ব্যবসা
মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৩৩ শতাংশ, ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য উদ্ধৃত করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা বিগত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে আট দশমিক ৭৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারির আট দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকেও বেশি।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে জনগণ ব্যয় কমাতে বাধ্য হয় এবং নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠীকে কেনাকাটা কমিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যে আট দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছে। ওই সময় নগরীতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল সাত দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
এর আগে গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে উঠেছিল। গত ১১ দশমিক ৯ বছরে (১৪৪ মাস) মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর কখনোই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
২০২২ সালের আগস্টের পরে মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমেছে আট দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ এখনও বেশি।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে এডিবি
এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ২০২৩ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ করেছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এডিবি বলেছিল, এবছরের এপ্রিল মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
মঙ্গলবার ২০২৩ সালের এপ্রিলের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে (এডিও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। গড় মূল্যস্ফীতি ২০২২ অর্থবছরের ছয় দশমিক দুই শতাংশ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে আট দশমিক সাত শতাংশে পৌঁছাবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি কম হবে। কারণগুলো হলো- জ্বালানির ঘাটতি ও উচ্চ উৎপাদন খরচ, রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি, মিতব্যয়ীতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস।
তবে চলতি হিসাবের ঘাটতির দিক থেকে গত অর্থবছরে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ থাকলেও, এবার তা কমে হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশের জন্য এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটা বড় ঝুঁকি হচ্ছে বিশ্বের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোর অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা কমে গেছে, রপ্তানির গতিও কমে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বাহ্যিক প্রতিকূলতার প্রভাবের বিরুদ্ধে তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: এডিবি’র ১ বিলিয়ন: আলোচনার জন্য রাতে ঢাকায় আসছেন লাভাসা
গিনটিং বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে মূল সংস্কারগুলোকে ত্বরান্বিত করা দেশকে মধ্য মেয়াদে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এবং অভ্যন্তরীণ রিসোর্স মোবিলাইজেশন জোরদার করা, আর্থিক খাতকে সুস্থির করা এবং বেসরকারি খাতে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে অভ্যন্তরীণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজারের অস্থিরতার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময়।’
গিনটিং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে এডিবি দেশের জনগণের জন্য অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের উন্নতির জন্য সহ-অর্থায়নসহ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান পেয়েছে। বাংলাদেশে ৫০টি চলমান প্রকল্পে ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
টিসিবির কাজের অসঙ্গতি দূর করতে ১ কোটি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিম্নআয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেওয়া এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে টিসিটির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের পাইলটিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতে লেখা সকল কার্ড কিউআর কোড সম্বলিত স্মার্ট কার্ডে রুপান্তর করা হবে। যার কাজ চলমান রয়েছে। এসব কার্ড স্মার্ট কার্ডে পরিবর্তিত করলে অসঙ্গতিগুলো দূর করা সহজ হবে।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় টিসিবি আয়োজিত সারাদেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের টিসিবি পণ বিক্রয় কার্যক্রম এবং উত্তরা এলাকায় টিসিবি পণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, আমরা সবাই জানি করোনা মহাসংকটের পরপরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। তা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষদের মধ্যে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বের উন্নতসহ অনেক দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের বেশি ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্ববাজার বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে দেশের এককোটি পরিবারের মাঝে স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে একবার দিলেও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয় বার দেওয়া হচ্ছে এবং আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে বিতরণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন তাদের দুঃখ কষ্ট অনুভব করেন। সেজন্যই তিনি এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী অর্থাৎ প্রতি পরিবারে গড়ে পাঁচজন সদস্য হলেও প্রাই পাঁচ কোটি মানুষ এই সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন আমরা প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ মানুষকে সাশ্রয়ী দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্ত প্রধানমন্ত্রী তা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তা বাস্তবায়ন করছি।
কার্ডধারীর সংখ্যা এককোটির বেশি করার চিন্তা সরকারের আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন যে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে এছাড়াও কিছু সংখ্যক নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা অর্থাৎ যারা বাদ পড়েছেন আমাদের নিকট আসছে তবে সংখ্যা খুব বেশি নয়। তারপরও আমরা বিশেষ বিবেচনায় বাদ পড়া মানুষকে পণ্য দিয়ে থাকি।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পণ্য মজুদের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য মজুদ আছে। বিগত কয়েক বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এ বছর আমরা সরবরাহ ও বিতরণে শক্ত অবস্থানে আছি।
পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত এরপরেও বাজারে দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাজারে সব পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না। এ বিষয়ে একটা মিস কনসেপসন আছে যে মূল্য বৃদ্ধি মানেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্ত। ব্রয়লার মুরগি, মাংস ও মাছসহ কিছু পণ্য অন্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি, যাতে দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালে রাখা সম্ভব হয়।
টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশে টিসিবি পণ্যে সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষাণাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে উত্তরা এলাকায় আজকে এই সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধন করা হলো। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলে পণ্য মজুদ করে কার্ডধারীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এছাড়া, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডি্য়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
আইএসও ২৭০০১: ২০১৩ সার্টিফিকেশন পেল রাইজআপ ল্যাবস
তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (আইএসএমএস)-এর জন্য আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেশন পেয়েছে আইটি পরিষেবা এবং প্রযুক্তি সমাধান প্রদানকারী কোম্পানি রাইজআপ ল্যাবস। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংস্থার স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুমোদিত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও) এই সার্টিফিকেটটি প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশে আইএসও-এর একটি স্থানীয় এজেন্সির একজন প্রতিনিধি রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এরশাদুল হকের কাছে আইএসও ২৭০০১:২০১৩ প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন।
আইএসও ২৭০০১:২০১৩ একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান, যা তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের জন্য দেয়া হয়। গ্রাহকদের সংবেদনশীল তথ্য এবং তথ্যের সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য রাইজআপ ল্যাবস এই সার্টিফিকেটটি পায়। এর আগে আইএসও ৯০০১:২০১৫ সার্টিফিকেট অর্জন করে রাইজআপ ল্যাবস।
রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক বলেন, ‘বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ এই আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেশনটি পেয়ে আমরা আনন্দিত। রাইজআপ ল্যাবস সেবা গ্রহণকারীদের তথ্য সুরক্ষার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এই সার্টিফিকেশন সেবা গ্রহীতাদের নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য সফ্টওয়্যার সমাধান প্রদানের জন্য আমাদের অবদানের একটি স্বীকৃতি।’
একটি স্বতন্ত্র ও পৃথক প্রতিষ্ঠান রাইজআপ ল্যাবসের তথ্য নিরাপত্তা নীতি, পদ্ধতি এবং অনুশীলনের ব্যাপক মূল্যায়ন করার পর আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেটটি রাইজআপ ল্যাবসকে প্রদান করা হয়। সার্টিফিকেশনটি নিশ্চিত করে যে রাইজআপ ল্যাবস তার সেবা গ্রহীতাদের তথ্য এবং তথ্য সুরক্ষিত করার জন্য কঠোর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেছে।
আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেশন অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সংগঠনগুলোর কাতারে যোগ দিল রাইজআপ ল্যাবস। এই সার্টিফিকেশন বাংলাদেশে একটি নেতৃস্থানীয় আইটি কোম্পানি হিসেবে রাইজআপ ল্যাবস’র অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
রাইজআপ ল্যাবস, একটি নেক্সট-জেনারেশন গ্লোবাল আইটি পরিষেবা এবং প্রযুক্তি সমাধান প্রদানকারী কোম্পানি। এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর করতে সাহায্য করে। এটি উদ্ভাবনী, বুদ্ধিমান, টেকসই সমাধান এবং পরিষেবাসমূহ ডিজাইন ও বিকাশ করতে ওয়েব থ্রি.জিরো, অটোমেশন, বিশ্লেষণ, আইওটি, ক্লাউড এবং উদীয়মান প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করে।
আইএসও ৯০০১:২০১৫ এবং আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেটধারী এ প্রতিষ্ঠানটি ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে সাহায্য করেছে, যেমন - ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউএসএআইডি, এফএও, ডব্লিউএইচও, এটেক, বিবিসি, এফএইচআই ৩৬০, রবি আক্সিয়াটা লিমিটেড, মুর্কা, সেফ গার্ড, সুইস মার্কেটিং সিস্টেম, ইত্যাদি।
সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
সৌদি আরব এবং অন্যান্য প্রধান তেল উৎপাদনকারীরা মে থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন মোট এক দশমিক ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত আশ্চর্যজনক হ্রাস ঘোষণা করেছে। এই পদক্ষেপে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়তে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোষাগার পূরণ করতে তেলের উচ্চমূল্য সাহায্য করবে। কারণ, তার দেশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি আমেরিকান ও অন্যদের পাম্পে আরও বেশি অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করবে।
এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও টেনে আনতে পারে, যেটি সৌদি আরব এবং অন্যান্য মিত্রদের উৎপাদন বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। কারণ, এটির দাম কমিয়ে আনতে এবং রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে।
ক্লিয়ারভিউ এনার্জি পার্টনারস এলএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন বুক বলেছেন, শুধুমাত্র উৎপাদন কমানোর ফলেই মার্কিন পেট্রোলের দাম প্রতি গ্যালনে প্রায় ২৬ সেন্ট বাড়তে পারে।
সাধারণ বৃদ্ধির পাশাপাশি যখন রিফাইনারিগুলো গ্রীষ্মকালীন ড্রাইভিং মৌসুমে গ্যাসোলিনের মিশ্রণ পরিবর্তন করে তখন এনার্জি ডিপার্টমেন্ট প্রতি গ্যালন গড়ে ৩২ সেন্টে মৌসুমী বৃদ্ধির হিসাব করে, বলেন বুক।
তাই গড় মার্কিন মূল্যের সঙ্গে এখন প্রায় তিন দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার প্রতি গ্যালন রেগুলার। এএএ অনুসারে, এর অর্থ গ্রীষ্মকালে প্রতি গ্যালন গ্যাসোলিন ৪ ডলারের বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
তবে বুক বলেছে, তেল ও গ্যাসের দামে বেশ কিছু জটিল পরিবর্তন রয়েছে। প্রতিটি দেশের উৎপাদন হ্রাসের আকার নির্ভর করে বেসলাইন উৎপাদন সংখ্যার উপর যেটি ব্যবহার করছে, তাই হ্রাসটি এক দশমিক ১৫ মিলিয়ন নাও হতে পারে। হ্রাসগুলো কার্যকর হতে বছরের অনেক সময় লাগতে পারে৷ ব্যাংকিং সঙ্কটের কারণে মার্কিন মন্দা দেখা দিলে চাহিদা কমতে পারে। তবে গ্রীষ্মকালে এটি আরও বাড়তে পারে, কারণ এসময়টিতে আরও বেশি লোক ভ্রমণ করে।
বুক বলেন, যদিও সারা বিশ্বে প্রতিদিন ব্যবহৃত প্রায় ১০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের মাত্র এক শতাংশ উৎপাদন কম হয়। তবুও দামের উপর প্রভাব বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, তেলের দাম যেভাবে কাজ করে তার জন্য এটা একটা বড় ব্যাপার। ‘আপনি এমন একটি বাজারে আছেন যা তুলনামূলকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ। আপনি একটি অল্প দূরে নিয়ে যান, চাহিদা কী তার উপর নির্ভর করে, আপনি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ মূল্য প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন।’
সৌদি আরব ওপেক সদস্যদের মধ্যে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। হ্রাসকৃত পরিমাণগুলো গত অক্টোবরে ঘোষিত একটি হ্রাস ছাড়াও যা বাইডেন প্রশাসনকে ক্ষুব্ধ করেছিল।
সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে তেলের বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। ২০২২ সালে সৌদি আরবের প্রতিদিন সাড়ে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল গড় উৎপাদনের পাঁচ শতাংশেরও কম এই ঘাটতি দেখায়।
ইরাক বলেছে যে তারা প্রতিদিন দুই লাখ ১১ হাজার ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এক লাখ ৪৪ হাজার, কুয়েত এক লাখ ২৮ হাজার, কাজাখস্তান ৭৮ হাজার, আলজেরিয়া ৪৮ হাজার ব্যারেল এবং ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল উৎপাদন হ্রাস করবে। ঘোষণাগুলো প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানায়, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন যে মস্কো বছরের শেষ পর্যন্ত স্বেচ্চায় হ্রাস বাড়াবে পাঁচ লাখ । পশ্চিমা দেশগুলো মূল্যসীমা আরোপের পর রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে একতরফাভাবে কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সকলেই তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর তথাকথিত ওপেক+ গ্রুপের সদস্য, যার মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর মূল সংস্থার পাশাপাশি রাশিয়া এবং অন্যান্য প্রধান উৎপাদক৷ তাৎক্ষণিকভাবে ওপেকের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেলের বগি লাইনচ্যুত: ২৩ ঘন্টায়ও উদ্ধার হয়নি, তেল ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের কৃষিজমিতে
শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধে সরকারের কাছে দেড় হাজার কোটি টাকা সহায়তা চায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
নিটওয়্যার কারখানা মালিক সমিতির দাবি, আর্থিক সহায়তা না পেলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া নিয়ে মারাত্মক সংকটে পড়তে পারে রপ্তানিখাত।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিকেএমইএ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।
গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান সাক্ষরিত ওই চিঠিতে সরকারের কাছে নগদ সহায়তার অনুরোধ জানানো হয়।
রবিবার বিকেএমইএর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ হাতেম ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়েছে। টিকে থাকার এই সংগ্রামে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতও একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে।
চলমান বৈশ্বিক মন্দার কারণে বেশিরভাগ কারখানায় পর্যাপ্ত কার্যাদেশ না থাকায় উৎপাদন চলছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষমতায়।
বিকেএমইএ চিঠিতে উল্লেখ করেছে, মাস শেষে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিকেএমইএ বলেছে, ইতোমধ্যে রপ্তানি করা পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতারাও তাদের বকেয়া সময়মতো পরিশোধ করছেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া নিয়ে ব্যাপক চাপ রয়েছে। ‘এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও অর্থ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া এই চাপ সামলানো খুব কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ টাকা ছুঁইছুঁই।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বর্তমান দাঁড়াবে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা। যা কার্যকর হবে রবিবার থেকে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, হলমার্কসহ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া হলমার্ক করা ২১ ক্যারেট স্বর্ণের বার ৯৪ হাজার ৬৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮১ হাজার ১২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের বার ৬৭ হাজার ৫৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আরেক মূল্যবান ধাতু রুপার দাম।
শনিবার প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণালঙ্কার ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণালঙ্কার ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থাৎ রবিবার থেকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বার এক হাজার ৫১৬ টাকা, ২১ ক্যারেট এক হাজার ৪৫৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের বার এক হাজার ৫০০ টাকা বাড়বে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
অবশেষে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিল সরকার
অবশেষে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত বুধবার (২৯ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ভেনামি চিংড়ির চাষের অনুমতি দিয়ে মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
একই সঙ্গে ভেনামি চিংড়ির চাষের জন্য ‘বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে চিংড়ি চাষ নির্দেশিকা’ও অনুমতি দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হওয়ায় খুলনার চিংড়ি রপ্তানিকারকরা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ চিংড়ি চাষীরা।
এখন বিশ্বের ৬২টি দেশে ভেনামি চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে এশিয়ার দেশ রয়েছে ১৫টি। বিশ্বে চিংড়ি বাণিজ্যের ৭৭ শতাংশ দখল করে আছে ভেনামি চিংড়ি।
বাগদা চিংড়ির তুলনায় দাম কম হওয়ায় বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বেশি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভেনামি চিংড়ির ‘বাণিজ্যিক’ উৎপাদনের অনুমতি চান রপ্তানিকারকরা
এশিয়ার চিংড়ি রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে এতদিন বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ ছিল।
এর আগে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে খুলনার পাইকগাছায় ভেনামি চিংড়ি চাষ শুরু হয়।
এছাড়া প্রতিবারই সফলতা পাওয়া গিয়েছিলো।
ভেনামি কি?
ভেনামি চিংড়ির জাতটি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের। প্রতিবেশি দেশ ভারতে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ ২০০৮ সালে শুরু হয়। এছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য প্রতিযোগী দেশ যেমন: থাইল্যান্ড ও চীনে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয় ১৯৮৮ সালে; ফিলিপাইনে এর চাষ শুরু হয়েছে ১৯৮৭ সালে এবং ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারে শুরু হয় ২০০০ সালে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং গ্লোবাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যালায়েন্স-এর তথ্যমতে, বিশ্বে ২০১৮ সালে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ৩৫ দশমিক পাঁচ লাখ মেট্রিক টন, বাগদা উৎপাদন হয়েছে পাঁচ দশমিক পাঁচ লাখ মেট্রিক টন, গলদা উৎপাদন হয়েছে দুই দশমিক চার লাখ মেট্রিক টন।
এছাড়া অন্যান্য চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে তিন লাখ মেট্রিক টন।
এর মধ্যে এশিয়ার চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ২০১৮ সালে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন হয় ২৩ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৯ সালে এই দেশগুলোতে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩১ দশমিক ১২ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান শূন্য।
আরও পড়ুন: ভেনামি চিংড়ির পাইলট প্রকল্প বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের সম্ভাবনা
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় চিংড়ির চাহিদায় রদবদল, জনপ্রিয় হচ্ছে ভেনামি চিংড়ি
ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি আগের দাম প্রতিকেজি ২০০ -২১০ টাকা থেকে কিছুটা বেড়ে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ২৩ মার্চ ব্রয়লার সরবরাহকারীদের সঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালকের সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে, এর দাম প্রতিকেজি ২৬০-২৭০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়।
এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি ও মধ্যস্বত্বভোগী পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে, যার প্রভাব খুচরা দামে পড়েছে।
ঢাকায় শুক্রবার সোনালী (মোরগ) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, আর এক কেজি ওজনের কম ওজনের পাকিস্তানি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায়।
তবে লেয়ার (মা) ব্রয়লার মুরগির দামও প্রতি কেজি ৩৩০-৩৪০ টাকায় স্থিতিশীল আছে এবং দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৫৮০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে।
শুক্রবার ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
শুক্রবার নগরীর কাঁচাবাজারে মানের ভিত্তিতে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায়।
মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় শুক্রবার দামি মাছের ক্রেতার উপস্থিতি ছিল কম।
ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, বাসাবো, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মুরগির দামের এসব তথ্য এই প্রতিবেদক।
বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূলের দাম আগের মতোই রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রতন হাওলাদার ইউএনবিকে বলেন, চলতি মৌসুমে সব ধরনের সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় সবজির দাম কিছুটা বেশি।
তিনি আরও বলেন, নতুন সবজি আসার সঙ্গে সঙ্গে দাম ধীরে ধীরে কমবে, তবে পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় প্রতিকেজি ৪০ টাকার নিচে নামবে না।
আগামী জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীদের বিশেষ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব সিপিডির
মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে আগামী জাতীয় বাজেটে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের বিশেষ ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সিপিডি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বলেছে, অভ্যন্তরীণ মুদ্রা, জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবারের মাসিক ব্যয় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জীবনযাত্রার খরচ উল্লেখ করে সিপিডি বলেছে, ‘বর্তমানে ঢাকা শহরে চার সদস্যের একটি পরিবারের মাছ-মাংস ছাড়া মাসিক খাদ্য ব্যয় সাত হাজার ১৩১ টাকা এবং মাছ-মাংসসহ নিয়মিত খাবারের খরচ ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা।’
এ পরিস্থিতি বিবেচনায় শিল্পকারখানায় শ্রমিকদের পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন মজুরি কাঠামো প্রণয়নের সুপারিশ করে সিপিডি।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পাঠ করেন সিডিপির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন যে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে যা সরকার কর্তৃক প্রকাশিত গড় মূল্যস্ফীতির তথ্য ব্যবহার করে বোঝা যায় না।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের আস্থা ও সুশাসন নিশ্চিত করুন: সিপিডি আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে চিনির দাম মার্কিন বাজারের চেয়ে বেশি ছিল। ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের তুলনায় দেশে চালের দাম বেশি ছিল, যদিও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অল্প পরিমাণে চাল আমদানি করে থাকে।’
কোভিড-১৯ এর প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আঘাত থেকে অর্থনীতির ধীরগতির পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সিপিডি সরকারকে আগামী বাজেটে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুতর চাপ মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
ড. ফাহমিদা বলেন, এটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জোরদার করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে সঞ্চিত ও অন্তর্নিহিত দুর্বলতা থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তিনি রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন প্রকল্পের ধীর বাস্তবায়ন, ঘাটতি অর্থায়নের জন্য ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম, ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি হ্রাস, বৈদেশিক খাতের ভারসাম্যের অবনতি এবং রাষ্ট্রীয় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদসহ বেশ কয়েকটি উদ্বেগজনক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিডি
ফাহমিদা বলেন, রাজস্ব খাত কমে যাওয়ায় নীতিনির্ধারকদের নীতিনির্ধারণের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে।
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনাকরে প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট আয়ের উপার্জনকারী এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের দিকে মনোনিবেশ করে লক্ষ্যযুক্ত আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এই জাতীয় ব্যবস্থা আর্থিক ব্যবস্থাগুলোর সঙ্গে থাকা উচিত যা স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করে, যেমন বাজারভিত্তিক সুদের হার ও বিনিময় হার।
থিংক ট্যাংকটি আরও জোর দিয়েছে যে এই নীতিগুলোর প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে সুশাসন ও শৃঙ্খলা অপরিহার্য। এতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রস্তাবিত সংস্কার পদক্ষেপ এক্ষেত্রে উপকারি প্রমাণিত হতে পারে।
সিপিডি আরও উল্লেখ করেছে যে নির্বাচনী বছরে একটি রাজনৈতিক সরকারের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি অজনপ্রিয় হতে পারে। তবে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সময় বর্তমান পরিস্থিতির যথাযথ স্বীকৃতি মাথায় রাখা উচিত।
প্রস্তাবে সিপিডি বলেছে, তা করতে ব্যর্থ হলে ম্যাক্রো-ফিসক্যাল পলিসি অবস্থান তৈরি হবে যা সময়ের চাহিদা পূরণ করবে না।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের অবনতি হয়েছে: সিপিডি