রাজনীতি
সিলেটে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক জেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নগরীর মজুমদারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ফয়েজুর রহমান ফয়েজ (৩৮) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাছন ফাতেমাপুর গ্রামের মৃত মখলিছ মিয়ার ছেলে ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, গ্রেপ্তার ফয়েজ সিআর মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারধীন রয়েছে।
বিধি মোতাবেক তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির আমান, তাবিথসহ ৭০ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
ফরিদপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। তার বিরুদ্ধে মারামারি, প্রভাব বিস্তার ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, বুধবার দুপুর দুইটার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট হতে ফাইনকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল। এরপর তাকে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় চারটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডির দায়েরকৃত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এই ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন।
আরও পড়ুন: কলেজ ছাত্রকে অপহরণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩
জানা গেছে, ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন ফরিদপুরের কৃষি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। গত বছরের ২০ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
২০২০ সালের ৭ জুন রাতে এক বিশেষ অভিযানে ফরিদপুরের তৎকালীন ক্ষমতাশালী এক ডজন নেতা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করে।
বিএনপির আমান, তাবিথসহ ৭০ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, তাবিথ আউয়াল, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ কয়েকজন আগাম জামিন পেয়েছেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা অপর একটি মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শফিকুল হক মিলনসহ আরও কয়েকজন। সব মিলে দুটি পৃথক মামলায় বিএনপির ৭০ নেতা-কর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। বুধবার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ বিএনপি নেতাদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। চন্দ্রিমার ঘটনায় আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। নির্ধারিত সময়ের পর তাঁদের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রুহুল কুদ্দুস কাজল, নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, রুকুনুজ্জামান সুজা, কামরুল ইসলাম সুজন, আকতার রসুল মুরাদ, জিয়াউর রহমান ও আবিদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।
১৭ আগস্ট রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পরদিন ১৮ আগস্ট দিবাগত রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা হয়। পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ১৫৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। মামলায় পরিকল্পিতভাবে নাশকতার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা করে আহত করা এবং গাড়ি ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় বিএনপির নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্যসচিব আমিনুল হককে আসামি করা হয়। এ ছাড়া তাবিথ আউয়ালকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আসামি হন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং ওই তিন নেতা। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার এখনো জামিনের আবেদন করেননি।
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
ওই সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিসহ নানা অভিযোগে গত ১৬ মার্চ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এ (আমলি আদালত বোয়ালিয়া) মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই সমাবেশে বিএনপির চার নেতা পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের হুমকি দেন। মিজানুর রহমান প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘মনে নাই পঁচাত্তর সাল?’ এই ঘোষণার পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উগ্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। কিছু নেতা-কর্মী সমাবেশের বক্তব্য ফেসবুকে সরাসরি প্রচার করেন। সমাবেশে অন্য নেতারাও একইভাবে বক্তব্য দিয়ে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ান। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের হুমকি দেন। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেন। এর মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
সিলেটে বিএনপি নেতা এমরান আহমদ চৌধুরী গ্রেপ্তার
আ’লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কারণ দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দলের পক্ষে এই অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে কখনো বিশ্বাস করে না। তারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র বাহক মনে করে, কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতাসীন দল জাতির সকল আশা -আকাঙ্ক্ষাকে তছনছ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই গণতন্ত্রের জন্য জনগণ দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে?’
বুধবার ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) এখন ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানকে ছিন্ন করে ছদ্মবেশে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দলটি ১৯৭৫ সালেও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জিয়ার কবরের প্রবেশ পথে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের কিছু নেতাকে কবর প্রাঙ্গণে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
ফখরুল অভিযোগ করেন যে ১৯৭২ সালের পর অনেক মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তারা এখন জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মতো একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা 'পুনরুদ্ধার' করার পথ প্রশস্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের জিয়ার কবরে যেতে পুলিশের বাধার নিন্দা জানান।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা দল যুদ্ধক্ষেত্রের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত। দুর্ভাগ্যবশত, এখানে আসা অতি পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর প্রাঙ্গণে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতার পদত্যাগ
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পদত্যাগ করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক পদ থেকে অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের পদত্যাগের ধারাবাহিকতায় তারা পদত্যাগ করেছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সিলেট নগরীর মিরাবাজারস্থ একটি হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জৈন্তাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৫টি উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে আলতাফ হোসেন বলেন, একযুগ ধরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখে জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আমাদের বাদ দিয়ে নিস্ক্রিয় ও অযোগ্য এমনকি কমিটিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি হাস্যকর কমিটি উপহার দেয়া হয়েছে। রাজপথের পরিক্ষিত পরিশ্রমী নেতা মওদুদুল হক মওদুদ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ককে নতুন ঘোষিত কমিটির ৩১নং সদস্য, সিটি করপোরেশনের দুই বারের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিনকে ৩৮নং সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বেলালকে সদস্য, সদর উপজেলার আহবায়ক শাহিদুল ইসলাম কাদিরকে সদস্য ও আলতাফ হোসেন বিলালকে ৬১নং সদস্য রেখে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে।
আলতাফ হোসেন আরও বলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি (সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সিলেট জেলার সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্বে সিলেটের রাজপথের আলোচিত আন্দোলনের মধ্যে এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের দীর্ঘ আন্দোলন, খালেদা জিয়ার বাসভবনে ৯৩ দিনের অবরোধের কঠিন কর্মসূচি, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত আন্দোলন, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সিলেট হযরত শাহজালাল (রঃ) জিয়ারত আগমনে বাঁধাগ্রস্থ যুবলীগ-ছাত্রলীগকে প্রতিহত করে নেত্রীকে স্ব-সম্মানে সার্কিট হাউজে পৌঁছানো। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে মিছিল, মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন ধারাবাহিক কর্মসূচিগুলো এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সময় অপপ্রচার, হুলিয়া ও সাজানো রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকায় উপজেলা ও পৌরসভার আন্দোলনের পাশাপাশি জেলা ও মহানগরের সকল কর্মসূচিতে নিজেদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ ত্যাগ ও পরিশ্রম করেছি এবং অর্ধ শতাধিক মামলা, জেল-জুলুম, নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। আজ কমিটি ঘোষণায় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম-পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের একফোটা ঘামের মূল্যই রাখেনি আমাদের এই প্রিয় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ নেতার পদত্যাগ
আলতাফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমের মতো ইনসাফ থেকে বঞ্চিত ও অপমান অপদস্থ করার কারণে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ও শিক্ষাগুরু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান গত ১৮ আগস্ট পদত্যাগসহ ৩৬ বছরের দীর্ঘ রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন। সিলেট বিএনপি প্রতিষ্ঠায় অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান পারিবারিক অর্থ-সম্পদ ব্যয় করেন, সীমাহীন প্রতিকূলতার মাঝে দলকে প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তারা বলেন, আমরা আমাদের সোনালী সময় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলে ব্যয় করেছি। আমরা যারা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন বাজী রেখেছি, রাজপথে গুলিবিদ্ধ হয়েছি, সংসার থেকে বিতাড়িত হয়েছি আজ আমাদের প্রিয় সংগঠন আমাদের তামাশায় রুপান্তরিত করেছে। আমাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে তিলে তিলে গড়া আলোচিত সংগঠন সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দল। আজ সংগঠনটি নিস্ক্রিয় ও অযোগ্যদের হাতে নিমজ্জিত। নিস্ক্রিয় ও অযোগ্যদের নেতৃত্বে আমাদের কাজ করা অপমান ও লজ্জাজনক। তাই আমরা স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
সিলেটে বিএনপি নেতা এমরান আহমদ চৌধুরী গ্রেপ্তার
সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাওলানা রশিদ আহমদের জানাযা থেকে ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে বিএনপিতার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি একটি মারামারি মামলার আসামি ছিলেন।
৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি
আগামী ১ সেপ্টেম্বর ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ভার্চুয়াল আলোচনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
প্রিন্স বলেন, তারা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম বজায় রেখে সমস্ত অনুষ্ঠান করবেন।
কর্মসূচি অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে বিএনপির অন্যান্য সকল কার্যালয়ে দলের পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সকাল ১১ টায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মিলাদ আয়োজন করবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠী দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী
পরে দুপুর ১২ টায় বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের নেতাকর্মীরা জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এইদিন বিকাল তিনটায় ভার্চুয়াল আলোচনারও আয়োজন করবে দলটি।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির সহযোগী সংস্থা এবং তাদের সকল ইউনিট দলের কোভিড -১৯ হেল্প সেন্টারের মাধ্যমে আলোচনা এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই: তথ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন।
আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯৫টি স্টিলের বর্ষা জাতীয় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক হেলাল তালুকদারের বাড়িতে এই অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল।
অভিযানের পর থেকে ওই আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মৃত আক্কেল তালুকদার ছেলে হেলাল তালুকদার (৪০) বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন-এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হেলাল তালুকদার ও তার সহযোগীরা নৌকাযোগে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার সেমি পাকা টিনশেড বৈঠক ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৯৫টি স্টিলের পাইপ দিয়ে তৈরি বর্ষা জাতীয় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেইসাথে পলাতক হেলাল তালুকদারকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান ওসি মাসুদ রানা।
এ বিষয়ে ফরিদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীর বলেন, হেলাল তালুকদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক। তার বাড়ি থেকে দেশী অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা শুনেছি। তার বিষয়ে দলীয় সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু
বোরহানউদ্দিনে দেশীয় অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক
রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীর পৃথক অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৩
ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে।
তিনি বলেন, ‘কঠোর লকডাউন হঠাৎ করে প্রত্যাহার করা হয়েছিল যাতে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। হাজার হাজার মানুষ একসাথে হাঁটছে এবং সবকিছু করছে। কিন্তু শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকছে। ’
আরও পড়ুনঃ বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই: তথ্যমন্ত্রী
দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের জন্য জিয়া পরিষদের ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় না খুলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশ মহামারির মধ্যে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার পাশাপাশি টিকা এবং একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য কার্যকর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোন পরিকল্পনা নেই। যেটা কিনা নতুন প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি করছে।’
আরও পড়ুনঃ বিএনপির চার নেতা কারাগারে
বিএনপি নেতা বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীর অনলাইন শিক্ষার সুযোগ পেতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন কেনার ক্ষমতা নেই। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা এখন তাদের বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য বেলুন এবং বাদাম বিক্রি করছে কারণ তাদের স্কুল সম্পূর্ণ বন্ধ। তার মানে তারা ইতোমধ্যেই বিমুখ হয়ে পড়েছে।’
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবং ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক মন্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিহীন। একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না।
বরিশালে গভীর রাতে প্রশাসন ও আ'লীগের সমঝোতা!
দ্বন্দ্ব সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বরিশালে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা হল প্রশাসনের। রবিবার রাতে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল আহসান বাদলের বাসভবনে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠকের পর সমঝোতায় আসে দুই পক্ষ।
যদিও প্রশাসনের কেউ এব্যাপারে মুখ খোলেননি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। তবে বৈঠক সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতিও বিষয়টি স্বীকার করেছেন সংবাদকর্মীদের কাছে।
রাত ১টার পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর থেকেও এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় দু’পক্ষের সমঝোতার খবর। তাছাড়া বৈঠক শেষে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ পুলিশ বিভাগ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তোলা একটি গ্রুপ ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বরিশাল সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানও উপস্থিতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বরিশালে প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ভেতরে ভেতরে যে একটা চেষ্টা চলছিল, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল রবিবার দুপুরেই। সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রথম সেই ইঙ্গিত দেন। সেসময় তিনি বলেন যে, এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি এবং খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে বরিশালে ইউএনও এবং কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দু’টি মামলার আবেদন জমা পড়লেও সেগুলো এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে তদন্তের জন্য পিবিআই’র কাছে পাঠিয়ে দেন বিচারক।
অন্যদিকে সিটি মেয়রের পক্ষে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বরিশালে বিসিসি কাউন্সিলারদের যে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল তাও স্থগিতের ঘোষণা আসে রবিবার রাতে। সবমিলিয়ে ভেতরে ভেতরে যে কিছু একটা হচ্ছে তা আঁচ করতে পারছিল সবাই।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
রবিবার রাত ১০টার পর বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে একে একে প্রবেশ করতে থাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গাড়ি। রাত ১২ টার পরে গাড়িগুলো আবার বেড়িয়ে আসে। এরইমধ্যে জানাজানি হয় ওই বাসভবনে মেয়রসহ সকল কর্মকর্তাদের আপ্যায়িত হওয়ার বিষয়টি। একই সাথে ছড়িয়ে পড়ে বিরাজমান দ্বন্দ্ব দূর করে দু’পক্ষের সমঝোতার খবর।
পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউএনও ও বিসিসি মেয়রসহ এক সাড়িতে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি ভাইরাল হয়। ওই ছবিতে আরও রয়েছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি তালুকদার মো: ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল আহসান বাদল, রেঞ্জ ডিআইজি আকতারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান এবং জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বৈঠকের ব্যাপারে অবশ্য কিছু বলতে রাজি হননি সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কেউ। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে সেখানে। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিষয়টি নিয়ে সামনের দিনগুলোয় কোনও বাড়াবাড়ি করবেনা দুই পক্ষ। মামলাসহ যেসব জটিলতার সৃস্টি হয়েছে সেগুলোরও সমাধান করা হবে। তাছাড়া আগামীর দিনগুলোয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতারা মিলেমিশে কাজ করবে এবং কোনরকম রাগ কিংবা ক্ষোভ ভেতরে পুষে রাখবে না। পরে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়িত করেন বিভাগীয় কমিশনার।’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট রাতে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা ব্যানার অপসারণ নিয়ে বিরোধে জড়ায় আওয়ামী লীগ এবং সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান। সেই ঘটনায় হামলা সংঘর্ষ এবং গুলি বর্ষণের ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ক্ষমতাসীন দলের ৩০ নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
পরে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে পৃথক দুটি মামলাও দায়ের করেন ইউএনও ও পুলিশ। পরবর্তীতে ইউএনও মুনিবুরসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু‘টি পাল্টা মামলা দায়েরের আবেদন করেন বিসিসির একজন প্যানেল মেয়র ও একজন কর্মকর্তা। তবে রাতের সমঝোতা বৈঠকের পর এসব জটিলতা কেটে যাবে এমনটাই মনে করছেন সবাই।