ব্যবসা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
৯ মাস পর শনিবার থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ভারতী চালের আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে দেশের ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রথম দিনে শনিবার এলসির চাল নিয়ে তিন ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ চাল আমদানি
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, '৯ মাস চাল আমদানি বন্ধ ছিল। আমদানিকৃত ভারতীয় চাল দ্রুত বাজারজাত করা হলে চালের দর কিছুটা কমে আসবে।
হিলি আমদানি ও রপ্তানিকারক( সিএন্ডএফ) গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ওপেন করায় শনিবার থেকে চাল আসা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এদিকে, দিনাজপুরের খুচরা বাজারে গুটি স্বর্ণা ৪৬ টাকা, বিআর-২৯ জাত ৪৬ টাকা, মিনিকেট ৬৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৬ টাকা, সম্পা কাটারি-৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এফবিসিসিআই-রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরো শহরে এ স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে নীতিগত ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান, অভিজ্ঞতা বিনিময়, শিল্প ও বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান, বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর, উদ্ভাবন ও গবেষণা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দুটি একমত পোষণ করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মো. জসীম উদ্দিন, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাজিলে বাংলাদেশের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে এই সমঝোতা স্মারকটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, দুই দেশের সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়াই বর্তমানে ব্রাজিল ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ফলে ব্রাজিলের অন্যতম বৃহৎ চেম্বারের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; উভয়মুখী বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আগামী দিনগুলোতেও দুই দেশের ব্যবসায়ীগণকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: সার্বিয়া বাংলাদেশের খাদ্য সংরক্ষণ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী: এফবিসিসিআই
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
জীবন মাত্রই পরিবর্তনশীল। তাই এর সফলতাও দাবি করে পরিবর্তনের। তাই প্রত্যেকেরই চলমান পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দিকে ধাবিত হতে হয়। পেশাদারিত্বের এক অবশ্যাম্ভাবী রসায়ন হচ্ছে নতুন বা পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলোকে গ্রহণ করার সক্ষমতা। এই পরিবর্তন যে কোন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার কথা বলে, কথা বলে নিজেকে আরো গ্রহণযোগ্য করে তোলার। ফলশ্রুতিতে উদীয়মান আত্মবিঃশ্বাস, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব দানের গুণাবলীর পথ ধরে আসে কর্মজীবনে সাফল্য। এই পরিবর্তনের স্পর্শ প্রয়োজন মানুষের ভেতর-বাহির দুই সত্ত্বাতেই। আর এখানেই আসে সেল্ফ-গ্রুমিং-এর পটভূমি। এই সেল্ফ-গ্রুমিং-এর তাৎপর্য নিয়েই আজকের ফিচার।
পেশাগত জীবনের জন্য সেল্ফ-গ্রুমিং
সেল্ফ-গ্রুমিং কোন একটি নিদির্ষ্ট উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিভিন্ন কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে নিজেকে তৈরি করে নেয়া। এই ক্রিয়াকলাপের পরিধি ব্যাক্তিত্বের গ্রুমিং থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত গ্রুমিং পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বাহ্যিক দিক থেকে সাজসজ্জা, অঙ্গভঙ্গিমা, চেহারা এবং স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত থাকলেও আভ্যন্তরীণ দিক থেকে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আচরণ এবং আবেগকে প্রভাবিত করে।
আক্ষরিক অর্থেই একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে এর উপর। সমাজ ও কর্মজীবনে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন সুযোগের উদয় হওয়ার সাথে সাথে প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনাগুলো ক্রমাগত সফলতার দিকে নিয়ে যায়।
পড়ুন: যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
কর্মক্ষেত্রে পেশাদার হয়ে ওঠার জন্য সেল্ফ-গ্রুমিং-এর ১০টি টিপ্স
পেশাদার অঙ্গভঙ্গিমা ও শিষ্টাচার
একজন ব্যক্তির আচরণ হলো তার সবচেয়ে উপযুক্ত পোশাক, যা অন্য সবার কাছে তাকে পরিচিত করে। তিনি কিভাবে হাত ও মাথা নাড়াচ্ছেন, কথা বলছেন, কিভাবে দাড়িয়ে আছেন এবং হাটছেন, এ সবকিছু তার ব্যক্তিত্বকে গড়ে দেয়। এর সাথে শিষ্টাচারের মিথস্ক্রিয়ায় সার্বজনীন এক ভালো লাগা ব্যক্তিত্বের সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রাসঙ্গিক অঙ্গভঙ্গির সাথে তার বিনয়ী ভাব সহজেই মানুষের মন জয় করে নিতে পারে। আর এই গ্রহণযোগ্যতা তার পেশাগত সাফল্যের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
কর্মক্ষেত্রের সাথে মানানসই পোশাক
মানুষের ভেতরটা সুন্দর হলেও আগে দর্শনধারির ব্যাপারটা রয়েই যায়। তাই দক্ষতা যাচাইয়ের পূর্বে দেখার প্রয়োজন হয় তিনি কত সুন্দর ভাবে তার পরিচ্ছেদগুলো বহন করতে পারছেন। তাই কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত শার্ট-প্যান্ট ভাবে ধুয়ে আয়রন করা হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের যদি নিজস্ব কোন পোষাক থাকে তার ক্ষেত্রে এটি সমানভাবে প্রযোজ্য।
খেয়াল রাখা উচিত শরীরের থেকে পোষাক বড় হয়ে যাচ্ছে কিনা। পরিধেয় নির্বাচনে ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে বলেই সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করা উচিত নয়। মৌসুমের কথা খেয়াল রেখে সাধারণ দৃষ্টে গ্রহণযোগ্য কাপড়ের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকি শীতের সময়েও হাল্কা রঙকে প্রাধান্য দেয়া উত্তম।
পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সাজসজ্জার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। অপরিচ্ছন্নতায় দেহের গন্ধ স্বাভাবিক ভাবেই আশেপাশের মানুষের বিরক্তির কারণ হয়। যেহেতু মানুষ নিয়েই কর্মক্ষেত্রের যত কারবার, তাই তাদের স্বস্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।
নিয়মিত গোসলের মাধ্যমে নিজেকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি নিজের ব্যবহৃত যাবতীয় পরিধেয় ধুয়ে ময়লা ও গন্ধমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে সিন্থেটিক এবং টাইট ফিটিং কাপড় এড়িয়ে চলা যেতে পারে।
হাল্কা সুগন্ধি ব্যবহার
সুগন্ধি নির্বাচন ব্যক্তিত্বের একটি উপাদান। ভিন্ন রকমের মানুষের উপর নির্ভর করে সেটা ভালো-খারাপ হতে পারে। তাই একদম ব্যতিক্রম সুগন্ধি পছন্দের ক্ষেত্রে সাবধান থাকা উচিত। হাল্কা সুগন্ধি ব্যবহার করা নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে পরিবেশন করার একটা ভালো উপায়।
এটি সুগন্ধিতে অ্যালার্জি থাকা লোকদের বিরক্তি সৃষ্টি করে না। বর্তমান অতিরিক্ত গরমের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা আবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, অবিরত ঘামতে থাকা শরীরে ঘাম আর সুগন্ধি মিলে আরো বাজে গন্ধ ছড়াতে পারে।
পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পালিশ করা জুতা পড়া
কর্মক্ষেত্রে অবশ্যই স্পঞ্জ, স্যান্ডেল ও স্নিকার্স পড়া ঠিক নয়। সবচেয়ে ভালো শূ, তবে লোফারও পড়া যেতে পারে। কেড্স-এর ক্ষেত্রে খুব বেশি জাকজমক বা ভ্রমণের কেড্সগুলো এড়াতে হবে। শূ বা লোফার যাই পড়া হোক না কেন, তা অবশ্যই পরিষ্কার চকচকে হওয়া চাই। আর এর উপায় হলো পরিষ্কার করে তা নিয়মিত পালিশ করা।
পোশাকের সাথে মানানসই জুতা পড়াটা বেশ অর্থবহ। টেইলর করা শার্ট-প্যান্টের সাথে শূ সবচেয়ে মানানসই হয়। তাছাড়া এটি আপনার একটি নিদিষ্ট সম্মানজনক পদে কাজ করার কথা জানান দেয়।
নিঃশ্বাসের গন্ধের ব্যাপারে সতর্কতা
মানুষের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিঃশ্বাসের সাথে নিঃসৃত গন্ধের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এরজন্য নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাবার আগে দাঁত ব্রাশ করা বাঞ্ছনীয়। ধূমপান করা যাবে না এবং যে কোন খাবার গ্রহণের পর ভালভাবে মুখ ধুরে তারপর কথা বলা আরম্ভ করতে হবে। মুখে মিন্ট ক্যান্ডি রাখা যেতে পারে, তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কথা বলতে সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
চোখে-মুখে প্রাণবন্ত এবং স্বাস্থ্যকর ভাব বজায়
যখন চোখ-মুখ উজ্জ্বল থাকে তখন আত্মবিশ্বাসটা স্বাভাবিকভাবে আরো বেড়ে যায়। ঘুমে ঢুলু ঢুল চোখ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেয়া একেবারেই উচিত নয়। রাতে ভালো ঘুম হওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।
এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং ভিটামিন যুক্ত ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। মুখ ঘন ঘন পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া ভালো। অধিক রোদে বের হওয়ার আগে সর্বদা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো।
মুখমন্ডলের সৌন্দর্য্য
প্রতিটি মানুষের দেহাবয়বের সৌন্দর্য্য সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় মুখের মাধ্যমে। দর্শনধারী শব্দটিকে যুক্তিযুক্ত করতে পোষাক-আষাকের সাথে মুখটাকে ভালোভাবে পরিবেশনযোগ্য করে তুলতে হবে। তবে তা অবশ্যই হতে হবে কর্মক্ষেত্রের সাথে মানানসই। পুরুষের ক্ষেত্রে ক্লিন শেভ্ড করাটা উত্তম তবে দাড়ি রাখতে হবে একটি নির্দিষ্ট স্টাইল বজায় রাখতে হবে। জবুথবু করে অথবা কয়েক দিন পর পর হাল ফ্যাশন অনুযায়ী দাড়ি রাখা যাবে না।
নারীর ক্ষেত্রে অত্যধিক মেকআপ ব্যবহার কর্মক্ষেত্রের পরিবেশটিকে উন্নত করার পরিবর্তে নষ্ট করে দেবে। ন্যাচারাল মেকআপে মুখের কালো দাগ ঢাকার সাথে চোখকে উজ্জ্বল করতে মাসকারা এবং ঠোটে আল্ট্রা-ফাইন লিপস্টিক বা লিপ গ্লস লাগানো যেতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা উচিত।
পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
পরিপাটি চুলের সুনির্দিষ্ট স্টাইল বজায়
পুরো মুখমন্ডলের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে সবচেয়ে কার্যকরি ভূমিকা রাখে মাথার চুল। একটি চুলের স্টাইল একজন ব্যক্তির প্রকৃতি বিচার করতে পারে। তাই মুখের আকৃতির সাথে মানানসই করে চুলের স্টাইল নেয়া উচিত। হাল-ফ্যাশনের হৈচৈ-এর থেকে নিজেকে কোন ধরনের চুলে ভালো লাগছে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার। যে স্টাইলটি বাছাই করা হলো সেটি বজায় রেখে যেতে হবে।
বৈচিত্র্য আনতে অতিরিক্ত বড় আবার একবারে ছোট কিংবা রঙ লাগানো একদমি অপেশাদারিত্বের লক্ষণ। নারীদের ক্ষেত্রে এমনভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে যেন কাজের সময় তা ঝামেলার কারণ হয়ে না দাড়ায়। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করা যেতে পারে, তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে চুল ধোয়ার পর যেন পুরোপুরি তা শুকিয়ে নেয়া হয়।
অলঙ্কার ও ঘড়ি
ঘড়ি ও অলঙ্কার কোন প্রয়োজনীয় ব্যাপার নয়, তবে যদি ব্যাবহার করা হয় সেক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে নির্বাচন করতে হবে। অফিস ড্রেসের সাথে হাত ঘড়ি আরো আভিজাত্য বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের অনুকূল। তবে তা যেন খুব বেশি জাকজমক, কব্জির তুলনায় অনেক বড় আকারের না হয়।
পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
নারীদের ক্ষেত্রে হাতের ব্রেসলেট, কানের দুলেও সিমপ্লিসিটি নিয়ে আসতে হবে। গলার চেইন বা লকেট, কানের দুল, হাতের ঘড়ি ও ব্রেসলেটের সাথে পুরো গেট-আপের সন্নিবেশটা এমন হতে হবে যেন মনে হয় অলঙ্কারগুলো পেশাদার পোষাকটিরই একটা বর্ধিত অংশ।
এখানেও রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ঘন রঙ অপেক্ষা হাল্কা রঙকে প্রাধান্য দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি সেগুলো সঙ্গে নিয়ে কত স্বত্বঃস্ফূর্তভাবে চলাফেরা করতে পারছেন সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
শেষাংশ
এই সেল্ফ-গ্রুমিং-এর পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে পেশাদাররা কর্মজীবনে নিজেদেরকে আরো গ্রহণযোগ্য করে পরিবেশন করতে পারেন। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক জগতে কর্মক্ষেত্রের জন্য পেশাদার চেহারা এবং সাজসজ্জা মেনে চলা অত্যন্ত অপরিহার্য। সামাজিক এবং পেশাগত ক্ষেত্রগুলোতে সর্বদা নিজেকে সেরা দেখতে চাইলে প্রত্যেককেই সময় ও পরিবেশের সাথে নিজের যা আছে তা যাচাই করতে হবে। এই তিনটি জিনিসকে একত্রিত করতে পারলে একজন ব্যক্তি উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাচ্ছে- একটি গণমাধ্যমের এমন খবর নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য কোনো প্রস্তাব করিনি; আইএমএফও আমাদের কাছে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত দুইটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল দেশে সফররত এবং তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে, আইএমএফের একটি পরামর্শক কমিটি এখন দেশে সফর করছে যার কোনো ঋণ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কোনো বিষয় নেই। এই মুহূর্তে আমাদের আইএমএফ থেকে কোনো ঋণের প্রয়োজন নেই। আমরা কোনো অর্থায়নের জন্য কোনো অনুরোধ করিনি; আইএমএফ থেকেও কোনো প্রস্তাব আসেনি।’
আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়া হলেও দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো শর্ত বাংলাদেশ কখনোই মেনে নেবে না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে যাদের ফ্ল্যাট বা জমি আছে তারা কালো টাকার মালিক: অর্থমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, আইএমএফের করা দেশের তালিকা যেখানে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি, আইএমএফেরটা সহ। আন্তর্জাতিক মাল্টিপল ফাইন্যান্সিং এজেন্সিকে বাংলাদেশের ঋণ মাফ করতে হয়নি।’
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের ভিন্ন হিসাব রয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনও উড়িয়ে দেন তিনি। বাংলাদেশের হিসাব মতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । তবে আইএমএফের হিসাব মতে এটি আরও অনেক কম।
আরও পড়ুন: পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাব করছি।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে সাত শতাংশের বিষয়েও দ্বিমত পোষণ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি এই ধরনের সংখ্যা স্বীকার করি না। মুদ্রাস্ফীতি কখনো সাপ্তাহিক বা দৈনিক ভিত্তিতে গণনা করা হয় না... কোনো দেশই এমনভাবে হিসাব করে না।’
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে ৬৭ বিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২০ জুলাই) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও এটি আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছর ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬০ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছিল, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
এদিকে বছর শেষে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি।
যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
দ্রুত বেগে ধাবমান প্রযুক্তির বিশ্বে গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রযুক্তির সাথে সখ্যতা থাকা জরুরি। কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি পর্যায়ে এখন আর প্রাথমিক নয়; প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যারের অ্যাডভান্স্ড ব্যবহারিক জ্ঞান চাকরির জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে দাড়িয়েছে। এই সফ্টওয়্যারগুলো অধিকাংশই মানুষের জীবন ধারার সাথে ওতপ্রোতভাবে জাড়িয়ে গেছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিটি অনুষদে যথেষ্ট উপযোগিতা থাকায় সফ্টওয়্যারগুলোর নিয়মিত আপডেটও রাখা হচ্ছে। এজন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান বা সফ্টওয়্যার প্রযুক্তি বিভাগ ছাড়াও অন্যান্য অকারিগরি বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকেও অর্জন করতে হচ্ছে প্রযুক্তির দক্ষতা। একজন সাধারণ চাকরিপ্রার্থীর চাকরির সুবিধার্থে তেমনি প্রয়োজনীয় ১০টি সফ্টওয়্যারকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এই ফিচারে।
চাকরির জন্য যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকা জরুরি
ডকুমেন্টেশন সফ্টওয়্যার
সব ধরনের ব্যাবসায়িক পত্রের জন্য মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড একটি পরিচিত নাম। আট ঘন্টা অফিস সময়ের মধ্যে এই ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনটিতে সবচেয়ে বেশি সময় কাটাতে হয় কর্মচারিদের। এই নামটি এখন এক অলিখিত দক্ষতা হয়ে গেছে, যেটা একজন চাকরিপ্রার্থীর ভেতর থাকবে তা ধরেই নেয়া হয়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে শুধু ওয়ার্ড ওপেন করে টাইপ করতে জানলেই হবে। অবশ্য এক সময় টাইপ জানার দক্ষতাকে আলাদা করে গুরুত্ব দেয়া হতো।
কিন্তু এখন দ্রুত টাইপের পাশাপাশি গুরুত্ব পায় লিখিত কন্টেন্টটি। সৃজনশীল নির্ভুল লেখার সাথে থাকতে হবে মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডে হেডার ম্যানেজমেন্ট, টেবিল অব কন্টেন্ট তৈরি, প্যারাগ্রাফ স্টাইলিং, সাইটেশন প্রভৃতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান। বিগত কয়েক বছর যাবত ওয়ার্ডের জায়গা দখল করে নিয়েছে গুগল ডক। তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ার এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ থাকায় বর্তমানে ওয়ার্ড প্রসেসিং মানেই গুগল ডক।
পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
স্প্রেডশীট ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার
যে কোন সাংখ্যিক তথ্যকে নিমেষেই দৃশ্যমান করতে পারে মাইক্রোসফ্ট এক্সেল। তাই অফিসের বড় বড় মিটিংগুলোতে বিভিন্ন ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্ট মানেই এক্সেলের ফাইল। মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের পাশাপাশি এই এক্সেলকেও আলাদা করে সিভিতে উল্লেখ করার যুগ পেরিয়ে গেছে।
এক্সেলের পেশাগত দক্ষতা বলতে বুঝায় এক্সেলের কাস্টম ফাংশন তৈরি করতে পারা, পিভট টেবিল সাজাতে পারা, সেল রেফারেন্স, ফিল্টার ও ডাটা ভ্যালিডেশনের কাজ। এক্সেলের বরাবর গুগলের সেবাটির নাম হচ্ছে গুগল শীট। এটি এক্সেলের জটিলতা কমিয়ে আনার মাধ্যমে দিন দিন জনপ্রিয় সফ্টওয়্যারে পরিণত হচ্ছে। অনেকে ডকের কাজও এখন গুগল শীটে করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
প্রেজেন্টেশন সফ্টওয়্যার
করপোরেট জগতের অবিচ্ছেদ্য ক্রিয়াকলাপ হচ্ছে প্রেজেন্টেশন। ওয়ার্ড বা ডকে যা লেখা হচ্ছে, এক্সেল বা শীটে যা হিসাব করা হচ্ছে তারই সারবস্তু আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা হয় প্রেজেন্টেশনে। এই কাজে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফ্টওয়্যারটি হচ্ছে মাইক্রোসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট। এর সমতূল্য হচ্ছে গুগল স্লাইড।
পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
প্রেজেন্টেশনকে প্রতিনিয়ত সৌন্দর্য্যমন্ডিত করার তাগিদে এখন আরো কিছু সফ্টওয়্যার অফিসগুলোর পিসি বা ল্যাপটপে শোভা পাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে প্রেজি ও ভিসমি বহুল ব্যবহৃত। কেউ কেউ প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে ক্যানভাও ব্যবহার করে থাকেন।
ফাইল শেয়ারিং সফ্টওয়্যার
কন্ফারেন্স বা সেমিনারের মত বড় বড় ইভেন্টে যাবার আগে পেনড্রাইভে করে ফাইলপত্র নিয়ে যাবার দিন শেষ। এখন আগামী দিন সিভি নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও ইয়ত্তা নেই। ছবি তোলার সাথে সাথে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের শেয়ারইট অ্যাপের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবেই ফটো স্থানান্তর করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করা যায়। সবধরনের ডিভাইসের জন্য আছে গুগল ড্রাইভ ও ড্রপবক্সের মত ওয়েব অ্যাপগুলো।
পৃথিবীর যে কোন স্থানে যে কেউ কোন ফাইল চাইলে সাথে সাথেই ইন্টারনেটের সহায়তায় দেখানো এবং শেয়ার দুটোই করা যেতে পারে এই টুলগুলোর মাধ্যমে। কম্পিউটারের ড্রাইভগুলোর মতই খুব সহজে ম্যানেজ করা যায় এগুলো। সম্প্রতি গুগল ড্রাইভে কপি-পেস্ট করারও কী-বোর্ড শর্টকাট সংযোজন করা হয়েছে।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
ইমেইল ম্যানেজমেন্ট টুল্স
একজন চাকরিপ্রার্থীর সিভির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ধরে রাখে এই টুল ব্যবহারটি। মুল ব্যাপার হচ্ছে আসলে ইমেইল ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা। এর পরিস্ফুটন ঘটে এই টুলগুলোর মাধ্যমে। ইন্টারনেট জুড়ে অনেক টুল থাকলেও সহজলভ্যতার জন্য অদ্বিতীয়ভাবে নিজের স্থানটি ধরে রেখেছেন জিমেইল।
ইমেইল এটিকেটে নিজের পারদর্শিতা দেখাতে হলে জিমেইলে অ্যাডভান্স্ড দখল নিতে হবে চাকরিপ্রার্থীকে। প্রাপক, বিষয়বস্তু, সিগনেচারের সাথে মুল বার্তাটি কম্পোজ করে পাঠিয়ে দেয়াটাই সবকিছু নয়। জানতে হবে ইমেইল সিসি(কার্বন-কপি) ও বিসিসি(ব্লাইন্ড-কার্বন-কপি)-এর ব্যবহার। কিভাবে ইমেইল ফিল্টার করতে হয়, লেবেল দিতে হয়, ক্যাটাগরি ভিত্তিক ইমেইল টেমপ্লেট বানাতে হয় সে ব্যাপারে বিশদ জ্ঞান থাকতে হবে।
ভিডিও কন্ফারেন্স টুল্স
পূর্বে এই টুলগুলোর ব্যবহার থাকলেও করোনা মহামারির পর ফুলে ফেঁপে উঠেছে এগুলোর মার্কেট। সাধারণ আড্ডা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মিটিংগুলোতে সরবে বিরাজ করেছে এই সফ্টওয়্যারগুলো। এখন মহামারির ধাক্কা হ্রাস পেলেও রেশ রয়ে গেছে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধার। নিত্যদিন ছোট ছোট ফিচার সংযোজনের মাধ্যমে এখনো জীবনকে সহজ করে যাচ্ছে সফ্টওয়্যারগুলো।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
স্কাইপের ব্যবহারটা আগে থেকেই ছিলো। কিন্তু অংশগ্রহনকারিদের সংখ্যা এবং মিটিং-এর সময় সীমার উপর বিপ্লব ঘটিয়েছে জুম, মাইক্রোসফ্ট টিম এবং গুগল হ্যাঙআউটের মত ওয়েব অ্যাপগুলো। তাই চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া না হলেও এগুলোর ব্যাপারে ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক।
ডিজিটাল শিডিউল প্ল্যানার
প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি সহ এর কাজগুলো সুষ্ঠভাবে পরিচালনার নিমিত্তে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট টিম পরিকল্পনা প্রস্তুত করে দেন। সে পরিকল্পনা মতে প্রত্যেক অনুষদের কর্মচারিদের জন্য নির্ধারিত হয় সুনির্দিষ্ট কাজ। এই কাজগুলো তদারক করার মাধ্যমে যাচাই করা হয় কর্মচারির কাজের অবস্থা। একই সাথে পরিমাপ করা হয় প্রতিষ্ঠানের সফলতা। স্বয়ংক্রিয় না হলেও অনেক আগে থেকেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এই কাজের জন্য মাইক্রোসফ্ট আউটলুক ব্যবহার করে আসছেন।
ইমেইলের সাথে টাস্ক ম্যানেজমেন্টের সংযোজন হওয়াতে অনুষদের প্রধান আউটলুকের মাধ্যমে তার অধীনস্থ কর্মচারিদের কাজ দেখাশোনা করতে পারেন। বর্তমানে এই পরিচালনাকে আরো সহজতর করেছে গুগল ক্যালেন্ডার। গুগল হ্যাঙআউট বা মীট, মিটিং মিনিটের সংযোজনের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে পেপার-ওয়ার্ক প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে বললেই চলে।
পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
সোশ্যাল মিডিয়া
আপাত দৃষ্টে ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট-এর ব্যবহারে শেখার কিছু নেই মনে হলেও বর্তমান পরিস্থিতির চাকরিগুলো সেই জ্ঞানের দাবি রাখে। বিশেষ করে লিঙ্ক্ডইন প্রোফাইলকে এখন পোর্টফোলিওর জায়গায় বিবেচনা করা হয়। অনেক ইন্টারভিউতে চাকরিপ্রার্থীকে যাচাইয়ের জন্য তার ফেসবুক প্রোফাইল চেক করা হয়।
এছাড়াও শুধু টাইমলাইন সাজানো পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নেই, এর গুরুত্ব ছাড়িয়ে গেছে বিজনেস পেজ তৈরি থেকে শুরু করে গ্রুপ তৈরি করে তা ম্যানেজ করা পর্যন্ত। যারা ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ফিচারগুলো বেশ আয়ত্ত্ব করে নিয়েছে তাদের জন্য অফিসের এই কাজগুলো প্রায় প্রতিদিনকার জীবন যাপনের মত।
ফটো ইডিটিং টুল্স
নানা ব্যাবসায়িক নথি তৈরির সময় তথ্যাদির প্রমাণ ও যৌক্তিকতা বাড়াতে প্রয়োজন হয় কন্টেন্ট বৈচিত্র্যের। আর এখানে আসে ছবি সম্পাদনার বিষয়টি। এর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনে খুব পটু হতে হবে তা নয়। গুগল ডক বা শীটে তথ্যগুলো তৈরি জন্য দরকারি চাহিদা পূরণ করলেই হবে।
পড়ুন: এসআই পদে নিয়োগ: বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিকের মাসব্যাপী পরীক্ষা শুরু ৯ মে
এক্ষেত্রে জনপ্রিয় ডিজাইনল টুল্স এডবি ইলাস্ট্রেটর ও ফটোশপ জানাটা ভালো। অন্তত বিভিন্ন উৎস থেকে নেয়া একটি ফটোকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য যথাযথ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আজকাল অনেকে ক্যানভা ব্যবহার করছেন মুলধারার ডিজাইন সফ্টওয়্যারের বিকল্প হিসেবে।
ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট
একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অফিস যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি বর্তমানে তার ডিজিটাল উপস্থিতির জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকাটাও জরুরি। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো শুধু অনলাইন স্টোরের মাধ্যমেই তাদের কর্মচারি ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। ফলশ্রুতিতে চাহিদা তৈরি হয়েছে সেই ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত ম্যানেজারের।
প্রতিটি ওয়েবসাইটকে পরিচালনার জন্য এর পেছনে থাকে একটি সিএমএস(কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)। এর মাধ্যমেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্যগুলো দেখা যায়। এই সিএমএস চালানোর জন্য কোন প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত কারিগরি জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। সিএমএসের ফাংশনগুলো ওয়েব ডেভেলপাররা সব আগে থেকেই ঠিক করে রাখবেন। আর ওয়েবসাইট ম্যানেজাররা সে অনুযায়ী শুধু তথ্য ইনপুট দিবেন। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সিএমএসের মধ্যে আছে ওয়ার্ডপ্রেস।
পড়ুন: ব্যাংকে চাকরি: সাউথইস্ট ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি , লাগবে না অভিজ্ঞতা, বেতন ৩৬,০০০
শেষাংশ
এই ১০টি সফ্টওয়্যার জানা থাকলে চাকরির প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, কর্মজীবনে প্রতিক্ষেত্রে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হয়। সেজন্য প্রয়োজন হালনাগাদকৃত অথবা নতুন নতুন জ্ঞান। যারা প্রযুক্তির সর্বশেষ উন্নয়নের সাথে নিজেদেরও আপডেট করে রাখতে পারেন তাদের অবস্থান স্বভাবতই অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে যায়। তাছাড়া সহজে খাপ খাইয়ে নিতে না পারার কারণে প্রযুক্তিময় পরিবেশের প্রতি অনেকেরই বিশেষ করে বায়োজ্যেষ্ঠ কর্মচারিদের বেশ ভয় থাকে। তাই যুবকদের বিশেষ করে টেক স্যাভিদের উপর রীতিমত অন্ধভাবে নির্ভর করতে শুরু করে গোটা প্রতিষ্ঠান।
করোনা চলাকালীন এমএফএস সেক্টর আর্থিক লেনদেনের নেতৃত্ব দিয়েছে: নগদের এমডি
করোনার সময়ে আর্থিক লেনদেনের অংশীদারিত্বে এমএফএস সেক্টর দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এমএফএস প্রদানকারী সংস্থা নগদ করোনায় আর্থিক সহায়তা, উপবৃত্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা নেট প্রোগ্রাম সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতা বিতরণে নেতৃত্ব দিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক ইউএনবির বিশেষ প্রতিনিধি মাসউদুল হককে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,এই ভাতাগুলোর স্বচ্ছ বন্টন সময় বাঁচিয়েছে এবং সিস্টেম লস কমিয়েছে।
মিশুক দেশের অর্থনীতি এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নিয়ে বাজেট-পরবর্তী সময়ের পরে তার চিন্তাভাবনাও জানিয়েছেন।
এমএফএস শিল্পের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে, এমএফএস শিল্প বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নগদ এমডি বলেন, এমএফএস সেক্টর করোনার সময় দেশের আর্থিক লেনদেনের নেতৃত্ব দিয়েছে। নগদ করোনায় আর্থিক সহায়তা, উপবৃত্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতা বিতরণে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ভাতার স্বচ্ছ বন্টন সময় বাঁচিয়েছে ও সিস্টেম লস কমিয়েছে। সমষ্টিগতভাবে, সমস্ত অপারেটর বর্তমানে দৈনিক ভিত্তিতে গড়ে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা লেনদেন করে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে যখন নগদ বাজারে প্রবেশ করে, তখন সমস্ত অপারেটরের দৈনিক লেনদেন ছিল প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। বলা বাহুল্য, নগদ বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। নগদের সমস্ত অনন্য উদ্ভাবন, বিশেষ করে, ব্যবহারকারীদের মোবাইল আর্থিক পরিষেবা গ্রহণে আগ্রহী করেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তানভীর মিশুক বলেন, আমার মতে আমরা বর্তমানে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা অবস্থানে আছি। আমরা যেভাবে করোনা সংকট মোকাবিলা করেছি তা অনুকরণীয়। এমনকি অনেক উন্নত দেশও এই দুর্দশা মোকাবিলায় লড়াই করেছে।
তিনি বলেন, আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এই সেতু শুধু বাংলাদেশের ওপর নয়, প্রতিবেশি কয়েকটি দেশের ওপরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে। ধারণা করা হচ্ছে শুধুমাত্র একটি সেতু আমাদের রাজস্ব এক দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে। সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর টানেল, মেট্রো রেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও যোগ হবে। গোটা বিশ্ব এখন এশিয়ান টাইগারদের এগিয়ে চলা দেখবে।
আরও পড়ুন: সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি’র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি যথেষ্ট সন্তোষজনক কিনা জানতে চাইলে মিশুক জানান, অবশ্যই এইখানে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমাদের কল্যাণে এখন কিছুটা হলেও পরিশিলিত চেহারা হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের সর্বশেষ এ বিষয়ক প্রতিবেদন ‘দ্য গ্লোবাল ফিন্ডেক্স’ বলছে বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওয়তায় এসেছে। অথচ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট আর কার্ড সংখ্যা দিয়ে এটি ২০ শতাংশের মতো। বাকি পুরোটাই এসেছে এমএফএস-এর মাধ্যমে। এখানে ‘নগদ’-এর ভূমিকাই বড়।
উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে, আমাদের অবশ্যই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে এবং দ্রুত নেপাল, ভারত এবং শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে যেতে হবে। প্রথাগত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পরিবর্তে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হবে সরকারের এই উদ্দেশ্য অর্জনের প্রথম হাতিয়ার।
নগদ এমডি বলেন,এক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার মতো উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে ‘নগদ’। মাত্র শোয়া-তিন বছরে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা এখন সাড়ে ছয় কোটির কাছাকাছি। আর্থিক খাত তো নয়ই, বাংলাদেশের আর কোনো কোম্পানি এত দ্রুত এত বেশি গ্রাহক পায়নি। ইতোমধ্যে ‘নগদ’-এর প্রতিদিনের লেনদেন হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে।
এখানে কাজের সুযোগ কতোটা জানতে চাইলে মিশুক বলেন, দ্য গ্লোবাল ফাইন্ডেক্সের মতে, ব্যাঙ্কিং অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বেশিরভাগ ব্যক্তির কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে। অতএব, আমাদের এই ব্যাঙ্ক একাউন্টবিহীন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সমীক্ষা অনুসারে, আমরা এখনও ৩০ মিলিয়ন ব্যক্তিকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে আনতে পারিনি। সুতরাং, এটি আমাদের জন্য বাজার সম্প্রসারণের একটি সুযোগ।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে শ্রীলংকা, ভারত বা নেপাল আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও অনেকগুলো ক্ষেত্রে কিন্তু আমরাই নেতৃত্ব দিচ্ছি। যেমন–এমএফএস-এর মাধ্যমে ইউটিলিটির বিল পরিশোধ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এখানে বাংলাদেশই সবার চেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন: দেশে ইইউ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত
২৯ জুন বাজারে নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
সেবা সম্প্রসারণে এই শিল্প কতটা উদ্ভাবনী হয়েছে জানাতে চাইলে তানভীর মিশুক বলেন,সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। আর এই কাজটি অনেকাংশে সম্পন্ন হয়েছে নগদের দ্বারা। পূর্বে, এটি ছিল স্থানীয় হুন্ডি যা একটি আনুষ্ঠানিক লেনদেনে রূপান্তরিতকরা হয়েছে। আমরা একটি উদ্ভাবন প্রবর্তন করেছি যা অ্যাকাউন্ট খোলার জটিল পদ্ধতিকে সুগম করেছে, যা ডি-কে ওআইসি, *১৬৭# নামে পরিচিত।
এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে, তারা সহজভাবে *১৬৭# ডায়াল করে একটি আর্থিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
এমএফএস অপারেটররা জিডিপিতে কতটা অবদান রাখতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে নগদ এমডি বলেন,
জিডিপিতে এমএফএস খাতের অবদান নিয়ে কোনো কাজ এখনো হয়নি। তবে এটি তো অর্থনীতির স্বতসিদ্ধ কথা যে, স্বচ্ছতা বজায় রেখে টাকা লেনদেনে গতি দিতে পারলে অর্থনীতিও অনেক দ্রুত এগিয়ে যায়। আমরা সেই কাজটাই করছি।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের হিসাবে তারা জিডিপিতে সাড়ে ৭ শতাংশ অবদান রাখছে। এমএফএস খাতেও দশ লাখের বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতিমাসে এখন এক লাখ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা সাড়ে তিন থেকে চার কোটি। আমার বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের চেয়ে এমএফএস খাতের অবদান জিডিপিতে আরো অনেক বেশি।
১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
দীর্ঘ ১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে রবিবার বিকাল থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় ৫১২ টন চালের চালান প্রবেশ করে বেনাপোল বন্দরে। আজ সোমবার সকালে চালের চালানগুলো বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়।
প্রতি মেট্রিক টন চাল ৩৪০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল হোসাইন ও মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজ চিকন চাল আমদানি করে।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোটা চাল প্রতি টন ৩৮০ মার্কিন ডলারে ও চিকন চাল প্রতি টন ৪৫০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করে খালাস প্রদান করছেন। আমদানি মূল্যের ওপর ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ককর হিসাবে প্রতি কেজিতে ৯ টাকা ৯০ পয়সা আমদানি শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মো. মতিয়ার রহমান জানান, দেশে উৎপাদিত চালের বাজার মূল্য নিশ্চিত করতে গত বছরের ৩১ আগস্ট ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে বেড়ে যায় চালের মূল্য। চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় শর্ত সাপেক্ষে গত ৩০ জুন দেশের ৯৫ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে ৪ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান জানান, চাল আমদানির অনুমতির মধ্যে ৩ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল রয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চালের এলসি খোলা সম্পন্ন ও ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানিকৃত চাল দেশে বাজারজাত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জারিন এন্টারপ্রাইজের মালিক আজিম উদ্দিন জানান, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের বঁনগা কালিতলা পার্কিংয়ে ১৭ দিন সিরিয়ালে আটকা ছিল চালের চালানগুলো। সরাসরি চালের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলে চাল দ্রুত খালাস করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের বাজারে দাম অনেকটা কমে আসবে।
পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি ঋণ নিষিদ্ধ
ব্যাংকে চাকরি: সাউথইস্ট ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি , লাগবে না অভিজ্ঞতা, বেতন ৩৬,০০০
বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই ব্যাংকে অভিজ্ঞতা ছাড়াই ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ) পদে কর্মী নেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ)
পদসংখ্যা: অনির্ধারিত
যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি। শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
বেতন: শিক্ষানবিশকালে প্রথম বছর বেতন ২৬,০০০ টাকা। পরের বছর ৩০,০০০ টাকা। সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষানবিশকাল শেষে বেতন হবে ৩৬,০০০ টাকা।
শর্ত: সাউথইস্ট ব্যাংকে তিন বছর চাকরি করতে হবে এমন শর্তে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে হবে।
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এই লিংক (https://recruitment.southeastbank.com.bd/login.jsp) থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Now-এ ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৫ জুলাই ২০২২।
পড়ুন: করোনায় চাকরি হারিয়েছেন পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী: মন্ত্রী
চাকরি না পেয়ে হতাশায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’, গ্রেপ্তার ১
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমেছে
সয়াবিন তেলের উচ্চমূল্য নিয়ে বহু আলোচনার মধ্যেই সরকার রবিবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে লিটার প্রতি ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, সোমবার থেকে সারাদেশে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে রবিবার ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন কোম্পানিগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার অ্যান্ড ভেজিটেবল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএ) এ ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্ববাজারে দাম কমে যাওয়ার ফলে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম সাত দশমিক ০৩ শতাংশ কমে ১৯৯ টাকা থেকে ১৮৫ টাকায় নেমে এসেছে।
এছাড়া বিভিওআরভিএমএ পাম তেলের দাম প্রতি লিটার ৬ টাকা কমিয়ে ১৫২ টাকা করতেও রাজি হয়েছে।
পাঁচ লিটারের বোতল সয়াবিন তেলের দাম ৯৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯১০ টাকা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
সরকারকে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের অনুরোধ ক্যাবের