%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিমের দাম যাচাইয়ের জন্য সরকার নিয়মিত বাজার মনিটরিং করবে এবং কোনো উন্নতি না হলে আরও ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে।
কিন্তু কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) অভিযানে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম বিক্রি করছেন না।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মার্কিন-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
তাই সরকার চারটি কোম্পানিকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে এবং প্রতিটি কোম্পানি ১ কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে বলে জানান তপন কান্তি।
ডিম কোথা থেকে আমদানি করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, কম দামে পাওয়া যাবে এমন যে কোনো দেশ থেকে তারা ডিম আমদানি করতে পারেন।
ডিম আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো শর্ত নেই। তবে ডিমের দাম যেন ১২ টাকার বেশি না হয়।
তপন কান্তি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভোক্তাদের জন্য দিনে ৪ কোটি ডিমের প্রয়োজন এবং আমরা একদিনের জন্য আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আমি মনে করি না এটি স্থানীয় বাজার বা কৃষকদের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে।’
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়বে: সালমান এফ রহমান
এর আগে ১৩ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ডিমের দাম না কমলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই ডিম আমদানির অনুমতি দেবে সরকার।
ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করছে।
বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনকারী সমিতির মতে, চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডিমের প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ ডিমই দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
বহুজাতিক কোম্পানি উবারের দৌলতে রাইড শেয়ারিং এখন জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম। ধরাবাঁধা কোনো সময় না থাকায় একজন উবার ড্রাইভার মুক্তপেশার মতোই উপার্জন করতে পারেন নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী। তবে এর জন্য কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। এগুলো নির্ধারিত হয় মূলত সংশ্লিষ্ট দেশের পরিবহন অধিদপ্তর প্রণীত বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আজকের নিবন্ধে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একই সঙ্গে জেনে নেওয়া হবে- প্রয়োজনে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার পর কীভাবে তা পুনরায় চালু করবেন।
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট করার পূর্বশর্ত
মোটর বাইক বা কার থাকুক বা না থাকুক, উভয় ক্ষেত্রেই ড্রাইভার হিসেবে উবারে যোগ দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যানবাহনটির জন্য বিআরটিএ’র (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) রাইড শেয়ারিং তালিকাভুক্তি সনদপত্র নিতে হবে। নিজের গাড়ি থাকলে মালিক নিজে এই সনদপত্র নিবেন।
আর গাড়ি না থাকলে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান তথা উবার সেই গাড়ির জন্য বিআরটিএর রাইড শেয়ারিং-এ তালিকাভূক্ত করবে। এই সনদপত্র নেবার পর উবার ড্রাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করা যাবে।
এছাড়া বিআরটিএ মতে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছরের যে বয়ঃসীমা আছে, উবার বাংলাদেশের ড্রাইভারদের বেলায়ও তা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
চালক হিসেবে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত পরিচিতিপত্র:
- প্রোফাইল ছবি (চালকের পুরো মুখমণ্ডলসহ কাঁধের শীর্ষভাগ ফোকাসে থাকা চশমাবিহীন উজ্জ্বল ছবি হতে হবে, যেখানে ফ্রেমে শুধুমাত্র চালকের মুখ থাকবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি বা অন্য কোনও মুদ্রিত ছবি হওয়া যাবে না।)
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স
গাড়ির (মোটর বাইক/কার) প্রয়োজনীয় নথি:
- নিবন্ধনপত্র
- ফিটনেস সনদপত্র
- ট্যাক্স টোকেন
- ইনস্যুরেন্স
যানবাহন না থাকলে আবেদনকারীকে শুধু নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গাড়ি চালানো শেখার জন্য কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার
ধাপে ধাপে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার পদ্ধতি
বিআরটিএ রাইড শেয়ারিং তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালে নিবন্ধন
প্রথমেই বিএসপি (বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল) পোর্টালে (https://bsp.brta.gov.bd/register) যেয়ে ‘নিবন্ধন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ‘নিবন্ধন করুন’ এ ক্লিক করার পর ইমেইল ঠিকানা যাচাই করা হবে।
এ সময় প্রদানকৃত ইমেইলে বার্তা প্রদান এবং মোবাইল নম্বরে ওটিপি প্রদানের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হবে। যাচাই শেষে পুনরায় ইমেইল ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে।
এরপর প্রথমে ড্যাশবোর্ডের বাম পাশে ছবির উপরে ক্লিক করে সকল তথ্য দিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে।
মোটরযান নিবন্ধন
হোম পেজের ‘মোটরযান নিবন্ধন’ মেনুর অধীনে ‘মোটরযান সংযুক্তকরণ’ এ যেতে হবে। এখানে মোটরযানের মালিকের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, চেসিস নম্বর, উৎপাদনের বছর ও ইঞ্জিন নম্বর দিতে হবে।
তারপর বাম পাশের মেনুগুলো থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সে মেনুর অধীনে ‘ড্রাইভার সংযুক্তকরণ’-এ যেতে হবে। এখানে আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। মোবাইল নম্বর ওটিপির মাধ্যমে যাচাই করা হবে।
এবার বাম পাশের ‘রাইড শেয়ারিং’ মেনুর অধীনে ‘মোটরযান নিবন্ধন’-এ যেতে হবে। এখানে পূর্বের ন্যায় মোটরযান নম্বর সহ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর তথ্যাবলি প্রদান করতে হবে।
অতঃপর রাইড শেয়ারিং কোম্পানির তথ্যে উবার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং আবেদনের সময়কাল এক বছর দিতে হবে। সকল তথ্য দেয়ার পর সাবমিট করলে আবেদনটি উবারের অনুমোদনের জন্য গৃহীত হবে। অনুমোদন করা হলে তা ড্যাশবোর্ডে প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
নেশা বা পেশা যাই বলা হোক না কেন; ফটোগ্রাফি এখন আর চারপাশের প্রকৃতি ও মানুষকে ফ্রেমবন্দি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল কন্টেন্টের অবতারণা দারুণভাবে প্রভাবিত করছে সৃজনশীলতাকে। ছবি তোলার পরেও অকৃত্রিম কন্টেন্টগুলোতে নৈপুণ্যের পরশ দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে নতুন ধরনের শিল্প। ফলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও তৈরি হয়েছে নজরকাড়া এই শিল্পের বাজার। এভাবে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে দক্ষ ফটোগ্রাফারদের জন্য। আজকের নিবন্ধটি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন সেরা কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে। চলুন, ঘুরে আসা যাক ছবির ডিজিটাল বাজার থেকে।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার সেরা ৭টি প্ল্যাটফর্ম
অ্যাডোবি স্টক
বিখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাডোবির উচ্চ মানের গ্রাফিক পরিষেবা অ্যাডোবি স্টক। পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় ১৮ বছরের যে কোনো বাংলাদেশি সহজেই এই সাইট থেকে আয়ের চেষ্টা করতে পারবেন।
তাদের ওয়েবসাইটের কন্ট্রিবিউটর পাতায় গিয়ে ‘জয়েন নাউ’তে ক্লিক করে খুব সহজেই খুলে নেওয়া যাবে একটি অ্যাডোবি আইডি। নিবন্ধনের সময় অন্যান্য তথ্যগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্স ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখানে বাংলাদেশিরা ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মের মাধ্যমে ট্যাক্স তথ্যাদি জমা দিবেন।
সাইন-আপ প্রক্রিয়া শেষ করার পর পরই আপলোড করা যাবে নিজের তোলা সেরা ছবিগুলো। অবশ্য ছবিগুলো কোনও স্বীকৃত ব্যক্তি বা অন্য কারও ব্যক্তিগত সম্পদের হলে, সেগুলোতে যে তার স্বত্ব আছে- এই মর্মে তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
এই সাইট প্রতিটি স্টক ছবির জন্য ৩৩ শতাংশ রয়্যালটি দেয়। সাধারণত কন্ট্রিবিউটররা প্রতি ছবি বাবদ কমপক্ষে শূন্য দশমিক ৩৩ (৩৬ দশমিক ২৩ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১২ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৩১৮ দশমিক ৪৬ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) পেয়ে থাকেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা হলে তারা অর্থপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
শাটারস্টক
উচ্চমানের ছবির জগতে সুপরিচিত একটি নাম শাটারস্টক। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যে কোনো ফটোগ্রাফি উৎসাহী যুক্ত হতে পারবেন এর বিশাল কম্যুনিটিতে। নিবন্ধনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে তাদের ওয়েবসাইটের সাবমিট পাতায়। এখানে নাম, ইমেল ও মেইলিং ঠিকানা দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই সাইন-আপ সম্পন্ন করা যাবে।
তারপর কয়েকটি ছবি জমা দিতে হবে। যেগুলো শাটারস্টকের নিজস্ব পর্যালোচকদের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। কন্ট্রিবিউটরকে খেয়াল রাখতে হবে, ছবির কপিরাইট যেন শুধুমাত্র তার নিজের হয়।
বাংলাদেশিদের অবশ্যই ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মে ট্যাক্সের তথ্য জমা দিতে হবে। সাইটটি পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় বাংলাদেশিরা সহজেই পেমেন্ট নিজেদের ব্যাংকে নিতে পারবেন।
শাটারস্টক থেকে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রয়্যালটি উপার্জন করা যায়। ধরা যাক, কোনো গ্রাহক ৩০টি ছবির জন্য ১১১ দশমিক ২০ মার্কিন ডলারের প্যাকেজটি কিনলেন। এখানে ১৫ শতাংশ রয়্যালটি পাওয়া কন্ট্রিবিউটররা তাদের প্রতি ছবির জন্য ৫৬ সেন্ট (৬১ দশমিক ৪৪ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) করে পাবেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা পড়লেই টাকাটা তোলার জন্য তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
দারাজ এর ‘৯-এর উল্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু
‘এইটা, ঐটা, যেইটা লাগে, সবই কিনুন দারাজ-এ’ স্লোগান নিয়ে আজ থেকে শুরু হল দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ এর ৯ম বর্ষপূর্তি ক্যাম্পেইন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মানুষের কেনাকাটার উল্লাসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে এই ক্যাম্পেইনটি চলবে চলতি মাসের ১২-২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ফ্যাশন, বিউটি, মার্ট, মল, হোম এন্ড লিভিং, লাইফস্টাইল, নিত্য ব্যবহার্য পণ্যসহ দারাজের বিস্তৃত ক্যাটাগরি নিয়ে এই আয়োজনটি করা হয়েছে ক্রেতাদের জীবনযাপনের উপযোগী সকল পণ্য সামগ্রী নিয়ে; যা তাদের দিবে কেনাকাটায় এক ভিন্ন মাত্রা।
আরও পড়ুন: ৯-এর উল্লাসে দারাজ বাংলাদেশ
বর্ষপূর্তির এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের জন্য থাকছে ৭০% পর্যন্ত ছাড় (নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে), হট ডিলস, ফ্রি ডেলিভারি (নির্ধারিত ক্ষেত্রে), ফ্ল্যাশ সেল, অগণিত নতুন ব্র্যান্ড লঞ্চ, এভরিডে লো প্রাইস, আর্লি বার্ড ভাউচার, মিস্ট্রি বক্স, অভাবনীয় ভাউচারসহ আরও অফার।
ক্যাম্পেইনটির সহযোগী স্পন্সর হিসেবে আছে- ইউনিলিভার, রেকিট, নেসলে, নিভিয়া, বাটা, লোটো, ফারনিকম, ইনফিনিক্স বিডি, ওরাইমো, ও স্পোর্টসহাউস।
আর পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে- বিকাশ, নগদ, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ইবিএল যিপ, এইচএসবিসি, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, এন সি সি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ব্রাক ব্যাংক।
আরও পড়ুন: কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উদ্বুদ্ধ করতে দারাজের “ইনফ্লুয়েন্সার কানেক্ট” সিজন ১ আয়োজন
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারেরে উদ্যোগ সত্ত্বেও চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আর আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ী- গত দুই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় মূল্যস্ফীতি আগস্টে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্টে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুলাইয়ে তা ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তবে জুলাই মাসে সামগ্রিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ হলেও আগস্টে তা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ ছাড়াও গ্রামীণ অঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ মানে- একজন ব্যক্তি যিনি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ১০০ টাকায় পণ্য ও পরিষেবা কিনতেন। যা চলতি বছরের আগস্টে একই পণ্য কিনতে খরচ হয়েছে ১০৯ দশমিক ৯২ টাকা।
বিশ্লেষকরা বলেন, এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ টাকা। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি একটি করের মতো যা ধনী-গরিব সবার কাছেই সমান বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি আগস্টে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের নিচে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ এক্সিভিশন-২০২৩ এর পর্দা উঠল
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে এক বিশেষ বাণিজ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চায়না এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সহযোগিতায় বাংলাদেশে চীনের দূতাবাস এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।
তিন দিনের প্রিমিয়াম প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ১৫টি চীনা কোম্পানি, যাদের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সদর দপ্তর বাংলাদেশে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের বাজারে কাজ করছে এমন প্রায় ২০টি অন্যান্য বড় চীনা কোম্পানি এবং বেশ কয়েকটি বড় বাংলাদেশি কোম্পানি ও ব্যাংকও এতে অংশ নিচ্ছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন সিইএবি-এর প্রেসিডেন্ট কে চাংলিয়াং।
এ ছাড়াও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এএইচএম আহসান, অতিরিক্ত সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) উইং চিফ মো. আনোয়ার হোসেন, অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাইয়ের (এবিসিএ) চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ এবং বিসিসিআইয়ের সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তোজা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য চায় চীন
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ইয়ান হুয়ালং।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ, যেটি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এ যোগদান করে। বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে যাতে বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা যায়। এ ছাড়া চীন ও বাংলাদেশি কোম্পানির সহযোগিতার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার আসন্ন ৭৪তম বার্ষিকীতে একটি উপহার উপস্থাপন করা।’
ভবিষ্যতে ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়বে: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেছেন, আগামী দিনে ব্যাংক সুদের হার বাড়বে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলন কক্ষে এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সালমান বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসায়ীরা ভীত নন।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও এমন স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
এফবিসিসিআই নেতারা দেশের বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ এবং রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিভিন্ন হয়রানির কথা তুলে ধরেন। জবাবে সালমান সংকট সমাধানে এফবিসিসিআইকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজ ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করা। ব্যবসায়ীদের মুনাফা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব নয়।’
সালমান বলেন, ব্যবসায়ীদের নানা অভিযোগের কারণে সরকার দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। কিন্তু এখন আমানতের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না।
বর্ধিত সুদের হারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সালমান বলেন, কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ে সরকারের চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের দাবি সত্ত্বেও কর কমানো হলেও ইচ্ছা অনুযায়ী রাজস্ব বাড়েনি।
দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত কর প্রদানেরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মার্কিন-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজির একটি কার্গো আমদানি করবে। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৩ দশমিক ৭৭ ডলারে মোট ৫৯৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
এ ছাড়া, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সমন্বিত একটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৪ দশমিক ৯০ টাকা করে মোট ৬৭৪ দশমিক ৩৫ কোটি টাকায় আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
সিসিজিপি সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মরক্কোর ওসিপি থেকে ১২৯ দশমিক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন (এমটি) এসপি সার আমদানি করবে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মাদেন থেকে ২৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
সিসিজিপি (১) দোহওয়া, কোরিয়া (২) এসএমইসি ইন্টারন্যঅশনাল প্রাইভেট লিমিটেড অস্ট্রেলিয়া; (৩) প্যান আরব কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, কুয়েত; (৪) এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং (৫) এসিই কনসাল্ট-এর যৌথ উদ্যোগে ৭২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বরিশাল (দিনারেরপুল)-লক্ষীপাশা-দুমকি রোডের পাণ্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
মিয়ানমারের মার্কিন-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে এ দুটি ব্যাংকের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এই দুটি ব্যাংক হলো- মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ আবেদন জমা বাংলাদেশ ব্যাংকে: মুখপাত্র
২১ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল-ওএফএসি) একটি প্রজ্ঞাপনে মিয়ানমারের এই দুটি ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার এই ব্যাংকগুলোকে বিদেশ থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই দুই ব্যাংকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবসায়িক হিসাব রয়েছে।
গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সোনালী ব্যাংকে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে একটি চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে, মিয়ানমারের দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরপর সোনালী ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে।
পরে, মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর ওএফএসি নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০ আগস্ট সব ব্যাংককে একটি চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে এই ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার এবং সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আপডেট তথ্য সংগ্রহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের এসব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে কোনো ব্যাংক যাতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়ে সেজন্য লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
ক্রমবর্ধমান সুদের হার, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, মুদ্রাস্ফীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাণিজ্য অর্থায়ন সরবরাহের জন্য ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বৈশ্বিক বাণিজ্য আর্থিক ব্যবধান দুই বছর আগে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২ সালে রেকর্ড ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
মঙ্গলবার(৫ সেপ্টেম্বর) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রকাশিত ট্রেড ফাইন্যান্স গ্যাপস-২০২৩ এবং গ্রোথ অ্যান্ড জবস সার্ভেতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাণিজ্য আর্থিক ব্যবধান হলো আমদানি এবং রপ্তানি সমর্থন করার জন্য অর্থায়নের জন্য অনুরোধ এবং অনুমোদনের মধ্যে পার্থক্য।
এতে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারির পর শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয় ২০২১ ও ২০২২ সালে বৈশ্বিক পণ্য রপ্তানি যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষ জনশক্তি গড়তে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
জরিপে অনুযায়ী, এই দ্রুত পুনরুদ্ধারের ফলে ট্রেড ফাইন্যান্সের চাহিদা বেড়েছে, তবে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ঝুঁকি অর্থায়নকে আগের চেয়ে সুরক্ষিত করে আরও কঠিন করে তুলেছে।
এডিবি'র প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবুরি বলেন, 'বৈশ্বিক বাণিজ্য অর্থায়নের ব্যবধান এখন ২ ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে উন্নীত হয়েছে। এই ক্রমবর্ধমান ব্যবধান কর্মসংস্থান এবং প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রদানের জন্য বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে দমন করে।’
এই জরিপটি ট্রেড ফিনান্স হেলথের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যারোমিটার। এতে প্রায় ৫০টি দেশের ১৩৭টি ব্যাংক ও ১৮৫টি কোম্পানির তথ্য রয়েছে।
উত্তরদাতারা বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং আর্থিক বাজারের অনিশ্চয়তার কারণে তারা ২০২২ সালে ক্রমাগত সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিক্রিয়াশীল ব্যাংক জানিয়েছে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে তাদের বাণিজ্য আর্থিক পোর্টফোলিওগুলোকেও প্রভাবিত করেছে।
প্রথমবারের মতো, ২০২৩ সালের বাণিজ্য ব্যবধান জরিপটি প্রাসঙ্গিক সরবরাহ শৃঙ্খল এবং বাণিজ্য আর্থিক ব্যবধানের উপর তাদের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি পরিবেশগত, সামাজিক এবং শাসন (ইএসজি) ইস্যুগুলোতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ ব্যাংক ও কোম্পানি বিশ্বাস করে যে ইএসজি অ্যালাইনমেন্ট সম্ভাব্যভাবে বাণিজ্য অর্থায়নের ব্যবধান হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে।
জরিপে অংশ নেওয়া সংস্থাগুলোর উদ্ধৃত শীর্ষ সরবরাহ চেইন চ্যালেঞ্জটি ছিল অপর্যাপ্ত অর্থায়ন। তারা পর্যাপ্ত অর্থায়ন, নির্ভরযোগ্য সরবরাহ এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারকে স্থিতিশীল সরবরাহ শৃঙ্খলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ প্রকল্পে ৪৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এডিবি