%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
প্রথম প্রান্তিকে ২০২.০৭ কোটি টাকা মুনাফাসহ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে ওয়ালটন
বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সংকটসহ নানা প্রতিকূল ব্যবসায়িক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় কোম্পানিটি।
এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) ২০২ দশমিক শূন্য ৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিটি।
আজ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৬তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এই তথ্য প্রকাশ করে ওয়ালটন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০২ দশমিক শূন্য ৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয়েছিল ৪৬ দশমিক ১০ কোটি টাকা।
ওয়ালটন হাই-টেক প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি করেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির রিসিভেবলস্ কালেকশন বা দেনাদারদের থেকে টাকা প্রাপ্তির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ অপারেটিং প্রফিট মার্জিন ব্যাপকহারে বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।
অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ব্যাংক ঋণ কমার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ টাকা যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ১ দশমিক ৫২ টাকা। প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৪৮ দশমিক ৮৮ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫০ দশমিক ৪০ টাকা।
একই সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৬৮ টাকা।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয় এবং ঋণের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ২২ এবং ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২১ দশমিক ৮১ এবং ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি ২৬২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে প্রায় ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ৮৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬২ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৩২২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা। ফলে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। পূর্বের বছর একই সময়ে কোম্পানির লোকসান হয়েছিল ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া ফুটবল-২০২৩ শুরু
নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কাজ করার অনুমোদন পেল নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে কাজ শুরুর অনুমোদনের কপি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তার কার্যালয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের হাতে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের কপি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) হস্তান্তর করেন।
এসময় নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে শুভেচ্ছা জানান ও সফলতা কামনা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গত তিন বছর ধরে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা চালু করার জন্যে নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল নগদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার ফলে সামনের দিনে ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
এ বিষয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আমরা দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেলাম। সাধারণ মানুষ যারা নানা কারণে ব্যাংকে আসতে পারে না, তাদের কাছেই সেবা নিয়ে হাজির হবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে আর ব্যাংকে আসতে হবে না, বরং ব্যাংকই মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রথাগত ব্যবসায়ীর বাইরে যারা আছেন, তাদের কোনো রকম জামানত ছাড়াই এক অংকের ঋণ দেব। পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম চালুসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সমাধান দেবে আমাদের ডিজিটাল ব্যাংক। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ আরও সুগম হবে।
সব আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতি শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
অনুমোদনের কপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বিআরপিডি) মো. মনিরুল ইসলাম ও নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ নিয়ে আসছে দারাজ
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ টানা ষষ্ঠবারের মতো নিয়ে আসছে এর বহুল প্রতীক্ষিত ১১.১১ ক্যাম্পেইন। আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ ১১.১১ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ ২০২৩ নিয়ে দারাজের পক্ষ থেকে ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
‘কিনে নাও সবই’- স্লোগানে সঞ্চয় ও উৎসবের আমেজ নিয়ে দারাজ এবারের ১১.১১-এর প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে।
প্রতি বছরের মত এবারও ক্রেতাদের কেনাকাটায় ভিন্নমাত্রা যোগ করতে দারাজ নিয়ে এসেছে চমৎকার সব অফার, যার মধ্যে থাকছে ২০ লাখ ডিল, সর্বমোট ৫০ কোটি টাকা মূল্যের বিশাল ডিসকাউন্ট, ফ্রি শিপিং, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, এক্সক্লুসিভ ভাউচার, ফ্ল্যাশ সেলসসহ আরও অনেক চমৎকার ডিলস ও ছাড়।
এ বছর ১১.১১ এর ফোকাস ক্যাটাগরির মধ্যে থাকছে ইলেকট্রনিক্স-হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশন আইটেমস, হোম ডেকর, ডেইলি অ্যান্ড মান্থলি এসেনশিয়ালস, রেগুলার গ্রসারিজ, মাদার অ্যান্ড বেবি আইটেমস ও বিউটি প্রোডাক্টস।
এ বছর ১১.১১ উপলক্ষে গ্রাহকদের একটি অসাধারণ অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপহার দিতে যেসব বিক্রেতা নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে, শুধুমাত্র তাদের বাছাই করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিধি-বিধান সম্পর্কে সতর্কও করেছে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও, বিদ্যমান নীতি মেনে নির্ধারণকৃত আকর্ষণীয় সব অফারের মধ্যে কোন অসাধু বিক্রেতা যেন অবাস্তব অফার না দিতে পারে, সেক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিয়েছে দারাজ।
আরও পড়ুন: দারাজ এর ‘৯-এর উল্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু
১১.১১ নিয়ে গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে প্রোডাক্ট অথেন্টিসিটি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেমন- দারাজ মলে আছে গ্যারান্টিসহ অথেন্টিক প্রোডাক্টের অফার, যাতে নকল প্রোডাক্ট ডেলিভারি পেলে থাকছে দ্বিগুণ অর্থ ফেরতের সুযোগ।
তাছাড়াও, বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত মনিটর করা, তাদের ডেভেলপমেন্ট ও প্রয়োজনে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। সময় মত ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে অনেক নতুন রাইডার নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মাকেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘দারাজের ১১.১১ গ্রাহকদের জন্য শুধুমাত্র সঞ্চয় করার সুযোগ তৈরি করে না, বরং একটি উৎসবের আমেজও তৈরি করে। প্রতি বছরের মত আমাদের গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করে আরও একটি সফল ১১.১১ উপহার দিতে আমাদের টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। আশা করছি গ্রাহকরা তাদের পছন্দের পণ্যের তালিকা নিয়ে প্রস্তুত আছেন বছরের সবচেয়ে বড় বিক্রয় উৎসবে আমাদের সঙ্গে সামিল হওয়ার জন্য।’
দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, ‘দারাজ এর ১১.১১ ক্যাম্পেইন বিক্রেতাদের ও ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। এই বছর, আমরা আরও বেশি ডিল, ভাউচার ও অফার নিয়ে প্রস্তুত ক্রেতাদের কেনাকাটার সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দিতে। বছরের এই বৃহত্তম শপিং কার্নিভ্যাল উপলক্ষে আমরা দ্বিগুণ রাইডার নিয়োগ দেওয়াসহ আমাদের সক্ষমতা ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি, গ্রাহকদের উপস্থিতি আট গুণ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে কেনাকাটার আকর্ষণের মাত্রাকে বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের সেলার কমিউনিটির জন্য এক অসাধারণ ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরি করেছি। এছাড়াও, বছরের সবচেয়ে বড় শপিং কার্নিভ্যাল উপলক্ষে এবার আমরা বিক্রেতা নির্বাচন, পণ্যের অথেন্টিসিটি ও সময়মতো ডেলিভারি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছি।’
বছরের সবচেয়ে বড় এই সেলে ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড - ম্যারিকো বাংলাদেশ, ডেটল - রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ ও মোশন ভিউ - এর মতো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি গোল্ড স্পন্সর হিসেবে হোমেল, ইউগ্রিন, লুইসউইল, স্কেমেই, হারপিক-রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ ও গোদরেজ হাউজহোল্ড প্রোডাক্টস বাংলাদেশ এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে উইরেস্টো, সিঙ্গার বাংলাদেশ, ওজেরিও, ওয়াও স্কিন সায়েন্স, স্কিন ক্যাফে লিমিটেড, রিবানা, বিয়ারডো-ম্যারিকো বাংলাদেশ ও ভিট-রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে।
এছাড়া, গ্রাহকদের একটি সহজ ক্যাশলেস কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে বিকাশ ও নগদ ছাড়াও ব্যাংক পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, দারাজ ইবিএল কো-ব্র্যান্ড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এইচএসবিসি, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, এনসিসি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ৯-এর উল্লাসে দারাজ বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
চলতি বছরে ৯০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার(২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহসিনা ইয়াসমিন এ তথ্য জানান।
৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৮ থেকে ৯ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
তিনি বলেন, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রচার এবং দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে বিডা দীর্ঘদিন ধরে এফআইসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এফআইসিসিআইয়ের এই মেগা ইভেন্টের কৌশলগত অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘চেম্বারটির ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এই বিনিয়োগ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিনিয়োগ মেলার কারিগরি অংশীদার।
বিজয় বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে এফআইসিসিআই'র অবদান তুলে ধরা এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি কার্যকর ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে নীতিসহ আমাদের অর্থনীতির রূপান্তরমূলক যাত্রাকেও তুলে ধরা হবে।
বিডার নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে ৯০ ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। ফলস্বরূপ, ব্যবসায়ীরা হয়রানি ও ব্যয় উভয় থেকে রেহাই পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ যেকোনো দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ সবসময় এটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই আয়োজন দেশে বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।’
এফআইসিসিআই'র পরিচালনা পর্ষদ ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন, 'দুই দিনব্যাপী এই বিনিয়োগ মেলায় প্রায় ৪০টি স্টলের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সহনশীলতা, প্রতিযোগিতা ও খাতভিত্তিক বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।’
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে চারদিন আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা শুরু হয়েছে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) থেকে।
তবে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকালেও পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার বেড়েছে দ্বিগুন। আজ সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ৪ হাজার ৭ ‘শ যাত্রী পারাপার করেছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত বন্দর থেকে সব ধরণের মালামাল খালাস নিতে পারবেন আমদানিকারকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী এ তথ্য জানান। তিনি জানান,পূজার ছুটিতে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
২৫ অক্টোবর সকাল থেকে এই পথে আবারও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় চালু হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট থেকে পত্র দিয়ে আমাদেরকে জানিয়েছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, পূজার ছুটির কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে পাসপোর্টথারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলা চৌধুরী জানান,দূর্গাপূজা উপলক্ষে সে দেশে সরকারি ছুটি থাকায় ৪ দিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড সহ খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন-চার দিনের মধ্যে আমদানি করা ডিম দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিপণনের অক্টোবর মাসের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত বলে রপ্তানিকারক দেশের সরকারের দেওয়া সনদ দাখিল করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে এর আগে ডিম আমদানি হয়নি এবং এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে।
আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জুলাই মাস থেকে টিসিবির তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো। যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানি করা পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ১ কোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ ওয়ালটনের
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র চেয়ারম্যান পদে এস এম শামসুল আলম, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে এস এম আশরাফুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন এস এম মাহবুবুল আলম। তারা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩৫তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এই নিয়োগ শনিবার থেকেই কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট বুধবার থেকে শুরু
ওয়ালটন হাই-টেকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সফল উদ্যোক্তা। তারা সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে ওয়ালটনের দ্রুত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পে তাদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী নেতৃত্ব বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে ওয়ালটনকে গ্লোবাল ব্র্যান্ডে পরিণত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তাদের তত্ত্বাবধানে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০) আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
তাদের যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে ওয়ালটপুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র চেয়ারম্যান পদে এস এম শামসুল আলম, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে এস এম আশরাফুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন এস এম মাহবুবুল আলম। তারা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ন দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে অতি দ্রুত শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নেয়। প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা দায়িত্ব নেওয়ায় ওয়ালটনের উন্নয়নের অগ্রগতি আরও গতিশীল হবে। তারা ওয়ালটনকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা পাঁচটি গ্লোবাল ব্র্যান্ডের একটিতে পরিণত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন। তাদের দূরদর্শী নেতৃত্ব ওয়ালটনের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে বলে সকলেই দৃঢ় আশাবাদী।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ওয়ালটন কারখানায় তিন শ্রমিকের মৃত্যু
পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই: মাহবুবুল আলম
পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে পাট শিল্পে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এই মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, পাট আমাদের সোনালি ঐতিহ্য। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের নিজস্বতা ও গৌরবের ইতিহাস। এ শিল্পের সমস্যাগুলোর সমাধান করে সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে এই খাতের উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এই শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। কীভাবে পাটজাত পণ্য রপ্তানি ও উৎপাদন বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে বিশ্বে নতুন বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%
মতবিনিময় সভায় পাটজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন ও এই খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা পাট শিল্পের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: কাঁচাপাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর রহিত করতে হবে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পাটজাত পণ্যকে কৃষিজাতপণ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া পাটশিল্পকে রক্ষার জন্য ইডিএফের মতো পাট খাতের উন্নয়ন তহবিল (জেএসডিএফ) গঠনসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলেন ধরেন তারা।
বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, পাট শিল্পকে রক্ষায় জেএসডিএফ গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটশিল্পে স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়া হলে মিল মালিকরা চিরাচরিত পাটপণ্যের সঙ্গে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হবে এবং স্বল্প মূল্যে দেশে ও বিদেশের বাজারে পাটপণ্য ও বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি বাড়াতে সচেষ্ট হবে ।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালক মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক আজিজুল হক, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, ফখরুস সালেহীন নাহিয়ানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির
চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্পেনে ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, ফ্রান্সে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ইতালিতে ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ আমাদের রপ্তানি বেড়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমেছে।
তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৩৫২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
বিজিএমইএ পরিচালক বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ৫৪ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ৩৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়েছে। তবে ভারতে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক পোশাক আমদানি ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে ৫৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৬৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় পোশাক আমদানির উৎসগুলো মূল্য ও পরিমাণ উভয় দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানির উৎস চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ভিয়েতনাম থেকে আমদানি কমেছে ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি কমেছে যথাক্রমে ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ২৬ দশমিক ০৯ শতাংশ, ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব