রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী, দেশপ্রেমিক ও অসম্প্রদায়িক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীস্থ ১৫ আগস্টের শহীদদের ও জাতীয় চার নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এ আহ্বান জানান।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বোনা হয়। বর্তমানে দেশ থেকে এসব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দূর করা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তাই দেশের সকল গণতন্ত্রকামী, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’
জেল হত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও ১৯৭৫ সালের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় সেখানে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান এবং জাহাঙ্গির কবির নানক; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবুল আলম হানিফ, ড. দীপু মনি, এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে জেল হত্যা দিবস পালিত
ফরিদপুরে জেল হত্যা দিবস পালিত
জেলহত্যা দিবসকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর আওয়ামী লীগ ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে।
এ উপলক্ষে বুধবার সকাল ৯টার দিকে থানারোডে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন নেতারা। এ সময় শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, শত্রুরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর সাথে জাতীয় এ চার নেতাকে হত্যা করলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যাবে। কিন্তু ওরা জানতো না যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব না। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত। তার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। আজকের এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করে যাবো।
আরও পড়ুন: জেল হত্যা দিবস আজ
সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সহসভাপতি শামীম হক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা
আওয়ামী লীগ সভাসতি আ. রাজ্জাক মোল্লা, শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ প্রমুখ।
সরকারের সাথে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে কোনও ধরনের আলোচনায় বসবে না বিএনপি। এছাড়া এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামক সংগঠনের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এসময় আমির খসরু আরও বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বিএনপি যেমন কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না, তেমনি নির্বাচনের আগে কোনও আলোচনায়ও বসবে না। কারণ এর আগেও আমরা তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দেশের জনগণ দেখেছে তার কি ফল পেয়েছি আমরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ছাড়া বিএনপি কোনও আলোচনায় বা নির্বাচনে অংশ নেবে না মন্তব্য করে বিএনপির জেষ্ঠ্য এই নেতা বলেন, নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আগে আলোচনায় বসার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে জনগণের কোনও সরকার নেই। যে দল এখন দেশ শাসন করছে, তাদের কাছে জনগণের কোনও মূল্য নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীণতার সাথে এখন জনগণের ধর্ম পালনের অধিকার পর্যন্ত ‘ছিনিয়ে নিয়েছে’।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যা বলে, ঠিক তার উল্টো কাজ করে। মুখে মুখে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলে, অথচ তারা নিজেরাই গুজব ও সন্দেহ ছড়িয়ে হিন্দুদের দুর্গোৎসব নষ্ট করেছে। তাদের এসব কাজকর্মে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে এবং বর্হিবিশ্বের সামনে আমাদের মাথা নত হয়ে গেছে।
বিএনপির নেতা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমাদের দেশ ধ্বংস করতে দিতে পারি না। সরকার সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের শাস্তি দিতে চান না। বরং এর বদলে এইসব ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালোতে চায় তারা।
আমির খসরু আরও বলেন, গত ৯ বছরে সাম্প্রদায়িক হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার হিন্দু জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ একটা ঘটনারও কোনও বিচার হয়নি, এমনকি এখনও পর্যন্ত একজন অপরাধীও শাস্তির আওতায় আসেনি।
আরও পড়ুন:পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা মামলা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে আরও একটি পাল্টা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১ নভেম্বর) রাতে নগরীর চকবাজার থানায় এ পাল্টা মামলা করেন কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান। তিনি চমেক ক্যাম্পাসে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ নিয়ে সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে।
সোমবার দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- জাকির হোসেন সায়াল, মঈনুল ইসলাম, জুলফিকার মোহাম্মদ শোয়েব, মাহিন আহমেদ, ইমাম হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, সৌরভ দেবনাথ, সাজু দাস, আহমেদ সিয়াম, ইমতিয়াজ আলম, মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব, সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, মো. সাইফুল্লাহ, অভিজিৎ দাস, মো. ফাহাদুল ইসলাম, মো. তৌফিকুর রহমান ইয়ন। আসামিরা শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে চমেক ক্যাম্পাসে পরিচিত।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের সবাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা এবং মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে চমেক ছাত্র আকিবের
এর আগে গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) দিনগত রাতে চমেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। তৌফিক চমেক ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওই মামলার আসামিরা হলেন- সাদ মোহাম্মদ গালিব (২১), আহসানুল কবির রুমন (২১), জাহিদুল ইসলাম জিসান (২১), মাহাদি বিন হাশিম (২৪), আসিফ বিন তাকি (২৫), ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (২১), মাহতাব উদ্দিন রাফি (২১), জাহিদুল আলম জিসান (২১), সৌরভ বেপারী (২১), মো. আনিস (২১), রক্তিম দে (২১), এইচ এম আসহাব উদ্দিন (২১), তানভীর ইসলাম (২১), নাজমুস সাদাত আসিফ (২১), এনামুল হাসান সীমান্ত (২১) ও রিজওয়ান আহমেদ (২১)। আসামিরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চমেকে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের গ্রুপটি। নাছির চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। গত বছরের ২০ আগস্ট এ পদে আসেন ব্যারিস্টার নওফেল। সে থেকে ধাপে ধাপে চমেক ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে নওফেল গ্রুপ।
আরও পড়ুন: চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ছোটখাটো সংঘর্ষের পর গত ২৭ এপ্রিল সিএমসি ক্যান্টিনে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কটুক্তির ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে বড় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। এ ঘটনার পর পাঁচলাইশ থানায় উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। একই সঙ্গে চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট ডাকেন। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সর্বশেষ গত শুক্রবার দিনগত রাত ও শনিবার উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনার পর শনিবার জরুরি বৈঠকে বসে প্রশাসন। বৈঠক শেষে মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
খালেদা জিয়ার বায়োপসি প্রতিবেদন বিদেশে পাঠানো হয়েছে: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বায়োপসি প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার ডা. জাহিদ ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের (খালেদা) বায়োপসি প্রতিবেদন পেয়েছি এবং পর্যালোচনার জন্য তা বিদেশ পাঠানো হয়েছে।’
বায়োপসি প্রতিবেদন অনুযায়ী খালেদার চিকিৎসা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে প্রতিবেদন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান জাহিদ। তিনি বলেন, ‘পর্যালোচা প্রতিবেদন ছাড়া ফলাফল সম্পর্কে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, ফলাফল নিয়ে কিছু দ্বিধা দূর করতে খালেদার বায়োপসি প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে।
২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার শরীরের একটি অংশে ছোট লাম্প থাকায় বায়োপসি করানো হয়।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ভালো আছেন: ফখরুল
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
পড়ুন: খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, ঢাকাসহ বাংলাদেশের বড় শহরগুলো ব্যাপক দূষণের কারণে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (০১ নভেম্বর) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
বিএনপির জেষ্ঠ্য এই নেতা বলেন, ‘জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী গ্লাসগো গেছেন। অথচ, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ঢাকায় বায়ুদূষণের হার সবচেয়ে বেশি। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শহরগুলো এক একটি বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার। আসলে পুরো বাংলাদেশই একটি বিশাল বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গাছ, মাছ ও পানি ধ্বংস করার পর এখন জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধী সম্মেলন কপ-২৬ এ অংশ নিতে গেছেন। এই সম্মেলন তাদের কার্যক্রমের একেবারে স্ববিরোধী কাজ।’
আরও পড়ুন:পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় সব বিরোধী দল, পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করলেও সরকার তা স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
যে প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছেন, তিনিই গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে গেছেন। বিষয়টা এমন যে একজন বৃদ্ধ মহিলা নাচতে চান, কিন্তু তিনি জানেন না যে তার অভিনয় দেখে আর কেউ মজা পাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৬’ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় সফরে স্কটল্যান্ড গেছেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে আ.লীগের লোকেরা জড়িত: বিএনপি
সুজানগরে ১০ প্রার্থীকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ
পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ১০ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি আব্দুল কাদের রোকন,আব্দুল জলিল বিশ্বাসসহ উপজেলা এবং ইউনিয়ন আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে আ'লীগের ১০ কর্মী আহত
সভায় উপজেলার দুলাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম শাহজাহানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস আলী মল্লিক, সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এস এম সামছুল আলমের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজাহার আলী শেখ ও উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলী খান, সাগরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তৈয়ব আলী শেখ ও সদস্য টিপু সুলতান, রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী জিএম তৌফিকুল আলম পিযুষের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক টুটুল কাজীকে দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কার করার জন্য দলের হাইকমান্ড বরাবর সুপারিশ করা হয়।
সভায় একই সাথে ভাঁয়না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ওমর ফারুক, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মশিউর রহমান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী নূর মোহাম্মদ, তাঁতীবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মতিন মৃধার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী আব্দুর রাজ্জাক খান ও আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী হিরার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে তারা যাতে দলীয় কোন পদ পদবী না পেতে পারে সে সুপারিশও করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে দলের বিরোধীতা: আ’লীগের ৮ কর্মী বহিষ্কার
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, শুধু বিদ্রোহী প্রার্থীই নয়; উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় যে সকল নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেবে তদন্তে প্রমাণীত হলে তাদের বিরুদ্ধেও দলের গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী একই ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১০ জন, বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২০ জনসহ সর্বমোট ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এখন সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’: মির্জা ফখরুল
দেশে সুশাসনের অভাবে সব মহলে ‘চরম পর্যায়ের নৈরাজ্য’ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি ফাইল গায়েব হয়েছে এবং এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এটি বর্তমান শাসন ব্যবস্থার অবস্থা।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর ওপর লেখা বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘শুধু স্বাস্থ্য খাতে নয়, প্রতিটি সেক্টরে এবং সর্বত্র চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। কারণ তাদের (ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের) মূল লক্ষ্য অর্থ উপার্জন করা।’
ফখরুল বলেন, ‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে যখন মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ভয়ঙ্কর সময় পার করছে, তখন ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ও সরকারি কর্মচারীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্রুত টাকা আদায়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি: মির্জা ফখরুল
এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির একজন চালক ৪০০ কোটি টাকার মালিক। দেশে এখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে,’ বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একজন ভিসি টাকা কামানোর জন্য এক রাতে ১৬৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা যে বর্তমান সমাজ তৈরি করেছি তার থেকে ভালো কিছু আশা করা খুবই কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার শিক্ষা খাতের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয় না। কারণ মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে দুর্নীতি করাই এর মূল উদ্দেশ্য। তারা মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করে যেখান থেকে তারা কমিশন পেতে পারে এবং সম্পদ অর্জন করতে পারে।’
জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার দিকে সরকারের কোনো মনোযোগ নেই বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তবে তিনি সবাইকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, একটি ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ খালি করছে সরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, এখন জনসাধারণের মনে একটি বড় প্রশ্ন আসলে কবে পরিবর্তন আসবে এবং কবে আমরা এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব? আমি বলতে চাই, আমাদের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। কারণ এই দেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয়নি,’ বিএনপি নেতার পর্যবেক্ষণ।
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালের মতো আবারও জনগণকে জেগে উঠতে হবে।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
ঢাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ‘অভিযোগ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন সিলেটের কানাইঘাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম আব্দুল্লাহ আল হাদী (২৫)।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন ডাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মারধরের শিকার এম এম আব্দুল্লাহ আল হাদী রাজধানীর শাহবাগ থানায় শুক্রবার রাতেই মামলার আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী পলাশ, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী রুদ্রিক রাব্বির নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আট থেকে নয় জনের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: সেগুনবাগিচা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মামলার আবেদনে আব্দুল্লাহ আল হাদী অভিযোগ করেন, তিনি সিলেট থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির সাথে দেখা করার জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসেন। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক দশটার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাসের এক পাশে বসে ছিলেন। এ সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা ও তার সহযোগীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এক পর্যায়ে আমির হামজার নেতৃত্বে তাকে মারধর করা হয়।এ সময় রাব্বির তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ষ্টিলের পাত দিয়ে মাথার পেছন দিকে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। অভিযুক্তরা তার মুঠোফোন ও সাথে থাকা অর্থ ছিনিয়ে নেয়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোক জড়ো হলে অভিযুক্তরা তাকে হুমকি দিয়ে সটকে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, 'উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় আমি রিকশা যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাথার জখমস্থানে ১৩টি সেলাই করেছেন।'
আরও পড়ুন: করোনার টিকা উৎপাদনে এএফসি-ঢাবির চুক্তি
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হামজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার দায় অস্বীকার করেন। তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিতই ছিলাম না। আমি নয়টা পর্যন্ত মধুর ক্যান্টিনে ছিলাম। তারপর ছাত্রলীগ সভাপতির জন্মদিনের কেক কাটার জন্যে রোকেয়া হলের সামনে যাই। আমি নোংরা রাজনীতির শিকার।'
হামলায় জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত বাকিরাও ঘটনার দায় অস্বীকার করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। তিনি বিস্তারিত জানতে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
হারুন অর রশীদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' মামলা গ্রহণ করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখলের আহ্বান ড. কামালের
দেশ ‘পুরোপুরি স্বৈরতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন রাজনৈতিক দলগুলোকে এ সরকার উৎখাত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখলের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্ছিত। বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের কোনো ভরসা নেই। তারা (সরকার) জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। দেশে এখন পুরো স্বৈরতন্ত্র বিরাজ করছে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট এই রাজনীতিক বলেন, দেশকে ‘স্বৈরতন্ত্র’ থেকে রক্ষা করতে জনগণের ঐক্য এখন অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ভালো আছেন: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘জনগণ আন্দোলনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। রাজনৈতিন দলগুলো তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে জনগণ রাজপথে নেমে আসবে। রাজপথের সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের জনগণ দেশের মালিকানা ফেরত পাবে।’
বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনার নৈতিক অধিকার নেই বলেও দাবি করেন ড. কামাল।
এদিকে এ অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না। নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করতে আমাদের সব জায়গায় জাগ্রত করতে হবে। আমাদের এই সরকারকে উচ্ছেদ করতেই হবে।’
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উৎখাত নিশ্চিত করতে রাজপথে শক্তিশালী আন্দোলনের বিকল্প নেই।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটা পরিবর্তন আনতে আন্দোলনই আমাদের একমাত্র পথ। আমি বিশ্বাস করি, এখানে যে সকল জাতীয় নেতা আছেন তারা একসঙ্গে রাজপথ দখল নিলে একটা পরিবর্তন আসবে।’
পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ খালি করছে সরকার: ফখরুল