%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে সৌদি আরব থেকে ৩১ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে।
সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আবদুল আজিজ আল ফালিহ এবং ইনভেস্টরস আউটরিচ উপমন্ত্রী বদর ইব্রাহিম আল বদর পৃথকভাবে ঢাকায় এসেছেন।
উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি), সৌদি চেম্বার এবং আরএসজিটিআই, অ্যাকওয়াপাওয়ার, সৌদি এক্সিম ব্যাংক, আল-জোমাইহ এনার্জি অ্যান্ড ওয়াটার, ডেজার্ট টেকনোলজি, ডাটা ভোল্ট, রাসি ইনভেস্টমেন্ট, এসএএল লজিস্টিকস, ফ্লাই ন্যাস, ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন কনট্রাক্টিং, আল-জামিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল, আল-হোরাইশ ফর ট্রেডিংসহ শীর্ষস্থানীয় সৌদি কোম্পানির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের জন্য বাংলাদেশকে 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার' হিসেবে তুলে ধরবে বিটিসিসিআই
ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি নেটওয়ার্কিং সেশন করেন। তারা আজ একটি ব্যবসায়িক সেমিনারে যোগ দেবেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সৌদি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটিআই) লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক বৈঠকে যোগ দিতে সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এই উচ্চ পর্যায়ের সফরের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২০২২ সালের একই মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কমেছে।
সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। তবে আগের মাসের (অক্টোবর) তুলনায় বেড়েছে।
সোমবার (৪ ডসেম্বর) প্রকাশিত ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে রপ্তানি আয় করেছে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
তৈরি পোশাকের (আরএমজি) চালান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি কমেছে। আরএমজি সেক্টর নভেম্বরে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিটওয়্যার সাবসেক্টরে পোশাকের চালান বিশেষভাবে কমে গেছে। গতমাসে যা ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের চেয়ে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। ওভেন পোশাক থেকেও আয় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তবে, চলতি অর্থবছরের ২০২৩-২৪ সালের ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সামগ্রিক রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রধান খাতগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া বাকি সব খাতে রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে হিমায়িত খাবার অন্তর্ভুক্ত; চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; পাট ও পাটজাত পণ্য; কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%
শ্রম আইনের সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে: বাণিজ্য সচিব
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও শ্রম আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন নিয়ে সোমবার সভা করেছি। আমাদের কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং আগামীতে আরও কী করতে হবে, তা নিয়েই কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে যেহেতু স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে, সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা অন্য দেশগুলো বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু অঙ্গীকার দেখতে চায়, সেগুলো বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা করেছি।
বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল। তাদের চাওয়াগুলো পূরণ করার জন্য এসব সংস্কার এনেছিলাম।
তিনি বলেন, গেল ১০ বছরে আমরা অনেক সংস্কার এনেছি। যে কারণে শ্রম আইনে তিনবার সংস্কার আনা হয়েছে। চারবার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের শিল্পায়নের কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার নিয়েও সোমবার কথা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
কোথায় কোথায় সমস্যা আছে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের বাণিজ্যে যারা বড় অংশীদার, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২৫ বিলিয়ন ডলার আমরা রপ্তানি করি। শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করলেও সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই না। বরং পৃথিবীর মধ্যে বলা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রে আমরা অনেক বেশি শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করছি। কিন্তু তাদের কিছু দাবি আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনগুলো অনুমোদন করেছি, সে অনুযায়ী আমাদের শ্রম আইনে একটা ন্যূনতম থ্রেশহোল্ড আছে, একটি কারখানায় মোট শ্রমিকের ২০ ভাগ সদস্য যদি সংগঠন করতে চায়, তাহলে সেটা করতে পারবে। এটাকে ১০ শতাংশ করার দাবি তারা করেছিল, আমরা ১৫ শতাংশ করে দিয়েছি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বেপজা আইনের ক্ষেত্রে সংগঠন করার অধিকার আছে, কিন্তু আমরা সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন বলি না, আইনে সেটাকে বলা হয়েছে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে তারা বলে যে ট্রেড ইউনিয়ন প্রবর্তন করতে হবে। বিষয়টি প্রায় একই। এখনও সংগঠন হচ্ছে, তখনও সংগঠন হবে। কিন্তু নামটি যেন শ্রম সংগঠন হয়। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বেপজা আইনটা সংশোধন করা হবে। সংশোধনটা কীভাবে হবে, সেটা সব অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, শ্রম আইনে মোটাদাগে দুটি জিনিস তারা দাবি করেছে। তারা চাচ্ছে বেপজাতে শ্রম সংগঠন করার অধিকার দিতে আর থ্রেশহোল্ডটা কমিয়ে আনা অর্থাৎ শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সমঝোতায় যেসব ইস্যু ছিল, সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিকী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, সেটা কিন্তু সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে। সর্বশেষ ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর একটা উচ্চ পর্যায়ের দল ঢাকায় এসে সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আর বাংলাদেশ যে সংস্কারগুলো নিয়ে এসেছে, সেগুলোর প্রশংসাও করেছেন।
সচিব বলেন, তারা বলেছেন আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন তাদের চাওয়াগুলো আরও বেশি বাস্তবায়ন দেখতে চান। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশ যেহেতু শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়, সেহেতু তাদের চাওয়াগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশ যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যায়।
তপনকান্তি বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল এই পাঁচ বছর মেয়াদি। সেক্ষেত্রে কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে, কিছু বাস্তবায়ন হয়নি।
বেপজা আইনের সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশীজন যারা আছে, বিদেশি বিনিয়োগকারী সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। এরইমধ্যে বেপজা আইনে অনেকগুলো সংশোধন আনা হয়েছে। এখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে, বিশেষ করে আইএলও আইনে ত্রিপক্ষীয়ভাবেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটাও সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষ মিলে ঠিক করবে, কীভাবে করা হবে। বেপজার শ্রমিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনকে ট্রেড ইউনিয়ন করতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।
এসব সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, তাদের চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে, যেমন বেপজা আইনে সংস্কার করা হয়েছে, শ্রম আইনটিই বেপজার মতো প্রযোজ্য হবে, বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধন আনা হয়েছে, এ অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। এজন্য কয়েকদিন লাগবে, প্রস্তুতি নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এহছানে এলাহী ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব
খেলাধুলার পোশাক ক্যালোর জ্যাকেটের জন্য আইএসপিও অ্যাওয়ার্ড পেল ফকির অ্যাপারেলস
নারীদের উদ্ভাবনী পোশাকের জন্য 'ক্যালর জ্যাকেট'-এর জন্য আইএসপিও অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পেয়েছে পোশাক শিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ফকির অ্যাপারেলস।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রথম বাংলাদেশি প্রস্তুতকারক হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রফেশনাল অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (আইএসপিও) পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছে।
আউটডোর পোশাকে পারফরমেন্স, স্থায়িত্ব ও উদ্ভাবনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের স্বীকৃতি স্বরূপ ফকির অ্যাপারেলসকে এই সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে আইএসপিও।
ফকির অ্যাপারেলস প্রথম বাংলাদেশি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএসপিও অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীর খেতাব অর্জন করেছে।
হাই-অ্যান্ড টেকনিক্যাল পোশাক উৎপাদন সুদূর প্রাচ্যের জন্য একচেটিয়া বলে যে ধারণা করা হয়, তা দূর করতে গিয়ে ফকির অ্যাপারেলস বাংলাদেশের বিস্তৃত প্রবণতার প্রতিফলন ঘটায়।আরও পড়ুন: নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
দেশের নির্মাতারা এই বাজারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে, তরুণ প্রতিভা, অভিজ্ঞ দক্ষতা এবং উদ্যোক্তা মনোভাবের সম্পদকে কাজে লাগাচ্ছে।
ফকির অ্যাপারেলস ঐতিহ্যগতভাবে সুতি কাপড়ের পোশাকের জন্য পরিচিত। তার ক্লায়েন্ট বেস বজায় রেখে তাদের পণ্যগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সিন্থেটিক এবং সিন্থেটিক মিশ্রণ ঘটিয়েছে।
২০১৮ সালে তারা খেলাধুলার শিল্পে সাফল্যের পাঁচ বছর চিহ্নিত করে একটি বিশেষ প্রযুক্তিগত পোশাক উৎপাদন সুবিধা চালু করেছে।
ফকির অ্যাপারেলস লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির নাফিজুজ্জামান জোর দিয়ে বলেন, ফকির অ্যাপারেলসের যাত্রা এই শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, ক্যালোর জ্যাকেটের মতো সাহসী পদক্ষেপ টেকসইয়ের প্রতি কোম্পানির প্রতিশ্রুতি।
আরও পড়ুন: ভাঙচুর বন্ধ না হলে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় মালিকেরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবে: বিজিএমইএ
এই বৈপ্লবিক নিবন্ধটি কেবল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং একটি বৃত্তাকার দর্শনকে সংহত করে না বরং পোশাকের বর্জ্যকে উল্লেখযোগ্য ৯৭ শতাংশ হ্রাস করে।
শিল্পের বিস্তৃত পরিবর্তনের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, হাই-এন্ড টেকনিক্যাল পোশাক উৎপাদন ক্ষমতা দূর প্রাচ্যের নির্মাতাদের জন্য একচেটিয়া বলে যে ধারণা রয়েছে তা এখন আর বিদ্যমান নেই।
ফকির অ্যাপারেলসসহ দেশীয় নির্মাতারা ঐতিহ্যবাহী তুলাভিত্তিক পোশাক থেকে সিন্থেটিক ফাইবার-তৈরি হাই-এন্ড টেকনিক্যাল পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন, যা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত।
ফকির অ্যাপারেলসের যাত্রা এই শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা প্রযুক্তিগত পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশের দক্ষতা এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
তিনি আরও বলেন, এর উদ্ভাবনী নকশা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা ফ্যাশন এবং স্পোর্টসওয়্যার শিল্পে টেকসই পরিবর্তন আনতে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ঋণসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) আয়োজনে 'সেটেলমেন্ট অব ডকুমেন্টারি ক্রেডিট ডিসপিউটস থ্রু এডিআর: রিভিউ অব আইসিসি আরবিট্রেশন অ্যান্ড ডকডেক্স কেস’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এতে বলা হয়, কর্মশালায় বিআইবিএমের চারজনসহ ২৫টি ব্যাংকের ৯৬ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন আইসিসি বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয়।
এছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য দেন আইসিসিবির মহাসচিব আতাউর রহমান এবং কর্মশালার প্রশিক্ষক কে এম লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
বাংলাদেশে এখন আরএমজি সেক্টরে ২০৪টি 'সবুজ' কারখানা
'সবুজ' অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানায় বিশ্বনেতা হিসেবে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে বাংলাদেশ।
দেশের ২০৪টি কারখানা এখন ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সার্টিফিকেশন (সবুজ কারখানার জন্য প্রশংসাপত্র) পেয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে গোল্ড ক্যাটাগরিতে ইউএসজিবিসি থেকে গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন পেয়েছে আরও একটি বাংলাদেশি পোশাক কারখানা।
১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৯ পয়েন্ট পাওয়া গাজীপুরের গ্রিন সার্টিফাইড কারখানাটি হলো ‘ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড’।
বাংলাদেশ ২০২২ সালে ২৭টি গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যার মধ্যে ১৩টি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে রয়েছে; যা এক বছরে সর্বোচ্চ।
মোট ২০৪টি সবুজ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ৭৪টি প্লাটিনাম-রেটেড, ১১৬টি গোল্ড-রেটেড এবং বাকিগুলো অন্যান্য-রেটেড।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ইউএসজিবিসি’র লিড সার্টিফিকেশন পেতে আরও ৫০০টি কারখানা পাইপলাইনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২০টি লিড সার্টিফিকেশন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে।
এটি সত্যিই গর্বের বিষয় বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০৪ স্কোর পাওয়া কারখানাটি বাংলাদেশেই অবস্থিত।
ইউএসজিবিসি বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে কারখানাগুলোকে সম্মানিত করে। যেমন- রূপান্তর কার্যক্ষমতা, জ্বালানি, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সেরা পারফর্মারদের প্ল্যাটিনাম দিয়ে রেট দেওয়া হয়, এরপরে গোল্ড ও সিলভার।
আরও পড়ুন: নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
আইএমএফের গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দুই বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমদানি রপ্তানির চাহিদা কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল।কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করে ডলারের মজুদ।আরও পড়ুন: আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রা রপ্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফের নির্দেশিকা (ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল) বা বিপিএম৬ এর আলোকে ২৩ নভেম্বর দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী নিট রিজার্ভ মোট রিজার্ভের পরিমাণের চেয়ে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার কম হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিদিন ব্যয় ও জমা হয়।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ার খবরে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটি দেশের একটি চলমান প্রক্রিয়া।
জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা বিপিএম৬ -এর প্রস্তাবিত একটি নির্দেশিকা বা সূত্র অনুযায়ী বৈদেশিক রিজার্ভ গণনা শুরু করে বাংলাদেশ।
নতুন হিসাব অনুযায়ী, সে সময় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি: বিশ্লেষকরা
থাইল্যান্ডের জন্য বাংলাদেশকে 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার' হিসেবে তুলে ধরবে বিটিসিসিআই
৩০ নভেম্বর ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য সবচেয়ে বড় বিজনেস টু বিজনেস ম্যাচমেকিং সেমিনারে অংশ নিতে ৫০ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ড সফর করবেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম; বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর; বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিটিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ।
বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় রয়্যাল থাই দূতাবাস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সরকারের সহযোগিতা চায় বিটিসিসিআই
থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তুলতে এবং থাইল্যান্ডের দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উক্ত সফর হবে থাইল্যান্ডে সিরিজ সফরের প্রথম- জানিয়েছে বিটিসিসিআই।
'বাংলাদেশ অ্যান্ড থাইল্যান্ড: নিউ হরাইজনস ফর ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ।
থাইল্যান্ডের কৃষি, সৌন্দর্য ও ত্বকের যত্ন, নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল, টেক্সটাইল, এভিয়েশন, আতিথেয়তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং মৎস্য খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
এই সফরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, এফডিআই (প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ), যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সহযোগিতার নতুন উপায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য প্রতিনিধি ড. নালিন তাভিসিন; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব সারুন চারোয়েনসুয়ান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-স্থায়ী সচিব একাচাত সীতাভোরারাতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জন্য গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল এবং কৃষি খাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য ৪টি কারখানা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ হাইকমিশন
যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার ধরতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) এফবিসিসিআইয়ের হেড অব পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনস তানজিদ বসুনিয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চায়না প্লাস ওয়ানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মার্কেট ধরতে রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়েছে উভয় পক্ষ।
রবিবার রাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটিতে সফররত এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ডায়ালগে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমরা শুধু তৈরি পোশাক খাতে নির্ভরশীল হয়ে আছি। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই। পোশাক শিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে আরও কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা।’
এসময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসার বিষয়েও বাংলাদেশি হাইকমিশনের সহযোগিতা চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা তাসনিম মুনা বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগে গত বছর যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির দিক থেকে সর্বোচ্চ। এই রপ্তানির ৯১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
এ ছাড়াও টেক্সটাইল, মৎস্য, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হলেও সেই সংখ্যা খুব কম। চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় কৃষিজাত পণ্য ও আনারসসহ বিভিন্ন ফল রপ্তানির উপর জোর দেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মূলধারার বাজারে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মূলধারার বাজারে কী ধরনের পণ্য আসছে এবং সেসব পণ্যের উৎস কোথায়, কী ধরনের চাহিদা রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে সেটি দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।’
বৈঠকে প্রশিক্ষিত নার্সসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবাসায়ী নেতারা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই: মাহবুবুল আলম
অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অবরোধ ও হরতালের রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের বিক্ষোভের দিনে অর্থনীতিতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হয়।
চলতি সপ্তাহে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চাই। হরতাল বা অবরোধে প্রতিদিন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাই আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই।’
আমরা ধর্মঘট বা অবরোধ চাই না। ধর্মঘট বা অবরোধ অর্থনীতির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মহাসড়কে সহিংসতা সৃষ্টি করছে, যা বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ায় এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বেশি দামে পণ্য কিনছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের পূর্বে ক্রয় করা পণ্য সময়মতো পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, সরবরাহকারী ও পণ্য উৎপাদনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
হরতাল ও অবরোধের কারণে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায়শিল্পখাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এলসি খোলার জন্য ডলার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ এবং রমজান পর্যন্ত শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এফবিসিসিআই'র আহ্বানতিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবের পর উদ্যোক্তারা রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি সহ্য করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অসম্ভব এবং নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে জনগণের কল্যাণ আসবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাপক প্রচেষ্টায় এখানে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।
অভ্যন্তরীণ অঙ্গনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বিদেশি ক্রেতাদের নেতিবাচক সংকেত দেবে বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শিল্প খাতের টিকে থাকার পাশাপাশি তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য অপরিহার্য।
তাই সরকার ও বিরোধী দলের উচিত রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে হরতাল-অবরোধের পরিবর্তে বিকল্প কর্মসূচি নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র