%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ক্রান্তীয় ঝড় নালগা দক্ষিণ ফিলিপাইনে আঘাত হানার ফলে প্রবল বর্ষণের কারণে হওয়া আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩১ জন মারা গেছেন এবং অন্তত ৯জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ের ফলে রাতারাতি আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। যার ফলে মিন্দানাও দ্বীপের তিন লাখ মানুষ বাসকারী শহর কোটাবাটো ও এর আশেপাশের এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুসলিম স্বায়ত্তশাসিত মিন্দানাও এর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগুইব সিনারিম্বো বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
তিনি বলেন, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিন্দানাও প্রদেশের তিনটি শহর।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধস, নিহত কমপক্ষে ১৯
সিনারিম্বো টেলিফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘রাতারাতি বৃষ্টির পানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এবং নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি হতাহতের সংখ্যা আর বাড়বে না। তবে এখনও কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারিনি।’
সিনারিম্বো বলেছেন, শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি কমেছে। যার ফলে বেশ কয়েকটি শহরে বন্যা কমতে শুরু করেছে।
সিনারিম্বো আরও বলেছেন মেয়র, গভর্নর ও দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, মিন্দানাওয়ের পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় শহর দাতু ওডিন সিনসুয়াত ও দাতু ব্লা সিনসুয়াতে ২৬জন ডুবে মারা যায় এবং বাকি পাঁচজন মাগুইন্দানাওতের উপি শহরে মারা যায়।
সিনারিম্বো বলেন, নিচু গ্রামগুলোতে বন্যার পানি দ্রুত বেড়েছে, কিছু গ্রামবাসী বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সেনা সৈন্য, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা যেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
সিনারিম্বো আরও বলেছেন, কোটাবাটো শহরের মতো অনেক এলাকা, যেগুলোতে অনেক বছর ধরে বন্যা হয়নি, সেগুলোও রাতারাতি জলাবদ্ধ হয়ে গেছে।
মিন্দানাওয়ের একটি বন্যা কবলিত শহরের কথা উল্লেখ করে দেশটির দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তা নাসরুল্লাহ ইমাম বলেন, ‘উপির একটি এলাকায় বন্যার পানির ওপরে শুধুমাত্র একটি স্কুলের ছাদ দেখা যায়।’
চলতি বছর ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ১৬ তম ঝড় নালগাই।
ম্যানিলার প্রাদেশিক আবহাওয়া অফিস বলেছে যে এই ঝড়- বৃষ্টির কারণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ন্যালগে। যা উত্তর ফিলিপাইনের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্স অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী স্যাম ডুরান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ন্যালগের কারণে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে সুরক্ষিতভাবে ঝড়ের কবল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফিলিপাইন অ্যাটমোস্ফিয়ারিক, জিওফিজিক্যাল এবং অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ন্যালগে (স্থানীয়ভাবে পায়েং নামে পরিচিত) আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে এবং সম্ভবত বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। এবং সেই সঙ্গে প্রচণ্ড ঘূর্ণি বাতাস বইতে পারে।
ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় আঘাত হানে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত। অর্থাৎ এটি প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশ বরাবর এমন একটি অঞ্চল, যেখানে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প ঘটে। যার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৪৬ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৪৬ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৯৫৯ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪০২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৯২ লাখ ৮১ হাজার ৯৫৪ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৬ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ৪৬ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৫ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৭ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ১৩৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪১৭ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৮৬৬ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৮০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্ত হার ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪০৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৩ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ খাড়গের কাঁধে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব
প্রবীণ রাজনীতিবিদ মল্লিকার্জুন খাড়গে মঙ্গলবার ২৪ বছরে প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের হিসেবে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বভার নিয়েছেন।
বুধবার সকালে ভারতের রাজধানীতে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আনুষ্ঠানিকভাবে ৮০ বছর বয়সী এই নেতার কাছে নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
সোনিয়া প্রায় ২৩ বছর ধরে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার ছেলে রাহুল গান্ধী এক বছরের জন্য এই দায়িত্ব পালন করেন।
দলের নেতাদের উদ্দেশে সোনিয়া বলেন, খাড়গে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেয়ায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে
তিনি বলেন, ‘সাধ্যমত আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আজ এই দায় থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমার কাঁধ থেকে একটা ওজন সরে গেছে। আমি স্বস্তির অনুভূতি অনুভব করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটা বড় দায়িত্ব ছিল। দায়িত্ব এখন মল্লিকার্জুন খাড়গের ওপর। দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সংকট আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন খাড়গে। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত প্রবীণ এই নেতার কাছে তুলনামূলক তরুণ শশী থারুর বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি জাতিসংঘের এক প্রাক্তন কূটনীতিক।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি পেতে যাচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেস
৮০ বছর বয়সী খাড়গের ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যদিকে ৬৬ বছর বয়সী থারুর জাতিসংঘে প্রায় ৩০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে পুরানো এই দলটিতে যোগ দিয়েছেন।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কংগ্রেসে পতন দেখা যায়৷ কংগ্রেস বর্তমানে ভারতের হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।
প্রায়শই দলের খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী করায় সোনিয়ার ছেলে রাহুল ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে দলের লাগাম হাতে নিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৩৭ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৩৭ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৪ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৯১ লাখ ৪১ হাজার ২৫৪ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৮ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৮ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৯৮০ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ২৭ লাখ ছাড়াল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ১৮৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪১৬ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৩ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ২৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্ত হার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬৮ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৫
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
ঋষি সুনাক ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার সুনাক প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন।
এর আগে তার পূর্বসূরী লিজ ট্রাস পদত্যাগ করেন।
২০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেসে নির্বাচিত হয়েছেন ৪২ বছর বয়সী সুনাক।
অবিলম্বে তিনি একটি মন্ত্রিসভা গঠন করবেন এবং মন্দার দিকে ধাবিত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে অবদান রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বছর তৃতীয় কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শাসক দলকে একত্র করার চেষ্টা করবেন।
লিজ ট্রাসের সংক্ষিপ্ত মেয়াদের পরে সোমবার সুনাককে গভর্নিং কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে নির্বাচন করা হয়।
ঋষি সুনাকই হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী
সাবেক ট্রেজারি প্রধান ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে জিতেছেন। তিনি ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নেতা ও চলতি বছরের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।
প্রাক্তন এই ট্রেজারি প্রধান হবেন ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নেতা। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে দল ও দেশকে স্থিতিশীল করার কাজটির মুখোমুখি হবেন তিনি।
তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট তাকে মেনে নেন ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
গভর্নিং পার্টির নেতা হিসেবে তিনি লিজ ট্রাসের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। যিনি মাত্র ৪৫ দিন টালমাটালভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন পালনের পর গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন।
সুনাক শক্তিশালীভাবে জনপ্রিয় ছিল। কারণ শাসক রক্ষণশীল পার্টির বিশাল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সময়ে স্থিতিশীলতা চেয়েছিল। কয়েক মাস বিশৃঙ্খলার পর আগের দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রাস করেছিল।
প্রাক্তন নেতা বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থেকে সরে যাওয়ার পর সুনাকের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়। টালমাটাল ৪৫ দিনের প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের পরে লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর দলটি এই বছর ব্রিটেনের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিচ্ছেন।
এর আগে সুনাক কনজারভেটিভ নির্বাচনে ট্রাসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার দল এবং দেশ এখন ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং খাদ্যের দাম এবং একটি ক্রমবর্ধমান মন্দা মোকাবিলা করার জন্য সুনাকের মতো একটি নিরাপদ নেতৃত্বের জন্য আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে।
সুনাক এখন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং রাজা চার্লস তৃতীয় তাকে সরকার গঠন করতে বলবেন।
সোমবার বা মঙ্গলবার ট্রাসের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন।
সুনাক ২০২০ সাল থেকে এই গ্রীষ্ম পর্যন্ত ট্রেজারি প্রধান ছিলেন। জনসনের নেতৃত্বের প্রতিবাদ করে জুলাই মাসে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
অফিসে অস্থির অবস্থায় ৪৫ দিনের প্রধানমন্ত্রীত্বের পরে বৃহস্পতিবার ট্রাস পদত্যাগ করেন। তিনি স্বীকার করেন যে তার কর-কাটা অর্থনৈতিক প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। যা তার দলের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। পরে কয়েক সপ্তাহের আর্থিকখাতে অশান্তির কারণে তাকে ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন। রবিবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এর ফলে কনজারভেটিভ দলের আরেক নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল।
নৈতিকতা কেলেঙ্কারির মধ্যে জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন জনসন। এরপর গত সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া লিজ ট্রাসও দেশটির টালমাটাল পরিস্থিতিতে গত ২০ অক্টোবর পদত্যাগে করেন। ট্রাসের পদত্যাগের পর যে কজন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে বরিস অন্যতম ছিলেন।
রবিবার বরিস জানিয়েছেন, ১০২ জন আইন প্রণেতা তাকে সমর্থন করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ
তবে তিনি সুনাকের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলেন বলে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংসদে ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে আপনি কার্যকরভাবে শাসন করতে পারবেন না।’
জনসনের প্রত্যাবর্তন ইতোমধ্যে বিভক্ত কনজারভেটিভ পার্টিকে আরও অশান্তিতে ফেলেছিল।
তিনি দলকে ২০১৯ সালে একটি জমকালো নির্বাচনী বিজয় উপহার দিয়েছিলেন, তবে তার প্রধানমন্ত্রীত্ব অর্থ ও নীতি-নৈতিকতার কারণে কেলেঙ্কারিতে ছেয়ে যায় যা শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ট্রাস পদত্যাগ করার পর কনজারভেটিভ পার্টি তড়িঘড়ি করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পদ থেকে এখন সরে দাঁড়ালেও বরিস ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে চোখ রাখছেন।
রবিবারের বিবৃতিতে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ২০২৪ সালের পরের জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে বিজয় এনে দিতে পারব।
আরও পড়ুন: অবশেষে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে রাজি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
‘জয় বাংলা’ বলে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানালেন বরিস জনসন
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ২৭ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ২৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ২৭ লাখ ৩০৮ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ২৩৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৮৭৯ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৭৯৩ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৮ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৯৫৭ জনে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্ত ৬৩ কোটি ২৪ ছাড়াল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন করে ১২৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪১২ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৪ হাজার ২ জনে পৌঁছেছে।
শনিবারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৯৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭২ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে
করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্ত ৬৩ কোটি ১৫ লাখ ছাড়াল
রুশ কর্তৃপক্ষের খেরসনবাসীদের অবিলম্বে শহর ত্যাগের পরামর্শ
ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ কর্তৃপক্ষ খেরসন শহরের সব বাসিন্দাদের শনিবার অবিলম্বে চলে যেতে বলেছেন। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর প্রথম যে শহর তাদের দখলে নিয়েছিল তা পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে ইউক্রেনীয়রা পালটা আক্রমণ করতে পারে এমন সম্ভাবনায় কর্তপক্ষ সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং সার্ভিসের একটি পোস্টে ক্রেমলিনপন্থী আঞ্চলিক প্রশাসন বেসামরিক নাগরিকদের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ভেতরে যাওয়ার জন্য বড় নদী পার করতে নৌকা ব্যবহারে জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছে। যেখানে, আসন্ন এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ও মর্টার নিক্ষেপের হুমকি এবং কিয়েভের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করলেন মোমেন
ইউক্রেনে প্রায় আট মাসব্যাপী যুদ্ধের প্রায় শুরু থেকেই খেরসন রাশিয়ার দখলে। এই শহরটি গতমাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে চারটি শহর রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেন তার একটি। বৃহস্পতিবার যা রুশ সামরিক আইনের অধীনে আনা হয়।
শুক্রবার ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রদেশ জুড়ে রুশদের অবস্থান লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছে। নিপার নদীজুড়ে ক্রেমলিনপন্থী বাহিনীর পুনঃসরবরাহ সড়কগুলো লক্ষ্য করে এবং শহরটি পুনরুদ্ধার করার জন্য চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টির প্রস্তুতি হিসেবেই এই হামলা করা হয়।
আগস্টের শেষের দিকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই অঞ্চলের উত্তরে বিস্তৃত এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। শনিবার নতুন সাফল্যের কথা জানিয়ে বলা হয়, রুশ সৈন্যরা বেরিসলাভ জেলার চারিভনে ও চকলোভ গ্রাম থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
খেরসন শহরকে দখলে নেয়ার বিষয়টি রুশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়। শিল্প ও বন্দরের কারণে শহরটি উভয়পক্ষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। হাজার হাজার বাসিন্দাদের যখন সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন অঞ্চলটি যেন এক দুর্গে পরিণত হয়!
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশবাহী ৪র্থ রুশ জাহাজ মোংলায় ভিড়েছে
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
জলবায়ু পরিবর্তন প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ইয়ান ফ্রাই বলেছেন, সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবাধিকার নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত ও লঙ্ঘিত হচ্ছে।
মানবাধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে জীবন, স্বাস্থ্য, খাদ্য, উন্নয়ন, আত্মনিয়ন্ত্রণ, পানি ও স্যানিটেশন, কর্ম, পর্যাপ্ত বাসস্থান ও সহিংসতা, যৌন নির্যাতন, পাচার এবং দাসত্ব থেকে মুক্তির অধিকার।
শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পেশ করা এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ বলেন যে উন্নত অর্থনীতির কারণে দরিদ্রতম ও ন্যূনতম মানিয়ে নিতে সক্ষম এমনদের প্রতি বড়ধরনের অবিচার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ব্যাপকভাবে হ্রাস করার দায়িত্ব নিতে উন্নত অর্থনীতি ও বড় করপোরেশনগুলোর নিষ্ক্রিয়তার জন্য জলবায়ুর যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে জি২০ সদস্য দেশগুলোর কথা বলা যায়। যারা ৭৮ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সত্য আড়ালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ফ্রাই আরও বলেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির কারণ। যার সম্মুখীন বিশ্ব কখনও হয়নি। আর এর কারণে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোকে।
নিউইয়র্ক থেকে প্রাপ্ত একটি বার্তা অনুসারে, বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারের প্রতিবেদনটি প্রশমন কাজ, ক্ষয়ক্ষতি, প্রবেশাধিকার ও অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু অধিকার রক্ষাকারীদের সুরক্ষার বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করে।
ফ্রাই বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের সামগ্রিক প্রভাব একটি মানবাধিকার বিপর্যয় তৈরি করছে এবং এই জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপর্যয়ের খরচ প্রচুর।
যারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও ক্ষতির শিকার, তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবচেয়ে কম অংশগ্রহণ করতে সক্ষম। এদিকে, শিশু, যুবক, মহিলা, প্রতিবন্ধী, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুসহ এদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য আরও বেশি কাজ করতে হবে।
ফ্রাই জলবায়ু অধিকার রক্ষাকারীদের সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে পদক্ষেপজনিত অভাবের কারণে ক্রমবর্ধমান হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। জলবায়ু সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা প্রত্যক্ষ করতে তারা বিক্ষোভ ও জনগণের হস্তক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে।
এই বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন, আদিবাসীরা, বিশেষ করে গুরুতর আক্রমণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
ফ্রাই ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য একটি প্রস্তাবিত উচ্চস্তরের প্রশমন প্রতিশ্রুতি ফোরামসহ সাধারণ পরিষদে বেশ কয়েকটি সুপারিশ পেশ করেন। যেখানে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক সুবিধা পরিচালনার জন্য পদ্ধতি ও নিয়মকে সংজ্ঞায়িত করতে অর্থ বিশেষজ্ঞদের একটি পরামর্শমূলক গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকার ও অভিযোগের উল্লেখ আছে, যাতে ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়গুলো প্রয়োজনে আশ্রয় নিতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের আবারও ‘বাঙালি সম্প্রদায়’ বলল মিয়ানমার
মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান