রাজনীতি
বিভক্ত হলো গণফোরাম, নতুন অংশের সভাপতি মন্টু
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে শুক্রবার ১৫৭ সদস্যের আরেক অংশের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন গণফোরাম বিভক্ত হয়ে গেল।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কাউন্সিল সভা শেষে দলের ১৫৭ সদস্যের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন দলের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
তিনি বলেন, কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কামাল হোসেন বা তার অনুগত কাউকেই এই কমিটিতে রাখা হয়নি।
১৫৭ সদস্যের কমিটির মধ্যে সাত সদস্যের নির্বাহী কমিটি এবং ২০ সদস্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য রয়েছে।
কার্যনির্বাহী কমিটির সাত সদস্য হলেন- মোস্তফা মহসিন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাঈদ, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসিন রশিদ, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ও আইয়ুব খান ফারুক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গিয়ে ১৯৯৩ সালে গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ড. কামাল শুরু থেকেই দলের সভাপতি পদে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পঞ্চম কাউন্সিলের পর থেকে দলের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই কাউন্সিলে গঠিত কমিটিতে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ দলের অনেক নেতা বাদ পড়েছিলেন। একই বছরের ৫ মে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন মোস্তফা মহসিন মন্টুকে বাদ দিয়ে ড. রেজা কিবরিয়াকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক করেন, যা দলের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গণফোরাম ছাড়লেন রেজা কিবরিয়া
মন্টুসহ ৪ জনকে ‘শোকজ’ দিল ড. কামালের গণফোরাম
বিএনপির মশাল মিছিল দেখে জনগণ আতঙ্কিত হয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির মশাল মিছিল দেখে জনগণ আতঙ্কিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন মশাল মিছিল বের করে তখন জনগণ আতঙ্কিত হয় এই ভেবে যে, তারা আবার কিসে আগুন দেয়, কারণ তারা বাসে, গাড়িতে, মানুষের সম্পত্তিতে আগুন দেয়ার, অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি করে।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের করা বিএনপির সাম্প্রতিক মশাল মিছিল বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
বিএনপি আন্দোলনের নানা ইস্যু খুঁজছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তারা ভেবেছিল খালেদা জিয়ার ইস্যুতে তাদের কর্মীদের মাঠে নামাতে পারবে, কিন্তু বাস্তবে কর্মীরা নামেনি। তারা খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে বাড়িয়ে বর্ণনা করেও যে ইস্যু তৈরির চেষ্টা করেছিল, সেটিও ঘটেনি কারণ বেগম জিয়া এখানে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন, তার চিকিৎসকরা যেভাবে চায়, সরকার তা করতে বদ্ধপরিকর।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি খালেদা জিয়ার সুস্থতা চায় না, তারা চায় তিনি হাসপাতালে থাকুন, তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হবে।’
আরও পড়ুন: ছাত্রদের ওপর ভর করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি পরগাছার মতো আচরণ করছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা কখনো ছাত্র আন্দোলন, কখনো গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করছে।
'সরকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করছে' বিএনপির এই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা আর পেটের অসুখ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সূচক নয়। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বহু উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের সক্ষমতা এর অন্যতম সূচক।’
‘দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে কত ভালো, করোনার মধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক উন্নত দেশ যেভাবে সামাল দিতে পারেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ভালোভাবে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের চিকিৎসকরা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা কত ভালো কাজ করছে এ থেকেই তা প্রমাণিত।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকেরাও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার’ ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার তাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে তিলে তিলে ‘হত্যার’ ষড়যন্ত্র করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিন। এটা ন্যূনতম দাবি। এটা দয়া, মহানুভবতা ও মানবিকতার বিষয় না, এটা তার নাগরিক অধিকার। আপনারা বলছেন তিনি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিও এ দেশের নাগরিক এবং তারও নাগরিক অধিকার রয়েছে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত মানবন্ধনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীরা তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব না: ড্যাব
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের নেত্রীকে (খালেদা) মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে তিলে তিলে হত্যা করা হচ্ছে।’
ফখরুল সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জনগণ জেগে উঠতে শুরু করেছেন। চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা এ সরকারকে সরাবে।
খালেদা জিয়ার বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এটা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে তাহলে তিনি আর বাঁচবেন না।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন তার লিভার সিরোসিস হয়েছে। এটা খুবই মারাত্মক রোগ। আমাদের দেশে এ ধরনের রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগের চিকিৎসা শুধু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে ভালো হয়।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় আইন নয়, সরকার বাধা: ফখরুল
খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় আইন নয়, সরকার বাধা: ফখরুল
বিএনপির চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইন নয়, আওয়ামী লীগ সরকারই বাধা বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। সরকার কেন তাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না? তারা আইনের কথা বলে!’
বুধবার বিএনপি চেয়ার পার্সনের বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এই অভিযোগ করেন। জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই কর্মসূচির আয়োজন করে ।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সনকে যেকোনো সময় বিদেশে পাঠাতে পারে। আইন নয়, বাধা বর্তমান অবৈধ সরকার।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার কণ্ঠ রোধ করতে চায় এবং তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। কারণ তিনি একজন গণতন্ত্রপন্থী নেতা।’
প্রতিবাদ সমাবেশে তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহিলা দলের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী সকাল ১০টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে ‘নীরব মিছিল’ বের করতে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের মিছিল বের করতে না দেয়ায় মহিলা দল সেখানে বিক্ষোভ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এনামুল হক মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, মহিলা দলের পূর্বানুমতি না থাকায় মিছিল বের করতে দেয়া হয়নি। ‘আমরা জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এই ব্যবস্থা নিয়েছি। যদিও তারা (মহিলা দল) তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ফখরুল আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নারীদের ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘মা-বোনদের ঘরে ঘরে গিয়ে জাগিয়ে তুলতে হবে। সরকার জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।’
মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ধ্বংস করে সরকার আড়ালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায় বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে সরকারকে বাধ্য করতে কঠোর সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ার পার্সনের বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করার আন্দোলনে মহিলা দল সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে এবং অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ফখরুল।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৩ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
তারা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার তিনবার রক্তপাত হয়েছে এবং তৃতীয়বার রক্তক্ষরণ তীব্র ছিল যা তার লিভারের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ১৬ কোটি মানুষের মাথা ব্যথা নেই’
খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে বর্তমান সরকারকে জনগণ ছেড়ে দেবে না বলে সতর্ক করেছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যদি বেগম খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা না দেয়া হয় এবং খারাপ কিছু ঘটে তাহলে দেশের জনগণ আপনাদের ছেড়ে দেবে না। আপনাদের সব দায় নিতে হবে।’
মঙ্গলবার এক সমাবেশে ফখরুল আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া এখন সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘সরকার বলছে আইনি বাধার কারণে আমাদের নেত্রীকে (খালেদা) বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারছেন না। আপনারা কেন মিথ্যাচার করছেন? আইনজীবীরা বলেছেন শুধু সরকারই ৪০১ ধারা অনুযায়ী তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পারেন।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী সমাবেশের অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টোনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এছাড়া একই দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আট বিভাগীয় শহরে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে দলটি।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৩ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
তারা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার তিনবার রক্তপাত হয়েছে এবং তৃতীয়বার রক্তক্ষরণ তীব্র ছিল যা তার লিভারের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করেছে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আবেদন বিবেচনা করবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
খালেদা জিয়ার কিছু হলে এক মুহূর্তও সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশরচন্দ্র রায় বলেছে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা করানো। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা যে দেশে হয় তাকে সে দেশেই পাঠানো। আর যদি খালেদা জিয়ার অনাকাক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে এক মুহূর্তও এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বিএনপির চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবিতে খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, মন্ত্রীরা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর প্রতিবন্ধকতার ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন। এর আগে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আ স ম আব্দুর রবকে রাষ্ট্রের ৩৬ লাখ টাকা খরচ করে জার্মানিতে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
খালেদা জিয়া সম্পর্কে যে সব মন্ত্রীরা ঠাট্টা-মস্করা করছেন তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, যারা এ ধরনের মন্তব্য করছেন ভবিষ্যতে তাদের কী পরিণাম হবে তা আমি বলতে পারি না।
যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, রাতের ভোটে নির্বাচিত তাদের কাছে কিসের অনুমতি চাইতে হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
বিদেশে চিকিৎসা করাতে হলে আগে রাষ্ট্রপতির কাছে খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের এই মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষমা চাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয় নাই। তিনি হলেন, এ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি এদেশের আপসহীন নেত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে তার অবদান রয়েছে। তিনি শুধু ক্ষমা চাইতে পারেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। আর কারো কাছে নয়।
সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা জানিয়ে দেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে মুক্তি দেয়া হবে না। তারপর এক মুহূর্তও আপনার ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, মেহেদী আহমেদ রুমি, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুন্ডু প্রমুখ।
দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকলেও সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে সমাবেশস্থলে বিএনপির মিছিল আসতে থাকে। সমাবেশস্থলের প্রবেশ পথে বসানো পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে মিছিলকারীরা সমাবেশে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের উদ্যোগ চান সাংবাদিকরা
বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার একমাত্র বাধা প্রধানমন্ত্রী: ড. মোশারফ হোসেন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশের গিয়ে চিকিৎসায় আইনের কোন বাধা নেই। একমাত্র বাধা প্রধানমন্ত্রী। সরকার চাইলে বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে পারেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বেগম জিয়া আজ সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় যত দ্রুত সম্ভব বিদেশে নিতে হবে তাকে। আইনের কথা বলে কোনো লাভ নেই। আইনজীবীরা বলেছেন, কোনো বাধা নেই। এখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার। এই সরকার আমাদের নেত্রীকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে যেসব বাধা আছে, সেসব বাধা দূর করে অনুমতি দেয়ার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
নগরীর বাকলিয়া থানার কালা মিয়া বাজার সংলগ্ন কেবি কনভেনশন সেন্টার সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
খালেদা জিয়া এক টাকা উত্তোলন না করেও কিভাবে এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন এমন প্রশ্ন করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আইনে বিনা শর্তে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো সম্ভব। দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি সরকার। ২৯ তারিখ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছেন। দেশ নেত্রী বেগম খালেদার যে অসুস্থতা সেটা বাংলাদেশ নয়, এশিয়া মহাদেশে পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তার প্রতি কোন রকমের দয়া ও মোহাব্বত করার দরকার নেই।
বেগম জিয়ার বিনা শর্তে মুক্তি দাবি জানিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী সরকার দেশকে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারকে একটি ধাক্কা দিতে পারলেই কোন ধরনের অস্তিত্ব থাকবে না। পুলিশকে থানায় রাখেন, মাঠে আওয়ামী লীগকে পাঠান। তখন মাঠে প্রমাণ করবো।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দীন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস. এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, বিএনপি নেতা জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাবেক এমপি শাহাজাহান চৌধুরী, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, হারুন অর রশিদ, জালাল উদ্দীন মজুমদার প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
‘গুরুতর অসুস্থ’ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীতে সমাবেশ শুরু করেছে দলটি।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের উদ্যোগ চান সাংবাদিকরা
সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হন দল ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।
সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ সিনিয়র নেতারা।
এর আগে সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেছিলেন, দলের চেয়ারপার্সনের বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে কোনো বিদেশি চিকিৎসক আনা যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিভিন্ন জটিল রোগে খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। রবিবার তার মেডিকেল বোর্ডও তার অসুস্থতার বর্তমান অবস্থা প্রকাশ করেছে।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এখন জরুরি।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার দ্রুত বিদেশে যাওয়া দরকার: ফখরুল
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফেরার পর নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের উদ্যোগ চান সাংবাদিকরা
বিএনপির অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিজ উদ্যোগে জামিন দিয়ে বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার পথ প্রশস্ত করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী একদল সাংবাদিক। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ আহ্বান জানান তারা।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থী সাংবাদিকরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘(কারাগারে) তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই আমরা উচ্চ আদালতের বিচারকদের কাছে দাবি জানায়, তারা যেন নিজ উদ্যোগে তাঁর জামিন দেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়ার ক্ষমতা সর্বোচ্চ আদালতের রয়েছে। কেননা এর আগে কয়েকজন মন্ত্রীর সময় এমন হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি প্রদানে সরকার ওপর চাপ বাড়াতে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান শওকত মাহমুদ। ‘যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে দাবি আদায়ে আমরা রাজপথে নামব।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, এটা দুর্ভাগ্য যে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়া মারা গেলে জনগণ মেনে না: বিএনপি
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে মঙ্গলবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ১টায় এ সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সমাবেশ করার জন্য তারা পুলিশের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে আছেন। গতকাল (রবিবার) তাঁর মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা উদ্বেগজনক। তাঁর জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে।’
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো জরুরি। এ সময় তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার জন্য যেতে দিচ্ছে না।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।