ব্যবসা
শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধে সরকারের কাছে দেড় হাজার কোটি টাকা সহায়তা চায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
নিটওয়্যার কারখানা মালিক সমিতির দাবি, আর্থিক সহায়তা না পেলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া নিয়ে মারাত্মক সংকটে পড়তে পারে রপ্তানিখাত।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিকেএমইএ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।
গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান সাক্ষরিত ওই চিঠিতে সরকারের কাছে নগদ সহায়তার অনুরোধ জানানো হয়।
রবিবার বিকেএমইএর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ হাতেম ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়েছে। টিকে থাকার এই সংগ্রামে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতও একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে।
চলমান বৈশ্বিক মন্দার কারণে বেশিরভাগ কারখানায় পর্যাপ্ত কার্যাদেশ না থাকায় উৎপাদন চলছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষমতায়।
বিকেএমইএ চিঠিতে উল্লেখ করেছে, মাস শেষে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিকেএমইএ বলেছে, ইতোমধ্যে রপ্তানি করা পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতারাও তাদের বকেয়া সময়মতো পরিশোধ করছেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া নিয়ে ব্যাপক চাপ রয়েছে। ‘এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও অর্থ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া এই চাপ সামলানো খুব কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ টাকা ছুঁইছুঁই।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বর্তমান দাঁড়াবে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা। যা কার্যকর হবে রবিবার থেকে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, হলমার্কসহ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া হলমার্ক করা ২১ ক্যারেট স্বর্ণের বার ৯৪ হাজার ৬৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮১ হাজার ১২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের বার ৬৭ হাজার ৫৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আরেক মূল্যবান ধাতু রুপার দাম।
শনিবার প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণালঙ্কার ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণালঙ্কার ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থাৎ রবিবার থেকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বার এক হাজার ৫১৬ টাকা, ২১ ক্যারেট এক হাজার ৪৫৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের বার এক হাজার ৫০০ টাকা বাড়বে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
অবশেষে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিল সরকার
অবশেষে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত বুধবার (২৯ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ভেনামি চিংড়ির চাষের অনুমতি দিয়ে মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
একই সঙ্গে ভেনামি চিংড়ির চাষের জন্য ‘বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে চিংড়ি চাষ নির্দেশিকা’ও অনুমতি দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হওয়ায় খুলনার চিংড়ি রপ্তানিকারকরা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ চিংড়ি চাষীরা।
এখন বিশ্বের ৬২টি দেশে ভেনামি চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে এশিয়ার দেশ রয়েছে ১৫টি। বিশ্বে চিংড়ি বাণিজ্যের ৭৭ শতাংশ দখল করে আছে ভেনামি চিংড়ি।
বাগদা চিংড়ির তুলনায় দাম কম হওয়ায় বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বেশি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভেনামি চিংড়ির ‘বাণিজ্যিক’ উৎপাদনের অনুমতি চান রপ্তানিকারকরা
এশিয়ার চিংড়ি রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে এতদিন বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ ছিল।
এর আগে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে খুলনার পাইকগাছায় ভেনামি চিংড়ি চাষ শুরু হয়।
এছাড়া প্রতিবারই সফলতা পাওয়া গিয়েছিলো।
ভেনামি কি?
ভেনামি চিংড়ির জাতটি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের। প্রতিবেশি দেশ ভারতে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ ২০০৮ সালে শুরু হয়। এছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য প্রতিযোগী দেশ যেমন: থাইল্যান্ড ও চীনে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয় ১৯৮৮ সালে; ফিলিপাইনে এর চাষ শুরু হয়েছে ১৯৮৭ সালে এবং ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারে শুরু হয় ২০০০ সালে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং গ্লোবাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যালায়েন্স-এর তথ্যমতে, বিশ্বে ২০১৮ সালে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ৩৫ দশমিক পাঁচ লাখ মেট্রিক টন, বাগদা উৎপাদন হয়েছে পাঁচ দশমিক পাঁচ লাখ মেট্রিক টন, গলদা উৎপাদন হয়েছে দুই দশমিক চার লাখ মেট্রিক টন।
এছাড়া অন্যান্য চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে তিন লাখ মেট্রিক টন।
এর মধ্যে এশিয়ার চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ২০১৮ সালে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন হয় ২৩ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৯ সালে এই দেশগুলোতে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩১ দশমিক ১২ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান শূন্য।
আরও পড়ুন: ভেনামি চিংড়ির পাইলট প্রকল্প বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের সম্ভাবনা
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় চিংড়ির চাহিদায় রদবদল, জনপ্রিয় হচ্ছে ভেনামি চিংড়ি
ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি আগের দাম প্রতিকেজি ২০০ -২১০ টাকা থেকে কিছুটা বেড়ে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ২৩ মার্চ ব্রয়লার সরবরাহকারীদের সঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালকের সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে, এর দাম প্রতিকেজি ২৬০-২৭০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়।
এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি ও মধ্যস্বত্বভোগী পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে, যার প্রভাব খুচরা দামে পড়েছে।
ঢাকায় শুক্রবার সোনালী (মোরগ) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, আর এক কেজি ওজনের কম ওজনের পাকিস্তানি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায়।
তবে লেয়ার (মা) ব্রয়লার মুরগির দামও প্রতি কেজি ৩৩০-৩৪০ টাকায় স্থিতিশীল আছে এবং দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৫৮০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে।
শুক্রবার ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
শুক্রবার নগরীর কাঁচাবাজারে মানের ভিত্তিতে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায়।
মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় শুক্রবার দামি মাছের ক্রেতার উপস্থিতি ছিল কম।
ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, বাসাবো, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মুরগির দামের এসব তথ্য এই প্রতিবেদক।
বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূলের দাম আগের মতোই রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রতন হাওলাদার ইউএনবিকে বলেন, চলতি মৌসুমে সব ধরনের সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় সবজির দাম কিছুটা বেশি।
তিনি আরও বলেন, নতুন সবজি আসার সঙ্গে সঙ্গে দাম ধীরে ধীরে কমবে, তবে পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় প্রতিকেজি ৪০ টাকার নিচে নামবে না।
আগামী জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীদের বিশেষ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব সিপিডির
মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে আগামী জাতীয় বাজেটে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের বিশেষ ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সিপিডি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বলেছে, অভ্যন্তরীণ মুদ্রা, জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবারের মাসিক ব্যয় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জীবনযাত্রার খরচ উল্লেখ করে সিপিডি বলেছে, ‘বর্তমানে ঢাকা শহরে চার সদস্যের একটি পরিবারের মাছ-মাংস ছাড়া মাসিক খাদ্য ব্যয় সাত হাজার ১৩১ টাকা এবং মাছ-মাংসসহ নিয়মিত খাবারের খরচ ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা।’
এ পরিস্থিতি বিবেচনায় শিল্পকারখানায় শ্রমিকদের পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন মজুরি কাঠামো প্রণয়নের সুপারিশ করে সিপিডি।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পাঠ করেন সিডিপির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন যে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে যা সরকার কর্তৃক প্রকাশিত গড় মূল্যস্ফীতির তথ্য ব্যবহার করে বোঝা যায় না।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের আস্থা ও সুশাসন নিশ্চিত করুন: সিপিডি আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে চিনির দাম মার্কিন বাজারের চেয়ে বেশি ছিল। ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের তুলনায় দেশে চালের দাম বেশি ছিল, যদিও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অল্প পরিমাণে চাল আমদানি করে থাকে।’
কোভিড-১৯ এর প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আঘাত থেকে অর্থনীতির ধীরগতির পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সিপিডি সরকারকে আগামী বাজেটে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুতর চাপ মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
ড. ফাহমিদা বলেন, এটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জোরদার করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে সঞ্চিত ও অন্তর্নিহিত দুর্বলতা থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তিনি রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন প্রকল্পের ধীর বাস্তবায়ন, ঘাটতি অর্থায়নের জন্য ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম, ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি হ্রাস, বৈদেশিক খাতের ভারসাম্যের অবনতি এবং রাষ্ট্রীয় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদসহ বেশ কয়েকটি উদ্বেগজনক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিডি
ফাহমিদা বলেন, রাজস্ব খাত কমে যাওয়ায় নীতিনির্ধারকদের নীতিনির্ধারণের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে।
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনাকরে প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট আয়ের উপার্জনকারী এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের দিকে মনোনিবেশ করে লক্ষ্যযুক্ত আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এই জাতীয় ব্যবস্থা আর্থিক ব্যবস্থাগুলোর সঙ্গে থাকা উচিত যা স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করে, যেমন বাজারভিত্তিক সুদের হার ও বিনিময় হার।
থিংক ট্যাংকটি আরও জোর দিয়েছে যে এই নীতিগুলোর প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে সুশাসন ও শৃঙ্খলা অপরিহার্য। এতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রস্তাবিত সংস্কার পদক্ষেপ এক্ষেত্রে উপকারি প্রমাণিত হতে পারে।
সিপিডি আরও উল্লেখ করেছে যে নির্বাচনী বছরে একটি রাজনৈতিক সরকারের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি অজনপ্রিয় হতে পারে। তবে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সময় বর্তমান পরিস্থিতির যথাযথ স্বীকৃতি মাথায় রাখা উচিত।
প্রস্তাবে সিপিডি বলেছে, তা করতে ব্যর্থ হলে ম্যাক্রো-ফিসক্যাল পলিসি অবস্থান তৈরি হবে যা সময়ের চাহিদা পূরণ করবে না।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের অবনতি হয়েছে: সিপিডি
ডিম এখন আর সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস নয়
ডিম এখন আর সাশ্রয়ী মানের প্রোটিনের উৎস নয়, কারণ ঢাকার বাজারে প্রতি ডজনের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকায়।
ভোক্তা অধিকার গ্রুপ বলছে, অস্বাভাবিকভাবে উচ্চমূল্যের কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো ইতোমধ্যেই মুরগির গোশত এবং গোশতের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে।
এখন, প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। তারা পুরোপুরি প্রোটিনের কোনও মানের উৎস কিনতে সক্ষম হবে না। রাস্তার বিক্রেতারা সেদ্ধ ডিম বিক্রি করছেন প্রতি পিস ২০ টাকায়। ঢাকার রেস্তোরাঁয় একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের রেকর্ড মূল্যের মধ্যে বাংলাদেশের ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে সামান্য মুনাফা করুন, ব্যবসায়ীদেরকে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, খামারে উৎপাদিত ডিম, ব্রয়লার মুরগি এবং চাষকৃত মাছ ঐতিহ্যগতভাবে দেশের লাখ লাখ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।
তিনি কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটে ডিম, মুরগি, মাংস ও মাছের দামের ওপর কঠোর নজরদারির ওপর জোর দেন, যাতে সব ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে এসব জিনিস পায়।
ডিমের দাম জানুয়ারির বিপরীতে প্রতি ডজনে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে, যা নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠী এবং সীমিত আয়ের লোকদের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গতকাল ঢাকায় কিচেন মার্কেট পরিদর্শন করে এ প্রতিবেদক দেখেন, আকার ও মানের ওপর নির্ভর করে খামারে উৎপাদিত এক ডজন মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। কয়েকটি সুপার শপে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
অন্যদিকে হাঁসের ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৮০ টাকা এবং ফ্রি-রেঞ্জ (স্থানীয়) মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।
বাংলাদেশ ডিম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী ইউএনবিকে বলেন, ডিমের চাহিদা এখনও বেশি, অথচ উৎপাদন কিছুটা কমেছে।
মহামারিতে লকডাউনের সময় অনেক খামার তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল এবং উচ্চ পরিচালন ব্যয়ের কারণে এখনও উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই
রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই
রমজানকে সামনে রেখে গরুর গোশত ও ব্রয়লার মুরগির উচ্চমূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পণ্য আমদানির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবে এফবিসিসিআই।
‘আমরা ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশতের ক্রমবর্ধমান দামে উদ্বেগ প্রকাশ করে জসিম বলেন, ‘এই অবস্থা চলতে থাকলে সরকারের উচিত আমদানি করা।’
বৃহস্পতিবার ফেডারেশন ভবনে রমজান মাসকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারদর নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রধান।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগি এখন ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং সরকার যদি মনে করে মুরগি আমদানি করলে দাম কমবে তাহলে সেদিকে যাওয়া উচিত।
তিনি বলেন, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতে গরুর গোশত বিক্রি না হলেও প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত যদি গরুর গোশত আমদানি করে প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশিরা কেন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গরুর গোশত এত বেশি দামে কিনতে হবে?
তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্প রক্ষায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
এফবিসিসিআই প্রধান বলেন, স্থানীয় শিল্প যদি সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর গোশত ও ব্রয়লার মুরগি সরবরাহ করতে না পারে, তাহলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য আমদানির অনুমতি দিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া উচিত।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমদানি করে বাজারদর কমে গেলে তা করতে হবে। জনগণ যদি ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে না পারে, তাহলে শিল্পের কথা চিন্তা করে লাভ নেই।’
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে চাহিদার চেয়ে বেশি খেজুর আমদানি হয়েছে। শুধু খেজুর নয়, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, যেসব ব্যবসায়ী সংগঠন বেশি দাম নেয় তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমরা চাই না কোনো ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক বা রমজানে উচ্চমূল্যের জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হোক।’
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এম এ মোমেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যসহ পণ্য ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে বাজারে হুমড়ি খেয়ে না পড়লে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না: টিপু মুনশি
ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
সম্প্রতি ঈদ ফেস্টিভ্যাল শীর্ষক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনটি ২৩শে মার্চ থেকে আগামী ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। যেখানে থাকছে মেগা ডিল, হট ডিল, ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার, দারাজ ক্লাব-কয়েন বুস্ট, শেইক শেইক, মিস্ট্রি বক্স এবং আরও আকর্ষণীয় অফার।
এছাড়াও, ক্যাম্পেইন চলাকালিন গ্রাহকরা তাদের কেনা পণ্য রিভিউ করে জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় গিফট।
ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে এই ক্যাম্পেইনে বাটা, হ্যায়ার, ইনফিনিক্স, লোটো, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, ডেটল ও লাইফবয় এর মত ব্র্যান্ড পার্টনারদের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে গোল্ড স্পন্সর- ফ্যাব্রিলাইফ, ফার্নিকোম, গোদরেজ, ম্যানফেয়ার, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, মটোরোলা, নেসক্যাফে, সিঙ্গার, ডাভ এবং সিলভার স্পন্সর বাজাজ ইলেকট্রিকালস, লগিটেক, লুই উইল, বিয়ার্ডো, স্কিন পিওর, ভিট, রিবানা, স্কেমেই, স্টোন রোজ, স্বপন্স ওয়ার্ল্ড, টিপি-লিংক, রিন এবং অরাইমো- এর মতো ব্র্যান্ড পার্টনাররা।
আরও পড়ুন: ‘রমজান বাজার’ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো দারাজ বাংলাদেশ
এছাড়াও এই ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এইচএসবিসি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক; এবং নন কমার্শিয়াল পার্টনার হিসেবে থাকছে লিয়া'স বিউটি বক্স, গ্ল্যামফ্রিক বাই ফারিন, পাউডার রুম বাই এশা রুশদি, ল্যাভিশ বুটিক এবং পালস হেলথ কেয়ার।
ঈদ ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘আমরা এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের পুরো মাস জুড়ে সাশ্রয়ী কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের সেরা ডিল ও অফার দেয়ার বিষয়টি দারাজ বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। আমাদের ঈদ ফেস্টিভ্যালও তারই অংশ। আমরা আমাদের স্পন্সর ও পার্টনারদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, তাদের কারণেই এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত।
সোমবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান ভারত চেম্বার অব কমার্সের নেতারা।
বিডা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়াঁ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সভায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিনিয়োগের বিভিন্ন খাত, বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা এবং বিডা’র সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বিডা’র মহাপরিচালক জনাব শাহ মোহম্মদ মাহাবুব।
এ সময়ে সভাপতির বক্তব্যে, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, গত একযুগে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও, দারুণ সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের অন্যতম সেরা গন্তব্যে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান বাজার এবং আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংখ্যা ও দিন দিন বাড়ছে।
এছাড়াও আমরা ইতোমধ্য ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৭টি হাইটেক পার্ক স্থাপনসহ নানাবিধ বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
যার ফলে বাংলাদেশ এক দশক পরেই একটি উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে, তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময়।
এসময়ে ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এন জি খইতান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ভারত বাংলাদেশ সবসময়ে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। গত দশ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে পড়ার মত, ভারতীয় বিনীয়গকারীগণ সব সময়েই বাংলাদেশের এই উন্নয়নের সহযোগী হতে আগ্রহী।
সভায় ভারত চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি অভিক রয় বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো যাচাইয়ের জন্য আমরা চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছি।
এছাড়া বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন খাত যাচাই করব। আমাদের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনয়োগ করতে আগ্রহী।
এ সময়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
৪৮টি পদে ঢাকা কাস্টম হাউজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
কাস্টম হাউস, ঢাকা একাধিক পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিষ্ঠানে ১১টি ক্যাটাগরির পদে ১২ থেকে ২০ শ্রেণি পর্যন্ত ৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পিএসসির নন-ক্যাডারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: ২৯৫৩ শূন্য পদে চাকরি
১. পদের নাম: পরিসংখ্যান গবেষক
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত/পরিসংখ্যান/অর্থনীতিতে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১১,৩০০ টাকা থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
২. পদের নাম: টাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএ সহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া কম্পিউটারে দক্ষতা এবং ন্যূনতম ট্রান্সক্রিপশন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৮০ শব্দ এবং বাংলায় ৫০।
এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ের সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: সিনিয়র সহকারী
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএসহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়।
কম্পিউটার দক্ষতা এবং ন্যূনতম কম্পিউটার টাইপিং গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ।
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ (গ্রেড-১৪)
৪. পদের নাম: ক্যাশিয়ার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএসহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার দক্ষতা এবং ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৭০ শব্দ এবং বাংলায় ৪৫ শব্দের ন্যূনতম প্রতিলিপি গতি; কম্পিউটার টাইপিংয়ের সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ (গ্রেড-১৪)
৫. পদের নাম: অফিস ক্লার্ক কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার দক্ষতা এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ের ন্যূনতম গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ এবং বাংলায় ২০ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
৬. পদের নাম: ড্রাইভার
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পাস। হালকা গাড়ি চালানোর বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং যানবাহন অভিজ্ঞ চালকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
৭. পদের নাম: টেলিফোন অপারেটর
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬৯ পদে বেসামরিক লোকবল নিয়োগ দেবে
৮. পদের নাম: সিপাহী
পদ সংখ্যা: ৩৫
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। পুরুষদের জন্য উচ্চতা নূন্যতম পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, মহিলাদের জন্য ন্যূনতম পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। বুকের মাপ সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৩২ ইঞ্চি (উভয় ক্ষেত্রেই)।
বেতন স্কেল: ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ (গ্রেড-১৭)
৯. পদের নাম: ডেসপ্যাচ রাইডার
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগের সমমানের জিপিএ সহ এসএসসি বা সমমানের পাস। মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা বৈধ লাইসেন্সধারী হতে হবে। কম্পিউটারে দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ (গ্রেড-১৮)
১০. পদের নাম: নকল মেশিন অপারেটর
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। নকল পরিচালনায় দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ (গ্রেড-১৮)
১১. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ (গ্রেড-২০)
যেসব জেলায় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন:
মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনী, জয়পুরহাট এবং গাইবান্ধা ছাড়া সব জেলায় এক থেকে ১০ নম্বরের পদের জন্য।
ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, নওগাঁ ও বরগুনা জেলা ব্যতীত ১১ নম্বর পদের জন্য।
তবে, এতিম ও সকল জেলার শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়স সীমা:
সাধারণ প্রার্থী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, এতিম, আনসার-ভিডিপি প্রার্থী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধ/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধের নাতি-নাতনিদের জন্য ১লা মার্চ ২০২৩ তারিখে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর।
যদি আবেদনকারীর বয়স ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে হয় তবে প্রার্থী আবেদন করার যোগ্য হবেন।
ক্লার্ক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট, নিউমিসম্যাটিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার নিউমেরোলজিস্ট পদের জন্য বিভাগীয় প্রার্থীদের মেয়াদ ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
ঢাকা কাস্টমস চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কীভাবে আবেদন করবেন:
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে (http://dch.teletalk.com.bd/) ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে ডায়াল করতে পারেন অথবা [email protected] ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।
এছাড়া টেলিটকের জব পোর্টালের ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারবেন।
মেইল এবং মেসেজের বিষয় উল্লেখ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠান এবং অবস্থানের নাম, ব্যবহারকারী আইডি এবং যোগাযোগ নম্বর। একজন প্রার্থী শুধুমাত্র একটি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ঢাকা কাস্টম হাউসের ওয়েবসাইটে (https://www.dch.gov.bd/) জানা যাবে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের চাকরির জন্য আবেদন ফি:
অনলাইনে ফর্ম পূরণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে, এক নম্বর পোস্টের জন্য ৩০০ টাকা এবং টেলিটকের ৩৪ টাকা সার্ভিস চার্জ সহ মোট আবেদন ফি ৩৩৪ টাকা।
টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে ২০০ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা এবং দুই থেকে সাত নম্বর পদের জন্য ২৩ টাকা এবং আট থেকে ১১ নম্বরের জন্য ১০০ টাকা এবং টেলিটক সার্ভিস চার্জ টাকা ১২ সহ মোট ২২৩ টাকা জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৩ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল, বিকাল ৪টা।
আরও পড়ুন: ১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ৯৩ জন