ব্যবসা
বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট ফের চালু
দীর্ঘ দুই বছর পর মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট– বালাট এবং (পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলা, মেঘালয়, ভারত)- লাউয়াঘরে (ডালোরা, সুনামগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ) পুনরায় চালু করা হয়েছে।
১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির এক যৌথ সভায় এই হাট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি বর্ডার হাট রয়েছে এবং আরও ৯টি নতুন সীমান্ত হাট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটনীতির ‘রোল মডেল’: শাহরিয়ার আলম
বর্ডার হাটগুলো দুই দেশের মধ্যকার একধরনের বাজার, যা সীমান্তের উভয় পাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের তাদের ‘স্থানীয় পণ্য’ বাজারজাত করতে এবং ক্রয় করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি ১২ মে রিংকু (পূর্ব খাসি পাহাড়, মেঘালয়) – বাগান বাড়ি (ডুয়ারা বাজার, সুনামগঞ্জ)এবং ১৬ মে নালিকাটা (দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড়, মেঘালয়)- সায়দাবাদ (তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ) সীমান্ত হাট পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের আহ্বান বিজিএমইএর
কারখানায় নির্বিঘ্নে উৎপাদনের সুবিধার্থে রপ্তানিমুখী পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে পর্যাপ্ত চাপসহ প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার রাজধানীর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (টিজিটিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লার সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
এসময় ফারুক বলেন, গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলে স্পিনিং, উইভিং, ফিনিশিং, ডাইং এবং প্রিন্টিং সেকশনসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হবে, এতে রপ্তানিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পড়ুন: জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জনু: মুস্তফা কামাল
তিনি বলেন, মহামারিকালীন একটি কঠিন সময় পার করার পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পুনরুদ্ধার ঘটেছে এবং কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যেও বৈশ্বিক ক্রেতারা দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের সক্ষমতা এবং সময় মতো চালান সরবরাহের প্রতিশ্রুতিতে আরও আস্থাশীল হয়েছে। তবে সুষ্ঠুভাবে গ্যাস সরবরাহ না হলে কারখানাগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারবে না, রপ্তানিকারকদের জন্য সময় মতো পণ্য সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বৈঠকে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম ও টিজিটিডিসিএলের পরিচালক মোঃ সেলিম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিএইচ এর ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ এবং নাম পরিবর্তন অনুমোদন
ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) কর্তৃক ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ (১৫% নগদ ও ১০% বোনাস) প্রদানের প্রস্তাব শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেছে।
এছাড়াও, শেয়ারহোল্ডাররা বিশেষ আলোচ্যসূচিতে কোম্পানির নিবন্ধিত নাম ‘ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড’ পরিবর্তন করে ‘ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি’ ও অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ কোটি টাকা করার আলাদা দুটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেন (সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্র্ম এ অনুষ্ঠিত ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারা এ প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেয়)।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত ডিবিএইচ এর এ সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান নাসির এ. চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সভায় ড. এ এম আর চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের মধ্যে, মেহেরীণ হাসান, মুজিবর রহমান, মঈন উদ্দিন আহমেদ, এম. আনিসুল হক এফসিএমএ, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, রাশেদা কে. চৌধুরী, মেজর জেনারেল সাইয়িদ আহমেদ (অবসরপ্রাপ্ত), ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নাসিমুল বাতেন, কোম্পানী সচিব জসিম উদ্দিন এফসিএস এবং সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ডিবিএইচ’র যাত্রা শুরু
সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের জবাবে, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক নাসিমুল বাতেন ক্রেডিট রেটিং এ টানা ১৬ (ষোল) বার ‘ট্রিপল এ’ অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, গৃহ ঋণ প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিবিএইচ পরিচালন মূনাফায় ২০২১ সালে আগের বছরের চেয়ে ১৮% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। খেলাপী ঋণের পরিমাণ মোট ঋণের ০.৬৩% যা দেশের আর্থিক খাতের মধ্যে সবনিম্ন।
ডিবিএইচের চেয়ারম্যান নাসির এ. চৌধুরী পরিচালকদের প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত বছরে কোম্পানির কর পরবর্তী মূনাফা দাঁড়ায় ১০৪ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। এই সময়ে কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৬০২৮ কোটি টাকা।
করোনা অতিমারির কারণে ব্যবসা পরিচালনার প্রতিকুল অবস্থা সত্বেও কোম্পানির আয় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নাসির চৌধুরী বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সকল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তা কোম্পানির আয় বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: এনবিএফআই ক্যাটাগরিতে তৃতীয়বারের মতো আইসিএসবি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেলো ডিবিএইচ
বাংলা নববর্ষ: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা ও নেয়াসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এ ব্যাপারে বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি থাকায় দিনটি উদযাপনে দুই দেশেরএই বন্দর দিয়ে পণ্য আনা ও নেয়া এবং বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণেও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শনিবার থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
টেলিকম খাতের কর ব্যবস্থা ব্যবসা-বান্ধব করার আহ্বান
টেলিকম খাতের কর ব্যবস্থা ও ইকোসিস্টেম ব্যবসা-বান্ধব করার আহ্বান জানিয়েছে এই খাতের নীতি-নির্ধারক ও প্রতিনিধিরা। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ খাত সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেন তারা।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে এমটব (এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের) ও বিআইজিএফ (বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভরনেন্স ফোরাম) আয়োজিত টেলিকম ট্যাক্স পলিসি ও ইকোসিস্টেম নিয়ে এক পলিসি ডায়লগে বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বিআইজিএফের চেয়ারপার্সন ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের তরুণরা এখন ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা করছে। ডিজিটাল কানেক্টিভিটির অনেক সুবিধা রয়েছে। এ বিষয়ে আমি একমত যে উচ্চ কর দীর্ঘদিন ধরে একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, আমরা এনবিআর এর কাছে টেলিযোগাযোগ খাতে উচ্চ করের প্রভাবের বিষয়টি সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। আমাদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চিন্তা করতে হবে, যেখানে যৌক্তিক হারে কর নির্ধারণের দিকে নজর দেওয়া দরকার।’
অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে টেলিকম খাতে কর খুব বেশি। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের কোষাগারে অনেক অর্থ দিচ্ছে, তাহলে তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে কেন? ট্যাক্স কমানো হলে সরকারের কোন ক্ষতি নেই, কারণ এতে পরোক্ষভাবে সরকারের আয় বাড়ে। মোবাইল খাতে করপোরেট ও ন্যূনতম টার্নওভার কর কমিয়ে অন্যান্য শিল্প খাতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা উচিত।’
পলিসি ডায়ালগে টেলিকম করনীতি ও টেলিকম ইকোসিস্টেম নিয়ে দুইটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদ আলম এবং এরিকসনের মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলংকার হেড অব নেটওয়ার্ক সল্যুশন এবং এরিকসন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘টেলিকম খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে আমাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি মনে করি, কিছু কর যৌক্তিক করা দরকার। ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে প্রান্তিক গ্রাহকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমি এনবিআরের সাথে আলোচনা করব।’
পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘দেশ বিদেশের সকল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যেন সঠিকভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা অনুসরণ করেই তাদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়া হয়। টেলিকম খাত শুধু সেবা প্রদানই নয়, দেশের প্রবৃদ্ধিতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তাই তাদের প্রতি আমাদের ইতিবাচক মনোভাব সবসময়ই বজায় থাকবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।’
রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিএফও এম. রিয়াজ রাশিদ বলেন, মার্কেটে যত বেশি প্লেয়ার থাকবে অপারেটরদের কাজের দক্ষতা তত বেশি কমবে। আর শেষ পর্যন্ত এর প্রভাব গিয়ে পড়বে গ্রাহকদের উপর কারণ এতে সেবা প্রদানের ব্যয় বেড়ে যায়। তিনি বিষয়টির উপর নজর দেয়ার জন্য নীতি নির্ধারকদের মনোযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।
মূল প্রবন্ধে শাহেদ আলম বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের মোবাইল খাতের কর তুলনামূলকভাবে বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপারেটরদের বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন সন্তোষজনক নয়। একদিকে অপারেটরদের গ্রাহকপ্রতি গড় আয় কম অন্যদিকে মোবাইল ভয়েস ও মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে কম। আমরা আরও নতুন ধরনের সাশ্রয়ী সেবা প্রদান করতে চাই। কিন্তু সেবাদাতাদের যদি করের ভারে জর্জরিত করা হয় তাহলে তাদের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যায়। আমরা এই খাতে যৌক্তিক হারে করারোপের দাবি জানাই। আমাদের মনে রাখা দরকার যে দেশের ৪৫ শতাংশ লোক নেটওয়ার্ক থাকা সত্ত্বেও এখনও মোবাইল ব্যবহার করতে পারে না।’
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, ‘সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' রূপকল্প বাস্তবায়নে টেলিকম অপারেটররা প্রধানতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। করের ভার এবং অন্যান্য অনেক চ্যালেঞ্জে থাকা সত্ত্বেও আমরা কোটি কোটি গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছি। আমরা সরকারের ভ্যাকসিন এবং বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। এখনও অনেক পথ যেতে হবে, কিন্তু আমরা জেনে খুশি যে সরকার লং ডিসট্যান্স টেলিকম নীতি নিয়ে কাজ করছে। আমাদের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এটি আমাদের আরও উৎকৃষ্ট সেবা দিতে সাহায্য করবে।’
গ্রামীণফোনের অ্যাক্টিং সিসিএও হোসেন সাদাত বলেন, ‘আমরা উচ্চ কর সমস্যা সমাধানের জন্য নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রতি বছর বিপুল বিনিয়োগ করতে হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য, আমাদের খুব শিগগিরই টেলিকম খাতের ট্যাক্স ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের অযৌক্তিক করের বৈষম্য দূর করতে হবে। ভালো ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে করের পরিমাণ কম হওয়া উচিৎ। তৃণমূল স্তরে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য, আমাদের কর যৌক্তিকীকরণ করতে হবে।’
পড়ুন: ঈদে ২৩০০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অবস্থান তুলে ধরতে মিডিয়ার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স। অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। কেননা বিশ্বকে দেখানোর মতো এ শিল্পের প্রচুর ‘অর্জন ও ইতিবাচক গল্প’ আছে।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের বিকাশে সাংবাদিকদের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গার্মেন্টস সেক্টরের গৌরবময় যাত্রা, বিশেষ করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই শিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়নে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শুক্রবার ঢাকা ক্লাবে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বিজিএমইএ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে: বিজিএমইএ
তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের প্রতি আপনাদের আন্তরিক সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ,এটি এমন একটি খাত যা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে ব্যাপক অবদান রাখছে। যেটা লাখ লাখ মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।’
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, গত চার দশক ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরে মহান ও গৌরবময় অবদান থাকা সত্ত্বেও, সেসব গল্পের বেশিরভাগই প্রায়ই অকথিত থেকে গেছে এমনকি পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল তথ্য দিয়ে নেতিবাচকভাবে শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। যার ফলে শিল্প সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং শ্রমিকদের কল্যাণে শিল্পের অবস্থান তুলে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়। বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ ব্র্যান্ড হিসেবে ‘মেড ইন বাংলাদেশকে’ তুলে ধরতে সাংবাদিকদের একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
ঈদে ২৩০০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৩২টি শাখার মাধ্যমে ২০ এপ্রিল থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়তে শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যেই নতুন নোট ছাপিয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ঢাকা মহানগর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ শহরে তফসিলি ব্যাংকের ৩২টি শাখার মাধ্যমে নতুন নোট বিনিময় করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংককে সিএ লাইসেন্স দিলো আইসিটি বিভাগ
কর্মকর্তা সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঈদের আগে ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপিয়েছে এবং প্রয়োজনে নতুন নোটের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, মুদ্রা প্রবাহে ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে একই পরিমাণ পুরনো নোট প্রত্যাহার করেছে।
নতুন নোটের মধ্যে থাকবে ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বহির্ভূত চার্জ নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
কেএসএ, কাতার ও কাফকো থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার সংগ্রহ করবে সরকার
সরকার সৌদি আরব, কাতার এবং স্থানীয় কোম্পানি কাফকো থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার সংগ্রহ করবে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিপিপি) বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮০ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার আমদানিসহ ৭ প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন
অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সৌদি আরবের মাদান থেকে ৩৩৯ দশমিক ১৩ কোটি টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে এবং বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাতারের মুনতাজাত থেকে ২৪৭ কোটি ১০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
স্থানীয় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ২৪১ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া নেয়া হয়েছে।
বিসিআইসি ঢাকার আরকে এন্টারপ্রাইজ থেকে ৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির জন্য কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই: কৃষিসচিব
সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
চট্টগ্রামে রমজান জুড়ে মাঠে থাকবে বাজার মনিটরিং টিম
চট্টগ্রামে রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে জেলা প্রশাসনের পাঁচটি টিম কাজ করছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তারা রমজান মাসজুড়ে নগরীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করবেন। এছাড়া উপজেলা পর্যায়েও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন।
রবিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে গত ১ এপ্রিল থেকে মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করছে। রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য পাঁচটি টিম প্রতিদিন মাঠে থাকবে। সকালে তিনটি টিম ১০টা থেকে দুপুর ১টা, বিকালে দুটি টিম দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
টিমগুলো দ্রব্যমূল্য ছাড়াও মামলামালের গুণগত মান যাচাই, দোকানে মূল্য তালিকা আছে তা দেখাবে। এছাড়া পাহাড়তলী, চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারসহ বেশ কিছু বাজার তদরকিতে থাকবে।
বিকাশে ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউটে ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক
রোজার মাসে গ্রাহকের ক্যাশ আউট আরও সাশ্রয়ী করতে প্রতিবার ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউটে ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক দিচ্ছে বিকাশ। রবিবার মোবাইল ব্যাংকিং সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানোন হয়।
এতে বলা হয়, বিকাশ অ্যাপ বা ইউএসএসডি ব্যবহার করে গ্রাহকরা তাদের প্রিয় এজেন্ট, কিংবা যে কোনো এজেন্ট থেকে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ক্যাশআউট করে এই ক্যাশব্যাক অফার উপভোগ করতে পারবেন। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
বর্তমানে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী রেটে একটি প্রিয় এজেন্ট নাম্বার থেকে মাসে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাজারে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা খরচে ক্যাশ আউট করতে পারছেন। ‘প্রিয় এজেন্ট’ ছাড়া অন্যান্য এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা ক্যাশ আউট চার্জ প্রযোজ্য।