রাজনীতি
হাইকোর্টে হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার তার আইনজীবী সৈয়দ ফজলে ইলাহী জামিন আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ওই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তার আবেদনটি আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ৯০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। মঙ্গলবার এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।
৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলাটি করে র্যাব-১। মামলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী ও সংস্থাকে কটূক্তি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
ওইদিনই মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাতেই র্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে।
পরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক চার মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়।
এর মধ্যে গত ১৭ আগস্ট একটি এবং ২১ সেপ্টেম্বর দুটি মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পান তিনি।
আরও পড়ুন: ১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর
মাদক মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী ঘোষণা
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের পাঁচটি জেলায় (ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ) মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মূলতবি সভায় এ নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত বিএনপি নেতার মনোনয়ন ক্রয় করলেন আ’লীগ নেতা
জনগণের হাতে শাসনব্যবস্থা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
বহিষ্কৃত বিএনপি নেতার মনোনয়ন ক্রয় করলেন আ’লীগ নেতা
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতার পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতার মনোনয়নপত্র ক্রয় নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এমনকি `আওয়ামী লীগের সমর্থনে’ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন বির্তকিত এই নেতা।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাচন রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর পক্ষে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত ‘আইওয়াশ’: বিএনপি
জানা গেছে, বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টুকে নৌকার প্রার্থী করা হচ্ছে। তার নাম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে। এমন খবরে যখন স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ জেলাজুড়ে তোলপাড় চলছিল, তখন কুতুবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতির এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন দলটির তৃণমূল। অনেক নেতাই জসিম উদ্দিনদেরকে `আওয়ামী লীগের বিষফোঁড়া’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তারা বলেন, `জসিম উদ্দিনরা কখনই জাতির জনকের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে আসেনি। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মীও নন। তারা নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা দলের থেকে ব্যক্তি স্বার্থটাকেই বড় করে দেখছেন। একজন ব্যক্তির হয়ে তারা কাজ করছেন। এটা দলের নেতার কাজ হতে পারে না।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় খাদ্যমন্ত্রীর শোক
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সবসময় বলেছেন, আমাদের প্রকৃত একশ কর্মী হলেই যথেষ্ট। হাইব্রিড এক হাজার দরকার নেই। তারপরও তারা কীভাবে একজন বিএনপি নেতাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভাড়া করে নিয়ে আসছে! আমাদের দলের কী এতটাই করুণ অবস্থা?’
জনগণের হাতে শাসনব্যবস্থা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারকে আধিপত্যবাদী শক্তির পুতুল আখ্যায়িত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই শাসনব্যবস্থা দেশের জনগণের হাতে তুলে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় কারণ আমাদের ৫০০ এরও বেশি নেতাকর্মীকে নিখোঁজ করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো আধিপত্যবাদী শক্তির সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসেবে ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আধিপত্যবাদী শক্তির 'সেবা' করছে। কারণ এটি তাদের 'পুতুল' হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: নাসিকের প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত হয়নি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের আড়ালে একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের জনগণ যারা সর্বদা তাদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে তাদের পরাজিত করা সম্ভব নয়।’
ফখরুল বলেন, শুধু বিএনপি নয়, সমগ্র জাতি একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কারণ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করেছে।
তিনি বলেন, সমগ্র জাতিকে একত্রিত হতে হবে এবং সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তি এবং দল, ব্যক্তি এবং সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে সকল দ্বন্দ্ব ও বিভ্রান্তিকে এক করে অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আবরার দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আসুন দেশকে স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত করি এবং আবরার ফাহাদের ত্যাগের মূল্য দিতে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল
ফখরুল এসময় সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে গ্রেপ্তারের জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।
‘কনক সারোয়ার এই সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে তার জীবন বাঁচানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি তার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মার্কিন সফর সম্পর্কে কিছু তথ্য উন্মোচন করেছিলেন। এজন্যই সরকার প্রতিহিংসার জন্য তার বোনকে গ্রেপ্তার করছে।’
ফখরুল বলেন, এটা অকল্পনীয় যে রাকার মতো একজন গৃহবধূ যার রাজনীতিতে কোনো সম্পৃক্ততা নেই তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমলারা দেশ চালাচ্ছেন: মির্জা ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এটা নতুন কিছু নয় কারণ এর আগে আমরা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর দমনসহ অনেক ঘটনা দেখেছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীর মা -বোনদের দমন করা হয়েছে এবং তাদের ঘরও একইভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
নাটোরে আ’লীগের দু’গ্রুপ মুখোমুখি, একই সময় কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে নাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ পরস্পরের বিরুদ্ধে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া, থানা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারির গ্রুপ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
এদিকে বিকালে উপজেলার জোনাইল বাজারে একই সময় উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
এবিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ও নজরদারিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে এমপি এলাকায় এলে তার গাড়ি পুড়িয়ে দিতে নিজ সমর্থকদের নির্দেশ দেন উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি। এরপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
বিএনপির নির্যাতনের কাহিনী আরব্য রজনীর মতো: কৃষিমন্ত্রী
ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর যে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তা আরব্য রজনীর গল্পের মতো। এক হাজার এক রাতেও বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পর সামরিক শাসন জারি করে দেশ শাসন করেছে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করেছে।
বুধবার মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পাইকপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়: কৃষিমন্ত্রীআব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সেরকমভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য আলাদিনের আশ্বর্য প্রদীপ পেয়েছি। সে প্রদীপটি হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ গতিকে আমাদের ধরে রেখে আরও গতিশীল করতে হবে। সেজন্য, দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যাওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরেরসততা, আদর্শ ও দলের প্রতি আনুগত্য দেখে নেতা নির্বাচনের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানড. রাজ্জাক। তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মীবাহিনী ও তাদের ঐক্যই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে আরও শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র ও আইন মেনে শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যাতে করে বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, রাজাকার-আলবদর ও ধর্মান্ধরা অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, ক্ষমতায় না আসতে পারে।সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সাবেক হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এসময় টংগীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপিকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যাওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
আগামী সাধারণ নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মাথা ঘামানোর পরিবর্তে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপির সহযোগিতা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে যা ভোট গ্রহণকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন: অরাজকতা সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার শুধুমাত্র নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসিকে সহায়তা করে।
কাদের বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে এমন মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিএনপির দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে ভোট দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ নয়: ওবায়দুল কাদের
সেতু মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনে মানুষ খুশি। তারা তাদের আবার বিএনপির ফাঁদে ফেলতে দেবে না।
কাদের বলেন, ভোটাররা অনেক আগেই বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং সাম্প্রতিক উপনির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
কাউন্সিলে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা কাদেরের
অরাজকতা সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন: ওবায়দুল কাদের
সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে দেশে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাসীদের মানুষ বয়কট করেছে। এ দেশে তারা আর কখনও ক্ষমতায় যেতে পারবেন না।’
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের আমিনবাজার এলাকায় গাবতলী আমিনবাজার দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মিউজিয়ামে, মীমাংসার সুযোগ নেই: সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যেকোন আন্দোলন দমন করার জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে। মুখে বললেই হবে না সক্ষমতা থাকলে করে দেখান। অতীতে ইতিহাস সকলেই জানে। বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করে বহু গাড়ি, বাড়ি, ভূমি অফিসসহ নানা স্থাপনা পুড়িয়ে দিয়েছে। তাই বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন।
আরও পড়ুন: আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে: সেতুমন্ত্রী
দেশে আন্দোলনের নামে কোন দল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথা সময়ে হবে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচনে কে আসলো আর আসলো না কারো জন্যে নির্বাচন বসে থাকবে না।’
মন্ত্রীর সাথে এসময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ নয়: ওবায়দুল কাদের
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না:হানিফ
বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘ নির্বাচনে অংশ নেয়া বা না নেয়া প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা বা দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই কোন রাজনৈতিক দল যদি অংশ নিতে না চান তাতেও তাদের অধিকার রয়েছে। তবে এই বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবে না।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা সরকারের কোনো বিকল্প নেই: হানিফ
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখা আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় হানিফ এসব কথা বলেন।
আওয়াম লীগ নেতা বলেন, ‘মির্জা ফখরুল একটি কথা বলেছেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। এ কথাটি ২০০১-২০০৬ সালে একাধিকবার জনসভায় বেগম খালেদা জিয়াও বলেছিলেন আওয়ামী ৩০টির বেশি আসন পাবে না। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০টিরও কম আসন পেয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে নেতা-কর্মীরা রাজনীতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত: হানিফ
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলও জানেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনে তারা জনগণ থেকে আবার ধিকৃত হবেন। কারণ তারা দেশের ও জনগণের জন্যে এমন কোন কাজ করে নাই, যে কারণে জনগণ তাদের জন্যে আস্থাশীল হবেন। তাদের কুকর্ম, অতীতের কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি ও পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যার কারণে তারা মানুষের থেকে এতটাই দূরে সরে গেছে যে তারা শুধু আগামী নির্বাচন কেন তাদের জীবদ্দশায় কখনো নির্বাচনে জয়লাভ করবে কিনা আমার মনে হয় মানুষ তা ভাবছে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক দল নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে উৎসবমুখরভাবে ভোট প্রদান করবেন এবং তারা তাদের পছন্দের দলকে নির্বাচিত করবে, এটাই তাদের প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বর্হিবিশ্বে প্রশংসিত: হানিফ
আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ড. মহিউদ্দন খান আলমগীর এমপি, সাবেকমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বক্তব্য দেন।
নাসিকের প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত হয়নি: মির্জা ফখরুল
বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যাপারে এখনও দলের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও তিনি জানান।
শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের উপজেলার পাচঁরুখী এলাকায় বিএনপি'র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের প্রয়াত বাবা মোস্তাফিজুর রহমানের কুলখানি অনুষ্ঠানের শোক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে কোন নির্বাচনই হতে পারে না। তবে যদি নির্বাচন কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়, তার অধীনেই নির্বাচন হতে পারে। এমন পরিস্থিতি হলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই। বিরোধীদলগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার কোন সুযোগ পাচ্ছে না। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সকল রাজনৈতিক দল দুর্বিষহ সংকটপূর্ণ পরিস্থতি অতিক্রম করছে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ স্থানীয় নেতাগণ।