%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
লাখ টাকা ছাড়াল স্বর্ণের ভরি
সর্বশেষ দাম বৃদ্ধির পর অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ এক হাজার ২৪৪ টাকায় পৌঁছেছে। যা এ যাবৎকালে স্বর্ণের সর্বোচ্চ মূল্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি বিক্রি হবে ১ লাখ ১ হাজার ২৪৪ টাকায়।
বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: যশোর সীমান্তে ৪৩টি স্বর্ণের বারসহ ২ জন আটক
স্বর্ণের নতুন দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ লাখ ৭৭৭ টাকা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে অম্লীয় স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি।
নতুন দাম অনুযায়ী, সেরা মানের বা ২২ ক্যারেট (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হবে ১ লাখ ১ হাজার ২৪৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের নিখাদ স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ৬৩৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮২ হাজার ৮১৪ টাকা এবং প্রচলিত স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৫১ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা
তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেট রূপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৫০ টাকা।
গত ১৭ আগস্ট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই দাম অনুযায়ী আজ পর্যন্ত ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি ৯৯ হাজার ২৭ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৫৯৫ টাকায়, ১৮ ক্যারেট বিক্রি হচ্ছে ৮১ হাজার ৫৯৫ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৬৭ হাজার ৫৩৫ টাকায়।
আরও পড়ুন: র্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় ভারতসহ ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীন থেকে ২৪০০ টন, মিশর থেকে ৩৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১৮২০ টন, কাতার ১১০০ টন, তুরস্ক ২১১০ টন, মিয়ানমার ২০০টন, থাইল্যান্ড ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস ৪টন এবং ইউএই থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের বিপরীতে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০ আগস্ট থেকে পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের পর দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
তা ছাড়া শুল্ক আরোপের পর সারাদেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
যাত্রা শুরু করল নতুন স্টার্টআপ ‘এক্সচেঞ্জকরি’
পুরোনো ল্যাপটপ কম্পিউটার ক্রয়, বিক্রয় এবং বিনিময়ের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে সিস্টেমআই টেকনোলজিস লিমিটেড একটি নতুন স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জকরি উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন তৈরি রি-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে ওয়ারেন্টিসহ যে কেউ ব্যবহৃত ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার নিতে পারবেন।
কেউ যদি পুরোনো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ বিনিময় বা বিক্রি করতে চান তবে তারা পুরোনো ডিভাইসের একটি ছবি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করতে পারেন। এরপর পণ্যের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর দাম নির্ধারণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ৪.৫৯ বিলিয়ন ডলার
পরে, আগ্রহী গ্রাহক প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত মূল্য যোগ করে পণ্যটি বিক্রি করতে বা একটি নতুন পণ্য কিনতে পারবেন।
সাধারণত একজন গ্রাহক নতুন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার সময় সর্বোচ্চ তিন বছরের ওয়ারেন্টি পান। ওয়ারেন্টির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, এক্সচেঞ্জকরি প্ল্যাটফর্মটি কম খরচে আপগ্রেড বা পরিষেবা সরবরাহ করে।
এক্সচেঞ্জকরি প্লাটফর্মের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট পর্যায়ে বাংলাদেশে ৮০ লাখের বেশি পুরাতন ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বছরে এক লাখ কেজি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এতে গ্রাহক পর্যায়ে কম্পিউটার কেনার খরচ কমবে, পরিবেশ সবুজ হবে এবং এর ফলে বাংলাদেশ চক্রাকার অর্থনীতিতে প্রবেশ করবে।
এই ডিভাইসগুলোকে সচল এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রাখতে প্ল্যাটফর্মটি কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এক্সচেঞ্জকরি আউটলেট-ভিত্তিক অপারেশন ছাড়াও হোম পরিষেবা সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: ব্যাপক বিক্রির চাপের মধ্যে শেয়ারবাজারে টানা ৪ দিন দরপতন
ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
গত শনিবার থেকে হঠাৎ করেই ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন করে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করে। এরফলে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। পরে নতুন শুল্ক দেওয়া হলে আমদানি শুরু হয়।
তবে ভারতের এই নতুন শুল্ক আরোপের কারণে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটা কমে গেছে। গত রবিবার বন্দরের মোকামে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় পাইকারী বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার আমদানি করা পেঁয়াজের দর এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত শনিবার ভারতের এই সিদ্ধান্তের খবরে বন্দরের মোকামে ও খুচরা বাজারে অন্তত কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে শুল্কমুক্তভাবে দেশে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এতদিন ভারত সরকারকে কোনো শুল্ক দিতে হয়নি। এখন পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। ফলে প্রতি কেজিতে ১০ টাকার উপরে বাড়তি খরচ হবে। যার ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে বাংলাদেশি টাকায় ৫০ থেকে ৫৬ টাকা পড়বে। এ কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরও বেশি হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
তিনি আরও জানান, আমদানি করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্তের জন্য আমরা আজ সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করিনি।
যেহেতু আগের এলসির পেঁয়াজ সীমান্তের ওপারে এসে আটকে ছিল। তাই ভারতের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন শুল্ক দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে। না হলে প্রচন্ড গরমে পেঁয়াজ নষ্ট হতে পারে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, এটা আমাদের জন্য সতর্ক বার্তা। এখন থেকে সরকারকে ভারতের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে হবে। সামনে আরও দাম বাড়বে। ভারত বরাবরই আমাদের সঙ্গে বাণিজ্যের নিয়ম ভঙ্গ করে।
তারা সবকিছুই হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা চাই ভারত সরকার এই শুল্ক প্রত্যাহার করে পেঁয়াজ রপ্তানি স্বাভাবিক রাখবে।
ভারতের হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানিকারক অরিন্দম জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছিল। যার ফলে শনিবার পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
যা গতকাল রবিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
কারণ দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক গরম থাকার কারণে পেঁয়াজের মান নষ্ট হওয়ায় ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ফলে সরকার রপ্তানিতে শুল্ক বসিয়ে অভ্যন্তরীণ মজুদ স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, গতকাল রবিবার ভারতীয় ৭টি ট্রাকে দুইশত এগার মেট্রিকটন এবং গতকাল সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সতেরটি ট্রাকে চারশত মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আগের চেয়ে এখন কম আমদানি হচ্ছে।
এদিকে শনিবার ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি অমরিতা টিটুস -এর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারতে অস্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রচন্ড গরমের কারণে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সোমবার ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে এবং আমদানি করা হাইব্রিড পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়েছে।
এ প্রতিবেদক সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার মগবাজার, মালিবাগ, ফকিরাপুল, হাতিরপুল, রামপুরা, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তারা মানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি দেশি জাতের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায় কিনেছেন।
নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বুলবুল সোমবার বিকালে কারওয়ান বাজার থেকে ৯৫ টাকায় ১ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন।
আরও পড়ুন: ৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
পরীবাগের বাসিন্দা মঞ্জুর আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, এদিন ২ কেজি পেঁয়াজ নিতে তাকে ২১০ টাকা দিতে হয়েছে।
রামপুরা এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া খাতুনও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, সোমবার ১ কেজি পেঁয়াজ ৯৮ টাকায় কিনেছেন।
সোমবার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়, যার দাম শনিবার ছিল মাত্র ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা।
এ ছাড়া ১৯ আগস্ট ভারত তার নিজস্ব স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সোমবার বলেছেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি শুল্ক বাড়ানো খুবই দুঃখজনক।
ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পেঁয়াজের বিকল্প বাজার খুঁজবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
পেঁয়াজ ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতো ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায়। শুল্ক আরোপের পর এখন এই খরচ দাঁড়াবে প্রতি কেজি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা এখনো বেশি দামে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেননি। কিন্তু শুল্ক আরোপের খবর শুনে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয় তারা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ভারতের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা উচ্চমূল্যের পণ্য দেশে আসার আগেই অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের স্বভাব।’
আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দাম কমলেও পণ্য এখনো আসেনি এমন যুক্তি দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম কমাতে চান না বলেও জানান হোসেন।
আরও পড়ুন: ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগের উপসচিব অমরিতা টিটুস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই কথা জানানো হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারকে কোনো শুল্ক দিতে হয়নি। এখন থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানি করতে হবে। ফলে প্রতি কেজিতে ১০ টাকার উপরে বাড়তি খরচ হবে। এর ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা পড়বে।
আমদানিকারকরা আরও জানান, শনিবারও ভারত থেকে ৩৯ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সামনে ভারতে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে। তাই আমাদের সরকারকে ভারতের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
অপরদিকে রবিবার সকাল থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এক দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৩৯ থেকে ৪৭ টাকায়।
রবিবার (২০আগস্ট) ভারতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ কারণে নতুন আরোপিত শুল্ক পরিশোধ না করা পর্যন্ত পেয়াজ আমদানি সম্ভব হবে না বলেও জানান আমদানিকারকরা।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছিল। যা শনিবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং রবিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
তারা আরও জানান, আগামী ১ মাসের মধ্যে ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক গরম থাকার কারণে পেঁয়াজের মান নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
ফলে সরকার রপ্তানিতে শুল্ক বসিয়ে অভ্যন্তরীণ মজুদ স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বলেও জানান রপ্তানিকারকরা।
আরও পড়ুন: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
গত সপ্তাহের তুলনায় দেশের বাজারে শাক-সবজি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনো অনেক বেশি বলে ক্রেতাদের অসন্তোষ কমেনি।
তারা জানান, কয়েক সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ক্রমান্বয়ে ১৬৫ টাকা হয়েছে। তবে এখন ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, কাঁচা মরিচ ও অন্যান্য মসলার দামেরও একই অবস্থা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আলাউদ্দিন দেওয়ান নামে এক সরকারি কর্মচারী ইউএনবিকে বলেন, দাম বেশি হওয়ায় তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ধেক কিনছেন।
স্বল্প বেতন পাওয়া মানুষকে পরিবারের খরচ মেটাতে লড়াই করতে হচ্ছে। তাই তাকে ডিম, মাছ, মাংস ও অন্য বেশি দামের জিনিস কেনা কমাতে হচ্ছে।
শুক্রবার বাজার করতে গিয়ে একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বেসরকারি কোম্পানির নির্বাহী আলমগীর হোসেনের।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, বাবা-মায়ের ওষুধের খরচ, বাড়ি ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল আগের থেকে বেড়ে যাওয়ায় নিয়মিত খরচের তালিকা থেকে অনেক আইটেম বাদ দিতে হয়েছে। কারণ আমার আয় একই আছে।’
দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে শুক্রবার সবজির দাম কিছুটা কমেছে। যদিও সবজি ও মাছের দাম বাজারের গুণগত মান ও এলাকাভেদে ভিন্ন।
কারওয়ান বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাজার অব্যবস্থাপনা
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
শুধুমাত্র বিনোদন প্রদানের ভনিতায় আবির্ভূত ইউটিউব নামটি এখন দিনযাপনের অর্থ। তাই একে ঘিরে মৌলিক চাহিদার কথা চিন্তা করাটা যুগের সহজাত ধারণা। মুঠো ভরা তথ্যের ওপর সামাজিক মাপকাঠির নির্ভরশীলতা তথ্যকে পরিণত করেছে পণ্যে। আর এরই নিরীখেই শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে প্রজন্মের সেরা ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব কেন্দ্রিক পেশাগুলো। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ভিডিও, আর তার প্রধান কাঁচামালের যোগান দেয় স্ক্রিপ্ট রাইটাররা। তাই ইউটিউব ভিডিওর স্ক্রিপ্ট রাইটিং এবং এর প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, এই সৃজনশীল পেশার নানা দিক সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্ক্রিপ্ট রাইটিং কী
স্ক্রিপ্ট রাইটিং বা পান্ডুলিপি লিখন হলো ভিডিওর মাধ্যমে দেখানোর জন্য নির্ধারিত তথ্যগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে লেখা। প্রতিটি দৃশ্যে ক্রমান্বয়ে যা যা দেখানো, শোনানো এবং বোঝানো হবে, তার সামগ্রিক লিখিত রূপ হচ্ছে স্ক্রিপ্ট।
পাঠ্য, স্থির চিত্র, ও চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় কন্টেন্টের সংমিশ্রণ স্পষ্টভাবে লেখা হয় এতে। মুলত ছকে বাঁধা লেখাগুলো অনুসরণ করেই চূড়ান্ত ভাবে নির্মাণ করা হয় কন্টেন্ট।
এর আরেক নাম চিত্রনাট্য বা স্ক্রিনরাইটিং, যেটা সাধারণত মুভি বা মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এর পরিধি টিভি নাটক, গেমস, তথ্যচিত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এমনকি রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও লেখা হয়ে থাকে পান্ডুলিপি।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের থেকে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার
ভিডিও স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনীয়তা
প্রতিটি তথ্যের উপস্থিতি
একটি পূর্ণাঙ্গ স্ক্রিপ্ট আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলোকে সুসংগঠিত করতে পারে। এতে করে পূর্ব পরিকল্পিত ও প্রাসঙ্গিক কোনও তথ্য বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
গুছিয়ে কথা বলা
আগে থেকে একটি স্ক্রিপ্ট ভালভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে সেটার ওপর সময় নিয়ে কথা বলার চর্চা করা যায়। এভাবে চূড়ান্ত ভিডিওর সময় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কথা বলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে কন্টেন্টের গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি কথা বলা রেকর্ডিং-এও সময় কম প্রয়োজন হয়।
সময়ের হিসাব
একটি নিক্ষুত স্ক্রিপ্টে প্রতিটি দৃশ্যে নির্ধারিত কথাগুলো বলার জন্য সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। প্রতিটি দৃশ্য আলাদা করে রেকর্ড করার সময় পুনঃ পুনঃ অনুশীলনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়টি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে করে পুরো কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের বেলায়ও সময়ের হেরফের হয় না।
ধারাবাহিকতা বজায়
যে কোন কন্টেন্টের ক্ষেত্রেই একটি সুস্পষ্ট কাঠামো তার গুণগত মান বৃদ্ধির পরিচায়ক। ভিডিওর ক্ষেত্রেও এর স্ক্রিপ্ট বিভিন্ন ফুটেজ, শব্দ, স্থিরচিত্র, ও স্পেশাল ইফেক্ট সহ প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
ইউটিউব ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে ইউটিউব। নাটক-সিনেমার মানের জন্যও এখন গুরুত্ব দেয়া হয় লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারকে, যেগুলো মুলত এই প্ল্যাটফর্মের প্যারামিটার।
নেটিজেনদের উদ্দেশ্য করে এখন মুক্তি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের কন্টেন্ট। তাই সঙ্গত কারণেই এগুলোর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটারদের চাহিদা বাড়ছে। শুধুমাত্র ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম নির্ভর লেখালেখিই পরিণত হয়েছে স্বতন্ত্র এক পেশায়।
নিউজ ও পাবলিশিং কোম্পানি, তথ্যচিত্র নির্মাতা, ব্লগার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য তৈরি করছে ইউটিউব চ্যানেল। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে পান্ডুলিপি লেখকদের চাহিদা।
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
সৃজনশীলতা
সৃজনশীলতা হলো সম্পূর্ণ অভিনব ধারণার অবতারণা করা। অন্যান্য চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক চ্যানেল মালিকের নতুন নতুন কন্টেন্ট বানানোর প্রবণতা থাকে। আর তখনি তাদের সরণাপন্ন হতে হয় পান্ডুলিপি লেখকদের। নতুন ধারণা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট রাইটারদের খেয়াল রাখতে হবে যে, বিষয়বস্তু দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে কিনা। প্রকৃতপক্ষে, এই চিত্তাকর্ষণের জায়গাতেও তাদেরকে সৃজনশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
গবেষণা ও বিশ্লেষণ
তথ্য হচ্ছে স্ক্রিপ্টের মুল জীবনী শক্তি। তাই লেখকদের সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণী ক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজে বের করা, অতঃপর সেই তথ্যের পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ যাচাইও এই দক্ষতার অন্তর্ভূক্ত।
গল্প বলা
এটি এমন এক দক্ষতা যা প্রতিটি লেখকেরই থাকা আবশ্যক। লেখা পড়েই যদি কোন পাঠকের গল্প শোনার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তাহলেই কন্টেন্ট সফল হওয়ার অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। বাকিটুকু থাকে কারিগরির জায়গাতে। জটিল রকেট সায়েন্স থেকে শুরু করে বিপণন বিজ্ঞাপন সবকিছুই চিত্তাকর্ষক করে তোলা যায় সুনিপুণ গল্প বলার মাধ্যমে।
সংলাপ তৈরি
পান্ডুলিপি মানেই সংলাপ আকারে পুরো ধারা বর্ণনা করা। ইউটিউবের শর্ট ফিল্ম থেকে শুরু করে মনোলগ পর্যন্ত সবকিছু হবে কথোপোকথন আকারে। এটি স্ক্রিপ্ট রাইটারদের মূল হাতিয়ার, কারণ এর মাধ্যমে একটি দৃশ্য কতটুকু প্রাণবন্ত তা ফুটে উঠে।
প্রুফরিডিং ও রিরাইটিং
যে কোন লেখা শেষ হওয়ার পর প্রতিটি লেখকের উচিত তা কয়েকবার পড়ে দেখা। এ সময় ব্যাকরণজনিত নানা ছোট খাটো ভুল ধরা পড়ে। অনেক কষ্ট করে একটি পান্ডুলিপি শেষ করার পরেও ক্লায়েন্টের কাছে তা নির্ভুলভাবে পরিবেশন না করা গেলে সব কষ্টই বৃথা। অনেক ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নতুন শর্ত জুড়ে দিলে সামগ্রিক লেখায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবর্তন আনতে হয়। তাই লেখককে রিরাইটিং-এ দক্ষ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
ধৈর্যশক্তি
যে মাধ্যমের জন্যই হোক না কেন; পুরো একটি পান্ডুলিপি শেষ করা বেশ ধৈর্য্যের কাজ। প্রথমত সৃজনশীল এই কাজে জোর-জবরদস্তির কোনও সুযোগ নেই। এরপর শেষ করার পর পুনরায় তার মান যাচাই করাতেও যথেষ্ট অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। তাই লেখার কাজে ধৈর্য্যশীলতার কোনও বিকল্প নেই।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুল্ক অব্যাহতি বেড়েছে ১৭.৬৪ শতাংশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের দাম কমার কারণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যবসাগুলো ৬১ হাজার ৩২ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠনের নেতারা বলছেন, কিন্তু, যেসব ক্ষেত্রে শুল্ক অব্যাহতি রয়েছে ব্যবসায়ীরা প্রকৃতপক্ষে তাদের পণ্য অভ্যন্তরীণ বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন এবং মোটা অঙ্কের মুনাফা করেন।
এনবিআর প্রজ্ঞাপন ও বিশেষ বিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশের (এসআরও) মাধ্যমে আমদানি শুল্কে এ অব্যাহতি দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, শুল্ক অব্যাহতি পেলেও ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমায়নি।
তিনি এটিকে সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসার সিন্ডিকেশন বলে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: বাজেটে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণের জন্য বিদ্যমান শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
শুল্ক অব্যাহতি অর্থবছর ২২-এর তুলনায় অর্থবছর ২৩-এ ৯ হাজার ১৫২ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। ওই বছর শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয় ৫১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
অংশীজনরা মনে করেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয় ব্যবসার সুরক্ষার জন্য অব্যাহতি বৃদ্ধি বাজারে বড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।
মূলধনী সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতির একটি বড় অংশ দেওয়া হয়েছে। এ খাতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এরপর ডিফেন্স স্টোরের জন্য ৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা অব্যাহতি পান ব্যবসায়ীরা।
২০২৩ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। আর অর্থবছর শেষে কর আদায় হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করলে এবং অব্যাহতি না দিলে এনবিআর ১৮ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ঘাটতির সম্মুখীন হতো।
আরও পড়ুন: শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
২০২৩ অর্থবছরে মূলধনী সরঞ্জাম আমদানিতে ৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা ৩ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, কাঁচামাল আমদানিকারকরা ১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, মোবাইল প্রস্তুতকারক ২ হাজার ২৪১ কোটি টাকা এবং ডিফেন্স স্টোর ৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে।
এ ছাড়া পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ৮২৭ কোটি টাকা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা, বিভিন্ন খাতে ৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা (বিশেষ), ত্রাণ পণ্যে ৪০৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন সময়ে ৫ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা শুল্ক রেয়াত হিসেবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে শুল্ক অব্যাহতির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। এ খাতে ২০২২ অর্থবছরে অব্যাহতির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ৩১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তামাবিলসহ তিন শুল্কস্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ
এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহবুবুল আলম।
সোমবার (১৪ আগস্ট) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বাধীন নতুন পরিচালনা পর্ষদের (২০২৩-২৫) কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ২০২১-২৩ এর পরিচালনা পর্ষদ।
নতুন পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। আজ থেকে আমরা সবাই এক। আমাদের কথা এবং দাবিও হবে এক। দিন শেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ব্যবসায়ী। বেসরকারি খাতের সুরক্ষা এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
মাহবুবুল বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। বিশেষ করে জেনারেল বডি মেম্বার ছাড়া চলতে পারে না এফবিসিসিআিই। তাই এফবিসিসিআইকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাই। পুরাণ ঢাকায় একটা লেয়াজু অফিস প্রস্তুত করাসহ রাজধানী ঢাকায় একটি ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার করতে চাই, যা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করেছি আমরা।
গুলশানে এফবিসিসিআই এর শাখা অফিস খুব শিগগিরেই চালু করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এফবিসিসিআই এর বিদায়ী সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শুরুতেই আমি নতুন বোর্ডকে স্বাগত জানাই। আপনারা আগামীর বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি ব্যবসায়ীকে নেতৃত্ব দেবেন।
২০২৩-২৫ এর পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ছয়জন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৮৩ সালে। গত প্রায় চার দশকে কমোডিটি ট্রেডিং থেকে শুরু করে ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা, পর্যটন সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন তিনি। বর্তমানে ৯টি খাতে ১৭টি ব্যবসা উদ্যোগ রয়েছে মাহবুবুল আলমের।
ব্যবসা-বাণিজ্যে অনবদ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ মাহবুবুল আলমকে কমার্সিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পার্সন- সিআইপি (বাণিজ্য ও শিল্প) পুরষ্কারে ভূষিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন থেকে “সার্টিফিকেট অব মেরিট” পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন: সম্মিলিত ১৫, ঐক্য প্যানেলের ৮ পরিচালক নির্বাচিত