, গত ১৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের জন্য কমপক্ষে তিন দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে এবং তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক নথি শেয়ার করেছেন।
এই ঘটনার দুই দিন পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের ‘অপকর্ম ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড’ ঢাকতে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে জনগণের অর্থ ব্যয় করেছে।
আরও পড়ুন: নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি
সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র: রুমিন ফারহানা