বিশ্ব
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৭ কোটি ৮৩ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৮৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৩ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৫৪৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ২৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬৯ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৪ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ১৬৭ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৬২৬ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৮০ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ তিন হাজার ৫৭০ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ২২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ২১১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে
নভেম্বরের পর করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জাপানে নারীরা অবমূল্যায়িত: জাপানি মন্ত্রী
জাপানের পুরুষ শাসিত পার্লামেন্টের উদাসীনতা ও অবজ্ঞার কারণে শিশুর জন্মহার কমেছে যা জনসংখ্যা কমিয়ে জাতীয় দুর্যোগ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শিশু ও লিংঙ্গ সমতা বিষয়ক মন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা এপিকে দেয়া দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে শিশু ও লিংঙ্গ সমতা বিষয়ক মন্ত্রী সিইকো নোডা জাপানে শিশুর জন্মহার কমে যাওয়াকে অস্তিত্বের ঝুঁকি উল্লেখ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী দশকে দেশের পর্যাপ্ত সৈন্য বা পুলিশ কিংবা দমকল বাহিনীতে লোক থাকবে না।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিশুর জন্মহার ২৭ লাখ থেকে কমে গত বছর হয়েছে মাত্র আট লাখ দশ হাজার।
রাজধানী টোকিও’র ডাউনটাউনের মন্ত্রণালয়ের সরকারি ভবনে এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৬১ বছর বয়সী নোডা বলেন, ‘জনগণ শিশুদের জাতীয় সম্পদ মনে করে। লিঙ্গ সমতায় নারীরা গুরুত্বপূর্ণ। জাপানের রাজনীতি কখনো পরিবর্তন হবে না যতক্ষণ না ( নারী ও শিশুদের সমস্যা )তুলে ধরা হয়।’
তিনি বলেন, শিশুর জন্মহার হ্রাসের অনেকগুলো কারণ আছে, ক্রমাগত লিঙ্গ বৈষম্য জাপানের জনসংখ্যা ধ্বংস করছে। কিন্ত সংসদে থেকে আমি বিশেষভাবে অবজ্ঞা ও উদাসীনতা অনুভব করছি।’
জাপান পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির শক্তিশালী গণতন্ত্রের দেশ হলেও গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নিম্নজন্মহারের কারণে।
এখানে নারী ও পুরুষের দুরত্ব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ২০২২ এর এক জরিপে দেখা যায়, ১৪৬ রাষ্ট্রের মধ্যে জাপানের অবস্থান ১১৬তম। জরিপের বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল আর্থিক সমতা, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর সুবিধা।
নোডা বলেন, জাপানে নারীরা বিভিন্নভাবে উদাসীনতার শিকার হন, ২০ জনের মন্ত্রিপরিষদে মাত্র দুই জন নারী। আমি চাই নারীরা পুরুষের সাথে সমানতালে আগাবে। কিন্তু আমরা তা এখনো দেখিনি এবং ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য নারীদের অপেক্ষা করতে হবে।
পড়ুন: ধর্ষণের বিচারকালে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
ফিলিপাইনে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে বুধবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এটি আবরা প্রদেশের চারপাশে একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়।
ভূমিকম্পটি ২৫ কিলোমিটার (১৫ মাইল) গভীরতায় স্থানীয় ফল্টে চলাচলের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এতে ক্ষয়ক্ষতি এবং আরও আফটারশক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শক্তিশালী কম্পনের ফলে ভবন ও ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পের শক্তি ৭.০ এবং গভীরতা ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) পরিমাপ করেছে।
ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে ত্রুটির একটি চাপ যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ ভূমিকম্প হয়।
১৯৯০ সালে উত্তর ফিলিপাইনে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে প্রায় দুই হাজার লোক মারা গিয়েছিল।
পড়ুন: ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫ জনের মৃত্যু
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘবিরোধী দুই দিনের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিক্ষোভে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত মরক্কোর একজন, ভারতের দুই পুলিশ সদস্য এবং উত্তর কিভু প্রদেশের বুটেম্বোতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে মিশরের একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলাকারীরা কঙ্গোলিজ পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর গুলি চালায়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলে জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
হক বলেন, মঙ্গলবার ‘শতশত হামলাকারী’গোমা এবং উত্তর কিভুর অন্যান্য অংশে জাতিসংঘ বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তারা পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, ঘাঁটি ভাঙছে, লুটপাট ও ভাঙচুর করছে এবং স্থাপনাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৭ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৭০ লাখের বেশি।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার ১০৫ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৪ লাখ সাত হাজার ২০৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ১৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩৫ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ২৩৮
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৪৫১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ১১০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৬২১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৭৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ দুই হাজার ৯৪৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি
এ সময় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ১৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মিয়ানমারে রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়
জান্তা সরকার চারজন রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় মঙ্গলবার মিয়ানমারে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারও এর নিন্দা জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে আশংকা করা হচ্ছে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিকে যে সহিংসতা ও অস্থিরতা ঘিরে রেখেছে তা অবসানের প্রাথমিক প্রচেষ্টা বিফলে যাবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত নেত্রী অং সাং সুচির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারে বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। কিন্ত সোমবারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বিগত এক দশকে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় ফরমানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোয়েলিন হেজারের সঙ্গে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফু্দ্দিন আব্দুল্লাহ কুয়ালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটি মানবতা বিরোধী অপরাধ।’
তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে কম্বোডিয়ায় শুরু হতে যাওয়া অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এই মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের ওপর আলোকপাত করা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
মিয়ানমার প্রভাবশালী গ্রুপ আশিয়ানের সদস্য। যে গ্রুপ গত বছর সকল পক্ষের সঙ্গে সংলাপে মিয়ানমারের ব্যাপারে পাঁচটি বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এগুলো হলো- মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করা, দ্রুত সহিংসতা বন্ধ এবং একজন বিশেষ দূতকে সকল পক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানো।
এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা উল্লেখ করে সাইফু্দ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেখছি, এই পাঁচটি বিষয়কে সামনে রেখে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জান্তা সরকার সেগুলোর সঙ্গে তামাশা করছে।’
হেজার বলেন, ‘জাতিসংঘ এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকে একজন ব্যক্তির বেঁচে থাকার অধিকার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে ক্ষুন্ন করেছে।’
ব্যাংককে মিয়ানমারের দূতাবাসের সামনে প্রবল বর্ষণের মধ্যে শত শত গণতন্ত্রপন্থী পতাকা উড়িয়ে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
জনাকীর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে এক তরুণ একটি নীল মাইকে চিৎকার করে বলছে, জান্তা তার নৃশংস ক্ষমতা ব্যবহার করছে, বিক্ষোভকারীদের অনেকে অং সান সুচি ও মৃত্যুদণ্ড দেয়া চারজনের ছবি প্রদর্শন করছেন।’
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ফিয়ো জেয়া থো(৪১) সুচির দলের সাবেক একজন আইন প্রণেতা, কিয়ে মিন ইউ(৫৩)প্রবীণ গণতন্ত্রীপন্থী কর্মী যিনি কো জিমি নামে বেশ পরিচিত। তাদেরকে অভিযুক্ত করতে ও মৃত্যুদণ্ড দিতে সামরিক আদালত সব চেষ্টাই করেছে, এমনকি আপিলের কোনো সুযোগও রাখেনি।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকর করা হয়েছে, যা তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেও বিস্মিত করেছে।
ফিয়ো জেয়া থো-এর মা কিন উইন মে সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, তিনি শুক্রবার তার সন্তানের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন এবং তিনি পড়ার জন্য চশমা, বই ও খরচের জন্য কিছু টাকা দিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি খুবই মর্মাহত হই যখন দণ্ড কার্যকরের খবর শুনতে পেয়েছিলাম, আমি মনে করেছিলাম আরও কিছু সময় পাবো।’
কিন উইন বলেন, তিনি আশা করছেন তার সন্তান ও অন্যদের মৃত্যুকে বীরত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জন্য গর্বিত, তারা দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
এই চার রাজনৈতিক নেতার দণ্ড কার্যকর তাৎক্ষণিকভাবে সারাবিশ্বে ভবিষ্যৎ মৃত্যুদণ্ড বন্ধের দাবি ওঠে এবং রাজনৈতিকভাবে বড় পরিসরে এর নিন্দা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন: জাতিসংঘ
মেক্সিকোয় মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৬
পশ্চিম মেক্সিকোর জালিস্কো রাজ্যের একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে বন্দুকধারীদের হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
রবিবার জরুরি কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হুডি পরিহিত বন্দুকধারীরা ভবনে ঢুকে গুলি চালায়।
জালিস্কো রাজ্যটি দেশের অন্যতম সহিংসপ্রবণ এলাকা এবং জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেলের একটি ঘাঁটি।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে বাস উল্টে নিহত ৯, আহত ৪০
মেক্সিকোতে পর্যটকবাহী নৌকায় হাঙরের ধাক্কা, আহত ৬
ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ২৮ জনের মৃত্যু, ৬০ জন অসুস্থ
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ ও বোটাদ জেলায় বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন এবং ৬০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশটির জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা মুকেশ পারমার বলেছেন, গুজরাটের আহমেদাবাদ ও বোটাদ জেলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই স্থানে মদের উৎপাদন, বিক্রয় এবং সেবন নিষিদ্ধ। মদে কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গুজরাট রাজ্যের পুলিশ প্রধান আশিস গুপ্তা বলেছেন, বিষাক্ত অ্যালকোহল বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে।
ভারতে প্রায়ই অবৈধভাবে তৈরি বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সস্তা মদের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবৈধভাবে এগুলোতে কীটনাশকের মতো রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়।
অবৈধ মদও ভারতজুড়ে একটি বিশাল লাভজনক শিল্পে পরিণত হয়েছে। মাদকবিক্রেতারা এসব মদের জন্য কোনো কর দেয়না এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে তারা সস্তায় এসব মদ বিক্রি করে থাকে।
২০২০ সালে ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে কমপক্ষে ১২০ জন মারা যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ২৬৬ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৪ লাখ ৫ হাজার ১৬৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৫২ হাজার ৪৬৭ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৪৫১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ১১০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৫৪৮ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৭১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ দুই হাজার ৩২৩ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ৯৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ২৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
পড়ুন: করোনার টিকা নিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
করোনায় মৃতদের ৭০ শতাংশই টিকা নেয়নি: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক
মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
মিয়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন এমপি ও তিনজন গণতন্ত্রকামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
সোমবার মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার তারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিরর ডেইলি সংবাদপত্রে ফাঁসি কার্যকর করার কথা জানিয়েছে।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আইন অনুসারে’ এই চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে কখন ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তা বলা হয়নি।
সামরিক সরকার এই প্রতিবেদনের তথ্য নিশ্চিত করে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করেছে।
তবে ওই বন্দীদের যে কারাগারে রাখা হয়েছিল সেখানকার কারা বিভাগ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন: জাতিসংঘ
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পরে মিয়ানমারের বাইরে গঠিত বেসামরিক সরকার তথা জাতীয় ঐক্য সরকারের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী অং মিয়ো মিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে জনগণকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন ফিও জেয়া থাও ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির দলের একজন এমপি; যিনি মং কিয়াও নামেও পরিচিত। গত জানুয়ারিতে একটি সামরিক আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
তার স্ত্রী থাজিন ন্যুন্ট অং এপিকে বলেন, তাকে জানানো হয়নি যে তার স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি এখনও বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’
সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের জন্য ৫৩ বছর বয়সী গণতন্ত্র কর্মী কিয়াও মিন ইউকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, যিনি কো জিমি নামে বেশি পরিচিত।
গত অক্টোবরে ইয়াঙ্গুনে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি রাজনৈতিক সক্রিয়তার জন্য দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কিয়াও মিন ইউকে মাইন হামলাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং শহুরে গেরিলা আক্রমণ চালানোর জন্য ‘মুনলাইট অপারেশন’ নামে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জান্তা অভ্যুত্থানের বছরপূর্তিতে আটক অর্ধশতাধিক
অন্য দুই মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত হ্লা মায়ো অং ও অং থুরা জাওকে ২০২১ সালের মার্চ মাসে একজন নারীকে (সামরিক বাহিনীর গুপ্তচর) নির্যাতন ও হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভারপ্রাপ্ত এশিয়া ডিরেক্টর ইলেইন পিয়ারসন বলেছেন, চারজনের বিরুদ্ধে পরিচালিত আইনি প্রক্রিয়া ছিল ‘ঘোরতর অন্যায় ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সামরিক বিচার।’
মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘জান্তার লক্ষ্য অভ্যুত্থান বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনকে শান্ত করা।’
মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘ-নিযুক্ত একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ থমাস অ্যান্ড্রুস মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন এবং একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানান।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারের দেশপ্রেমিক ও মুক্তিকামী মানুষের ফাঁসির খবরে আমি ক্ষুব্ধ ও বিধ্বস্ত।’
দেশটিতে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। তবে এরপরও কয়েক ডজন অভিযুকক্তের মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা দেয়া হয়।’
হত্যা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে অনুসন্ধান করা দ্য অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস নামের একটি বেসরকারি সংস্থা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দুই হাজার ১১৪জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এসময়ে আরও ১১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী