ব্যবসা
গ্রাহক প্রতারণা: স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
বীমার টাকা পরিশোধ না করায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের দায়ের করা মামলায় পরোয়ানা ইস্যু করেছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসলাম রেজা, অডিট অফিসার মো. সাইদুর রহমান খান ও কোম্পানি সচিব মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও মামলায় আর দুজন আসামির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুনিসার দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
সংশ্লিষ্টরা জানান, সারাদেশে সানলাইফ ইন্সুরেন্সের কাছে ৩০ কোটি টাকার বেশি পাওনা হয়েছে গ্রাহকরা। কুষ্টিয়া ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নড়াইলসহ আরও কয়েকটি জেলায়ও কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেসব মামলার কয়েকটিতে ওয়ারেন্টও জারি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকে তাদের বীমা দাবি টাকা পরিশোধ না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলা দায়ের হলেও বীমা কোম্পানিটির মালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মতিন খন্দকার বলেন, গ্রাহক প্রতারণায় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদসহ সাতজনের কুষ্টিয়ার আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এখন পর্যন্ত আমার কাছে এ সংক্রান্ত মোট ১১টি মামলা আছে। মোট গ্রাহক ৪৯৭ জন। মোট অর্থের পরিমাণ ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৯২৬ টাকা। নয়টি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। দুটি মামলা লকডাউনের জন্য স্থগিত আছে। এর মধ্যে ছয়টি মামলার ওয়ারেন্ট সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগীদেও মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অভিযোগ প্রসঙ্গে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ার মামলার বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। করোনার কারণে কিছু ল্যাকিং (ঘাটতি) তৈরি হয়েছিল। আশা করি আগামী (জুন) মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান করে ফেলব।
তার দাবি, কোম্পানির আগের কিছু কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে বেশকিছু বীমা দাবি আটকে ছিল। আমরা ইতোমধ্যে ৩-৪টি মামলার দাবিগুলো পরিশোধ করেছি। লকডাউনের কারণে কিছু মামলার দাবি পরিশোধ করতে পারিনি। শুনেছি, আমাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমরা দ্রুত এ বীমা দাবিগুলো পরিশোধ করব।
শাম্মী কুদ্দুস: গুগল এবং বিশ্ব অর্থপ্রযুক্তি শিল্পে একজন সফল বাংলাদেশি নারী
গুগলের পণ্য ব্যবস্থাপক এবং বাংলাদেশের প্রথম লিডারশীপ প্রতিষ্ঠান-বিওয়াইএলসির (বাংলাদেশ ইউথ লিডারশীপ সেন্টার) সহ প্রতিষ্ঠাতা শাম্মী কুদ্দুস বেড়ে উঠেছেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। দুই সন্তানের জননী এই নারী ইতোমধ্যে স্ট্যানফোর্ড জিএসবি ও হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল থেকে এমবিএ ও এমপেইড ডিগ্রি নিয়েছেন। শাম্মী স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান আমেরিকায় এবং এমআইটি থেকে পরিবেশ প্রকৌশলে গ্রাজুয়েশন করেন। বর্তমানে স্বামী ও সন্তান নিয়ে অবস্থান করছেন ক্যালিফোর্নিয়ার সানিভেলে।
এসএমই খাতের উন্নয়নে বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের ৬৩টি প্রস্তাব
এসএমই খাতের উন্নয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের ৬৩টি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি অর্থ বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এসএমই বান্ধব প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিভিন্ন এসএমই অ্যাসোসিয়েশন, ট্রেড বডিজ ও উদ্যোক্তা হতে প্রস্তাবনা চাওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে ১৫টি অ্যাসোসিয়েশন-ট্রেড বডিজ হতে এসএমই খাত সংশ্লিষ্ট ১০০ এর বেশি প্রস্তাব পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার চেক বিতরণ শুরু
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ৭ মার্চ এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত দু’টি যৌক্তিকীকরণ সভার মাধ্যমে সভায় উপস্থিত বিভিন্ন এসএমই অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড বডিজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনাক্রমে প্রস্তাবসমূহ যৌক্তিকীকরণপূর্বক ৬৮টি প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়।
২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট সভায় এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক ৬৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। যেখানে কাস্টম্স সংশ্লিষ্ট ৩১টি, মূসক সংশ্লিষ্ট ১১টি এবং আয়কর সংশ্লিষ্ট ২১টি প্রস্তাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
এছাড়া নগদ সহায়তা সংশ্লিষ্ট অবশিষ্ট ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রাক-বাজেট সভায় এসএমই ফাউন্ডেশন উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ সর্বোচ্চ বিবেচনা করা হবে মর্মে এনবিআর এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম উল্লেখ করেন।
তিনি এসব প্রস্তাবনার মাধ্যমে যাতে বৃহৎ উদ্যোক্তারা সুবিধা না পেয়ে বরং প্রকৃত এসএমইরা সুবিধা পায় সেদিকে গুরুত্ব প্রদানের জন্য এনবিআর এর সংশ্লিষ্ট বোর্ড সদস্যদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এসএমই খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রতি অর্থবছর এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক জাতীয় শিল্পনীতি ও এসএমই নীতিমালা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জাতীয় বাজেটে ট্যাক্স, ভ্যাট, ট্যারিফ ও আর্থিক প্রণোদনা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা বরাবর উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
২০১১-১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত এসএমই ফাউন্ডেশন হতে সর্বমোট ৩২৮ টি প্রস্তাবনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা বরাবর পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে ৫৭ টি প্রস্তাবনা এনবিআর কর্তৃক গৃহীত হয়েছে এবং জাতীয় বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলকর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এর মধ্যে ‘ডেভেপলমেন্ট চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বেজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ও বেপজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম ডেভেলপমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পবন চৌধুরী বলেন, বেজা এবং বেপজার মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বেজা আরেকটি মাইলফলক রচনা করেছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন ও একটি শিল্পোন্নত, সমৃদ্ধ ও সুখী ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন : সম্ভাবনাময় আগামীর মিরসরাই: উন্নয়নের মোহনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর
তিনি বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র গত বছরেই বেজা ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে। অচিরেই বেজার অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অবস্থিত বেশ কিছু কারখানা পুরোদমে উৎপাদনে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বেজা এবং বেপজার এ মাইলফলকে অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি আধুনিক, দ্রুত এবং মানসম্মত সেবা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বেজার কার্যক্রমের ফলে করোনা কালেও বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের কাছে বিস্ময়বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো.নজরুলইসলাম বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানিবৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি রক্ষেত্রে বেপজা ইতোমধ্যেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ইপিজেডগুলোর মতো অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনায়ও বেপজা সাফল্যের পরিচয় দেবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, বেজাকে বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়নে সরাসরি সহযোগিতা প্রদানে তার মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেজা ও বেপজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিসিক শিল্পনগরীসমূহে উৎপাদন অব্যাহত
চট্টগ্রামে রসীতাকুন্ড ও মিরসরাই উপজেলা ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। ইতিমধ্যে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এখানে নিশ্চিত হয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে জাপানের নিপ্পন, ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, যুক্তরাজ্যের বার্জার পেইন্টস, সিঙ্গাপুরের উইলমারসহ আরও অনেকে এবং দেশী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পিএইচপি, বসুন্ধরা গ্রুপ, ওয়ালটন গ্রুপ, টি কে গ্রুপ ছাড়াও আরও অন্যন বিনিয়োগকারী।
এ শিল্পনগরে ইতোমধ্যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সাথে বেজার সুসমন্বয়ের ফলে নির্মিত হয়েছে শেখ হাসিনা সরণি, দেশের সর্বপ্রথম সুপারডাইক, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ। এ শিল্প নগরে বর্তমান ১৩টি শিল্প নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে আরও ১৫টি প্রতিষ্ঠান শিল্প নির্মাণের অংশ হিসেবে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। জুলাই মাস নাগাদ কমপক্ষে দুটি শিল্প কারখানা উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
পঞ্চগড় আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যাত্রী পারাপার না হলেও আমদানি-রপ্তানির কাজে পণ্য পরিবহণে নিয়োজিত যানবাহন ও চালকরা যাতায়াত করছেন। এতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসসহ ভারতীয় করোনা ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের আশঙ্কায় স্থানীয়দের চাপের মুখে ৫ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগামী ৪ জুন থেকে বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুন:বাংলাবান্ধার সাথে ৪ দেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে: মন্ত্রী
দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রয়েছে। করোনাকালে বর্তমানে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি চলছে। প্রতিদিন ভারত, নেপাল ও ভুটানের শত শত পণ্যবাহী যানবাহন ও চালক প্রবেশ করছে।
বিশেষ এই পরিস্থিতিতে তেঁতুলিয়া উপজেলা করোনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বন্দরের জন্য ১৪টি নির্দেশনা জারি করলেও অধিকাংশই ঠিকমত মানা হচ্ছে না। এর ফলে স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়েন বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বেশ কিছুদিন ধরে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বন্দর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিশৃংখল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্দর বন্ধ রাখা ও চালু রাখার বিষয়ে বন্দর সংশ্লিস্টরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বন্দর সংশ্লিষ্টদের দুটি পক্ষ দু রকম কথা বলছেন।
ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরসহ পুরো তেঁতুলিয়া উপজেলাটি ভারতের তিন দিকে অবস্থিত। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, চালকসহ কর্মজীবি মানুষজন এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাবান্ধার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বাসিন্দারা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
অপরদিকে ব্যবসায়ীদের অপর পক্ষটি জানান, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক এসোসিয়েসনের দুটি পক্ষের আত্নসম্মান বজায় রাখার প্রতিযোগিতায় এমনটি ঘটছে। বন্দর খোলা রাখার পক্ষ্যের ব্যবসায়িদের অভিযোগ গত ১০ মে ঈদের ছুটির জন্য ১১ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি চিঠি দেয় বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা। ঈদ উপলক্ষে দশ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি মানতে পারেনি ব্যবসায়িদের একটি পক্ষ। তাদের দাবি সারাদেশের অন্যান্য বন্দর যে কয়েকদিন বন্ধ রাখা হবে সেভাবেই এই বন্দরও বন্ধ রাখা হোক। পরে সিনিয়র সভাপতি তফিজুল ইসলাম ১২ মে থেকে ১৬ মে ৫ দিন আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি সংশোধনী চিঠি প্রদান করে। এই চিঠির প্রেক্ষিতেই ১৭ মে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। এ নিয়ে শুরু হয় দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ২৭ মে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনসহ স্থানীয় অধিবাসীরা ভারত থেকে আসা কয়েকটি পাথর বোঝাই ট্রাককে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। পরবর্তীতে গত ২৯ মে আবার আমাদানি কার্যক্রম শুরু হলে ব্যবসায়িদের একটি পক্ষ আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। তারা চান স্থলবন্দরের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাক। ওই দিনই কোভিড-১৯ এবং ভারতীয় ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে কুদরতি-খুদা-মিলনের নেতৃত্বে কিছু ব্যাবসায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে বন্দরটি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানান। পরে আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসন একটি চিঠির মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে আহ্বান জানান। তবে এই সিদ্ধান্ত মানতে চান না কিছু ব্যাবসায়ী সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং শ্রমিকরা। তারা চান বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাক।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফিজুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় বাস্তব সম্মত নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এখনো কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। কয়েকজন ব্যাবসায়ী নেতার ব্যক্তিগত ইগো রক্ষার্থে বন্দরটি অচল হয়ে পড়েছে।
বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, দেশে গত কয়েকদিন আগে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ার মানুষজন, বিশেষ করে বন্দর সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা। তাই নিজের ও এলাকার সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিকবার তারা বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে ২৫ মে রাতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দর সংশ্লিষ্ট লোকজনদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের চাপে রবিবার (৩০ মে) থেকে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি বলেন কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ি এসি রুমে বসে আমদানি রপ্তানি করতে চান। তাদের জন্য অন্য ব্যবসায়িরা বা স্থানীয় মানুষ ঝুকিতে পড়বে এটা হতে পারেনা। দেশের অন্যান্য সীমান্ত এলাকাগুলোতে করোনা সংক্রমন বাড়ছে। আমরা আতংকে আছি। তাই স্থানীয় ব্যবসায়িরাই আমদানি রপ্তানি বন্ধ করেছে। বন্দর খোলা আছে। তারপরও যদি কেউ আমদানি-রপ্তানি করতে চায়, করতে পারে।
আমদানিকারক ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লথিব তারিন জানান, যেহেতু সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনা ভাইরাস এবং ভারতীয় ব্লাক ফাঙ্গাসের সংক্রমন বাড়ছে তাই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখাই ভালো। কয়েকদিন দেখা দরকার। যদি স্বাভাবিক হয় তবে আবার না হয় শুরু করা যাবে।
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন থেকে কার্যক্রম পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত, রবিবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে। বিষয়টি ভারতের পশ্চিবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি ইম্পোর্টার এক্সপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বন্দর খোলা আছে। ব্যবসায়িরা আমদানি-রপ্তানি করতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। করোনা ঝুঁকি কমাতে বন্দরে আমরা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
শনিবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে ৬টি গন্তব্যে ২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইন্সটি। করোনাকালীন সময়ে সকল ধরনের স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা।
বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাঁচটি, যশোরে ছয় , সৈয়দপুরে সাত, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া ১ জুন থেকে ঢাকা থেকে সিলেটে আরও একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
সাত ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ ও তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে আরও চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: ইউএস বাংলার ঢাকা-দোহা ফ্লাইট পুনরায় শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে সকাল ৭টা, ১০টা, দুপুর ২টা, বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট উড্ডয়ন করছে এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে সকাল ৮টা২৫ মিনিট, ১১টা ২৫ মিনিট, দুপুর ৩টা ৩০ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে যশোরের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিট, ৯টা, দুপুর সাড়ে ১২টায়, সাড়ে ৩টায়, বিকাল সাড়ে ৫টায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফ্লাইট উড্ডয়ন করছে এবং যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশে সকাল ৮টা ২৫ মিনিট, সোয়া ১০টায়, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট, বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট ও ৭ টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশে সকাল ৭টা ১০ মিনিট, সাড়ে ১০টায়, সাড়ে ১১টায়, দুপুর দেড়টায়, সাড়ে ৩টায়, বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে এবং সৈয়দপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট উড্ডয়ন করছে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিট, দুপুর ১২টা, ১টা, ৩টা, বিকাল ৫টা, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ও রাত ৯টায়।
ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে সকাল ৮ টা ও সন্ধ্যা ৭টায় এবং সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে সকাল ৯টা ২০ মিনিট ও রাত ৮টা ২০মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া আগামী ১ জুন থেকে দুপুর দেড়টায় ঢাকা থেকে সিলেটে এবং সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুপুর আড়াইটায় একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।
ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে সকাল ৯টা ও বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে এবং রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে সকাল ১০টা ২০ মিনিট ও বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে সকাল সাড়ে ৯টায় ও বিকাল ৫টা এবং বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে সকাল ১০টা ৪০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ফ্লাইট উড্ডয়ন করছে।
আরও পড়ুন: ঝড়ের কারণে ঢাকা থেকে ফিরে এসেছে ইউএস বাংলার ফ্লাইট
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের নূন্যতম ভাড়া সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ান ওয়ের জন্য মোট ৩,৪৯৯ টাকা ও রিটার্ন ভাড়া ৬,৯৯৮ টাকা। এছাড়া ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, সিলেট, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালে নূন্যতম ভাড়া সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ান ওয়ের জন্য ৩,৩৯৯টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ৬,৭৯৮ টাকা।
করোনাকালীন সময়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বুধবার সকাল থেকে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আটকে পড়া পাসপোর্টযাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। এসবের মধ্যে পচনশীল পণ্যসহ শতভাগ রপ্তিানিমুখী প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালও রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এই বন্ধের মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশঙ্ক শেখর ভট্রাচার্য জানান, বুধবার উভয় দেশে সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকা পড়েছিল, তারা দূতাবাস থেকে ছাত্রপত্র নিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। তাদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। এছড়া ভারতে রপ্তানি হয় ১৫০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য। আমদানি বাণিজ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ২০ থেকে ৪০ কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান করতে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন জরুরি: মন্ত্রী
অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান করতে পরিবেশবান্ধব ও মানসম্পন্ন শিল্পায়ন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
আমদানি-রপ্তানি গতিশীল করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এনবিআর
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনতে এবং বাঁধাহীন নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৩টি সুসজ্জিত কন্টেইনার স্ক্যানার স্থাপন করতে চলেছে।
বাংলাদেশ কাস্টমস্ আইন ১৯৬৯ এর ১৯৭বি ধারায় আমদানি-রপ্তানি কনসাইনমেন্টের বাঁধাহীন নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আধুনিক নিরীক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে এনবিআর
এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার সুযোগও আর থাকবে না।
এই ব্যবস্থায় এক-রে বা গামা-রে ব্যবহার করে কার্গোতে প্রবেশ না করেই খুব সহজে মালামালের পরিপূর্ণ বিবরণ পাওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: শুল্ক আদায় প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করবে এনবিআর
এনবিআর সূত্র মতে, প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩টি আধুনিক কন্টেইনরা স্ক্যানার কিনবে এনবিআর। নিজস্ব অর্থায়নেই যন্ত্রগুলো ক্রয় করা হবে বলে জানা যায়। এসব যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে, স্ক্যানার, ওজন মাপার যন্ত্র, রেডিও পোর্টাল মনিটর এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় ইমেজিং যন্ত্র।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানায়, প্রথম ধাপে ছয়টি যন্ত্র কেনা হবে।
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোলের সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আবারও সচল হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে এ পথে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া শুরু করে।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দর এলাকায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। এতে আমদানি পণ্যের গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়তেও দেখা গেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো সুপার স্বপন কুমার দাস বলেন, ঈদ উপলক্ষে বন্দর তিনদিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে পুনরায় আমদানি রপ্তানি চালু হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: ঈদে ৩ দিন বেনাপোলে আমাদনি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছিল পেট্রাপোল বন্দরে। আমদানি রপ্তানি শুরু হওয়ায় তা কমতে শুরু করেছে। এখন বাণিজ্য শুরু হওয়ায় সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা প্রতিরোধে একমাসের লকডাউন ঘোষণা করলেও দুই দেশের ব্যবসায়িক স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার জন্য ভারতের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কার্যালয় নবান্ন থেকে এক বার্তায় ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।
জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ ট্র্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব রয়েছে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য।
প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বাণিজ্য বলেন, ‘দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’