%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
টেকসই ফ্যাশন: ২০২৩ সালে ২৪টি নতুন এলইইডি সবুজ কারখানা নিয়ে বাংলাদেশের পোশাক খাত নেতৃত্বে
২০২৩ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প টেকসই ফ্যাশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যার মধ্যে ২৪টি কারখানা লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেশন অর্জন রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গ্রিন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম, পরিবেশগত দায়বদ্ধতা ও জ্বালানি দক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারের উপর গুরুত্বারোপ করে এলইইডি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, সম্প্রতি সনদপ্রাপ্ত নতুন ২৪টিসহ বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২০৬টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানা রয়েছে। যা পোশাক খাতের মধ্যে সবুজ উদ্যোগের প্রতি দেশের নিষ্ঠার প্রমাণ।
৭৬টি সর্বোচ্চ প্ল্যাটিনাম রেটিং এবং ১১৬টি গোল্ড রেটিং নিয়ে রেকর্ড সার্টিফিকেশনের কথা জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বৈশ্বিক পোশাক শিল্পের টেকসই অনুশীলনের উপর ক্রমবর্ধমান মনোযোগের প্রেক্ষাপটে এই অগ্রগতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বিষয়গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান বিজিএমইএর
২৪টি নতুন এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৬টি মর্যাদাপূর্ণ প্ল্যাটিনাম রেটিং পেয়েছে, বাকি ৮টি গোল্ড রেটিং অর্জন করেছে।
২০২৩ সালে স্ট্যান্ডআউট পারফর্মারদের মধ্যে এস এম সোর্সিং ১০৬ পয়েন্ট এবং ১০৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেড ইউনিট-৪।
বিজিএমইএ'র তথ্য অনুযায়ী, ইন্টিগ্রা ড্রেসেস ও নিট এশিয়া লিমিটেড ৯৯ পয়েন্ট, লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড ৯৭ পয়েন্ট এবং লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ৯৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
বিশ্বব্যাপী ১০০টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৪টি দেশে অবস্থিত, এই অর্জন বাংলাদেশকে বৈশ্বিক টেকসই ফ্যাশন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিজিএমইএ'র তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং বিশ্বের শীর্ষ ২০টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ১৮টি রয়েছে।
বিজিএমইএ'র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বের সুযোগ বৃদ্ধিতে এটিকে সম্ভাব্য অনুঘটক হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন: আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই সার্টিফিকেশনগুলোর ভৌগলিক বিস্তার স্থায়ীত্বের প্রতি তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যাপক অঙ্গীকারের উপর গুরুত্বারোপ করে।
২০২৩ সালের সার্টিফিকেশনগুলোর বেশির ভাগই ছিল গাজীপুরে (১৫টি কারখানা), এরপর ঢাকায় ৪টি, চট্টগ্রামে ৩টি এবং ময়মনসিংহে ২টি। এর থেকেই বুঝা যায় এলইইডি নীতিমালা দেশব্যাপীই গ্রহণ করা হচ্ছে।
বর্তমানে ৫০০টিরও বেশি বাংলাদেশি কারখানা তাদের এলইইডি সার্টিফিকেশন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে সবুজ নীতি মেনে চলার শক্তপোক্ত ও চলমান প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়।
টেকসই ফ্যাশনের দিকে এই পদক্ষেপ কেবল বৈশ্বিক পরিবেশগত লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং সবুজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি অগ্রগামী নেতৃত্ব হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করছে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি টেকসই ফ্যাশনের প্রতি শিল্পের অঙ্গীকারের একটি স্পষ্ট সূচক।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এলইইডি রেটিং অর্জনের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে এটি পরিবেশগত তত্ত্বাবধানেরও একটি মানদণ্ড এবং আরও টেকসই উৎপাদন অনুশীলনের বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় নেতৃত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পরবর্তী বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় দক্ষতা উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত 'স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি)' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ করে অটোমেশন, ক্লাইমেট অ্যাকশন এবং ডিজিটাইজেশনের কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তনের কারণে বিজিএমইএ সভাপতি আসন্ন বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে ক্রমাগত খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।আরও পড়ুন: কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে টাকা উত্তোলন বন্ধ করল ব্র্যাক ব্যাংক, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের দ্রুত পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে কর্মীদের দক্ষতা একত্রিত করার গুরুত্বও তুলে ধরেন।
২০১৪ সালে এসইআইপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৮ লাখ দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থ সচিব ড. মোঃ খায়রুজ্জামান মজুমদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
আরও পড়ুন: 'রপ্তানি উন্নয়নে মৎস্য খাতে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম চালুর আহ্বান'
'রপ্তানি উন্নয়নে মৎস্য খাতে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম চালুর আহ্বান'
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ই-ট্রেসেবিলিটি সিস্টেম(ইলেকট্রনিক যাচাই/শনাক্তকরণ পদ্ধতি) চালুর আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য খাতের অংশীজনরা।
সম্প্রতি খুলনার নতুন বাজার লঞ্চঘাট রোডে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সভায় তারা একমত হন যে, দেশে স্মার্ট ফিশারিজ সম্প্রসারণ এবং বিশ্ববাজারে মৎস্য রপ্তানিতে সুনাম অর্জনের জন্য ই-ট্রেসেবিলিটি অপরিহার্য।
ফিশ ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফওএবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
স্মার্ট ফিশারিজ ই-ট্রেসেবিলিটি পাইলট প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, মৎস্য খামার মালিক সমিতির সভাপতি মোল্লা শামসুর রহমান শাহীন, খুলনা মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, ক্রিসমন রোজেলা কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ আবু মোর্শেদ, খুলনা চিংড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মনজির, সহ-সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, নিউ মেঘনা ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন অর রশীদ এবং এফওএবি খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব শেখ শাকিল হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
বক্তারা বলেন, ই-ট্রেসিবিলিটি সিস্টেম চালুর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে চিংড়ি শিল্পের সুনাম ধরে রাখা সম্ভব হবে।
এজন্য সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে জড়িত মধ্যস্থতাকারী অংশীজনদের চিহ্নিত করে প্রকৃত লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করে মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, কৃষক এবং মৎস্য সংগ্রহকারীদের একটি ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ, যা কৃষকদের নিরাপদ পণ্য শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। এর ফলে মাছ বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তরুণ ও নারীদের টেকসই কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ
কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে টাকা উত্তোলন বন্ধ করল ব্র্যাক ব্যাংক, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
কোনো প্রকার আগাম ঘোষণা ছাড়াই বিদেশে কার্ডধারীদের বৈদেশিক মুদ্রায় নগদ উত্তোলন স্থগিত করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ফলে ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডের ওপর নির্ভর করে বিদেশ ভ্রমণকারী অনেক গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ব্র্যাক ব্যাংকের অন্তত পাঁচ জন গ্রাহক গত দুই দিনে ইউএনবির কাছে তাদের ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর এক বার্তায় বলা হয়, 'প্রিয় গ্রাহক, আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দেশের বাইরে সব ধরনের নগদ উত্তোলন স্থগিত করা হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ভ্রমণ কোটার মধ্যে পিওএস ও ই-কমার্সের মাধ্যমে যেকোনো বৈধ কেনাকাটা করা যাবে।আরও পড়ুন: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আশরাফ আহমেদ
ব্র্যাক ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং ইউনিটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় ডিজিটাল লেনদেন ও ইলেকট্রনিক পেমেন্টকে উৎসাহিত করছে।
এছাড়া নগদ টাকা উত্তোলনের কোনো রেকর্ড না থাকায় ব্যাংকের নিরাপত্তা ও গ্রাহক সুরক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ক্লায়েন্ট ইলেকট্রনিক লেনদেন এবং কেনাকাটা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
দেশের সেরা হাউজওয়্যার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল আরএফএল
দেশের সেরা হাউজওয়্যার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে গৃহস্থালী পণ্যের ব্র্যান্ড আরএফএল হাউজওয়্যার। দেশসেরা ব্র্যান্ডের মধ্যে আরএফএল হাউজওয়্যার সব ক্যাটাগরিতে তৃতীয় ও প্লাস্টিক পণ্য ক্যাটাগরিতে সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের ১৫তম আসরে দেশের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়া হয়।
এনসার্চের অংশীদারিত্বে ও ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।
আরও পড়ুন: সেরা ভ্যাটদাতা সম্মাননা পেল প্রাণ-আরএফএলের ৪ প্রতিষ্ঠান
দেশজুড়ে ভোক্তাদের অংশগ্রহণে পরিচালিত জরিপের ওপর ভিত্তি করে এবছর পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার ৪০টি ক্যাটাগরিতে ১১০টি ব্র্যান্ডকে পুরষ্কার দেওয়া হয়। এরমধ্যে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড ও সব ক্যাটগরি মিলে সেরা ১৫ ব্র্যান্ডকে পুরষ্কার দেওয়া হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আরএফএল হাউজওয়্যার এ নিয়ে টানা ১৩ বার দেশের সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য বড় অর্জন। ভোক্তাদের আস্থা ও ভালবাসায় এ সম্মান অর্জন করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা সবসময় মনে করি, সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার পথে ভোক্তার আস্থা ও ভালবাসাই আমাদের প্রেরণা।’
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল প্রাণ-আরএফএল
বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামসুর রহমান জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আজ সারা দিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়ছে। আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউসের কার্গো শাখায় কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা কলিম উল্লাহ বলেন, খ্রিস্টানদের বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য আনলোড করে ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে চারমাসে ভারতের সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি ৩১৩ কোটি
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের এক নম্বর ই-কমার্স ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেল দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ।
এর পাশাপাশি গত বছর সর্বোপরি দ্বাদশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলেও, এ বছর প্রতিষ্ঠানটি সকল ব্র্যান্ডের মাঝে সপ্তম সর্বপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাওয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’-এর ১৫ তম আসরে দারাজ এই স্বীকৃতি পায়।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে বাজারে তাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এ বছর সারাদেশের ১০ হাজার ভোক্তাদের উপর চালানো এক জরিপ অনুসারে দেশের ১৫টি সেরা ব্র্যান্ডকে তাদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ও অবদানের জন্য স্বীকৃতি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
সব গ্রাহক ও অংশীদারদের তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে দারাজ অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে এমন একটি সেক্টরে যেখানে বিশ্বাস নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠে। এর মাঝেই আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের জন্য সর্বোত্তম গুনমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের দৃঢ় মনোভাব। সেরাদের সেরার পুরস্কার পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে যুগান্তকারী উদ্ভাবন এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণার ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে।’
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) তালাত রহিম বলেন, ‘এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে সকলের জন্য বিনোদনমূলক করার লক্ষ্যে আরও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে। এছাড়াও আগামীর দিনে ই-কমার্স শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতেও উদ্বুদ্ধ করে।’
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৮ সাল থেকে সম্পূর্ণরূপে আলিবাবার মালিকানাধীনে, দারাজ গত নয় বছরে অসাধারণ ক্রয়াদেশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্লাটফর্মটিতে বর্তমানে ১ দশমিক ৫ কোটিরও বেশি পণ্য রয়েছে যার মাঝ থেকে গ্রাহক তার পছন্দের জিনিসটি বেছে নিতে পারে। এছাড়াও তিন হাজারেরও বেশী রাইডার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ৬৪টি জেলায় ২ কোটির অধিক গ্রাহকের কাছে সময়মত ডেলিভারি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
আরও পড়ুন: স্যুট অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার সম্মাননা পেলেন দারাজের সিসিএও-সিওও
দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্সের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০ অনুষ্ঠিত
ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে নেসলে প্রেজেন্টস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০ পাওয়ার্ড বাই বেকম্যান'স অ্যান্ড পুষ্টি, ইন এ্যাসোসিয়েশন উইথ মোজো শীর্ষক এই আয়োজনটি।
এই আয়োজনে খাদ্য এবং পানীয় ব্যবসায় বর্তমান অবস্থায় টিকে থাকা এবং আগামীর সম্ভাবনা নিয়ে ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ইনসাইট, কি-নোট এবং প্যানেল আলোচনা করেছেন দেশের খাদ্য ও পানীয় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং
ডিরেক্টর, প্রধান নির্বাহী, চিফ মার্কেটিং অফিসার, সেলস ডিরেক্টর, সাপ্লাই চেইন হেড, মার্কেট রিসার্চার এবং কমিউনিকেশন ক্ষেত্রের পেশাজীবীরা।
২৫০ জনেরও অধিক মার্কেটিং এবং সেলস পেশাজীবী এই আয়োজনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
অনুষ্ঠানের কি-নোট স্পিকার ছিলেন এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি আশরাফ বিন তাজ। বৈশ্বিক এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে খাদ্যপণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, এবং ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যয়ের সমন্বয় করা, বিক্রয় ও ব্যাবসা বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এছাড়া এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলার সঙ্গে ‘কনভার্সেশন অব এ বিজনেস মায়েস্ত্রো অ্যান্ড এ মার্কেটিং মায়েস্ত্রো’ সেশনটি মডারেট করেন তিনি।
পরে টেকসই এবং সহনীয় মার্কেট অপারেশন নিয়ে প্যানেল আলোচনায় যোগ দেন টি.কে. গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মো. মোফাচ্ছেল হক, আকিজ বেকার্স লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম তুষার, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপেশ নাগ, সিটি গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শাখাওয়াত হোসেন। প্যানেলটি মডারেট করেন মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের হেড অব স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ইউনিট গালীব বিন মোহাম্মদ।
এরপর প্রতিযোগিতাপূর্ণ মার্কেটে ক্রেতা ধরে রাখার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কথা বলেন মার্কেটিং জগতের প্রাজ্ঞ ব্যক্তিরা। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মহিউদ্দিন এর মডারেশনে এই প্যানেলে অংশগ্রহণ করেন ডট বার্থরে ম্যানেজিং ডিরেক্টর
সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার তাসনুভা আহমেদ টিন, এনগেজ ৩৬০ এর সিইও সৈয়দা উম্মে সালমা ঝুমুর এবং প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার এ বি এম জাবেদ সুলতান।
খাদ্য ও পানীয় মার্কেটের চ্যালেঞ্জ বিষয়ক প্যানেলে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং জেনারেল ম্যানেজার এস. এম. এম. ইব্রাহীম মাহমুদের মডারেশনে কথা বলেন ইমরানুল কবির ক্যাটাগরি হেড, মার্কেটিং বসুন্ধরা গ্রুপ, ইফতেখারুল ইসলাম দস্তগীর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বাংলাদেশ পিএলসি এবং ফারাজ হোসেন রুম্মান ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার (লিড) নাভানা গ্রুপ।
এরপর একটি ইনসাইট সেশন পরিচালনা করেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির সেলস ডিরেক্টর সৈয়দ ইকবাল মাহমুদ হোসেন।
কাঁচামালের সোর্সিং থেকে শুরু করে ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত কমিউনিকেশন চ্যানেল, কোয়ালিটি মেইনটেন এবং ক্রেতা সন্তুষ্টি ধরে রাখার বিষয়ে কথা বলেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি কোম্পানি সেক্রেটারি অ্যান্ড হেড অব লিগাল অ্যান্ড ট্যাক্সেশন দেবব্রত রায় চৌধুরী, একমি কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের চিফ বিজনেস অফিসার আশফাকুর রহমান, পারটেক্স স্টার গ্রুপের হেড অব বিজনেস সাইদুল আজহার সারওয়ার, পারফেটি ভ্যান ম্যালে-এরত এসোসিয়েট হেড অব কর্মাশিয়াল (এইচআর) রিফাকত রাশেদ। এই প্যানেলটি মডারেট করেছেন এসিআই লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর কামরুল হাসান।
এছাড়াও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করা কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘রাফসান দ্যা ছোটভাই’ খ্যাত ইফতেখার রাফসান আলোচনা করেন কন্টেন্ট ক্রিয়েশন থেকে নিজম্ব ড্রিংকস ব্র্যান্ড তৈরির পেছনের গল্প।
সমাপনী সেশনে মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন টুল আর টেকনিক ব্যবহার করে কিভাবে খাদ্য ব্যবসা সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে সে বিষযে আলোচনা করেন বক্তারা। এই সেশনের মডারেটর ছিলেন সুরাইয়া সিদ্দীকা, ডিরেক্টর মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড। সেশনে প্যানেলে আলোচক হিসেবে ছিলেন মো. মাইদুল ইসলাম চিফ মার্কেটিং অফিসার আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, শরফুদ্দিন ভূঁইয়া শ্যামল হেড অব মার্কেটিং, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড এবং শহীদ বিন সরোয়ার, হেড অব মার্কেটিং, ড্যান ফুড বাংলাদেশ, সামিদ বিন সালাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর, কিভা হান গ্রুপ্পো এবং আবু ওবায়েদ ইমন, কান্ট্রি মার্কেটিং লিড, ডমিনো’জ পিজ্জা বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
বিজিএমইএয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, বিশ্ব বাজারের অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন, জলবায়ু কর্মকাণ্ড এবং ইএসজি অগ্রাধিকার এবং সরবরাহ চেইন বা ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট আগামী বছরে প্রধান সমস্যা হতে পারে।
ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবেল বলেন, ‘আমাদের জন্য পরবর্তী দশকের কৌশলটি হবে পশ্চাৎপদ সংযোগ, প্রযুক্তি, জটিল দক্ষতা উন্নয়ন এবং টেকসই গতিতে বিনিয়োগ করা।’
তিনি বলেন, সবুজ রূপান্তরের উদ্যোগকে ত্বরান্বিত ও সমর্থন করতে হবে।
রুবেল তার ‘বিয়োন্ড চ্যালেঞ্জেস: কম্প্রেহেনসিভ রিক্যাপ অব বাংলাদেশ রেডি-মেড গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ইন ২০২৩’-শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘বৈশ্বিক হওয়া আমাদের পরবর্তী এজেন্ডা, যেখানে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস একটি কৌশলগত উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে এসএমইগুলোর জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০২৪ সালে পদার্পণ করতে প্রস্তুত, একটি নতুন অধ্যায়ে শুরু করার জন্য প্রস্তুত; আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি ২০২৩ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে সেগুলো অতিক্রম করেছি এবং শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’
রুবেল বলেন, ‘শুধু ২০২৪ সালে নয়, আগামী দশকেও আমাদের অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
পণ্য, ফাইবার ও বাজারের বহুমুখীকরণ এবং মূল্য সংযোজনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন এই সেক্টরের মূল সুযোগ।
রুবেল বলেন, ‘ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত আপ-গ্রেডেশন, ডিজাইন ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক সক্ষমতার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।’
তৈরি পোশাক শিল্পের এই নেতা বলেন, অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে, কারণ উন্নত অর্থনীতিগুলোও মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার সঙ্গে লড়াই করছে। সেইসঙ্গে মহামারির সংকট এখনও আমাদের অর্থনীতিকে তাড়িত করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মতো ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা প্রতিকূলতার একটি বাড়তি স্তর তৈরি করেছে।
মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ২০২২ সালে ৮ দশমিক ৮ শতাংশসহ রেকর্ডের শীর্ষে পৌঁছেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ৪ দশমিক ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
এর প্রভাবে ২০২৩ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ অব্যাহত ছিল, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পোশাকের জন্য ভোক্তাদের চাহিদাকেও প্রভাবিত করেছে।
২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামগ্রিক আমদানি ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ আমদানি হ্রাস রেকর্ড করা হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আমদানিতে ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং মার্কিন বাজারে ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই চাপটি প্রধান পোশাক আইটেমগুলোর মূল্য নির্ধারণের গতিশীলতায় একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে আমাদের গড় ইউনিটের দাম উল্লেখযোগ্য ৭-৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মূল্য সংযোজন পোশাক উৎপাদন শুরু করেছে, একটি কৌশলগত পদক্ষেপ যা আমাদের গড় ইউনিট মূল্য বজায় রাখার অনুমতি দিয়েছে।
একইভাবে, প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের সাফল্যের তালিকায় যোগ হয়েছে বেশ কিছু অর্জন।
ইউএসজিবিসির লিড প্রত্যয়িত সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেডসহ ২০৬টিতে পৌঁছেছে।
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২২ সালে ডব্লিউটিও’র ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ারসহ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে র্যাংকিং পুনরুদ্ধার করেছে।
রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর জন্য শীর্ষ ডেনিম-সোর্সিং দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আমরা ইইউ বাজারে চীনের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিযোগিতায় আছি।
আরএমজি সেক্টরের উন্নতি অব্যাহত রয়েছে, গত অর্থবছর ২০২২-২০২৩ সালে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এটি আমাদের আরএমজি উৎপাদনের ইতিহাসে একটি নতুন অর্জন, কারণ ৪০ বছরের যাত্রায় আমরা ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছি।
প্রধান বাজার ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অপ্রচলিত বাজারে আমাদের রপ্তানি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে পদ্মাসেতু ও রেলওয়ে সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল (কর্ণফুলী), ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রুবেল বলেন, ‘বছরজুড়েই চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত দাম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।’
মার্কিন প্রকাশনা এবং ইউরোপীয় শ্রম নিয়ন্ত্রণের উপর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা জোর দিতে চাই এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখেও আমরা যেন শিল্পকে টেকসই করতে এবং আমাদের কর্মী ও সম্প্রদায়ের আরও ভালো যত্ন নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে পারি।’
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
সুশাসনের অভাব ও দুর্বল আর্থিক অবস্থার অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে তিনি মেঘনা ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
নতুন বোর্ডে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন, খলিলুর রহমান, পারভীন হক সিকদার, শফিকুর রহমান ও মোয়াজ্জেম হোসেন।
আগের বোর্ডের তিনজন পরিচালক নতুন বোর্ডে জায়গা পেয়েছেন।
মেজবাউল আরও জানান, আগের বোর্ডে মোট পরিচালকের সংখ্যা ছিল আটজন।
আরও পড়ুন: সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান