���������������������
মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩৬৫ ডলার: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমানে দেশের মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৩৬৫ ডলার। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৬২ হাজার ৩১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার (অস্থায়ী), যার মধ্যে বহুপক্ষীয় উৎস থেকে ৩৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ০৩ মিলিয়ন ডলার এবং দ্বিপক্ষীয় উৎস থেকে ২৫ হাজার ৫৩১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার রয়েছে।
কামাল বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৭৯ লাখ এবং বর্তমানে মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৩৬৪ দশমিক ৮৫ ডলার।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৫৩৬ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মান অনুযায়ী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ২১ হাজার ১১৬ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ কমলেও দেশে রিজার্ভের কোনো ঘাটতি নেই।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৩) বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১ হাজার ৪০৮ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত ১ হাজার ২৭২ দশমিক ১০ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিন) সংখ্যা ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
তিনি আরও বলেন, আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী স্পট ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট বিলুপ্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত দেশে ব্যক্তিগত করদাতার সংখ্যা ৮৯ লাখ ৫৩ হাজার।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও যুদ্ধ-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাস পেয়েছে এবং মুদ্রা বিনিময় হারের উপর কিছুটা চাপ পড়েছে।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমাতে এবং রিজার্ভ পুনর্গঠনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল-২০২৩ পাস
মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিনে মঙ্গলবার সারাদেশে অন্তত সাতটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে সাতটি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছেন তারা।
এর মধ্যে ঢাকা শহরে একটি, ঢাকা বিভাগে (নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর) চারটি, চট্টগ্রাম বিভাগে একটি এবং রাজশাহী বিভাগে (বগুড়া) একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আগুনে তিনটি যাত্রীবাহী বাস, একটি কাভার্ডভ্যান, একটি পিকআপ ভ্যান, দুটি বাণিজ্যিক পণ্যের শোরুম এবং একটি পুলিশ বক্স পুড়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দিতে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধের প্রথম দিন: চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ, আটক ১৪
বিএনপির অবরোধ: বগুড়ায় ৩টি মোটসাইকেলে আগুন, বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর
হাইকোর্ট এলাকায় বাসে আগুন
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল শাজাহানপুরের শহীদবাগ মসজিদ লেনের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ও কাকরাইলে ভয়াবহ সহিংসতার পর রবিবার সকালে দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালালেও সেখানে তাদের খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় আব্বাস ও আলালকে আসামি করা হয়।
এর আগে ২০০৭ সালের দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাংবাদিক, পুলিশ, সাধারণ মানুষ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। তারা চোর-ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।'
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির ডাকা অবরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ও জামায়াত সমগ্র বাংলাদেশে অবরোধ যখন ডেকেছে তখন আমরা এই আশঙ্কাই করেছিলাম যে ঢাকা শহরে তারা ২৮ তারিখ যে নৈরাজ্য তাণ্ডব চালিয়েছে, সেটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অবরোধ ডেকেছে। তাদের আগুন সন্ত্রাসীদের তারা মাঠে নামিয়েছে। তাদের এই আগুনসন্ত্রাস থেকে স্কুলগামী বাস, বরযাত্রীবাহী বাস, এম্বুলেন্স, সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি, সাধারণ মানুষের গাড়ি কোনোটাই রেহাই পাচ্ছে না।'
হাছান বলেন, 'বিএনপির এরা আসলে রাজনৈতিক দল নয়, এরা সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারী। দেশের মানুষকে অনুরোধ জানাব এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার জন্য। আমরা সরকার এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। একটু অপেক্ষা করুন, সমস্ত দুস্কৃতিকারীকে আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে।'
এ সময় বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসামিন কাভিরত্নের বিবৃতিকে একপেশে বলে নাকচ করে দেন ড. হাছান মাহমুদ।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি সমাবেশের নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশ সদস্য মারা গেছে এবং শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। ২৫-৩০ জন আনসার আহত হয়েছে, আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা মারা গেছে, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। কই তাদের বিবৃতিতে একটি শব্দও তো হতাহতদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে নাই।'
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং আর কারা কারা যে বিবৃতি দেয়, যারা বিবৃতি নিয়ে ব্যবসা করে এবং বিবৃতি বিক্রি করে, তাদেরকে তো এ নিয়ে বিবৃতি দিতে দেখছি না।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, কিন্তু ইসরাইল যখন গাজায় হাজার হাজার শিশু ও নারী হত্যা করে তখন নিশ্চুপ থাকে, সেটি আর মানবাধিকার সংগঠনে নাই একপেশে রাজনৈতিক সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। তারা কি বলল, না বলল এতে কিছু আসে যায় না। কারণ তারা আজকে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটিও একপেশে বিবৃতি।'
এর আগে বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল উপায়ে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে পোমরার একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছিল তা ধামাচাপা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সংবাদ সম্মেলনে অনর্গল মিথ্যাচার চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী (২৮ অক্টোবরের সহিংসতা নিয়ে) যা বলেছেন তা ছিল মিথ্যার অপ্রতিরোধ্য স্রোত। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, ২৮ অক্টোবর যা ঘটেছে তার সব ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।’
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে কোনো ঘটনাই এখন রেকর্ডের বাইরে নেই, অনথিভুক্ত বা মানুষের দৃষ্টির বাইরেও থাকে না।
তিনি বলেন, 'আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পুলিশি সুরক্ষায় বিভিন্ন মিথ্যা বলতে পারেন, কিন্তু আপনি সত্য ঢাকতে পারবেন না।’
মিথ্যাচার, নাটক ও ভিডিও তৈরি করে সরকার সত্যকে ধামাচাপা দিতে পারবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমি সরকারকেও বলতে চাই, সব তথ্য এখন পাওয়া যাচ্ছে।’
শনিবার বিএনপির বিশাল সমাবেশ পূর্ব দিকে নটরডেম কলেজের কাছে এবং পশ্চিম পাশে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত শাহবাগের কাছে পৌঁছায়।
রিজভী বলেন, ‘এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস ও ট্রাক গুলো সেখানে (কাকরাইল) গেল কীভাবে? সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্বপরিকল্পিত পরিকল্পনা অনুযায়ী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করার জন্য এটা করেছে।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৩
তিনি বলেন, ‘যে সব ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কিছু লোক পুলিশি পাহারায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনের প্রধান ফটক ও অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর করছে। প্রধানমন্ত্রী কি এটা জানতেন না? এর ভিডিও এবং অন্যান্য প্রমাণ রয়েছে। আপনি জোর করে অনবরত মিথ্যা বলতে পারেন, কিন্তু আপনি সত্য লুকাতে পারবেন না। সমস্ত ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে এবং সত্য উন্মোচিত হচ্ছে। সুতরাং, আপনার সত্য অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, সরকার হয়তো হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ছেড়ে দিতে পারে, কিন্তু সবাইকে ভয় দেখাতে বা চুপ করিয়ে দিতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সামনে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন কীভাবে বাস চালককে ব্যবহার করে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় তার একটি ভিডিওও পাওয়া গেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবর সহিংসতার মাধ্যমে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা একটি সন্ত্রাসী দল।
সম্প্রতি বেলজিয়াম সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র সন্ত্রাসী। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, যা তারা আবারও প্রমাণ করেছে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
বিএনপির অবরোধ পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না: সাঈদ খোকন
বিএনপির ডাকা অবরোধ পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ১৭ কোটি মানুষকে অবরোধ করে রাখা। এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না। এটা সম্পূর্ণভাবে বিকৃত মস্তিষ্কের কাজ, সম্পূর্ণভাবে একটা উন্মাদনা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডে এক প্রতিবাদ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসকে নিয়ে বক্তব্য: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ২ মামলা
সাঈদ খোকন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকার জন্য। আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথেই থাকব।
তিনি বলেন, বিএনপির অবরোধ করার এই হটকারিতামূলক সিদ্ধান্ত জনগণ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করেছে। আমরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে আছি, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগনের পাশে আছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন পাশে আছে।
এ ছাড়া জনগণের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাজপথে অবস্থান করছে ও করবে।
তিনি বলেন, অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় আজকে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমরা অতীতে যেভাবে শেখা হাসিনার পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতে যে কোনো সংকট-সম্ভাবনায় পুরান ঢাকার মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
সাঈদ খোকন বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে। আমাদের কিছু সমস্যা থাকতে পারে, এই সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই। আমরা মানুষের পক্ষে রাজনীতি দেখতে চাই, যে রাজনীতি বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা মানুষের উন্নয়ন-অগ্রগতির রাজনীতি দেখতে চাই।
ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র বলেন, বিএনপি বলে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’- এর অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাকে টেনে-হেঁছড়ে পিছে নাও। এটা কোন সুস্থ বক্তব্য হতে পারে না। এটা কোনো সুস্থ ধারার রাজনীতি হতে পারে না। সুতরাং যারা অসুস্থ মন-মানসিকতা পোষণ করে, যারা অসুস্থ রাজনীতির চর্চার মধ্যদিয়ে দেশের মানুষকে, অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঢাকাবাসী রাজপথে নেমেছে। আমরা রাজপথে থাকব, আমরা রাজপথে প্রতিবাদ করব, বিএনপি-জামায়াতের এই অসুস্থ কর্মসূচির মোকাবিলা করব। আমরা শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলাম, তার নেতৃত্বে সোনার বাংলা বিনির্মানে এগিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ২ মামলার একটি খারিজ, অন্যটি প্রত্যাহার
তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন: সাঈদ খোকন
কুষ্টিয়ায় নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়ায় বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিন জনকে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি সভাপতি ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন এবং দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি ককটেল উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, নাশকতার মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্বের করা একটি নাশকতা মামলায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার বাসভবন থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে আ. লীগের মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি
বিএনপি-জামায়াত ও সহযোগী দলগুলোর ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
এছাড়া, যুবলীগ নগরীতে অবরোধবিরোধী প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করছে।
বিরোধী দলের অবরোধের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের 'শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার' স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ ও 'সন্ত্রাস এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড' প্রতিহত করতে ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী অবরোধ: খুলনা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চায় ইসি। সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে উক্ত সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সভার আয়োজন করবে ইসি। ওই সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সিইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ ধরনের সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। ১৮ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরাসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতির বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বুধবার (১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে বুধবার (১ নভেম্বর)। আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কমিশন। সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।
বুধবার ১২টি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কয়েকটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
তবে ‘অনিবার্য কারণবশত’ ২ ও ৩ নভেম্বরের ডিসি–এসপিদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার অনুষ্ঠেয় ইউএনওদের প্রশিক্ষণও স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক চেয়েছে ইসি
সংলাপের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক
সংলাপের মাধ্যমেই দেশে চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমস্যা সমাধান করতে হবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি আবার পুরোনো চেহারায় ফিরছে। দুই মাস পরে নির্বাচন। এভাবে কি চলতে থাকবে? এর সমাধান তো রাজনীতিবিদদের হাতেই আছে।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচনে বিদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারবে না: রাজ্জাক
আলোচনার মাধ্যমে কি এর সমাধান করা যায় না- জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারা পৃথিবীতে অনেক সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে। সংলাপের তো কোনো বিকল্প নেই। সেটি আমাদের করতে হবে। আমরাও বলি এবং আমরাও মনে করি সংলাপের মাধ্যমেই আমাদের এ সমস্যা সমাধান করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আপনি যদি দরজা বন্ধ করে... যেমন ইসরায়েল তারা তো কোনোদিনই সংলাপের মাধ্যমে এটার সমাধান করবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে ইসরায়েল শুরু হয়েছে সেই থেকেই তারা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে। দেখেন মানবতার কী ধরনের বিপর্যয়।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যদি বলে যে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এ সরকার থাকলে নির্বাচনে যাবে না। এই নির্বাচন কমিশনের আওতায় তারা নির্বাচন করবে না- এই দুটি কথা তারা এমনভাবে বলেছেন, এখানে আলোচনা করে কী হবে!
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ তো এই মুহূর্তে নেই। কাজেই সেটা তো হবে না। নির্বাচন কমিশন তো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই করা হয়েছে। সেই নির্বাচন কমিশন না থাকলে নির্বাচন হবে কেমনে!
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকার গঠন করে কার্যকর করতে হবে, সংসদ বসতে হবে। এই বেসিক ইস্যুগুলো তারা যদি মেনে নিত, তখন আমরা অবশ্যই তাদের সঙ্গে বসে কীভাবে নির্বাচনটা সুন্দর করা যায়, কোন কোন এসপি বা ডিসিকে সরাতে হবে সেটা যদি বলে বা অন্য কোনো প্রস্তাব দেয় সেটা আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করা যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে, পালানোর জায়গা পাবে না- প্রতিদিন এ কথা বললে কি সংলাপ হবে? সেই সংলাপ তো ফলপ্রসূ হবে না। আমরা সংলাপের বিরুদ্ধে না কিন্তু দরজা বন্ধ করে দিয়ে তো সংলাপ করা যাবে না।
তারা তিন দিনের অবরোধ দিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, এ পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিকভাবে এটা মোকাবিলার চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে আছে প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার সভা-সমাবেশ করার, বিক্ষোভ করার; কিন্তু বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা, হিংস্রতা, তারা যে সন্ত্রাসের পথে যাচ্ছে আমি মনে করি এটা জাতি কোনো দিনই অনুমোদন করে না। এমনিতেই মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। কাজেই শত সহিংসতা করেও তারা সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, ইনশাআল্লাহ নির্বাচন হবে এবং আমি মনে করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে একটা মুহূর্তে তখন তারাও নির্বাচনে আসবে। তারা আন্দোলনে সফল হতে পারবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যে ভিত্তি, ইচ্ছা করলে আওয়ামী লীগের মতো সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না।
আরও পড়ুন: কৃষি বিজ্ঞানীদের জন্য আজ বাংলাদেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে: রাজ্জাক
কীসের ওপর ভিত্তি করে বলছেন বিএনপি নির্বাচনে আসবে- এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তাদের প্রস্তুতি আছে, তারা বড় দল। আমরা আন্দোলন করেছি তারাও করছে।
তিনি বলেন, যখন স্বীকার করবে নির্বাচন করবে, আলাপ-আলোচনা করে তারাও মনোনয়ন দেবে। এমন তো না যে তারা নতুন ক্ষমতায় আসছে, তারা তো আগেও ক্ষমতায় ছিল। কাজেই তাদেরও প্রস্তুতি আছে।
২০১৪ সালের তফসিলের পর নির্বাচনকালীন সরকারের সর্বদলীয় সরকারের একটা বিষয় ছিল। এবারও সেটা হবে কি না- জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মনে হয় না এই ধরনের... মূল বিষয় যেটি যে এই সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে কি না, সেটা হলে এগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।
তিনি বলেন, সেগুলো আমি এই মুহূর্তে বলব না রাজনৈতিক কৌশলের কারণে। আমি অকপটে বলছি। বেসিক সমস্যাগুলোর যদি সমাধান হয়, তখন এগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন বিবেচনা করবেন।
২৮ অক্টোবর বিএনপি'র বিরাট সমাবেশ ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ সমাবেশ থেকে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে দিল। আমার বাসাও প্রধান বিচারপতির বাসার কাছে আমি আমার বাসা থেকে সব দেখেছি। আমার বাসার স্টাফরাও ছিল।
তারা বলেছে, এটা প্রধান বিচারপতির বাসা। ওরা বলছে এটাই আগে ভাঙতে হবে। বিচার করে করে আমাদের লোকজনদের ফাঁসি দিছে বিচারপতিরা। তারা জেনে সুপরিকল্পিতভাবে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। যারা করেছে তারা রাজনৈতিকভাবে বিএনপির প্রথম লাইনের কর্মী এবং তারা সচেতন।
দেখেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়েছে, এটা কেবল শুরু এর থেকেও ভয়ংকর হবে অপেক্ষা কর।
বিএনপি ফের সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে এটা মোকাবিলা করা হবে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পৃথিবীর কোথাও নেই যেখানে পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে সরকার: ড. রাজ্জাক