ব্যবসা
টাকার মান আরও কমল, ডলার প্রতি নতুন বিনিময় হার ৮৯ টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার প্রতি মার্কিন ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় মূল্য ৮৯ টাকা নির্ধারণ করায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান আরও এক টাকা ১০ পয়সা কমেছে।
বৈদশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে বিল অব কালেকশন (বিসি) বা আমদানির ক্ষেত্রে এ হার ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছর সপ্তম বারের মতো অবমূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মার্কিন ডলার বিনিময়ের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড রেট নির্ধারণ করেছে। এর ভিত্তিতে অন্যান্য উদ্দেশ্যে বিনিময় হার শূন্য দশমিক ০৫ টাকা থেকে শূন্য দশমিক ১৫ টাকা অতিরিক্ত নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: অস্থির ডলার স্থিতিশীল করতে অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর সিইও ও এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রবিবার ডলারের এ অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে।
সোমবার (৩০ মে) থেকে এ নতুন বিনিময় হার কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে যোগ দেয়া অনেক ব্যাংকার এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে যা প্রকৃত পক্ষে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের জন্য ভালো নয়।
ব্যাংকাররা বলেন, ‘বাস্তবতা স্বীকার না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও ডলারের দাম ৯০ টাকার নিচে রাখতে চায়। যদিও বাস্তবে ডলার ৯৫ টাকা করে বিনিময় হচ্ছে।’
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বৈদশিক মুদ্রার চাহিদা মেটাতে ও বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরহারের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও মার্কিন ডলারের অস্থিতিশীল হারের কারণে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ডলারের দামের ঊর্ধ্বমুখীতা কমেছে
কবির বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, সব সরকরি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
ডলারের চাহিদা কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ আমদানির ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মিল রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে ৩০ শতাংশের বেশি অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রক শুল্ক আরোপ করেছে।
ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিল্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স
ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিল্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড। রবিবার বিকালে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করেন। ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন ফেয়ার গ্রুপের চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) কাজী নাসির উদ্দিন এফসিএ।
ইস্পাত ও প্রকৌশল ক্যাটাগরিতে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সকে প্রথম পুরস্কার দেয়া হয়। এর মাধ্যমে দেশসেরা শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারী স্বীকৃতি পেলো ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা।
শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় প্রতি বছর বেসরকারী খাতের বিভিন্ন কোম্পানীকে এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবার পাঁচটি ক্যাটাগরীতে মোট ২৬টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেয়া হলো। একই সঙ্গে একটি ট্রেড বডি ও এসোসিয়েশনকে ইন্সটিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, ২০২০ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইয়ের বৈশ্বিক মানকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
অস্থির ডলার স্থিতিশীল করতে অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক মুদ্রার অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সকল ব্যাংকের জন্য টাকার সঙ্গে মার্কিন ডলারের অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক ও বৈদেশিক মুদ্রার ডিলারদের রবিবারের মধ্যে অভিন্ন হারের সুপারিশ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকের সিইও-এমডিদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো কারসাজি থেকে দূরে থাকার জন্যও বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, এতে রেমিট্যান্স বাড়ানো, অপ্রয়োজনীয় আমদানি রোধ এবং আরও কিছু ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ডলারের চাহিদা মেটাতে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সহায়তা ও ডলার সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এছাড়া এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে রপ্তানি বিল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা পাঠানো ও অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা
ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ ডিসিসিআইয়ের
ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বুধবার কলকাতার একটি হোটেলে কলকাতা চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি রিজওয়ান রহমানের নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের একটি ডিসিসিআই প্রতিনিধিদল মতবিনিময় সভা করেছে।
সভায় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস, জুতা, জ্বালানি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, আইসিটি এমন কিছু ক্ষেত্র যেখানে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা সুযোগগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়া তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ উভয় পক্ষের ব্যবসার জন্য একটি জয়-জয় পরিস্থিতির সূচনা করবে।
এদিকে কলকাতা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শৈলজা মেহতা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। ‘সুবিধাজনক বাণিজ্য পরিসংখ্যান অর্জনের জন্য, উভয় দেশকে সক্রিয় শিল্প অংশগ্রহণের সঙ্গে বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উন্নত বাজার অ্যাক্সেস, উন্নত ভৌত সংযোগ, ট্রানজিট ও জ্বালানি বাণিজ্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।
তিনি পর্যটনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন যেখানে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আবুধাবির বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ডিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে রয়েছে এবং বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস তা ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মধ্যে ঘাটতি থাকলেও দিন দিন তা কমছে।
গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১৩৫ পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এনবিআরের
৩৫টি বিদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৩৫টি এইচএস কোডেড পণ্য যেমন বিদেশি ফল, ফুল, আসবাবপত্র ও প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এবং তা সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বহুল প্রত্যাশিত এই পদক্ষেপটি বিলাসজাত পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ হ্রাস করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে এনবিআর
রাজস্ব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ফুল ও ফল চাষে ভালো করছে। অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক ফুল ও ফল চাষিদের ন্যায্যমূল্য পেতে সহায়তা করবে।
নতুন নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:
ফুল ও ফুলজাত দ্রব্য: আমদানি করা তাজা ও শুকনো ফুল, অলঙ্কার তৈরির জন্য আমদানি করা ফুল, বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম ফুল এবং গাছের চারা বা শাখা।
ফল: টাটকা বা প্রক্রিয়াজাত আম, কলা, আঙ্গুর, ডুমুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, ম্যাঙ্গোস্টিন বা বাঁধাকপি, লেবু, তরমুজ, বরই, এপ্রিকট, চেরি ফল, হিমায়িত বা প্রক্রিয়াজাত ফলের বীজ ও মিশ্র ফলের খাবার।
আসবাবপত্রের জন্য আমদানি করা বাঁশ, যন্ত্রাংশ, বেতের আসবাবপত্র এবং আসবাবপত্রের জন্য বিভিন্ন আমদানি করা উপকরণ। এছাড়া অফিস, রান্নাঘর, বেডরুমে ব্যবহৃত কাঠের আসবাবপত্র, প্লাস্টিকের আসবাবপত্র ও বিভিন্ন ধাতব আসবাবপত্র।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ভ্যাট কমিয়ে সর্বনিম্ন করার নির্দেশ মন্ত্রিসভার
প্রসাধনী পণ্যের মধ্যে রয়েছে সুগন্ধি, সৌন্দর্য ও মেকআপ প্রস্তুতি, টুথ ফ্লস, টুথ পাউডার, প্রিজারভেটিভ, শেভ প্রসাধনী ও চুলের প্রসাধনী ইত্যাদি।
বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে তিন হাজার ৪০৮টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রযোজ্য। এই পণ্যগুলোর ওপর সর্বনিম্ন তিন শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রযোজ্য।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ালে তা আত্মঘাতী হবে: এফবিসিসিআই
সরকারের কাছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) বলেছে, এ ধরনের ইউটিলিটির দাম বাড়ানো আত্মঘাতী হবে।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।
তারা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড -১৯ এর ধাক্কা থেকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টার সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে কোনো পদক্ষেপ দেশের ব্যবসায় ও শিল্পের জন্য ক্ষতিকর হবে।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর এটা সঠিক সময় নয়।
বেনাপোলে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ধর্মঘট প্রত্যাহার
বেনাপোল বন্দরে পূর্বঘোষিত ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি। শনিবার ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা কর্মবিরতি সোমবার সন্ধ্যায় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
জানা গেছে, বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ আলোচনার ভিত্তিতে শর্ত পূরণের শর্তে এই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় তারা।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি'র সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী জানান, আগামী ১৬ জুনের মধ্যে শর্তগুলো যথাযথভাবে পূরণ না করলে পরবর্তীতে সমিতির পক্ষ হতে কঠোর নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনটি করে নতুন ক্রেন ও ফর্কক্লিপ বন্দরে সংযোজন করা হবে। এছাড়া আগামী দুই মাসের মধ্যে পুরোনো ক্রেন ও ফরক্লিপগুলো পরিবর্তন করে সব নতুন ক্রেন ফরক্লিপ পণ্য উঠানো-নামানোর জন্য দেয়া হবে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে।
বিকল্প ৫ উৎস থেকে গম আমদানির প্রচেষ্টা চলছে: টিপু মুনশি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর সরকার ইউক্রেনসহ পাঁচটি বিকল্প উৎস থেকে গম আমদানির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের মধ্যে ভারত গম রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তবে আশার কথা হলো প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে ভারত এটা বিবেচনা করবে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ নয়, স্থিতিশীল রাখতে চায়।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণ নয়, স্থিতিশীল রাখতে চায় সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত না। আমরা ব্যবসায়ীবান্ধব। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দেই। সে অনুযায়ী বাজারে দামটা থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে অভ্যন্তরীণ বাজারও স্থিতিশীল থাকে।
ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডালের দাম নিয়ে সামান্য সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশে দাম বাড়ে।’
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যপণ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাই সামনে কিছু সংকট থাকায় সবাইকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের এমন অবস্থা হতে পারে। কিন্তু সে রকম কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রকৃতপক্ষে আমরা শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।’
পেঁয়াজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে আরও এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে দাম পায় এবং ভোক্তারাও যাতে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেটি আমরা দেখছি।
ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রচুর ব্যবসায়ীকে আমরা ধরছি। সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে এবং জেলেও পাঠানো হয়েছে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না যাতে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা জানে ঈদের পর দাম বাড়বে। তারা সেই সুযোগ নিয়েছে। আমাদের ভুল হয়েছে টানা দুই মাস তেলের দামটা নির্ধারণ করিনি। যদি করতাম তাহলে তারা সুযোগটা নিতে পারত না।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস।
বেনাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ
বেনাপোলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ না থাকায় মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।
রবিবার বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভারি পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ নেই। যেগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা কিছুটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বার বার নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে এ বন্দরে আমদানিকৃত ভারি পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তাই আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
এছাড়া এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, বন্দরে ছয়টি ক্রেন ও ১০টি ফরক্লিপ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্রেন ফরক্লিপ নষ্ট হয়ে গেছে। যা মেরামতের কাজ চলছে। শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে।
বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফরক্লিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার মিল্টন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে অধিক পরিমাণে পিডিপি (বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) অ্যাঙ্গেল আমদানি হচ্ছে। এতে এ টিটিবি অ্যাঙ্গেল ওঠাতে ও নামাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ক্রেন ও ফরক্লিপের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠাতে-নামাতে সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে ৪টি শুটার গান উদ্ধার
তিনি জানান, বন্দরের তিনটি ক্রেন ও আটটি ফরক্লিপের মধ্যে সচল আছে। খুব দ্রুত আরও দুটি ক্রেন আনা হবে।
নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্রেন ফরক্লিপগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।
ইলেকট্রনিক পণ্যের মান বজায় রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দেশীয় পণ্যের মান যথাযথভাবে নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
শনিবার (১৪ মে) বিকালে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস মার্চেন্ডাইজ শীর্ষক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জসিম উদ্দিন বলেন, একসময় ইলেকট্রিক্যাল পণ্য আমদানি করতে হত আমাদের। এখন প্রায় ৮০ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের প্রসারের জন্য কমপ্লায়ান্স একটি বড় ইস্যু। মানসম্মত পণ্য তৈরি করতে পারলে বিশ্ববাজারে ইলেকট্রিক্যাল পণ্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ছোট বড় সব কোম্পানিই দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ছোট ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে সরকারও যথেষ্ট নিরাপত্তা দিচ্ছে। তাদের জন্য নীতিমালা তৈরিতে সহযোগিতা করতে হবে আমাদেরকে। শুধুমাত্র নিজস্ব ব্যবসার উন্নতি হিসেব না করে পুরো খাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে আমাদের।
এসময় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান জসিম উদ্দিন।
এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ইলেকট্রিক্যালসহ যেসব খাতের পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি করে রাজস্ব আয় করা সম্ভব, সেসকল খাতকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে আমাদের।
এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, গার্মেন্টস, চামড়াসহ প্রায় সব খাতে নীতিমালা থাকলেও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের উন্নয়নে কোন সুনির্দিষ্ট নীতমালা নেই। যার ফলে দেশের অল্প কিছু কোম্পানি ছাড়া বেশিরভাগই মন্দা অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন, ছোট ও মাঝারি উদ্যেক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে তারা ব্যাংক থেকে দেয়া ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবে। ফলে ব্যাংক ও উদ্যোক্তা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি ও কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. সোহেল খান সরকারের কাছে এ খাতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ এর সুবিধাসহ টেলিভিশন প্রস্তুতে আলাদা শিল্পাঞ্চলের দাবি জানান।
এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ও কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড. কাজী ইকবাল জানান, গবেষণা ও যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকার কারনে বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতের লক্ষনীয় প্রসার হচ্ছে না। এ খাতের উন্নয়নে সামগ্রিক ম্যাপিং করে কাজ করা দরকার।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক ও কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাব্বাত উল্লাহ। ইলেকট্রনিকস খাতে তথ্য উপাত্তের ঘাটতি উল্লেখ করে তিনি নিজ উদ্যোগে এ খাতের ডাটাব্যাংক তৈরি করে এফবিসিসিআইর মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান।
সভায় নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি তৈরিতে সরকারের প্রণোদনা পাওয়া, সরকারি প্রকল্পে দেশীয় ক্যাবলের ব্যবহার বাড়ানো, দুবাই বা আফ্রিকাতে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের হাব তৈরি করা, এ খাতে সরকারের ১৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা সহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন কমিটির অন্য সদস্যরা।
পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা পাঠানো ও অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা