রাজনীতি
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় সোমবার রাতে অভিযোগ দায়ের ও মামলা রুজুর আবেদন করেন ওই তরুণী।
মামলার অভিযোগে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম নগরীর ২৯নং ওয়ার্ডস্থ তরুণীর বাসায় ঢুকে জোর করে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জসীম তাকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়াতে থাকে এবং এক পর্যায়ে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করায়। এরপর জসীম ঢাকায় হোটেলে, ওই তরুণীর বাসা এবং নগরীর চাংপাই রেস্টুরেন্টে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযোগকারী তরুণীকে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
এরপর বিয়ে জন্যা চাপ দিতে থাকলে সর্বশেষ চলতি বছর ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় ওই তরুণীর বাসায় গিয়ে দুদিনের মধ্যে বিয়ের কথা বলে তিনবার ধর্ষণ করে ভোর ৫টায় চলে যায় জসীম। দুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর পুনরায় বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হলে জসীম ওই তরুণীকে জানায় তিনি বিয়ে করেছেন এবং ওই তরুণীকে বিয়ে করা সম্ভব না। এরপর অভিযোগকারী তরুণী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে থানায় অভিযোগ এবং মামলা নেয়ার জন্যব আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, ধর্ষক গ্রেপ্তার
জানা গেছে, ওই তরুণী সম্প্রতি নগরীর সাগরদিতে জসীম উদ্দিনের বাসায় গিয়ে বিয়ের দাবিতে হট্টগোল করেন এবং এরপরেই জসীম অন্যস আরেকটি মেয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই বিষয়ে জানতে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিননের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর সত্যরতা যাচাইয়ের পর মামলা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
বিনামূলে ‘অক্সিজেন সেবা’ চালু করল স্বেচ্ছাসেবক লীগ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
মঙ্গলবার কলাবাগান স্পোর্টস ক্লাব প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধান অতিথি হিসেবে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি, প্রজ্ঞাপন জারি
এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘সবাইকে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে করোনা থেকে নিজেদের সুরক্ষা করতে হবে।’
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে একটি মানবিক সংগঠন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংগঠনটি জন্মগতভাবেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মানবিক কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজত ইসলাম একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, আমাদের জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে, জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর আগে ১০টি ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স এবং দুটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছে এবং ৪৩ জন ডাক্তারের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সেবা সরবরাহ করছে। এর পরিধি প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
তিনি বলেন, আজ ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিসের মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ যেভাবে দাঁড়াচ্ছে এটি অত্যন্ত মহৎ উদ্যোগ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা একে স্বাগত জানাই।
যে কেউ ০৯৬১১৯৯৭৭৭ হটলাইন নম্বরে ফোন করলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম মাহবুবুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর সহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
হেফাজত নেতাদের মুক্তির দাবি জানাল বিএনপি
সম্প্রতি বাংলাদেশে আলেম-উলেমা তথা হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তারের বিষয়ে উৎকণ্ঠা জানিয়ে তাদের মুক্তির দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সরকার দেশে চলমান লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও দেশের আলেম-উলেমাদের গ্রেপ্তার করছে।
ফখরুল বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সরকার দেশের আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করছে এবং মিথ্যা মামলার মাধ্যমে তাদের হয়রানি করছে। আমি সকল ধর্মীয় নেতাদের তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহরের দাবি জানাচ্ছি।’
এসময় তিনি সরকারকে বিএনপি নেতাদের মুক্তি এবং সকল ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ভাঙচুরের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে মামুনুল
সরকার দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে সরকার ধর্মীয় নেতাদের আটক করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে। দেশের সাধারণ মুসলিমরা আলেমদের এমন অপমান মেনে নেবে না।’
ফখরুল দাবি করেন, হেফাজতে ইসলাম ধর্মীয় সংগঠন হওয়ায় তাদের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: হেফাজত কর্মীদের হামলায় বাগেরহাটে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে হেফাজতের আন্দোলন ও সংঘর্ষ সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা সরকারকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, এটা ছিল সরকারের পরিকল্পিত চক্রান্ত। হেফাজতের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সরকার দলীয় লোকদের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রক্তপাতের মাধ্যমে সরকার দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ঈদে শিথিল হতে পারে লকডাউন: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার জানিয়েছেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তাভাবনা করছে।
তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্য লকডাউন শিথিল করা হতে পারে।’
তিনি সবাইকে মানসিকভাবে প্রস্তুত ও ধৈর্য্য ধারণে আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২২ এপ্রিল থেকে ফের লকডাউন: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সরকার লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন শ্রমিকসহ বেকার শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
এছাড়াও তিনি দলীয়ভাবে ভাসমান মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর আগে রংপুর সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের সাথে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন।
এসময় তিনি বলেন, সামনে ঈদ ও বর্ষাকাল, চলমান লকডাউনে সড়ক ফাঁকা থাকায় এখনই সড়ক মেরামত করার উপযুক্ত সময়।
১ কোটি ২৫ লাখ পরিবার খাদ্য সহায়তা পাবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ কোটি কোটি ২৫ লাখ পরিবার খাদ্য সহায়তা পাবে।
তিনি বলেন, খুব শিগগিরই ৩৫ লাখ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদের উপহার পাবেন।
আরও পড়ুন: কর্মসূচি ডেকে বিএনপি নেতারা বাসায় বসে হিন্দি সিনেমা দেখে: ওবায়দুল কাদের
রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, এই করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন জনগণের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য শেখ হাসিনার সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসাবে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই: কাদের
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপলক্ষে ৩৫ লাখ দরিদ্র পরিবারকে উপহার হিসেবে আর্থিক সহায়তা দেবেন।
জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে এ বিষয়ে একটি তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী, ‘অতিউৎসাহি’ পুলিশ চসিক নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে: অভিযোগ বিএনপির
করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য সরকারের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সব পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য: জাপা সভাপতি
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেসরকারি সংস্থার বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
রবিবার পবিত্র রমজান মাসে শ্রমিক হত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি এক বিবৃতে এ দাবি করেন।
বিবৃতিতে ঘটনার জন্য প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করা হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, শ্রমিকরা পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে সেহরি, ইফতার ও তারাবির নামাজের কথা বিবেচনায় রেখে তাদের কর্মঘণ্টা পুনঃনির্ধারণের দাবি করছিল। কি কারণে এবং কোন অবস্থাতে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য হয়, তা খুঁজে বের করতে হবে।
জি এম কাদের বলেন, ‘পবিত্র রমজানে এমন পুলিশি মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।’
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ: ২ মামলায় আসামি আড়াই হাজার
বিরোধী দলীয় এই নেতা আহত ও নিহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া সহ আহতদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করারাও দাবি জানান।
উল্লেখ্য, শনিবার বাঁশখালীর গন্ডামারায় এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হন ও ২৫ জন আহত হন। বেতন পরিশোধ ও রমজান কর্মঘণ্টার কমিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ জড়ায় শ্রমিকরা।
বিএনপি নেতা আমান করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানকে বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় বলে জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার করোনা পরীক্ষা করান আমান এবং তার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত বিসিবির পরিচালক আকরাম খান
আমান সুস্থ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার কোনো বড় ধরনের জটিলতা নেই।
আমান ১৯৯০ সালে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এবং ঢাকা-৩ আসন থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপির মদদ ছিল: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ শনিবার বলেছেন, হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপির মদদ ছিল।
তিনি বলেন, ‘হেফাজত কর্মসূচির নামে কয়েকদিন ধরে যে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করছিল, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তাদের কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে একাধিকবার উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এই তাণ্ডবের পরে যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর বাইরে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে লুটপাটের আয়োজন চলছে, অভিযোগ বিএনপির
সকালে কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি যদি এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকে, সেটা হেফাজত বা জামায়াত ইসলামের নামেই হোক তাহলে তো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবেই। ওই সময় বিএনপির অনেক পদধারী নেতাকর্মীদেরও ওই হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ২৬ তারিখে বায়তুল মোকারমের ছোট বিষয়কে ইস্যু করে বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বহির্বিশ্বের কাছে প্রচার করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তারা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। যারা রাষ্ট্রকে নিজের বলে মনে করতে পারে না তারাই এই ভাবে রাষ্ট্রের সম্পত্তি ধ্বংস করতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুষ্টিয়ায় প্রথম টিকা নেবেন হানিফ
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খালেদার প্রেসক্রিপশনে নতুন ওষুধ যুক্ত করলেন চিকিৎসকরা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিম শুক্রবার তার সিটি স্ক্যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চিকিত্সায় একটি নতুন ওষুধ যুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তারা খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, 'স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞসহ চিকিত্সক দলের সদস্যরা এই প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করেছেন এবং তার আগের প্রেসক্রিপশনে নতুন একটি ওষুধ যুক্ত করেছেন।'
তিনি জানান, সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশের সাথে সাথে খালেদাকে তার গুলশানের বাসায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে তারা।
এই চিকিত্সক জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডন থেকে তার শাশুড়ির চিকিত্সা প্রক্রিয়া তদারক করছেন।
সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদন অনুসারে তিনি বলেন, খালেদার ফুসফুসে খুব সামান্য সংক্রমণ পাওয়া গেছে। 'ম্যাডামের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল।'
তিনি জানান, খালেদা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য জনগণকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এইচআরসিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানো হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
উল্লেখ্য, গত শনিবার খালেদা জিয়া ও তার বাসায় আরও আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত বছরের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধেই তাকে ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। পরে, সরকার তার মুক্তির মেয়াদ দু'বার বাড়িয়েছে।
মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মৃদু জ্বরে ভুগছেন বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল জানান।
ডাক্তাররা জানান খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তারা সিটিস্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী জানান, বুধবার রাত থেকেই খালেদার সামান্য জ্বর দেখা দেয় এবং তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালেও তার শরীরে জ্বর ছিল।
'কিন্তু উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আমরা দেখেছি উনার চেস্ট ক্লিয়ার আছে। উনার ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে আছে।'
অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেছেন, 'সাধারণত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে বলা হয় যে প্রথম সপ্তাহের চেয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়, সুতরাং আমরা বলতে পারি যে উনি এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। তাই আমরা আরও একটু বেশি সাবধান হচ্ছি।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
সিটিস্ক্যান বাদে খালেদা জিয়ার প্রায় সব শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়েছে। এখন দ্রুতই তার সিটিস্ক্যান করানো হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, 'সিটিস্ক্যান করানোর পর রিপোর্ট দেখে যদি মনে হয় উনাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করালে ভালো হবে, তাহলে সেটাই করবো আমরা।'
'আর যদি রিপোর্ট দেখে মনে হয় যে না, কয়েকদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা ভালো হবে, তাহলে তাই করবো। সিদ্ধান্তটা সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেখে নেয়া হবে।'
উল্লেখ্য, গত শনিবার খালেদা জিয়া ও তার বাসায় আরো আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এরপর গত বছর ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধেই তাকে ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়।