������������������
চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সিভি তৈরি, যেখানে প্রতিটি শব্দ অত্যন্ত মূল্যবান। নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যেখানে সুযোগ থাকে এক অথবা সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠার মধ্যে নিজেকে উপস্থাপনের। অসম্পূর্ণ সিভি যেমন কাম্য নয়, ঠিক তেমনি অপ্রাসঙ্গিক, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় তথ্যের সয়লাবও সিভিকে গুরুত্বহীন করে তোলে। তাছাড়া শব্দের আধিক্যের সঙ্গে থাকে ভুল-ভ্রান্তির আশঙ্কা। এমনকি কোনোভাবে ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেও ঘটতে পারে বিপত্তি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক চাকরির সিভিতে ঠিক কোন বিষয়গুলো পরিহার করা জরুরি।
সিভি লেখার সময় যে বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা উচিৎ
বানান ও ব্যাকরণগত ভুল
একটি সিভির উপাদানগুলো চাকরির অঙ্গন, প্রার্থীর দক্ষতা ও সৌন্দর্য্য বোধের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে প্রতিটি সিভি বানান ও ব্যাকরণগত দিক থেকে নির্ভুল হওয়া আবশ্যক। এই ধরনের ত্রুটিগুলো প্রার্থীর সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। কেননা বাক্য গঠনের ন্যূনতম নিয়ম-কানুন অনুসরণের মাঝে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটে। অনিচ্ছাবশতও যদি তা হয়ে যায়, তখন ধরেই নেওয়া হয় যে খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে তার বিশদ মনোযোগ নেই।
দীর্ঘ প্যারাগ্রাফ দিয়ে শুরু করা
চোখের সামনে একটি সিভি ধরা হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে দৃষ্টি পড়ে শিরোনামের দিকে। সিভির একদম উপরের অংশে নামের নিচের এই জায়গাটুকু এক নজরে প্রার্থীর সম্পর্কে ধারণা লাভের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। এখানে পরিচিতি পর্বটা দীর্ঘ হলে এই সিভির বাকি অংশ পড়ার আর আগ্রহ থাকে না। তাই এই সূচনা শব্দগুলো হওয়া উচিৎ সুচিন্তিত, সংক্ষিপ্ত এবং আগ্রহ উদ্দীপক।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
এক সময় সিভির শুরুতে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ বেশ জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু প্রশ্ন যখন কম সময়ে হাজার সিভি দেখার, সেখানে ৩ থেকে ৪ লাইনের প্যারাগ্রাফ পড়া নিতান্তই সময়সাপেক্ষ।
অপ্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা
বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ যুগে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। কিন্তু একই সঙ্গে এও সত্য যে সময়ের প্রয়োজনে বড় বড় কাজগুলো ভেঙে এখন ছোট ছোট পদের সৃষ্টি হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের এই ব্যবস্থায় অগ্রাধিকার পায় কিছু সুনির্দিষ্ট পারদর্শিতা। তাই শুধুমাত্র সেই পারদর্শিতাগুলোকেই অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ, যেগুলো উদ্দিষ্ট চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয়েছে।
তাছাড়া স্কুল-কলেজ জীবনের এমন অনেক অর্জন রয়েছে, যেগুলো কোনো ভাবেই উল্লেখিত পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যারা জীবনের প্রথম চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন তাদেরও এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। অসামঞ্জস্য তথ্য দিয়ে দুই পৃষ্ঠার সিভি অপেক্ষা প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পর্কিত তথ্যে ভরপুর এক পৃষ্ঠার রেজুমিই উত্তম।
আরও পড়ুন: উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
অস্পষ্ট সফট স্কিল ও অভিজ্ঞতা
সমস্যা-সমাধানকারী, স্বপ্রণোদিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ, পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারা; এরকম সফট স্কিলগুলো অনেকেই তাদের সিভিতে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু এগুলো জায়গার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এগুলোর পরিবর্তে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হার্ড স্কিলগুলো দেয়া ভালো; যেমন গাড়ি চালানো, বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সম্পাদন সফটওয়্যার বা কোনো নির্দিষ্ট মেশিন অপারেশনে পারদর্শিতা। তবে উত্তম পন্থা হলো সফট স্কিলগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা।
এটি অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শুধুমাত্র কোম্পানি ও পদবির নাম সংযোজনটাই যথেষ্ট নয়। এক লাইনের মধ্যে উপযুক্ত শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রতিটি বিবরণ শেষ করা উচিৎ।
এক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। যেমন ‘রেস্পন্সিবল’, ‘লিডার’, ‘সাক্সেস’ প্রভৃতি শব্দগুলো খুব বেশি দেখা যায়। অন্যান্য সিভির মত একই শব্দ ব্যবহার করা মানে সিভির বিশেষত্ব নষ্ট করা। এগুলো অল্প কথায় সিভির জায়গা বাঁচায় ঠিক, কিন্তু প্রার্থী সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
কিন্তু এর বদলে পরিমাপযোগ্য ফলাফল দেয়া হলে একসঙ্গে দুটো উদ্দেশ্য হাসিল হয়। এক. বহুল ব্যবহৃত শব্দ এড়ানো যায় এবং দুই. নিজের পারদর্শিতার ব্যাপারে সঠিক ধারণা দেওয়া যায়।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করেনি।
তবে এই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই দুই দেশের মধ্যে সকাল থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
পবিত্র রমজানের আগমন ও মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে চিনির দাম বাড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রতি কেজি চিনির খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা আগের মূল্যের ভিত্তিতেই বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
এর আগে সকালে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) চিনি উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোর কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসএফআইসির উৎপাদিত চিনির আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতি কেজি চিনিতে দাম বাড়ল ২০ টাকা
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পের জন্য ১০ বছরের কর মওকূফ এবং সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
দেশের জুয়েলার্সদের শীর্ষ সংগঠন বাজুস এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেয়।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে এই প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়সহ বাজুস নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
বাজুস স্বর্ণের ওপর ৩ শতাংশ ভ্যাট, অলঙ্কারের ওপর কর অব্যাহতি এবং অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক ইউএনবিকে বলেন, পর্যটকদের জন্য স্বর্ণের বার আনা বন্ধে তারা স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে স্বর্ণ আমদানির করমুক্ত সীমা ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করেন তিনি।
ব্যাগেজ নিয়মের সমন্বয় সাধন করে যাত্রীকে ওয়ান টাইম ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাজুস।
এর আগে এনবিআর কর মওকূফ স্বর্ণ ২০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ১০০ গ্রাম করে। এনবিআরের এ সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা। কিন্তু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখনও সন্তুষ্ট নয়। তাই তারা আবারও ভ্রমণকারী ও অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য করমুক্ত স্বর্ণ আমদানির সীমা কমাতে চান।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
প্রতি কেজি চিনিতে দাম বাড়ল ২০ টাকা
চিনি উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোর খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। ফলে কেজিপ্রতি চিনির দাম বাড়ল ২০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চিনির নতুন দর নির্ধারণ করে একটি আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিএসএফআইসি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পণ্যটির আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসির উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এখন থেকে মিল গেটে করপোরেশনের ৫০ কেজির বস্তা চিনির বিক্রয়মূল্য ৭ হাজার ৫০০ টাকা (প্রতি কেজি ১৫০ টাকা) এবং ডিলার পর্যায়ে ৭ হাজার ৮৫০ টাকা (প্রতি কেজি ১৫৭ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে।
করপোরেশনের মিল গেট বা করপোরেট সুপার শপগুলোতে এক কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির হার ১৫৫ টাকা এবং চিনি শিল্প ভবনের সুপার শপ, বেজমেন্ট ও মার্কেটে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির সর্বোচ্চ মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ট্রাকচালক আটক
১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
চাল বিপণনের আগে সব চালের বস্তায় চালকল মালিকদের নাম, ঠিকা, উৎপাদনের তারিখ, মূল্য ও জাত সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ এপ্রিলের মধ্যে এ ধরনের তথ্য ছাপাতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ইউএনবিকে বলেন, সম্প্রতি দেশের কয়েকটি চাল উৎপাদনকারী জেলা পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল বিভিন্ন নাম ও দামে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে চলে গেলে বা হঠাৎ করে বেড়ে গেলে মিল মালিক, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে কাঙ্ক্ষিত জাতের ধান-চাল কিনতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চালের বাজার মূল্য স্থিতিশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চালের বাজার মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়: খাদ্যমন্ত্রী
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চাল উৎপাদনকারী মিলারদের গুদাম থেকে বাজারে চাল সরবরাহের আগে উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলা, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেটের মূল্য ও চালের বস্তায় ধান/চালের প্রকারভেদ এবং প্রকৃত ওজন অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
বস্তা/ব্যাগের গায়ে উল্লেখিত তথ্য হাতে লেখা যাবে না, বরং প্রিন্ট করার কথা বলা হয়েছে। এমনকি সকল চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকদের (অটো/হাসকিং) সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের বস্তা/প্যাকেটে (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) উপরোক্ত তথ্যাদি মুদ্রণ করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
যে কোনও কর্পোরেট সংস্থার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে কোম্পানি মিল গেট মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারে।
অত্র পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ খাদ্য পরিদর্শকরা পরিদর্শনের সময় এটি নিশ্চিত করবেন।
লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে খাদ্য উৎপাদন, মজুদ, হস্তান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২৩ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার-সোনালির দাম বেড়েছে ১০-৩০ টাকা
পবিত্র রমজান সামনে রেখে এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা।
গত রমজানের আগেও রেকর্ড দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকা। এক পর্যায়ে তা কেজিতে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ২০০ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে বর্তমানে হয়েছে ২২০ টাকা।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমবে ৩০-৪০ টাকা: ডিএনসিআরপি’র ডিজি
সোনালি মোরগের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যেখানে সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদিও গত বছরের মতো ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো মুরগির দামও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪৫ দিন আগে প্রতিটি ব্রয়লার মুরগি (১ দিন বয়সী) প্রায় ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম সাধারণত প্রতি পিস ৩০ টাকা। এই বাড়তি দামের কারণে খামারে নতুন বাচ্চার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন চাষিরা।
যে কারণে বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম বাড়ছে। গতবারের মতো এবারও শবে বরাত ও রমজানের আগে যাতে বাজারে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজরদারি করতে হবে বলে মনে করছেন মুরগি ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার ইউএনবিকে বলেন, সব ধরনের মুরগির দাম বাড়ছে।
মাংস ও ডিমের দাম বাড়লে সরবরাহ কম থাকায় মুরগির দামও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
তিনি বলেন, ১ দিন বয়সী একটি বাচ্চার দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় উঠলে ব্যবস্থা নিতে হয়। চাষের খরচ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রথমেই মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির খাদ্য সরবরাহে অস্থিরতা দূর করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে খামারের মুরগির উৎপাদন ছিল ৩১ কোটি ৯৭ লাখ পিস।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ অর্থবছরে ক্রমান্বয়ে মুরগির উৎপাদন বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগ পর্যন্ত দেশে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এরপর থেকে মুরগির বাজার ওঠানামা করছে। কখনো চাষিরা লোকসান দিচ্ছেন, আবার অনেক সময় ক্রেতাদের বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে।
গত বছর রমজানের ঠিক আগে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম নির্ধারণের জন্য সরকার বড় চারটি মুরগি উৎপাদককে ডেকেছিল। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তে বাজারে মুরগির দাম কমানো হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই
কোকা-কোলা বাংলাদেশকে কিনে নিল তুরস্কের কোকা-কোলা আইসেক
দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে উপস্থিতি জোরদারে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) অধিগ্রহণের চুক্তি সই করেছে তুরস্কের কোকা-কোলা ইসেক (সিসিআই)।
সিসিআইয়ের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) এবং কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) একটি সহায়ক সংস্থার মধ্যে শেয়ার ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) সই হয়।
আরও পড়ুন: সেমস-গ্লোবালের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী চলছে
চুক্তিটি সিসিবিবির শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের রূপরেখা দেয়, সিসিআইএইচবিভি প্রাথমিক সরাসরি শেয়ারহোল্ডার হিসাবে আবির্ভূত হয়।
সিসিবিবি বাংলাদেশে কোকা-কোলা কোম্পানির অধীনে ঝকঝকে এবং স্টিল উভয় ব্র্যান্ডের উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিপণনের অন্যতম প্রধান পরিচালনাকারী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুক্তির শর্তানুযায়ী, সিসিআই ১৩০ মিলিয়ন ডলারের এন্টারপ্রাইজ মূল্য থেকে সমাপ্তির তারিখ হিসাবে সিসিবিবির আনুমানিক নিট আর্থিক ঋণ বিয়োগ করে নির্ধারিত ইক্যুইটি ভ্যালুতে (ইক্যুইটি ভ্যালু) সিসিবিবির সম্পূর্ণ শেয়ারহোল্ডিং অর্জন করতে চলেছে।
সমাপ্তির তারিখ হিসাবে সিসিবিবির সুনির্দিষ্ট নেট আর্থিক ঋণের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি বিস্তৃত সমাপনী নিরীক্ষণের পরে একটি পরবর্তী সমাপনী মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
অধিগ্রহণটি সিসিআইএইচবিভির বিদ্যমান নগদ সংস্থানগুলোর মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি সিসিআইয়ের নেট লিভারেজের উপর একটি পরিমিত প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই কৌশলগত পদক্ষেপটি কেবল সিসিআইয়ের বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে প্রসারিত করে না বরং উদীয়মান বাজারগুলোতে বৃদ্ধির সুযোগগুলোকে পুঁজি করার প্রতিশ্রুতিকেও জোরালো করে। অধিগ্রহণটি নিয়ন্ত্রক অনুমোদন এবং প্রথাগত বন্ধের শর্ত সাপেক্ষে এবং ভারতীয় উপমহাদেশের পানীয় শিল্পে একটি প্রধান পরিচালনাকারী হিসাবে সিসিআইয়ের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিসিআইয়ের সিইও করিম ইয়াহি বলেন,‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয় চুক্তি সই করতে পেরে খুবই আনন্দিত, যা আমরা ভবিষ্যতের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার সঙ্গে বাজারে প্রবেশের একটি দুর্দান্ত সুযোগ হিসাবে দেখি। এর মাধ্যমে সিসিআইয়ের মূল ক্ষমতা স্থাপন করে বৃদ্ধি এবং মান উৎপন্ন করা যেতে পারে। এই অধিগ্রহণটি সিসিআইয়ের জন্য আরও বৈচিত্র্যময় ভৌগলিক গুরুত্ব তৈরি করে এবং টিসিসিসির সঙ্গে এর প্রান্তিককরণকে দৃঢ় করে।
আরও পড়ুন: কোকাকোলা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়: হাইকোর্ট
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায় হলেও গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬২ থেকে ৭১ শতাংশ।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, যা জানুয়ারি শেষ দিকে ছিল ১০০ টাকা।
এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। গতকাল (শুক্রবার) প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে হয়েছে ১২০ টাকা। আজ (শনিবার) খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ফলে মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
আলামিন হোসেন নামে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পাবনা থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় খুচরা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পাবনায় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে এবং রাজধানীতে খুচরা ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায় কেনা হলেও এখন পাবনায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় কিনতে হয়েছে বলে জানান হোসেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষ পর্যায়ে। প্রায় দেড় মাস আগে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, আর এখন কৃষকের পেঁয়াজ শেষের দিকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
ফলে সরবরাহ কমতে শুরু করে এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় বলে জানান আলামিন।
এখন কৃষকের প্রধান পেঁয়াজ বা হালি পেঁয়াজ যা সারা বছর পাওয়া যায় সেই ফসল তুরতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত বাজারে এ ধরনের বাড়তি দাম থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ছিল ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। কিন্তু গত বছর এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেটে ১৪,৩০৫ কোটি টাকা জমা: ইসলামী ব্যাংকের সিইও
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন-২০২৪ এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের একটি হোটেলে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জেকিউএম হাবিবুল্লাহ এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দিন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইং চিফ মো. মাকসুদুর রহমান।
মনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ১৪ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা জমা রেখে দেশব্যাপী ২ হাজার ৭৭১টি এজেন্ট আউটলেট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
২০২৩ সালে এজেন্ট আউটলেটগুলো নতুন করে জমা পড়েছে ৩ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই এজেন্ট আউটলেটগুলো প্রবাসীদের সেবা বৃদ্ধিতে বিশেষ করে বৈদেশিক রেমিট্যান্স ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা গত বছর রেমিট্যান্স আহরণে নিয়োজিত দেশের মোট এজেন্টের ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ব্যাংকটি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধে ৫৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত ২৪ ব্যাংক