ব্যবসা
৩ দাবিতে বুধবার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা বেনাপোল পরিবহন মালিকদের
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারের প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে বুধবার থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী।
তাদের অন্য দুটি দাবি হলো-বেনাপোল স্থলবন্দরের ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ বৃদ্ধি ও দক্ষ চালক নিয়োগ দেয়া এবং বন্দরে পর্যাপ্ত শেড ও জায়গা বৃদ্ধি ও যানজটমুক্ত রাখা।
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি: মঙ্গলবার বেনাপোলসহ ১১টি শুল্ক স্টেশনে পণ্য খালাস বন্ধ
সংবাদ সম্মেলনে মামুন কবীর তরফদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ‘বন্দর ব্যবহার করে এমন সব সংগঠনই আমাদের সঙ্গে আছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের তিন দফা দাবি আদায় হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।’
এ সময় সমিতির সভাপতি এ.কে.এম. আতিকুজ্জামান (সনি), সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী, মশিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান (সুমন), দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ধর্মঘট প্রত্যাহার
আশকোনায় ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ চালু
হজযাত্রীদের সেবার জন্য ঢাকার আশকোনাস্থ হজ ক্যাম্পে বিশেষ বুথ চালু করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
শুক্রবার (৩ জুন) ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা হজ বুথের উদ্বধন করেন।
হজ বুথে হজযাত্রীদের ডলার ও সৌদি রিয়াল এনডর্সমেন্ট ও বিনিময় সেবা, এটিএম ও তথ্য সেবা এবং হজ পালনের গাইড বই প্রদান করা হচ্ছে।
এসময় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ওমর ফারুক খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান, একিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান ভুঁইয়া ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন, হজযাত্রীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৯০ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারে বিপরীতে টাকার মান আরও এক দফা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৯০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে হয়েছে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বাংলাদেশি মুদ্রার এই অবমূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, নতুন বিনিময় হার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকগুলোকে জানানো না হলেও আজ ৮৯ দশমিক ৯০ টাকা হারে ব্যাংকগুলোর কাছে ১৩৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অস্থির বৈদেশিক মুদ্রা বাণিজ্য স্থিতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রার ঘন ঘন অবমূল্যায়নের আশ্রয় নিয়েছে।
পড়ুন: গত ১০ মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ২৭ বিলিয়ন ডলার
মে মাসে রপ্তানি আয় ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩. ৮৩ বিলিয়ন ডলার
গত ১০ মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ২৭ বিলিয়ন ডলার
করোনা পরবর্তী সময়ে আমদানি চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ২৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের হিসেব সম্পূর্ণ করে ‘কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স’ প্রকাশ করেছে। গত ২১ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল দুই দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অন্যদিকে, একই সময়ে আমদানি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: মে মাসে রপ্তানি আয় ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩. ৮৩ বিলিয়ন ডলার
এই ১০ মাসে বাংলাদেশ রপ্তানি থেকে ৪১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৬৮ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, আমদানি বাড়লেও রপ্তানি ও রেমিটেন্স কমছে বলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি ঘাটতি কমাতে চাই তবে আমাদের রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়াতে হবে। এছাড়া বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ২৬ দিনে ১৬.৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠাল প্রবাসীরা
মে মাসে রপ্তানি আয় ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩. ৮৩ বিলিয়ন ডলার
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা চলতি অর্থবছরের ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমার পর রপ্তানি আয়ও কমল।
দেশের সামগ্রিক আয়ের ওপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানি আয় কমে গেলেও বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) ৪০ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এটি ২০২১ অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি আয়ের ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: ২৬ দিনে ১৬.৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠাল প্রবাসীরা
এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, দেশে এই অর্থবছরে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হবে। কারণ পশ্চিমা বিশ্বে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নতির পর রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
কিন্তু ইউক্রেনে-রাশিয়ার যুদ্ধের পর রপ্তানি আদেশে পতন ঘটে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি না করলেও যুদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
পশ্চিমা দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আরেকটি মন্দার আশঙ্কা করেছেন।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টাকার মান আরও কমল, ডলার প্রতি নতুন বিনিময় হার ৮৯ টাকা
চাল প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা যাবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খোলা বাজার থেকে চাল কিনে তা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বুধবার (০১ জুন) সচিবালয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় দেশের বাজারে চালের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য ৬টি বৃহৎ শিল্পগ্রুপ স্কয়ার, প্রাণ, সিটি, আকিজ, বসুন্ধরা ও এসিআইকে দায়ী করেন তিনি।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি যে এই সার্কুলার জারি করা যায় কি না যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবে তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবে না। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবে। এটা আলোচনা চলছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এখনও ফাইনাল হয়নি। তাদের যদি নিজস্ব মিল থাকে তারা সেখানে প্যাকেট করতে পারবে। কিন্তু বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে প্যাকেট করতে দেব না। এটা বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ম্যাসেজটা, যেখানে তারা প্যাকেট করে সেখানে দেয়া হয়েছে। এরা ছাড়া তো কেউ প্যাকেট করে না। খুচরা কিনে তারা প্যাকেট করতে পারবে না। মিল মালিকরা নিজস্ব প্রডাকশন বিক্রি করতে পারবে।’
তিনি বলেন, নিজস্ব মিল থাকলেও সে তার লাইসেন্সে যে মজুদের বিধান আছে তার বাহিরে মজুদ করতে পারবে না। মিলের যে পাক্ষিক ছাটাই ক্ষমতা তার তিনগুন সে মজুদ করতে পারবে। এটা হলো রোলিং। এর বাহিরে থাকলে সেটা অবৈধ মজুদ। এটাই আমরা স্কয়ারে পেয়েছি, ৫ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত। এর বাজার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা।’
সরকারকে করপোরেট ফাঁদে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো বলেও অভিযোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো ফাঁদে পড়েনি। ফাঁদে ফেলতে চেষ্টা করছিল আমরা রিকভার করছি।’
এর আগে চালের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সোমবার চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেউ অবৈধভাবে চাল মজুত করলে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ আছে, মিলাররা ধান-চাল মজুত রাখছেন। একইভাবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনের নীতি অনুমোদনের বাইরে গিয়ে ধান-চালের ব্যবসায় নেমেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য অধিদপ্তর।
পড়ুন: ধান মজুতের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছে ব্যবসায়ীরা: খাদ্যমন্ত্রী
অভিযান চালিয়ে দেশের দুই স্থানে স্কয়ার ও আকিজগ্রুপের অবৈধ চাল মজুদের তথ্য পাওয়ার কথাও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বলেন, ‘বিভিন্ন জেলায় আমরা অভিযান চালাচ্ছি। দিনাজপুরে স্কয়ারের একটি গোডাউনে একটি মিলও আছে, সেই মিলের যে পাক্ষিক ক্ষমতা দেয়া আছে তার তিনগুন সর্বোচ্চ তারা মজুদ করতে পারবে। একটি বাজারে যাবে একটি উৎপাদনে যাবে আরেকটি মজুদ থাকবে। সেটার পরেও প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন প্রায় উদ্বৃত্ত ছিল। এটাকে সিলগালা করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ধারাবাহিকভাবে চালের অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক চালের বাজারে, আড়তে এবং মিলে এমনটি গ্রামাঞ্চলেও কৃষক ছাড়া কেউ যদি ধান কিনে মজুদ রাখে সেখানেও অভিযান চালানো হচ্ছে। এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে।
পড়ুন: চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তেলের দাম বাড়ার পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
পদের প্রতি কোনো লোভ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর বাম দল আমার পদত্যাগ দাবি করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বলেছিলাম পদত্যাগ করবো কি না? প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, যারা পদত্যাগ চেয়েছে তারা তেলের দাম কমাতে পারবে কি না?
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকালে চট্টগ্রাম চেম্বার ও কমার্স আয়োজিত মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (সিআইটিএফে) উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগরী পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সাল বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের অবস্থান বদলে গেছে। চার বছর আগে মন্ত্রী ছিলাম না, দিল্লি গেছি। একজন পাকিস্তানি জানতে চাইল, তোমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাদু আছে? আমাদের অর্থনীতি তাদের কাছে বিস্ময়।
পড়ুন: দেশের ৪৫ ভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেশ ভালো: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অবদান আছে। সরকার ব্যবসা করবে না, ব্যবসায় সহায়তা করবে। কোভিড নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গোষ্ঠী উদ্ধার হয়েছিল। বৃক্ষ তার ফলে পরিচয়। বাংলাদেশ সরকার অ্যাডভান্সড চিন্তা করেছিল। তেলের দাম ভারতে ১৫ টাকা, পাকিস্তানে ৩৬ টাকা বেশি। ১০ শতাংশ তেল হয় দেশে। গম, ডাল আমদানি করতে হয়। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্য তেল, চিনি, ছোলা দিয়েছি। ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন এটি চলবে। ভর্তুকি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, চেম্বার পরিচালক একেএম আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মেলার ২৯তম এ আসরে ৩১০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ করছে। প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে পণ্য প্রদর্শন করবে ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরান। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।
পড়ুন: আলমেরিয়ার কৃষির মডেল বাংলাদেশে প্রয়োগ করে টেকসই কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইবিতে ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি!
কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
শুধুমাত্র কর্ম জীবনে উন্নতিতে নয়; জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কিং একটি গুরুত্বপূর্ণ সফ্ট স্কিল। একজনের কথা আরেকজন কত সহজভাবে বুঝতে পারছে তার ওপর নির্ভর করে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক। আর এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে পরিচালিত হয় তাদের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ। পরস্পরকে অনুধাবনের এই ব্যাপারটি যখন দু’জন থেকে অনেক মানুষে ছড়িয়ে পড়ে তখন এর প্রভাবও ব্যাপক আকার ধারণ করে। এই দক্ষতা অর্জন বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং এটি প্রতিনিয়ত অনুশীলনের দাবি রাখে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, শিক্ষাজীবন থেকেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
শিক্ষাজীবনেই প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরির দিক-নির্দেশনা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যারিয়ার অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা
ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন অথবা অ্যাডমিনের অধীনেই আভ্যন্তরীণ স্টুডেন্ট গ্রুপ সহ ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যকলাপের খোঁজ মেলে। ইউনিভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই এই খোঁজের কাজটি করে নেয়া যায়। পাশাপাশি অনুষদের কর্মকর্তা এবং এর সাথে সংযুক্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথেও গড়ে তোলা যায় সুসম্পর্ক।
এই স্টুডেন্ট গ্রুপ এবং একাডেমিক বিভাগ অধ্যয়নরত এবং সদ্য স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এই ক্যারিয়ার সেন্টারের লক্ষ্যই থাকে একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার উন্নত করতে সঠিক লোকদের সাথে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করা। এই সেন্টার নতুন শিক্ষার্থীদের সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন থেকে শুরু করে ইন্টারভিউয়ের পূর্বপ্রস্তুতির জন্য একজন পরামর্শদাতা নিয়োগ করে দেয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেয়া
স্কুল ও কলেজ শেষ করার পর সেখানকার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপটিকেও সমান গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। পুরনো ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত পুনর্মিলনীগুলো এক্ষেত্রে যেমন তাৎপর্যবহুল তেমনি বেশ আবেগেরও ব্যাপার। পুরনো বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার অনুভূতি সত্যিই অতুলনীয়।
আর ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বর্ষ থেকেই সংযুক্ত হওয়া যায় অ্যালামনাই গ্রুপের বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে। এর মাধ্যমে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিতে সফল তাদের কাছ থেকে কর্মজীবনের নানা দিক সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান লাভ করা যায়। এমনকি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিমেষেই পৌঁছে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত নিয়োগকর্তার কাছে। তাই তাদের ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকতে তাদের সামাজিক মাধ্যম, ইউনিভার্সিটির নোটিশ বোর্ড এবং বিভিন্ন ইভেন্টে যোগদান করতে হবে।
লিঙ্ক্ডইন এবং অন্যান্য সামাজিক মিডিয়াগুলো ব্যবহার করা
গত এক দশক জুড়ে করপোরেট জগতে লিঙ্ক্ডইড সামাজিক মাধ্যমটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন এই মাধ্যমটি শুধু পেশাজীবী লোকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকা বিশ্বে এখন শিক্ষাজীবন থেকে কর্মমুখী হওয়া আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ইউনিভার্সিটির প্রথম বছর থেকেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্জনগুলো দিয়ে সামাজিক প্রোফাইলটি ভরতে হবে। এভাবে স্নাতক পাশ করার সঙ্গে সঙ্গে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে পোর্টফোলিওটা। লিঙ্ক্ডইনের ফিচারের মাধ্যমে সদ্য পাশ করা স্নাতক ডিগ্রীধারীর অর্জনগুলো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। ফলে তারা নিমেষেই নিয়োগকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
পেশাজীবীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার সুবাদে প্রতি মাসে দুই লাখেরও বেশি কলেজ ও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী লিঙ্কডইন-এ যোগদান করছে। ইতিমধ্যেই লিঙ্কডইনে তিন কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী প্রোফাইল রয়েছে। নিদেনপক্ষে, কলেজ-ই হচ্ছে লিঙ্ক্ডইন প্রোফাইল করার সেরা সময়।
শিক্ষকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা
কলেজ ও ইউনিভার্সিটির লেকচারারদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকেন যারা খুব সহজেই শিক্ষার্থীদের মন জয় করে ফেলেন। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করেন। এমন একজন শিক্ষক-ই যথেষ্ট শত শত শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গড়ে দেবার জন্য। তাই তাদের জীবনমুখী পরামর্শ পেতে শিক্ষার্থীদেরও তাদের সঙ্গে ঘন ঘন কথা বলা উচিত।
আরও পড়ুন: গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সম দক্ষতার লোকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট ক্যারিয়ার তৈরির পথটি সুগম হয়। এমনকি যারা কি নিয়ে পড়বে বা কর্মজীবন নিয়ে বিড়ম্বনায় থাকে তাদেরকেও তাদের পছন্দ-অপছন্দ যাচাই করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেন এই শিক্ষকরা। তাই শুধু অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া-নেয়ার মধ্যে না থেকে ছাত্র-শিক্ষক-এর সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়তার সম্পর্কে আরও যত্নবান হওয়া
স্কুলের বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশি, এলাকার বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত, আত্মীয়-স্বজন এমনকি পরিবারের সদস্যরাও এই গন্ডির অন্তর্ভূক্ত। অনেকের ক্ষেত্রে এই মাধ্যমটি সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হয়ে ওঠে। এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে- একজন শিক্ষার্থী তার ঘনিষ্ঠজনদেরকে নিজের ক্যারিয়ার পরিকল্পনার ব্যাপারে খুব সহজেই জানাতে পারে।
সরাসরি সাহায্য করতে না পারলেও তারা নিজেদের পরিচিতদের মধ্য থেকে এমন কাউকে খুঁজে দেয় যে প্রকৃতপক্ষে সাহায্য করতে পারবে। এমনকি প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায় খুব ভালো একটি চাকরির ব্যবস্থাও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
ভলান্টিয়ার বা ইন্টার্নশিপ বা পার্ট টাইম জব করা
কর্মক্ষেত্রের ওপর সরাসরি ব্যবহারিক জ্ঞান পেতে এই কার্যকলাপগুলোর কোন বিকল্প নেই। একটি নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতাই নয়; এর মাধ্যমে সখ্যতা হয় একই ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ করা লোকদের সঙ্গে। তাছাড়া ফুল টাইম চাকরি বাজার খুব কঠিন হলেও এই সুযোগগুলো অহরহই মেলে। এ সময় কাজের ধরনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে অভিজ্ঞতা ও সফ্ট স্কিল অর্জনকে।
প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায়, এরকম মাধ্যমগুলোতে কর্মরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। কর্মজীবনের এই ক্ষেত্রগুলো একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং পোর্টফোলিও তৈরির সর্বোৎকৃষ্ট উপায়।
করপোরেট বা সামাজিক নেটওয়ার্কিং ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ করা
ক্যারিয়ার বা জব ফেস্ট এবং বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মত করপোরেট ইভেন্টগুলো সারা বছরই হতে থাকে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন বা সংস্কারমূলক কাজে মহল্লার লোকদের একত্রিত হতে দেখা যায়। এই ইভেন্টগুলোতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
করপোরেট ইভেন্টগুলোর জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো কোম্পানির নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া পেজ। টিভি ছাড়াও এরা অধিকাংশ সময় ইউটিউব, ফেসবুকে তাদের ইভেন্টের প্রোমোশন করে। ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে যেগুলোতে এমন ইভেন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। সামাজিক ইভেন্টগুলোর ক্ষেত্রেও একই উপায় অনুসরণ করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে কোন সামাজিক মিলনমেলা এড়ানো উচিত নয়। এগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্দেশ্য হাসিল না হলেও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় থাকে। যার সূত্র ধরে পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রের জন্য বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পাওয়া যায়।
নেটওয়ার্কের সদস্যদের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া
এই কাজটিকে একটি বড় বিনিয়োগ হিসেবে চিন্তা করা যেতে পারে। পরস্পরের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে একটি নতুন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যায়। আর কর্মক্ষেত্রের জন্য একটি সুসম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই সহযোগিতাগুলো দীর্ঘ সময় ধরে নেটওয়ার্কের যত্ন নেয়। পাশাপাশি এটি নিজের মার্কেটিং-এরও একটি বড় উপায়।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কের লোকদের কাছে খুব সহজেই স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি হওয়ার দরুণ নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে চরম বিপদের মুহুর্তে সাহায্যের প্রতিদান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এভাবেই আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে নেটওয়ার্কটি।
অনুসরণীয় ব্যক্তিবর্গের মেন্টরশীপ নেয়া
নির্দিষ্ট কোন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি জায়গা করে নিতে সেখানে সফল কোন ব্যক্তির প্রচেষ্টাকে অনুসরণ করা যেতে পারে। আর এই অনুসরণীয় ব্যক্তিকে ক্যারিয়ার মেন্টর হিসেবে পেলে সেই প্রচেষ্টার পথটি আরও সাবলীল হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো তাদের কাছে পৌঁছানো। প্রচন্ড ব্যস্ততার দরুণ তারা সাধারণত সবার সঙ্গে সময় দিতে পারেন না।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে পরিবেশনের জন্য অধিক সৃজনশীল ও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। সেই অনুসরণীয় ব্যক্তিটিকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। তাদের ভালো লাগা মন্দ লাগার ব্যাপারে জানতে হবে। এমনকি তারা প্রতিদিন কি করছেন, সে ব্যাপারেও অবহিত থাকতে হবে। এর জন্য তার লিঙ্ক্ডইন, ফেসবুক প্রোফাইল অনুসরণ করা যেতে পারে। পরিচয়ের শুরুতে সঠিক শব্দ বাছাই করে উপযুক্ত একটি বার্তা প্রেরণের সময় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে সময় কাজে লাগানোর উপায়
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা
কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে থাকাকালীন নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বাইরেও বাড়িয়ে দিতে হবে বন্ধুত্বের হাত। এটি কর্মক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এর জন্য দুই বা ততোধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সংঘটিত ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে হবে। স্বভাবতই এখানে প্রয়োজন হবে ঘন ঘন পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের।
এই প্রবণতাটি বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং বিরাট নেটওয়ার্ক তৈরিতে অনেক কার্যকরি ভূমিকা রাখে। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্কেলগুলোতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার মাধ্যমে প্রবেশাধিকার পাওয়া যায় সেখানকার ক্যারিয়ার সেন্টার ও স্টুডেন্ট ক্লাবগুলোতে। এমনকি সেখানকার শিক্ষকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
শেষাংশ
এই প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি এবং তা অটুট রাখার মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখার নৈপুণ্য একটি আবশ্যক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষাজীবন থেকে প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং তৈরি অনুশীলন শুরু করলে কর্মজীবনে প্রবেশের আগেই নিজেকে প্রস্তুত করে নেয়া যাবে। শুধু তাই নয়; অনুশীলনের সময়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন কাজে এর সুফল পাওয়া যাবে। ঘন ঘন পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমগুলোতে অংশ নেয়ার মাধ্যমে উন্নত করা যাবে নিজের পোর্টফোলিওকে। যা সদ্য স্নাতক পাশ করার পরে কাজের অভিজ্ঞতাহীন অবস্থার বাধাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
২৬ দিনে ১৬.৫৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠাল প্রবাসীরা
চলতি মে মাসের ২৬ দিনে ১৬৫৪ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলার (১.৬৫ বিলিয়ন) ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে দেশ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি শ্রমিক বিদেশে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের অনেক দেশে বিশাল অদক্ষ এবং আধা দক্ষ জনশক্তির চাহিদা থাকায় রপ্তানির এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপ প্রস্তুতি মধ্যপ্রাচ্যে সেবা খাতে ব্যাপক চাকরির চাহিদা তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) তথ্য দেখায় যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমদানি পেমেন্টের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রেমিটেন্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সর পরিমাণ ২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগামী মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। উৎসব উপলক্ষে প্রবাসীরা অতিরিক্ত অর্থ পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রণোদনা বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ করা এবং বাংলাদেশি টাকার অবমূল্যায়নের কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।
অর্থবছরের ১ জুন থেকে ২ মে পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
পড়ুন: টাকার মান আরও কমল, ডলার প্রতি নতুন বিনিময় হার ৮৯ টাকা
ঈদ: বাড়ছে রেমিটেন্স প্রবাহ
টাকার মান আরও কমল, ডলার প্রতি নতুন বিনিময় হার ৮৯ টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার প্রতি মার্কিন ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় মূল্য ৮৯ টাকা নির্ধারণ করায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান আরও এক টাকা ১০ পয়সা কমেছে।
বৈদশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে বিল অব কালেকশন (বিসি) বা আমদানির ক্ষেত্রে এ হার ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছর সপ্তম বারের মতো অবমূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মার্কিন ডলার বিনিময়ের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড রেট নির্ধারণ করেছে। এর ভিত্তিতে অন্যান্য উদ্দেশ্যে বিনিময় হার শূন্য দশমিক ০৫ টাকা থেকে শূন্য দশমিক ১৫ টাকা অতিরিক্ত নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: অস্থির ডলার স্থিতিশীল করতে অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর সিইও ও এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রবিবার ডলারের এ অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে।
সোমবার (৩০ মে) থেকে এ নতুন বিনিময় হার কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে যোগ দেয়া অনেক ব্যাংকার এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে যা প্রকৃত পক্ষে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের জন্য ভালো নয়।
ব্যাংকাররা বলেন, ‘বাস্তবতা স্বীকার না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও ডলারের দাম ৯০ টাকার নিচে রাখতে চায়। যদিও বাস্তবে ডলার ৯৫ টাকা করে বিনিময় হচ্ছে।’
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বৈদশিক মুদ্রার চাহিদা মেটাতে ও বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরহারের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও মার্কিন ডলারের অস্থিতিশীল হারের কারণে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ডলারের দামের ঊর্ধ্বমুখীতা কমেছে
কবির বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, সব সরকরি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
ডলারের চাহিদা কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ আমদানির ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মিল রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে ৩০ শতাংশের বেশি অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রক শুল্ক আরোপ করেছে।