������������������
২৯ পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি দোকান মালিক সমিতির
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) নির্ধারিত ২৯টি পণ্যের নির্ধারিত দাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, এই মূল্য নির্ধারণ অযৌক্তিক ও আত্মঘাতী।
তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করা যায় না।
আরও পড়ুন: একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
তিনি আরও বলেন,‘এখন ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা ডিএএমকে এই দামে বিক্রি করতে বলছি এবং তাদের কর্মচারীদের বেতনের সঙ্গে মুনাফার অংশটি দিতে বলেছি।’
তিনি দাবি করেন, ‘হয় তারা নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করবে অথবা সার্কুলার প্রত্যাহার করবে। আমরা এই দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছি না। মূল্য নির্ধারণ অবাস্তব ও অর্থহীন।’
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়াসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেছে দোকান মালিক সমিতি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৯ পণ্যের মূল্য নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা, অন্যথায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমদানি ও উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে হবে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সক্ষমতা বাড়াতে হবে, বাজার ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে, ভোগ্যপণ্য একই মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনতে হবে, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, ব্যবসায়ীদের চাপমুক্ত পরিবেশে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে, ভোগ্যপণ্যের ওপর আরোপিত সব ধরনের কর সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে স্বর্ণের ভরিতে কমবে ১৭৫০ টাকা
বুধবার থেকে স্বর্ণের ভরিতে কমবে ১৭৫০ টাকা
আগামীকাল বুধবার থেকে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস জানিয়েছে, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা করা হবে, যা ছিল দেশে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
নতুন দর অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯০ হাজার ৯৮৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির পরিমাপে স্বর্ণ ৭৫ হাজার ৮১৬ টাকা।
গত ২৪ আগস্ট দাম বাড়ার পর দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১ হাজার ২৪৪ টাকায় পৌঁছায়।
তবে স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আসে: বাজুস
মান অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির পরিমাপে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গত কয়েক বছরে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে এর সরবরাহে অস্থিরতার প্রভাব ছিল।
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি না করলেও এর দাম আন্তর্জাতিক প্রবণতার সঙ্গে প্রায় সম্পৃক্ত।
বাংলাদেশে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা ২০ থেকে ৪০ টন।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে যেভাবে কথা বলবেন
পেশাগত জীবন গঠনের সব থেকে সংবেদনশীল পর্যায়টি হচ্ছে চাকরির ইন্টারভিউ। যেখানে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ওপর নির্ভর করে পুরো ক্যারিয়ার, বিশেষ করে চাকরিটি যদি হয় খুব প্রয়োজনীয় অথবা বহু প্রত্যাশিত। নিয়োগকর্তার সঙ্গে এই আলাপচারিতায় প্রতিটা বাক্য তাৎক্ষণিকভাবে গড়ে দেয় চাকরি পাওয়ার মাইলফলক।
এই আলাপের শেষ পর্বে থাকে বেতন সম্পর্কিত কথোপকথন, যে মুহূর্তটি চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরও উত্তেজনার। প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে কথা বলার এই ছোট্ট পর্বটি কীভাবে সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রত্যাশিত বেতন বলতে আসলে কী বোঝায়
কোনো সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য সম্মানী হিসেবে নিয়োগর্কতার কাছে প্রার্থীর যে পরিমাণ অর্থের দাবি থাকে সেটিই প্রত্যাশিত বেতন নামে অভিহিত। কাজের ধরন ও ক্ষেত্র, দেশ, ও সময়ের ভিত্তিতে এই সম্মানী পরিবর্তিত হয়। আর প্রত্যাশার সঙ্গে মৌলিকভাবে জড়িয়ে থাকে প্রার্থীর দক্ষতা, যার পরিপূরকভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় অভিজ্ঞতা। এর সঙ্গে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে কাজটির চাহিদা, উপলব্ধতা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
আরও পড়ুন: চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
এই সব উপাদানের সাপেক্ষে যে পরিমাণ অর্থ দাবি করা হচ্ছে প্রার্থী আসলেই তার প্রাপ্য কি না তা প্রমাণ করা জরুরি। আর তারই যাচাই-বাছাই চলে চাকরির ইন্টারভিউতে।
বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রার্থীর ঐচ্ছিক বিষয় হলেও অঙ্কটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যথাযথ গবেষণার প্রয়োজন। নতুবা খুব কম দাবি করার ফলে প্রার্থী সঠিক আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। শুধু তাই নয়, এটি দীর্ঘ মেয়াদে তার ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং একই সঙ্গে সেই কাজের বাজার নষ্ট করে। অন্যদিকে খুব বেশি দাবি করার মাধ্যমে চাকরির সুযোগটাই হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।
কীভাবে প্রত্যাশিত বেতন নির্ধারণ করবেন
আত্ম-মূল্যায়ন
নিজের বাজার মূল্যটা ঠিক কত তা বুঝতে হলে নিজেকে একটি পণ্য বা সেবা হিসেবে চিন্তা করতে হবে। একটি পণ্য চূড়ান্ত ভাবে বিক্রিযোগ্য হওয়ার পূর্বে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। এ সময় তার যাবতীয় খরচের সঙ্গে লাভের পরিমাণ যোগ করে তারপর ঠিক পণ্যের দাম। একজন ব্যক্তির পারদর্শিতার মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারটিও ঠিক একই। এখানে যাচাই করতে হয় একটি কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে কতটা শ্রম এবং সময় দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক শ্রম অপেক্ষা মানসিক শ্রমের মূল্য বেশি।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
অপেক্ষাকৃত কম রসদে তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে কাজটি সম্পন্ন করা। মুলত এর উপর ভিত্তি করেই প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে কোনো কর্মচারী বা কর্মকর্তার বাজার মূল্য।
এই মূল্য যাচাইয়ের জন্য প্রার্থীকে প্রথমে দেখতে হবে বাজারে তার পারদর্শিতার চাহিদা কতটুকু। এই নিরীক্ষায় উতড়ে গেলে তারপরেই আসবে দক্ষতার বিষয়টি। কাজের ইন্ডাস্ট্রি ভেদে এই বিষয়টিকে বিশেষায়িত করে উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত ট্রেনিং এবং সরাসরি কাজের অভিজ্ঞতা। ব্যবহারিক বা প্রযুক্তিগত কাজগুলোতে প্রায় ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্ব পায়। আবার যে পারদর্শিতাগুলো খুব কম দেখা যায়, কিন্তু বাজারে চাহিদা প্রচুর, এগুলোর সম্মানী নিলামের মত বাড়তে থাকে।
নেটওয়ার্কিং
বেতন কত হওয়া উচিৎ তা জানার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একই ইন্ডাস্ট্রির লোকদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করা। ক্যারিয়ারের শুরুতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এবং শিক্ষকগণ এই নেটওয়ার্কিংয়ে ব্যাপক অবদান রাখে। তাদের মধ্যে যারা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পদের বেতনের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
স্বভাবতই তথ্য সংগ্রহের জন্য এটি খুব স্বল্প মেয়াদী উপায় নয়, কেননা বেতন নিয়ে কথা বলতে কেউই প্রস্তুত থাকেন না। দীর্ঘ দিন সম্পর্কের সুবাদে এরকম তথ্য পাওয়া সম্ভব। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিন থেকেই বিভিন্ন ক্লাব, সিনিয়র ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সান্নিধ্য অর্জনের চেষ্টা শুরু করতে হবে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ ও ফোরামের দৌলতে নেটওয়ার্কিং অনেকটা সহজ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
পদ্মা ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে একীভূত হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এই একীভূতকরণ সম্পন্ন হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ দুই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্বল ও সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর এটিই প্রথম দেশে দুই ব্যাংকের একীভূতকরণ বাস্তবায়ন করা হলো।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আগামীকাল থেকে পদ্মা ব্যাংকের আর অস্তিত্ব থাকবে না। একীভূতকরণের ফলে নতুন করে এক্সিম ব্যাংক নামে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সোমবার একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, একীভূতকরণের কারণে কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না। তবে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালকরা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না, বরং সরকারের পক্ষ থেকে এটি একটি পরামর্শ ছিল। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে আমরা এটা করেছি।’
একীভূতকরণের ফলে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদেরও কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের দুটি পদ্ধতি রয়েছে- অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ। আমরা অধিগ্রহণ করিনি, আমরা একীভূতকরণ করেছি।’
সূত্র জানায়, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় ১২০০ কর্মী এখন থেকে এক্সিম ব্যাংকে অধীনে কাজ করবে।
পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা এবং পদ্মার কাছে সরকারি ব্যাংকগুলোর দায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'পদ্মা একীভূত হয়ে যাওয়ায় পদ্মা ব্যাংকের সব দায় এখন এক্সিম ব্যাংকের।’
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক। পদ্মা ব্যাংক সাধারণ হলেও যেহেতু আমরা (এক্সিম) একীভূত করেছি, তারাও শরিয়াহভিত্তিক হবে। এক্সিম ব্যাংকের প্রতিটি সূচক ভালো অবস্থানে আছে, আশা করি আরও ভালো করবে।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে ঋণে জর্জরিত চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার শরিয়াহ ভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদ্মা ব্যাংক অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক্সিম ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এমওইউর খসড়া চূড়ান্ত করেছি, যা আগামী ১৮ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উপস্থিতিতে সই হবে।’
একীভূতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আফজাল করিম ইউএনবিকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখনো কোনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে হবে বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে একীভূত হবে।
আরও পড়ুন: প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাত: পদ্মা ব্যাংকের চিশতিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেশের মোট ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১২টি ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ এবং ৯টি ব্যাংক ইতোমধ্যেই রেড জোনে চলে গেছে। বাকি ৩টি ইয়েলো জোনে অবস্থিত, অর্থাৎ রেড জোনের খুব কাছাকাছি।
ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিভাগের মিডিয়া প্রতিবেদনের পরে দুর্বল ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহক ও আমানতকারীদের কাছ থেকে প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ফারমার্স ব্যাংকের নতুন নামকরণ করা হয় পদ্মা ব্যাংক। ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ায় এবং ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের কারণে কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণ না হলে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ইউএসআইটিসির শুনানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনের (ইউএসআইটিসি) গণশুনানিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাককে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পোশাক শিল্পের রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ইউএসআইটিসি’র গৃহীত একটি নতুন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়াল শুনানিতে বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ ও আবদুল্লাহ হিল রাকিব এবং শ্রম ও আইএলও বিষয়ক বিজিএমইএ’র স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ন ম সাইফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
ইউএসআইটিসির চেয়ারম্যান ডেভিড এস জোহানসন তার সহকর্মীদের নিয়ে গণশুনানি পরিচালনা করেন।
গণশুনানিতে ফারুক হাসান তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন। এসময় কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সবুজ প্রবৃদ্ধি, শ্রমিক অধিকার এবং শ্রম আইন সংস্কারের মতো ক্ষেত্রগুলোতে শিল্পের অগ্রগতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্তমান পোশাক বাণিজ্যের চিত্রও তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশ্ববাজারে এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভালো পারফর্ম করা বৈশ্বিক বিপর্যয় মোকাবিলায় যেসব শক্তি ও ফ্যাক্টর অবদান রেখেছে সেগুলোর চিত্রও তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
শ্রমিকদের অধিকার বৃদ্ধিতে বিশেষ করে শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন শুনানিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ সফিউল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ নির্বাচন-২০২৪: ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ, গণনা চলছে
ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণ না হলে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) জানিয়েছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূত হতে হবে, তা না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একীভূতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে এবং ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ একীভূতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারাবে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত ব্যাংকের স্বাস্থ্য সূচকের (বিএইচআই) প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, এতে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত স্বাস্থ্য নেই। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের তৈরি একটি আংশিক প্রতিবেদন যার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য মার্কিন ডলার-টাকা বিনিময় চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক
মেজবাউল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধানের অংশ হিসেবে ত্রৈমাসিক ও অর্ধ-বার্ষিক ভিত্তিতে ব্যাংকের কার্যক্রম ও আর্থিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
বিএইচআই প্রতিবেদনে হলুদ বিভাগের তালিকায় কিছু সবল ব্যাংকও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের প্রকৃত ব্যালেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে, অনুমানের ওপর নয়।
শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে ১০টি দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণের বিষয়ে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন মুখপাত্র বলেন, বৈশ্বিক মান বজায় রাখতে ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হবে এবং আমানতকারীরা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত হবে না।
তবে, বিএইচআই (ব্যাংক স্বাস্থ্য সূচক) শিরোনামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গোপন প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ২৯টি ব্যাংক হলুদ জোনে ছিল, যার অর্থ তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য সবল ও ভঙ্গুরের মাঝামাঝিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
প্রতিবেদনটিতে ব্যাংকগুলোকে যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক ‘ক্যামেলস’ রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
এই রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যাংক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ ছয়টি বিষয় ধরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষা করে থাকে। ছয়টি রেটিং সূচক হলো- মূলধনের পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণমান, ব্যবস্থাপনা, উপার্জন, তারল্য এবং বাজারের ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীলতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিভাগের ‘ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনের সর্বশেষ সংস্করণ অনুসারে, ‘রেড জোনে’ যে ব্যাংকগুলো রয়েছে- এবি, ন্যাশনাল, বাংলাদেশ কমার্স, পদ্মা, বেসিক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্যাংক অব পাকিস্তান, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক।
‘লাল’ ও ‘হলুদ’ জোনে থাকা ব্যাংকগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে এবং সারা দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। তাদের অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, বিনাধান ১৯ ও বিনাধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারাখাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
মানবাধিকার ও আইনের শাসন বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্পিকার
হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, হুন্ডি সংযোগের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে মানিলন্ডারিং কার্যক্রম রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে বাণিজ্য লেনদেন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।
রউফ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদানের পর থেকে অর্থ পাচার রোধে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, '২০২২ সালে আমি যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করি, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মারাত্মক সংকট ছিল। সে সময় ওভার ইনভয়েসিং বন্ধে প্রথম পদক্ষেপ নিই।’
বিদেশে রপ্তানি পণ্যের মুনাফা রাখা সত্ত্বেও আবার মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটে। তা প্রতিরোধেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নতুন দুই ডেপুটি গভর্নরের
হুন্ডি নিষিদ্ধের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান গভর্নর।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশে তাদের পরিবারকে হয়তো ৫০০ টাকা পাঠাবেন। সেক্ষেত্রে তিনি বিদেশে পরিচিত কাউকে সেই টাকা দেন এবং দেশে থাকা তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সেই টাকা স্বজনদের দিচ্ছেন।
সেই টাকা বিদেশে পড়ে থাকে। এর বিপরীতে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি এই অর্থ পরিশোধ করেছেন। আগে যেহেতু হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পেমেন্ট করা হতো, এখন তা এমএফএসের মাধ্যমে করা হয়।
প্রতিদিন প্রায় ২০০টি এ ধরনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে। পরে আবার গ্যারান্টি দিয়ে কিছু অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে প্রচারণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশে প্রতি বছর মানি চেঞ্জারদের মাধ্যমে ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলারের ট্রানজিশন হয়।
কিন্তু লেনদেনের সামান্য অংশ সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা ডলারের দর বাড়িয়ে দিলে অনেক প্রবাসী রেমিট্যান্স আটকে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রউফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘এজন্য মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করা এড়িয়ে চলুন। এটা আমাদের দেশে সম্পূর্ণ বেআইনি।’
সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থা চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক
কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কাউন্টার-ট্রেড আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি পারস্পরিক বিনিময় পদ্ধতি যেখানে পণ্য বা পরিষেবাগুলো নগদ মুদ্রার পরিবর্তে অন্যান্য পণ্য বা পরিষেবাদির জন্য বিনিময় করা হয়।
এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই পণ্যের বিনিময়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। অর্থাৎ বিদেশে কোনো কোম্পানি থেকে ১০০ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে ওই কোম্পানির কাছে টাকা পরিশোধ না করেই, তারা একই মূল্যের আরেকটি পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসব লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রয়োজন হবে না।
রবিবার(১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে তা তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের জন্য সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দামের সঙ্গে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের দাম সমন্বয় করা যাবে।
এক্ষেত্রে এ দেশের রপ্তানিকারক, আমদানিকারক বা ব্যবসায়ীরা কাউন্টার-ট্রেড প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
স্থানীয় ব্যাংক বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে বা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে দেশে এসক্রো অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে, যাতে স্থানীয় আমদানিকারকের কাছ থেকে প্রাপ্ত আমদানি মূল্য জমা দেওয়া হবে।
এ দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মূল্য আমানতের স্থিতির বিপরীতে স্থানীয় রপ্তানিকারককে পরিশোধ করা হবে।
এসক্রো হিসাবের অবস্থা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ীদের মতো বিদেশি ব্যাংকে এসক্রো হিসাব পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির