������������������
নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ ওয়ালটনের
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র চেয়ারম্যান পদে এস এম শামসুল আলম, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে এস এম আশরাফুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন এস এম মাহবুবুল আলম। তারা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩৫তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এই নিয়োগ শনিবার থেকেই কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট বুধবার থেকে শুরু
ওয়ালটন হাই-টেকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সফল উদ্যোক্তা। তারা সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে ওয়ালটনের দ্রুত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পে তাদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী নেতৃত্ব বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে ওয়ালটনকে গ্লোবাল ব্র্যান্ডে পরিণত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তাদের তত্ত্বাবধানে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০) আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
তাদের যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে ওয়ালটপুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র চেয়ারম্যান পদে এস এম শামসুল আলম, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে এস এম আশরাফুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন এস এম মাহবুবুল আলম। তারা প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ন দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে অতি দ্রুত শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নেয়। প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা দায়িত্ব নেওয়ায় ওয়ালটনের উন্নয়নের অগ্রগতি আরও গতিশীল হবে। তারা ওয়ালটনকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা পাঁচটি গ্লোবাল ব্র্যান্ডের একটিতে পরিণত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন। তাদের দূরদর্শী নেতৃত্ব ওয়ালটনের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে বলে সকলেই দৃঢ় আশাবাদী।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ওয়ালটন কারখানায় তিন শ্রমিকের মৃত্যু
পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই: মাহবুবুল আলম
পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে পাট শিল্পে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এই মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, পাট আমাদের সোনালি ঐতিহ্য। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের নিজস্বতা ও গৌরবের ইতিহাস। এ শিল্পের সমস্যাগুলোর সমাধান করে সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে এই খাতের উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এই শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। কীভাবে পাটজাত পণ্য রপ্তানি ও উৎপাদন বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে বিশ্বে নতুন বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%
মতবিনিময় সভায় পাটজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন ও এই খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা পাট শিল্পের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: কাঁচাপাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর রহিত করতে হবে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পাটজাত পণ্যকে কৃষিজাতপণ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া পাটশিল্পকে রক্ষার জন্য ইডিএফের মতো পাট খাতের উন্নয়ন তহবিল (জেএসডিএফ) গঠনসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলেন ধরেন তারা।
বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, পাট শিল্পকে রক্ষায় জেএসডিএফ গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটশিল্পে স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়া হলে মিল মালিকরা চিরাচরিত পাটপণ্যের সঙ্গে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হবে এবং স্বল্প মূল্যে দেশে ও বিদেশের বাজারে পাটপণ্য ও বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি বাড়াতে সচেষ্ট হবে ।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালক মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক আজিজুল হক, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, ফখরুস সালেহীন নাহিয়ানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির
চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্পেনে ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, ফ্রান্সে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ইতালিতে ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ আমাদের রপ্তানি বেড়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমেছে।
তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৩৫২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
বিজিএমইএ পরিচালক বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ৫৪ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ৩৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়েছে। তবে ভারতে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক পোশাক আমদানি ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে ৫৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৬৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় পোশাক আমদানির উৎসগুলো মূল্য ও পরিমাণ উভয় দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানির উৎস চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ভিয়েতনাম থেকে আমদানি কমেছে ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি কমেছে যথাক্রমে ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ২৬ দশমিক ০৯ শতাংশ, ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রবিবার (৮ অক্টোবর) জীবনযাত্রার ব্যয়ের গবেষণার ভিত্তিতে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের কর্মীদের জন্য প্রবেশ স্তরে ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা সুপারিশ করেছে।
বর্তমানে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর-এ মজুরি বোর্ড দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে ৮ হাজার টাকা।
সিপিডি জানিয়েছে, বিদেশি ক্রেতারা পোশাক প্রতি অতিরিক্ত ৭ সেন্ট দিলে কারখানার মালিকরা এই মজুরি দিতে চাপে পড়বেন না।
পোশাক খাতের জন্য ন্যূনতম মজুরি সংশোধন, মনিটরিং ও সুপারিশ সংলাপে সিপিডি এই প্রস্তাব দিয়েছে। ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাবিত বৃদ্ধি সিপিডি কর্তৃক পরিচালিত গার্মেন্টস সেক্টরের উপর একটি ব্যাপক জরিপের ফলাফলের মাধ্যমে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ৭৬টি কারখানায় ২২৮ জন শ্রমিক নিয়ে জরিপ করে তারা এ প্রস্তাব দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ও সিনিয়র গবেষণা সহকারী তামিম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে মালিক প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সরকার ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল একটি নতুন ন্যূনতম মজুরি বোর্ড স্থাপন করেছিল। ত্রিপক্ষীয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে আরএমজি শিল্পের জন্য নতুন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
বোর্ড ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে, এবং আগামী মাসের মধ্যে নতুন ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ন্যূনতম মজুরির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এই কারণে যে এটি আরএমজি শিল্পের সামগ্রিক প্রতিযোগিতা এবং শ্রমিকদের জীবিকার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
তাই, মজুরির বর্তমান কাঠামো পরীক্ষা করা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য ন্যূনতম মজুরি পেতে দেয় এমনভাবে একটি নতুন মজুরি নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি
আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আলু আমদানির পরিকল্পনার বিরোধিতা করে মতামত দিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের আলু আমদানির অনুমতি দিতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার (৭ অক্টোবর) ইউএনবিকে জানান, আগামী দুই মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য দেশীয় ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আলু মজুদ রয়েছে। তাই আলু আমদানির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ফের রাশিয়ায় আলু সরবরাহ করবে বাংলাদেশ
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে নতুন জাতের আলু বাজারে আসতে শুরু করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি এলাকায় আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসব জেলা থেকে আগাম জাতের আলু পুরোদমে বাজারে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দেশে কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে আলুসহ অন্যান্য কিছু কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
আরও পড়ুন: আলুর সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: কৃষিমন্ত্রী
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি
এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
মার্কিন ডলারের জন্য খোলা বাজারে জনসাধারণের নির্ভরতা বাড়ায় প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২১ টাকায়।
সম্প্রতি খোলা বাজারে বেশি দামে ডলার বিক্রির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর খোলা বাজারে ডলারের সংকট আরও তীব্র হয়।
এ অবস্থায় অনেকেই তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতি ডলার ১২০-১২১ টাকায় ডলার বিক্রি করছেন। সূত্র জানিয়েছে, যারা চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণ করছেন তাদের জন্য তারা ডলারের একমাত্র উৎস হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
জানতে চাইলে ঢাকার মতিঝিল এলাকার একটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের মালিক জামাল (ছদ্মনাম) আজ ইউএনবিকে বলেন, আমরা ১১৫ টাকায়ও ডলার কিনতেও পারি না। ‘আমরা কীভাবে প্রতি ডলার ১১৩ দশমিক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে পারি।’
অন্যান্য অনেক মানি চেঞ্জার ও মার্কিন ডলারের স্বতন্ত্র ভাসমান ব্যবসায়ীরা মুদ্রার সরবরাহ সংকটের কারণে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
এক মাসের ব্যবধানে খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১১২ টাকা থেকে ১২০-১২১ টাকায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতি ডলার ১১৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি করতে বলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে মার্কিন ডলারের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে এবং টাকার মান কমছে। ফলে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছে।
বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউস এবং ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবি জানতে পেরেছে যে বেশিরভাগ মানি চেঞ্জারের কাছে ডলার নেই।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব শেখ হেলাল সিকদার বলেন, মানি চেঞ্জারদের জন্য ডলারের ক্রয়মূল্য ১১১ দশমিক ৮০ টাকা এবং ১১৩ দশমিক ৩০ টাকা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, ‘এই দামে কেউ ডলার পাচ্ছে না, তাই মানি চেঞ্জাররা এখন খালি হাতে বসে আছে।’
খোলা বাজারে ডলারের ঘাটতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ডলার লেনদেন হচ্ছে, কিন্তু সবাই তা বিক্রি করছে না।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে ঋণের সুদের হার ৫০ পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ব্যাংকগুলোর ঋণের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যে পদ্ধতির ভিত্তিতে এখন ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, তা 'স্মার্ট' বা ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের চলমান গড় হার নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকগুলো এখন রেফারেন্স লেন্ডিং রেটের সঙ্গে সাড়ে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে, যা ৭ দশমিক ২০ শতাংশের স্মার্ট রেট নামেও পরিচিত।
প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো স্মার্টের সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করতে পারে, যা আগে ছিল ২ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় পলিসি রেট (রেপো রেট) ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পর ঋণের হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সেপ্টেম্বরের 'স্মার্ট' রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে অক্টোবর মাসে ঋণ দিতে পারবে।
চলতি মাসে বড় ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ সুদ নেওয়া যাবে। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদের হার হবে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে আগের মতোই সর্বোচ্চ সুদ নেওয়া যাবে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে দেশের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল।
আইএমএফ ঋণের একটি শর্ত ছিল যে গত জুন পর্যন্ত প্রকৃত (নিট) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকতে হবে।
শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ওই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখতে পারেনি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
আলোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রগতি, সাফল্য ও বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথা উঠে আসে। রিজার্ভের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথাও বৈঠকে জানানো হয়।
আইএমএফ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবে। আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনা, ডলারের বাজারদরের লেনদেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি, সুদের হার এবং মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করবে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে বিবি আইএমএফকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে কিছু পূরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
দু’টি ব্যর্থতা আছে - রিজার্ভ সংরক্ষণ সামান্য কম এবং রাজস্ব সংগ্রহ কম। তবে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শর্ত অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করা হচ্ছে। মুদ্রার একটি বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হারও চালু করা হয়েছে। সুদের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
মেজবাউল বলেন, ‘আমি আইএমএফের দেওয়া শর্তাবলি উল্লেখ করেছি যা অর্জন করা হয়েছে এবং যেগুলো অর্জিত হয়নি। কেন হয়নি তাও জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার দেশে প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়ার প্রকৃত হিসাব মেলে না।
তিনি বলেন, অর্থ পরিশোধের ভারসাম্য বা লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতির কারণে রিজার্ভ কমছে। বিপিএম-৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে জাহিদ এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কে ভার্মা।
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রি: ১০ ব্যাংকের কোষাগার প্রধানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ কী?
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মূলে রয়েছে বহিরাগত কারণ। এই বহিরাগত পরিমাপের প্রধান দিক হলো ডলারের দাম।
২০২১ সালে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১০০ টাকার নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তা ১০০ টাকার উপরে চলে যায়। এখন কিছুটা কমে গেলেও তা ১১০ টাকার উপরেই রযেছে।
জাহিদ অভিযোগ করে বলেন, কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রবেশ করছে আর কী পরিমাণ মুদ্রা বাইরে যাচ্ছে তার হিসাব রিজার্ভের সঙ্গে মেলে না।
তিনি বলেন, সাধারণত এই হিসাব কখনো ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচক হয়। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই এই হিসাবটি নেতিবাচক দেখা যাচ্ছে। ‘এর মানে হলো, কিছু ঘটছে যা আমাদের জানার বাইরে।’
আরও পড়ুন: এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ