%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
সয়াবিন তেল: বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব নেই
এখনও আগের দামেই লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগে যে দামে কেনা হয়েছিল, মঙ্গলবার তারা সেই দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। তাই বাজারে কম দামে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রূপক সাহা ইউএনবিকে বলেন, সরবরাহ চেইনের সমস্যার কারণে কম দামে সয়াবিন তেল পেতে আগামী দুই দিন সময় লাগবে।
রিফাইনাররা মঙ্গলবার (আজ) থেকে খোলা ও বোতলজাত তেলের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও এখনও বোতলজাত তেল লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা এবং খোলা তেল লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমল
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, সয়াবিন তেলের নতুন দাম নিশ্চিত করতে তাদের মনিটরিং টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে ইতোমধ্যেই মিল গেটে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে এবং এটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরবিএমএ) সোমবার থেকে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ৮৮০ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রতিকেজি পাম তেলের দাম ১২ টাকা ও চিনির দাম ৬ টাকা কমল
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ দিল ফুডপ্যান্ডা!
ফুড প্যান্ডা প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবারদের জন্য আইফোন ১৪ প্রে জেতার সুযোগ করে দিয়েছে। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ নামে আকর্ষণীয় একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে জনপ্রিয় অনলাইন ফুড অ্যান্ড গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ পাবেন। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনটি ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। চলবে চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: উৎসবের মৌসুমে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট ভাউচারে বিশেষ ছাড়
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্যান্ডাপ্রো নামের বিশেষ এই সাবস্ক্রিপশন সেবা ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে এবং নিয়মিত ব্যবহারকারীরা উপভোগ করতে পারবেন বাড়তি সুবিধা। প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশনের ফলে গ্রাহকরা প্রত্যেক মাসে ১০টি ফ্রি ডেলিভারি, সব ধরণের পিকআপ অর্ডারে বাড়তি ৫ শতাংশ ছাড়, প্যান্ডামার্টে অর্ডারে প্রত্যেক মাসে ৩টি ভাউচার পাবেন।
এছাড়া শুধুমাত্র প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা ডাইন-ইনের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। আর সর্বশেষ ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকরা পাচ্ছেন আইফোন ১৪ প্রো জেতার আকর্ষণীয় সুযোগ।
এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাহককে প্রথমে ৪৯৯ টাকায় এক বছরের জন্য প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এ বছরের অক্টোবরের ১৬ তারিখের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি অর্ডার করতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্ডারকারী সেই সপ্তাহের জন্য বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
ক্যাম্পেইন শেষে মোট চারজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং মানিষা সাফিয়া তারেক এ ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের ফলে আমাদের সেরা গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। দৈনন্দিন প্রয়োজনে শুধু প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকদের জন্য বাড়তি অনেক সুবিধা থাকবে। আমাদের অ্যাপ ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে গ্রাহকদের জন্য প্যান্ডাপ্রো চালু করতে পারায় আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনটি দারুণ সব সুবিধা উপভোগের সুযোগের সঙ্গে একটি বড় আকর্ষণ।’
আরও পড়ুন: রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
পোশাক কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, চরম লোডশেডিংয়ের কারণে বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা আন্তর্জাতিক পোশাকের খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডের কাছে পণ্য সরবরাহ করতে সমস্যায় পড়েছেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে কারখানাগুলো এখন দিনে প্রায় ৪ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে।
আরও পড়ুন: ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে: বিজিএমইএ
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং জার্মান সংস্থা জিআইজেডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্যাক্টরি স্থাপন, লাইসেন্সিং, সার্টিফিকেশন ও রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে ওয়েব পোর্টাল চালু করা’ শীর্ষক আলোচনায় ফারুক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে কারখানাগুলো এখন দিনে প্রায় ৪ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাসের চাপ এতই কম কারখানাগুলো পূর্ণ ক্ষমতায় চলতে পারে না। ফলে ডিজেল খরচ কমেনি। বরং বেড়েছে’।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ ৫ বছর করার দাবি বিজিএমইএ’র
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জিআইজেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. মাইকেল ক্লোড অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রবির নতুন সিইও রাজীব শেঠি
রাজীব শেঠিকে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। মিয়ানমারের শীর্ষ অপারেটর উরিডুতে সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর রবিতে যোগ দিলেন তিনি। এর আগে তিনি এয়ারটেল আফ্রিকার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্বপালকারী এম. রিয়াজ রশীদের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। এখন থেকে চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে তার নিজস্ব ভূমিকা পালন করবেন রিয়াজ রশীদ।
আরও পড়ুন: ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য টাটা পাওয়ার ডিডিএল ও ব্লকনটসের মধ্যে চুক্তি
আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের যৌথ ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ সিইও ড. হানস বিজয়াসুরিয়া এবং বিবেক সুদ বলেন, ‘আজিয়াটা গ্রুপ ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে রবি পরিবারে রাজীবকে স্বাগত জানাই। ফোরজি সেবা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনের দিক থেকে বর্তমানে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে রবি এবং পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে প্রস্তুত অপারেটরটি। এমন সময় রবিতে রাজীবের মতো বলিষ্ঠ ও দক্ষ নেতৃত্ব পেয়ে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার ২৫ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে রবি। এই মুহূর্তে রাজীবের নেতৃত্ব বাংলাদেশের বাজারে রবির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে নতুন মাত্রা দেবে।’
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যবসায়িক লক্ষ্যে দৃঢ় থাকার জন্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও ও বর্তমান সিএফও এম. রিয়াজ রশীদের প্রশংসা করেন ড. বিজয়াসুরিয়া।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে রবি টিমকে সংঘবদ্ধ রাখতে দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন রিয়াজ। পাশাপাশি তিনি যে পাঁচ প্রান্তিক দায়িত্ব পালন করেছেন সেই সময়টিতে রবির ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে তার অবদান অসামান্য। কোম্পানিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানকে সঠিক অবস্থানে রেখে রাজীবের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন তিনি।’
স্টার্টআপ থেকে শুরু করে সুপ্রতিষ্ঠিত দেশি-বিদেশি কোম্পানিতে কাজের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ রাজীব শেঠি; বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
রবির সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে রাজীব শেঠি বলেন, ‘বাংলাদেশের শীর্ষ ডিজিটাল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। বছরের পর বছর ধরে উদ্ভাবনী শক্তির বদৌলতে সত্যিকার অর্থে একটি ডিজিটাল টেলকোতে রূপান্তরিত হয়েছে রবি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই উদ্ভাবনই মূল শক্তি যা রবির কাজের সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। টিম রবির সহায়তায় আগামী দিনগুলোতে আমরা বাজারে নিজেদের অবস্থান আরো সৃদৃঢ় করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’
তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ রাজীব ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়া পেইন্টসের মতো কোম্পানিতে নেতৃত্বস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। লখনৌয়ের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনস-এ এমবিএ করেছেন শেঠি।
বাংলাদেশে রাজীব টেলিনরের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
রপ্তানি কমেছে সেপ্টেম্বরে: ইপিবি
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৩ মাসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।
রবিবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে কৃষিপণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্প, বাইসাইকেল ও আসবাবপত্রের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবি’র প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ গত মাসে (সেপ্টেম্বর) তিন দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ ৫ বছর করার দাবি বিজিএমইএ’র
যাইহোক, চলতি অর্থবছর ২০২২-২০২৩ এর প্রথম তিন মাসে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এবং ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে যার মূল্য ছিল ১১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার।
মূলত পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ায় গতমাসে সামগ্রিক রপ্তানি কমেছে। আগের মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে তিন দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারের। যা গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় সাত দশমিক ৫২ শতাংশ কম। গত মাসে বোনা ও নিট উভয় পোশাকের রপ্তানি কমেছে।
তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পোশাক রপ্তানিতে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানকার মানুষ গাড়ি এবং মুদির জন্য জ্বালানি ছাড়া অন্য সব কেনাকাটা বন্ধ করে দিয়েছে।
সে কারণে বিদেশি ক্রেতারা দুই থেকে তিন মাস কম অর্ডার দিচ্ছেন। অনেক কোম্পানি ক্রয় আদেশের পণ্য প্রস্তুত হওয়ার পরও চালানের অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানান তারা।
বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল রবিবার বলেছেন যে বিজিএমইএ ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে প্রবৃদ্ধি মন্দার প্রাথমিক ইঙ্গিত শেয়ার করেছে, যা সেপ্টেম্বরের রপ্তানি ডেটাতে স্পষ্টতই প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খুচরা বাজার কোভিড-পরবর্তী কনটেইনার ফ্রেইট এবং সাপ্লাই চেইন সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং তারপরে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত মন্দা থেকে শুরু করে অনেক চ্যালেঞ্জের দ্বারা ব্যাহত হয়েছে, যা খুচরা বিক্রয় এবং পোশাকের চাহিদাকে স্থগিত করছে।
রুবেল বলেন, ক্রেতারা তাদের ইনভেন্টরি এবং সাপ্লাই চেইনকে সর্বোত্তম করার জন্য সতর্ক পদক্ষেপ অনুসরণ করছে, তাই তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমনকি উৎপাদন ও অর্ডার আটকে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এটি বেশ নরম এবং দুর্বল পরিস্থিতি হয়েছে, যেখানে আমাদের স্থায়িত্ব এবং প্রতিযোগিতামূলক অগ্রগতির কারণে আমাদের বেড়ে ওঠার সমস্ত শক্তি এবং সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ২০২২ সালের শেষ সময়ের জন্য আশানুরূপ কিছু অনুমান করা কঠিন করে তোলে’।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বেতন না দিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধ, বিজিএমইএ অফিস ঘেরাও
এলপিজির দাম কমেছে
তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতিকেজি ২ টাকা ৯১ কমেছে। সে হিসেবে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের বর্তমান দাম ১২০০ টাকা। এ ঘোষণার আগ পর্যন্ত এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল এক হাজার ২৩৫ টাকা।
রবিবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আবদুল জলিল অক্টোবর মাসের জন্য পেট্রোলিয়াম গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেছেন।
ঘোষণা অনুযায়ী সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য আকারের সিলিন্ডারের জন্য এলপিজির দাম যৌক্তিকভাবে কমে আসবে।
এছাড়া, অটো গ্যাসের (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) দাম লিটারপ্রতি ৫৭ দশমিক ৫৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫ দশমিক ৯২ টাকা করা হয়েছে। যার ফলে লিটারপ্রতি ১ টাকা ৬৩ পয়সা কমেছে।
রবিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
জলিল জানান, বেসরকারি অপারেটররা মধ্যপ্রাচ্য থেকে বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে আমদানি করে বলে এলপিজির মূল্য পুনর্নির্ধারণে ইউএস ডলারের হার ১০৬ দশমিক ৬৪ টাকা ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৬ টাকা
তিনি বলেন, বৈশ্বিক বাজারে এলপিজির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেলেও স্থানীয় বাজারে ডলারের দাম বেশি থাকায় নিম্নমুখী প্রবণতার পুরো সুবিধা পাচ্ছেন না ভোক্তারা।
গত মাসে ডলারের বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১০৪ দশমিক ০২ টাকা
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানি দ্বারা বাজারজাতকৃত এলপিজির মূল্য যথারীতি থাকবে, কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়; যার বাজার শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৩৯ টাকা (১২ কেজি সিলিন্ডার) পর্যন্ত পৌঁছেছে।
এই বছরের জানুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের জন্য এলপিজির দাম সর্বনিম্ন এক হাজার ২২৫ টাকা ছিল এবং এটি ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে ক্রমাগত বৃদ্ধির সাক্ষী ছিল।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৩৫ টাকা
এলপিজির দাম কেজিতে ১ টাকা বেড়েছে
সেরা ১০ পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
পাইকারি হারে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে একসাথে বেশি সংখ্যক পণ্য নেয়ার প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে এখানে বেশ অল্প দামে পণ্য পাওয়া যায়। অতঃপর তা অপেক্ষাকৃত বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হয়। এখানে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত মালামাল সংরক্ষণের জন্য গুদামের ব্যবস্থা করতে হয়। তারপর এখান থেকেই প্রয়োজন মতো পণ্য খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা যায়। অর্থাৎ উৎপাদনকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে এক রকম সেতুবন্ধন রচনা করেন পাইকারি ব্যবসায়ী। খুচরা বিক্রেতাদেরকে লাভবান হতে অনেক সময় নিতে হয় এবং তার পাশাপাশি এটা বেশ শ্রমসাধ্যও ব্যাপার। অন্যদিকে, পাইকারি ব্যবসায় অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে বেশ ভালো লাভের মুখ দেখা যায়। আজকের আর্টিকেলে তেমনি ১০টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১০টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
ফলের পাইকারি ব্যবসা
ফল স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আর তাই বিভাগীয় অথবা মফস্বল শহরগুলোতে সবার কাছেই ফলের চাহিদা ব্যাপক। বাংলাদেশের বাজারগুলোতে প্রায় বার মাস-ই ফলের রমরমা আয়জন দেখা যায়। বাচ্চাকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফেরার সময় কিংবা অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় প্রত্যেকের হাতেই প্রায় সময় একটা না একটা ফল দেখাই যায়। এর মধ্যে কলা, আঙুর ও আপেল সহ বিভিন্ন ফলের দোকানে সারা বছরই ভিড় থাকে। বিশেষ করে কলা ফলের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন টং বা চায়ের দোকানেও একটি সাধারণ খাবার।
ফলের বিশাল সমারোহ দেখতে হলে যেতে হবে পুরনো ঢাকার বাদামতলীতে। এখান থেকেই পাইকারি ক্রেতারা স্বল্প দামে অনেক করে ফল কিনে আবাসিক এলাকার পাশের বাজারগুলোতে ফল সরবরাহ করে থাকেন। এই পাইকারি বাজার থেকে ফল সাধারণত কার্টুন বা বক্সে করে বিক্রি হয়। প্রতি বক্সে প্রায় ১৬ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত ফল থাকে।
পড়ুন: চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের উপায়
চা-পাতার পাইকারি ব্যবসা
বাঙালির নিত্যদিনের জীবনের সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িত যে পানীয়টি, সেটি হচ্ছে চা। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলও চা উৎপাদনে বিশ্ব সেরা। এই চা-পাতার রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে আছে সবুজ চা, ওলোং চা, ও প্যারাগুয়ে চা। চা-পাতা সাধারণত আরডি, সিডি, ডাস্ট, ও বিওপি গ্রেডের হয়।
চা-পাতা নিয়ে ব্যবসা করতে হলে ন্যূনতম প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হলেই দারুণভাবে ব্যবসা শুরু করা যায়। সরাসরি সিলেটের উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে চা-পাতা কিনে সেগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা যায়। এছাড়া চায়ের সাথে একটা ঐতিহ্যবাহী ও অভিজাত ব্যাপার জড়িয়ে থাকার কারণে অনেকে মাসের পর মাস ভরে চা-পানের জন্য এই পাইকারি ক্রেতাদের কাছ থেকে চা-পাতা কিনে নেন।
ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসা
বাংলাদেশে নানান ধরনের লাইট, টিউব, তার, সকেট, সুইচ সহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের বিশাল এক বাজার রয়েছে। এসব পণ্যের পাইকারি ব্যবসার জন্য প্রয়োজন কিছু বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রথমেই যেটি দরকার সেটি হলো পণ্য কেনা-বেচার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা বাছাই করা। এর সাথে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো, একজন নিখাদ উৎপাদনকারীর কাছ থেকে মালামাল নেয়া।
পড়ুন: ‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
পুরনো ঢাকাস্থ গুলিস্তানের কাপ্তান বাজার কমপ্লেক্স রাজধানীর সবচেয়ে বড় বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের মার্কেট। তবে এখান থেকে মালামাল কেনার সময় অবশ্যই প্রতারক হতে সাবধান থাকতে হবে। সঠিক তথ্য নিয়ে উপযুক্ত জায়গা থেকে পণ্য কিনলে এই ব্যবসায় খুব দ্রুত লাভ করা যায়।
স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা
বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস পাড়া সবখানেই স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা নতুন বিষয় নয়। তবে বর্তমানে এই ব্যবসার বাজার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, শার্পনার প্রভৃতি জিনিসপত্রের একটা বৃহৎ মার্কেট হচ্ছে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। খুচরা মূল্যের স্বল্পতার পাশাপাশি এই পণ্যের গ্রাহকদের বয়সের পরিধি বিশাল। তাই এ থেকে ভালো পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর হতেই পারে না। তবে মনে রাখতে হবে এই ব্যবসায় মার্জিন অন্য পাইকারি ব্যবসার তুলনায় কিন্তু বেশ কম।
প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে পাইকারি মধ্যস্থতাকারীদের লাভের অংশ থাকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এ থেকে খুচরা দোকানিকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মার্জিন দিয়ে দিতে হয়। তাই গড়পড়তায় উপলব্ধ মার্জিন থাকে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। এই ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর ব্যাপারে ভালো ভাবে জানা থাকতে হবে।
পড়ুন: বাংলায় শিক্ষাদানকারী অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম: পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির অনন্য মাধ্যম
টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা
তুলনামূলকভাবে কম পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে টি-শার্টের ব্যাবসা সবচেয়ে ভালো উপায়। কাপড় শিল্পে বাংলাদেশের এমনিতেই জগৎ জোড়া খ্যাতি আছে। সুতরাং পাইকারি দরে টি-শার্ট সংগ্রহের জন্য কারখানা খুঁজতে তেমন একটা বেগ পেতে হবে না। এগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে তৈরি হয় বিশ্বমানের টি-শার্ট। এই ব্যবসায় লাভ করতে হলে কৌশলী হতে হবে।
ব্যবসার কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিন, ধর্মীয় ও বিভিন্ন ধরনের উৎসবের মত বিশেষ বিশেষ দিনগুলোকে। এই ব্যবসাতে লাভের পরিধিটা বেশ বড়সড় হয়, তবে তার জন্য অবশ্যই সঠিক পদ্ধতিতে এগোতে হয়।
কাঁচামালের ব্যবসা করা
লজিস্টিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কাঁচামাল। প্রতিটি বড় বড় পণ্য চেইনে এই কাঁচামাল নিয়েই দাড়িয়ে যায় পাইকারি ব্যবসা। এমনকি এটা বেশ লাভজনকও বটে। সাধারণত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো থেকে কাঁচামাল শহরমুখী হয়। বিভিন্ন কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচামাল কিনে শহরের বড় বড় কোম্পানির কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করাটাই হচ্ছে এখানে প্রাথমিক পদ্ধতি।
পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে নিখুঁত মালামাল সরবরাহ করা। এর জন্য কোন ভায়া মিডিয়া না হয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকেই কেনা উচিত। এই পলিসি বজায় রাখতে পারলে ব্যবসা দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পাবে। কেননা নিখাদ কাঁচামাল মানেই ভালো পণ্য।
পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা
কাপড়ের ব্যবসা সবসময়ই বাংলাদেশে জাঁকজমক অবস্থায় ছিলো। তবে এখন তা বহুগুণে অগ্রসর হচ্ছে। বিভিন্ন তাঁতি কিংবা পোশাক তৈরিকারক কোম্পানির কাছ থেকে পোশাক কেনা যেতে পারে। এছাড়া আরেকটি উপায় হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও নবাবগঞ্জের মত জায়গাগুলো থেকে কাপড় কেনা। অতঃপর এগুলো শহর বা রাজধানীর বড় বড় দোকানদারদের কাছে বিক্রি করে দেয়া।
এই রকম ব্যবসায় মধ্যস্থতাতে যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার সেটা হচ্ছে পার্টিগুলোর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয় সাধন করা। তবে পুঁজির পরিমাণটা এখানে একটু বেশি, আর সেই পরিমাণটা হচ্ছে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো।
পড়ুন: পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
রাজধানীর ইসলামপুর অনেক আগে থেকেই পাইকারি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেক আগে থেকেই কাপড়ের ব্যবসা করে অনেকেই ভালো পরিমাণে লাভের অধিকারি হচ্ছে। কারণ এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা আসে। এটা ঢাকার জন্য। এছাড়া শহরতলী বা অজোপাড়াগাঁয়েও যেখানে নানান স্থান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জমায়েত হন সেখানে কাপড়ের দোকান দেয়া যেতে পারে।
মুদি পাইকারি ব্যবসা
মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ভান্ডার হচ্ছে মুদি দোকান। স্বাভাবিকভাবেই একজন মানুষের প্রতিদিনের খাবারের একটা বিশাল অংশের যোগান দেয় এই মুদির দোকান। চাল, ডাল, লবণ, তেল, আলু, পিঁয়াজ, চিনি প্রভৃতির চাহিদা কখনোই কমবে না। তাই দীর্ঘ সময়ের নির্ভরযোগ্য পাইকারি ব্যবসার জন্য হওয়া যেতে পারে মুদির পাইকারি বিক্রেতা। মুদি পণ্যগুলো পাইকারি দামে সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে কিনে তা বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেয়া যেতে পারে। সঠিক ভাবে ব্যবসাটি করতে পারলে এখান থেকে দীর্ঘ সময়ে ভালো পরিমাণ রিটার্ন আসার সম্ভাবনা আছে।
রাসায়নিক কৃষি ব্যবসা
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষই নিজেদের জীবনধারণের জন্য কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এই কৃষিক্ষেত্রে কাজে লাগা সরঞ্জামগুলো নিয়ে পাইকারি ব্যবসা করা যেতে পারে। কৃষি কাজ মানেই জৈব বীজ, ফসলের সার, কীটনাশক এবং ভারী কিছু যন্ত্রপাতি। তাছাড়া ট্র্যাক্টর বা কৃষিজ মালামাল পরিবহনের বাহন তো আছেই। এগুলোর যোগান দেয়ার কথা মাথায় রেখেই গড়ে উঠেছে বিশাল মার্কেট। এই মার্কেটে ভালো মত ঢুকতে পারলে বেশ বড় অংকের লাভ আদায় করে নেয়া যেতে পারে।
পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
কেক, বিস্কুট ও পাউরুটির পাইকারি ব্যবসা
প্রতিদিনকার দরকারি খাবার না হলেও কেক, বিস্কুট আর পাউরুটির চাহিদা কিন্তু কম নয়। অনেকেরই সকালের নাস্তা মানেই পাউরুটি আর বিকেলের স্ন্যাক্স মানে কেক আর বিস্কুট। বর্তমানের এগুলোর উত্তরোত্তর চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে বহু কারখানা। শুধুমাত্র কেক বা প্যাস্ট্রি দিয়ে অনেকে খুলে ফেলছে অভিজাত দোকান।
এগুলোর প্রয়োজনীয় সাপ্লাই নিশ্চিত করতেই কাজ করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যান্ডের দোকানগুলোতে কাঁচামাল সরবরাহের জন্য তাদের নিজস্ব লজিস্টিক্স চেইন ব্যবস্থা আছে। তথা কারখানা, সাপ্লায়ার সবি নিজেদের। এখানে পুঁজির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম কিন্তু লাভের পরিমাণ অনেক বেশি হয়।
পরিশিষ্ট
এই সেরা ১০টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিমেষেই যে কাউকে আর্থিকভাবে সফলতার দিকে ধাবিত করতে পারে। একজন সফল পাইকারি ব্যবসায়ী খুচরা দোকানি এবং পণ্য নির্মাতাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কটিকে খুব ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যোগাযোগের দক্ষতার সাথে এখানে আরো যে জিনিসটি দরকার তা হলো বিপণনের ব্যবহারিক জ্ঞান। নিদেনপক্ষে, এমন একটি পাইকার ব্যবসা শুরু করা উচিত, যে বিষয়ে আগে থেকেই কিছু জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে। এর সাথে কঠোর পরিশ্রমী ও কৌশলী হলে যে কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীই সাফল্যের উচ্চ শিখরে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন।
পড়ুন: অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা: সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা কী হারিয়েছেন
সাপ্তাহিক বাজারের লেনদেন অনুসারে, গত সপ্তাহে (২৫-২৯ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ৮২৯ কোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসের বাজারে সূচকের মধ্যে তিন দিন পতন এবং দুই দিন উত্থান দেখা গেছে।
সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ১৭৩টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫২টির।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় সপ্তাহে ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসই এবং ডিএসইএস-এর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে (বাংলাদেশ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) মূল্য, চার্ট, প্রোফাইল এবং অন্যান্য বাজার তথ্যসহ) ১৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে গতি আনতে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সূচক ও লেনদেন কমায় সপ্তাহে বাজার মূলধনের পরিমাণ (মূলধন) কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। তবে আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৬১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫২২৭৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষ কার্যদিবসে পুঁজি দাঁড়িয়েছে ৫১৯৯১৪ কোটি চার লাখ টাকা। মূলধন কমেছে ৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার চাঙা করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় গেল সপ্তাহে প্রধান ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২পয়েন্ট। ডিএসইর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দুর্গাপূজা: হিলি স্থলবন্দরে ৮দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পূজার ছুটি উপলক্ষে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা আটদিন বন্ধ থাকবে। তবে এসময় সচল থাকবে হিলির ইমিগ্রেশন বিভাগে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত ।
হিলির কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ১লা অক্টোবর থেকে সাত অক্টোবর পর্যন্ত পূজার ছুটিতে হিলি বন্দরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি করা হবেনা।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছুটির ওই সিদ্ধান্ত ভারতীয় হিলি এক্সপোর্টার এন্ড ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অশোক কুমার চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনকে।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে আবার সচল হয়ে উঠবে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম।
হিলি কাস্টমস ও স্থল শুল্ক স্টেশন এর ডেপুটি কমিশনার বায়োজিদ হোসেন জানান, বন্দরে ছুটি পালনের কারণে কাস্টমসের অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরুর সঙ্গে কাস্টমসের সকল কার্যক্রম পূর্বের নিয়মে চালু হবে।
এদিকে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ বদিউজ্জামান জানান, ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারীদের পারাপারে সচল থাকবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শারদীয় দুর্গোৎসব, ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি ছুটি উপলক্ষে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ১০ দিন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ ও ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
আগামী ১০ অক্টোবর সকাল থেকে বন্দরের সকল প্রকার আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন এবং ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল খালেকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের পারাপার কার্যক্রম চালু থাকবে।