রাজনীতি
খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
খালেদা জিয়া ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যান্টনমেন্টে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন জানিয়ে তিনি কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে নিতে লোক পাঠিয়ে ছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া নিজের নিরাপত্তার জন্য ক্যান্টনমেন্টে থেকে যান।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা জনতা সমাবেশে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দের সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সিলেট ৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন, সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, ছাতক উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার তোতা মিয়া।
এসময় সমাবেশে আগত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রেশন, বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ স্মার্ট কার্ড প্রদানের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত: চিকিৎসক
ভোলায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৩০
আসন্ন পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১২ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিবের সমর্থকের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আহত ৭, আটক ৫
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮ টায় সদর উপজেলার শিবপুরের ৫নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) সিরাজুল ইসলাম রাকিবের কয়েকজন সমথর্কেরর মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় রতনপুর বাজার, শান্তির হাটসহ বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয় উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, ৬নং ওয়ার্ডে ওঠান বৈঠক চলাকালে খবর পান তার তিনটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে এবং তার ১০ জন কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। বিএনপি জামায়াতের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ হামলা চালিয়েছে। তার লোকজনকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি বর্ষণ করে। বিভিন্ন বাড়ি ঘর ভাঙচুল। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ নির্বাচন কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: নেত্রকোণায় হামলা ও সংঘর্ষে আহত ২৫
স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) সিরাজুল ইসলাম রাকিবের অভিযোগ, ইভিএম ভোটের নিয়ম দেখানোর সময় নৌকার সমর্থকরা গুলি করে হামলা চালায়। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে মারধর করেছে। তার পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে ও অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনী আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙের চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান আন্দোলন থামবে না। দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বর্তমান দানব শাসনের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ঠাকুরগাঁও শহরের গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির অয়োজনে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হবে না। আসুন এই জনসভা থেকে আমরা শপথ নিই যে যতক্ষণ না আমরা এই শাসককে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে ঘরে ফিরব না। আমাদের আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন আন্দোলনে খালেদার ভূমিকার কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, নেত্রী এখন উন্নত চিকিৎসার অভাবে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন। আমরা তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের আহ্বানে কর্ণপাত করছে না।
চলমান আন্দোলনকে একটি শক্তিশালী আন্দোলন দাবি করে এই বিএনপি নেতা জানান, খালেদার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এক মাস ধরে সারাদেশে আন্দোলন করছেন তারা। আন্দোলন মানে হরতাল-অবরোধ নয়। সমাবেশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ জোর গলায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সংলাপে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে বঙ্গভবন থেকে সংলাপে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার আগেই দলটি এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে।
এর আগে ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলে তাদের স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, তাদের নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন ইসি গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপ, সময়ের অপচয় মাত্র বলে মনে করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
এ ধরনের সংলাপের পূর্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। তাই, অর্থহীন কোনো সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না।
গত ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন ইসি গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন।
আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে এসে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে অংশ নিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কেউ সংলাপে আসুক বা না আসুক নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকবে না।
ওবায়দুল কাদের বুধবার সকালে তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন এবং এই সংলাপে নাকি সংকটের সমাধান হবে না, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগেও নির্বাচন কমিশন গঠনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল, এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
গতবারও বিএনপি'র তালিকা থেকে একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা যাবে না, নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে বিএনপি কি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চায়, নাকি বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
সরকার নাকি দেশকে অগণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নিরলস প্রয়াসে বিএনপিই পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনপির বহুদলীয় তামাশা আর ভোটারবিহীন নির্বাচনই দেশকে গণতন্ত্র থেকে ছিটকে দিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক এবং লুটপাটের রাজনীতির জনক বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের বুলি ছাড়লেও অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা আর সুবিধাবাদ লালন করে।
তিনি বলেন, বিএনপিই এদেশকে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে বিশ্ব-দরবারে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সরকার নাকি বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মিথ্যাচার করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন , সরকার নয়, মিথ্যাচার আর বিএনপি এখন সমার্থক শব্দ।
বিএনপি নেতাদের অবিরাম মিথ্যাচারের দাপটে এখন আর তাদের বক্তব্যে সত্যের লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না এমন দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার মামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তারা মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির উপরই ভরসা করে চলেছে।
তিনি বলেন, বন্দি বেগম জিয়া অধিকতর শক্তিশালী- এ দর্শন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা মুক্তির চেষ্টাও করেনি, আইনগত লড়াইও তেমনটা করেনি, তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপরাজনীতির দাবার গুটি হয়েছেন বেগম জিয়া।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও অতি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা চিকিৎসার চেয়ে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলকেই অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে, বরং শেখ হাসিনাই বেগম জিয়ার প্রতি উদারতা এবং মানবিকতার নজির স্থাপন করেছেন। অথচ সেই কৃতজ্ঞতাবোধও বিএনপিতে নেই।
জনগণের সম্পদ লুন্ঠনের টাকায় চলছে বিএনপি নেতাদের বিলাসী জীবন এমন মনে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তাদের মুখে জনগণের কথা লোক দেখানো বাক্য ছাড়া আর কিছু নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা এখন সাইড- লাইনে, যার বা যাদের নির্দেশে দল চলছে তারা মাঠের বাস্তবতা বুঝে না, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেন- তেন উপায়ে ক্ষমতা দখল এবং লুটপাটে লেগে যাওয়াই এখন বিএনপির একমাত্র টার্গেট।
পরে ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশনা আরা মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
ফেনীতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিএনপির মিছিল-পথসভা, পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
ফেনীতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিএনপির মিছিল ও পথসভাকে কেন্দ্র করে বুধবার দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় দুই পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম যায়নি।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ অধ্যাপক জয়নাল আবদীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ।
অধ্যাপক জয়নাল আবদীন বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পণ্ড করতে যুবলীগ অযাচিত সমাবেশ ডেকে ১৪৪ ধারা জারি করে। এভাবে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।
ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মেসবাহ উদ্দিন জানান, পূর্ব নির্ধারিত জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা শহরের ইসলামপুর রোডের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে দিতে চাইলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ: ফেনীতে ১৪৪ ধারা জারি
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহফুজুল হক বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ফেনী ওয়াপদা মাঠসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে শহরজুড়ে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, একই স্থানে বিএনপি ও যুবলীগের সভা আহ্বান করায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় শহর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফেনী শহর ও পৌর এলাকায় এই ১৪৪ ধার বলবৎ থাকবে। ১৪৪ ধারা বাস্তবায়নে এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদারকি করছেন।
আরও পড়ুন: নিজেদের অপকর্মের ভারে আ ’লীগ সরকার এখন পতনের পথে: বিএনপি
বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ: ফেনীতে ১৪৪ ধারা জারি
বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে ফেনীতে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ফেনীতে মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিএনপি সমাবেশ করার কথা ছিল। ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে ফেনী জেলা বিএনপির পূর্বঘোষিত জনসভা স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধায় হঠাৎ করেই ওয়াপদা মাঠে বিএনপির সমাবেশস্থলে পাল্টা সমাবেশ ডেকেছে যুবলীগ।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলায় দোকান কর্মচারীর ‘মৃত্যু’
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, উক্ত স্থানে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ করার কথা ছিল। অনিবার্যকারণ বশত তা স্থগিত করা হয়। বুধবার একই স্থানে সমাবেশ করতে বিএনপির আবেদনটি পুলিশ বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য না পাওয়ায় বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, অন্যদিকে জেলা যুবলীগ উক্ত স্থানে কর্মীসমাবেশের জন্য অনুমতি চায়। একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিরনিদ্রায় শায়িত জয়নাল হাজারী
আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারী আর নেই
চিরনিদ্রায় শায়িত জয়নাল হাজারী
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য জয়নাল হাজারীকে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে ফেনী পৌর শহরের মাস্টারপাড়া হাজারী বাড়ির মুজিব উদ্যানে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল সাড়ে ৩টায় ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জয়নাল হাজারীর মরদেহ এসে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ হাজারো মানুষ তাকে এক নজর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে একই দিন সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
৭৬ বছর বয়সী প্রবীণ এই নেতা সোমবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড বিশেষায়িত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, জয়নাল হাজারী হৃদযন্ত্র, কিডনি ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ বলেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, এটি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য ডাক দিয়েছেন। এই সংলাপ অর্থহীন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
এ সময় সরকারের পদত্যাগসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচনকালীন সরকারটা কে থাকবে? সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
তিনি বলেন, এ ধরনের সংলাপ আগেও হয়েছিল এবং সরকার ২০১৪ সালে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, যখন ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের ভোটের আগের রাতে ভোট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জনগণবিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনও তিনি হাসপাতালের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম, খুন, হত্যা অপহরণ এই সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের আইন আছে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
সরকার জনগণের শক্তিকে ভয় পায়: গয়েশ্বর চন্দ্র
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সরকার জনগণের শক্তিকে ভয় পায়। তাই বিএনপিকে সমাবেশ আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করছে। নওগাঁ জেলা বিএনপির ডাকা জনসমাবেশে বিপুল পরিমাণ জনগণের উপস্থিতি টের পেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে এই সরকার আবারও প্রমাণ করল তারা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।’
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নওগাঁ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের একটি কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে এক মুহূর্তও সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
লিখিত বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সনের মুক্তি ও তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই সময়ে একই স্থানে জেলা যুবলীগও সভার আহ্বান করে। এরপর জেলা বিএনপি শহরের এটিম মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে জেলা ছাত্রলীগ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সরকারকে বলব, এসবের অর্থ কী, দেশবাসী সব বোঝে। সমাবেশ ঘিরে সরকার পরিকল্পিতভাবে নাটক তৈরি করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আজকে আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। তাই আগামীতে অনুমতি ছাড়াই এই নওগাঁতে সমাবেশ হবে। আপনাদের সেই ধরনের মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। স্থগিত হওয়া এই সমাবেশ যে কোনো সময় ডাকা হতে পারে। সেই সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।’
সরকারকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সময় থাকতে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তা না হলে পালাবার পথটুকুও পাবেন না। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেই পথও বন্ধ করে দিতে শুরু করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল হক চন্দন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
এর আগে গত সোমাবার সকালে একই স্থানে একই সময়ে বিএনপি ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সভা আহ্বান করায় শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় নওগাঁ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সোমবার বিকাল ৩টা থেকে আগামীকাল বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত নওগাঁ পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পূর্বঘোষিত স্থানে সমাবেশ আয়োজনের ব্যাপারে অনড় থাকার ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপি। তবে রাতে সমাবেশ স্থগিত করার ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপি।
এদিকে, আজ সকাল থেকেই নওগাঁ শহরের সঙ্গে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এতে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।