ব্যবসা
১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়ল
খুচরা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ১৭৮ টাকা থেকে এক হাজার ২৪০ টাকা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে এলপিজি-এর অন্যান্য পরিমাণের দামও একই অনুপাতে নতুন দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়বে। গাড়ির জন্য অটোগ্যাসের দামও প্রতি লিটারের বর্তমান মূল্য ৫৪ দশমিক ৯৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ দশমিক ৫১ টাকা করা হয়েছে।
নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, বিশ্বব্যাপী সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) বেড়ে যাওয়ায় খুচরা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম না বাড়াতে সরকারের প্রতি বিটিএমএ’র আহ্বান
এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৪২০ মার্কিন ডলার থেকে ৭৭৫ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি এলপিজি অপারেটররা সৌদি সিপির ভিত্তিতে বাল্ক এলপিজি কেনে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে কারণ বৈশ্বিক বাজারদরের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
এসময় বিইআরসির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যাখ্যানের পরও ফের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
এলপিজি গ্যাসের ১২ কেজির দাম কমেছে ৮৫ টাকা
২’য় দিনের মতো পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অনিদিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনের মত সমঝোতা ছাড়াই মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
ফলে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের শত ভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামালসহ পচনশীল পণ্য। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রম সচলসহ দু‘দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘট: বেনাপোলে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব পক্ষ আলোচনায় বসলেও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর, কাস্টমস, বিএসএফ, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বিষয়টি সুরাহা হয়নি।
মঙ্গলবার বিকালে আবারও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতীয় বিএসএফ ও পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ নব মালিক সমিতি, বনগাঁ মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সীমান্ত পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনসহ একাধিক সংগঠন সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয়। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধে যোগ দেয় পেট্রাপোল সীমান্তে পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার শ্রমিক।
পেট্রাপোল সেন্ট্রাল পার্কিং (ল্যান্ড পোর্ট) এর নতুন ম্যানেজার কমলেশ সাইনীর খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের কারণে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের এমন অভিযোগ অনেকের।
আরও পড়ুন: তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশক, ৭ কোটি টাকার চালান আটক
সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, করোনার কারণে এমনিতেই তাদের আয় কমে এসেছে। নতুন ম্যানেজার তাঁদের সঙ্গে কথা না বলে নতুন নতুন আইন তৈরি করছে। শুধু তাই নয়, নতুন ল্যান্ড পোর্ট ম্যানেজারের বিরুদ্ধে পরিবহন কর্মীরা অভিযোগ এনেছেন যে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কে কাজে লাগিয়ে তাঁদেরকে পোর্টের ভিতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এসবের প্রতিবাদে এবং শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন আটটি সংগঠনের কয়েক হাজার শ্রমিক।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের অনেক আমদানিকারকের পণ্যচালান পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে। সেই সঙ্গে রপ্তানির জন্য আসা শত শত ট্রাক সীমান্তে পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব পণ্যচালানের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পের অনেক কাঁচামাল রয়েছে। অনেকের শীপমেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারণে আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মত বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে তারা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘট: বেনাপোলে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
বেনাপোলের ওপারে ভারেতের পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘটের কারণে সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
পেট্রাপোল বন্দরে এলপি ম্যানেজার কর্তৃক নানাবিধ হয়রানি প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন, যাত্রীবাহী পরিবহন সমিতিসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন।
পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি কাজে নতুন এলপি ম্যানেজার নতুন নতুন আইন তৈরী করার কারণে নানা হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হয়রানি বন্ধসহ নতুন এলপি ম্যানেজারের প্রত্যাহারের দাবিতে দফায় দফায় বৈঠক ও বিক্ষোভ সমাবেশ হলেও এলপি ম্যানেজার তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমসে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, মহামারি করোনার কারণে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৭ শ থেকে সাড়ে ৭শ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে রপ্তানি হতো। এখন মাত্র সাড়ে ৩শ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এরপর নতুন এলপি ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের আলোচনা না করে বন্দর এলাকায় প্রবেশের উপর নতুন নতুন আইন তৈরি করে বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। নতুন এলপি ম্যানেজার বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে পরিবহন স্টাফদের বন্দরের ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন কাজে জড়িত স্টাফদের আইসিপিতে প্রবেশের মুখে বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের পেট্রপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওপারে এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন আন্দোলন করছেন। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আজ ২৬ জানুয়ারি ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে এদিন সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরণের পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করবে না।
হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, আজ ২৬ জানুয়ারি ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ কারণে সেখানে আজ সরকারি ছুটি। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়িরা হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় শুরু হবে বন্দরে সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
তবে বন্দরের বাংলাদেশ অংশে বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে আমদানিকৃত পণ্য খালাস কাজ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে পাসপোর্ট যাত্রী আসতে পারবে। বন্ধের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী: হিলি সীমান্তে বিএসএফকে বিজিবি’র মিষ্টি উপহার
৬ মাসে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ কোটি টাকা সহায়তা
নেপালে যাচ্ছে সিম্ফনি
নেপালে রপ্তানি হবে দেশে তৈরি সিম্ফনি স্মার্টফোন। নেপালের একটি স্বনামধন্য কোম্পানি এ্যাপেক্স গ্রুপ সিম্ফনির কাছ থেকে এই স্মার্টফোন নিচ্ছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকেই নেপালে মোবাইল ফোন রপ্তানি শুরু করেছে সিম্ফনি।
প্রথমবার তিনটি মডেলের প্রায় ১৫ হাজার মোবাইল সরাসরি এ্যাপেক্স গ্রুপের কাছে পাঠানো হয় এবং প্রতি মাসে বিভিন্ন মডেলের প্রায় ১০ হাজার করে পণ্য সিম্ফনি মোবাইলের হয়ে তারা নেপালে বাজারজাত করবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিম্ফনি জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে সিম্ফনি মোবাইলই প্রথম সরাসরি ব্র্যান্ড নেইম নিয়েই ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত স্মার্টফোন রপ্তানি করছে। এটাকে তারা দেশের রপ্তানি খাতে নতুন এক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করছে।
শনিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে নেপালে সিম্ফনি মোবাইল রপ্তানির বিষয়টি জানানো হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার তার বক্তব্যে জানান, আমি প্রথমেই বাংলাদেশ সরকার এর পক্ষ থেকে এডিসন গ্রুপ এর সিম্ফনি মোবাইল ব্র্যান্ড কে অভিবাদন জানাই। বাংলাদেশে তারাই একটি মাত্র ব্র্যান্ড যারা কোন ধরনের বৈদেশিক বা সরকারী সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র নিজস্ব উদ্যোগে এতো বড় একটি কারখানা পরিচালনা করছেন যা নিছকই দেশপ্রেম থেকেই এসেছে। তিনি সিম্ফনি মোবাইলকে অতি দ্রুত আরও ৫০টি দেশে দেখতে চান বলে জানান এবং এর জন্য যে কোন ধরনের সাহায্য বাংলাদেশ সরকার করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিম্ফনির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকারিয়া শাহীদ জানান, সিম্ফনি মোবাইল বাংলাদেশের ব্র্যান্ড। বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রতি মাসেই ১০ হাজার প্রোডাক্ট নেপালের মার্কেটে রপ্তানি করব। আমাদের ফ্যাক্টরিতে প্রতি মাসে ১০ লাখ প্রডাক্ট আমরা উৎপাদন করতে পারি। এই ফ্যাক্টরিতে ১৫ শ মানুষ কাজ করছে কিন্তু এর পাশাপাশি প্রায় আরও কয়েক লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই উৎপাদন কার্যক্রম এর সঙ্গে জড়িত আছে। ২০২২ সালেই নেপাল বাদেও আমরা নাইজেরিয়া, সুদান, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকায় আমাদের মোবাইল ফোন রপ্তানি করার পরিকল্পনা করছি।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
৬ মাসে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ কোটি টাকা সহায়তা
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের গত ৬ মাসে ১৮ কোটি ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে শ্রমিকের মৃত্যুজনিত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে এ অর্থ দেয়া হয়েছে।
বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. সেলিনা আক্তার এ তথ্য জানান।
এ তহবিল থেকে গত ৬ মাসে (জুলাই- ডিসেম্বর’২১) ১ হাজার ৫২৮ জন শ্রমিকের মৃত জনিত কারণে শ্রমিকের পরিবার, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ও দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে এ অর্থ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার শ্রমিক এবং তাদের পরিবারকে প্রায় ১২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ হাজার ৬২৩ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারবর্গকে ১১২ কোটি ১ লাখ টাকা মৃত্যুজনিত আর্থিক সহায়তা, ৩ হাজার ৪৭ জন অসুস্থ শ্রমিককে ৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা এবং ৭৬৩ জন শ্রমিকের মেধাবী সন্তানকে ১ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্প সেক্টরের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ২৩২(৩) ধারার বিধান অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে গত ২০১৫ সালে শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য এ তহবিল গঠন করা হয়। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে মোট রপ্তানির শতকরা ০.০৩ ভাগ সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তহবিলের বর্তমানে নগদ স্থিতি এবং বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআরসহ জমার পরিমাণ ২১৪ কোটি টাকা।
পড়ুন: লকডাউন সমাধান নয়: এফবিসিসিআই সভাপতি
পণ্য রপ্তানির আড়ালে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা
বিদেশে পোষাক পণ্য রপ্তানির নামে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ‘আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ’ নামে এক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্র পথে পণ্যগুলো ফিলিপাইন রপ্তানির চেষ্টা করছিল।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) চালানটি আটক করে কাস্টমসেরঅডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে কায়িক পরীক্ষা শেষে রাতে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড নামে বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে পণ্য লোড করা হয় পাচারের উদ্দেশ্যে। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ।
গত তিন মাসের ব্যবধানে ঢাকার এই প্রতিষ্ঠানটি ১১৩টি পণ্য চালান রপ্তানির বিপরীতে কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
কায়িক পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে, চারটি পণ্য চালানের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেন। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের বিপরীতে ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা প্রাপ্তি হতো। তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি চার ধরনের পণ্য রপ্তানির আড়ালে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার উত্তরা এলাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটির পণ্য ফিলিপাইনে রপ্তানির উদ্দেশ্যে কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেডের ডিপোতে কনটেইনারে লোড করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে গত ১১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চার ধরনের পণ্য চালান আটক করে শতভাগ কায়িক পরিশ্রম করা হয়।
কাস্টমস এর এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, রপ্তানি ঘোষণা অনুযায়ী ওই চারটি চালানে ২৪ হাজার ৩৪৪ পিস পোশাক থাকার কথা। কিন্তু শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে সেখানে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ পিস পোশাক পাওয়া যায়। এর মধ্য দিয়ে কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরূদ্ধে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ কর্মকর্তার মতে, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যচালান রপ্তানি করে। এসব চালানে ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে চায় এক্সপো ফোম
রপ্তানি আয় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হবে না। তবে অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে তেলের দাম এভাবেই স্থিতিশীল রাখতে হবে। অন্যথায় ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে নিরুৎসাহিত হবে।’
বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা দূর হলে রাশিয়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতি বছর ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে মাত্র এক টন উৎপাদিত হয়। প্রচুর পরিমাণ তেল আমদানি করায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি স্থানীয় বাজারকেও প্রভাবিত করে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম প্রতি কন্টেইনার দুই-আড়াই হাজার টাকা থেকে বেড়ে এখন আট থেকে ১০ হাজার টাকা হয়েছে। তাই দেড় বা দুই মাস পর দাম পুনর্নির্ধারণ করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘যদি দাম পুনর্নির্ধারণ না করা হয় রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলবেন না যা পবিত্র এই মাসে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা তাদের সঙ্গে ৬ বা ৭ ফেব্রুয়ারি আবার বসব এবং আন্তর্জাতিক বাজারের দাম ও অন্যান্য খরচ তূলনা করে পুনর্নির্ধারণ করব।’
এ সময় রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসকদের শক্ত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
কৃষি খাতের লাভজনক বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে সাকিবের পিপলস ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক তার বোর্ড অব গভর্নরদের আসন্ন বৈঠকে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকে তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আখতারের শেয়ার মালিকানা অনুমোদন দিতে পারে।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতি দেয়ার তিন বছর পরও চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। এবার ব্যাংকটির মালিকানায় আসছেন সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আক্তার।
বৃহস্পতিবার গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে গভর্নর বোর্ডের বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংকের লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) আরও বাড়ানোর জন্য একটি আবেদন উত্থাপন করবে এবং সাকিব ও তার মা শিরিন আক্তারের যৌথ মালিকানার বিষয়টি অনুমোদন দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কয়েক দফা বাড়ানোর পরেও গত বছরের ডিসেম্বরে পিপলস ব্যাংকের এলওআই এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ব্যাংকটি এখন সাকিব ও তার মাকে যুক্ত করার মাধ্যমে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের কাছে এলওআই বৃদ্ধির আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন: এবার ব্যাংকের পরিচালক হচ্ছেন সাকিব
প্রস্তাবিত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ইউএনবিকে বলেন,কার্যক্রম শুরুর জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত সব নথি জমা দেয়া হয়েছে। তারা আরও কোনো নির্দেশনা দিলে আমরা তা মানতে প্রস্তুত।
আবুল কাশেম আরও বলেন, পিপলস ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে সাকিব ও তার মা থাকতে পারেন।
৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ঘাটতি থাকায় কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের চূড়ান্ত লাইসেন্স পাচ্ছে না ব্যাংকটি। তবে খুব শিগগিরই চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে পিপলস ব্যাংক। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়, সাকিব আল হাসান পিপলস ব্যাংকের দুটি পরিচালক পদের মালিক হতে যাচ্ছেন।
উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের বায়োপিক বানাতে চান সৃজিত মুখার্জি
তবে ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে তিনি ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নতুন ব্যাংকের জন্য জুড়ে দেয়া হয় ৫০০ কোটি টাকা মূলধনের শর্ত।
এই তিনটির মধ্যে বেঙ্গল ও সিটিজেনস ব্যাংক ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু এলওআই পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পিপলস ব্যাংক এখনো লাইসেন্স নিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সিনিয়র ছাড়া খেলোয়ার নেই ভুল প্রমাণ হয়েছে: সাকিব
পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
ভারতের পেট্রাপোলে পরিচয়পত্র নিয়ে জটিলতায় দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত আমদানি বন্ধ ছিল।
এর আগে একই দাবিতে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। নানা সমস্যায় দু‘দিন পর পর এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: এক মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বুদ্ধদেব বিশ্বাস বলেন, এতদিন আমরা সংগঠনের পরিচয়পত্র নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কাজ করে আসছিলাম। হঠাৎ করে গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিএসএফ থেকে বলা হয় ভারতীয় কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ স্বাক্ষরের পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এ কারণে শনিবার আট ঘণ্টা রপ্তানি বন্ধ থাকে। পরে এক বৈঠকে আলোচনার পর আবারও বাণিজ্য চালু হয়। তারা আমাদের সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে চারটি সংস্থা থেকে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করাও কঠিন। এ কারণে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পেট্রাপোল বন্দরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় পরিচয় ছাড়া কোনো ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বন্দরে প্রবেশ করবে না। এতে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা বিঘ্ন ঘটায় শনিবার আট ঘণ্টা ভারত থেকে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের সমঝোতা বৈঠক শেষে বিকাল ৪টার দিকে আবারও বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব ফাঁকি রোধে বেনাপোল বন্দরে কঠোর অবস্থান কাস্টমস কর্তৃপক্ষের
তিনি জানান, সোমবার আবারও একই দাবিতে আমদানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট শ্রমিকরা যা মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে এখনও বলবৎ রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, ‘এটা ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এরপরও আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে আমরা পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।’