���������������������
কোন ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
'বিএনপি কোন ঈদের পর আন্দোলন করবে' সেই প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সরকারি কাজে ইউরোপ সফর শেষে ফিরে শুক্রবার সকালে মন্ত্রী রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ প্রশ্ন তোলেন।
এ সময় মন্ত্রী সবাইকে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানান ও নিরাপদ যাত্রা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে: তথ্যমন্ত্রী
ঈদের পরে বিএনপি মহাসচিবের আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের পরে, শীতের পরে, গ্রীষ্মের পরে, স্কুল ছুটির পরে, কুরবানির পরে, বর্ষার পরে-এ সব কথা চৌদ্দ বছর ধরে শুনে আসছি।
মির্জা ফখরুল সাহেবের এ সব কথা মানুষ হাস্যকর বক্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আর তিনি 'ঈদের পরে' বলেছেন, কিন্তু কোন ঈদের পরে সেটি বলেননি। আমার প্রশ্ন- কোন ঈদের পরের কথা তারা বলছেন?'
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করার কথা বললেও তাদের নেতারা যে এতে অংশ নিতে চায়, সেটি স্পষ্ট। অন্য নির্বাচনেও তাদের নেতারা স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্যও নেতারা ছুটোছুটি করছেন,তাদের অন্দরমহলে নান আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচনে আসলে আমরা বিএনপিকে স্বাগত জানাই।
আমার ধারণা তাদের অনেকেই মুখোশ লাগিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আমরা চাই, তারা মুখোশ ছাড়াই অংশ নিক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশ না নেয়, তাদের নেতাদের অংশগ্রহণ তারা ঠেকাতে পারবে না' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন এবং আনন্দমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার সকল সহযোগিতা দেবে, সব পর্যবেক্ষক নির্বাচন দেখবেন। এবং আমরা আশা করি, বিএনপি অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে পরিণত হবে: তথ্যমন্ত্রী
কারণ নির্বাচন থেকে এভাবে পালিয়ে যেতে এক সময় বিএনপি দলটাই পালিয়ে যাবে, তখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সদ্যসমাপ্ত ইউরোপ সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্কাইভ ব্রিটিশ পাথে এবং ডাচ সংস্থা রেডঅরেঞ্জের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অডিও-ভিজুয়াল ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে দু'টি চুক্তি হয়েছে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আর্কাইভের সমন্বয়কারী ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা, এসোসিয়েটেড প্রেস এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকেও ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে যা, দেশের ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করবে ও বিকৃতি থেকে রক্ষা করবে।
এ সময় সাংবাদিকরা 'ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে র্যা পিড একশন ব্যাটেলিয়ন-র্যা বকে নিয়ে ডয়েচে ভেলের একটি সংবাদ শেয়ার করা বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অবগত নয় এবং তারা ঢাকাস্থ দূতাবাসকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে' -এ প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানকার মার্কিন দূতাবাস যে বিভিন্ন ধরনের ছুটাছুটি করে, নানাজনের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে, যেগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেগুলোর সঙ্গে যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্রব নেই, সেটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্যেই পরিস্কার। দূতাবাসের কোনো ব্যক্তিবিশেষ এটি শেয়ার করেছেন এবং বিরোধী দল এর প্ররোচনা দিয়েছে। আমাদের বিরোধী দলের লোকজন রাত-বিরাতে দূতাবাসে গিয়ে তাদের হাত-পা ধরে তাদেরকে যে প্ররোচিত করে, যেটা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, এ ঘটনায় সেটিই স্পষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন, ষড়যন্ত্র নয়: এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো দিন নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময়ই চোরাগলি পথে ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে, না জিতে চোরাগলি পথে বিএনপিকে আর কখনো ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
কারণ, ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন, ষড়যন্ত্র নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী শরীয়তপুরের নড়িয়ার চামটা ইউনিয়নে ও সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নে ২৮শ’ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র, ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও আগুন সন্ত্রাসের কথা মানুষ ভুলে নাই। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খায়, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে, বিদেশে অর্থ পাচার করে। আর ক্ষমতায় না থাকলে দেশ অস্থিতিশীল করতে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নামসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
এছাড়া ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা যাওয়ায় যায় না। জনগণের রায় নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে হয়। অন্য কোনো পথ নাই।
এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণ মানুষের স্বপ্ন পূরণের দল, মানবতার দল। আওয়ামী লীগ সবসময় অসহায়ের পাশে থাকে, দুর্গতদের পাশে থাকে। কোটি মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও ভালবাসার এ দল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে। আগামী নিবার্চনেও জনগণের রায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে: এনামুল হক শামীম
রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মুখে যত কথাই বলুক তাদের অন্তরে জানা হয়ে গেছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সেটা জানে বলেই তারা আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনগণের জন্য যদি এতই ভালো কাজ করে থাকে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন?
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁতী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, অনেকেই বলেন আপনারা এত বড় রাজনৈতিক দল। কেন নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচনে না গেলে কীভাবে ক্ষমতায় যাবেন।
এছাড়া ছোট্ট একটি উত্তর দিচ্ছি-বিএনপি কোনো দিন বলে নাই তারা নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক দল, গণতন্ত্র বিশ্বাস করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তনের একটি মাত্র উপায় রয়েছে সেটি হচ্ছে নির্বাচন।
এছাড়া আমরা নির্বাচন অতীতে করেছি আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি আমরা নির্বাচন ভবিষ্যতে করব।
তিনি বলেন, আমরা যে নির্বাচনে যাব সেই নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এমন কোনো নির্বাচনে যাব না-যেখানে ফলাফল পূর্ব নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
এমন কোনো নির্বাচন যে নির্বাচনের চারটি বাটন টিপলে ফলাফল বেরিয়ে আসে।
চারটি বাটন হচ্ছে-ডিসি, ওসি, ইউএনও ও এসপি।
ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগ সরকার যখন নির্বাচনের চারটি বাটন চাপ দেয় তখন ফলাফল প্রিন্ট আউট হয়ে বেরিয়ে যায়।
এছাড়া নির্বাচন কী হয়েছে না হয়েছে তার সঙ্গে সে প্রিন্ট আউটের কোনো সম্পর্ক থাকে না। সেই নির্বাচনে বিএনপি কোনোদিন যাবে না।
মঈন খান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্পষ্ট। আমরা এ দেশে জনগণের সরকার চাই। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার একটি মাত্র উপায় সেটি হচ্ছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
এছাড়া এদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।
তাঁতী দলের আহ্বায় আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে : ড. মঈন খান
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার তাদের দলের জনপ্রিয় নেতাদের ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে রেখে আগামী নির্বাচনে অযোগ্য করার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনবারের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ২১ বছর আগে দায়ের করা মামলায় সাতক্ষীরার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হচ্ছে।
ফখরুল বলেন,‘এই অবৈধ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টির বিশদ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিএনপির জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়া এবং তারা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রচণ্ড আঘাত করেছে: ফখরুল
‘হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে সাজা দেওয়া সরকারের সেই নীল নকশারই অংশ। খুব শিগগিরই দেখবেন বিএনপি ও বিরোধী দলের অনেক শীর্ষ নেতাকে এ ধরনের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হবে। আমরা লক্ষ্য করছি যে (আমাদের অনেক নেতার বিরুদ্ধে) মামলা হচ্ছে। খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে ২০০২ সালে হামলার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪৪ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন সাতক্ষীরার আদালত।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব তার স্থানীয় নির্বাচনী এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এমন রাজনৈতিক নেতাকে মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা ষড়যন্ত্রমূলক, প্রতিহিংসামূলক এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘এই শাস্তি ন্যায়বিচারের সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রতারণা। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২০০১ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ১২ বছর পর সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ ও জব্দ তালিকা আদালত কীভাবে গ্রহণ করেন?
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার, সাজা ও দমন-পীড়ন করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন,‘বাংলাদেশের জনগণ শপথ নিয়েছে যে তারা এদেশে এমন স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসন আর মেনে নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।’
ফখরুল বলেন, সোমবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপিকে জড়িত করার সরকারের প্রচেষ্টার নিন্দা করেছেন।
ফখরুল বলেন, তাদের বৈঠকে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা না করে মার্কার অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে অগ্নিসংযোগের মূল হোতা ও সূচনাকারী।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) কখনও অগ্নিসংযোগ সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। এই সন্ত্রাস তাদের (আওয়ামী লীগের) জিনে আছে। আমি একটা কথা বলি দুইটা জিনিস, সন্ত্রাস আর দুর্নীতি তাদের (আ.লীগের) শরীরের রসায়নে আছে।’
ক্ষমতাসীন দলের বিদেশিদের কাছে যাওয়ার অভিযোগ এবং বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আনুকূল্য চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের দল কোনো অনুগ্রহ করতে বিদেশিদের কাছে যায়নি। ‘আমরা যখন তাদের দ্বারা আমন্ত্রিত হয়েছিলাম তখনই আমরা গিয়েছিলাম।’
বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদেশিদের কাছে যাচ্ছেন এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একই স্টাইলে আরেকটি নির্বাচন করতে রাজি করাতে কোটি কোটি ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করছেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে: ফখরুল
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আমরা নির্বাচন করেছি।
তিনি বলেন, সেই নির্বাচনেও যথেষ্ট কারচুপি হয়েছে। এখন বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট স্কুল মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব ও দুস্থদের মাঝে পোশাক বিতরণকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আশা করেন বিএনপি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে তারা রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে। রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো নির্বাচন।
তিনি বলেন, ‘সকল দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিশ্বে যথেষ্ট মর্যাদা অর্জন করেছি। আজকে গ্রামগুলো শহর হয়েছে। আজ গ্রাম আর গ্রাম নেই। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আপনারা শান্তিতে আছেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
সরকার আগুন নিয়ে খেলছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের 'সাজানো' ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দলকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার এখন আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। একদিকে তারা বাজারে আগুন দিচ্ছে, অন্যদিকে তারা জনগণের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে।’
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ইফতার আয়োজনে দেওয়া বক্তৃতায় এই বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ‘তাই আমি বলি তারা আগুন নিয়ে খেলতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, আগুন নিয়ে সরকার কোনো লাভ করতে পারবে না। ‘বরং আপনারাই (ক্ষমতাসীন দল) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন’।
এসময় নিউ সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস’- আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নির্দেশের নিন্দা করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পরিষ্কার বলেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা মার্কেটের সামনে ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে: ফখরুল
বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের কারণে দেশের জনগণ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
ফখরুল জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য তারা আরও অনেক বিরোধী দলের সঙ্গে একত্রে আন্দোলন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলতে চাই যে যারা আমাদের সমস্ত স্বপ্ন ও অর্জনকে ধ্বংস করেছে; তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এরমধ্যে দিয়ে জনগণের সত্যিকারের সরকার ও জনগণের সংসদ গঠন করতে হবে।’
তিনি সকল বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে এদেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে চায়। তারা তাদের ভোটের ন্যূনতম অধিকার ফিরে পেতে এবং প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রচণ্ড আঘাত করেছে: ফখরুল
সরকার দুর্যোগ সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে: তাবিথ আউয়াল
মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার নিজেই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) ব্যর্থ (জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে), কারণ আপনারা কোনো কিছুরই নজরদারি করছেন না। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগছে। এই আগুনের পেছনে আপনাদেরই হাত রয়েছে।’
সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন ফখরুল।
এসময় ফখরুল বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও সারের দাম কমানোর এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের দাবি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আপনারা (সরকার) বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রচণ্ড আঘাত করেছে: ফখরুল
নিউ সুপার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলের ঘাড়ে দোষ চাপাতে বিএনপিকে আগুনে জড়ানোর চেষ্টা করছে।
ফখরুল বলেন, নিউ সুপার মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা খোদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ইউনিফর্ম পরা কয়েকজন লোক সকাল সাড়ে ৫টার দিকে মার্কেটের সামনের ফুটওভার ব্রিজ ভেঙে ফেলছে। ‘ব্যবসায়ীরা বলেছেন যে তারা নিজেরাই দেখেছেন যে সেতুটি ভাঙার কাজে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের ব্যবহার করা বিদ্যুতের লাইন থেকে আগুন লেগেছে।’
তিনি বলেন, মার্কেটে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা পালিয়ে যায়। ‘আমি একা এটা বলছি না, এটা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কথা। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এখন আওয়ামী লীগের। তাই এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী।’
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ফখরুল বলেন, পরিবেশগত ঝুঁকি ও ভুল নীতির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। ‘এই সরকার সর্বত্র বিল্ডিং নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছে এবং যে কোনো বিল্ডিংকে যে কোনো জায়গায় মার্কেটে পরিণত করছে।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা চাঁদাবাজি করে মার্কেটগুলোতে অবৈধ দোকানপাট বসিয়েছে, মার্কেটগুলো মানুষের চলাচলের অনুপযোগী করে তুলেছে।
নিউ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় যেখানে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই সেখানে শতাধিক দোকান বসানোর অনুমতি কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘুষ দিয়ে সেখানে দোকান বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটে এক বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এক হাজারের বেশি দোকান পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সরকার দুর্যোগ সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে: তাবিথ আউয়াল
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: মঈন
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রচণ্ড আঘাত করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার অভিযোগ করেছেন, 'বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার' ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) দেশের গণমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা সংবাদপত্র দেখি এবং টেলিভিশন চ্যানেল দেখি, তখন মনে হয় একই মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিও ফ্যাসিবাদের ভয়ানক আক্রমণে আক্রান্ত।
এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে ফখরুল বলেন, গোটা দেশ ও জাতি এক সংকটময় মোড় ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাদের জন্য এটা খুবই বেদনাদায়ক কারণ একের পর এক সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসন গণমাধ্যমসহ সর্বত্র ভয়ের পরিবেশ ছড়িয়ে দিয়েছে। ‘ফ্যাসিবাদ সফল হয় যখন সমগ্র সমাজে সন্ত্রাসের ভয় তৈরি হয় এবং যখন সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থী অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে ইফতারের আয়োজন করে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে এখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই এবং বর্তমান সরকার এখন যেভাবে করছে অতীতের কোনো সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করেনি। ‘এ কারণে মিডিয়ার লোকেরা নিজেরাই সেলফ সেন্সরশিপ অনুশীলন করে। আপনারা সবাই (সাংবাদিক) এখন চিন্তা করুন এটা লেখা যাবে কি না এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মুখোমুখি হতে পারেন কিনা।’
ফখরুল বলেন, অনেক সাংবাদিক এখনও ডিএসএ-তে মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। ‘আমি জেলে দেখেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আমাদের অনেক যুবক সেখানে আটক রয়েছে।)
আরও পড়ুন: সরকার দুর্যোগ সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে: তাবিথ আউয়াল
তিনি বলেন, সরকার সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে গণমাধ্যমকর্মীরা এখন ঐক্যবদ্ধভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য কাজ করতে পারছে না।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ৪৪ জন সাংবাদিক নিহত হওয়ার সময় সরকার দৈনিক দিনকালসহ অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মূল কথা হলো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অপরিহার্য, কিন্তু সরকার বিষয়টি চাপা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যেভাবে গণমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন তা একটি সভ্য দেশে কল্পনাও করা যায় না। একটি সভ্য দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন ভাষায় কথা বলতে পারেন না।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা। ‘দেশের মানুষের একটাই দাবি বর্তমান সরকারের পদত্যাগ। শক্তিশালী ঐক্য গড়ে এই দাবি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়।
তিনি বলেন, সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
রবিবার দুপুরে উত্তরার দক্ষিণখানের ফায়দাবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে ১২০০ অসহায়, দুস্থ, গরিব-দুঃখী নারী-পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুরবস্থা সৃষ্টি করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে।
মঈন খান বলেন, আপনারা দেখেছেন নিউ মার্কেট, বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক আগুন লাগছে। এ আগুনের রহস্য কী?
তিনি বলেন, যেহেতু সরকারের দায়িত্ব রয়েছে, কেন আগুন লেগেছে? কিভাবে আগুন লেগেছে? কে লাগিয়েছে? সরকার তদন্তের আগে কাউকে দোষারোপ করলে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করব।
তিনি আরও বলেন, কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দোষারোপ করে এইবার আওয়ামী সরকার পার পাবে না।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, বিএনপির নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে : ড. মঈন খান
শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
টেলিটক পরিষেবার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিন: মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সংসদের স্থায়ী কমিটি
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটরের সেবা উন্নত করতে সরকারকে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের সুপারিশ করেছে।
রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থার ১১তম বৈঠক থেকে এ সুপারিশ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সংসদীয় কমিটি টেলিটকের নেটওয়ার্ক বাড়াতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, আহমেদ ফিরোজ কবির, মনিরা সুলতানা, জাকিয়া পারভিন খানম, অপরাজিতা হক ও শাহদাব আকবর।
আরও পড়ুন: অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া সভায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং কমিটির পূর্ববর্তী সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত আইটি প্রশিক্ষণ ইনকিউবেশন সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সরকারকে সুপারিশ করেছে।
আইসিটি সচিব এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী মনোনীত
নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল পাস