রাজনীতি
খালেদা জিয়াকে আইন অনুযায়ী সুবিধা দেয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার দৃষ্টান্ত হিসেবে আইনে যা করা সম্ভব বেগম খালেদা জিয়ার জন্য তা করেছেন। ভুলে গেলে চলবে না বাংলাদেশের আদালত দ্বারা তিনি সাজাপ্রাপ্ত। একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আইন দ্বারা যে সুবিধা দেয়া যায়, তা দেয়া হয়েছে।’শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে আখাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিএনপি যদি বিদেশ থেকে ডাক্তার আনতে চায়, আনতে পারে। তারা যত বড় ডাক্তার আনতে চায়, আনতে পারবে। সেক্ষেত্রে সরকার কোনো বাধা দেবে না। তবে বিএনপিকে এটাও মনে রাখতে হবে দেশের আইনে যা আছে, তার বাইরে গিয়ে সরকার কিছু করবে না।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ (অব.) মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আখাউড়ায় কাউকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়া হবে না। যার যে পদে ইচ্ছুক নির্বাচন করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি পেতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
বক্তব্যে জনসমর্থনের ভিত্তিতে নির্বাচন করার জন্য আইনমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানান।তিনি বলেন, ‘জনগণ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেকারণেই দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন দেয়া হয়েছে। নির্বাচন সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’বর্ধিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিজা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. মনির হোসেন বাবুল, সেলিম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদ সাখাওয়াত হোসেন নয়ন।এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, সদস্য, মহিলা সদস্য সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিচারক কামরুন্নাহারের বক্তব্য বিব্রতকর: আইনমন্ত্রী
সিনহার কারাদণ্ড প্রমাণ করে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে অনশন শুরু করেছে বিএনপি
দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবিতে শনিবার সকালে রাজধানীতে সাত ঘণ্টার গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির শতাধিক নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনশন শুরু করেন।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি সকলকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সবসময় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছেন: প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
ফখরুল বলেন, সব মহানগর ও জেলা শহরেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রী। এটা অমানবিক যে তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না।
এদিকে শুক্রবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ফখরুল খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তার জীবন শেষ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের গণঅনশন কর্মসূচি পালনের পর তারা আরও কর্মসূচী নিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
২০ দলীয় জোটের শরিক দলসহ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তাদের দলের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর গত ১৩ নভেম্বর পুনরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
তারা আরও বলেছে যে তিনি এখন একটি গুরুতর কার্ডিয়াক সমস্যায় ভুগছেন। তার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়ছেন: ফখরুল
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল বাধার সম্মুখীন হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক এই দেশে নতুন কোনও রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হবে না, তবে তাদের কাউকে জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে দেয়া হবে না। শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ নতুন দল গঠন করতে চায়, অবশ্যই তা করতে পারে। কারণ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র রয়েছে। এবিষয়ে কোনও বাধা থাকার কথা না।
সরকারের প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বিতর্কিত করতে বিএনপি-জামায়াত সব সময় তৎপর বলে শেখ হাসিনা আরও বলেন,আমরা যতই ভাল কাজ করি না কেন, তারা একটি বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে। বিএনপি-জামায়াত এ বিষয়ে অতিসক্রিয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, যারা নতুন দল গঠন করতে চায় তাদের বিষয়ে বৃহস্পতিবার আইজিপিকে বলেছি, যারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান, তাদের তা করতে দেয়া উচিত। তাদের দল গঠন করতে দিন এবং কাজ করতে দিন, কারণ এটি বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেছেন, তারা মিছিল বের করতে চাইলে পারে। কেন আমরা তাদের মিছিলে বাধা দেব? তারা সব ধরনের আন্দোলন করতে পারে। কিন্তু তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে না এবং কোনও জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করতে পারে না। আমাদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য যথেষ্ট করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ দেশের প্রতিটি খাতে উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য হারে উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়নের ছোঁয়ায় গ্রামীণ জনগণও উপকৃত হচ্ছে। দেশের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারা যখন অব্যাহত রয়েছে, কিছু মানুষ অকারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এরপরও কিছু মানুষ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে, এই ব্যাপারটিকে মিথ্যে গুজব বলে প্রচার করছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যনির্বাহী সংসদের প্রত্যেক সদস্যকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কাজ করতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার্যনির্বাহী সংসদের প্রত্যেক সদস্যকে এসব অপপ্রচারকারীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং তারা কারা, তাদের উদ্দেশ্য কী এবং তারা কী করতে চায় তা খুঁজে বের করতে হবে। আওয়ামী লীগের সদস্যদের এগুলো জানতে হবে, এগুলোর প্রতিবাদ করতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে যা যা করা দরকার তা করতে হবে।
আরও পড়ুন: শীর্ষ শ্রেণির ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ করোনা ভ্যাকসিন তৈরি ও রপ্তানিতে সক্ষম: প্রধানমন্ত্রী
মাগুরায় আ’লীগের ২৪ নেতা কর্মী বহিষ্কার
মাগুরার মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরজ আলি বিশ্বাসসহ ২৪ বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ুান্ত করা হয়।
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আফম আবদুল ফাত্তাহ ও সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতক্ষীরায় আ’লীগের ৯ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশ মোতাবেক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশক্রমে দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারকৃতরা হলেন, মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আলি আহম্মেদ মিন্জু, মিজানুর রহমান পলাশ ও সঞ্জয় কুমার, বিনেদাপুর ইউনিয়নের সাকিবুল ইসলাম, দীঘা ইউনিয়নের মুস্তাফিজুর রহমান, হাসানুজ্জামান ও আলী রেজা, রাজাপুর ইউনিয়নের শাখারুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম সাগর, বালিদিয়া ইউনিয়নের পাননু মোল্যা, মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নের ইকবল আকতার কাফুর উজ্জ্বল ও ইউসুফ শেখ, পলাশবাড়ীয় ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম ও সেকেন্দার আলী, নহাটা ইউনিয়নের তৈয়েবুর রহমান, শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আরজ আলি বিশ্বাস, ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নের গোলাম সরোয়ার মল্লিক, শতখালি ইউনিয়নের আকবর আলি ও কামাল হোসেন, তালখড়ি ইউনিয়নের শামসুর রহমান, শালিখা ইউনিয়নের আনিচুর রহমান ও আলতাফ হোসেন, বুনাগাতি ইউনিয়নের ইমদাদুল মোল্যা এবং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের শামসুর রহমান।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে ১৫ চেয়ারম্যানপ্রার্থী বহিষ্কার
এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু জানান, উল্লেখিত বহিষ্কৃত প্রার্থীদের পক্ষে দলীয় কোন নেতা-কর্মী নির্বাচনী কাজে অংশ নিলে তাদেরকেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হবে।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার বিএনপির গণ-অনশন
‘গুরুতর’ অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশে সাত ঘণ্টার গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। রাজধানীতে অন্য কোনও উপযুক্ত স্থান না পেলে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
ফখরুল এসময় সরকারের প্রতি জীবন বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার আবেদন পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফখরুল আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রী। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না, এটা অমানবিক।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়ছেন: ফখরুল
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাজাহান ওমর, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর ফের ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
তারা আরও বলেছে যে তিনি এখন একটি গুরুতর কার্ডিয়াক সমস্যায় ভুগছেন। তার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে: বিএনপি
খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়ছেন: ফখরুল
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়ছেন বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন,‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একাধিক রোগে ভুগছেন।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি আয়োজিত এক সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের অসুস্থতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অবিলম্বে তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া জরুরি। চিকিৎসকরা বলছেন বিদেশে পাঠানো হলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
ফখরুল বলেন, ‘এভারকেয়ার দেশের সেরা হাসপাতাল হলেও চিকিৎসকরা বলছেন খালেদার সব জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য এটি পুরোপুরি সক্ষম নয়। ‘তাই বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে নিয়ে তার চিকিৎসা করা এখন খুবই প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানালেও আওয়ামী লীগ ও এর সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই আবেদন গ্রহণ করছেন না।
আরও পড়ুন: সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন,‘আমরা আবারও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা ও তার জীবন বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। এই বিষয়টা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং এর উন্নয়নে খালেদার অবদানের কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতার (দেশের জন্য) অবদান অন্য কোনো জীবিত রাজনৈতিক নেতাদের তুলনায় অতুলনীয়। জীবন ও মৃত্যু আল্লাহর হাতে। আমরা আমাদের নেতার জীবন বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে প্রয়োজনে আমাদের জীবন উৎসর্গ করব’।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর গত ১৩ নভেম্বর পুনরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
তারা আরও বলেছে যে তিনি এখন একটি গুরুতর কার্ডিয়াক সমস্যায় ভুগছেন। তার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস হাসাপাতালে ভর্তি
জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ৪১ দিনের কর্মসূচি শুরু
সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে: বিএনপি
বিএনপি বলেছে, যেকোনো সময় গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মতো গুরুতর অসুস্থ নেত্রীকে (বিদেশ যেতে) সরকার যেকোনো সময় অনুমতি দিতে পারে। আমরা সরকারের কাছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানাই।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) দোয়া মাহফিলে বক্তৃতাকালে রিজভী এসব মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করতে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে যেতে হবে -আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এমন মন্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কোন আইনে কি এমন কোন বিধান আছে (যে তাকে নতুন করে আবেদনের জন্য জেলে ফিরে যেতে হবে)? আপনি মিথ্যা বলছেন এবং একই কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য যথেষ্ট করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার আনিসুল হক সংসদে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদন সরকার বিবেচনা করবে যদি তিনি কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করেন।
রিজভী বলেন, ‘১/১১-এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দীনের শাসনামলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল জলিল চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আরেক রাজনীতিবিদ আ স ম আবুর রবও চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে বিদেশে গেছেন। এমন অনেক উদাহরণ আছে।’
বিএনপি নেতা আইনমন্ত্রীকে একজন নিষ্ঠুর লোক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘তিনি শেখ হাসিনাকে খুশি করতে আদালতকে ব্যবহার করে খালেদার বিরুদ্ধে অনেক কিছু খেলেছেন। বিশ্বে আইনমন্ত্রীর মতো খারাপ কাজ আর কেউ করেনি। বিএনপি চেয়ার পার্সনের দুর্ভোগ দেখে খুশি হন প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী। এ কারণে তিনি বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের অমানবিক আইনের রেফারেন্স দিয়ে শেখ হাসিনাকে খুশি করতে চান।
আরও পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি পেতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
সরকার খালেদার বিরুদ্ধে ‘অমানবিক ও নিষ্ঠুর’ মনোভাব পরিহার না করলে জনগণ রাজপথে নেমে যোগ্য জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে ১৩ নভেম্বর ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর অনুমতি চেয়েছে পরিবার
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস হাসাপাতালে ভর্তি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আব্বাসের ব্যক্তিগত সহকারী আসিফ সোহান বলেন, ‘স্যার (আব্বাস) রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।’
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র এবং সাবেক মন্ত্রী আব্বাসকে রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা করানোর পর ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রফিকুল বলেন, ‘উনার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। এখন উনাকে ঘুম পড়িয়ে রাখা হয়েছে।’
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও শনিবার থেকে হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল
সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বিএনপির
সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বিএনপির
ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশিদের অগ্রহণযোগ্যভাবে হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা, সিলেট ও লালমনিরহাটে তিন দিনের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
তিনি জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ নভেম্বর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এবং পরদিন সিলেটের কানাইঘাটে তাদের দল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে আগামী ২০ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
ফখরুল বলেন,তাদের বৈঠকে কালিগঞ্জ ও কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশিদের হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমরা কোনো সীমান্তেই প্রাণহানি চাই না: ভারতীয় হাইকমিশনার
বিএনপি নেতা বলেন, সীমান্ত হত্যা ইস্যুতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করেছে তাদের স্থায়ী কমিটি। তিনি বলেন, চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না।আমরা সরকারকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরকারের কাছে খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন,খালেদা জিয়া এতটাই অসুস্থ যে আপনাদের বুঝাতে পারছি না। গতকাল (সোমবার) প্রথমবারের মতো তিনি সিসিইউ এর (এভারকেয়ার হাসপাতালের) বিছানা থেকে একটি চেয়ারে বসেছিলেন। তিনি খুব দুর্বল।
মঙ্গলবার এক দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে একাধিক জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে কোনো উন্নত ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এখন সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন,আমরা সরকারকে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়ার দাবি করছি। আপনারা (সরকার) দয়া করে তার পরিবারের আবেদনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানবিক ভিত্তিতে এটি করুন।
খালেদাকে গণতন্ত্রের নেত্রী উল্লেখ করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাধা দেয়ার জন্য তার সাথে খারাপ কিছু ঘটলে তার সব দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে যে কোনো উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের সদিচ্ছা থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি: মির্জা ফখরুল
খালেদার পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে নতুন করে আবেদন করা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি, কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজনীতি থেকে সরানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন তার জীবন শেষ করার একটি চক্রান্ত চলছে।
ফখরুল বলেন,আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যে তিনি যেন শুধু বিএনপি ও তার পরিবারের জন্য নয়, দেশ ও এর ১৬ কোটি গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। তিনি এমন একজন নেত্রী যিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর শনিবার এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: জনগণের হাতে শাসনব্যবস্থা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
তার মেডিকেল টিমের একজন চিকিৎসক বলেছেন, খালেদা এখন গুরুতর হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। তার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে বিএনপি প্রধানের পরিবার এর আগেও মে ও আগস্টে দু’বার সরকারের কাছে আবেদন করলেও সরকার তা নাকচ করে দিয়ে বলে যে, কোনো আসামির এমন সুযোগ পাওয়ার সুযোগ নেই।