ব্যবসা
ব্যাংকের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ, লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা
ব্যাংকের লেনদেনের এবং অফিসের নতুন সময় ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সকল ব্যাংক সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকারদের জন্য নতুন লেনদেনের সময় ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের নতুন সার্কুলার অনুযায়ী রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর অফিস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্যাংকারদের জন্য বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অফিস সময় কার্যকর আছে।
এরআগে সরকার চলতি বছরের ২২ আগস্ট বিদ্যুতের স্বল্প সরবরাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সমস্ত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এবং সমস্ত ব্যাঙ্কের জন্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিসের সময় পুনর্বিন্যাস করে।যা ২৪ আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের হিসাবে আরও কমে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ!
ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আইএমএফ দল
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা নেই
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২০℅ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ২০২১-২২ অর্থবছরে নীট লাভ করেছে ২২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
বিএসসি ২০২০-২১ অর্থবছরে নীট লাভ করেছিল ৭২ কোটি ০৩ লাখ টাকা। বিএসসি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে নীট লাভ করেছে ৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে নীট লাভ করেছিল ৬৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার ঢাকায় বিএসসি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত বিএসসির পরিচালনা পর্ষদের ৩১৪ তম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: বন্দর ও শিপিং এজেন্সির জরিমানা মওকুফের আহ্বান ব্যবসায়ীদের
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয় যে, চীন সরকারের সহায়তায় বিএসসি চীন থেকে চারটি নতুন জাহাজ সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে দু’টি ক্রুড ওয়েল ট্যাংকার; যার প্রতিটির ধারণক্ষমতা এক লাখ ডেড ওয়েট টন। দু'টি ৮০ হাজার টন (প্রতিটি) ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ক ক্যারিয়ার। এজন্য ব্যয় হবে ২৪১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। দু'টি ক্রুড ওয়েল মাদার ট্যাংকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫১ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার। দু'টি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহে ব্যয় হবে ৮৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল, স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর এম শাহজাহান মিনা, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মো. আবদুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহমান খান, বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এস এম মনিরুজ্জান, বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) ড. পীযূষ দত্ত ও বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (প্রযুক্তি) মোহাম্মদ ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাথে সরাসরি শিপিং লাইন স্থাপন করবে মালদ্বীপ
চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
রেমিটেন্স: প্রতি ডলার ১০৭ টাকা নির্ধারণ করল কেদ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০৭ টাকা করে রেমিটেন্স দিতে দেশের সিডিউল ব্যাংকগুলোকে বলেছে।
একজন রেমিটেন্স প্রেরণকারী এখন ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠালেও প্রতি ডলার ১০৭ টাকা পাবেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর, ২০২২) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন(বাফেডা)-এর মধ্যে এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতি ডলারে প্রেরকরা পাচ্ছেন ৯৯ দশমিক ৫০ টাকা। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ ব্যাপকভাবে কমেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
এ ছাড়া এখন থেকে রেমিটেন্স সংগ্রহের জন্য ব্যাংকগুলো কোন প্রকার ফি নেবে না। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান বাস্তবতায় ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব উৎস থেকে ডলার নিয়ে এলসি খুলতে হবে বলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও কাজী সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) সেলিম আরএফ হোসেন, ব্যাংকগুলোর পক্ষে বাফেডার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স সংগ্রহকে উৎসাহিত করতে দেশের বাইরে এক্সচেঞ্জ হাউসের সংখ্যা বাড়াতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
ব্যাংকগুলো এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
২৫% রেমিটেন্স কমেছে সেপ্টেম্বরে, স্থির বিনিময় হারকে দায়ী করছেন ব্যাংকাররা
মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেভাবে আবেদন করবেন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ভূমধ্যসাগর ঘেরা এক দ্বীপদেশ মাল্টা। সিসিলি ও উত্তর আফ্রিকার উপকূলের মধ্যবর্তী এই দক্ষিণ ইউরোপীয় অঞ্চলটি বুকে ধারণ করে আছে রোমান, মুরস, ফরাসি ও ব্রিটিশ শাসকদের কিংবদন্তি। জীবনধারণের উপযুক্ত জায়গা হিসেবেও প্রসিদ্ধ দেশ এটি।
বেশ কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশটি তৃতীয় বিশ্ব থেকে প্রচুর জনবল নিচ্ছে। বিশেষত করোনা মহামারির পরিণতি স্বরূপ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মত এখানেও বিভিন্ন সেক্টরে দেখা দিয়েছে কর্মী সংকট। ফলে বাংলাদেশের জন্য খুলে গেছে এক অপার সম্ভাবনা দ্বার।
বাংলাদেশিদের জন্য আরও সুখবর হচ্ছে- এই সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের রাজধানীতে অস্থায়ী ভাবে চালু হয়েছে মাল্টা কনসুলেট। এর অর্থ- মাল্টার ভিসার জন্য আগের মতো আর ভারতমুখী হতে হবে না। চলুন, কীভাবে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা জেনে নেয়া যাক।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম: কীভাবে পাবেন মালয়েশিয়ান গোল্ডেন ভিসা বা ইনভেস্টর ভিসা?
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সমাচার
দ্বীপদেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য চাকরি ভিসার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। বাংলাদেশে মাল্টার কোনো হাইকমিশন না থাকায় বাংলাদেশিদেরকে ভারতের ভিএফএস(ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সার্ভিস) গ্লোবালের শরণাপন্ন হতে হতো ভিসা পাওয়ার জন্য। সেখানে আবেদনসহ ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হতো। এটি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা নিজেরাই আবেদন করেন। আর যারা বিভিন্ন এজেন্সির সহায়তা নেন তাদের গুণতে হতো প্রায় আট থেকে ১০ লাখ টাকা।
এই ভিসার আবেদনটি আবেদনকারির নিয়োগকর্তা বা প্রত্যাশিত নিয়োগকর্তা দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। ন্যূনতম ১৮ বছর ও সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের মধ্যে এই জব ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এই ওয়ার্ক পারমিট একবার ইস্যু হলে, ভিসাধারী শুধুমাত্র একজন নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনেই কাজ করতে পারেন। একই লাইসেন্স ব্যবহার করে তিনি অন্য কোনো নিয়োগকর্তার সঙ্গে বা একাধিক কাজ করতে পারেন না।
এই কর্মসংস্থান লাইসেন্সগুলো বছর বছর নবায়ন করতে হয়। এই ভিসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। আর মাল্টায় কাজের জন্য তাদের স্থানীয় মাল্টীয় ভাষা জানতে হয় না; ইংরেজি দিয়েই কাজ চালানো যায়। ঢাকায় ভিসা কনসুলেট চালু হওয়ায় মাল্টাগামী জনসাধারণের আর দালালদের খপ্পরে পড়ে লাখ লাখ টাকা খোয়াতে হবে না।
আরো পড়ুন: দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার পদ্ধতি
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ আবেদনকারী স্বাক্ষরসহ যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্র
→ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে সদ্য তোলা ৬ কপি রঙিন ছবি (৩৫ মিলিমিটার/৪৫ মিলিমিটার)।
→ মাল্টায় থাকার পর থেকে শুরু করে ন্যূনতম তিন মাস অতিরিক্ত সময়ের জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে। পাসপোর্টের কমপক্ষে তিনটি ফাঁকা পৃষ্ঠা প্রয়োজন। মুলত পুরো পাসপোর্টই আসল ও অনুলিপিসহ দিতে হবে। পুরানো পাসপোর্ট থাকলে সেটিও সরবরাহ করতে হবে।
→ বিদেশী ভ্রমণের জন্য চিকিৎসা বীমা। বীমা যেন আবেদনকারীর ন্যূনতম ৩০ হাজার ইউরো বা তার সমতুল্য সমস্ত ঝুঁকির (দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, জরুরী চিকিৎসা, স্থানান্তর ইত্যাদি) কভার করতে পারে। এখানে বীমার বৈধতার সময়কাল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং তা যেন মাল্টায় ভ্রমণের তারিখ থেকে কমপক্ষে ৯১ দিন কভার করতে পারে।
→ নিয়োগকর্তার কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র/কভারিং লেটার, যেখানে আবেদনকারীর পেশাগত অবস্থা এবং মালটায় কি কাজ করা হবে তার কাজের বিবরণ থাকবে। আমন্ত্রণপত্রটিতে অবশ্যই অনুমোদিত ব্যক্তির স্বাক্ষর, নাম এবং পদবি উল্লেখ থাকতে হবে। স্বাক্ষরিত কর্মসংস্থান চুক্তিটির ম্যাল্টিজ নোটারি পাবলিক দ্বারা প্রত্যয়িত কপি লাগবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত একটি ডিকলারেশন লেটার সংযুক্ত করতে হবে।
আরো পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
→ আইডেন্টিটি পত্র। এটি আবেদনকারি যে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য অনুরোধ করেছেন তার স্বীকারক্তি। এখানে আবেদনকারির দক্ষতা/যোগ্যতা; মুক্ত পেশাজীবীদের জন্য বোর্ড সদস্যতার প্রমাণ; অথবা ডাক্তারদের ক্ষেত্রে মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের চিঠি ফটোকপিসহ আসল কপি জমা দিতে হবে।
→ বাসস্থানের প্রমাণ। হোটেল বুকিং/স্বাক্ষরিত ইজারা চুক্তি/প্রমাণের ঘোষণাপত্র যে কোন একটির স্বাক্ষরিত কপি এবং হোস্ট/মালিকের আইডি কার্ডের ফটোকপি। সঙ্গে ম্যাল্টিজ পাবলিক নোটারি দ্বারা প্রত্যয়িত কপি লাগবে।
→ ইউরো পাস ফরমেটে আবেদনকারির স্বাক্ষরিত সিভি, যেখানে রেফারেন্সসহ কমপক্ষে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
→ পিসিসি(পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ)। এটি আবেদনকারি দেশের কোনো অপরাধ না করে বৈধভাবে মাল্টা যাচ্ছেন তার প্রমাণপত্র।
আরো পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সমাচার: গোল্ডেন ভিসা ও গ্রিন ভিসা
মাল্টার জব ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদনের উপায়
সমস্ত নথি ক্রমানুসারে প্রস্তুত হয়ে গেলে ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইট থেকে ভিসার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। এই ফর্মটি সঠিক তথ্য দিয়ে ভালোভাবে পুরণ করে সহায়ক কাগজপত্রগুলো একসঙ্গে করে একটি ফাইল প্রস্তুত করতে হবে। এই ফাইলটি ভিসা কনসুলেটে জমা দিলেই আবেদন সম্পন্ন হবে।
ভিএফএস গ্লোবালে আবেদনকারিদের আবেদনের পর ইমেল ও ফোনের মাধ্যমে একটি ট্র্যাকিং কোড পাঠানো হয়। এই ট্র্যাকিং কোড দিয়ে ভিসার সর্বশেষ স্ট্যাটাস জানা যায়। এর জন্য আবেদনকারির শেষ নামসহ ভিসা আবেদন কেন্দ্র দ্বারা সরবরাহকৃত চালান/রশিদে উপস্থিত রেফারেন্স নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি
একটি একক পারমিটের আবেদনের জন্য খরচ ২৮০ দশমিক ৫০ ইউরো বা প্রায় ২৮ হাজার ২০৬ বাংলাদেশি টাকা, যেটি আবেদন জমা দেয়ার মুহূর্তে দিতে হয়। যে কোনো ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে এই টাকা জমা দেয়া যাবে। এছাড়া ব্যাংকে গিয়েও টাকা জমা দেয়া যাবে। ব্যাংক থেকে একটি জমা রশিদ সরবরাহ করা হবে। সেটি আবেদনপত্রের সঙ্গে দেয়ার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
আরো পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদনপত্র কোথায় জমা দিবেন
প্রয়োজনীয় সংযুক্তিগুলো সব একসঙ্গে করে আবেদন ফর্মের সঙ্গে এক ফাইলে জমা করতে হবে। তারপর চলে যেতে হবে ঢাকার মাল্টা কনসুলেট অফিসে। তারা আবেদনপ্রাপ্তি স্বীকার করে একটি টোকেন দিবে, যেখানে ভিসা প্রদানের তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই টোকেন দেখিয়ে নির্দিষ্ট দিনে পাসপোর্ট-ভিসা সংগ্রহ করা যাবে।
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রক্রিয়াকরণের সময় তিন থেকে সাড়ে তিন মাস। এটি অনেক সময় চার মাস পর্যন্ত হতে পারে। সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পাসপোর্টে একটি স্টিকার ভিসা যুক্ত করে দেয়া হয়। এটিই মালটার ভিসা; মূলত মাল্টার কোনো ই-ভিসা ইস্যু হয় না। ভিসা সংগ্রহের জন্য আবেদনকারিকে নিজেকেই উপস্থিত হতে হবে।
কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তার পক্ষ থেকে মনোনীত প্রতিনিধিকে পাওয়ার অব এটর্নি দিতে হবে। অতঃপর সেই মনোনীত প্রতিনিধি তার হয়ে তার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। চূড়ান্তভাবে মালটার মাটিতে পা রাখতে রাখতে সর্বমোট ছয় থেকে সাত মাস সময় লেগে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: আসিয়ান দেশগুলোর জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণনীতি পুনরায় চালু ইন্দোনেশিয়ার
ভিসার মেয়াদ কত দিনের
মাল্টায় কাজের জন্য অনুমিত এই ভিসার মেয়াদ দুই বছর। সময়টি প্রয়োজনে বাড়িয়ে নেয়া যেতে পারে। তবে এই মেয়াদ বৃদ্ধিটা নির্ভর করবে নিয়োগকারির সাথে কর্মচারির চুক্তির উপর।
শেষাংশ
পূর্বে বাংলাদেশে ভিসা প্রসেসিং-এর ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সমস্যা জনিত কারণে অনেকেরই মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আটকে ছিলো। এবার তারা এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। এর জন্য ভিএফএস সেন্টার থেকে ইমেইলকৃত ট্র্যাকিং নাম্বারটি ব্যবহার করে দিয়ে ভিসা স্ট্যাটাসটির স্ক্রিনশট নিতে হবে। এরপর তার প্রিন্ট কপি নিয়ে তার সঙ্গে ভিসা আবেদনের সময় যে কাগজপত্র দেয়া হয়েছিলো তার এক সেট কপি সঙ্গে নিতে হবে। তারপর ঢাকা কনসুলেট অফিসে গেলেই দেয়া হবে মাল্টার জব ভিসা।
মালটায় সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজের সুযোগ রয়েছে, যেটা সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ইমারত শ্রমিক হিসেবে প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি বৈধভাবে মাল্টায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সবদিক থেকে মাল্টা সরকারের এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য একদিকে যেমন বেশ লোভনীয়, অন্যদিকে বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয়ের জন্যও এক দারুণ সম্ভাবনা।
আরো পড়ুন: ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া
ব্যাংকগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এসিইউ লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিবি’র
ব্যাংকগুলোকে এসিইউ পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ বৃহস্পতিবার একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
এসিইউ হল এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আন্তঃআঞ্চলিক লেনদেনের জন্য আমদানি পেমেন্ট নিষ্পত্তি করে।
আরও পড়ুন: ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আইএমএফ দল
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এসিইউ এর সদস্য। যার সদর দপ্তর তেহরানে। দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রতি দুই মাস অন্তর অর্থ প্রদান করতে হয়।
কোনো বাংলাদেশি ব্যাংক যদি শ্রীলঙ্কার কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে চায়, তাহলে তারা এসিইউ সিস্টেমকে উপেক্ষা করে তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি পরিচালক পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
আইএমএফের সঙ্গে ঋণ নিয়ে আলোচনা সন্তোষজনক: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈশ্বিক ঋণ সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আই্মেএফ) কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রথম দফা সংলাপ সন্তোষজনক ছিল।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার বৈঠকে যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে তারা খুবই আশাবাদী।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আজকের বৈঠক সফলভাবে শেষ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের আলোচনা খুবই সন্তোষজনক ছিল। উভয় পক্ষই একে অপরকে সহযোগিতা করেছে এবং আইএমএফ দল এখন পরিস্থিতি জানে।’
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বাস্তব পরিস্থিতি এবং সামষ্টিক অর্থনীতির অবস্থা বুঝতে চায়।
আরও পড়ুন: মূল সুদের হার বাড়াল শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়েদুর রহমান ও আহমেদ জামাল, প্রধান অর্থনীতিবিদ মো. হাবিউর রহমান।
আজাদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্যসহ আইএমএফ দলের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, আইএমএফ দল রিজার্ভের বিষয়েও স্পষ্ট তথ্য চেয়েছিল। কারণ বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ গণনা করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান রিজার্ভ প্রায় ৩৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি রিজার্ভ গণনার জন্য আইএমএফের মান অনুসরণ করে, তবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কায় আরও এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ
আইএমএফ দল বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) জন্য ব্যয় করা ৭-৮ বিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কাকে দেয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ বাদ দিতে বলেছে।
যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ অবস্থান ম্যানুয়াল অনুযায়ী গণনা করা হয়; বাংলাদেশ নেট ও মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা করে। ইডিএফসহ বিভিন্ন তহবিলে প্রদত্ত তহবিলগুলো নেট গণনা থেকে বাদ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের নেট বা মোট হিসাব প্রকাশ করে।
বৃহস্পতিবারের আলোচনা ছয়টি অধিবেশনে বিভক্ত ছিল। যার মধ্যে তিনটি অধিবেশনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন, ব্যাংকিং খাতের কর্মক্ষমতা, বিনিময় হার, আন্তঃব্যাংক ঋণ, রপ্তানি পরিস্থিতি, আমদানি সীমাবদ্ধতা এবং এফডিআই প্রক্ষেপণ এবং দীর্ঘমেয়াদি খেলাপি ঋণ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
খুলনায় বিডিজবস চাকরি মেলায় ১ হাজার জনের চাকরির সুযোগ
খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর চাকরি মেলা আয়োজন করেছে শীর্ষ চাকরির ওয়েবসাইট বিডিজবস ডটকম। ঢাকা ও খুলনার ৪০ টি শীর্ষ কোম্পানী এক হাজারের এর অধিক জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজারে বিডিজবস মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিডিজবস ডটকমের মার্কেটিং ডিরেক্টর প্রকাশ রায় চৌধুরী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মোসাদ্দিক বিন কামাল, মাজহারুল ইসলাম মঞ্জু, হেলাল উদ্দীন ও মেলার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী ফিরোজ।
প্রকাশ রায় চৌধুরী বলেন, আমাদের চাকরির বাজারের বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে হাজার হাজার চাকরি প্রত্যাশী বেকার থাকে সত্বেও কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে পারছে না। এই সমস্যা সমাধানে বিডিজবস ডটকম গত ১৫ বছর ধরে চাকরি প্রত্যাশী এবং নিয়োগদাতাদের এক ছাদের নিচে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে এই চাকরি মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। অনেকেরই হয়তো চাকরি হবে না, কিন্তু তারা কোম্পানীর চাহিদা, নিয়োগ প্রক্রিয়া সহ চাকরির জন্য নিজেকে তৈরী করার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবে।
চৌধুরী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার চাকরি প্রার্থী অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছে। আমরা আশা করছি ২২ থেকে ২৫ হাজার চাকরি প্রার্থী এই মেলায় অংশগ্রহণ করবে।২৭ অক্টোবর সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাকরি প্রার্থীরা অংশগ্রহণকারী কোম্পানির স্টলে আবেদন পত্র জমা দিতে পারবেন। একজন প্রার্থী একাধিক কোম্পানিতে একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন। মেলায় অংশ নিতে চাকরি প্রার্থীদের অনলাইনে www.bdjobs.com/jobfair ঠিকানায় লগইন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিডিজবস ডট কম চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগদাতাদের সংযোগ তৈরি করতে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরে চাকরি মেলার আয়োজন করে থাকে।
দেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোতে হাজার হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি হয় এ মেলার মাধ্যমে। এই চাকরি মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম এটুআই ও ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।
খুলনায় বিডিজবস চাকরি মেলায় ১ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ
খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর চাকরি মেলা আয়োজন করেছে শীর্ষ চাকরির ওয়েবসাইট বিডিজবস ডটকম। ঢাকা এবং খুলনার ৪০টি শীর্ষ কোম্পানি ১ হাজারের এর অধিক জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিডিজবস মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিডিজবস ডটকমের মার্কেটিং ডিরেক্টর প্রকাশ রায় চৌধুরী এ কথা জানান।
প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ রায় চৌধুরী বলেন, আমাদের চাকরির বাজারের বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে হাজার হাজার চাকরি প্রত্যাশী বেকার থাকে সত্বেও কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে পারছে না। এই সমস্যা সমাধানে বিডিজবস ডটকম গত ১৫ বছর ধরে চাকরি প্রত্যাশী এবং নিয়োগদাতাদের এক ছাদের নিচে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে এই চাকরি মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। অনেকেরই হয়তো চাকরি হবে না, কিন্তু তারা কোম্পানির চাহিদা, নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ চাকরির জন্য নিজেকে তৈরি করার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবে।
চৌধুরী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার চাকরি প্রার্থী অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছে। আমরা আশা করছি ২২ থেকে ২৫ হাজার চাকরি প্রার্থী এই মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, ২৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাকরি প্রার্থীরা অংশগ্রহণকারী কোম্পানির স্টলে আবেদন পত্র জমা দিতে পারবেন। একজন প্রার্থী একাধিক কোম্পানিতে একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন।
মেলায় অংশ নিতে চাকরি প্রার্থীদের অনলাইনে www.bdjobs.com/jobfair ঠিকানায় লগইন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিডিজবস ডট কম চাকরি প্রার্থীদের সাথে নিয়োগদাতাদের সংযোগ তৈরি করতে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরে চাকরি মেলার আয়োজন করে থাকে। দেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোতে হাজার হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি হয় এ মেলার মাধ্যমে। এই চাকরি মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম এটুআই এবং ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।
ভোলা থেকে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা করছে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, জ্বালানি সংকট নিরসনে সরকার ভোলা জেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় আট কোটি ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফডি) জাতীয় নেটওয়ার্কে সরবরাহের পরিকল্পনা করছে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত 'শিল্প খাতে জ্বালানি সংকটের প্রভাব প্রশমন' শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, আমরা আশা করি তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ভোলা থেকে গ্যাস আনতে পারব।
তিনি ব্যবসায়ীসহ সকলকে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর আহ্বানও জানান।
তিনি ব্যবসায়ীদের সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধান হিসাবে গ্যাস আমদানির দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, ‘আপনারা যদি দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখেন। তবে সেটি বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতিতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।’
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সহ-সভাপতি স্বপ্না ভৌমিক, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইসিসিআই)। বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি আফতাব হোসেন অপূর্ব ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন এ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা করেন এবং অর্থনীতিবিদ জাইদী সাত্তারও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সঙ্কট মোকাবিলায় এক দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে বছরে ৪০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানির ব্যবসায়ীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এটি সম্ভব নয় যে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আর্থিক সংকট মোকাবিলায় সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমারা আমাদের বিপদে ফেলেছে: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমরা জানি না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কখন শেষ হবে।’
বিদ্যুৎ সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে এবং সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কিছু গ্যাস সরিয়ে শিল্পকারখানায় দিতে পারবে।
এছাড়াও, সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে।
ইজাজ হোসেন তার উপস্থাপনায় বলেন, জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের কাছে কিছু বিকল্প রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দাম কমতে থাকায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা এবং বিশেষ করে গাজীপুর, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের সিএনজি স্টেশন, গৃহস্থালী গ্রাহক ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শিল্পে গ্যাস সরানো এবং সরকার সার কারখানা বন্ধ করে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো গ্যাস সরবরাহ বাড়াবে, তবে লোডশেডিং বাড়াতে পারে।’
ড. বিনায়ক সেন বলেন, সার কারখানা বন্ধ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো ভালো বিকল্প হতে পারে না। তিনি বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে খাদ্য উৎপাদনে কৃষিকে সহায়তা করা।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম পারভেজ বলেন, তীব্র গ্যাস সংকট ও লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক শিল্পকে তাদের উৎপাদন স্থগিত করতে হচ্ছে। ফলে কাঁচামাল আমদানি কমে গেলেও রপ্তানি কমছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাই, তাহলে শিল্প টিকবে না।
বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, সরকারের উচিত টেক্সটাইল শিল্পে কিছুটা বেশি দামে গ্যাস সরবরাহ করা।
তিনি বলেন, ‘অপেক্ষাকৃত বেশি দামে গ্যাস পেলে আমরা টিকে থাকতে পারি। কিন্তু গ্যাস না পেলে আমরা টিকে থাকতে পারি না।’
এ কে আজাদ বলেন, পোশাক কারখানার মালিকদের দিনের বেলা তাদের কার্যক্রম স্থগিত করতে হয় এবং এখন পরিস্থিতি তাদের জনবল কমাতে বাধ্য করছে। ‘কিন্তু আমরা যদি কর্মচারীদের বরখাস্ত করি, তাহলে সমাজ ও অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে? এটি একটি বড় প্রশ্ন।’
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানি অব্যাহত থাকবে, আরও টার্মিনাল স্থাপন হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জ্বালানি আমদানিতে বাধা হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি পরিচালক পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সহকারি পরিচালক (সাধারণ) পদে আগামী ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক।
আরও পড়ুন: গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ আগামী সপ্তাহে সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রায়াল হবে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
একই সঙ্গে এই পদে নিয়োগের জন্য জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করে চাকরি প্রত্যাশীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ শে মার্চ নির্ধারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। অর্থ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হিউম্যান রিপোর্ট বিভাগের পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক এই সহকারি পরিচালক (সাধারণ) পদে নিয়োগের জন্য গত ১০ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু গত ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের বয়সসীমার ক্ষেত্রে ৩৯ মাস ছাড় দেন।
২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করার জন্য বলা হয় এই বিজ্ঞপ্তিতে।
বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,কোভিডের কারণে যেসব মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন অধিদপ্তর,পরিদপ্তর,দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ,স্বায়ত্তশাসিত ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস) ছাড়া সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, ফলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যেসব প্রার্থীর বয়স ৩০ হয়ে গেছে,তারা আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিত সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।
কিন্তু এই বয়সসীমা ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সহকারি পরিচালক (সাধারণ) পদে জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করে পুনরায় জারি করা হয়নি। এতে করে অনেক চাকরি প্রত্যাশী আবেদন থেকে বঞ্চিত হন। এরকমই বঞ্চিত একজন চাকরি প্রত্যাশী বয়সের ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পুনরায় জারি করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি পরিচালক (গবেষণা), সহকারি পরিচালক (পরিসংখ্যান), অফিসার (পুরকৌশল), অফিসার (তড়িৎকৌশল), অফিসার (যন্ত্রকৌশল) এবং অফিসার (জেনারেল) পদে নিয়োগের লক্ষ্যে ২০২১ সালের বিভিন্ন তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিসমূহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারিত করে পুনঃবিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু গত ১০ মে সহকারি পরিচালক জেনারেল) পদে জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি গত ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পুনরায় প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি সহকারি পরিচালক (সাধারণ) পদে ইতিপূর্বে ২০১৯ সালে সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এর প্রায় ৩০ মাস পরে এসে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বয়সের ছাড় দিয়ে বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করা হয়নি।
এজন্য মির্জা রকিবুল হাসান নামের একজন চাকরি প্রত্যাশী বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন।
এর আগে, ওই রিটের প্রাথমি শুনানি নিয়ে ২৮ অক্টোবর এই পদে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত করেন। আইনজীবী রাশেদুল হক বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করা হলে আরও অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার চাকরি প্রত্যাশী যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ পার হয়ে ৩১ বা তার বেশি চলছে তারাও এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। আপাতত হাইকোর্ট নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক