ব্যবসা
পোশাক কারখানায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করছে বিকাশ
তৈরি পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের জন্য পাচঁটি কারাখানায় স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে বিকাশ। হাতের কাছে জরুরি স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়ার সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পোশাক কারখানায় নারীবান্ধব স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যেই বিকাশের এই উদ্যোগ।
সম্প্রতি সাভারের আশুলিয়ার অনন্ত গার্মেন্টস, নিউএজ অ্যাপারেলস, গাজীপুরে মেগা ডেনিম, হ্যামস গার্মেন্টস ও চট্টগ্রামের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাপারেলস কারখানায় ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
ভার্টিক্যাল ইনোভেশনস এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় পোশাক কারখানায় এই অটোমেটিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনগুলো স্থাপন করছে বিকাশ। বিকাশ অ্যাপ থেকে কিউআর কোড স্ক্যান করে অথবা *২৪৭# ডায়াল করে সহজেই ভেন্ডিং মেশিন থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে পারবেন নারী শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে ভেন্ডিং মেশিনের পাশেই ধাপে ধাপে পেমেন্ট করার পদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএফআইসি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সরাসরি লেনদেন সেবার উদ্বোধন
বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, ‘পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের শারীরিক সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই আমরা এই স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে অবস্থিত এই মেশিন থেকে সহজেই নারী শ্রমিকরা বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে ন্যাপকিন কিনতে পারবেন। এই উদ্যোগকে আগামীতে পর্যায়ক্রমে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাবে বিকাশ।’
পোশাক খাতের শ্রমিকদের সহজ, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল বেতন বিতরণ ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করছে বিকাশ।
এই ইকো-সিস্টেমের অংশ হিসেবে ফ্যাক্টরির ভেতরেই ন্যায্য মূল্যের দোকান ‘সুলভ বাজার’স্থাপন করছে বিকাশ যেখানে বিকাশ পেমেন্টে শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন পণ্যে থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়।
আরও পড়ুন: বিকাশে মোবাইল রিচার্জে ৩০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
‘বিজমায়েস্ট্রোজ- ২০২১’ এর চ্যাম্পিয়ন ‘দ্য ডিপেন্ডেবলস’
ইউনিলিভার বাংলাদেশের (ইউবিএল) ব্যবসা বিষয়ক শীর্ষ প্রতিযোগিতা ‘বিজমায়েস্ট্রোজ-২০২১’ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) দল ‘দ্য ডিপেন্ডেবলস’। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির টিম ‘কোড রেড’ এবং দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র টিম ‘লেফ্টওভার পিৎজা’।
ইউনিলিভারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা দিল ইউনিলিভার
বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন- তাহের সাব্বির মাহুওয়ালা, আবরার মাহির আহমেদ ও আফনান সাইদ। তারা যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিলিভারের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ‘ফিউচার লিডারস লিগ (এফএলএল)- ২০২১’ এ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত ইউনিলিভারের এ ধরনের ‘জাতীয় প্রতিযোগিতা’য় বিজয়ী দলগুলোর সঙ্গে তারা গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপ’ এর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া ইউনিলিভারের প্রিমিয়ার ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম- ‘ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস প্রোগ্রাম’ (ইউএফএলপি) এ নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পাবেন চ্যাম্পিয়ান দলের সদস্যরা।
প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজন করা হয়, যেখানে দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়িক নেতারা বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। বিচারক প্যানেলে ছিলেন, বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএসএম মিনহাজ।
এ প্রসঙ্গে ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার বলেন, ‘বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা আগামী দিনের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ উদ্যোগটি ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১০ লাখ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন স্পন্সর ইউনিলিভার
তরুণদের মধ্যে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গুণ ও বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১৭ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবসা বিষয়ক শীর্ষ প্রতিযোগিতা ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ২০২১’। তিন জনের দলে ভাগ হয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শেষ বর্ষের প্রায় ৩৪০ জন শিক্ষার্থী এবারের আসরে প্রথম রাউন্ডে অংশ গ্রহণ করে বাস্তব ব্যবসার প্রকৃত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।
ওমিক্রন আতঙ্কে হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতা
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর ফলে ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ, রক্ত পরীক্ষাসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকে স্প্রে ও চালকদের হ্যান্ডস্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।
বন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহ-ব্যবস্থাপক অসিত স্যানাল জানান, ভারত থেকে আসা আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ট্রাক চালকরা যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে, সেজন্য বন্দরের বিভিন্ন গেটে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, আমরা ইতোমধ্যেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের স্ক্যানিং করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বন্দর ও ইমিগ্রেশন এলাকায় একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইসরায়েল, বতসোয়ানা, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালি থেকে যেসব যাত্রী হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে বাংলদেশে আসবে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করা হবে। একারণে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে এই বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, ওমিক্রন নিয়ে হিলি চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীদের যাচাই বাছাই করে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন গেটে পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
পড়ুন: ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষ
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৬ কোটি ২৭ লাখ ছাড়াল
বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে ১০ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল ঢাকায়
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবের পরিবহনমন্ত্রী প্রকৌশলী সালেহ বিন নাসের আল-জাসেরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডি) আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে তারা অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: সৌদি কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে সর্বাত্মক সহযোগিতা
সৌদি বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাপতি ওমর বিন তালাল হারিরিসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি প্রতিনিধিদের মধ্যে আকওয়া পাওয়ার, ইঞ্জিনিয়ার ডাইমেনশন টু এলএলসি, রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের মতো সৌদি সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীরা এই সামিটে যোগ দিচ্ছেন।
সৌদি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বিশেষভাবে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরতে রবিবার থেকে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সামিট ২০২১ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা নিন: বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য তার সরকারের দেয়া সবধরনের সুযোগের সর্বোচ্চ সুবিধা লুফে নিতে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বিনিয়োগকারীরা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিনিয়োগ খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন বাজার তৈরি হবে এবং বাংলাদেশ কাঙ্খিত বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।’
রবিবার রেডিসন ব্লু হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগের জন্য আমরা সম্ভাবনাময় ১১টি খাত চিহ্নিত করেছি। এগুলো হচ্ছে অবকাঠামো, পুঁজিবাজার, আর্থিক সেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিকস উৎপাদন, চামড়া, স্বয়ংক্রিয় ও হালকা প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ, পাট-বস্ত্র এবং ব্লু-ইকোনমি।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ জনগণের রায় পেয়ে সরকার গঠন করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আকর্ষণীয় প্রণোদনার মাধ্যমে উদার বিনিয়োগ নীতি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশাল বাজারের মধ্যে ভৌগলিক অবস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি আস্থার ফলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ৬০ শতাংশেরও বেশি পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে আসছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতীয় শিল্প নীতির পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ পাশ করেছে, প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা, রপ্তানিমুখী শিল্পের বৃদ্ধির জন্য বন্ড ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণের কথা বিবেচনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৩৯টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছে এবং পর্যায়ক্রমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ২৭ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বিতরণ করবে বিকাশ
এখন থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধাভোগীদের বৃত্তি, অনুদান, সম্মানীসহ অন্যান্য ভাতা বিতরণ করবে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
সম্প্রতি বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে বিকাশ ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ ও বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির ফলে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি, অনুদানসহ সব ধরণের ভাতা খুব সহজে, ঝামেলাহীনভাবে ও দ্রুততার সাথে ভাতাভোগীদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। এই টাকা ক্যাশ আউট করতে ভাতাভোগীদের কোন ফি বহন করতে হবে না। তাছাড়া, বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই উপকারভোগীরা সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, সব ধরণের পরিষেবার বিল পরিশোধ, কেনাকাটার পেমেন্টসহ প্রয়োজনীয় নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
পড়ুন: আইএফআইসি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সরাসরি লেনদেন সেবার উদ্বোধন
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণসহ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। বিকাশের সাথে যে শুভ সূচনা হয়েছে তা কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি, অনুদান ও অন্যান্য ভাতা বিতরণ কার্যক্রমকে আরো সহজ করবে।’
বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক কল্যাণ সাধনে সরকারি এই উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ চুক্তির মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাথে যে যাত্রা শুরু হলো তা ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নিয়ে যাবে বিকাশ।’
২০১৭ সালে শুরু করে এখন পর্যন্ত সারা দেশের কোটি উপকারভোগীর কাছে সরকারের প্রণোদনা ও ভাতা সহজেই পৌঁছে দিয়ে সফলতার উদাহরণ তৈরি করেছে বিকাশ। স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও দ্রুততার সাথে ভাতা বিতরণকে সাশ্রয়ী করে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম সহযোগী হয়ে উঠেছে বিকাশ।
পড়ুন: বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়ল রিয়েলমি সি২৫ওয়াই
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন রবিবার শুরু
বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) গন্তব্য হিসেবে উন্নীত করা এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ তুলে ধরার লক্ষ্যে দুই্ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন, ২০২১ রবিবার থেকে শহরের একটি হোটেলে শুরু হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই সম্মেলনের স্লোগান দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ ডিসকভার লিমিটলেস অপরচুনিটিস’।
সিরাজুল ইসলাম জানান, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: সৃজনশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করার সময় মন্ত্রী,দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি ও এই খাতের বিশেষজ্ঞরা সরাসরি যোগ দিবেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ),ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এবং ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করবে বিডা।
এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নিবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদরাও সম্মেলনে অংশ নিবেন বলে জানান বিডা চেয়ারম্যান।
বিডা প্রধান বলেন, নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ১১টি সম্ভাব্য খাতের সম্ভাবনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।এছাড়া দ্বিতীয় দিনে একটি প্রযুক্তিগত অধিবেশন হবে।
আরও পড়ুন: ফরাসি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়ল রিয়েলমি সি২৫ওয়াই
মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই রেকর্ড সংখ্যক সি২৫ওয়াই বিক্রি করে নতুন রেকর্ড গড়লো স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। দারাজের ক্যাম্পেইনে মাত্র পাচঁ মিনিটেই চার হাজার ইউনিট রিয়েলমি সি২৫ওয়াই বিক্রি হয়েছে।
৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, পাচঁ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি ও ১৮ ওয়াট কুইক চার্জার সমৃদ্ধ চমৎকার এ ফোনটি ব্যবহারকারীদের দিবে নিরবচ্ছিন্ন স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। এ ফোনে আছে শক্তিশালী ইউনিসক টি৬১০ প্রসেসর, ৪জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ সুবিধা।
ক্রেতারা এ ফোন কিনতে পারবেন মাত্র ১৩ হাজার ৯৯০ টাকায়।
রিয়েলমি সি২৫ওয়াই টিইউভি রাইনল্যান্ড হাই রিলায়েবিলিটি সার্টিফাইড স্মার্টফোন। ২০টিরও বেশি এক্সট্রিম টেস্ট উত্তরণের পর এই সার্টিফিকেট পেয়েছে স্মার্টফোনটি।
রিয়েলমি সি২৫ওয়াই কেনার জন্য নিকটতম রিয়েলমি ব্র্যান্ড শপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন -https://cutt.ly/realme_Brand_Shop
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি নিও ২
বাংলাদেশে জিটি সিরিজের সেরা ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি
চার মাসে বেনাপোল রেলপথে আয় ৮ কোটি ২৬ লাখ
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম, বন্দরের পণ্য রাখার জায়গার অভাব ও পেট্রাপোল পার্কিং সিন্ডিকেটের কারণে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর তাই গত চার মাসে রেলপথে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিন টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। রেলের ভাড়া বাবদ আট কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল রেলওয়ে সূত্র জানায়, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে ভারত থেকে বেনাপোলে পণ্য বহন করে রেলওয়ে এ টাকা আয় করেছে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস পণ্য, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনি, মেশিনারিজ পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্থলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের বনগাঁ কালিতলা ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের কাছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন। সিরিয়ালের নামে ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করত। করোনার শুরুতে এ ধরনের প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছর ৪ জুন থেকে রেলে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্যের অনুমতি দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, খরচ সাশ্রয় আর নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন ব্যবসায়ীরা রেলপথে বাণিজ্যে ঝুঁকতে থাকেন। আগে মাসে চার থেকে পাঁচটি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে প্রতিদিন কার্গো রেল, সাইডোর কার্গো রেল ও প্যার্সেল ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব আয়ে লাভবান হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি সচল রয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি রেল খাতে সরকারের চারগুণ বেশি রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, সড়কপথে আমদানিতে নানা হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের পেট্রাপোলে চাদাঁবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যানজটের জন্য বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় দুই দেশের ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে। যার কারণে চলতি বছরের চার মাসে আট কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সড়ক পথে স্থলপথের সাথে পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বন্দরের রেল ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল পথে বাণিজ্য আরও বাড়বে। আগে রেলপথে পাথর ও জিপসাম-জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে গার্মেন্ট, কেমিকেল, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সরাসরি লেনদেন সেবার উদ্বোধন
দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু হয়েছে। ফলে ব্যাংকটির ১০ লাখেরও অধিক গ্রাহক এখন তাৎক্ষণিকভাবে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা আনতে পারবেন এবং বিকাশ থেকে আইএফআইসি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে পারবেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকবৃন্দ দেশের যেকোনো স্থান থেকে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা যেকোনো সময় এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এ.আর.এম. নাজমুস সাকিব ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংক ও দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের এই যৌথ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিকাশের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কাজী মাহমুদ সাত্তার, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিকাশে বিনিয়োগ করলো সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড ২
এই সমন্বিত লেনদেন সেবা পেতে প্রথমে গ্রাহকদের বিকাশ অ্যাপ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও আইএফআইসি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মধ্যে লিংক স্থাপন করতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। লিংক স্থাপনের ক্ষেত্রে উভয় অ্যাকাউন্টের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ, ব্যাংকে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর এবং বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর একই হতে হবে। লিংক স্থাপন হয়ে গেলে একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’র মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন এবং প্রয়োজনমতো ব্যবহার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আইএফআইসি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেয়াসহ ডিপিএস, ঋণের কিস্তি ইত্যাদি নানাবিধ সেবা বিকাশ অ্যাপের ‘ট্রান্সফার মানি’র মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিকাশে মোবাইল রিচার্জে ৩০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের আট শতাধিক শাখা-উপশাখা থেকেও বিকাশে ক্যাশ ইন করার সুবিধা উপভোগ করছেন ব্যাংকের সকল গ্রাহক। এছাড়া ব্যাংকটির এটিএম বুথ থেকে শতকরা ১.৪৯ হারে ক্যাশ আউট সেবাও নিতে পারবেন বিকাশের পাচঁ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহক।
উল্লেখ্য, অ্যাড মানি বা ট্রান্সফার মানি উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘ট্রানজেকশন লিমিট’ প্রযোজ্য হবে।