বিশ্ব
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কমাতে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কথা ভাবছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে উইদোদো বলেছেন, ‘আমরা সর্বদা সমস্ত বিকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করি। যদি কোনো দেশ আমাদের ভালো দামে দেয় আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করবো।’
আরও পড়ুন:দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসাবে আর্থিক উদ্বেগ উল্লেখ করে উইদোদো চলতি মাসের শুরুতে ভর্তুকিযুক্ত জ্বালানির দাম ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দেশটির রাজধানী জাকার্তা এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেছে।
জি-৭ ভুক্ত দেশের বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে বেশি দামে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনার যেকোনো সিদ্ধান্ত ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনমন্ত্রী স্যান্ডিয়াগা উনো আগস্টে দাবি করেছেন যে, ইন্দোনেশিয়া রাশিয়ান পেট্রোলিয়ামে ৩০ শতাংশ ছাড় পেয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কর্পোরেশন পেরটামিনা তখন জানিয়েছিল, তারা রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়ে সম্ভাব্য সব ঝুঁকি পরীক্ষা করে দেখছে।
ক্রমবর্ধমান খাদ্য খরচের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আগস্টে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ৪ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৩৭ লাখ ছাড়াল
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে বিশ্ব করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ কোটি ৩৭ লাখ ছাড়াল।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮১৩ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৯২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৫ লাখ
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ১৫০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ৩১০ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৩৪ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১৪ হাজার ৮৮৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ৫৮৬
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
একই সময় শনাক্তের হার আট দশমিক ৮৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬ লাখ ৯ হাজারের বেশি
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার একুশ বছরপূর্তি পালিত হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ৯/১১ -এর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ২১ বছরপূর্তিতে নিহতদের স্মরণে ও স্বেচ্ছাসেবীদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নীরবতা পালন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে (টুইন টাওয়ার) হামলা করেছিল আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় হতাহতদের স্বজনের ও শুভাকাঙক্ষীরা রবিবার পেনিনসিলভানিয়ার পেন্টাগন মাঠে এই আয়োজন করে।
দেশের অন্যান্য স্থানেও দিনটি স্মরণে মোববাতি প্রজ্বলন, ধর্মীয় আচার ও স্মৃতিচারণ করা হয়। দেশপ্রেম দিবস, জাতীয় সেবা ও স্মরণ দিবস হিসেবে অন্য আমরিকানরা স্বেচ্ছাসেবী এই কর্মসূচিতে যোগ দেবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর ভয়াবহ এ হামলার ২০তম বার্ষিকী পালন করা হয়। ভয়াবহ সেই হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ মার্কিন যুদ্ধকে উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং দেশটি তার জাতীয় নিরাপত্তা নীতি পুনরায় নির্ধারণ করে। এই ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।কেননা টুইন টাওয়া ছিল আমেরিকানদের জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক।
এ হামলার জেরে বছরের পর বছর ধরে মুসলিমদের প্রতি আমেরিকানদের সন্দেহ করার মানসিকতা এবং নিরাপত্তা ও নাগরিক স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে বিতর্কের জন্ম হয়। আমেরিকান রাজনীতি ও জীবনাচারের মধ্য দিয়ে আজ অবধি সূক্ষ্ম ও জটিল উপায়ে ৯/১১-এর পরের ঘটনা বিতর্কের সৃষ্টি করছে।
এ হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া কয়েক হাজার মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এছাড়া এ হামলায় প্রিয়জন,বন্ধু ও সহকর্মীদের হারানোদের জীবনে একটি বিরাট প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
টুইন টাওয়ারের উত্তর টাওয়ারের ওপরে অবস্থিত রেস্তোরাঁটি উইন্ডোজ অন দ্য ওয়ার্ল্ডে সেকো সিবির ৭০ জনেরও বেশি সহকর্মী মারা গেছেন। সিবির সেদিন সকালের শিফটে কাজ করার কথা ছিল। সিবি আর কোনদিন রেস্টুরেন্টের চাকরি নেয়নি; কেননা এতে তার অনেক বেদনাদায়ক স্মৃতি মনে পড়বে।
বর্তমানে রক ইউনাইটেডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিবি বলেছেন, ‘৯/১১ এর প্রত্যেকটি দিন আমাকে মনে করিয়ে দেয় আমি কি হারিয়েছি, যা কখনই আর ফিরে পাবো না।’
রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেন্টাগনে বক্তব্য ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন পেনসিলভানিয়ার শ্যাঙ্কসভিলে বক্তব্য দেয়ার কথা আছে। যেখানে বিমানের যাত্রী ও ক্রুরা ককপিটে বাধা দেয়ার চেষ্টার পরে ছিনতাইকারীরা হাইজ্যাক করা বিমানগুলোর একটি নিয়ে ওয়াশিংটনের দিকে রওনা হয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী ডগ এমহফ নিউইয়র্কে ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপস্থিত থাকবেন। তবে ঐতিহ্য অনুসারে গ্রাউন্ড জিরো অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বক্তৃতা করবেন না। এটি ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়দের জন্য মৃতদের নাম উচ্চস্বরে পড়ার স্থান।
আরও পড়ুন:৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার স্মরণে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে পতাকা অর্ধনমিত
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনিতে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে ভূমিকম্পটি ৯০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে।
প্রত্যন্ত ও অনুন্নত অঞ্চলে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং গুরুতর আহত বা মৃত্যু হয়েছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
দেশটির কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ২০১৮ সালে ঘটে যাওয়া সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১২৫ জন নিহত হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পটি প্রত্যন্ত ও অনুন্নত এলাকাগুলোতে আঘাত হানে এবং ক্ষয়ক্ষতি ও আঘাতের মাত্রা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতেও দেরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া
রাজধানী পোর্ট মোরেসবির জিওফিজিক্যাল অবজারভেটরির সিসমোলজিস্ট ফেলিক্স তারানু বলেন, রবিবারের ভূমিকম্পের প্রভাব সম্পর্কে জানা এখনকার জন্য দ্রুত হয়ে যায়। যদিও এর শক্তির বিচারে সম্ভবত এটি যথেষ্ট ক্ষতি করেছে।
ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) তখন থেকে পরামর্শ দিয়েছে যে এই অঞ্চলের জন্য কোনো সুনামির হুমকি নেই।
পাপুয়া নিউগিনি নিউগিনি দ্বীপের পূর্বার্ধে অবস্থিত। যা ইন্দোনেশিয়ার পূর্বে ও পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে অবস্থিত।
এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ নামে পরিচিত। প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে সিসমিক ফল্টের চাপের কারণে বেশিরভাগ ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ এখানে ঘটে।
আরও পড়ুন: জাপানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৪
চীনের সিচুয়ানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৫
একদিনে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৫ লাখ
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে একদিনে বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত হয়েছে চার লাখ ৯৩ হাজার ৪১৬ জন।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ কোটি ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৩৯ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৭০ লাখ ৮২ হাজার ৩৩১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৯ জন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ৫৮৬
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার ২৮৩ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ১৩৯ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে ২২২ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৩২ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬ লাখ ৯ হাজারের বেশি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৫৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার আট দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৭ লাখ ছাড়াল
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২২ শতাংশ।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর
১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। বাকিংহাম প্যালেস শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে চার দিন রানির মরদেহ ওয়েস্টমিনস্টার হলে থাকবে, সেখানে সাধারণ মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবে।
এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে, রানির মরদেহ বর্তমানে বালমোরাল ক্যাসেলের বলরুমে রয়েছে।
রাজকীয় কর্মকর্তারা এটিকে ‘শান্ত মর্যাদার একটি দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
রবিবার রানির মরদেহ ব্যালমোরাল প্রাসাদ থেকে যাত্রা শুরু করবে। মঙ্গলবার এডিনবারা বিমানবন্দর থেকে রয়াল এয়ার ফোর্সের বিমানে মরদেহ পৌঁছবে লন্ডনে।
বুধবার সেটি আকাশপথে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে নিয়ে যাওয়া হবে।
পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
রানির মৃত্যু, ভারত কি এবার ফেরত পাবে কোহিনূর?
যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী রাজত্বকারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কোহিনূর বা কোহ-ই-নূর নামক হীরা ফেরত দেয়ার দাবি করছেন অনেক ভারতীয়। হীরা এই প্রয়াত রানির মায়ের জন্য তৈরি করা মুকুটে রাখা হয়েছিল।
ভারতীয় টুইটারাটি দাবি করতে শুরু করেছে যে ১০৫-ক্যারেট ডিম্বাকৃতির ‘আলোর পাহাড়’ রত্নটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরপরই তার উৎপত্তিস্থলে ফিরিয়ে আনা হোক।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
কোহিনূর হলো রানির মায়ের মুকুটের মাঝ বরাবর শোভা পাচ্ছে। এটি বর্তমানে সবচেয়ে দামি রত্নগুলোর একটি। ১৪ শতকে ভারতের গোলকুণ্ডা খনিতে হীরাটি পাওয়া গিয়েছিল এবং কয়েক শতাব্দীতে এটির মালিকানা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ও পরবর্তীতে ভারত সরকার বহুবার কোহিনূরের প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করেছে। তবে ব্রিটেন ক্রমাগত এই দাবির বিরোধিতা করেছে।
রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কে পাচ্ছেন কোহিনূরের মুকুট?
সর্বশেষ বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানি কনসোর্ট ক্যামিলা এখন বিখ্যাত হীরার মুকুটটি পড়বেন। রাজা চার্লস তৃতীয় যখন আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসবেন তখনই রানি ক্যামিলা এটি প্রথম পড়বেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
ব্রিটেন কি ভারতকে কোহিনূর ফেরত দেবে?
রত্ন ফেরত দেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানা গেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা ২০১৬ সালে ভারত সফরের সময় বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকার বিশ্বাস করে যে হীরা পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও আইনি ভিত্তি নেই।’
কোহিনূর যেভাবে ভারত থেকে ব্রিটেনে গেল
লিখিত রেকর্ডে দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোহিনূর প্রথম সামনে আসে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬২৮ সালে সিংহাসনকে একটি বড় রত্নখচিত করার আদেশ দেন। স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের মাধ্যমে ইহুদি ধর্ম এবং খ্রিস্টান ধর্মের ইতিহাসে দেখা যায়, অলঙ্কৃত সৃষ্টিটি তার নকশার ইঙ্গিত নিয়েছিল ইসলামের কিংবদন্তী হিব্রু সুলতান সুলেমানের সিংহাসন থেকে।
আরও পড়ুন: রানির মৃত্যু: 'দ্য ক্রাউন' সিরিজের প্রোডাকশন স্থগিত
কোহিনূর হীরা এবং তৈমুর রুবি দুটি খুব বড় রত্ন ছিল যা অবশেষে সিংহাসনকে সাজানোর জন্য ব্যবহার করা সমস্ত মূল্যবান পাথরের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান হয়ে উঠে। হীরাটি সিংহাসনের একেবারে শীর্ষে ময়ূরের মাথায় একটি উজ্জ্ল রত্নপাথর হিসেবে স্থাপন করা হয়।
পারস্যের নাদের শাহসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য রাজাদের এই ধরনের সম্পদে আগ্রহ জন্মেছিল।
১৭৩৯ সালে নাদের শাহের দিল্লী আক্রমণে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের অর্থনীতি ক্ষতিসাধন হয়। স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের ফিচার আরও তুলে ধরে যে নাদের তার লুটের অংশ হিসেবে ময়ূর সিংহাসনটি করায়ত্ত করেছিলেন এবং তিনি সিংহাসন থেকে বের করে কোহিনূর হীরা ও তৈমুর রুবি তার বাহুবন্ধনিতে পড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের নতুন আদেশ
কোহিনূর হীরাটি ৭০ বছর ভারত থেকে দূরে ছিল, যা শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সম্পদে পরিণত হয়। একের পর এক ট্র্যাজেডিতে, এটি বেশ কয়েকটি রাজার হাত বদল হয়। এসব রাজাদের মধ্যে একজন নিজের ছেলেকে অন্ধ করেছিলেন, অন্যজন ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তার মাথা গলিত স্বর্ণ দিয়ে আবৃত করা হয়।
বছরের পর বছর সংঘর্ষের পর, হীরাটি ভারতে ফিরে আসে এবং ১৮১৩ সালে শিখ রাজা রঞ্জিত সিং অধিগ্রহণ করে। কোহিনূরের প্রতি সিং-এর নির্দিষ্ট সখ্যতা রত্নটির মর্যাদা এবং ক্ষমতার আভাকে দৃঢ় করে। ১৮৩৯ সালে রঞ্জিত সিং-এর মৃত্যুর পর চার বছরে চারটি ভিন্ন লোকের হাতে মুকুটটি ছিল। সমস্ত বিশৃঙ্খলা অবসানের পর বালক দুলীপ সিং ও মা রানি জিন্দানের জন্য হীরাখচিত মুকুটটি রাখা ছিল।
স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের ফিচারে বলা হয়েছে, ব্রিটিশরা, যারা ততদিনে ভারতের ওপর তাদের দখলদারিত্ব শক্ত করেছিল, তারা দুলীপকে একটি আইনি নথিতে সই করতে বাধ্য করেছিল। যার জন্য ১০ বছর বয়সী ছেলেটিকে কোহিনূর এবং সার্বভৌমত্বের সমস্ত দাবি ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
সেই দিক থেকে, রানি ভিক্টোরিয়া হীরাটির গর্বিত মালিক ছিলেন। ভিক্টোরিয়া একটি ব্রোচ হিসেবে কোহিনূর পরতেন, পরে এটি ক্রাউন অলঙ্কারের একটি অংশে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন
আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের রাজা হলেন তৃতীয় চার্লস
প্রাচীন ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভবে ব্রিটেনের রাজা ঘোষিত হয়েছেন। শনিবার প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বৃহস্পতিবার মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার পর প্রথা অনুযায়ী চার্লস তৃতীয় রাজা হন। তবে যোগদান অনুষ্ঠানটি দেশে নতুন রাজাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক এবং আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং তার পাঁচজন পূর্বসূরিসহ অতীত ও বর্তমান অনেক সিনিয়র রাজনীতিবিদ, অ্যাকসেসন কাউন্সিলের বৈঠকের জন্য সেন্ট জেমস প্রাসাদে অলঙ্কৃত রাষ্ট্রীয় অ্যাপার্টমেন্টে জড়ো হয়েছিলেন।
তারা চার্লসকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা চার্লস তৃতীয় হিসেবে সম্বোধন না করেই মিলিত হয়েছিল। ব্যক্তিগত ঘোষণার মাধ্যমে রাজা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। দায়িত্বপালনকালে তিনি তার মায়ের ‘উৎসাহের উদাহরণ’ অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি আপনারা ও সমগ্র জাতি কতটা গভীরভাবে শোকাহত এবং আমি মনে করি এই অপূরণীয় ক্ষতিতে আমার প্রতি সমগ্র বিশ্ব সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।’
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৫২ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চার্লসের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্যামিলা, রানী কনসোর্ট এবং তার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম। উইলিয়াম এখন সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এবং চার্লস দীর্ঘদিন ধরে ওয়েলস প্রিন্স উপাধিতে পরিচিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের পরে, একজন কর্মকর্তা সেন্ট জেমস প্যালেসের একটি বারান্দা থেকে উচ্চস্বরে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করবেন। এটি লন্ডনের পুরনো শহর এবং যুক্তরাজ্যের অন্যান্য স্থানেও পড়া হবে।
ব্রিটিশ সিংহাসনে অভূতপূর্ব ৭০ বছর শাসনের পর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে ৯৬ বছর বয়সী রানি মারা যাওয়ার দু'দিন পরও লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এখনও হাজার হাজার লোক আসছেন। যুক্তরাজ্যের অন্যান্য রাজকীয় বাসভবন এবং বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ দূতাবাসগুলোতে দৃশ্যটির পুনরাবৃত্তি হয়েছিল।
শুক্রবার রাজা তার রাজত্বের শুরুতে, একটি টেলিভিশন ভাষণে তার নিজস্ব আধুনিকীকরণ স্ট্যাম্প সহ রানির ‘আজীবন সেবা’ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চার্লস মায়ের মতো ‘সার্বভৌমত্বের প্রতি একনিষ্টতা ও ভক্তি’ অটুট রাখার কথা উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ ২১ শতকের স্থিরতার রাজতন্ত্র গড়ার ইঙ্গিত দেন।
‘আপনার ভূমিকা বা বিশ্বাস যাই হোক না কেন, রানির রাজত্বকালে দেশটি ‘অনেক সংস্কৃতি এবং অনেক বিশ্বাসের’ একটি সমাজ নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল এবং ব্রিটেন ও অন্যান্য ১৪টি দেশ যেখানে তিনি রাজা ছিলেন সেখানে মানুষের সেবা করার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি প্রতিফলিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বজুড়ে রানির জন্য অশ্রু ও শ্রদ্ধা
তিনি রাজা হিসেবে তার প্রথম ঘন্টাগুলোতে উদাসীন হিসেবে যে পরিচিতি রয়েছে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলেন, বাকিংহাম প্রাসাদের গেটে ফুল দিয়ে রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে হাত
মিলিয়ে সময় কাটান। ‘সাবাশ, চার্লি!, ‘ঈশ্বর রাজাকে রক্ষা করুন!’ বলে চিৎকার করে জনগণ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় এক নারী তার গালে চুমু দেন।
ব্রিটেন রানির জন্য শোক পালন করছে, রানিকে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হবে। এই আনুষ্ঠানিকতা সতর্কতার সঙ্গে কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে, যা বেশিরভাগ মানুষ আগে থেকেই জানে।
কয়েক দিনের মধ্যে রানির মরদেহ বালমোরাল থেকে প্রথমে এডিনবার্গে এবং তারপরে লন্ডনে আনা হবে, যেখানে সম্ভাব্য ১৯ সেপ্টেম্বরের দিকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে শেষকৃত্যের আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে শায়িত করা হবে।
ভাষণে চার্লস একটি ব্যক্তিগত উদ্ধৃতিতে মাকে হারানোর কষ্টের কথা লিখতে গিয়ে লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় মামা’।
‘আমাদের পরিবার এবং জাতির পরিবারের প্রতি আপনার ভালবাসা এবং ভক্তির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি এত বছর ধরে এত পরিশ্রমের মাধ্যমে সেবা করেছেন,’ তিনি শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’-এর একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন -‘আপনার পরবর্তী যাত্রায় উড়ন্ত দেবতারা গান গাইবে।’
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের নতুন আদেশ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে থাইল্যান্ডের ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ দেশটিতে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য দশ বছর মেয়াদী অভিবাসী ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু করছে।
টিএটি নিউজ জানায়, এছাড়াও এর আরেকটি সুবিধার দিক হলো দশ বছর মেয়াদী ভিসাধারীরা ভ্রমণকালে থাইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম শ্রেণির সেবা পাবেন এবং পুনপ্রবেশের অনুমতি দরকার হবে না।
দশ বছর মেয়াদী ভিসার জন্য কারা যোগ্য?
. বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তি যার সম্পদের পরিমাণ এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার, দুই বছরের মধ্যে ব্যক্তিগত আয় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার বা এর চেয়ে বেশি এবং পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার বা এর বেশি বিনিয়োগ থাইল্যান্ডে আছে।
আরও পড়ুন:নিউজিল্যান্ডে তিমির সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাডুবে নিহত ২, নিখোঁজ ৩
. অবসরপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিক যিনি বছরে ব্যক্তিগতভাবে কমপক্ষে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেন।
. থাইল্যান্ডের কর্মজীবী মানুষ, যার পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বিগত দুই বছরে বার্ষিক আয় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এবং আইনগতভাবে নিবন্ধিত কোম্পানির বিগত তিন বছরের আয় কমপক্ষে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
. পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাসহ নির্দিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা সম্পন্ন অভিজ্ঞ পেশাজীবী যার বার্ষিক ব্যক্তিগত আয় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
. এলটিআর ভিসাধারীর স্ত্রী ও ২০ বছরের কম বয়সী সন্তান-সন্তানাদির সর্বোচ্চ চারজন এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
থাইল্যান্ডের এলটিআর ভিসার কতিপয় সুবিধা-
. ১০ বছর মেয়াদী ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ
. প্রতি নব্বই দিনের পরিবর্তে বছরে একবার ইমিগ্রেশনকে অভিবাসন তথ্য জানানো।
. থাইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম শ্রেণির সেবা
. একাধিক ভ্রমণে অনুমতি
. থাইল্যান্ডের কাজের সুযোগ(ডিজিটাল কাজের অনুমতি)
. সর্বোচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত আয়ের কর কমিয়ে ১৭ শতাংশ নির্ধারণ।
. চার থাই নাগরিক সমান একজন বিদেশি কর্মচারীর অনুপাত থেকে অব্যাহতি।
থাই এলটিআর ভিসা সম্পর্কে আরও তথ্য: https://ltr.boi.go.th/index.html
আরও পড়ুন:৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন কানাডার
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
কয়েক দশক ধরে ব্রিটিশ নোট ও মুদ্রায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে চিত্রিত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ঔপনিবেশিক ঐতিহ্যের একটি স্মারক হিসেবে তার প্রতিকৃতি বিশ্বের আরও ডজনখানেক দেশের মুদ্রায় দেখা যায়।
তাহলে সম্প্রতি তার মৃত্যুর পর এসবের কি হবে?
যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের মুদ্রায়র তাদের নতুন রাজার ছবি প্রতিস্থাপন করতে সময় লাগবে।
তবে এর অর্থ এই নয় যে মুদ্রাগুলো কাজ করবে না।
রানির মুত্যুর পর তার প্রতিকৃতি অঙ্কিত কাগজের মুদ্রার জন্য পরবর্তীতে কি হচ্ছে তা জেনে নেয়া যাক:
রাজার পরিবর্তন
ব্রিটিশ নোট ও মুদ্রায় রানির প্রতিকৃতিগুলোকে নতুন রাজা চার্লস তৃতীয় এর অনুরূপ প্রতিকৃতি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অবিলম্বে তা করা সম্ভব হবে না।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছে, ‘মহামান্য রানির প্রতিকৃতি সম্বলিত বর্তমান ব্যাংক নোটগুলো বৈধ মুদ্রা হিসেবে অব্যাহত থাকবে।’
ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দেশটিতে চলমান ১০ দিনের শোক শেষ হওয়ার পরে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা বিদ্যমান কাগজের মুদ্রার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।
ব্রিটিশ মুদ্রার অফিশিয়াল নির্মাতা রয়েল মিন্ট জানিয়েছে, রানির প্রতিকৃতি সম্বলিত মুদ্রা বৈধ মুদ্রা হিসেবেই থাকবে এবং প্রচলন অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে আরও তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।
রয়েল মিন্টের ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে, চলমান শোক সময়কে আমরা সম্মান করে মুদ্রাগুলো অব্যাহত রেখেছি।
৮২ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের চার দশমিক সাত বিলিয়ন ব্রিটিশ ব্যাংক নোট ও প্রায় ২৯ বিলিয়ন কয়েনসহ রানির ছবি বিশিষ্ট ব্রিটিশ মুদ্রা সম্ভবত বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকবে।
মুদ্রা বিশেষজ্ঞ একটি ব্রিটিশ মুদ্রা গবেষণা ওয়েবসাইট অনুসারে, বরং বর্তমানের সব কয়েন ও নোট হস্তান্তর করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে হবে এবং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি সম্বলিত অনেক মুদ্রা আগামী বহু বছর ধরে প্রচলিত থাকবে।
ওয়েবসাইটটি বলা হয়েছে, চার্লস তার রাজ্যাভিষেকের সময় মুকুট নেয়ার পরে নতুন করে নকশা করা নোট ও কয়েন ব্যবহার করার জন্য একটি নতুন প্রতিকৃতি তৈরি করতে হবে।
১৭ শতকের ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রানির ডানদিকে তাকানো প্রতিকৃতিকে প্রতিস্থাপন করে নতুন রাজার বাম দিকে তাকানো প্রতিকৃতি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে। পূর্বের সম্রাটের ঠিক বিপরীত দিকের প্রতিকৃতি ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া আছে।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন
অন্যান্য দেশ ক্ষেত্রে কি হবে?
মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান, কানাডিয়ান ও বেলিজিয়ান ডলারের রানির প্রতিকৃতি সম্বলিত অন্যান্য দেশের মুদ্রাতেও নতুন রাজার প্রতিকৃতি যুক্ত করা হবে। তবে এই প্রক্রিয়া বেশ বিলম্বিত হবে। কারণ যে দেশে উৎপত্তি সে দেশে নতুন নকশা প্রতিস্থাপন করা তুলনামূলক সহজ। তবে আইনি ব্যবস্থায় ভিন্নতার জন্য অন্যান্য দেশে তুলনামূলক বেশি সময় লাগতে পারে।
ব্যাংক অব কানাডা বলেছে যে সিন্থেটিক পলিমার দিয়ে তৈরি বর্তমান ২০ ডলারের ব্যাংক নোটটি আগামী বেশ কয়েক বছরের জন্য প্রচলনের উদ্দেশে ডিজাইন করা হয়েছে।
ব্যাংকটি জানিয়েছে, সম্রাট পরিবর্তনের সময় একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নকশা পরিবর্তন করার কোনো আইনি প্রয়োজন নেই।
ব্যাংক আরও জানিয়েছে, সাধারণভাবে যখন কানাডিয়ান অর্থের জন্য একটি নতুন প্রতিকৃতির বিষয় বেছে নেয়া হয় তখন প্রক্রিয়াটি নতুন নকশা আঁকার মাধ্যমে শুরু হয় এবং কয়েক বছর পরে নতুন নোটটি জারি করার জন্য প্রস্তুত হয়।
রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউজিল্যান্ড বলেছে, চার্লসের প্রতিকৃতি সম্বলিত নতুন মুদ্রা বের হওয়ার আগে তারা রানির প্রতিকৃতি সম্বলিত মুদ্রার সব স্টক প্রচলন করবে।
২০ ডলারের নোটের স্টক শেষ না হওয়া পর্যন্ত চার্লস তৃতীয় সম্বলিত মুদ্রা প্রচলন করতে এখনও বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের নতুন আদেশ
মুদ্রায় রানি
তিনি যখন রাজকুমারী ছিলেন তখন তাকে প্রথম মুদ্রায় দেখা যায়। এটি ছিল ১৯৩৫ সাল, যখন কানাডার ২০ ডলার নোটে আট বছর বয়সী এলিজাবেথের প্রতিকৃতি নোটের একটি নতুন সিরিজের অংশ হিসেবে যুক্ত করা হয়। তার দাদা রাজা জর্জ পঞ্চম ছিলেন তখনকার সম্রাট।
কানাডিয়ান ২০ ডলার নোটে ১৯৫৪ সালে রানির রাজ্যাভিষেকের এক বছর পরে একটি নতুন প্রতিকৃতি দিয়ে হালনাগাদ করা হয়েছিল। তার প্রতিকৃতি বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রায় প্রধানত ব্রিটিশ উপনিবেশ ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে প্রচলিত হতে শুরু করে।
তার রাজ্যাভিষেকের সাত বছর পর ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ মুদ্রাগুলো তার কোনো প্রতিকৃতি পায়নি। তখনই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে এক পাউন্ডের নোট থেকে শুরু করে কাগজের মুদ্রায় তার প্রতিকৃতি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়। যদিও আনুষ্ঠানিক ও রাজকীয় প্রতিকৃতিটি ততটা সমালোচিত হয়েছিল।
তিনি ব্রিটিশ ব্যাংক নোটে চিত্রিত হওয়া প্রথম সম্রাট। ব্রিটিশ কয়েনে এক হাজারেরও বেশি সময় ধরে রাজা ও রানিদের প্রতিকৃতি স্থান পেয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
যুক্তরাজ্যের বাইরের মুদ্রা
এক পর্যায়ে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি কমপক্ষে ৩৩টি ভিন্ন মুদ্রায় স্থান পায়। সংখ্যায় তা অন্য যে কোনো রাজার চেয়ে বেশি। যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নেয়।
কানাডার মতো যেখানেই তিনি একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়ে গেছেন, সেখানকার মুদ্রায়ই তার ছবি রয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো তাদের পতাকায় ইউনিয়ন জ্যাক যুক্ত করা অব্যাহত রয়েছে।
ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, মন্টসেরাট, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, ও সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনসসহ কয়েকটি ছোট দেশের জন্য আর্থিক কর্তৃপক্ষের জারি করা নোট ও কয়েনেও তার প্রতিকৃতি রয়েছে।
অন্যান্য দেশ তাদের মুদ্রায় তার প্রতিকৃতির ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। ১৯৬২ সালে জ্যামাইকা ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কাস গার্ভে এর মতো রানির প্রতিকৃতির বদলে জাতীয় বীরদের প্রতিকৃতি ব্যবহার শুরু করে।
সেশেলসের নোটগুলোতে এখন রানির প্রতিকৃতির পরিবর্তে স্থানীয় বন্যপ্রাণী স্থান পেয়েছে। বারমুডা একই ধরনের পরিবর্তন করেছে, তবে অল্প কিছু নোটে রানিকে ধরে রাখা হয়েছে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রজাতন্ত্র হওয়ার পরে তাদের মুদ্রা পরিবর্তন করে।
১৯৯৭ সালে ব্রিটেন তার উপনিবেশ বেইজিংয়ের কাছে হস্তান্তর করার পর হংকং ডলার জারি করেছে, তাদের মুদ্রায় আকাশে চীনা ড্রাগন ও আকাশচুম্বী দালানের ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম