%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩.৯৮ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছরে ঘাটতি এবং পরিশোধের ভারসাম্যের ব্যবধান বাড়ার মধ্যে মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জুলাইয়ে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই মাসে ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ছিল। এতে দেখা যায় রপ্তানি আয় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
সরকার জুলাইয়ের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন। মাস শেষে রপ্তানি ৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে, জুনের তুলনায় জুলাই মাসে রপ্তানি প্রায় এক দশমিক শুন্য বিলিয়ন কমেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য অনুসারে, নিট এবং বোনা পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
গত বছরের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তবে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সেবা খাত থেকে বাংলাদেশ অর্থবছরে ৭ দশমকি ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যের বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমকি ৬৭ শতাংশ বেশি।
সরকার চলতি অর্থবছরে ১৫ শতাংশ ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং ৬৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৮.৭০ বিলিয়ন ডলার বিওপি ঘাটতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি ব্যয় বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ১৮ দশমিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বা ব্যালেন্স অব পেমেন্ট (বিওপি) ঘাটতি হয়েছে।
আগের অর্থবছরে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া দেশের ইতিহাসে এর আগে কোনো অর্থবছরে এত বেশি বিওপি ঘাটতি দেখা যায়নি।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আমদানি বাড়ায় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর অবনতি হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এই ঘাটতি সামষ্টিক অর্থনীতির উদ্বেগজনক অবস্থার বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমদানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক লেনদেনে এই বিশাল ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এটা সত্য যে আমদানি বাড়ার একটা ইতিবাচক দিক আছে। দেশে বিনিয়োগ বাড়ে; কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। অর্থনীতিতে গতি আসে।’
মনসুর জানান, কিন্তু প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের ভারসাম্য পরিশোধের ঘাটতি সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। এই ঘাটতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিতিশীলতা বা সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসের জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এই আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়ার পরও আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এই ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে সংকট বাড়ছে।’
এ অবস্থায় আমদানি কমাতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন মনসুর।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, বিদায়ী ২২ অর্থবছর শুরুই হয়েছিল ঘাটতি নিয়ে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রথম তিন মাসে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। চার মাস শেষে (জুলাই-অক্টোবর) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এভাবে প্রতি মাসেই আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে ভারসাম্য ঘাটতি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীরা ২.০৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ সবচেয়ে বেশি।
ব্যাংকার ও সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই মাসে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদে সাধারণত প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়দের কাছে অতিরিক্ত টাকা পাঠান।
বিবির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
সরকার রেমিট্যান্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। এখন ডলারের দাম বেশি বলেও জানান তিনি।
‘এছাড়া, গত মাসে ঈদুল আজহা ছিল, পরিবারের ঈদ উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপন করতে প্রবাসীরা অর্থ পাঠিয়েছেন। এসব কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে,’ বলেন সিরাজুল।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
করোনা মহামারির ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির কারণে বিমান চলাচলের পাশাপাশি বৈশ্বিক চলাচলের বিধিনিষেধের মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে।
এরপর এরপর ২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আয় ২১.০৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
এই খাতের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোয় উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রেমিটেন্স অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সূত্র জানায়, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী বৈধ কাগজপত্রের অভাবের কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন না।
ফলে তাদের আয় বাংলাদেশে স্বজনদের কাছে পাঠানোর জন্য অবৈধ হুন্ডি ও অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের জন্য কৃষকদের আরও ছয় টাকা বেশি খরচ করতে হবে। সোমবার থেকে এ নতুন দাম কার্যকর হবে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এ নতুন দাম ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে, ইউরিয়া সার এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৬ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকায় বিক্রি হবে এবং ডিলার পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৪ টাকা থেকে ২০ টাকায় দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
হ্যান্ডআউট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম বর্তমানে ৮১ টাকা। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৬ টাকা বাড়ানো সত্ত্বেও সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়া সারে ১৫ টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে এবং এর ফলে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণে সরকারের ভর্তুকি চার গুণ বেড়েছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সরকার যেখানে সারের জন্য সাত হাজার ৭১৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
গ্রাহকদের জন্য প্যান্ডাপ্রো নামে একটি নতুন সাবস্ক্রিপশন সেবা চালু করেছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা। প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট হারে ফি প্রদানের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকরা ফুডপ্যান্ডার সব সেবা যেমন-ডেলিভারি, পিক-আপ, ডাইন-ইন ও গ্রোসারিতে আকর্ষণীয় সুবিধা উপভোগ করবেন।
প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকরা বিশেষ এ সাবস্ক্রিপশন সেবার মাধ্যমে ফ্রি ডেলিভারি সুবিধা পাবেন। এছাড়াও ফুড ডেলিভারি ও পিক-আপ, গ্রোসারি অর্ডার এবং ডাইন-ইনে থাকবে দারুণ সব অফার।
সুশি সামুরাই, ক্রমিসন কাপ, বারবিকিউি টু নাইট, ১৩৮ ইস্ট, শর্মা হাউসসহ ৫০০ এর বেশি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকরা ডাইন-ইন এ ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। সামনে নতুন আরও রেস্তোরাঁ এ সেবার আওতায় যুক্ত করার জন্য কাজ করছে ফুডপ্যান্ডা।
আরও পড়ুন: উৎসবের মৌসুমে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট ভাউচারে বিশেষ ছাড়
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং মানিষা সাফিয়া তারেক বলেন, ‘আমাদরে গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা চাহিদার সর্বোচ্চ মান পূরণের লক্ষ্যে আমরা অব্যাহতভাবে নতুন সেবা ও ফিচার উদ্ভাবনে কাজ করছি। আমাদের গ্রাহকরা যেমন রেস্তোরাঁয় খেতে পছন্দ করেন তেমনি তারা হোম ডেলিভারির মাধ্যমে খাবার নিতেও পছন্দ করেন। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে অনলাইন ডেলিভারি, পিক-আপ বা ডাইন-ইন গ্রাহকের পছন্দের সব সেবাতেই প্রত্যেকের জন্যই কোনো না কোনো সুবিধা দিচ্ছে প্যান্ডাপ্রো। এই অল-ইন-ওয়ান সাবস্ক্রিপশন আমাদের প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা বাড়াবে এবং তাদের সাথে দীর্ঘমেয়াদে সর্ম্পক গড়ে তুলবে।’
ফুডপ্যান্ডা অ্যাপে সাবস্ক্রিপশন অপশনে ট্যাপ করে পছন্দ সই অপশন বাছাইয়ের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন গ্রাহকরা। এছাড়া বিকাশ এবং দেশের সব ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সাবস্ক্রিপশন ফি এর মূল্য পরশিোধ করা যাবে।
পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় তার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে আসা গার্মেন্টস পণ্য এই বন্দর দিয়ে রপ্তানি শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি তৈরি পোশাক (আরএমজি) পণ্য নিয়ে পোল্যান্ডের উদ্দেশে বাগেরহাটের মংলা বন্দর ছেড়েছে মার্কস নেসনা নামের একটি বিদেশি জাহাজ।
পানামার পতাকাবাহী জাহাজ মার্কস নেসনা ২৭টি পোশাক কারখানার ১৭টি কনটেইনার নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বন্দর ছেড়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর দক্ষিণবঙ্গের যে সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে তার মধ্যে মোংলা বন্দর অন্যতম। পদ্মা সেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গেই মোংলা বন্দর দিয়ে ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ঢাকার ফকির এ্যাপরেলস লিমিটেড, উইন্ডি লিমিটেড, কে সি লিনজেরিয়া লিমিটেড, আর্টিস্টিক ডিজাইন লিমিটেড, নিট কনসার্ন লিমিটেড, মেঘনা নিট কম্পোসিট লিমিটেড, শারমিন এপ্যারেলস লিমিটেডসহ ২৭টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ ‘মার্কস নেসনা’ মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটি থেকে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ওই জাহাজের কন্টেইনারে বাচ্চাদের পোশাক, জার্সি, কার্ডিগান, টি-শার্ট, ট্রাওজারসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে।
মোংলা বন্দর সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দুরত্ব এখন ১৭০ কিলোমিটার। আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দুরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডেলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় একই সঙ্গে ঢাকার সঙ্গে দুরত্ব কমে যাওয়ায় সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হওয়ার কারণে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দরের জন্য একটি স্বরণীয় দিন। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির নবযাত্রা শুরু হলো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে দেশের সব চেয়ে নিকটতম বন্দর হচ্ছে মোংলা। আমদানি-রপ্তানিকারকরা এখন মোংলা বন্দর ব্যবহারে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। যার ফলে ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে একটি জাহাজ বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দর থেকে পোল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। আগামীতে মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য, কন্টেইনার, গাড়ি, জেনারেল কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদী।
বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন লিটন জানান, পদ্মা সেতু চালুর মধ্যে দিয়ে মোংলা বন্দর সব চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। যার সুফল হিসেবে এই প্রথম মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়েছে। সময় এবং অর্থ ব্যয়ের হিসাব বিবেচনা করে ঢাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা তাদের গার্মেন্টস পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি শুরু করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার মোংলা বন্দরসহ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে ঢাকার ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি শুরু করেছে। ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের চেয়ে মোংলা বন্দরের দুরত্ব কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দরের দিকে ঝুঁকছে। আগামীতে আমদানি রপ্তানিকারকরা মোংলা বন্দর ব্যবহার করবে বলে তিনি আশাবাদী।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে মেট্টোরেলের সপ্তম চালান
মোংলা বন্দরে ১২ বছরে ১৫ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন
আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশের ঋণের অনুরোধ নিশ্চিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এর মানে এই নয় দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাকে অবস্থার দিকে তাকিয়ে আগের বক্তব্য দিতে হয়েছিল। আমি আমাদের দাবি প্রকাশ করতে চাইনি।’
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
গত বুধবার একই ধরনের সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন নেই এবং ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে কোনো তহবিল সহায়তা চাইবে না। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই গণমাধ্যমে খবর আসে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
তার গত সপ্তাহের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কামাল বলেন, কৌশলগত কারণে তাকে এমন বক্তব্য দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যদি দাবি আগে থেকে প্রকাশ করি, তাহলে আমার ওপর বোঝা ও খরচ অনেক বেশি হবে। এটা একটা দর কষাকষি। প্রত্যেককেই এটি করতে হয়।’
তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের কোনো শর্ত যেন দেশের স্বার্থবিরোধী না হয় সেদিকে সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তবে আইএমএফের কাছে পাঠানো ঋণ প্রস্তাবে কোনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে দেখব তারা কোন শর্তে ঋণ দিতে চায় এবং আমাদের কতটা নেয়া উচিত।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইএমএফ থেকে ঋণ চাওয়ার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় আছে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানে এবং তারা জানে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধে সক্ষম।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
বাজারে বর্তমান ডলার সংকট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডলারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি বা তথ্য গোপনে কেউ বা কোনো মহলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কামাল বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস রেমিট্যান্স ও রপ্তানি। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ছে। তবে আমদানিও বাড়ছে।
চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে ডলারের দাম নির্ধারণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
দূতাবাসে নিয়োগ: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে চাকরি, বেতন ৯০,০০০
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস লোকবল নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দক্ষ ও কর্মঠ কর্মীর খোঁজে তাদের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: রিয়েলটি অ্যাসিস্ট্যান্ট (রিয়েল প্রোপার্টি অ্যাসিস্ট্যান্ট)
পদসংখ্যা: ২
অভিজ্ঞতা: রিয়েল এস্টেট, মার্কেটিং, সেলস বা কাস্টমার ওরিয়েন্টেড কোনো প্রতিষ্ঠানে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা।
কর্মস্থল: ঢাকা
বেতন: মাসিক বেতন ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া মার্কিন দূতাবাসের নীতিমালা অনুসারে অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটের এই https://erajobs.state.gov/dos-era/vacancy/viewVacancyDetail.hms_ref=rwzml2jnpt0&returnToSearch=true&jnum=37569&orgId=157 থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা, শর্তাবলি ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও আবেদনপ্রক্রিয়া জেনে Apply To This Vacancy বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১ আগস্ট ২০২২
পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
সাভারে ৩ বছর মেয়াদি চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্প শুরু
চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। পাশাপাশি পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ‘সাস লেদার’ নামে সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে একটি গবেষণা প্রকল্পের প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই প্রকল্পে দেশের বেসরকারি আহসানাউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন এর সাথে সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করবেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন আইডিয়া ট্রি। তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশে নিয়োজিত ডেনমার্ক হাইকমিশন।
মঙ্গলবার সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ট্যানারি বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প। কিন্তু কিছু ওয়ার্কপ্লেস সমস্যা এবং পলিসি ইস্যুজনিত কারণে শিল্পটি কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। যথাপোযুক্ত পলিসি ইমপ্লিমেন্টেশন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তা বাস্তবায়ন ট্যানারি শিল্পকে ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছাতে সম্ভব হবে। ট্যানারি শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রকল্প শেষে এই গবেষণা চামড়া শিল্পনগরীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় আহসানাউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভিন্ন ট্যানারির মালিক, অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি এই প্রকল্পে বিসিকের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রয়েল ড্যানিশ দূতাবাসের সেক্টর কনস্যুলার সোরেন অ্যালবার্টসেন, প্রজেক্ট লিডার প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার মোর্শেদ, সাভার চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান রিজওয়ানসহ কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা।
খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১১২ টাকা
খোলা বাজারে ডলারের সংকট বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর স্থিতিশীল বিনিময় হারের দাবির মধ্যেই প্রতি ডলারের দাম বেড়ে ১১২ টাকা হয়েছে।
খোলা বাজারের ডলার ব্যবসায়ীরা ইউএনবিকে বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে ডলারের বিনিময় হার মারাত্মকভাবে বেড়েছে।
রাজধানীর মতিঝিলের একটি এক্সচেঞ্জ হাউসের মালিক আব্দুল মালেক জানান, সোমবার তারা প্রতি ডলার ১০৫ টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু মঙ্গলবার তা বেড়ে ১১২ টাকায় পৌঁছেছে; যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
বৈদেশিক লেনদেন ও আমদানির এলসি খোলার জন্য মঙ্গলবার বেসরকারি ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করেছে ১০৩ থেকে ১০৪ টাকায়।
গত বছরের ২৬ জুলাই মার্কিন ডলারের মান ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে স্থানীয় মুদ্রার মান ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে।
কার্ব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেছেন যে স্বল্প সরবরাহের তুলনায় মার্কিন ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
তারা বলেন, ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট এ মূল্য হ্রাসের জন্য আংশিকভাবে দায়ী।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি ও নীতি শিথিলের পদক্ষেপ সত্ত্বেও চলরি বছরের জুন থেকে ডলার বাজার এখনও স্থিতিশীল নয়।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১০৫ টাকা
২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ