ব্যবসা
আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে অর্ধেক দামে ডাল-তেল, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভেক্তাদের স্বস্তি দিতে ফ্যামিলি কার্ডের বাইরেও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ৪টি পণ্য টিসিবির ট্রাকে বিক্রি করা হবে।
সেগুলো হচ্ছে- মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ। এসব পণ্য বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে মিলবে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্য সচিব বলেন, টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে ঢাকায় ১৩ লাখ পরিবারকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থেকে ঢাকায় ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এতে নতুন করে আরও ৯ হাজার পরিবার যোগ হবে। প্রতিটি ট্রাকে ৩০০ জন এসব পণ্য পাবে। শুক্রবার ও শনিবার বাদে প্রতিদিন বিক্রি হবে। তবে বিভিন্ন দিন বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হবে।
পরে সব দিনই এই কর্মসূচি চলবে উল্লেখ করে সচিব বলেছেন, একেক দিন ঢাকার একেক স্পটে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, এই সেলে যে কেউ ২ কেজি করে মসুর ডাল, আলু ও পেঁয়াজ এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আলু প্রতি কেজি দাম পড়বে ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা। তবে এই মুহূর্তে চিনি দেওয়া যাচ্ছে না। চিনি পাওয়া গেলে দেওয়া হবে।
তিনি জানিয়েছেন, যিনি আগে আসবেন তিনি আগে পাবেন, এই ভিত্তিতে এই ট্রাকসেল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমদানি বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রাকসেলের পরিধি বাড়ানো হবে।
সচিব আরও বলেন, সরকার ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য দিচ্ছে। প্রতিটি পণ্য অর্ধেক দামে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের আওতাধীনরা যেন এই পণ্য না নেন, এই বিষয়টি নিশ্চিতে তদারকি করা হবে।
বৈশ্বিক অবস্থা ও ডলারের বিনিময় হারের দাম বেড়ে যাওয়ায় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ হাজার ৯৫ টন আলু আমদানি হয়েছে। ২ লাখ টন আলুর আইপি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ডিম আমদানি নিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২৫ কোটি ডিম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ৬২ হাজার ডিম আমদানি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ডিম আমদানি না, ডিমের দাম কমানো। দাম কমে গেলে আমদানি কম হলেও অসুবিধা নেই। তবে বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আলু ও ডিম আমদানি হবে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ডিম ও আলু আমদানি হওয়ায় উল্লেখযোগ্য ফল আমরা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা গেছে, কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৭ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হবে। জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু বের হবে।
টিসিবি কার্ডধারীদের এখন আলু দেওয়া হবে না জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, কারণ জেলা প্রশাসকরা সোমবার (১৩ নভেম্বর) থেকে সরকারি দামে অর্থাৎ ৩৬ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি নিশ্চিত করবে।
সচিব আরও বলেন, তেল, চিনি, ডাল, আলু এসব পণ্য আমদানি করতে যেন ডলারের সমস্যা না হয় সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে- একজন ভোক্তা মাসে একবারই এ ট্রাকসেল থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। এই বিষয়টি নিশ্চিতে একেক দিন ঢাকা শহরের একেক স্থানে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, 'শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন ও মসৃণ কার্যক্রম নিশ্চিত করতে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য পাঠানো হবে, সেগুলোর মূল্য যথাযথভাবে সমন্বয় বা মজুরির হার বৃদ্ধি করা জরুরি।’
বিশ্ববাজারের প্রতিযোগী বাণিজ্য সংস্থা আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) পোশাক, জুতা ও অন্যান্য সেলাই পণ্য সংস্থা এবং তাদের সরবরাহকারীদের প্রতিনিধিত্ব করে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এখন থেকে নতুন ন্যূনতম মজুরি নীতিমালা মেনে সব ধরনের ব্যবসায়িক সমঝোতা ও চুক্তি করতে হবে।
চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমি বিনীতভাবে এএএফএ সদস্যদের তাদের বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের সঙ্গে যথাযথ সহানুভূতি ও বিবেচনাসহ সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি।’
ফারুক বলেন, ‘আমাদের নেওয়া প্রতিটি প্রচেষ্টা ও পদক্ষেপের মাধ্যমে, আমরা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের পরিপূরক হতে চাই, যা পারস্পরিক ও টেকসইভাবে বৃদ্ধি করা। ব্যবসার জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, 'পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধি ও দক্ষতাকে সমর্থন করে উন্নত অবকাঠামো ও নীতি তৈরিতে সরকারের করা উন্নতি ও অগ্রগতি আপনারা অনুসরণ করছেন। আমি নিশ্চিত আপনাদের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’
লামারকে লেখা চিঠিতে বিজিএমইএ প্রধান বলেন, গত ৭ নভেম্বর সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ২০২৩ সালের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে।
ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং শ্রমিক ও নিয়োগকর্তার প্রতিনিধিসহ অংশীজনদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে পরামর্শ ও সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
নতুন ন্যূনতম মজুরি অনুযায়ী সপ্তম গ্রেডের শ্রমিকদের মোট ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মোট মজুরির ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং মূল মজুরি ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন ন্যূনতম মজুরি এমন এক সময়ে এসেছে যখন বিশ্ব অর্থনীতি অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের অর্থনীতিও অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে এই সংকটের প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে জ্বালানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পরিবহনসহ আমাদের সব অভ্যন্তরীণ খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অর্থায়ন আরও ব্যয়বহুল হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি লিখেছেন, 'আপনারা জানেন, সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০১৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানের কর্মক্ষেত্র হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিল্পকে বিশাল বিনিয়োগ করতে হয়েছে, যা আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘এখন বৈশ্বিক জলবায়ু অ্যাকশন এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে, আমাদের কারখানাগুলো জিএইচজি নির্গমন হ্রাস এবং আরও দক্ষ জনশক্তি বাড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রমিকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও ক্লান্তি
কমানোর জন্য কারখানাগুলো মেশিন, পদ্ধতি ও উৎপাদন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী করছে।’
ফারুক বলেন, ‘এই সমস্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য, টেকসই এবং সর্বাধিক পছন্দের সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’ এই সমস্ত উদ্যোগ ও বিনিয়োগগুলো আপেক্ষিক ও নিরঙ্কুশভাবে ব্যবসার উপর প্রভাব ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘এখন ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির মাধ্যমে এই শিল্প প্রতিযোগিতা বজায় রেখে শ্রমিকদের উন্নত জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।’
ফারুক বলেন, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, বিশেষ করে মূল মজুরি ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকরা ওভারটাইম সুবিধা, অর্জিত ছুটি নগদীকরণ, উৎসব বোনাসসহ অন্যান্য ভাতার ক্ষেত্রে বেশি লাভবান হচ্ছেন।
তিনি বলেন, 'নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন হলে কারখানাগুলোর ওপর ব্যাপক আর্থিক প্রভাব পড়বে। বর্তমান অর্থনৈতিক ও আর্থিক পরিস্থিতিতে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা আমাদের অনেক কারখানার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’
ফারুক বলেন, শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করা তাদের পাশাপাশি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সিইওকে লেখা চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, 'যেহেতু আমরা নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো গ্রহণ করেছি, তাই আমরা এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব এবং দায়িত্বশীল ক্রয় অনুশীলনের ক্ষেত্রে আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।’
দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ আনুষ্ঠানিকভাবে বছরের সবচেয়ে বড় সেল দারাজ ১১.১১ শুরু করেছে।
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টায় দারাজের মাধ্যমে ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা যুক্ত হয়েছেন ৫৩ হাজারের বেশি ব্র্যান্ড এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে।
দারাজ ১১.১১ ক্যাম্পেইনে ক্রেতারা পাচ্ছেন উন্নতমানের ফ্যাশন, বিউটি, হোম ও ডেকোর এবং আরও অনেক আইটেম। কম দামের পাশাপাশি ৬৩ শতাংশ ক্রেতারা উপভোগ করেছেন ফ্রি ডেলিভারির সুবিধা। ১৪ হাজারের বেশি ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এস এম ই) দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেছেন প্রথম ২৪ ঘণ্টায়।
দারাজ গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ারকে মিকেলসেন এই মাইলফলক সম্পর্কে বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমরা ক্রেতাদের কাছে সম্ভাব্য সর্বোত্তম মূল্য অফার নিশ্চিত করতে চেয়েছি। এটি আমাদের বিক্রেতা ও পার্টনারদের ছাড়া সম্ভব ছিল না। এ ছাড়াও দারাজে আরও অনেক নতুন বিক্রেতা যোগ দিচ্ছেন। দারাজকে ভরসা করার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এবারের ১১.১১-এ ক্রেতাদের অভিভূত সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। আশা করি আমরা সারা বছর ক্রেতাদের জন্য সেরা পণ্য, সেরা মূল্য এবং সেরা মান নিশ্চিত করার আমাদের প্রতিশ্রুতিকে বজায় রাখতে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
দারাজ ১১.১১ সেলে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ফ্যাশন পোশাক বিক্রি হয়েছে। এর মাঝে বাংলাদেশি নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সংখ্যাই বেশি।
১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ১ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি গ্রোসারি আইটেম বিক্রি করেছে।
দারাজ জানায়, ক্রেতাদের কাছে সর্বোত্তম মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্যগুলো পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আকর্ষণীয় ডিল এনছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে ক্রেতারা কেনাকাটা করার সময় অনেক বেশি সাশ্রয় করতে পারেবেন। গ্রাহকরা ৫০ কোটি টাকা মূল্যমানের ছাড়সহ অতুলনীয় কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
২০ লাখ ডিলের সঙ্গে এ বছরের ১১.১১ আগের চেয়ে বড় যেখানে রয়েছে সুলভ মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ।
অবস্থান নির্বিশেষে, দারাজ এই মেগা উৎসব উদযাপনের জন্য নির্বাচিত পণ্যসমূহে বিনামূল্যে ডেলিভারি অফার করছে।
বিকাশ, নগদ, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, দারাজ-ইবিএল কো-ব্র্যান্ড কার্ড ও আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পেমেন্টে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দিচ্ছে।
১১.১১-এ আকর্ষণীয় ডিলগুলো ছাড়াও, ক্রেতারা সারা বছর প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সেরা মানের পণ্য উপভোগ করতে পারে। দারাজে আছে প্রতিদিনের কম দামের ডিল থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় ভাউচার এবং ফ্ল্যাশ সেল যা তার ব্যবহারকারীদের জন্য কেনাকাটাকে সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক করে তোলে। এই ধরনের উদ্যোগগুলো ক্রেতাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলিতে সঞ্চয় করার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইন কেনাকাটাকে শোভনীয় অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত করে। এর মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান আরও হয় উন্নত।
দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘আমরা আমাদের পার্টনারসমূহ, ক্রেতাগণ এবং অবশ্যই আমাদের টিমের কাছে কৃতজ্ঞ তাদের প্রশংসনীয় সমর্থনের জন্য যা ১১.১১-কে বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করেছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এ সময়ে, আমাদের এ বছরের লক্ষ্য ছিল ক্রেতাদের সঞ্চয় সর্বাধিক করতে সাহায্য করা এবং বিক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি করা। আমরা চেয়েছি জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবেলা করায় তাদের সাহায্য করতে। আমরা সামনে আমাদের ক্রেতাদের আরও বেশি সঞ্চয় ও বৈচিত্র্যের মাধ্যমে সেরা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই সঙ্গে আরও বেশি বিক্রেতাদের তাদের ব্যবসায়িক বিকাশে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
১১.১১, বছরের সবচেয়ে বড় সেল, চলছে ১১ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এখুনি ঘুরে আসুন দারাজে এবং উপভোগ করুন অবিশ্বাস্য ডিল ও অফার।
আরও পড়ুন: বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ নিয়ে আসছে দারাজ
ভাঙচুর বন্ধ না হলে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় মালিকেরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবে: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, যদি কোনো কারখানায় শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজ না করেন, কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যান এবং কারখানা ভাঙচুর করেন; তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ভাই-বোন ও সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষায় শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন।
রবিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় সংগঠনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, যতদিন না শ্রমিক ভাঙচুর বন্ধ হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারছে, ততদিন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ শিল্প ও সম্পদ রক্ষায় ১৩ (১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। প্রতিটি উদ্যোক্তার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে বহিরাগতদের হাত থেকে তার নিজস্ব শিল্প ও সম্পদ রক্ষার।’
তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমানে পোশাকখাতে অনেক কারখানায় কাজ কম, ক্রেতারা নতুন করে অর্ডার দেওয়া বন্ধ রেখেছেন, তাই আমরা নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলেছি। পরিস্থিতি অনূকূলে এলে আবার নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।’
ফারুক হাসান বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, এ শিল্পকে নিয়ে যারা চক্রান্ত করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। সেইসঙ্গে শিল্প-কারখানা চালানোর জন্য আমাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিন। রাজনীতি ও অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক। এ মূহুর্তে প্রবাসী আয়খাতে মন্থর ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থায় রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে।
সময়ের পরিক্রমায় নূন্যতম মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেলেও শিল্পের সক্ষমতা সে অর্থে খুব বেশি বাড়েনি জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, চলতি ২০২৩ (পঞ্জিকা বছর) এর প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ভ্যাল্যুতে কমেছে ২২ দশমিক ৮১ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি কমেছে প্রায় ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রস্তুত বিজিএমইএ: ফারুক হাসান
একই সময়ে সারা পৃথিবী থেকে পরিমাণে আমদানি কমেছে ২৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, আর বাংলাদেশ থেকে কমেছে ২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শুধুমাত্র আগস্টেই বাংলাদেশ থেকে ভ্যালুতে কমেছে ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশও সেপ্টেম্বরে ৩৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
চলতি ২০২৩ (পঞ্জিকা বছর)- এর প্রথম আট মাসে ইউরোপের বৈশ্বিক আমদানি কমেছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, শুধুমাত্র আগষ্ট মাসেই কমেছে ২৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
২০২৩ সালের অক্টোবরে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি অক্টোবর ২০২২ এর তুলনায় ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পোশাক রপ্তানির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রকৃত রপ্তানি পারফরমেন্স ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অন্যতম প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাকের দরপতন শুরু হয়েছে, যেটা শিল্পের জন্য নতুন শঙ্কা তৈরি করছে। সার্বিকভাবে বিশ্ববাজার থেকে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পোশাকের দর ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে।
তিনি আরও বলেন, একই মাসে (আগস্ট ২০২৩) বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দর কমেছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক কারণের জের ধরে পোশাক শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। বিগত ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সময়ে গ্যাসের মূল্য বেড়েছে ২৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ৫ বছরে পোশাক শিল্পে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়; উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাংক সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে আমাদের ক্রেতাদেরও কস্ট অব ফান্ড বেড়ে গেছে, যার চাপ বহন করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।
তিনি আর জানান, ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছরই নিয়মিতভাবে ন্যূনতম ৫ শতাংশ হারে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কেন্দ্রীয় তহবিল কার্যকর করা হচ্ছে, যা শ্রমিকদের নানামূখী কল্যাণে ব্যয় করা হয়। এই তহবিলের অর্থ শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
কালীপূজা উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ২দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিন্দু ধর্মালম্বীদের কালীপূজা বা শ্যামাপূজা উপলক্ষে ২ দিন বন্ধ থাকছে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
ভারতের কোচবিহার রাজ্যের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরের ৩ সংগঠন কালীপূজা বা শ্যামাপূজায় রবিবার (১২ নভেম্বর) থেকে সোমবার (১৩ নভেম্বর) ২ দিন আমদানি-রপ্তানিকারকেরা সকল প্রকার ব্যবসায়ী কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখেছেন। যার ফলশ্রুতিতে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়েও সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। তবে উভয় দেশের স্থলবন্দরের পুলিশ অভিবাসন চৌকি (পুলিশ ইমিগ্রেশন) দিয়ে পাসপোর্ট এবং ভিসাধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বুড়িমারী স্থলবন্দরের পুলিশ অভিবাসন চৌকির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুর হাসান কবির জানান, ‘কালীপূজায় স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও উভয় দেশের পুলিশ ইমিগ্রেশন খোলা রয়েছে।’
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘কালীপূজায় উভয় স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখার ব্যাপারে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন। ব্যবসায়ীরা কাজকর্ম বন্ধ রাখলে এমনিতেই স্থলবন্দর অচল হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, টিসিবির ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অসামঞ্জস্য দূর হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মালিবাগে দেশব্যাপী ১ কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ এবং চলতি মাসের চালসহ টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে বিনামূল্যে এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে উল্লেখ করে কার্ড পেতে কার্ডধারীদের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনা গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষ যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন তাদের কথা বিবেচনা করে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে তার চেয়েও বেশি মানুষকে সরকার ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডিম ও আলু আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ডিমের একটি চালান দেশে আসার পর সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি আলু-পেঁয়াজসহ অন্যান্য শাক-সবজির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম নির্ভর করে দেশের উৎপাদনে উপর। এখন পেঁয়াজের শেষ সময়। আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করে থাকি। কিন্তু ভারত রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে প্রথমে ৪০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করে। এর কিছুদিন পরেই প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য আট শো ডলার নির্ধারণ করে। যাতে করে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে দাম বেশি।
ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরেও চালান আসতে দেরি হওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির ক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছিলাম বিশেষ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সনদ নিতে হবে। এসব শর্ত পূরণে কিছু আইনি জটিলতা থাকায় দেশে চালান আসতে দেরি হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে এবং মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে এবং আমরা সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভীষণ দুঃসময় পার করতে হচ্ছে। এরমধ্যেই বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অসাধু চক্র। রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
সরকারের গঠন করা মজুরি বোর্ড ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাক শিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড। ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৭টি গ্রেডের জায়গায় ৫টি গ্রেড করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তার জন্য এই মজুরি দেওয়াই কঠিন হবে। এছাড়াও প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
নূন্যতম মজুরি বোর্ড নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পর বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কারখানা ভাঙচুর করায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়- এমন কাজ না করতেও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কারখানায় কাজ করবেন বলে আশা করছেন ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির জন্য বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব
বুধবার (৮ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু প্রস্তাবসহ এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, টিসিবি ইন্টারন্যাশনাল ডাইরেক্ট পারচেজ মেথডের (ডিপিএম) আওতায় গ্রিন নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস, ইন্ডিয়া (লোকাল এজেন্ট: এনএস কনস্ট্রাকশন, ঢাকা) থেকে ১৪০ দশমিক ৯৯ টাকা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করবে। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৬৯ টাকা।
ভারতের উমাএক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড (লোকাল এজেন্ট: স্পিড মার্কেটিং করপোরেশন, ঢাকা) থেকে ৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে এবং বিঅ্যান্ডসি ইনকরপোরেশন ও সেনা কল্যাণ সংস্থা থেকে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ১৫ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে। এগুলোর প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০০ টাকা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিসিআইসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার এবং কাতারের মুনতাজাত থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
পেট্রোবাংলা ৭১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ ধারণ ক্ষমতার একটি কার্গো লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দ্বিগুণ ডেনিম রপ্তানি
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা অর্জন করতে বাংলাদেশের ডেনিম রপ্তানি দ্বিগুণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৫তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু ডেনিম রপ্তানিতে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষস্থানে; এমনকি আমাদের অবস্থান চীনের চেয়েও উপরে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
তিনি আরও বলেন, ‘ডেনিম রপ্তানিতে বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর বিশাল অবদান রয়েছে।’
প্রধান অতিথি হিসেবে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৫তম সংস্করণের উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএ’র বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান, বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসে ডেনিম ও ডেনিম সম্পর্কিত পণ্য রপ্তানি থেকে। সুতরাং, ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ডেনিম রপ্তানি বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সাসটেইনিবিলিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস করি যে ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেবে।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে লিড সনদপ্রাপ্ত ২০৩টি সবুজ পোশাক কারখানা রয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক সবুজ কারখানার উপস্থিতি সাসটেইনিবিলিটির প্রতি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দূঢ় প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সেরা ১০০টি সবুজ কারখানার মধ্যে এখন ৫৩টি বাংলাদেশে অবস্থিত।
এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘বর্তমানে বিজিএমইএ ও সরকার দেশে পোশাক শিল্প যাতে নির্বিঘ্নভাবে পরিচালিত হতে পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। বাংলাদেশে যে নিরাপদ ব্যবসায়িক পরিবেশে বিরাজমান, বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৫তম আসরের সফল আয়োজন তাই প্রমাণ করে।’
এইচঅ্যান্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপিয়ার রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, এইচঅ্যান্ডএম ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৬ শতাংশ কার্বন ডাইঅক্সাইড কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কোম্পানির জন্য বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করতে এইচঅ্যান্ডএম একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি রিসাইক্লিয়ের জন্য আরও নিয়মিত পরিকল্পনা গ্রহণের উপর গুরোত্বারোপ করেন। এ ছাড়াও, উদ্ভাবনের ও নতুন কৌশলসমূহ যেগুলো পোশাক শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যক সেগুলো আয়ত্ত্ব করার উপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, হ্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম গ্রিন সংক্রান্ত উদ্ভাবনের জন্য জিআইএফ এর সঙ্গে কাজ করছে।
অধিকন্তু, কার্বন নির্গমন ও পানি ব্যবহার কমাতে নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও তিনি পোশাক শ্রমিকদের উচ্চ মজুরি সম্পর্কে উল্লেখ করেন এবং এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানান।
মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ডেনিম শিল্পে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। ডেনিম শিল্পের সেই অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৫তম আয়োজনে ১২টি দেশের মোট ৮০ টি প্রদর্শক অংশ নিচ্ছে। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া ২ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে দেশ-বিদেশের প্রায় পাঁচ হাজার দর্শনার্থী নিবন্ধন করেছেন।
ডেনিম এক্সপোর এবারের আসরে মোট চারটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (ইকোনমিক) জোশুয়া গাকুটান; বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী ফাইয়াজ মুরশিদ, বিজিএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি ও তুসুকা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল দিপু; পুমার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শাখা ব্যবস্থাপক মঈন হায়দার চৌধুরী; মুনির আহমেদ, পরিচালক, এম অ্যান্ড জে গ্রুপ; মোহাম্মদ আনিস আগুং নুগরোহো, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ; মিস ক্যাথারিনা মায়ার, রিজিওনাল সিআরএম ম্যানেজার, ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট এবং তুরস্ক, ব্লুসাইন টেকনোলজিস এজি; এবং টাকার আসানো, ওয়াইকেকে বাংলাদেশ পিটিই লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অবস্থান ও সামনের পথ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেবেন।
'১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মানব সম্পদের উন্নয়ন ও সদ্ব্যবহার’শীর্ষক সভায় আলোচনা করবেন- জিয়াউর রহমান, রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপিয়া, এইচএন্ডএম; ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অব মিশন; শরীফ জহির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনন্ত গ্রুপ; ড. শাহরিয়ার মাহমুদ, চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার, স্পিননোভা; সারওয়াত আহমেদ, সিনিয়র এডভাইজার, জিআইজেড; এবং ড. রবিচন্দ্রন এল, ডিরেক্টর - (প্রোডাক্ট ইনোভেশন/বিজনেস), আটলান্টিক কেয়ার কেমিক্যালস।
থিস উডস্ট্রা, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক, বিজিএমইএ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টিম গ্রুপ; শফিউর রহমান, কান্ট্রি ম্যানেজার, জি-স্টার র; শামস মাহমুদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শাশা ডেনিমস লিমিটেড এবং সাবেক সভাপতি, ডিসিসিআই; মাত্তেও উরবিনি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোকো কেমিক্যালস; এবং আন্দ্রেয়া ভেনিয়ার, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অফিসিনা+৩৯ 'ডেনিম শিল্পের টেকসই পরিবর্তন' বিষয়ক প্যানেল আলোচনা করবেন।
শিল্পের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে করণী’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তাদের মধ্যে রয়েছে- আলী মুশতাক বাট, বাংলাদেশে ডেনমার্কের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর অ্যান্ড হেড অব ট্রেড মিশন; মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি, বিকেএমইএ; শহিদ উল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি, বিজিএমইএ; লুথমেলা ফরিদ, পরিচালক, প্যাসিফিক জিন্স; আদিব সাজ্জাদ, কান্ট্রি ম্যানেজার, সলভেই৮; এবং দীপক শাহ, গ্রুপ সিইও (বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম), টেক্স ফাস্টেনারস।
আরও পড়ুন: ড্রাইভারদের জন্য সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ চালু করল উবার
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (এসিইউ) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের আমদানি দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার কমে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ পদ্ধতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার কম রয়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী মোট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন। এসিইউ'র বিল পরিশোধের পর মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দেশের রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, এসিইউ'র পাওনা আজ পরিশোধ করা হয়েছে। তবে পাওনা পরিশোধের রসিদ আগামীকাল (বুধবার) হবে।
এসিইউ একটি আন্তর্জাতিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তি হয়।
আরও পড়ুন: আমদানি নিয়ন্ত্রণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে
এসিইউ'র সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রতি দুই মাসে আমদানি রপ্তানির পাওনা পরিশোধ করে থাকে। কিন্তু এখন শ্রীলঙ্কায় এসিইউ'র সদস্যপদ নেই। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
যদিও বর্তমানে শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার, তবুও দেশটির সদস্যপদ এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের