ব্যবসা
টিকে থাকতে মন্ত্রণালয় ও বেবিচকের সহযোগিতা চায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সীমিত পরিসরে চলছে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট। সব মিলিয়ে বেসরকারি এভিয়েশন খাতের ভঙ্গুর অবস্থা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ও টিকে থাকতে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।
শনিবার (৮ মে) ‘মহামারিতে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টর : চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।
ওয়েবিনারটির আয়োজন করে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম (এটিজেএফ)।
বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন এই সেক্টরটি ঘুরে দাঁড়াক। প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলো যাতে তাদের সেবা চালু রাখতে পারে সেজন্য তাদের যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তাই দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক বিমান পরিসেবা চালু করেছে সরকার
ওয়েবিনারে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আটটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স ব্যবসা শুরু করেছিল। এরই মধ্যে ৫টি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গেছে। টিকে থাকা তিনটির মধ্যে রিজেন্ট এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিত করেছে, দুটি চলছে। যেসব কারণে এয়ারলাইন্সগুলো বন্ধ হয়েছে সেই কারণগুলো এখনো বিরাজমান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সিভিল এভিয়েশনের চার্জ অনেক বেশি। আমরা এ কথাগুলো বার বার অনেক জায়গায় বলেছি। তবে কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এভিয়েশন ফাইন্যান্স ইন্টারেস্ট আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড থেকে বেশি। প্লেনের কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেগুলো অর্ডার দেওয়ার পর দেশে আসতে সময় বেশি লাগে। অনেক ক্ষেত্রে তিন মাস লেগে যায়। এই সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়েছে করোনাভাইরাস। করোনার প্রথম ঢেউয়ে আমরা মন্ত্রণালয় এবং বেবিচক থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আশা করছি, এবারের সংকটে তারা প্রতিটি স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বসে কার কী দরকার সে বিষয়ে আলোচনা করবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখার বিকল্প নেই। আমরা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭টি নতুন এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট আনি। ৮টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু করি। এরপরই হানা দেয় করোনা। আমরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত, এর মাঝে আমাদের জেট ফুয়েলের দাম অভ্যন্তরীণে ৪৬টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ৩৬ থেকে ৫০ টাকা করা হয়েছে। ডিলে ইনভয়েজের চার্জ, অ্যারোনটিক্যাল, নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ সবই বেশি। অথচ ভারতে ৮০ সিটের নিচে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের কোনো অ্যারোনেটিকাল চার্জ লাগে না। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং বিমান ৬ হাজার কোটি টাকা ফরেন রেমিটেন্স রিটেইন করেছে। বাংলাদেশের আকাশপথের মার্কেট শেয়ারের ৭০ ভাগ বিদেশি ও ৩০ ভাগ দেশি এয়ারলাইন্সের কাছে। অথচ আমাদের মার্কেট শেয়ার ৭০ ভাগ হওয়ার কথা ছিল।
তিনি বলেন, এগুলো আমরা গত ৭ বছর ধরেই বলে যাচ্ছি। অথচ করোনাপরবর্তী সময় বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র ডোমেস্টিকে ৫০ লাখ টাকার প্রণোদনা পেয়েছি। যদিও আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে আমি মনে করি আমাদের প্রতিমন্ত্রী ও চেয়ারম্যান তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন। আমাদের টিকিয়ে রাখতে হলে তাদের আরও সহযোগিতা দরকার।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পর্ষদের চেয়ারম্যান ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমরা করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে নিয়েছিলাম। তবে আরেকটি ঢেউ এভিয়েশন খাতকে আঘাত করেছে। সারা পৃথিবীর এয়ারলাইন্সগুলো যখন বিপর্যস্ত, তখন বাংলাদেশের ৩টি এয়ারলাইন্স আমাদের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো যদি বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর বন্ধ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে তাহলে আগামীর সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। আর যদি সেসব সমস্যা ফিগারআউড না করা হয় সেক্ষেত্রে বর্তমানে ফ্লাইট চালানো এয়ারলাইন্সগুলোকে টিকিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হবে।
এ সময় বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আমরা করোনার প্রথম ঢেউকে আকস্মিকভাবে দেখিনি। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আমরা প্রথমে ফ্লাইট গুটিয়ে নিলেও পরে আবার ধাপে ধাপে খুলে দিয়েছিলাম। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, এয়ারলাইন্স এবং মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এয়ারলাইন্সগুলোকে বাড়াতে আমরা প্রণোদনা দিয়েছি, নানা চার্জ মওকুফ করেছি, বসে থাকা যাত্রীবাহী ফ্লাইটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক চার্জ মওকুফ করেছি, তবে সিভিল এভিয়েশনকে চালাতেও অর্থের প্রয়োজন। সিভিল এভিয়েশনকে চালাতে ১৬০০ কোটি টাকা দরকার, অথচ করোনাকালে আমাদের রাজস্ব ৮০০ কোটিতে চলে এসেছে। সারচার্জ কমানোসহ অন্যান্য চার্জ মওকুফ করার বিষয়টি দেশের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। এগুলো বিষয়ে আমরা সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করব।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, ট্রাভেল এজেন্সি মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, এটিজেএফবির সভাপতি নাদিরা কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার যুক্ত ছিলেন।
মোবাইল ব্যাংকিং: মনোপলি নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা চায় সরকার
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে (এমএফএস) কেন্দ্র করে প্রতিযোগিতা কমিশনের উদ্দেশে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আপনারা মনিটরিং করবেন, যেকোনও মূল্যে মনোপলি হতে দেবেন না। মনোপলি হলে তারা মনস্টার হয়ে যায়, তখন তাদের ঠেকানো জরুরি হয়ে পড়ে।’
শনিবার (৮ মে) টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘প্রতিযোগিতা ও অংশীদারিত্বে প্রেক্ষাপট: প্রসঙ্গ এমএফএস’ শীর্ষক আলোচনায় দেশের অর্থনৈতিক খাতের নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, চীনের মতো দেশে আলিবাবা’র মতো জায়ান্টের মনোপলি ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন পড়েছে।
এ সময় প্রতিযোগিতা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। কারণ মানুষ অভিযোগ করার প্রক্রিয়াকে ভয় পায়, ভয় পায় হেনস্তা হওয়ারও। তাই কেউ যেন এমএফএস বাজারে মনোপলি করতে না পারে, সে বিষয়টি আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।
এমএফএস’র চার্জ নির্ধারণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চার্জ নির্ধারণের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেউ ২০ টাকা, কেউ ১৪ টাকা নিচ্ছে। আমি এমএফএস’র সর্বোচ্চ চার্জ নির্ধারণ করার পক্ষে, সর্বনিম্ন চার্জ নির্ধারণের পক্ষে না। কারণ সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা থাকলে কেউ বেশি নিতে পারবে না। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।’
এ সময় তিনি এমএফএস-এ ইন্টারঅপারেবিলিটি না হওয়াকে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বলেও উল্লেখ করেন। ইন্টারঅপারেবিলিটি কেন দেয়া যাচ্ছে না, তা নিয়ে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, দেশে এমএফএস বাজারে একটি একচ্ছত্র ব্যবসা চলছিল। সেটা ভাংতে পেরেছে ‘নগদ’। প্রতিযোগিতা অবশ্যই থাকতে হবে। অনেকটা কমে গেলেও এখনো মনোপলি আছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশ আউট চার্চ হাজারে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল। অথচ সেখানে এখন ২০ টাকা নেয়া হচ্ছে। দেড় টাকা নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না, কিন্তু দেড় টাকায় তো হাজার হাজার কোটি টাকা হয়ে যায়। এটা সরাসরি চুরি করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এমএফএস-এর চার্জ কমানোর ওপর গুরুত্বরোপ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিএসডি বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক বদিউজ্জামান দিদার বলেন, আমরা ২০১১-১২ সালে একটা সেইলিং দিয়েছিলাম যে, যেন এর ওপরে না যায়। এর সাথে অনেকগুলো পক্ষ জড়িত। ইউএসএসডি-এর পরিবর্তে অ্যাপে যখন পুরো মার্কেট চলে আসবে, তখন আমরা এটা করতে পারব।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বাজারের বর্তমানে যারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছেন, তারা কেউ ফাউল প্লে করছে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। বাংলাদেশ ব্যাংক যে সার্ভিস চার্জটি নির্ধারণ করে দিয়েছে, ১৮ টাকার ওপরে না নেয়ার। এটা যদি না মানা হয়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক জানান, হাজারে ২০ টাকা চার্জ সারা পৃথিবীর কোথাও নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক সেন্ড মানি ফ্রি করার নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা প্রথম থেকে ফ্রি রেখেছি। সেন্ড মানিতে আসলে কোনো খরচ নেই।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ইনোভেশন নিয়ে এসেছি। ডিজিটাল কেওয়াইসি ও *১৬৭# এর মাধ্যমে মানুষ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো এমএফএস সেবা ‘নগদ’ ব্যবহার করে টাকা সাশ্রয় করছে। সরকার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। এই বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে গ্রাহকেরা উপকৃত হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে পারলে এমএফএস-এ প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও রকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো: শিরিন বলেন, বলা হয় এমএফএস বাজারে ১৫টি প্রতিষ্ঠান আছে। আমার মতে ২-৩টা ছাড়া বাকি কেউ আছে বলে আমি মনে করি না। মনোপলি হওয়ার পরে ৮০ শতাংশ শেয়ার ছিল। এখন নতুন একটি অপারেটরের কারণে ৭০ শতাংশে এসেছে। আগে প্রোপার কেওয়াইসি মেনে গ্রাহক তৈরি করা হয়নি। এসব কারণে মনোপলি দাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা এভাবে যদি প্রাইস রাখেন, তাহলে সব গ্রাহক চলে যাবে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। সে কারণে প্রাইস কমাতে হবে। এখন সময় এসেছে প্রাইসিং নিয়ে কথা বলার ও প্রাইস কমানো।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের এমডি ও সিইও এবং এমটবের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুরু থেকে আমরা এমএফএসগুলো চালু রাখতে সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এমএফএস এমন থাকবে না। যখন ডিজিটাল কারেন্সি চলে আসবে, তখন কোনো ডিস্ট্রিবিউটর থাকবে না। আরও কিছু খরচ কমানোর সুযোগ আছে। খরচ কমালে গ্রাহকদের জন্য ভালো হবে।
আলোচনায় বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, ‘সহজলভ্যতা দিতে গিয়ে আমরা এই চার্জ নিচ্ছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে নতুন কোনো রেট যদি আমরা দেশের জনগণের কল্যাণে নির্ধারণ করি, তাহলে সেটা যেন ব্যবসাবান্ধব হয়। অর্থাৎ সেই রেট যেন অপারেটরগুলোর জন্যও ভালো হয়।’
টিআরএনবি-এর সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।
এ ছাড়া বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফতেখার জোনায়েদ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি
পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস আগামী ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি জানিয়েছে ২০টি শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (জিএসকেওপি) নেতারা।
শুক্রবার জিএসকেওপি’র যুগ্ম সমন্বকারী আব্দুল ওয়াহেদ ও কামরুল আহসান এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেন, ঈদের যেখানে মাত্র ৫-৬ দিন বাকি সেখানে এখনো ৩০ শতাংশ কারখানা তাদের ঈদ বোনাস প্রদান করে নি এবং ৭৫ শতাংশেরও বেশি কারখানা এখনো এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করে নি।
তারা বলেন, করোনা মহামারির সময়ে পোশাক শ্রমিকরা তাদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে কারখানায় কাজ করে গেছেন। একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অনেক কারখানাতেই ঈদের আগে বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তারা আগামী সোমবারের মধ্যে এপ্রিল এবং এক মাসের মূল বেতনসহ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান।
নেতারা করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের জন্য কমপক্ষে সাত দিনের বিকল্প ছুটি দেয়ারও দাবি জানান।
তার বলেন, যেখানে গত মাসে এ খাত থেকে ৩.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়ছে সেখানে বেশিরভাগ শ্রমিক এখনো জানে না ঈদ উদযাপনের জন্য তারা বেতন এবং বোনাস পাবে কিনা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিসিক শিল্পনগরীসমূহে উৎপাদন অব্যাহত
জিএসকেওপি’র এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০ রাজস্ব বছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৭.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চলতি রাজস্ব বছর ২০২০-২১ এর প্রথম সাত মাসে আয় হয়েছে ১৮.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জিএসকেওপি নেতারা দাবি করেন, শ্রমিকদের বেতন এবং বোনাস দেয়ার জন্য কারখানা মালিকেরা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে আংশিক সুদে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোন নিয়েছেন। এছাড়াও শ্রমিদের বেতন এবং ঈদ বোনাস দেয়ার জন্য আরও ১০ হাজার কোটি টাকা লোন চেয়েছে তারা।
তারা বলেন, ৪০ বছর ধরে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সুবিধা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার পরও কারখানাগুলোর শ্রমিকদের কয়েক মাসের বেতন কিংবা ঈদ ভাতা দেয়ার মতো সামর্থ্য নেই এটা সত্য নয়।
তামাক কর বৃদ্ধির জন্য ১২১ চিকিৎসকের বিবৃতি
জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে তামাক কর বৃদ্ধির জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন দেশের ১২১ জন স্বনামধন্য চিকিৎসক।
মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (এমএফএস) সার্ভিস চার্জ হাজারে ১০ টাকা ও সেন্ড মানি ফ্রি করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
অপোর ঈদ ‘ধামাকা অফারে’ বাইকসহ নানা উপহার
এই ঈদে উৎসবের আয়োজনকে আরও আনন্দময় করতে ‘ধামাকা অফার’ নিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। এই অফারে রয়েছে অপো এফ১৯ প্রো কিনলে ভাগ্যবান বিজয়ীরা পাবেন জিক্সার মোটরবাইক, ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান সহ নানা পুরস্কার।
অফারটি পেতে অপোর যে কোন মডেলের হ্যান্ডসেট কিনে এই লিংকে www.oppoluckycampaign.com ভিজিট করে ফরম ফিলাপ করে ‘চেক ইউর লাক’ অপশন ক্লিক করলে ভাগ্যবান পুরস্কার বিজয়ী কিনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ‘অপো লাইকি চ্যালেঞ্জে’ জিতুন অপো এফ১৯ প্রো
শুধু তাই নয় নিশ্চিত উপহার হিসাবে লাকি ড্র ছাড়াও অপো এ১৫ এবং এ১৫এস ক্রেতারা পেতে পারেন সীমিত সংখ্যক হেডফোন। আরও থাকছে বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে এ৫৩ হ্যান্ডসেটের সাথে টি-শার্ট এবং এফ১৭, এফ১৭ প্রো, এফ১৯ প্রো এবং রেনো৫ কিনলে অপো ট্রাভেল ব্যাকপ্যাক জিতে নেয়ার সুযোগ।
ঈদের আগে গ্রাহকদের সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই অপোর এই আয়োজন।
আরও পড়ুন: ছবি তুলে পোস্ট দিয়ে অপো এফ ১৯ প্রো জেতার সুযোগ
শুভেচ্ছা উপহার হিসাবে প্রতিটি হেডফোনের সাথে রয়েছে অপো লিমিটেড গিফট স্টিকার। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে অপোর আউটলেটগুলো বিশেষ সাজে সজ্জিত হবে যাতে গ্রাহকরা পাবেন ঈদের ভিন্নরকম আমেজ।
আরও পড়ুন: রমজানে ব্র্যান্ড সার্ভিস অফার নিয়ে এলো অপো
ধামাকা অফার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।
ঈদে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের গ্রাহকরা পাবেন ১০ লাখ টাকার ফ্রি লাইফ ইন্সুরেন্স সুবিধা
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের সকল শোরুমের ডায়মন্ড জুয়েলারিতে থাকছে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট, স্ক্র্যাচ অ্যান্ড উইন ক্যাশ ব্যাক অফার এবং প্রতিটি কেনা কাটায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ফ্রি লাইফ ইন্সুরেন্স সুবিধা।
এছাড়াও অনলাইনে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড হতে ক্রয়কৃত ডায়মন্ডের গহনাতে পাওয়া যাবে ২৭ শতাংশ ডিসকাউন্ট, ১৫ দিনের মধ্যে ফ্রি একচেঞ্জ সুবিধা, ২৫ শতাংশ টাকা পেমেন্ট করে বুকিং সুবিধা, ফ্রি হোম ডেলিভারি, কিংবা ১২ মাস পর্যন্ত কিস্তি সুবিধা।
বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের বর্তমান অবস্থা চিন্তা করে দেশের সু-পরিচিত জুয়েলারি ব্র্যান্ড ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের লাইভে এসে ক্রেতাবান্ধব ঈদ আয়োজনের পর্দা উন্মোচন করেন জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা মৌসুমী।
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের যে কোনো পণ্য কিনতে কল করা যাবে ০১৭১৩১৯৯২৭০ নম্বরে, কিংবা অনলাইনে অর্ডার করতে চাইলে ভিজিট করতে হবে https://www.diamondworldltd.com/eid2021.html লিঙ্কে।
সকল পণ্যে ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়াল স্যামসাং
ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনায় স্যামসাং পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবার সময়সীমা বাড়াচ্ছে স্যামসাং বাংলাদেশ।
গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে যেসব স্যামসাং পণ্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং শেষ হবে, সেসকল পণ্যের ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়িয়েছে প্রযুক্তি পণ্যের বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
স্যামসাং এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, লকডাউন শেষ হবার দিন থেকে অতিরিক্ত ১৪ দিন পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়বে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫,৯৯৯ টাকায় স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন!
করোনার সংক্রমণ এবং ভাইরাসের কারণে মৃত্যু কমাতে সরকার দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করে। লকডাউন চলাকালে চলাফেরায় বিধি-নিষেধের কারণে ক্রেতারা ওয়ারেন্টি সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। তাই, ক্রেতাদের এ সমস্যা লাঘবে এবং তাদের জীবনযাত্রাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়িয়েছে স্যামসাং।
আরও পড়ুন: স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো বাজেটবান্ধব গ্যালাক্সি এম০২এস
এ নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোয়ানসাং উ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দেশের নাগরিকরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দেশব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায়, মানুষ এমনিতেই নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন, এ সময়ে আমরা চাই না ক্রেতারা ওয়ারেন্টির সময় শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করুক। এজন্য, কিছুটা হলেও তাদের দুশ্চিন্তা কমাতে এবং তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে আমরা ওয়ারেন্টির সময় বাড়াতে পেরে আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, ক্রেতারা এর থেকে উপকৃত হবেন। এ প্রতিকূল অবস্থায়, আমরা সবাইকে বাসায় থেকে নিরাপদ ও সুস্থ থাকার অনুরোধ জানাই।’
আরও পড়ুন: বছর শেষে অফার নিয়ে এসেছে স্যামসাং বাংলাদেশ
গত বছর সাধারণ ছুটি চলাকালেও স্যামসাং এর সকল পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়িয়েছিল।
কোভিড-১৯: বিসিক শিল্পনগরীসমূহে উৎপাদন অব্যাহত
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেডিকেল অক্সিজেন, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, করোনা প্রতিরোধমূলক সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরীসমূহে।
বিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিসিক শিল্পনগরী ও সমন্বয় শাখার তথ্যমতে, সারাদেশে বিসিকের ৭৬টি শিল্পনগরী রয়েছে। এ শিল্পনগরীগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইলের তারটিয়ায় অবস্থিত বিসিক শিল্পনগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস লিমিটেড করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন করছে । এ শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদনকারী চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। কারখানাটিতে প্রতিদিন ১০ হাজার ঘনফুট মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। যা টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ , রাজশাহী, গাজীপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সরবরাহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেবে বিসিক
এছাড়াও বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে করোনা প্রতিরোধমূলক পণ্য, পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ডিটারজেন্ট পাউডার ও ফ্লোর ক্লিনার, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, হারবাল, ইউনানী ও এনিম্যাল ড্রাগস, শিশুখাদ্য ও গুড়া দুধ, চাল, ডাল , আটা, ময়দা, সুজি, সরিষার তেল, লবণ, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, চানাচুর, চিড়া, মুড়ি, গো-খাদ্য, পোল্ট্রি ফিডস, ফিস ফিডস, ফিসিংনেট, সেন্টিফিউগাল পাম্প, কৃষিযন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ,কীটনাশক, গুটি ইউরিয়া,দস্তাসার, তৈরি পোশাক, ড্রাইংকেমিক্যাল, তুলা উৎপাদন, ইলেকট্রিক ফ্যান, বাল্ব, প্লাস্টিকজাত পণ্য, এ্যালুমিনিয়ামতৈজসপত্রসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বিসিক কুমিল্লা, খুলছে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
বগুড়ায় মাসব্যাপী বিসিক শিল্প পণ্য মেলা শুরু
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিসিক শিল্পনগরীসমূহে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রতিটি জেলায় মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিসিক জেলা কার্যালয় ও শিল্পনগরীসমূহের কর্মকর্তা এবং শিল্প মালিক সমিতির প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং টিম উৎপাদনরত শিল্পকারখানাগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
আরও পড়ুন: প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বিসিক কুমিল্লা, খুলছে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
বগুড়ায় মাসব্যাপী বিসিক শিল্প পণ্য মেলা শুরু
ইডেন কলেজের সকল ফি বিকাশে পরিশোধ করা যাচ্ছে
ইডেন মহিলা কলেজের সব ধরনের ফি বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
এর ফলে শতাব্দী প্রাচীন কলেজেটির ২০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের সুবিধাজনক সময়ে যেকোন স্থান থেকে মাসিক বেতনসহ সব ধরনের ফি সহজে, নিরাপদে বিকাশে পরিশোধ করতে পারছেন। বিশেষ করে করোনার এই সময়ে সেবাটি আরও উপযোগী হল এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষের বেতন ব্যবস্থাপনাকেও আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করল।
আরও পড়ুন: বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করবে সেবা প্ল্যাটফর্ম
শিক্ষার্থীরা এখন বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে কলেজ ফি ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
ফি পরিশোধ করতে বিকাশ অ্যাপের পে বিল আইকন থেকে এডুকেশনে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে ইডেন কলেজ নির্বাচন করে শিক্ষার্থীর তথ্য, টাকার পরিমান ও পিন দিয়ে বেতন পরিশোধ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ফি দেয়া হয়ে গেলে ডিজিটাল রিসিটও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যৎ ফি পরিশোধ সহজ করার জন্য ফি পরিশোধের প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাপে সেভ করে রাখার সুযোগও পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, কর্মদিবসে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকের বিল পরিশোধের ঝামেলা দূর করে সময় ও খরচ সাশ্রয় করতে সারাদেশের ৬০০ প্রতিষ্ঠানকে ফি পরিশোধ সেবা দিয়ে আসছে বিকাশ। এই ডিজিটাল ফি পরিশোধ ব্যবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন ব্যবস্থাপনায়ও বাড়তি গতিশীলতা নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন:পাঁচটি বিকাশ নম্বরে সেন্ড মানি করা যাবে কোন খরচ ছাড়াই