���������������������
আমাদেরও এক দফা দাবি, শেখ হাসিনাকে ছাড়া নির্বাচন হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
‘আমাদের এক দফা এক দাবি, তা হলো শেখ হাসিনার অধীনে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন। যেখানে বিএনপির এক দফা দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ, আমাদের দাবি উল্টো।’
বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথ ‘শান্তি সমাবেশে’ বিএনপির এক দফা সরকার পতনের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে এ কথা বলেন কাদের।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কোনো কথা বলেনি ইইউ: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক দফা দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনাকে ছাড়া আমাদের নির্বাচন হবে না। বিএনপি জানে তারা নির্বাচনে হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার মুখে তারা ভেসে যাবে। তারা শেখ হাসিনার জনপ্রিতার হিংসা করে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের এক দফা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন এবং এই লক্ষ্য অর্জনে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
কাদের বলেন, উন্নয়ন হাসিনার অপরাধ। তার অপরাধ তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
বিএনপির একটি স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এখন আবার স্বপ্ন দেখছে। ‘তারা কী স্বপ্ন দেখছে? শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা (বিদেশি প্রতিনিধি দল) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। আমরাও তা চাই। যে কেউ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে।’
দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত খেলা চলবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কোনো অপশক্তি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে না।’
তিনি দলের নেতাদের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করতে বলেন এবং সব সহযোগী-সংগঠনের নেতাদের সমাবেশ করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
অতীতের নৈরাজ্যের জন্য বিএনপি দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে অগ্নি সন্ত্রাসের হুকুমদাতা ও নির্মমতার জন্য দায়ী।
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নৈরাজ্য ও মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় সন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধন থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যারা জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছিল তাদের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, বোমা হামলা করা হয়েছিল। এই নির্মমতার জন্য দায়ী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ আজ যারা লম্বা লম্বা বড় বড় কথা বলে, আজ যারা বিকেল বেলা সমাবেশ করবে তারা সবাই হুকুমদাতা ও নির্মমতার জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, আজকে আমার বামপাশে জিয়াউর রহমানের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছে আর ডানপাশে বিএনপি নেতাদের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছে। আজ তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ তাদের বিচার হবে।
মানববন্ধনে অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা হামলা ও নৈরাজ্যের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘এক দফা’ কোনো গুরুত্ববহন করে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে তো সংলাপে ডাকা হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী
সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এক দফা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের পদযাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে ফখরুল এ ঘোষণা দেন।
আগামী ১৮ জুলাই এক দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের সকল মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে এবং একইদিন ঢাকায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত একই কর্মসূচি পালিত হবে।
আগামী ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বিএনপি ছাড়াও আরও ৩৬টি সমমনা রাজনৈতিক দল নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
সমাবেশে যোগ দিতে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলের ডাকে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় পুলিশের সামনে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী ভিড় করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়াপল্টন এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের ডাকা বুধবারের শান্তি সমাবেশে হাজার হাজার দলীয় কর্মী জড়ো হয়েছেন।
কর্মীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও সরকার সমর্থক স্লোগান দিয়ে মিছিলে নিয়ে সমাবেশস্থলে আসে। নেতা-কর্মীদের অনেককে বাস ও পিক-আপ ভ্যানে আসতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে মন্তব্য: ঢাবিতে ফখরুলের কুশপুত্তলিকা দাহ
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণায় জনসভা করছে বিএনপি। এদিকে একই দিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে পাল্টা শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের অন্য নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
দুই পক্ষের ডাকা মিছিলে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কর্মসূচির কারণে সভাস্থলের আশপাশে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
বিএনপির বিচার দাবিতে নির্যাতনের শিকার দুই প্রজন্মের ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন
১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানে শাসনামলে অনেক সৈনিককে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে বিচার ছাড়াই ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিএনপির শাসনামলে নির্যাতনের কারণে দলের নেতাদের বিচার দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
১৯৭৫ ও ২০১৩ সাল পরবর্তী সময়ে বিএনপির হাতে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দলটির নেতাদের বিচারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বুধবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার ভুক্তভোগীদের সংগঠন ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ ও ১৯৭৭ সালে জিয়ার শাসনামলে বিনাবিচারে গণহত্যার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সংগঠন 'মায়ের কান্না' এ মানববন্ধন আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু পরিষদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ সালে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছিল। ঘুমন্ত সৈনিকদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনো বিচার ছাড়াই জেল-ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এমনকি নামের মিল থাকায় একজনের বদলে আরেকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আবার এমনও ঘটনা ঘটেছে, বিচারের রায়ের আগেই ফাঁসির দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে বিএনপির আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পোড়ানো হয়েছে। গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে ট্রাক জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই নির্মমতার জন্য দায়ী বিএনপির নেতারা। তাদের বিচার হতে হবে।
২০১৪ সালে বিএনপির আন্দোলন থেকে ছোড়া আগুনে নিহত হন নাহিদ হাসান নামে একজন। তার মা রুনি বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে জ্যাকেট কিনতে ঢাকা এসেছিল। শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত আমার ছেলেকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, আমি আমার সন্তানকে দেখতেও পারিনি। ছেলে হত্যার বিচার চাই।
২০১৩ সালে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, আমি সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। জামায়াত শিবির হরতাল করতে গিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে তারা নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা করে। হেলমেট, ইট, পাথর, লাঠি দিয়ে মারে। আমি সরকারের কাছে এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কোনো কথা বলেনি ইইউ: ওবায়দুল কাদের
‘মায়ের কান্না’র আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিন বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের সামরিক বাহিনীর উপর গণহত্যা চালিয়ে ছিলেন। সৈনিকদের এক কক্ষে বন্দি করে রাখা, উলঙ্গ করে নির্যাতন করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। সেগুলোর নথিপত্র দেখলে সেই নির্মমতার চিত্র বোঝা যায়। সেই ঘটনার ৪০ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। অথচ এখনও বিচার পাইনি।
তিনি বলেন, এখন অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলেন। অথচ আমরা কতটা মানবাধিকার বঞ্চিত সেটির দিকে কারো নজর নেই। আমরা আমাদের স্বজন হারানোর বিচার চাই।
মায়ের কান্না’র সদস্য আলেয়া বেগম বলেন, রাতে আমার স্বামী অফিসে যান। কিন্তু আর ফেরেননি। আমি জিয়াউর রহমানের কাছে যাই। কিন্তু তার গেটের পুলিশ আমাকে লাথি মেরে সরিয়ে দেয়। তিন মাস পর চিঠি দিয়ে জানায় আমার স্বামী জেলে মারা গেছে। তার মরদেহ পাইনি, কবরটাও দেখিনি কোনোদিন। আমার সন্তানরা তাদের বাবার মুখ দেখেনি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
আরও পড়ুন: চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে মন্তব্য: ঢাবিতে ফখরুলের কুশপুত্তলিকা দাহ
সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।
এ সময় তাদের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন।
সমাবেশের জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়াপল্টন এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বুধবারের সমাবেশে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি
এর আগে মঙ্গলবার পৃথক নোটিশে বিএনপিকে নয়াপল্টনে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে 'শান্তি সমাবেশ' এর অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে উভয় দলকে বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ সম্পন্নসহ ২৩টি শর্ত দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো আজ বুধবার রাজধানীতে পৃথক সমাবেশের মাধ্যমে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
এদিকে বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের বাইরে এক দফা দাবি ঘোষণার আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করবে ছয় দলীয় জোট গণতন্ত্র।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না বলে মত পোষণ করা ১২ দলের জোট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে সমাবেশ করবে একই দাবিতে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার ও সামন্তবাদ পছন্দ করে: ফখরুল
বিজয়নগরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, তেজগাঁওয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মতিঝিলে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি এবং নয়াপল্টনে লেবার পার্টির পক্ষ থেকেও একই ঘোষণা আসবে।
এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের দুটি পৃথক অংশ (একটি রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে এবং অন্যটি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে এক দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেবে।
বিএনপিসহ আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্য দলের নেতারা ইউএনবিকে জানান, এক দফা আন্দোলনের যৌথ ঘোষণায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিও থাকবে।
আরও পড়ুন: বুধবার রাজধানীতে বিশাল জনসভায় একদফা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি
বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান পরিপন্থী যেকোনো দাবি অব্যাহত রাখা ইঙ্গিত করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি 'ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের' পরিকল্পনা করছে।
বুধবার এক টুইটে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা তা হতে দেব না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে আপস করব না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘এক দফা’ কোনো গুরুত্ববহন করে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যৌথভাবে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে 'এক দফা' আন্দোলনের ঘোষণা দেবে। তারা দাবি করে আসছেন যেন আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সম্মেলন করার কথা রয়েছে দলটির। সম্মেলন থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে তো সংলাপে ডাকা হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
গোপনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: সালমান এফ রহমান
বুধবার রাজধানীতে বিশাল জনসভায় একদফা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি
বুধবার রাজধানীতে সমাবেশের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যৌথভাবে ‘একদফা’ যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিবে।
দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করার কথা রয়েছে দলটির। এই জনসভা থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক দফা আন্দোলন শুরুর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটাতে হবে বলে বিএনপির অভিমত পোষণকারী ছয় দলের একটি প্ল্যাটফর্ম গণতন্ত্র মঞ্চ বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সভা করে এক দফা আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণের ঘোষণা দেবে।
আরও পড়ুন: সরকার ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের স্মার্টফোন হ্যাক করছে: ফখরুল
একটি পৃথক ১২-দলীয় জোট যেটি একইভাবে বিশ্বাস করে যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তারাও বেলা ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে একটি সমাবেশ থেকে অনুরূপ ঘোষণা দিবে। এদিন বিভিন্ন সময়ে বিজয়নগরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, তেজগাঁওয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গণফোরাম এবং মতিঝিলে পিপলস পার্টি এবং নয়াপল্টনে লেবার পার্টিরও একই ধরণের কর্মসূচি রয়েছে।
এছাড়াও গণ অধিকার পরিষদের দুটি বিভক্ত গ্রুপ (একটির নেতৃত্বে রেজা কিবরিয়া এবং অন্যটির নেতৃত্বে নুরুল হক নুর), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট এবং সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে। বিকেল ৩টার দিকে এক দফা আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণের ঘোষণা দেবেন।
এসব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপি পৃথক বৈঠক করে তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা চূড়ান্ত করেছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে এক দফা আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই জাতীয় ঘোষণার মাধ্যমে জাতি আশাবাদী এবং উৎসাহিত হবে। এটি বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৩৬টি দল একসঙ্গে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে: বুলু
বিএনপি ও অনেক ছোট দলের নেতাদের সঙ্গে কথোপকথন থেকে ধারণা করা হচ্ছে এক দফা আন্দোলনের যৌথ ঘোষণায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া,একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন গঠনের দাবি থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি, সকল গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে সকল মিথ্যা মালা বাতিল এবং সংবিধান সংশোধন ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করা হবে।
কিন্তু এগুলোর মধ্যে অধিক গুরুত্ব পাবে আগামী সংসদ নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয়, কার্যকর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সোমবার এক কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাদের দল ও জোটের শরিকরা বুধবার তাদের বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সব দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ১২ জুলাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নতুন যাত্রা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির বুধবারের সমাবেশ থেকে বড় প্রত্যাশা ফখরুলের
এক দফা আন্দোলনের আগে ব্যাপক শোডাউন করতে দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
মৌখিক 'অনুমতি' অনুসরণ করে এটি বিএনপিকে তাদের প্রস্তাবিত স্থানে সময়ের দুই দিন আগে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পৃথক নোটিশ জারি করেছে কেবলমাত্র বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার অনুমতি নিশ্চিত করেনি। নয়াপল্টন ও আওয়ামী লীগের পক্ষে খুব বেশি দূরে নয় বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে 'শান্তি সমাবেশ' করা হবে।
বিএনপি ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, তাদের সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে এবং তা সফল করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বুধবারের সমাবেশে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে আমাদের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। আমরা বিশ্বাস করি, ঢাকাবাসী তাদের দাবি নিয়ে রাজপথে নামবে।’
আমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে তারা অনেক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেছেন। আমরা সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকেও চিঠি দিয়েছি।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে এক জনসভায় সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে বিএনপি।
বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো ১০ দফা আন্দোলনের ঘোষণার পর থেকে গত সাত মাসে সারাদেশে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, রোডমার্চ, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে যা এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আগস্ট মাসে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার ও সামন্তবাদ পছন্দ করে: ফখরুল
শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। ২০০৮ সালের সঙ্গে ২০২৩ সালের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলনা করলে বলতে হবে এখন মানুষ হাজার গুণ ভালো আছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে নিয়ামতপুর কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানিতে সরকারকে এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন, তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন।
গৃহহীণ মানুষের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্কদের ভাতা দিচ্ছেন, বিধবারাও ভাতা পাচ্ছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য- সহযোগিতা পৌঁছেনি।
দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
বিএনপির একদফা আন্দোলন কি জনগণ জানতে চায় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার এ দেশে আর আসবে না।
তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান হয়েছে আদালতের নির্দেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না। কৃষকের জন্য সরকার ভর্তূকিমূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে।
কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ গিয়েছিল ১৯ জন কৃষকের। তারা বলতো বেশি ফসল ফলালে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না।
তারা এদেশকে ভিক্ষুকের দেশ বানাতে চেয়েছিল।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবছর দেশে বোরো ও আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। খাদ্য ঘাটতি নেই। আমদানির দরকারও হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। এদেশের কৃষক প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছে।
কৃষক উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে আর দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে মন্তব্য: ঢাবিতে ফখরুলের কুশপুত্তলিকা দাহ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়ে‘অশালীন মন্তব্যের’ প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নারী নেতাকর্মীরা।
তারা অভিযোগ করেন, সংবাদ সম্মেলনে বুশরা আফরিনকে নিয়ে মির্জা ফখরুল এদেশের নারী সমাজকে অসম্মান করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে কুশপুত্তলিকা দাহের আগে মানববন্ধনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু পরিষদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা
বিক্ষোভে তারা বলেন, ডিএনসিসির প্রধান হিট অফিসারকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব যে মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।
তারা বলেন, রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হয়না: মোমেন
মির্জা ফখরুল এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
পরে রাজু স্মৃতিস্তম্ভের সামনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা।
এর আগে গত শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা তার বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, ‘তারা বিদেশ থেকে ছেলেমেয়ে এনে সিটি করপোরেশনে চাকরি দেয়। চাকরিটিকে বলে হিট অফিসার। আমরা এখন উত্তপ্ত হয়েছি... .’
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘এক দফা’ কোনো গুরুত্ববহন করে না: তথ্যমন্ত্রী