রাজনীতি
মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা আজ প্রমাণিত: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিএনপি
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ বলে শনিবার বিএনপি মন্তব্য করেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ (শনিবার) প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদ (বর্তমান আইজিপি) ও র্যাব প্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমি এতে অবাক হওয়ার কিছু দেখছি না, এটি হওয়ারই কথা।’
এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, মানবাধিকার কেড়ে নেয় এবং মানুষ হত্যা করে তাদের এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
পড়ুন: সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপি এখন দেখতে চায় যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়, নাকি অতীতের মতো নীরব থাকে।
ফখরুল বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, সরকার পুলিশ-প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে, যা আজ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাও প্রমাণ হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পড়ুন: আইজিপিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখান ঢাকার
আইজিপিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখান ঢাকার
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ র্যাব, বেনজির আহমেদ ও অন্য ছয় কর্মকর্তাকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন- র্যাব ইউনিট-৭ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার যে চিকিৎসা দরকার তা দেশে সম্ভব নয়। তাকে আর বিলম্ব না করে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানো দরকার।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল এ সব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ স্মৃতি পরিষদ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যিনি ক্ষমতা দখল করে দেশ চালাচ্ছেন, তিনি (খালেদার প্রতি) এত মানবিকতা দেখিয়েছেন! আর কী করার বাকি আছে? - তার কাছ থেকে এটি শোনা দুর্ভাগ্যজনক। একটি সভ্য দেশের একজন নেতার কাছ থেকে এটি আশা করা যায় না।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়ার সংগ্রাম এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য তার দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা স্মরণ করে ফখরুল অভিযোগ করেন যে তাদের নেত্রীকে এখন তার জীবন বাঁচানোর জন্য উন্নত চিকিৎসা নিতে দেয়া হচ্ছে না।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে অনেক উদারতা দেখানো হয়েছে, যদিও সবসময়ই তার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ক্ষতি করা।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে কোটি মানুষ রাজপথে নামবে: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা আমাদের কাছ থেকে আর কী আশা করে? আমরা তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি এবং তাকে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা কি যথেষ্ট নয়? এটা কি বিরাট উদারতা নয়? মানবিক কারণেই নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে ও চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তিনি (খালেদা) দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় আইন নয়, সরকার বাধা: ফখরুল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার দ্রুত বিদেশে যাওয়া দরকার: ফখরুল
আয়নায় নিজের দিকে তাকান: ফখরুলকে তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কেউ অশোভন বক্তব্য দিলে তার বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু বিএনপি তাদের নেতাদের অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না, বরং পৃষ্ঠপোষকতা করে। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো, আয়নায় নিজের দিকে তাকানোর জন্য, নিজের গায়ে দুর্গন্ধ মেখে অপরের দুর্গন্ধ খোঁজা উচিত না।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশন (বাসককফ) আয়োজিত শিশু-কিশোরদের রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ‘তারুণ্যের তর্জনী’র পুরস্কার বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে একথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি এবং ড. আনোয়ার হোসেন খান এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা ইন্টারনেটে দেখেছেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইশরাক হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালেকের অশোভন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বিষয়ে বিএনপি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই, কাউকে বিবৃতি দিতে দেখি নাই। সরকারি দলের কেউ বললে অবশ্যই প্রতিবাদ হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কিংবা দল যে কাউকে ছাড় দেয় না সেই প্রমাণ সবাই পেয়েছে। কিন্তু বিএনপি’র ক্ষেত্রে সবাই কেন নিশ্চুপ ছিলেন- সেটিই আমার প্রশ্ন।’
‘বিএনপি’র তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের নেতারা এই অনাচারগুলো করছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এম এ মালেক ইউকে থেকে যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছেন এরপর কি তার দলীয় পদ থাকা উচিত ছিল। সেগুলো এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাকে তো দল থেকে বাদ দেয়া হয় নাই। তার অর্থ যারা এই ধরনের কর্মকান্ড করে ও নোংরা কথাবার্তা বলে, বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার দায়িত্বাধীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য, কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং যেহেতু সেগুলো সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় পদ থেকেও বহিষ্কার করেছে। তার কিছু বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এবং বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতারা বক্তব্য রেখেছে। সেই বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ কেউ অন্যায় করলে অবশ্যই প্রতিবাদ হয়।’
‘কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি নেতারা যখন এ ধরনের অশোভন কথা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন, তাদের বিরুদ্ধে তাদের দল কখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, বিবৃতিও দেননি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি নারী নেতারা যারা মুরাদ হাসানের ক্ষেত্রে সোচ্চার হয়েছেন, তাদেরকেও বিএনপির অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখিনি।’
তথ্যমন্ত্রী এসময় সরকারি কর্মচারিদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করেন এবং বলেন, সরকারি কর্মপরিচালনায় তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
বাসককফ সভাপতি হেদায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুৎফর রহমান খান ও অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য শেষে অতিথিরা বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তারেক রহমানের শাস্তি নিয়েই বিএনপি’র রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির মশাল মিছিল দেখে জনগণ আতঙ্কিত হয়: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, বিএনপি'র ১৫ জন আইনজীবী তাঁর সাথে দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এই উপমহাদেশের কোন আদালতে কোন নজির আছে কিনা তিনি সেটা খতিয়ে দেখছেন। এখনো তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
তবে তিনি এ ব্যাপারে এও বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তি হয়ে থাকে, সেই দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার কোন 'স্কোপ' নাই। তার এই আইনি ব্যাখ্যাই সঠিক।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য ‘আইনি উপায়’ খোঁজা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া এখন মুক্ত, তিনি সরকারি হেফাজতে নেই: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবারও রক্তক্ষরণ হওয়ার তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (মঙ্গলবার) হাসপাতালে গিয়েছি। সব চিকিৎসক ছিলেন। তার (খালেদা) অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। তার আবারও রক্তক্ষরণ হয়েছে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে দেরি না করে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশের কোনো উন্নত হাসপাতালে পাঠানো জরুরি। ‘তিনি আইসিইউতে আছেন এবং তার অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চিকিৎসকরা তাকে প্রতি মুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করছেন।
আরও পড়ুন: শনিবারের মধ্যে খালেদাকে বিদেশ যেতে না দিলে আন্দোলন: বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন সরকার বাতিল করেছেন।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট দ্রুত নবায়নের পদক্ষেপ নিতে এবং চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অন্যথায় তার অবস্থা যদি আবারও খারাপ হয় কিংবা তার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটে তাহলে আপনারা দায়ী থাকবেন।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে কোটি মানুষ রাজপথে নামবে: ফখরুল
খালেদা জিয়ার জন্য ‘আইনি উপায়’ খোঁজা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
মুরাদের বিরুদ্ধে থানায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ
সদ্য তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক সাবেক শিক্ষার্থী। জুলিয়াস সিজার তালুকদার নামে ওই সাবেক শিক্ষার্থী মঙ্গলবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই অভিযোগ করেন।
জুলিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের দেয়া বক্তব্যে বিকৃত যৌনাচার ও বিদ্বেষমূলক বার্তা রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ভিডিওতে ডা. মুরাদ স্পষ্টভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দেশের সর্ব প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাচ্ছিল্য করেছেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নারীদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইলেন মুরাদ
জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, তার বক্তব্যে নারীর রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের বিরাধীতা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা মনে করি যেকোন বিদ্যাপীঠই পবিত্র স্থান। আর একজন নাগরিকের চারিত্রিক বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে একটি সীমারেখা রক্ষা করা সকল নাগরিকের দায়িত্ব।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার ইউএনবিকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যেহেতু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে পড়ে, তাই অভিযোগটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগে স্থানান্তর করা হবে। পরবর্তীতে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মুরাদকে জেলা আ’লীগ থেকে অব্যাহতি
মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
শনিবারের মধ্যে খালেদাকে বিদেশ যেতে না দিলে আন্দোলন: বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
আগামী শনিবারের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের (বিজেএএফ) আয়োজিত এক সমাবেশে বিজেএএফ-এর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, আমরা সরকারকে চার দিন সময় দিচ্ছি- বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার (আমাদের দাবি পূরণের জন্য)। অন্যথায় আমরা আইনজীবীরা রবিবার সারা দেশে অনশন করব।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করতে তারা ধীরে ধীরে আন্দোলন জোরদার করবে।
ফজলুর রহমান বলেন, এমন সময় আসবে যখন দেশের মানুষ মিছিল নিয়ে রাজপথে নামবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। আসুন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আন্দোলন শুরু করি।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর আইনি বিকল্প খুঁজে বের করতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, আইন মানুষের জীবনের চেয়ে বড় নয়।
আরও পড়ুন: এবার মুরাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি বিএনপির
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ ধারায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
ফখরুল বলেন, আইন নয়, দখলদার সরকার এখানে বাধা।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করায় আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সমাবেশ আমাদের আশার সঞ্চার করেছে। আমরা এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। সারাদেশের আইনজীবীরা আজ (মঙ্গলবার) আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। আমরা নিশ্চয়ই সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে এক প্রবল গণআন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে পাঠাতে পারব।
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, তিনি এত অসুস্থ যে আমি বলে বোঝাতে পারব না। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অবিলম্বে বিদেশের যেকোনো উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার চিকিৎসা করা দরকার।
মুরাদকে জেলা আ’লীগ থেকে অব্যাহতি
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানোর পর এবার ডা.মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আওয়ামী লীগের জামালপুর শাখার স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও জামালপুর ৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট, অগঠনতান্ত্রিক ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গঠনতন্ত্রে ৪৭ (৯) ধারা মোতাবেক অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ডা.মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: নারীদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইলেন মুরাদ
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হবে।’
সংসদ পদ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘সংসদ সদস্য বিষয়ে স্পিকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
এবার মুরাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি বিএনপির
পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নারী ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। গ্রেপ্তার করে তার (মুরাদ) বিচার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ডা.মুরাদের মতো একজন ব্যক্তি রাজনীতি করতে অক্ষম।
রিজভী বলেন, ‘সে (মুরাদ) অশালীন মন্তব্য করেছে। তাকে কেবল মন্ত্রিসভা থেকে নয়, (ক্ষমতাসীন) দলের সকল স্তরে তার পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
তিনি বলেন,‘আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য মুরাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তার বিচার হওয়া উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে নারীদের নিয়ে অশোভন ও অশালীন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। চাকরি ছাড়ার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এই প্রতিমন্ত্রী।
সম্প্রতি নারীদের প্রতি বিভিন্ন অসম্মানজনক মন্তব্যের জন্য মুরাদ বিভিন্ন মহলে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই অডিও ক্লিপে মুরাদ অভিনেত্রীকে বিভিন্ন ‘অপমানজনক মন্তব্য’ করেছিলেন, তাকে হুমকি দিয়েছিলেন এবং তাকে অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুরাদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার এবং নারী ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে তার ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, জাতিগত ও অবমাননাকর’ মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারীদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইলেন মুরাদ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর প্রতিমন্ত্রী মুরাদের পদত্যাগ
মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছিল। তার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। সে জন্য তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, তার স্বাক্ষরিত পদত্যাগ পত্রটি তার জনসংযোগ কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন কিছুক্ষণ আগে মন্ত্রিপরিষদে জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মার্চে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক মুক্তি পেতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি আমাকে সহযোগিতা করে এসেছেন। সেজন্য তার মঙ্গল কামনা করছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক। জেলা আওয়ামী লীগের পদ থাকা না থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তারেক রহমানের শাস্তি নিয়েই বিএনপি’র রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই বক্তব্য দিচ্ছেন এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, উনি যে সব বক্তব্য দিয়েছেন সে বক্তব্যগুলো দল, সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই দিয়েছেন।