রাজনীতি
নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় মঙ্গলবার বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী তাদের কার্যালয়ের সামনে ‘শান্তি সমাবেশ’ শেষে কাকরাইলের দিকে একটি মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ মিছিলে বাধা দিতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেছেন, সরকারের নীল নকশা অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা হামলার শিকার কিছু মন্দির পরিদর্শন করেছি এবং প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য লোকদের সাথে কথা বলেছি। এসব হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন বিএনপির সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। কমিটি এর আগে সহিংসতা সংগঠিত হওয়া এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এ সময় সরকার হামলাকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের তুলে নেয়া বা গ্রেপ্তার ও হয়রানি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এভাবে একটি নীলনকশার অংশ হিসেবে হামলাকারীদের আড়াল করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে, এটা বলা যেতে পারে যে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, যদিও হামলাকারীদের সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দায়ে করা মামলায় নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা বলব না যে শুধুমাত্র হিন্দুরাই এই হামলার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ আমরা মনে করি পুরো জাতিকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমণকারীদের প্রতিহত করার জন্য আমাদের অবশ্যই সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি গণমাধ্যমকে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে ১৭ অক্টোবর, বিএনপি সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং ঘটনার সত্যতা তদন্তের জন্য দুটি কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে আ.লীগের লোকেরা জড়িত: বিএনপি
২৩ অক্টোবর গয়েশ্বর নেতৃত্বাধীন কমিটি কুমিল্লা ও চাঁদপুরের তিনটি মন্দির পরিদর্শন করে এবং পুরোহিত ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বায়োপসি পরীক্ষা করা হলেও তিনি ভালো আছেন এবং শঙ্কামুক্ত আছেন।
সোমবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ্য আছেন।
ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার (খালেদা জিয়া) সাথে কথা বলেছেন। তার ভাই শামীম ইস্কান্দারও তার সাথে কথা বলেছেন। তার চিকিৎসকরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি বিপদমুক্ত। তারা মনে করেন, তার জন্য কোন বিপদ নেই।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এখনও জ্বরে ভুগছেন
খালেদা জিয়ার গুরুত্বর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল তথ্য। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মিডিয়াকে কেন এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে হবে? তাদের উচিত ছিল সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করা।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সনের শরীরের এক জায়গায় ছোট লাম্প আছে। এই লাম্পের নেচার অব অরিজিন জানতে হলে বায়োপসি করা প্রয়োজন। সেজন্য আজকে ছোট একটা বায়োপসি করতে উনাকে ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) নিয়ে সেটি করা হয়েছে।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে বায়োপসি করার পর জাহিদ জানান, এই মুহূর্তে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি সার্জিক্যাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুই বার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুযোগ পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়লো এক বছর
পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তো নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি, পরিবেশ নেই। এখানে অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে গত দুটি টার্ম জোর করে ক্ষমতায় আছে। আমরা তখনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো, যখন নির্বাচনের সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হবে।’
রবিবার সকালে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্যই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার, নির্দলীয় সরকার, তার অধীনে একটি নতুন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবো। সেজন্যই আমরা আন্দোলন করছি।’
পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সামগ্রিকভাবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। একইভাবে আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যারা আছেন, তাদের ধর্ম পালনে উপাসনালয়গুলোরও কোনো নিরাপত্তা সরকার দিতে পারছে না। একই সাথে আমাদের যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী আছে, যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাদেরও এখানে কোনো নিরাপত্তা নেই। সামগ্রিকভাবে জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা চলাকালে যে সাম্প্রদায়িক সমস্যাগুলো তৈরি করা হয়েছে, আপনারাই পত্রপত্রিকায় দেখেছেন এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে কারা? নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের ছেলেরা, নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। আজকেও পত্রিকায় এসেছে যে রংপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত। এটা খুবই পরিষ্কার, যেহেতু সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই, যেহেতু জনগণের ভোট তারা পায় না, এজন্য জনগণের দৃষ্টিটাকে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার থেকে সরানোর জন্য তারা (সরকার) এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারসহ দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তাদের দোসররা: ওবায়দুল কাদের
দেশদ্রোহী চক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে: হুইপ সাঈদ
মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেবের কথা শুনে মনে হয়, কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটানো হয়েছে, তা তাকে জিজ্ঞাসা করলেই ভালো জানা যাবে।'
শনিবার দুপুরে ঢাকার মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
কুমিল্লার ঘটনায় সরকারকে দোষারোপ করে এবং কক্সবাজারে ইকবালের গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, 'প্রথম থেকেই মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের ধরণ হচ্ছে, 'ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না' এবং মনে হচ্ছে তিনিই ভালো বলতে পারবেন ইকবালকে কারা কক্সবাজারে পাঠিয়েছে। যারা এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছে, তারাই ইকবালকে কক্সবাজার পাঠিয়েছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটনা ঘটিয়ে আবার বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।'
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা: তথ্যমন্ত্রী
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার কঠোর ও দ্রুততম ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং সরকার দ্রুততম সময়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। একশ'র বেশি মামলা হয়েছে, কয়েকশ' জন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং পূজামণ্ডপে যে কোরআন শরিফ রেখে এসেছিল তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে বাকি তথ্য বেরিয়ে আসবে।'
একইসাথে স্বল্পতম সময়ে পীরগঞ্জে পোড়া ঘরগুলো মেরামত, নতুন ঘর নির্মাণ এবং সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়ে ড. হাছান এসময় তার আইপ্যাড থেকে পীরগঞ্জে নতুন নির্মিত ঘর ও মানুষের রান্নাবান্নাসহ গৃহকর্মের চিত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সরকার যখন দ্রুততম সময়ে এসকল ব্যবস্থা নিয়েছে, তখন বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধগোষ্ঠি যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও কোথাও কোথাও রাস্তা অবরোধের খবর পাওয়া গেছে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও আমাদের চেতনার বেদিমূলে আঘাত। আমরাও এর প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিকারে সচেষ্ট। কিন্তু প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জনগণ যেন ভোগান্তির শিকার না হয় এবং আবেগতাড়িত হলেও যেন কারো বক্তব্য বাস্তবতাবিবর্জিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।'
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তাদের দোসররা: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধর্মকে যারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করে তারাই পরিকল্পিতভাবে বিভাজন তৈরি করতে চায়।
যারা নিজেরা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, মেনে নিতে পারে না উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি, তারাই জাতিকে বিভাজন করে দুর্বল এবং দেশের ইমেজ নষ্ট করতে চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আর এ বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তাদের দোসররা।
তিনি বুধবার সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক শক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির চরিত্র হচ্ছে, মুখে শেখ ফরিদ, বগলে ইট। তাদের কথায় পুষ্পবৃষ্টি হলেও অন্তর কদর্যে ভরা বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতারা মিথ্যাচারকে শিল্পে রূপ দিয়েছেন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সাম্প্রদায়িক হামলায় নাকি সরকার জড়িত! আসলে ভিডিও ফুটেজে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে দেখে তারা একচোখা দৈত্যের আচরণ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই রাজনৈতিকভাবে সাম্প্রদায়িক।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের
বিএনপি সংখ্যালঘুদের শত্রু মনে করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা ভেবেছে পূজামণ্ডপে হামলা করলে সরকারের উপর হিন্দু সম্প্রদায়ের অনাস্থা বাড়বে আর ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিরাজমান বন্ধুত্ব নষ্ট হবে।
মসজিদগুলো মন্দির হয়ে যাবে, মসজিদে উলুধ্বনি বাজবে, এসব অপপ্রচার বিএনপি অতীতেও চালিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব অপকর্ম ও নির্জলা মিথ্যার প্রচারণা একমাত্র বিএনপির।
২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘুদের উপর বিএনপির নির্মমতা ৭১ কেও হার মানিয়েছিল মনে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। মুসলিম উম্মার জন্য দিনটি পবিত্র এবং মহিমান্বিত জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে মহানবীর যে অমরবাণী সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালনের জন্য দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদাত্ত আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
তাছাড়া প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন,বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছাকাছি তারা (বিএনপি) পৌঁছাতে পারেনি। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার স্বার্থে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করা বিএনপি জামায়াত এবং তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার চোরাগলি খোঁজে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনা ভিডিও করেছে। ভিডিও করে সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।এগুলো কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে? উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল আছে, দেশ করোনা মহামারির মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে, মহামারিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
‘সরকার দেশের নানারকম সমস্যাকে পাশ কাটানোর জন্য এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিরোধী বা অন্য দলের উপর দোষ চাপাচ্ছে’- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আরও অনেকেই বলেছেন। তাদের কাছে জানতে চাই, দেশে আর কী কী বড় সমস্যা আছে? করোনা নিয়ে তো অনেক কথা বলেছেন।করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। গতকাল সংক্রমণের হার ছিল দুই শতাংশের নিচে। টিকাও ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দেয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজও খুলে গেছে। অথচ করোনা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, টিকা নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকল সম্প্রদায়ের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ পৌঁছাবে স্বপ্নের ঠিকানায়: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার সবসময় চায় দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকুক, দেশের অগ্রগতির জন্য। যে কোন সরকার, এটা যদি বিএনপিও ক্ষমতায় থাকে,তারাও সাধারণত চাওয়ার কথা। পৃথিবীর সব দেশের সরকারই সাধারণভাবে চায়, দেশে শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকুক। বিএনপি কি চায় অবশ্য জানি না। তারা ক্ষমতায় থাকতে তো অনেক কিছুই করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছে, যারা এ দেশটা চায় না। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে কুমিল্লায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি নিশ্চয়ই বের হবে, কারা ওখানে কোরআন শরীফ রেখে গিয়েছিল। বের হওয়ার পর সবকিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পাগল না দেশের মানুষ পাগল? উনার বক্তব্যে মনে হয় রাস্তায় যে পাগল ঘুরে বেড়ায় সে মনে করে সবাই পাগল ও ভালো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যটাও সেরকম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এই সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কারা রাজনীতি করে? সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিয়ে কারা রাজনীতি করে? যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়,তারা তো বিএনপি জোটের মধ্যেই আছে।
ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা: মানিকগঞ্জে আ’লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে মানিকগঞ্জে একটি স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মারধর ও তার মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে ক্ষমতাসীন দলের নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফয়জুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বলধারা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গ্রেপ্তার ৪, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমানকে মারধর করা হয়। এ সময় তার মনোনয়নপত্র ও ভোটার আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ফজলুল ও তার সমর্থকরা অভিযোগ করে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, ‘ওবায়দুর রহমান স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতেই পারে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারেরও সময় আছে। তিনি আমাদের দলেরই লোক। এ ব্যাপারে আমরা বসেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। কিন্তু তাকে মারধর করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়া ঠিক হয়নি।’
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: ঢাকায় গ্রেপ্তার ২
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, মামলা দায়েরের পরপরই ফজলুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
মাগুরায় নির্বাচনী সংঘর্ষে নিহত ৪
মাগুরা সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় এ সংঘর্ষের ঘটান ঘটে।
নিহতরা হলেন মেম্বার প্রার্থী সবুর মোলা (৫০), তার বড় ভাই কবির মোল্লা (৫৫) এবং তার চাচাতো ভাই আব্দুর রহমান (৫০) ও ইমরান আলী (৩২)।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে জগদল গ্রামে মেম্বার পদে এলাকার সবুর মোল্লা ও নজরুল ইসলামের একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে গত দুই তিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ বিকালে উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে।
পড়ুন: দেশদ্রোহী চক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে: হুইপ সাঈদ
তিনি জানান, আহত ৩০ জনের মধ্যে ৯ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
পড়ুন: স্থানীয় সরকার নির্বাচন ত্বরান্বিত করতেই পৌর নির্বাচন আইন সংস্কার
১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরতে শিগগিরই সংসদে বিল পেশ: মুরাদ
দেশদ্রোহী চক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে: হুইপ সাঈদ
দেশদ্রোহী চক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব ধর্মের লোকজনই স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। হঠাৎই একটি দেশদ্রোহী চক্র দেশ বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে এখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় হুইপ স্বপন আহত
এ সময় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা খানমসহ কুমিল্লা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কুমিল্লার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: হুইপের বিপক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ‘যুবলীগ নেতা’ গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।
ডিআইজি বলেন, কুমিল্লার ঘটনা অবশ্যই উস্কানিমূলক। এ ঘটনায় কুমিল্লাতে মোট ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনও এ ব্যপারে কোন মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: ক্লাবগুলোতে তাস খেলা বন্ধ করলে ছেলেরা রাস্তায় ছিনতাই করবে: হুইপ
উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ের কাছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরীফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সাথে বিক্ষুব্ধদের সংঘর্ষ হয়।