খেলাধুলা
বাংলাদশের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ!
ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো এবং ধ্রুপদী ধরন হল টেস্ট ক্রিকেট। গত দুই দশকে বাংলাদেশের হয়ে অনেক খ্যাতিমান টাইগাররা ব্যাট এবং বল হাতে খেলেছেন। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯৮ জন খেলোয়াড় বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটের টেস্ট সংস্করণে অংশ নিয়েছেন।
তাই সহজেই সেরা ১১ জন খেলোয়াড়ের নাম নেয়াটা অতটা সহজ নয়। তবে ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটর সেরা ১১ তারকার নাম উল্লেখ করা যেতেই পারে। চলুন দেখে নেই বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটর সর্বকালের সেরা ১১ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা।
১) তামিম ইকবাল
৬৪টি টেস্ট খেলা তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৬৪ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করেছেন। সর্বোচ্চ ২০৬ রান এবং ৯টি শতকের অধিকারী তিনি। বাংলাদেশের সর্বকালে সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবেও তাকে গণ্য করা হয়।
২) ইমরুল কায়েস
টেস্টে ৩৯টি ম্যাচ খেলা এবং ১ হাজার ৭৯৭ রানের মালিক ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। মাত্র তিনটি শতকের দেখা পাওয়া এই ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান ১৫০। বাংলাদেশের হয়ে তামিমের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩১২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই ক্রিকেটার।
৩) মুমিনুল হক
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের বর্তমান দলপতি মুমিনুল এই অবস্থানে আছেন ৪৪টি ম্যাচ এবং ৩ হাজার ২৪৭ রানের সুবাদে। তার সর্বোচ্চ রান ১৮১ এবং মোট শতকের সংখ্যা ১১টি।
৪) মুশফিকুর রহিম
মিডল অর্ডারে সবচেয়ে ভরসার জায়গায় আছেন মুশফিকুর রহিম। তার ঝুলিতে আছে ৭৪ ম্যাচ, ৪ হাজার ৬৪৫ রান এবং ৭টি শতক। তার সর্বোচ্চ রান ২১৯ (অপরাজিত)।
৫) মোহম্মাদ আশরাফুল
বিতর্কিত ও সমালোচিত এই প্লেয়ারকে নিয়ে অনেক কথা হতে পারে, কিন্তু টেস্টে তার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ৬১ ম্যাচ খেলা আশরাফুলের মোট রান ২ হাজার ৭৩৭ এবং সর্বোচ্চ রান ১৯০। অপরদিকে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট শতকের রেকর্ডটি’ও তার দখলে।
আরও পড়ুন: করোনায় ১৭২০ ক্রিকেটারের পাশে বিসিবি
৬) সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশ সেরা টেস্ট একাদশে ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ৫৭ ম্যাচে ৩ হাজার ৯৩০ রান, সর্বোচ্চ ২১৭ রান এবং ৫টি টেস্ট শতক আছে তার ঝুলিতে। এছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২১০ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ডও আছে তার ঝুলিতে।
৭) মোহম্মদ রফিক
নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই স্পিনার বাংলাদেশের হয়ে সর্বপ্রথম টেস্টে ১০০ উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। ৩৩ ম্যাচ খেলে ১ হজার ৫৯ রান এবং সর্বোচ্চ ১১১ রান করা এই ক্রিকেটার মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসাদায়ক খেলোয়াড় ছিলেন।
৮) মেহেদি হাসান মিরাজ
২৬ টেস্ট খেলা ৮৫৫ রানের অধিকারী মিরাজকে এই তালিকায় একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই যুক্ত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০৩ রান এবং এ পর্যন্ত ১০৩ উইকেট শিকার করেছে এই তরুণ ক্রিকেটার।
৯) মাশরাফি বিন মর্তুজা
টেস্টে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের জন্য প্রথম নামটি ই হবে মাশরাফির। দেশের প্রকৃত এই পেইসার ১৪০ কি.মি ঘণ্টায় বল ছুড়তে পারেন। ৩৬ টেস্টে এ পর্যন্ত ৭৮ উইকেট নিয়েছেন সাবেক টাইগার দলপতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ: টাইগারদের টেস্ট স্কোয়াড বিশ্লেষণ
১০) তাইজুল ইসলাম
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সফল বোলার হল তাইজুল ইসলাম। ৩৩ ম্যাচ খেলা এই স্পিনার ১৩০ উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে ৩৯ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকারের রেকর্ডটিও আছে তার দখলে।
১১) শাহাদাৎ হোসেন
৩৮ ম্যাচ খেলে ৭২ উইকেট নেয়া শাহাদাতকে মাশরাফির পরই সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে গণ্য করা হয়।
যদিও অনেক বড় তারকা খেলোয়াড়রা এই তালিকায় নেই। তবে নিজেদের ব্যক্তিগত রেকর্ডের কারণে এই তালিকায় অবস্থান জমিয়ে নিয়েছেন সেরা টেস্ট টাইগাররা।
করোনায় ১৭২০ ক্রিকেটারের পাশে বিসিবি
দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১ হাজার ৭২০ পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের জন্য দুই কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
চুক্তিবদ্ধ নারী ক্রিকেটাররাও বিসিবির এই সহায়তার জন্য যোগ্য হবেন।
কোভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ হওয়ায় ক্রিকেটারদের সহায়তার লক্ষ্যে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসানের পরিকল্পনায় বোর্ডের এই উদ্যোগে ১ হাজার ৪৩২ জন পুরুষ ও ২৮৮ জন নারী ক্রিকেটার এই প্রণোদনার অর্ন্তভুক্ত হবেন।
আরও পড়ুন: ক্যান্ডি টেস্ট: টাইগারদের রথে শিথিলতা এনে দিল অভিষিক্ত জয়াবিক্রম
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, ঢাকা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের লিগ, অনূর্ধ্ব-১৯, নারীদের জাতীয় ক্রিকেট লিগ, প্রিমিয়ার বিভাগসহ বিভিন্ন জেলা এবং ঘরোয়া ইভেন্টের সাথে জড়িত ক্রিকেটারদের এই সহযোগিতা পাওয়ার জন্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ক্যান্ডি টেস্ট: টাইগারদের রথে শিথিলতা এনে দিল অভিষিক্ত জয়াবিক্রম
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টে টাইগারদের রথের গতি প্রায় শিথিল করে দিয়েছে সদ্য অভিষিক্ত বাহাতি স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রম।
শনিবার টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ভরসা তামিম, সাইফ এবং মুশফিককে চা বিরতির আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠান এই স্পিনার।
চা বিরতির সময় ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৭৯ রান। আর অপারাজিত ৪৭ রানে দলের জন্য লড়ছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
কিন্তু শেষ রক্ষাটা আর হলো না টাইগারদের। জয়াবিক্রমের দুর্দান্ত স্পিন ঘূর্ণিতে ছয় টাইগার উইকেটে টিকে থাকতে ব্যর্থ হন। পঞ্চম শ্রীলঙ্কান হিসেবে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়লেন জয়াবিক্রম। সেই সাথে স্পিনার রমেশ মেন্ডিস এবং পেসার সুরঙ্গ লাকমাল অপর চার টাইগারের উইকেট তুলে নেন।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করার পর মাত্র ২৫১ রান গড়েই ১০ উইকেট দিয়ে দেয় টাইগাররা। ফলোঅনে থাকা বাংলাদেশের থেকে ২৪১ রানে এগিয়ে লঙ্কানরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে। তবে শেষ বিকালে ১৭ রানেই দুই উইকেট খুঁইয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ও মেহেদী একটি করে উইকেট নেন।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনে লড়াইয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দারুণ বোলিং নৈপুণ্যতার মাধ্যমে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছে টাইগাররা।
শুক্রবার দিনের প্রথম সেশনেই তাসকিন এবং তাইজুল ৩টি উইকেট তুলে নেন।
ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণে লাহিরু থিরিমান্নে এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের উইকেট শিকার করেন। অপরদিকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্ট: ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা, শরিফুলের অভিষেক
বৃহস্পতিবার টেস্টের প্রথমদিনে টসে হেরে বোলিং শুরু করা বাংলাদেশ সারাদিনে মাত্র এক উইকেট নিতে পেরেছিল।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টাতে উইকেটহীন ছিল টাইগাররা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তাসকিনের শর্ট ডেলিভারির শিকার হয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন থিরিমান্নে।
থিরিমান্নেকে আউট করার মাত্র দুই বল পরেই অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউসের উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। তাসকিন এবং কিপার লিটন দাসের ব্যর্থতায় কট আউটের আপিল না করায় মাঠেই থেকে যান ম্যাথিউস। যদিও তাসকিনের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েই বিদায় নেন ম্যাথিউস।
মাত্র দুই রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ড্রেসিং রুমে পাঠিয়ে দিনের তৃতীয় উইকেটটি নিশ্চিত করেন তাইজুল ইসলাম। ধনঞ্জয়ার ক্যাচটি লুফে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
চা বিরতির আগ পর্যন্ত স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে ৪২৫ রান সংগ্রহ করেছে।
দ্বিতীয় টেস্ট: ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা, শরিফুলের অভিষেক
দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
এই টেস্টে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের অভিষেক হয়েছে । এর আগে তিনি তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার আগে শরিফুল আটটি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন এবং ২২টি উইকেট পেয়েছেন। প্রথম টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন এবাদত হোসেন।
শ্রীলঙ্কার একাদশেও এসেছে দুটি পরিবর্তন। লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও পেসার লাহিরু কুমারার বদলে জায়গা পেয়েছেন দুই স্পিনার রমেশ মেন্ডিস ও প্রবীন জয়বিক্রম।
এর আগে একই মাঠে প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছে।
খেলা শুরুর আগে বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছেন যে তারা এই টেস্ট জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয়ের জন্য খেলবে।
শ্রীলঙ্কায় কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগে পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে শেষবারের মতো টেস্ট জিতেছিল এবং সেটি শ্রীলঙ্কাতেই এসেছিল।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ৫০ ভোরে ১৫৫ রান করেছে। দুই ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে ৬৭ এবং অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ৮৬ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, শরিফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কা : দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), লাহিরু থিরিমান্নে, ওশাদা ফার্নান্দো, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিসাঙ্কা, নিরোশান ডিকভেলা (উইকেটরক্ষক), রমেশ মেন্ডিস, প্রবীণ জয়বিক্রম, সুরাঙ্গা লাকমল ও বিশ্ব ফার্নান্দো।
শ্রীলঙ্কা সফর: দ্বিতীয় টেস্টেও অপরিবর্তিত রইল টাইগার বাহিনী
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচের জন্য ১৫ সদস্যের অপরিবর্তিত দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখেই প্রথম ম্যাচের মতোই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিও ক্যান্ডি পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
বোলারদের জন্য নিরস পিচের কারণেই প্রথম ম্যাচটি ড্র দিয়েই শেষ হয়। প্রথম ম্যাচের ৫ দিনে দুই পক্ষের বোলাররা মাত্র ১৭ উইকেট নিতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: পাল্লেকেলে টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে ৩১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
কিন্তু এইবার উভয়পক্ষই ভালো একটি পিচের আশা করছে, যেখানে ব্যাটিং এবং বোলার উভয় পক্ষই সুবিধা নিতে পারবে।
গত ম্যাচের চরম ব্যর্থতার পরও দ্বিতীয় ম্যাচের দলে রেখে সাইফ হাসানকে আবারও সুযোগ দিয়েছে বোর্ড। আগের ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১ রান করে নিরাশ করেন এই ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), লিটন দাস, মোহাম্মদ মিথুন, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী ও শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা সিরিজ ২০২১: প্রথম টেস্টে প্লেয়ার রেটিংস
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়ার পর সত্যিকারের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। বোলিং-এ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ন্যূনতম মোট রান করতে বাধ্য করবে বলে আশা করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা যখন প্রথম ইনিংসে ১০০রানের লিড নিয়েছিল তখন সব প্রত্যাশা শেষ হয়ে যায়। চূড়ান্ত দিনে লঙ্কানরা বাংলাদেশের সব উইকেট নিয়ে ম্যাচটি হাতে রাখার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা প্রতিপক্ষের বোলারদের তাদেরওপর আধিপত্য বিস্তার করতে দেয়নি এবং ম্যাচটি ড্র করে শেষ হয়েছিল। বাংলাদেশ দলের জন্য প্রথম টেস্ট প্লেয়ার রেটিংগুলি এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথম টেস্টে দলের খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স রেটিং
রান-ফেস্টের প্রথম টেস্টের পরে আমরা অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়ের জন্য রেটিং সংকলন করেছি, যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে ...
আরও পড়ুন: করুণারত্নে-ধনাঞ্জয়ের কাছে পাত্তা পেল না টাইগাররা
তামিম ইকবাল (৮/১০)
রান:১৬৪|গড়:১৬৪.০০|সর্বোচ্চ স্কোর:৯০|সেঞ্চুরি:০
প্রথম টেস্টে অভিজ্ঞ তামিম ইকবালকে ভিন্ন স্টাইলে দেখা গিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বাংলাদেশের বাকি ব্যাটারদের প্ল্যাকিড উইকেটে দুর্দান্ত খেলতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তামিম প্রথম ইনিংসে ৯০ রানে আউট না হলে লম্বা ইনিংস খেলতে পারতেন। অন্যদিকে, তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তামিম ইকবালের ফর্মে ফেরা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সাফল্য।
সাইফ হাসান (১/১০)
রান:১|গড়:০.৫০|সর্বোচ্চ স্কোর:১|সেঞ্চুরি:০
প্রথম টেস্টে নিয়মিত টেস্ট ওপেনার সাদমান ইসলামের পরিবর্তে সাইফ হাসানকে দলে নেয়া হয়েছিল।কেননা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এইতরুণকে তার প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ দিতে চেয়েছিল। তবে সাইফ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি। তিনি প্রথম ইনিংসে শূন্য রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র এক রান করেছিলেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত (৭/১০)
রান:১৬৩|গড়:৮১.৫০|সর্বোচ্চ স্কোর:১৬৩|সেঞ্চুরি:১
এই ম্যাচের আগে নাজমুল হোসেনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার প্রতিভা প্রদর্শনের একাধিক সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি সুযোগটি কাজেলাগাতে ব্যর্থ হন। তাই একটি গুজব ছিল যে তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। ঠিক তখনই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ-উদ্বোধনী টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি ক্যারিয়ারের সেরা ১৬৩ রানের ইনিংসটি করেছিলেন। তিনি দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে ব্যাট করেন এবং ৩৭৮ বলে তার ইনিংস গড়ে তোলেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি লাকমলের বলে বোল্ড হয়ে একটি রানও না করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
মুমিনুল হক (৮/১০)
রান:১৫০|গড়:১৫০.০০|সর্বোচ্চ স্কোর:১২৭|সেঞ্চুরি:১
অধিনায়ক হিসাবে মুমিনুল হকের এই টেস্টে তেমন কিছু করার ছিল না কারণ পিচটি পুরোপুরি ব্যাটিংবান্ধব ছিল। তবে মুমিনুল একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে দুর্দান্ত খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে, তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ১২৭রানের ইনিংস খেলেন, যা বিদেশের মাটিতে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ২৩রানে অপরাজিত থাকেন।
মুশফিকুর রহিম (৮/১০)
রান:৬৮|গড়:-|সর্বোচ্চ স্কোর:৬৮*|সেঞ্চুরি:০
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম প্রথম ইনিংসে ৬৮* রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে অপরাজিত থাকেন এবং বাংলাদেশকে বড় স্কোর করতে সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে মুশফিককে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হয়নি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ, বিদেশে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি
লিটন দাস (৭/১০)
রান:৫০|গড়:৫০.০০|সর্বোচ্চ স্কোর:৫০|সেঞ্চুরি:০
প্রথম ইনিংসে দ্রুত ৫০ রান করে স্কোরবোর্ডকে সচল রেখেছিলেন লিটন দাস। তবে শেষ দিকে নিজের অর্ধশতকটি শেষ করেই আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দুটি উইকেট হারিয়েছে বলে এই ম্যাচে লিটন আবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।
মেহেদী হাসান মিরাজ (৫/১০)
উইকেট:১|ইকোনমি রেট:২.৭৭|বিবিআই:১/১৬১| ৫ডাব্লিউ: ০
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মেহেদি হাসান মিরাজ সবচেয়ে বেশি ইকোনমিকাল ছিলেন। তিনি ৫৮ ওভার বোলিং করেছিলেন এবং ১৬১ রানের বিনিময়ে ১উইকেট নিয়েছিলেন। মেহেদির ইকোনমিক হার ছিল ২.৭৭।
তাইজুল ইসলাম (৫/১০)
উইকেট:২|ইকোনমি রেট:৩.৬২ |বিবিআই:২/১৬৩| ৫ডাব্লিউ: ০
মেহেদীর পাশাপাশি আরও একজন স্পিনার তাইজুল ইসলাম দীর্ঘ সময় বোলিং করেন এবং ৪৫ ওভারে ৩.৬২ ইকোনমিকহারে ২টি উইকেট নেন। পিচটি ব্যাটিং-বান্ধব হওয়ায় তাইজুল কোনও অভিনবত্ব দেখাতে পারেননি।
তাসকিন আহমেদ (৬/১০)
উইকেট:৩|ইকোনমি রেট:৩.৭৩ |বিবিআই:৩/১১২| ৫ডাব্লিউ: ০
দীর্ঘ অনুপস্থিতির পরফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশ টেস্ট দলে যোগ দেন এবং প্রথম টেস্টে ভাল বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। পাল্লেকেলের পিচ ব্যাটসম্যানদের অনেক কিছু দেয়া সত্ত্বেও তিনি আলাদা কিছু করতে অনড় ছিলেন। দলের হয়ে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন তাসকিন।
আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি (২/১০)
উইকেট:০|ইকোনমি রেট:৪.০০ |বিবিআই:০/৭৬| ৫ডাব্লিউ: ০
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ টেস্ট একাদশের নিয়মিত সদস্য আবু জায়েদ রাহি এই ম্যাচে ভাল বোলিংয়ের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ১৯ ওভার বোলিং করেছিলেন এবং ইকোনমিক রেট ৪সহ ৭৬ রান দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পাল্লেকেলে টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে ৩১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
এবাদাত হোসেন (২/১০)
উইকেট:১|ইকোনমি রেট:৪.৭১ |বিবিআই:১/৯৯| ৫ডাব্লিউ: ০
উইকেট নেওয়া সত্ত্বেও এবাদত হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোলার। ২১ ওভারে তিনি ৪.৭১ ইকোনমিক হারে ৯৯ রান দিয়েছিলেন।
করুণারত্নে-ধনাঞ্জয়ের কাছে পাত্তা পেল না টাইগাররা
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনে টাইগারদের একেবারে পাত্তাই দিলেন না লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারাত্নে এবং ধনাঞ্জয় ডি সিলভা। উইকেটহীন একটি দিন কাটিয়েছে টাইগাররা।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) আলো স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৭৬ ওভার বোলিং করে ২৮৩ রান দিয়েছে। চতুর্থবারের মতো টেস্টে বাংলাদেশ উইকেটবিহীন দিন কাটাল।
আরও পড়ুন: পাল্লেকেলে টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে ৩১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
অপরদিকে এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো টেস্টে বিনা উইকেটে স্বাচ্ছন্দ্যে একটি পুরো দিন পার করল লঙ্কানরা। চতুর্থ উইকেটে তাদের গড়া জুটিতে ৩২২ রান এসেছে। চতুর্থ দিন শেষে লঙ্কান অধিনায়ক করুণাত্নে ক্যারিয়ার সেরা ২৩৪ রান এবং ধনাঞ্জয় ১৫৪ রানে অপরাজিত আছেন ।
বর্তমানে বাংলাদেশের লিড এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৯ রানে। রবিবার শ্রীলঙ্কা চটজলদি কিছু রান তুলে বাংলাদেশের জন্য কিছু অস্বস্তিকর মুহূর্ত উপহার দেবে মনে করছে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ, বিদেশে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি
এর আগে তৃতীয় দিনে দুপুরের বিরতির আগে ১৭৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪১ রান সংগ্রহ করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
পাল্লেকেলে টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে ৩১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের থেকে ৩১২ রানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
দিন শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২২৯ রান। করুণারত্নে ৮৫ এবং ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা ২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী, তাইজুল ও তাসকিন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ১৭৩ ওভারে সাত উইকেটে পাহাড় সমান ৫৪১ তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক ।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ, বিদেশে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি
আগের দিনের ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে সকালে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন কুমার দাস দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।
শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিম ৬৮ এবং তাসকিন ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এদিকে, বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ব্যক্তিগত ল্যান্ডমার্কে পৌঁছাতে ব্যবহার করেন ২২৪ বল।
আট বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে মুমিনুল ঘরের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন ১০টি।
এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন। লাহিরু কুমারের ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে ৩৭৮ বলে ১৭টি চার এবং একটি ছক্কায় ১৬৩ রান করেন তিনি।
তৃতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস: ৫৪১/৭ ডিক্লেয়ার, ১৭৩ ওভার (শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭, তামিম ৯০, মুশফিক ৬৮* লিটন ৫০; ফার্নান্দো ৪/৯৬)
শ্রীলঙ্কা: তৃতীয় দিন শেষ: ২২৯/৩, ৭৩ ওভার (করুনারত্নে ৮৫*, থিরিমান্নে ৫৮; তাসকিন ১/৩৫)
দ্বিতীয় দিনেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ, বিদেশে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ।
৪ উইকেট হারিয়ে ৪৭৪ রান সংগ্রহ করেছে সফরকারীরা। আলোর স্বল্পতার কারণে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় মাঠ ছাড়েন ক্রিকেটাররা। বিকাল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। মুশফিকুর রহিম ৪৩ এবং লিটন দাস ২৫ রানে অপরাজিত আছেন।
আরও পড়ুন: পাল্লেকেলে টেস্ট: বিদেশের মাটিতে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি, শান্তর ১৫০
এদিকে, বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ব্যক্তিগত ল্যান্ডমার্কে পৌঁছাতে ব্যবহার করেন ২২৪ বল।
আট বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে মুমিনুল ঘরের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন ১০টি।
ধনঞ্জয় ডি সিলভার ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে লাহিরু থিরিমান্নের ক্যাচের সাথে সাথে ৩০৪ বলে ১১টি চার মেরে ১২৭রানে মুমিনুল ইনিংসটি শেষ করেন।
২০১৩ সালে মুমিনুল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং টানা দুইটি ম্যাচে দুইটি হাফ সেঞ্চুরি করেন।
আরও পড়ুন: শান্তর প্রথম টেস্ট শতকে লঙ্কায় এগিয়ে টাইগাররা
বিদেশে আরও চারটি হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি (২০১৪), এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি (২০১৭) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি (২০১৭)।
বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় উইকেটে ২৪২ রানের মাধ্যমে আরেক সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্তর (১৬৩) সাথে জুটি বেঁধে মুমিনুল টেস্টে রেকর্ড জুটিও গড়েন।
এর আগে, লাহিরু কুমারের ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে ৩৭৮ বলে ১৭টি চার এবং একটি ছক্কায় ১৬৩ রান করেন শান্ত।