রাজনীতি
বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
বিএনপির সভা-সমাবেশ বন্ধ করতে সরকার জনসমাবেশ বন্ধসহ নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শুধু বিএনপির সমাবেশ ঠেকানোর জন্যই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কি না তা নিয়ে জনগণ প্রশ্ন করছে। কারণ জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জনগণ তাদের দলের সমাবেশে যোগ দেয়ায় সরকার ভয় পেয়েছে।
রিজভী সতর্ক করে বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন বর্তমান সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। মামলা, সাজা ও বিধিনিষেধ দিয়ে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে জনগণকে আর দমন করা যাবে না।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সরকার সোমবার জনসমাগম, সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
ইসি গঠনের আগে সংলাপ তামাশা মাত্র: বিএনপি
সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম করোনা পজেটিভ হয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, করোনার বুস্টার ডোজ নেয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রী অসুস্থ বোধ করছিলেন। রবিবার তাদের করোনা পরীক্ষা করালে পজেটিভ আসে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে
তিনি বলেন, এই দম্পতি তাদের উত্তরার বাসায় আইসোলেশনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের ওষুধ বিশেষজ্ঞ ডা. রায়হান রাব্বানীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তাদের সার্বিক অবস্থা ভালো আছে বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
সর্বশেষ ৮ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আয়োজনে এক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার মন্দার পর বৈদেশিক কর্মসংস্থানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ
করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের কঠোর বিধিনিষেধ
ইসি গঠনের আগে সংলাপ তামাশা মাত্র: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপ তামাশা ছাড়া আর কিছু নয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইচ্ছায় ইসি গঠিত হবে।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা আগে দেখতাম ট্রেনে-বাসে বড়ি বিক্রি করতে হকার অত্যন্ত মজার মজার চমকপ্রদ অনেক কাহিনী বলত, গল্প বলত, মানুষকে আকৃষ্ট করত। তারপরে সে বড়িটা বিক্রি করত। রাষ্ট্রপতি হলেন সে ধরনের হকার। তিনিও সংলাপের নামে একই ধরনের কাজ করছেন।’
সোমবার এক মানবন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ও ফাঁকি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমে তামাশা করছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আল্টিমেটলি যে নির্বাচন কমিশন বানানো হবে- সেখানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটবে। তার আগে একটা তামাশা করে যাচ্ছেন, তার আগে একটা হকারের সেই চমকপ্রদ কাহিনী তিনি করছেন।’
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ যৌথভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানবন্ধনের আয়োজন করে।
২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে যা করার দরকার সব করছে সরকার। ‘কিন্তু এখন আর এটা কাজ করবে না। কেননা এ সরকারের আসল চেহেরা ধীরে ধীরে বিশ্বের মানুষের সামনে উন্মোচিত হতে শুরু করেছে।’
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ এবং খালেদা জিয়া, রুহুল আমিন গাজী ও অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি
সিইসির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিএনপি নেতার দাবি নাকচ মার্কিন দূতাবাসের
খালেদা জিয়া সিসিইউ থেকে কেবিনে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়াকে রবিবার রাতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা) মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে তিনি বলেন, ‘তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও সেখানে সিসিইউ’র সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। সিসিইউর নার্সরা কেবিনে তার সেবায় থাকবেন।’
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। তার অবস্থা আগের মতোই আছে এবং তার স্বাস্থ্যের সব প্যারামিটার আগের মতো ওঠানামা করছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়ন ও রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকারসহ ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। তবে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে সার্চ কমিটির পরিবর্তে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দেশপ্রেমিক মানুষদের দিয়ে জনগণের আস্থাভাজন ও গ্রহণযোগ্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন দলটির নেতারা। এই নির্বাচন কমিশনে দু’জন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন।
রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতারা এই ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান।
প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও মুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। তারা নির্বাচন কমিশনকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত না নিয়ে কোনো নির্বাচনী বিধি বিধান প্রণয়ন না করারও প্রস্তাব করেন। প্রতিনিধিদল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তাব করেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের দক্ষতার চেয়েও সরকারের নিরপেক্ষতা বেশি জরুরি।
রাষ্ট্রপতি মতামত প্রদানের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সংলাপ বর্জন করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না: গণ ফ্রন্ট
ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ না নিয়ে বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে সংলাপের আয়োজন করেছেন যা বিএনপি কখনো করেনি। বিএনপি সেই সংলাপে যাবে না এবং সংলাপের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ আসলে বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী নির্বাচনটাকে বানচাল করা। তারা যেভাবে ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল, ২০১৮ সালে নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করেছিল একইভাবে তারা আগামী নির্বাচনটাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু দেশের মানুষ তাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না।’রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসি সড়কদ্বীপে পোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ ও বজ্রকণ্ঠ সংগঠনদ্বয় আয়োজিত দিন বদলের মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীরপোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন ইউসুফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান উদ্বোধক হিসেবে, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বিশেষ অতিথি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ সম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দিন বদল হয়েছে। কিন্তু এই দিন বদল অনেকের পছন্দ নয়। দেশের মানুষ ভালো আছে এটি অনেকের পছন্দ নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করলাম, তখন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতারা বললেন, আওয়ামী লীগ করতে পারবে না, তারা ক্ষমতায় গেলে একসঙ্গে দু’টা পদ্মা সেতু করবে। এখন তো পদ্মা সেতু হয়েই গেছে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক’দিন আগে গাড়ি চালিয়ে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে গেছেন। আবার ওই প্রান্ত থেকে গাড়ি চালিয়ে এ প্রান্তে ফেরত এসেছেন। এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। আর আমরা অপেক্ষায় আছি, যারা পদ্মা সেতু হবে না বলেছিল, তারা গাড়ি চালিয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যায়, না কি আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকায় এপার থেকে ওপার যায় সেটা দেখার জন্য।’ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিএনপি) ফ্লাইওভার দিয়ে বিমানবন্দরে যায় আর গিয়ে বলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই হঠকারি রাজনীতি বন্ধ হওয়া আবশ্যক। গত ১৩ বছরে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতো যদি বিএনপি-জামাত এবং তাদের দোসরদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার রাজনীতি, দিনের পর দিন মানুষকে অবরোধ করার রাজনীতি না থাকতো এবং দেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালানোর অপরাজনীতি যদি তারা না করতো। আজ থেকে ১০ বছর পর বাংলাদেশ ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনা করতে চাই, সেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে হলে এই অপরাজনীতির অবসান হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রীদেশকে এগিয়ে নিতে রাজনীতি স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনাকে যদি সমুন্নত রাখতে হয় একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকে এই কবিতা পাঠের আসর, সংস্কৃতির চর্চা ভবিষ্যতে হবে কি না সন্দেহ আছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে না থাকেন তাহলে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর গলা চেপে ধরা হবে। কারণ বিএনপি-জামাত তাদের সঙ্গে জোট করেছে, যারা এই দেশটাকে তালেবানী রাষ্ট্র বানাতে চায়। এই অপশক্তির যাতে বিনাশ হয় ও চিরতরে দূরীভূত হয় সেই চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সারাদেশে একটি সাংস্কৃতিক গণজোয়ার তৈরির জন্য আমি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানাবো। তাহলে নতুন প্রজন্মকে আমাদের আবহমান সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবো, একইসঙ্গে মাদকাসক্তি এবং মৌলবাদ-আসক্তি থেকে তাদেরকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।আলোচক হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল চৌধুরী, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম আশরাফুল ইসলাম মারুফ, স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফোরকান মিঞা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদ সদস্য সুজন হালদার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা এবং মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার আলী আসগর স্বাগত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। কবি ও সাহিত্যিকদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন ড. শাহাদৎ হোসেন নিপু, অসীম সাহা, আসলাম সানি, অঞ্জনা সাহা, তপন বাগচী, রহিম শাহ, বাপ্পি রহমান, ইউসুফ রেজা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বিরোধীদলের নেতাকর্মী ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি নিপীড়নমূলক আইন। কেউ সরকারের বিরোধীতা করলে বা ভিন্নমত পোষণ করলে, পরের দিন সকালেই তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটা মামলা করা হয়; সন্ধ্যায়ই আবার সে মামলা তুলে নেয়া হয়।
রবিবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সহযোদ্ধা সহমর্মী জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাকটিভিস্টবৃন্দ নামক সংগঠন আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন। সভায় এমএম ওবায়দুর রহমান, কামরুল হাসান শাহীন, তানিমা সোমা ও শান্ত ইসলামসহ বিএনপির অন্যান্য প্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
এ সময় রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা করলে, প্রথম থেকেই আইনি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে। ওই বিএনপি নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বিএনপি
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানো হলে দীর্ঘদিনের আগে জামিন পাওয়া যায় না। এভাবেই দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি, যেখানে বাক স্বাধীনতা নেই। কেউ আমাদের অনুসরণ করছে কিনা তা দেখার জন্য, সবসময় ডানে-বামে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিভিন্ন 'ভয়ানক ও ঘৃণ্য' আইন ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং মুক্তচিন্তাকারীদের 'দমন' করছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসনের বিরুদ্ধে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতিকে উৎসাহিত করছে।
২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে একটি মাইলফলক হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণকে আরও প্রতারিত করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে চাকরির সুযোগ না থাকায় মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা এখন পিয়ন পদে আবেদন করেন। এটাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর ঐক্য গড়তে সরকারবিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা বিএনপির
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
ইসি নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বিএনপি
বিএনপি নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘চলমান সংলাপ অর্থহীন মহড়ায় পরিণত হবে, কারণ এটি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য সরকারের নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে করা হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নারী মঞ্চ ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আবারও ক্ষমতায় বসতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা করছেন...তবে ইতোমধ্যেই অনেক রাজনৈতিক দল এই আলোচনা বয়কট করে স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে যে এই আলোচনায় কোনো ফল হবে না বলেই সবাই মনে করছে।
এসময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির বর্তমান সংলাপ অর্থহীন, কারণ নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে বিশ্বাসযোগ্য ভোট নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ এবং দেশের রাজনৈতিক ‘সংকট’ কাটিয়ে উঠতে সরকারকে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য একটি নিরপেক্ষ ইসি গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, এটাই আমাদের স্পষ্ট কথা এবং এটাই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়।
গত ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যেই দেশের নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দলকে বঙ্গভবনে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
তবে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি-রব) আলোচনায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, আমি সকল রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাতে চাই। আসুন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি এবং জনগণের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।
দারিদ্র্যসীমার অবনতি
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সারাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অথচ ক্ষমতাসীনরা বিপুল অর্থ উপার্জন করে ধনী হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন তার শাসনামলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার এই ১৩ বছরের শাসনামলে সাধারণ মানুষ দরিদ্র হয়েছে এবং দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে।
এসময় বিএনপি নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে চার কোটি মানুষ বেকার এবং নয় কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সুযোগ - সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ উপার্জন করছেন মন্তব্য করে তিনি জানান, তারা এখন তাদের অবৈধ পথে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
গণমানুষের দাবি
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসাকে দেশের গণমানুষের দাবি আখ্যায়িত করে ফখরুল বলেন, সরকারকে এই দাবি মেনে নিতেই হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার গণদাবি অস্বীকার করলে সরকারকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করছি আমরা। সারাদেশে অনেক সমাবেশ করেছি আমরা এবং সেসব কর্মসূচি থেকে লাখ লাখ মানুষ তার (খালেদা জিয়ার) মুক্তির স্লোগান দিয়েছে।
এসময় খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে: বিএনপি
ইসি নিয়ে সংলাপে অংশ নেবে না জেএসডি
‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে চলমান সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমাধান নয়। সঙ্গত কারণেই জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সংলাপে অংশ নিচ্ছে না।’
রব বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপর নয়, 'জাতীয় সরকার' গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সংলাপ হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের চেতনা ও সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব না করায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের এবং পুরনো মামলায় আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে। তাই শুধু নির্বাচন কমিশন গঠনই নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ের বৈঠক
সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা ছিল জেএসডি (রব)।
জ্যেষ্ঠ এই নেতার অভিযোগ, ‘নির্বাচন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পক্ষপাতমূলক আচরণের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
জাসদ সভাপতি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অপসারণ চেয়ে ২০১৯ সালে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
দলীয় সরকারের অধীনে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা পেশ করেছি। ’
গত ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যেই বঙ্গভবনে ২৮টি দলকে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
এর আগে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আলোচনায় না আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সংলাপ বর্জন করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না: গণ ফ্রন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও ছাত্রলীগ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল (৮ জানুয়ারি) শনিবার শহরের ফুলবাড়িয়ায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগও। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে। তাই ফৌজধারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারায় বিধান মোতাবেক ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হল।
একই সাথে ৪ জনের অধিক ব্যাক্তির জমায়েত, রাজনৈতিক প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড, মাইক বা প্রচারযন্ত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির