ব্যবসা
অনলাইনে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা
ডিজিটাল বিপ্লবের হাত ধরে বাংলাদেশে অনলাইন বেচাকেনা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে মানুষ ঘরে বসেই সময় বাঁচিয়ে হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে তার পছন্দসই পণ্য। বর্তমান সময়ে এসে করোনা পরিস্থিতির মাঝে বাজারে গিয়ে কোরবানির পশু কেনা খুবই ঝামেলার কাজ। যার ফলে এবার দেশে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগেভাগেই অনলাইনে পশু কেনাবেচা জমে উঠেছে। যদিও বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে পশু বেচাকেনা দেখা যাচ্ছে, তবে মহামারির কারণে গত বছর থেকে এটি বেশ আলোচিত হচ্ছে।
এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নিজেদের উদ্যোগে অনলাইনে পশু বেচাকেনা করলেও গত বছর সরকারি ভাবে 'ডিজিটাল হাট' নামে অনলাইনে পশু বেচাকেনার একটি বাজার চালু করা হয়েছে।
‘ডিজিটাল হাট’ কি?
‘ডিজিটাল হাট’ হল মূলত ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি উদ্যোগে অনলাইনে পশু বেচাকেনার একটি অনলাইন নির্ভর বাজার। গত বছর এটি শুরু করা হলেও এবার বাজারটি জমে উঠেছে। মহামারির কারণে গত বছরও বেশ বেচাকেনা হয়েছে। গত কোরবানির ঈদে ২৭ হাজারের মতো পশু বিক্রি হয়েছে, এবার সরকার আশা করছে এক লাখের মতো পশু বিক্রি হবে এই মাধ্যমে। যদিও এটি মূলত ঢাকা উত্তর সিটি ভিত্তিক। তবে অন্য এলাকা থেকেও এখানকার সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
‘ডিজিটাল হাট’ কাজ করে যেভাবে
অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মতোই এটি কাজ করে। বিক্রেতারা ওয়েবসাইটে পশুর ছবি ও বিস্তারিত তথ্য দেন এবং ক্রেতারা সেটা দেখে পশু কিনেন। ক্রেতারা বিভিন্ন ক্যাটাগরি দেখে পছন্দ অনুযায়ী ফার্ম এবং বিক্রেতার কাছ থেকে পশু কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে অন্যতম সুবিধা হলো আপনি পশু হাতে পাওয়ার পরই টাকা পরিশোধ করবেন। পশু কেনা ছাড়াও আপনি এই হাট থেকে কসাইও বুক করতে পারবেন।
বিভিন্ন জেলায় অনলাইন পশুর হাট
মহামারিকালীন এই সময়ে ভিড় এড়াতে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও অনলাইন পশুর হাট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে গাজীপুরের শ্রীপুরে অনলাইন পশুর হাট যাত্রা শুরু করেছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে 'অনলাইন পশুর হাট' নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
বেসরকারি উদ্যোগ
সরকারিভাবে ডিজিটাল হাট ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি ই-কমার্স সাইটগুলোও অনলাইনে কয়েক বছর ধরে পশু কেনাবেচা করে আসছে। 'বিরাট হাট' নামে একটি ক্যাম্পেইনের আওতায় বিক্রয় ডট কম বেশ কয়েকবছর ধরে গরু, ছাগল বিক্রি করছে। এখানে ক্রেতা ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পশু নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে 'গরুর হাট' নামে একটি ক্যাম্পেইনের আওতায় দারাজ ঈদে অনলাইনে পশু বিক্রি করে আসছে। দারাজ সরাসরি পশুর ওজন, রং, দাঁত ইত্যাদি দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। প্রাণ-আরএফএল এর ই-কমার্স কোম্পানি ২০২০ সাল থেকে 'অনলাইন কোরবানির হাট' নামে অনলাইনে পশু বিক্রি করছে। শুদ্ধ ডট কম সরাসরি কৃষকদের একটি প্ল্যাটফর্ম। বাজার দামে নয় বরং মূল দামেই এখানে পশু বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি সম্পূর্ণ ফ্রি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
এছাড়া আজকের ডিল ডট কম, দেশি গরু ডট কম, মাদল নামে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইনে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই মাংস কাটা থেকে শুরু করে ঘরে দিয়ে আসা পর্যন্ত সব সেবা দিচ্ছে।
১৬ জুলাই থেকে ইউএস-বাংলার কুয়ালালামপুর-ঢাকা ফ্লাইট শুরু
আগামী ১৬ জুলাই থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে।
প্রতি শুক্রবার কুয়ালালামপুরের থেকে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে ইউএস-বাংলা এবং ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে অবতরণ করবে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে প্রবাসীদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে চলছে ইউএস বাংলার ফ্লাইট
করোনাকালীন সময়ে যাত্রীদের যাত্রা শুরু করার আগে ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং ঢাকা আসার পর নিজ খরচে প্রতিষ্ঠানিক অথবা সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নূন্যতম খরচে ইউএস বাংলার আকর্ষণীয় হলিডে প্যাকেজ
কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার নূন্যতম ভাড়া সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ৩০,৬৫৮ টাকা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রয়েছে করোনাকালীন সময়ে সকল প্রকার স্বাস্থ্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা পুরোপুরি পালন করার বাধ্যবাধকতা ।
১৬৪ আসনের বোয়িং৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ ৫ জুন থেকে ওমানে ফ্লাইট শুরু ইউএস বাংলার
উল্লেখ্য আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর ও সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম নর্থ জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চট্টগ্রাম নর্থ জোনের ভার্চুয়াল ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী।
আরও পড়ুন: হাংরিনাকির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব
এতে অন্যান্যের মধ্যে ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে. কিউ. এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আলতাফ হুসাইন, আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ কামালুদ্দীন, আবু নাছের মুহাম্মদ নাজমুল বারী ও মো. নাইয়ার আজম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ উদ্দিন ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান।
ব্যাংকের চট্টগ্রাম নর্থ জোনের শাখাপ্রধান ও কর্মকর্তারা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু
হাংরিনাকির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব
দারাজ বাংলাদেশের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাপভিত্তিক ফুড ডেলিভারি কোম্পানি হাংরিনাকি’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি সই করেছেন বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সম্প্রতি হাংরিনাকি ও সাকিবের মধ্যকার এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সাকিব আগামী দুই বছরের জন্য হাংরিনাকির খাবার ডেলিভারি সেবার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন।
আরও পড়ুনঃ ‘হাংরিনাকি’ কিনে নিল ‘দারাজ’
প্রতিষ্ঠানটির মতে,কঠিন সময়ে সাকিব আল হাসানের চেয়ে বেশি সহনশীলতা এবং নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব বিরল। আর এই একই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, হাংরিনাকি সাকিবের সাথে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যেন প্রতিষ্ঠানটি সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এই লকডাউনের মধ্যেও গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পারে। সাকিবের মতো হাংরিনাকিও আস্থা এবং ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে বদ্ধপরিকর এবং লকডাউন সত্ত্বেও গ্রাহকদের জন্য সেবা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ দারাজের সাথে বিখ্যাত ব্র্যান্ড মনস্টারের চুক্তি
এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, আমি সবসময় হাংরিনাকি থেকে খাবার অর্ডার করি, কারণ তাদের সেবার মান অসাধারণ। আমার অনেক বন্ধু ও পরিবারের মানুষরাও হাংরিনাকির গুণগত মানের সেবার প্রশংসা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে খাবার ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশসেরা প্ল্যাটফর্ম হবে হাংরিনাকি। তাই, আমি এই যাত্রার একটি অংশ হতে পেরে খুবই আনন্দিত এবং আমার প্রত্যাশা আমাদের এই পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ অংশীদারিত্ব আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ বাজার সম্প্রসারণে কাজ করবে রিয়েলমি দারাজ
অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাকিব হাংরিনাকির বিভিন্ন টিভিসি/ওভিসি’তে থাকবেন এবং আরডিসিতেও অংশ নিবেন। পাশাপাশি, সাকিব এখন থেকে হাংরিনাকির ফটোশুট, ফেসবুক লাইভ সেশন, ক্যাম্পেইন, মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন ও স্পন্সর করা অনলাইন বা টিভি শো’তে অংশগ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, হাংরিনাকি এখন বাংলাদেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজের একটি অংশ। চলতি বছরের মার্চে অ্যাপভিত্তিক ফুড ডেলিভারি এই প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করেছে দারাজ।
বেনাপোল স্থলবন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু
বেনাপোল স্থলবন্দরে অবশেষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার কাজ শুরু হয়েছে। বন্দর স্থাপনের ৪৮ বছর পর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।
১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরো বন্দর এলাকায় ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও সিসি ক্যামেরা স্থাপনে খুশি ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: লকডাউন: বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিসি ক্যামেরা যেমন বন্দরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তেমনি পণ্য আমদানি থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত বাণিজ্যক কার্যক্রম পুরোটা বন্দরের নজরদারিতে থাকবে।
বন্দর সূত্র জানায়, ১৯৭২ সালের শুরুর দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু। দেশের স্থলপথে যে বাণিজ্য হয় তার ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে বেনাপোল কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনেক আগেই সিসি ক্যামেরার আওতায় আসলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরটি এতোদিন সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল না। এতে বন্দর থেকে পণ্য চুরি, মাদক পাচার, রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড, চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাতে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী হত্যাসহ নানান অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আসছিল। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ থাকলেও কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে এতোদিন সীমাবদ্ধ ছিল সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও খোলা ছিল বেনাপোল কাস্টম হাউস
বন্দরের বাইপাস সড়ক, পণ্যগার, ভারতীয় ট্রাক ও চ্যাচিস টার্মিনাল, আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল, ঢাকা-কলকাতা মহাসড়কসহ বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বসছে ৩৭৫টি আধুনিক মানের সিসি ক্যামেরা। প্রথম পর্যায়ে মাটির নিচ দিয়ে ক্যাবল সংযোগ ও প্লার নির্মাণের কাজ চলছে। স্মার্ট টেকনোলজি নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তদারকিতে কাজ চলছে।
পণ্য বহনকারী ট্রাক চালক বাবু মিয়া জানান, চোরের উৎপাতে বন্দরে ট্রাক রেখে দুশ্চিন্তায় ঘুম হতো না। ট্রাকের ব্যাটারি, চাকা ও মালামাল চুরি হতো। এখন সিসি ক্যামেনা স্থাপনে সে ভীতি থেকে রক্ষা হবে।
বেনাপোলের আমদানিকারক আব্দুল লতিফ জানান, বন্দর থেকে আমদানি পণ্য চুরি হয়ে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীরা এ পথে আমদানি বন্ধ করেছেন। ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আগে থেকে সিসি ক্যামেরা থাকলে এমন চুরি হতো না।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক
বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি সিসি ক্যামেরার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এতে বন্দরে পণ্য চুরিসহ নানান অব্যবস্থাপনা রোধ ও আমদানি পণ্যের নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ব্যবসাযীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বন্দরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর। এখন তা স্থাপনের কাজ চলছে। সিসি ক্যামেরা যেমন বন্দরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তেমনি পণ্য আমদানি থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত বাণিজ্যক কার্যক্রম পুরোটা বন্দরের নজরদারিতে থাকবে।
ব্র্যাক আন্তর্জাতিকের নতুন প্রধান শামেরান আবেদ
বিশ্বের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক বিভাগের নতুন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন শামেরন আবেদ। আগামী আগস্টের ১ তারিখ থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুনঃ বিদেশ ফেরত ৪৭ শতাংশেরই কাজ জোটেনি: ব্র্যাক
নির্বাহী পরিচালক হিসেবে শামেরান ব্র্যাক ইন্টারনেশনালের ২০৩০ এর মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন সুবিধাবঞ্চিত নারী, তরুণ এবং দরিদ্র মানুষকে সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৌশলগত এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন। এছাড়াও তিনি ব্র্যাক ইন্টারনেশনালের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিবেন।
আরও পড়ুনঃ দেশের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ব্র্যাকের সমঝোতা
শামেরান বলেন, 'আমরা যেহেতু মহামারির কারণে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি, যেটা আমাদের পুনরায় মনে করিয়ে দিচ্ছে বিশ্বের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যের হাত থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘস্থায়ী এবং স্থিতিশীল অবস্থান তৈরি কতোটা প্রয়োজনীয়'।
শামেরান ২০০৯ সালে ব্র্যাকে যুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক বিভাগে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ বিদেশফেরত ৮৭ শতাংশের আয়ের কোনো উৎস নেই: ব্র্যাক
উল্লেখ্য, শামেরান আমেরিকার হ্যামিল্টন কলেজ থেকে অর্থনীতির ওপর স্নাতক অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করেন।
তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারতীয় পাথরবাহী পাঁচটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুনঃ অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও আমদানি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রীবুধবার সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে তামাবিল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। তামাবিল স্থলবন্দরে দীর্ঘদিন পর পূনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে আনন্দের আমেজ দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ততামাবিল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তামাবিল স্থলবন্দরের কার্যক্রম সচল থাকলেও ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে মেঘালয়জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে দেশটির রাজ্য সরকার। ফলে গত ১ মে থেকে ডাউকি স্থলবন্দরের পাশাপাশি সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। যার কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি স্থলবন্দর দিয়ে চুনাপাথর, পাথর ও কয়লাসহ আমদানি-রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি।
সম্প্রতি মেঘালয়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার ফলে বিগত কয়েকদিন ধরে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ও ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে আলোচনার ভিত্তিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ মেনে এই স্থলবন্দরটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনে স্বাভাবিক হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম
এ বিষয়ে তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সেদু জানান, করোনার কারণে গত মে মাসের শুরু থেকেই ডাউকি স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। দীর্ঘদিন ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার ফলে তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বেশ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েন। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক।তিনি বলেন, তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক মিলে প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাই আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় এলাকার সর্বত্র খুশির আমেজ বইছে।
আরও পড়ুনঃ হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। তবে যতটুকু জানি, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে ভারত তাদের ডাউকি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের সহযোগিতায় পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় প্রত্যেকটি পরিবহন স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও কমছে না পেঁয়াজের দাম। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণের দাম। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার এমনই থাকবে। ঈদে দাম বাড়ার কারণ দেখছেন না তারা। গত রবিবারের পর থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত বন্দরের মোকামে পাইকারীতে প্রতি কেজিতে ৬-৭ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকায়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতীয় ৫৪টি ট্রাকে প্রায় হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রথম পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সফল তড়িৎ বিশ্বাস
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, ভারতের নাসিকসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আগের চেয়ে বেশি আমদানি করা হচ্ছে। গত ৫-৬ দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ২৪-২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু গত ৩-৪ দিন থেকে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং বৃষ্টি হওয়ায় দাম একটু বাড়তির দিকে। ফলে গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার বন্দরের মোকামে প্রকার ভেদে পাইকারী বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৪ টাকায়।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও নাজমুল হোসেন জানান, দ্বিতীয় ধাপে করোনা বেড়ে যাওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। একারণে সময় কম হওয়ায় চাহিদা মত পেঁয়াজের ট্রাক ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা কম হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদা বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় দাম বেড়ে যাচ্ছে।
তারা আরও জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকালের দিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলে চাহিদা মত পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা যেত। তাতে আসন্ন কোরবানির ঈদে বাজারে পর্যাপ্ত ভারতীয় পেঁয়াজের যোগান দেয়া যাবে। ভোক্তারা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবে। তাহলে ঈদে দাম বাড়বে না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
বন্দরে পাইকারী পেঁয়াজ কিনতে আসা ঢাকার কারওয়ান বাজারের আব্দুল লতিফ জানান, আমরা এখান থেকে পেঁয়াজ পাইকারী দরে কিনে ঢাকার বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করে থাকি। ৪-৫দিন আগে ২৬-২৭ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ শুক্রবার মোকামে সেই পেঁয়াজ কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। জানি না কোরবানির ঈদে আরও কত বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়?
এদিকে বন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ২৫টি ট্রাকে ৬২৬ মেট্রিক টন, গত বুধবার ১৬টি ট্রাকে ৪১৮ মেট্রিক টন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
লকডাউন: বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার
বেনাপোলে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত টহল দিচ্ছে। স্থলবন্দরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। তবে কাস্টমস ও বন্দর সংশ্লিষ্ট লোকজনদের যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
লকডাউনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি চালু ছিল। বন্দর ও কাস্টমস হাউজে স্বাভাবিক নিয়মে কাজ হয়েছে। সকাল থেকে ১৮০ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে ও ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৭০ ট্রাক মালামাল।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও খোলা ছিল বেনাপোল কাস্টম হাউস
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা জানান, ভারতীয় কোন ট্রাক চালক যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য বন্দর এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও জেলার অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট দীর্ঘ সময় নজরদারি করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে রেলযোগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৬০ কন্টেইনার সোডিয়াম সালফেট আমদানি হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কন্টেইনারগুলো নওয়াপাড়ায় যাবে বলে বেনাপোল রেলওয়ের মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব জানান, লকডাউনের মধ্যে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ৪০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের প্রত্যেককে বেনাপোলের বিভিন্ন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টেইনে রাখা হয়েছে।
কঠোর লকডাউনে স্বাভাবিক হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম
সারাদেশে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন শুরু হলেও সরকারের নির্দেশে স্বাভাবিক রয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলছে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোডের কাজও।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, সরকার হিলি সহ দেশের সকল বন্দরের কার্যক্রম কঠোর বিধি-নিষেধের আওতার বাহিরে রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এরফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি চালু রাখা হয়েছে। ভারত থেকে যেসব পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে সেগুলো জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: সারাদেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ থাকবে
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, ‘আজ থেকে ৭দিনের লকডাউন শুরু হওয়ায় সকাল থেকে প্রতিদিনের মতো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে। বন্দরে প্রবেশের পর ভারতীয় ট্রাকচালকদের আলাদা জায়গায় রাখা হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সব সময় নজরদারি করছে। এছাড়া বন্দরের পানামা পোর্টের ভেতরে যারা প্রবেশ করছে তাদের সবার মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক সহ সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।’