%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩: ১০০ জন সহকারী পরিচালক নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক (এডি) পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ জন সহকারী পরিচালক নেবে। এখনও যারা আবেদন করেননি দ্রুত করুন। আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) শেষ হচ্ছে আবেদনের সময়।
বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে প্রার্থীদের যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন
স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে সহকারী পরিচালক (জেনারেল) পদে আবেদন করা যাবে।
এসএসসি ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর কমপক্ষে দুটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
৬ জুলাই বা এর আগে যাদের স্নাতকোত্তর বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বা হবে, তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পিএসসির নন-ক্যাডারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: ২৯৫৩ শূন্য পদে চাকরি
বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদনের বয়সসীমা
আবেদনকারীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক পদের বেতন স্কেল
নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা স্কেলে বেতন এবং ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ প্রক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে এই লিংকে প্রবেশ করুন।
আরও পড়ুন: ৪৮টি পদে ঢাকা কাস্টম হাউজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬৯ পদে বেসামরিক লোকবল নিয়োগ দেবে
ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ক্রমবর্ধমান মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে, কৃষি মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত মোট ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
রবিবার (২ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
এদিকে ইউএনবি সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর রবিবার (২ জুলাই) থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধির মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে এসেছে ছয় ট্রাকভর্তি ৬০ টন কাঁচা মরিচ। রবিবার প্রথম পণ্যবোঝাই ট্রাক-লরিগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ছুটি শেষে সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন কাঁচা মরিচবোঝাই ছয়টি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ট্রাকপ্রতি ১০ টন করে মোট ৬০টন কাঁচা মরিচ রয়েছে। আজ সন্ধ্যায় আরও কিছু কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকসুদ খান বলেন, ঈদুল আজহার কারণে গত মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পাঁচদিন ছুটি ছিল ভোমরা স্থল বন্দরে। রবিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রবিবার মোট কাঁচা মরিচবাহী ছয়টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। সন্ধ্যায় আরও কিছু কাঁচা মরিচ বন্দরে প্রবেশ করতে পারে।
কাঁচা মরিচের আমদানির ফলে স্থানীয় বাজারসহ দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমবে বলে তার আশা।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ইফতেখার উদ্দীন বলেন, রবিবার সকাল থেকে কয়েকটি কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশ করেছে। ধীরে ধীরে আরও করবে। একটু সময় লাগবে।
সাতক্ষীরা কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, সাতক্ষীরার বাজারে কাঁচা মরিচ ৪শ’ থেকে ৪৫০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
তিনি বলেন, আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। তাদেও ক্রয় ক্ষমতার বাইওে চলে গেছে।
রবিবার দুপুরে ভোমরা দিয়ে কিছু কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশের পর ইতোমধ্যে দাম কমতে শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ১ জুলাই (শনিবার) পর্যন্ত টানা ৫ দিন ঈদের ছুটিতে বন্দরের সবধরনের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিলো। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
অন্যদিকে ইউএনবি’র বেনাপোল সংবাদদাতা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রবিবার ভারত থেকে ৩৪ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে। ৫টি ট্রাকে করে ভারতীয় এসব কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে।
এদিকে বেনাপোলের মেসার্স উষা ট্রেডিং, এন এস এন্টারপ্রাইজ ও এস এম করপোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছে।
শুধুমাত্র এসব অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স উষা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ২৫ জুন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (খামারবাড়ী) কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য আইপি প্রদান করে।
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, দেশের বাজারে ঈদের আগে থেকে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়ায় আজ থেকে আমদানি শুরু হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ শূন্য দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করে খালাশ করছে।
তিনি বলেন, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজির মূল্য ৩২ দশমিক ২০ টাকা পড়ে। মোট শুল্ক হার ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, কাঁচা মরিচ বন্দর থেকে দ্রুত খালাস দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে প্রতিকেজি মরিচ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার পর, সরকার ভারত থেকে কাচামরিচ আমদানির অনুমতি প্রদান করে।
আরও পড়ুন: দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১১৩৭ টন মালামাল মোংলায় পৌঁছেছে
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ১৩৭ দশমিক ৪৪৯ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমভি লিবার্টি হারভেস্ট। রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে জাহাজটি।
এর আগে গত ৩ মে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে জাহাজটি।
জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এইচএসআর ওসান ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক বিপ্লব খান বলেন, জাহাজটিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ১৩৭ দশমিক ৪৪৯ মেট্রিক টন মেশিনারি রয়েছে। জাহাজ থেকে এ সব পণ্য খালাস করে জেটির সেডে রাখা হচ্ছে।
খালাস শেষে এসব মেশিনারিজ সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২৯ মে রাশিয়া থেকে সরাসরি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছিল এমভি আনকা স্কাই।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
তারও আগে গত ৬ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরে এসেছিল বিদেশি জাহাজ এমভি আনকা সান।
এছাড়া ২৫ এপ্রিল রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি ইয়ামাল অরলান। আর ইয়ামাল অরলানের আগে এসেছিল এমভি ড্রাগনবল ও এমভি কামিল্লা।
সাম্প্রতিককালে সাতটি জাহাজ কোম্পানির ৬৯টি জাহাজে রূপপুরের পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে রূপপুরের পণ্য নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দরে আসছে।
আর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে ভারত ট্রানজিট হয়ে আসছে মোংলা বন্দরে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে ভারত হয়ে মোংলায় এসেছে এমভি সেজুতি
মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
খুলনায় স্থায়ীভাবে কোনো মার্কেট গড়ে না ওঠায় এবারের ঈদেও সড়কের ওপরেই চামড়া কেনা-বেচা করতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নগরীর চামড়াপট্টি খ্যাত শেখপাড়ায় সড়ক ও ফুটপাথ জুড়েই ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন চামড়া কেনা-বেচা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, মার্কেট না থাকায় চামড়া সংরক্ষণেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আপাতত ক্রয়কৃত চামড়া সড়কের পাশেই লবণ লাগিয়ে জড়ো করে রেখেছেন ব্যবসায়য়ীরা। যদিও কয়েকদিন পর সেখান থেকে চামড়াগুলো নিয়ে নগরীর জিরো পয়েন্টের গুদামে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
খুলনায় এবার ১০০, ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার গরুর চামড়া ট্যানারির নির্ধারিত মূল্য প্রতি বর্গফুট ৪৭-৪৮ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
চামড়া ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম পিয়ারু জানান, এবার তিনি ২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তার চামড়া জিরোপয়েন্টের একটি গোডাউনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে ১৫-২০ দিন রাখার পর ট্যানারীতে বিক্রি করা হবে।
অপর ব্যবসায়ী মো. আবু মুসা বলেন, তিনি এবার ৭০-৮০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
ব্যবসায়ী মো. আজিজুলও জানান, তিনি ২০০-২৫০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির ক্যাশিয়ার মো. বাবর বলেন, এবার চামড়ার দাম গত বছরের মতোই আছে। আমি ৪০০ পিস গরুর চামড়া কিনেছি। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া রয়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার সর্বোচ্চ ৬ হাজার পিস চামড়া কিনতে পেরেছেন। যার পিস প্রতি গড় মূল্য পড়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, সরকার ঘোষিত মূল্য ট্যানারি মালিকরা তাদের প্রদান করলে তারা লাভের মুখ দেখবেন। আর যদি না দেয় তাহলে তাদের লোকসান গুণতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ বলেন, এ বছর শেখপাড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তবে এর বাইরে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ সরাসরি বিভিন্ন মাদরাসা থেকে কিছু চামড়া কিনেছেন। কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট না থাকায় খুলনায় ফুটপাতে, সড়কের ওপরই চামড়া কিনতে হয়।
তিনি জানান, গেল ঈদে খুলনার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৮-১০ হাজার চামড়া কিনেছিলেন। এবার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কয়েকজন সারা বছর জবাই হওয়া গরু-ছাগলের চামড়া কিনে নগরীর জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী এলাকায় তাদের গোডাউনে নিয়ে লবণ লাগিয়ে সংরক্ষণ করেন। তবে ঈদের ৩ দিন সড়কের উপরেই সব কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ইউএস-বাংলার ঢাকা-দিল্লি ফ্লাইট শুরু
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দ্বাদশ আন্তর্জাতিক গন্তব্য ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। ঢাকা-দিল্লি রুটে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে চারদিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য দিল্লিতে প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক ভ্রমণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আকর্ষণীয় প্যাকেজ
ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশি পর্যটক, উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রহী যাত্রীরা দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীগণের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছে ইউএস-বাংলা। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দু’দেশের বন্ধনকে আরও বেশী সুদৃঢ় করবে। রাজধানী দিল্লি হবে ইউএস-বাংলার সরাসরি ভারতে পরিচালিত তৃতীয় গন্তব্য।
বর্তমানে ভারতের কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ১৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট আছে। আগামী আগষ্ট মাসের মধ্যে ইউএস-বাংলার বহরে প্রথমবারের মতো দু’টি এয়ারবাস ৩৩০ যোগ করতে যাচ্ছে। যা দিয়ে চলতি বছর ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
চেন্নাই, কলকাতা ছাড়া বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই, শারজাহ, মাস্কাট, দোহা, প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মালে, পর্যটক বান্ধব অন্যতম গন্তব্য ব্যাংকক ও চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
সম্প্রতি স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সাউথ এশিয়ার এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে ৫ম স্থান অর্জন করেছে।
আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সকল গন্তব্য বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: দক্ষিণ এশিয়ায় ইউএস-বাংলার অনন্য স্বীকৃতি
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ২ দিন ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট বন্ধ
চাহিদা বাড়ায় রাজধানীতে বেড়েছে ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঈদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা ঈদ উপলক্ষে এই পণ্যগুলোর চাহিদা এই সময়ে বেশি থাকবে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম বাজার মালিবাগে গিয়ে ইউএনবি এমন তিনটি আইটেমের দাম খুঁজে পেয়েছে - পোলাও চাল, চিনি ও সেমাই।
প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন না হলেও খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি আর প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল (চিনিগুঁড়া) বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।
একইভাবে মঙ্গলবার প্রতিকেজি খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। অথচ মাত্র দুদিন আগেও একই সেমাই বিক্রি হচ্ছিল প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। মঙ্গলবার লাচ্ছা সেমাই প্রতিকেজি ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও দুদিন আগে তা ছিল মাত্র ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা কেজির তুলনায় অনেক বেশি দাম।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে এদিন চিনির দামও ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এই বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকায়।
অনেক ভোক্তা তাদের কেনাকাটা শেষ করতে বিকালের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বাজারে এসেছিলেন। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি তাদের হতাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
আব্দুল আলিম নামে একজন ভোক্তা বলেন,‘আমি বিস্মিত হয়েছি যে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে,।’
মালিবাগ বাজারে হাজী ফারুক জেনারেল স্টোর পরিচালনাকারী ফারুক হাসান বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ফারুক আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত পোলাও চাল বিক্রি করছি, কিনতে চাইলে কিনতে পারেন। আমি কাউকে জোর করছি না। আমি এখানে লস না, লাভ করতে এসেছি।’
একই বাজারে বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার জানান, তিনি খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি এবং ভালো মানের চিনি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
এদিকে রাজধানীতে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী কক বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাজারদর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
গুঁড়ো দুধের মধ্যে ১ কেজি ডানো, ডিপ্লোমা ও ফ্রেশ মিল্ক ৮৪০ টাকা কেজি এবং মার্কস দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বন্যা: ঢাকার কাঁচাবাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
হঠাৎ করেই দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ ১০ মাস পর সোমবার (২৬ জুন) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়েকটি কাঁচা মরিচবোঝাই ভারতীয় ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
এরপর বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে তিনটি ট্রাকে করে মোট ২১ মেট্রিক টন ৬২০ কেজি ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়, বিকে ট্রেডা, প্রমি এন্টারপ্রাইজ এবং রয়েল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কাচামরিচ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ১৯’শ মেট্রিকটন কাঁচা মরিচ আমদানি করবেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান জানান, দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর ফলে গতকাল রবিবার (২৫ জুন) আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (খামারবাড়ী) আমদানি করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। এতে বাজারে দাম অনেক কমে আসবে।
বন্দরের হিলি বাজারে কাঁচামালের খুচরা ব্যবসায়ী সাকিল জানান, প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে সোমবার সকালে বিক্রি হয়েছে ১৬০-২০০ টাকা কেজিতে।
বাংলাদেশ ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ৩০৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই
বাংলাদেশ এবং ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মোট ২৭৭ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)ঋণ সুবিধা চুক্তি (সিএফএ) সই করেছে।
২২ জুন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশের জন্য এএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনোইট চ্যাসাটে সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।
ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় এএফডি, বিআরটি প্রকল্পের জন্য ৬২ মিলিয়ন ইউরো, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো এবং বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন(বিইএসটি) প্রকল্পের জন্য ৪০ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
বৃহত্তর ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি কোম্পানি কম্পোনেন্ট) নামে পরিচিত প্রথম প্রকল্পটির লক্ষ্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে (জিসিসি) একটি টেকসই নগর পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রকল্পটি একটি ২০ কিলোমিটার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) করিডোর প্রবর্তন করবে — যা সমন্বিত শহুরে গতিশীলতার জন্য একটি সামগ্রিক সমাধান প্রদানের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কাজ করছে।
দ্বিতীয় প্রকল্প হলো উত্তর কাট্টলীর জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প। এটি পোর্ট সিটির বাসিন্দাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চাহিদা পূরণ করে। এটি চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য একটি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বর্জ্যপানি পরিশোধন অবকাঠামো নির্মাণ করবে।
বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বিইএসটি) প্রকল্প নামে তৃতীয় প্রকল্পটি এএফডি এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রচেষ্টা। এর লক্ষ্য বাংলাদেশে পরিবেশগত বিধিবিধান এবং প্রয়োগ বৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি দেশের কারিগরি ও প্রশাসনিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে দূষণ রোধ এবং পরিবেশের গুণগতমান উন্নত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
এএফডি ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা বাস্তবায়নের জন্য দায়ী একটি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সংস্থা ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এএফডি’র সহায়তায় নগর উন্নয়ন এবং পানি ও স্যানিটেশন, গণপরিবহন, এবং নগর পরিষেবার মতো পরিকাঠামোগত উদ্যোগসহ বিস্তৃত উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা বিদ্যুত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোতেও অগ্রাধিকার দেয়, যার মধ্যে জ্বালানি দক্ষতা এবং নবায়ণযোগ্য বিদ্যুত, নিরাপত্তা মান এবং পরিবেশগত এবং সামাজিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্পোরেট এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রচেষ্টা।
আজ পর্যন্ত এএফডি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্পে ২ হাজার ১০১ মিলিয়ন ইউরোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট সহায়তা ঋণ প্রদান করেছে, যা দেশের উন্নয়নে তার টেকসই প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন আইএমএফ’র ডিএমডি
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর
ব্র্যাক ব্যাংককে বাণিজ্য অর্থায়ন, চাকরি সংরক্ষণে সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন ডলার দিল আইএফসি
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডকে কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগকে (এসএমই) সহায়তার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করছে।
এই বিনিয়োগটি চাকরি সংরক্ষণে অবদান রাখতে এবং ব্যাংকের এসএমই আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রাহকদের কার্যকরী মূলধন এবং বাণিজ্য অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তাকে সহযোগিতার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য আনবে।
আইএফসি বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে প্রাইম ব্যাংকের অনুরূপ ঋণের সঙ্গে এই বিনিয়োগটি বাজারে একটি ইতিবাচক সংকেত পাঠাবে এবং স্থানীয় ব্যাংক ও এসএমইগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার অর্থায়নের চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইএফসি’র ৩২.৫ মিলিয়ন ডলার
অর্থায়ন প্যাকেজটি চলমান জনস্বাস্থ্য সংকটের সময় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য আইএফসি’র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈশ্বিক কোভিড-১৯ প্রথম অগ্রাধিকার অর্থায়ন সুবিধার অংশ। এই নতুন বিনিয়োগটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সলিউশনস (ডব্লিউসিএস) প্রোগ্রামের অধীনে আসে, যা উদীয়মান-বাজারের ব্যাংকগুলোকে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করছে, তাদের সংগ্রামী সংস্থাগুলোকে সমর্থন করতে সক্ষম করে।
এই প্রকল্পটি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাইভেট সেক্টর উইন্ডো ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি দ্বারাও সমর্থিত হবে, যা আইএফসি’র ডব্লিউসিএস প্রোগ্রামে সহায়তা প্রদান করছে।
ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক এবং দেশের একমাত্র এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সেলিম আরএফ হুসেন বলেছেন, ‘আমাদের এসএমই এবং কর্পোরেট গ্রাহকরা কোভিড-১৯ এর বিঘ্নিত প্রভাব থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার অপর্যাপ্ত প্রাপ্যতা তাদের নিয়মিত ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে’।
আরও পড়ুন: খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় আইএফসি’র ৬০০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার
কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, যা ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাসহ একাধিক কারণেও প্রভাবিত হয়েছে।
আইএফসি-এর দক্ষিণ এশিয়ার পোর্টফোলিও ম্যানেজার জুন ইয়ং পার্ক বলেছেন, ‘আইএফসি বাংলাদেশের মতো রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিতে ব্যাংকিং খাতকে সহায়তা করছে, যেগুলো বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে’।
‘আইএফসি বাংলাদেশের প্রধান ব্যাংকিং অংশীদারদের অবিচল সহযোগিতা প্রদান চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে যাদের উল্লেখযোগ্য এসএমই পোর্টফোলিও রয়েছে, যেমন ব্র্যাক, যাদের সঙ্গে আইএফসি গত ১৯ বছরে ইক্যুইটি এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
আইএফসি ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে।, যার ফলে দেশের নাগরিকদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এবং কোভিড-১৯ সংকটের শুরু থেকে আইএফসি বাংলাদেশের ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সলিউশন এবং তারল্য সহায়তায় ৩৬০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের জন্য আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান বলেন, ‘মহামারির প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করার দীর্ঘ তিন বছর পর, বাংলাদেশে ব্যবসাগুলো চ্যালেঞ্জিং বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। ‘বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার প্রচেষ্টা এবং একটি স্থিতিস্থাপক মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: আইএফসি’র সঙ্গে পিপিপি’র চুক্তি স্বাক্ষর
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশন ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ বিসিকের
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকায় তিন টাকা এবং ঢাকার বাইরে পাঁচ টাকা বেড়েছে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দামে। আর খাসি (পুরুষ ছাগল) ও ছাগলের চামড়ার দাম আগের বছরের মতোই রাখা হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, কোরবানির কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে পুরুষ ছাগলের দাম ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়ারদাম রাখা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা।
গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা।
আসন্ন ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ট্যানারী মালিকরা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ট্যানারি মালিকরা ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
সর্বমোট ১২টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক আবেদনকারীদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ দেবে।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার