%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বহুল প্রতীক্ষিত মিশন শুরু হতে যাচ্ছে: আইএইএ প্রধান
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান সোমবার বলেন, ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার বহুল প্রতীক্ষিত বিশেষজ্ঞ মিশন শুরু হতে যাচ্ছে।
আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি দীর্ঘদিন ধরে জাপোরিঝিয়া কেন্দ্রের প্রবেশাধিকার চাচ্ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কেন্দ্রটি ইউক্রেন তথা ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
গ্রসি টুইটারে লিখেছেন, ‘দিনটি চলে এসেছে।’ এর সাথে যোগ করেন, ‘ভিয়েনাভিত্তিক আইএইএ এর ‘সহায়তা ও সহকারী মিশন’ এখন যাত্রা পথে।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ: ইউক্রেনে রেকর্ড মানবিক সহায়তা সংকটের মুখে জাতিসংঘ
আমাদের অবশ্যই ইউক্রেন তথা ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে। এ সপ্তাহের শেষ দিকে #জেডএনপিপি (জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট) তে এই মিশনের নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি গর্বিত৷ – ১৩ জন বিশেষজ্ঞের সাথে নিজের একটি ছবি দিয়ে গ্রসি একথাগুলো লেখেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বা এর আশে পাশে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই যুদ্ধ পরিচালনা বন্ধ রেখেছে। তারা যুদ্ধের কারণে বড়ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পারমাণবিক বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ার তীব্র ভয়ে আছে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৯ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের মেনতাওয়াই দ্বীপের উপকূলীয় শহর সাইবারুতে সোমবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৯ মাত্রার। এটি ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরতায় পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের উপকূলীয় শহর প্যারিয়ামনের প্রায় ১৭০ কিলোমিটার (১০৫ দশমিক ৬ মাইল) পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত ছিল।
২৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। দেশটি প্রায়শই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং ৪৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। এছাড়া গত বছরের জানুয়ারিতে পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ৬ হাজার ৫০০ জন আহত হয়।
পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
হিউস্টনে ৩ ভাড়াটিয়া খুন, হামলাকারী নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরের এক অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং থেকে বিতাড়িত হওয়া এক ব্যক্তি অন্য পাঁচ ভাড়াটিয়াকে গুলি করেছে। এতে তিনজন মারা গেছে। তাদের বাহিরে বের করার জন্য রবিবার সকালে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়েছেন।
রবিবার রাত ১টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম হিউস্টনের একটি শিল্প-আবাসিকের সংমিশ্রিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রধান ট্রয় ফিনার বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
তিনি আরও বলেন, অন্য ভাড়াটিয়ারা যখন ঘর থেকে বের হচ্ছিল তখন বন্দুকধারী সম্ভবত একটি শটগান দিয়ে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায় এবং একজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আহত দুজনকে উদ্ধার করে। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন আগুন নেভানোর কাজ করছিল তখন হামলাকারী ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ তাকে চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যা করার আগ পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে সহকর্মীর গুলিতে নিহত ৩
কারও পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ফিনার জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের কেউ আহত হয়নি।
ফিনার বলেন, ‘আমি অনেক ঘটনা দেখেছি, কিন্তু ৩২ বছরে এরকম ঘটনা দেখিনি। এধরনের ঘটনা সময়ে সময়ে ঘটতেই থাকে। সমাজের বাসিন্দারা যেন একত্রে থাকে আমরা তার আর্জি জানাই।’
রবিন আহরেন্স নামের এক প্রতিবেশী হিউস্টন ক্রনিকলকে বলেন, কাজে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতির সময় প্রাথমিকভাবে তিনি মনে করেন যা দেখছেন তা ছিল আতশবাজি।
তিনি আরও বলেন, আমি ভাগ্যবান যে বাইরে যাইনি। লোকটি হয়তো আমাকেও গুলি করত। বন্দুকধারীর কোলন ক্যান্সার ছিল। বাড়িভাড়াও বাকি ছিল। কোনো চাকরি ছিল না। কয়েকদিন আগেই জানতে পারেন তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই গত কয়েকদিনে কঠিন কিছু হয়েছিল যা সে সহ্য করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬০ কোটি ৫৮ লাখের বেশি
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বে ৬০ কোটি ৫৮ লাখেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ২২৮ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৬০ লাখ ১১ হাজার ৮৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৬৯ হাজার ১৩২ জন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ৪৩০
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৪ লাখ আট হাজার ১৩২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৪ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করল বাংলাদেশ। এই সময়ে নতুন ২১৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩২৩ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১১ হাজার ৩১৭ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৬৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এই সময় শনাক্তের হার চার দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এই পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়াল
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২৯ জন।
এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
লিবিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩০, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
লিবিয়ায় সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত হওয়ার একদিন পর সরকার সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনী রবিবার রাজধানী ত্রিপোলির রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শনিবারের প্রথম দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকার সমর্থক মিলিশিয়াদের সঙ্গে জোটবদ্ধ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, গত এক মাস মোটামুটি স্থিতিশীল থাকার পর এ সংঘর্ষ লিবিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের দিকে ফিরে যেতে পারে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত অভিযানে দীর্ঘকালীন স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ও নিহত করার পর থেকে লিবিয়ায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতা এবং প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দ্বেইবাহের পদত্যাগে অস্বীকৃতির কারণে বর্তমান অচলাবস্থা বেড়েছে।
শনিবারের সংঘর্ষে ভারী কামান ব্যবহার করা হয়েছে। সংঘর্ষে শত শত লোক আটকা পড়েছে এবং হাসপাতাল, সরকারি ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংঘর্ষের এলাকায় পোড়া যানবাহন ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত ও ১৫৯ জন আহত হয়েছে।
পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
লিবিয়ায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিশেল সার্ভেদেই বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর এবং পাঁচ বছর বয়সী আরও চারজন আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে মুস্তফা বারাকা নামে একজন রয়েছেন। তিনি একজন কৌতুক অভিনেতা যিনি মিলিশিয়া এবং দুর্নীতিকে উপহাস করার জন্য তার সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ-স্ট্রিমিং করার সময় তাকে গুলি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাকে টার্গেট করা হয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস কয়েক ডজন বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছে। তারা তাদের বাড়ি, সরকারি ভবন ও হাসপাতালে আটকে পড়া নারী ও শিশুসহ মানুষের ভয়ঙ্কর দৃশ্য বর্ণনা করেছেন।
একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে অনেক পরিবারের সাথে আটকে পড়া একজন নারী বলেন, ‘আমরা আমাদের চোখের সামনে আমাদের বাচ্চাদের চোখে মৃত্যু দেখছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সেই নিরপরাধ শিশুদের রক্ষা করা, যেমনটি তারা গাদ্দাফির সময় করেছিল।’
পড়ুন: পারমাণবিক চুক্তি সম্মেলনে চূড়ান্ত নথিতে রাশিয়ার বাধা
বন্যা: পাকিস্তানে মৃত্যু হাজার ছাড়াল
পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। রবিবার দেশটির জলবায়ুমন্ত্রী এই বর্ষা মৌসুমকে ‘একটি মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় গত মধ্য জুন থেকে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পানির তোড়ে শস্য ও অনেক গ্রাম ভেসে গেছে। সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত পাকিস্তানিদের নিরাপদে সরিয়ে আশ্রয় শিবিরে নিচ্ছে এবং খাদ্য সরবরাহ করছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরের মধ্য জুনে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে
এক হাজার ৩৩ জনে। এছাড়া খাইবার পাখতুন ও সিন্ধু প্রদেশে নতুন করে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানি সিনেটর ও দেশের জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ কর্মকতা শেরি রেহমান টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে তার অভিজ্ঞতা বর্নণা করে বলেন, ‘এই দশকে সবচেয়ে কঠিনতর একটি মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে চরম আবহাওয়া বিপর্যয়ের সামনে অবস্থান করছি, অবিরাম তীব্র দাবদাহ, দাবানল, আকস্মিক বন্যা, বহু হিমবাহ গলে যাওয়া, বন্যা পরিস্থিতি ও সারাদেশে দশকের দানব বন্যা অবিরাম ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটির রাষ্ট্রদূত একটি ভিডিও বিবৃতি পুনরায় টুইট করেছেন।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র কামরান বঙ্গশ বলেন, রাতভর সোয়াত নদীর প্লাবনে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুন প্রদেশের হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- বিশেষ করে চরসদ্দা ও নওশেরা জেলা। তাদেরকে বাড়ি থেকে সরিয়ে সরকারি ভবনের আশ্রয় শিবিরে নেয়া হয়েছে। তাদের অনেকে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই অভূতপূর্ব বর্ষা মৌসুম দেশের চারটি প্রদেশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এতে প্রায় তিন লাখ বাড়িঘর, অসংখ্য রাস্তাঘাট ধ্বংস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তুর্কি সংবাদ সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে রেহমান বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের পাকিস্তানের চারভাগের একভাগ বা তিন ভাগের একভাগ পানিতে তলিয়ে যায়।
পড়ুন: ‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
তিনি বলেন, ‘এটি কিছুটা বৈশ্বিক সংকট এবং ভূমির টেকসই উন্নয়নে অবশ্যই ভালো পরিকল্পনা দরকার।পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল ফসলের পাশাপাশি ভালো কাঠামো থাকতে হবে।’
সরকার সারাদেশে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।
ইতোমধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছেন, তারা দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি দ্বীপে আটকে পড়া ২২ পর্যটককে আকাশপথে সরিয়ে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার
পাকিস্তানে মৌসুমী বৃষ্টিতে নিহত ৩৫৭, আহত ৪ শতাধিক
গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে নয়ডার টুইন টাওয়ার
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে নয়ডা শহরে নয় বছর আগে স্থাপিত দুটি আকাশচুম্বী ভবন রবিবার দুপুর আড়াইটায় নিয়ন্ত্রিত এক বিস্ফোরকের সহায়তায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের আগস্টে ৪০ তলা বিশিষ্ট জোড়া এই বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একটি বেসরকারি ডেভেলপার সুপারটেকের তৈরি ‘অ্যাপেক্স’ ও ‘সিয়ানে’ নামের এই বহুতল ভবন দুটিতে স্থাপনার নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে এ আদেশ দেয়া হয়েছিল।
তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে জোড়া বহুতল ভবন দুটি ভেঙে ফেলা হয়। ভারতে এই প্রথম এতো উঁচু ভবন ভেঙে ফেলা হল।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে ভেঙে ফেলার কাজে নিয়োজিত কোম্পানি এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উৎকর্ষ মেহতা বলেন, ‘যেমনটা ভেবেছিলাম ঠিক সেরকমই স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমরা ১০০ শতাংশ সফলতা অর্জন করেছি।’
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা পূর্বেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরে সরিয়ে নেয় এবং বিপথগামী কুকুরগুলোকে পশু কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আজ গুঁড়িয়ে দেয়া হবে নয়ডার টুইন টাওয়ার
একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ভেঙে ফেলার সময় কাছাকাছি নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয়। শহরের হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য ৮-১০টি অ্যাম্বুলেন্স পাশেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
ভারতে বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার ঘটনা বিরল। দুই বছর আগে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কর্তৃপক্ষ পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমুদ্রের কাছে দুটি বিলাসবহুল আকাশচুম্বী ভবন ভেঙ্গে ফেলে।
আরও পড়ুন: নদীর মাঝখানে সরকারি বহুতল ভবন!
আজ গুঁড়িয়ে দেয়া হবে নয়ডার টুইন টাওয়ার
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে নয়ডা শহরে নয় বছর আগে স্থাপিত দুটি আকাশচুম্বী ভবন আজ (রবিবার) দুপুরে নিয়ন্ত্রিত এক বিস্ফোরকের সহায়তায় গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের আগস্টে ৪০ তলা বিশিষ্ট জোড়া এই বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একটি বেসরকারি ডেভেলপার সুপারটেকের তৈরি ‘অ্যাপেক্স’ ও ‘সিয়ানে’ নামের এই বহুতল ভবন দুটিতে স্থাপনার নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে এ আদেশ দেয়া হয়েছিল।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে জোড়া বহুতল ভবন দুটি ভেঙে ফেলা হবে। ভারতে এই প্রথম এতো উঁচু ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে ভেঙে ফেলার কাজে নিয়োজিত কোম্পানি এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উৎকর্ষ মেহতা বলেন, ‘আমার লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমি কিছুটা নার্ভাস, সেইসাথে আত্মবিশ্বাসী।’
মেহতা আরও বলেন, বিস্ফোরণের সময় ৩০-৪০ মিটার ব্যাসার্ধে স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভূত হতে পারে।
ধুলাবালি ঠিক হতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগতে পারে। তবে পুরো ভবনের ধ্বংসাবশেষ সড়াতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যেতে পারে। নয়ডার আকাশ পরিষ্কার করতে ‘অ্যান্টি স্মোক’ বন্দুক প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় নাগরিক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে যমজ বহুতল ভবনের আশেপাশের সমস্ত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে। বিপথগামী কুকুরদেরও পশু আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নগরীর বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ভেঙে ফেলার সময় কাছাকাছি নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ থাকবে। শহরের হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য ৮-১০টি অ্যাম্বুলেন্স পাশেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভারতে বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার ঘটনা বিরল। দুই বছর আগে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কর্তৃপক্ষ পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমুদ্রের কাছে দুটি বিলাসবহুল আকাশচুম্বী ভবন ভেঙ্গে ফেলে।
আরও পড়ুন: নদীর মাঝখানে সরকারি বহুতল ভবন!
২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ৪৩০
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনায় এক হাজার ৪৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ কোটি ৫৪ লাখ ২৯ হাজার ৫১২ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৬০ লাখ তিন হাজার ৪০৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়াল
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৭ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজন মারা গেছেন। এসময়ে নতুন ১৫৬ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৩২ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১১ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৬৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৭ লাখ ৮৯ হাজার ছাড়াল
এ সময় শনাক্তের হার চার দশমিক ২৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৮০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২২ শতাংশ।
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
২০০২ সালে ভারতের গুজরাটের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় এক মুসলিম নারীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১১ আসামির মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শনিবার শত শত মানুষ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে।
দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয় এবং গুজরাট সরকারের কাছে এই মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গানও গায় বিক্ষোভকারীরা।
অন্যান্য রাজ্যেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পড়ুন: নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
১৫ আগস্ট যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করে, তখন সাজা স্থগিত করে এই ১১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়। ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি সমাবেশের জন্য ২০০৮ সালে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
ভুক্তভোগী, যার বয়স এখন ৪০, তিনিও আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুজরাট রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত তাকে অসাড় করেছে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি তার বিশ্বাসকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নির্মমভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সময় ওই ভুক্তভোগী গর্ভবতী ছিলেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ছিল এই গুজরাট দাঙ্গা। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই মুসলমান ছিল। এই সহিংসতায় ভুগভোগী নারীর তিন বছরের মেয়েসহ পুরো পরিবারও নিহত হয়েছে।
সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণান বলেন, ‘পুরো দেশের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি উত্তর চাওয়া।’
গুজরাটের কর্মকর্তারা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)ক্ষমতায় রয়েছে, তারা বলেছে যে অপরাধীদের ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। কারণ তারা ১৪ বছরেরও বেশি জেল খেটেছে। ১৯৯২ সালের ক্ষমা নীতির অধীনে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ফেডারেল সরকার কর্তৃক ২০১৪ সালে গৃহীত নীতির একটি নতুন সংস্করণে ধর্ষণ এবং হত্যাসহ কিছু অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাজা মওকুফ ও মুক্তি দেয়ার বিধান বাতিল করা হয়েছে।
এই দাঙ্গার জন্য গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই দাঙ্গার অনুমতি দিয়েছেন এবং এমনকি উস্কানি দিয়েছেন। কিন্তু মোদি বারবার এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ বলে আসছেন। তিনি দাঙ্গায় ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টও বলেছে যে তার বিরুদ্ধে মামলা করার কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নয়াদিল্লির তরুণ বিক্ষোভকারী আছিয়া কুরেশি জানান, তিনি ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচারের নিশ্চিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মোদি ১৫ আগস্ট ভারতের নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন এবং একই দিনে তারা ধর্ষকদের মুক্তি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে নিরাপদ?’
আরও পড়ুন: ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৩
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্কের তুলনা হয়না: তথ্যমন্ত্রী